নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে।

ইবিএস খাইরুল

ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মধ্যবিত্ত কৃষকপরিবারে জন্ম। ইতিহাসে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করেছি আনন্দমোহন কলেজ থেকে। রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করার সুযোগ না হলেও সামাজিক সংগঠন করার সুযোগ হয়েছে। ২০১৪ সালে ফেসবুক মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ঈদগাহ বন্ধু সমাজ(ইবিএস) নামে সমাজ উন্নয়নকামী সংগঠনের চীফ কোঅরডিনেটর হিসেবে আমাদের গ্রামকে আদর্শগ্রামে উন্নীত করতে কাজ করছি। চাকুরী করছি একটি পোশাক কারখানায় মানবসম্পদ বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমি কথা বলি। চার ভাই চার বোনের মধ্যে ৩য় এবং বড় ছেলে।

ইবিএস খাইরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্যেশ্যে

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০


পড়ার সময় খেলা যাবেনা, তোমার বন্ধুরা এসে বললো চল খেলতে যাই। তুমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে, পড়ালেখা বাদ দিয়ে খেলতে গেলে, তাহলে তোমাকে তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছোনা। বরং খেলার সময় নির্ধারণ করে নাও।

তোমরা কি টিভি দেখো? হ্যাঁ দেখি। কখন দেখো? পড়ার পরে। তাহলে কি তোমার দিনের পড়া দিনে শেষ হয়? উত্তর নাই। স্যার ও ওরটা দেখে লেখে। তার মানে পড়া ফাঁকি দিয়ে টিভি দেখা হয়। কার কার বাড়ীতে ডিশ আছে, বেশ ক'জন হাত তুললো।
আচ্ছা তোমরা দোকানে বসে টিভি দেখবানা। পড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিভির কাছে যাবা না।
ভাল রেজাল্ট করে মা-বাবা, একাডেমী, শিক্ষকদের মুখ উজ্জল করবে। তোমরা লক্ষ্য করবা তোমাদের যে ভাই-বোন পড়ালেখা ভাল করে, তোমাদের বাবা-মা তার যত্ন বেশী নেয়, তাকে আদর করে বেশী, তাকে খাওয়ায় বেশী, ভাল কাপড় চোপড় সে পায়। কি ঠিক বলছি? সবাই সম্মতি দিল। অতএব ভাল ছাত্র হতে হবে। ওকে....

৫ম শ্রেণীর ৭ জন এবার সমাপনী পরীক্ষা দেবে। আগামীতে পরীক্ষার্থী আরো বেশী থাকবে, সংখ্যাটা ১০ এর বেশী হবে। সবাইকে জিপিএ ৫ পেতে হবে। কে কে পারবে? সবাই হাত তুললো। না সবাই পারবেনা আমিও জানি।

কথা বলছিলাম আমার প্রাণের গ্রামীণ শিশু একাডেমী-জিএসএ এর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সাথে। জিজ্ঞেস করলাম তোমরা ভাল ছাত্র না অন্য স্কুলের ছাত্ররা ভাল। তাদের আত্মবিশ্বাস দেখে আমি অবাক। আমরাই সেরা.... হ্যাঁ এই একাডেমীর শিক্ষার্থীরাই সেরা। গত তিন বছর প্রত্যেকবারই সেরা রেজাল্ট করেছে তারা।

সমাপনী পরীক্ষায় ২০১৫ সালে তিনজনে একজন, ২০১৬ সালে সাত জনে পাঁচজন, ২০১৭ সালে ৯ জনে তিনজন জিপিএ ৫ পেয়েছে। এবারের পরীক্ষার্থীরা আরো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত দেখা যাক...... যায় কতদূর। এই একাডেমী সমাপনীয় পরীক্ষায় রেজাল্ট দিচ্ছে, এই পর্যন্ত আমাদের দায়িত্ব কিন্তু উচ্চবিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় রেজাল্ট ধরে রাখার দায়িত্ব উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

আশাকরি আমাদের শিক্ষার্থীরা যেখানে যাবে, তারা যেন আমাদের মত করে যত্ন নেন, এই প্রত্যাশা করতেই পারি। এটা এজন্যই বলা যে, আমাদের শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট বড় বিদ্যালয়গুলো ধরে রাখতে পারছেনা।

গ্রামীণ শিশু একাডেমী ২০১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে যাত্রা শুরু করেছে।
সকলের কাছে দোয়া চাই, আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস যেন স্বার্থক হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.