![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
ইতিহাসের উপর স্নাতকোত্তর করা একজন ছাত্র হিসেবে গত কয়দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলা আন্দোলন সংগ্রামের একটি বড় ফলাফল আমি হিসেব নিকেশ করে বের করেছি। সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা স্বত্বেও দেশে আপামর জনতা সত্য হলেও দলীয় বিভক্তির জেরে বঙ্গবন্ধুকে পুরোপুরি ভালবাসেনি কতিপয় শ্রেণীর মানুষ। নানান বিভক্তি ও বিতর্ক হতো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী তথা জাতির জনককে নিয়ে।
সার্বজনীনতা তখনই আসে যখন সকল শ্রেণী পেশার মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এক হয়।
ভারতীয়দের জাতিরজনক মহাত্মা গান্ধীর কথা বলা যায়, সেখানে নানান দল থাকলে গান্ধী তার জায়গায় সবার শ্রদ্ধা ও ভক্তির স্থানে সমাসীন।
কিন্তু আমাদের দেশে এই জায়গায় এক হতে পারেননি যেমন রাজনীতিকরা, তেমনি সমর্থকরা। অর্থাৎ যে যে দলই করুক না কেন বঙ্গবন্ধু সবার নেতা এটা অনেকেই মানতনা বা মানলেও তর্কের খাতিরে স্বীকার করতোনা।
কিন্তু তরুণরা সে জায়গাটিতে কুলুপ এটে জানিয়ে দিয়েছে না বঙ্গবন্ধু তার জায়গায় একজনই। একথা একারণেই উপলব্ধি যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সবদল মত নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়েই মাঠে নেমেছিল। যা আওয়ামীলীগ এতদিন চেষ্টা করেছে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য, কিন্তু পারেনি। আমি মনে করি তরুণ ছাত্রসমাজ বঙ্গবন্ধুকে সার্বজনীন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। তারা মেনে নিয়ে শ্লোগান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু বৈষম্য মানতেন না। সুতরাং আমরা বঙ্গবন্ধুতেই ফিরে গেলাম। এটা কেউ মানুক আর না মানুক দলীয় ব্যানারের উর্ধ্বে উঠে সকলে বঙ্গবন্ধুর নামে শ্লোগান তুলেছে। এটা একটা বিরাট অর্জন।
অতএব, তরুণ সমাজ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে মনে প্রাণে। কেননা বঙ্গবন্ধুর কাছেই রয়েছে রাষ্ট্রের সমস্যার সমাধান।
একবার সম্ভবত: সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন, "জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী।" এটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। যা আওয়ামীলীগ প্রমাণ করতে পারেনি। অতএব, তরুণদের আকাঙ্খার মূল্যায়ণ করতে হবে।
আর একটি বিষয় আমাদের ভূলে যেতে হবে কেউ যেন জাতীয় ঐক্য তথা জাতিগত বা মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর কেউ স্বাধীনতা বিরোধী এটা তরুণ সমাজ শুনতে প্রস্তুত নয়। কেননা, যে যে দলই করুক না কেন রাষ্ট্র সবার বা সবাই রাষ্ট্রের কল্যাণ চায়। এই বার্তাটিই তরুণ সমাজ কোটা সংস্কার আন্দোলনে দিয়েগেছেন। সুতরাং বাড়তি ফায়দা নেওয়ার জন্য কেউ কাউকে ছোট করার রাজনীতি এখনই বাদ দিতে হবে।
"উন্নয়ন ও গণতন্ত্র" পরস্পর পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ আমার, বাংলাদেশ তোমার, বাংলাদেশ সবার। কেননা, সবাই লাল সবুজের পতাকায় দ্বীপ্ত শপথে বিশ্বাসী। সুতরাং ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে কেউ রাজনীতি করবেননা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে তোষামদ প্রথা চালু হয়েছে, আমাদের এখান থেকেও বেড়িয়ে আসতে হবে। যিনি তোষামুদি করবেন তিনি স্বার্থলোভী। এদের এড়িয়ে চলতে হবে।
অবশেষে বাংলাদেশ থাকুক সঠিক পথে সবসময় ও তরুণদের সম্ভাবনাময় শ্লোগানে #বঙ্গবন্ধুর_বাংলায় #বৈষম্যের_ঠাঁই_নাই, এই চেতনায়।
বঙ্গবন্ধু জিন্দাবাদ,
বৈষম্য নিপাত যাক।
তরুণ ছাত্রসমাজ জিন্দাবাদ।।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১২
ইবিএস খাইরুল বলেছেন: হ্যাঁ ... । ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: ভাবনার উপকরণ আছে।