![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
আদর্শগ্রাম সম্মেলন
কল্পনাপুর আদর্শগ্রাম কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা প্রতিবছর আদর্শগ্রাম প্রতিষ্ঠাকে স্মরণ করতে ও সকল বাসিন্দা একত্রিত হয়ে আদর্শগ্রাম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করবে। এ উদ্দেশ্যে একটি সম্মেলনের আয়োজন করে যাতে সকলেই একত্রিত হতে পারে ও আরো অধিকতর কল্যাণকর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটিঃ আদর্শগ্রাম কর্তৃপক্ষ একটি সম্মলেন বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে। জনাব আফজালুর রহমান মূলনীতি নির্ধারক হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি মোট ২১ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্ততি সভা আহ্বান করেন। তাতে কমিটির ২১ সদস্যের সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রত্যেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মতামত প্রদান করেন। জনাব আলী আকবর প্রধান বলেন, সম্মেলনে যাতে তরুণ প্রজন্মের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বেগম আঞ্জুমান আরা বলেন, সম্মেলনে নারীদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। রুবায়েত আল আজমী বলেন, কল্পনাপুর থেকে প্রতিষ্ঠিত দেশের ও দেশের বাইরে যারা আছেন তাদেরকে সম্মেলনে উপস্থিত করানোর জন্য কাজ করতে হবে। এভাবে নানা ধরণের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তুতিপর্ব চলতে থাকে।
ম্যাগাজিনঃ আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয় সম্মেলনের পূর্বেই প্রকাশনা কার্যক্রম তথা মেগাজিন বের করে আদর্শগ্রাম কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ও একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি তৈরী করতে সম্মত হয়। এ জন্য মেগাজিনের নামকরণের পুরস্কার ঘোষণা করে হৈচৈ ফেলে দেয়। অবশেষে কর্তৃপক্ষ “আদর্শগ্রাম” নামকরণটিই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়। তরুণ ইয়ার মুহাম্মদ “আদর্শগ্রাম” ম্যাগাজিনের নামকরণ করে পুরস্কার জিতেনেন।
ক্যাম্পেইনঃ সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে বেনার, পোস্টারের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে স্বেচ্ছাসেবক বা ভলান্টিয়াররা গণসংযোগ করে। মাইকিং করা হয়। ফলে সারা গ্রামে সাড়া পরে যায়। দূরদূরান্তের মানুষও জেনে যায় সম্মেলনের কথা। গ্রামের মানুষ তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেয় আত্মীয় স্বজনদের মাঝে।
উৎসবমূখর পরিবেশঃ সর্বত্র প্রচারণার কল্পনাপুর হয়ে উঠে উৎসবের জনপদ। আত্মীয়-স্বজন মিলে পুরু এলাকায় চলছে নানা আয়োজন। জায়গায় জায়গায় গরু জবেহের দুম পড়ে যায়। দোকানপাট গুলো আলোকসজ্জা করে ফেলেছে। অনেকেই বাড়ীর আশপাশ চুনকাম করে ফেলেছেন। রাস্তাঘাট পরিস্কার করে ফেলা হয়েছে।
সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবেশঃ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কল্পনাপুর আদর্শগ্রামের কেন্দ্রস্থল আদর্শগ্রাম ডিগ্রী কলেজ মাঠে। অনকে বড় মাঠ। মাঠের চতুর্দিক সবুজ বৃক্ষের সারি। বিশাল এক প্যান্ডেল করা হয়েছে। রঙিন হয়ে উঠেছে সম্মেলন কেন্দ্র। ইভেন্ট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আহমেদ শাকিল অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাঠ সাজিয়েছেন। মঞ্চ সজ্জায় বাজেট প্রায় ২০ শতাংশ নির্ধারিত। একসাথে প্রায় ৩৫০ জন লোক বসতে পারে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা ও করা হয়েছে।
সম্মেলনের স্পন্সরঃ আদর্শগ্রাম কর্তৃপক্ষ সম্মেলনকে অর্থবহ করে তুলতে আগে থেকে টাইটেল স্পন্সর, মিডিয়া পার্টনার খুঁজতে থাকে। এর দায়িত্বে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্পন্সর সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি করে দেয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস বিভিন্ন ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়া, বেসরকারি সংস্থা প্রভৃতি স্তরে যোগাযোগ করা হয়। অবশেষে অন্ততঃ পক্ষে ১৫ বহুমুখী সেবা ও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া ও এনজিও স্পন্সর হতে প্রাথমিক সম্মতি জানায়, তন্মধ্যে ৫ টিকে অনুমোদন দেয়া। ফলে সম্মেলনে প্রস্তুতি জমে উঠে। আর্থিক সমস্যা ও কারিগরি সমস্যার সমাধান সহজলভ্য হয়।
অতিথি ব্যবস্থাপনাঃ উৎসব মুখরিত আদর্শগ্রাম সম্মেলন কর্তৃপক্ষের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। “কল্পনাপুর আদর্শগ্রাম শান্তি সংঘের” প্রধান মুখপাত্র জনাব ইমতিয়াজ মাহমুদ সম্মেলন আকর্ষণীয় করতে নানা পদক্ষেপ নেন। হাই প্রোফাইল অতিথিদের আমন্ত্রণ করেছেন। জেলা প্রশাসক, বিশ্ব সংস্থার আঞ্চলিক প্রতিনিধি, সরকারের আইন প্রণয়নকারী সদস্য, স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা, শিক্ষা অধিদপ্তরের মূখ্য সচিব, কৃষি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক ও দেশের খ্যাতিমান ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব প্রমূখ অতিথির তালিকায় রয়েছে। এছাড়াও প্রবাসী নাগরিকদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য প্রস্তুতিঃ সম্মেলনকে আকর্ষণীয় করতে সাংস্কৃতিক পর্ব রাখা হয়েছে। এতে কল্পনাপুর সাংস্কৃতিক জোটসহ নানা শিল্পগোষ্ঠী অংশ নেবে বলে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিয়েছে। পাঁচটি শিল্পগোষ্ঠী এতে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পেয়েছে। আদর্শগ্রাম ইসলামিক শিল্পগোষ্ঠী একক ও যৌথ সঙ্গীত পরিবেশনা করবে। এই শিল্পগোষ্ঠীর বেশ সুনাম রয়েছে।
প্রস্তুতি সমাপ্তঃ সকল প্রস্তুতি সমাপ্ত হয়েছে। সম্মেলন বাস্তবায়নকারী কমিটি আরো একটি পূর্ব সভা করেন। জনাব আফজালুর রহমান সকলকে ধন্যবাদ জানান। অংশগ্রহণকারী সকলেই যাতে সমসুযোগলাভ করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে স্বেচ্ছাসেবকদের মনে করিয়ে দেন। উল্লেখ্য অন্ততঃ ৪০ জন সেবক অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব পালন করবে। অবশেষে সম্মেলনের সফলতা কামনা করা হয়।—–সমাপ্ত:—–
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
ইবিএস খাইরুল বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরুল ইসলাম বাবু ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:১৭
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভালো উদ্যোগ