![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।
#শুভেচ্ছা_বাণী
#শুভ_নববর্ষ_১৪২৫_বঙ্গাব্দ
============
মহামতি সম্রাট আকবর মুঘল আমলে প্রথম বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। এর পর থেকেই বাংলা বর্ষপূঞ্জিকার হিসেব শুরু হয়।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ব্রিটিশ ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে স্বাধীনতার সূর্য্য অস্তমিত হওয়ার পর ইংরেজী বর্ষ আসে ভারত উপমহাদেশে। সুলতানি আমল থেকে ভারত উপমহাদেশে আরবী ক্যালেন্ডারের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু বাংলার মানুষ চৈত্রকার্তিকেই অভ্যস্তছিল এবং আছে। যদিও ইংরেজী নববর্ষের দিনেও আমরা খুব উল্লাস করি।
আবার পহেলা বৈশাখে রঙিন সাঁজে সাঁজি। পান্তা ইলিশে ভরকরি। ছোট সময় হালখাতার বেশ প্রচলন দেখতাম। দোকানে দোকানে নতুন বছর এলেই হালখাতার ধূম পড়ে যেত। কালের হিংসায় হালখাতায় ভাটা পড়েছে। দোকান পাটে এখন ডিশটিভিতে ভরেগেছে। মাসিক বকেয়ায় হিসেব ছোট হয়েগেছে। তাই হালখাতার প্রভাব নেই।
শুরু হয়েছে মঙ্গলশোভা যাত্রা নামের ভূত পেঁচার হাতি ঘোড়ার মিছিল। যা বাঙালী সংস্কৃতির ভেতরে চাপিয়ে দিয়েছে একশ্রেণীর শিক্ষিত মানুষ।
ছোট সময় গ্রামের বাড়ীতে নিয়মিত পান্তাভাত খেতাম। এখন দেখি বাঙালী হওয়ার জন্য মানুষ পান্তা ইলিশ খায়।
যা হউক নতুন বছরটি আমাদের জাতীয় জীবনে সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। সমাজে শান্তি ও ভাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠিত হউক। যত সব অশ্লীলতা দূরিভূত হউক। প্রতিষ্ঠিত হউক অনাবিল শান্তি ও আনন্দ।
শুভ নববর্ষ। ১৪২৫ বঙ্গাব্দ।।
©somewhere in net ltd.