![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
কল্পনাপুর দক্ষিণ। সোহরাব ছোট্ট বাড়ীর মালিক। অল্পই রয়েছে তার ধানী জমি। তিন সন্তানের জনক। সব মিলে ৭ সদস্যের পরিবার। গোয়ালে তার তিনটি গরু। আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম, ফজরের আযানে তার প্রতিদিন ঘুম ভাঙ্গে। নামাজ সেরে বাড়ীর কাজকর্মে হাত দেন। আউশ, আমন ও ব্যুরো এই তিন ফসলে তার বছর কাটে।
বৈশাখ মাস। ক্ষেতে ধান। প্রতি বছর ধান কাটেন। বাড়ীতে ধান নিয়ে আসেন। রূদ্রের উত্তাপ, গরম হাওয়া সব কিছুই গা সয়েছে। ধান পেয়ে খুশিতে বাকবাকুম হন।
তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে সাবিরুল। মক্তব ও প্রাইমারী শেষ করে হাই স্কুলে যায়। সে একটু চঞ্চল ছেলে। সুযোগ পেলেই খেলতে যায়। খেলাধুলা ও টিভি দেখায় ঝানু।
বাবার তা মনমতন হয়না। বাবা বলেন পড়ালেখা করতে। নিজে নিরক্ষর ছিলেন। তাই ছেলেকে নিজের মত নিরক্ষর হতে দেবেন না।
ছেলেকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখেন। ছেলে দেখতে দেখতে এমএ পাশ করেছে। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসনে চাকরী করছেন। বাবার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
©somewhere in net ltd.