![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্রমণ যেন শুধু রোগীর বাড়ির লোকজন থেকে ছড়ায়! যত বিধি-নিষেধ তাঁদের জন্য। হাসপাতালের কর্মী বা চিকিৎসকদেরও কি সতর্ক থাকার দায় নেই?
প্রশ্নটা প্রকট হচ্ছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে। সরকারি, বেসরকারি নির্বিশেষে। ঢাকা শহরের কয়েকটি নামী বেসরকারি হাসপাতালটির কথাই ধরা যাক। যেখানে রোগীকে একঝলক দেখতে হলে পরিজনকে জুতো খোলা-হাত ধোয়ার মতো নানা নিয়ম-কানুন মানতে হয়। সেটাই স্বাভাবিক। অথচ আইসিসিইউ বা সিসিইউয়ের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ালে ধরা পড়ে অনিয়মের ছবিটা। সয়ং ডাক্তারাই বাইরের জুতো পরে গটগটিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন! গায়ে একটা অ্যাপ্রন চাপানোরও দরকার মনে করছেন না!
নামী-দামি হাসপাতালেও সতর্কতার এই হাল দেখে বহু রোগীর পরিজনেরা উদ্বিগ্ন। তাঁদের প্রশ্ন, নিয়ম মানার দায় কি শুধু তাঁদের একচেটিয়া তাঁদেরই? ডাক্তারদের জুতোয় ধুলো-নোংরা থাকে না? নাকি থাকলেও ডাক্তারের জুতো হওয়ার সুবাদে সব দোষ ধুয়ে যায়? হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষই বা কেন চোখ বুজে থাকবেন?
তাহলে সমাধান কি....
সমাধান তো একটা আছে,অনেকটা লাঁঠী হঁাতে সমাধানের চোর ধরার মতো... হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষকে কড়া হতে হবে। “ডাক্তার-নার্সদের বাধ্য করতে হবে নিয়ম মানতে” তাদের কে বোঝাতে হবে রোগীর পরিজন আর ডাক্তারদের জন্য সতর্কতার বিধি আলাদা হতে পারে না..। শাস্তির ব্যাবস্থা রাখতে হবে..।
বস্তুত হাসপাতালের ওয়ার্ডে সংক্রমণ (চিকিৎসা পরিভাষায়, হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন) এখন সারা বিশ্বে মস্ত সমস্যা। একটানা আইসিইউ বা আইটিইউয়ে থাকলে এর শিকার হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ওঁদের অভিযোগ, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তেমন তৎপরতা কোথাও চোখে পড়ে না। বরং অধিকাংশ জায়গায় উদাসীনতাই প্রকট। যেমন, আইসিইউ-আইটিইউয়ের মধ্যে দিব্যি খাওয়া-দাওয়া সারেন চিকিৎসাকর্মীরা। ফুলহাতা শার্ট পরেই একের পর এক রোগীকে পরীক্ষা করে যান চিকিৎসক।
নামজাদা ডাক্তার রাত এগারোটায় এসে আইসিসিইউ, সিসিইউ-আইটিইউয়ে ঝড়ের গতিতে রাউন্ড দিলেন, বাইরের জুতো পরে। শু্য কভার লাগানোর সময় নেই! আইসিসিইউয়ে এক রোগীর বুকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। অন্য রোগীর আত্মীয় ডাক্তার সাহেকে শুধোলেন, এ ভাবে ওয়ার্ডে ঢোকাটা কি ঠিক? সংক্ষিপ্ত উত্তর, “সময় নষ্ট করাবেন না। তাড়া আছে....,
দেরি হলে আপনার পেশেন্টকে দেখতে পারব না।”
রোগীর প্রাণের চেয়ে ডাক্তারদের সময়ের দাম বেশি কিনা, সে প্রশ্ন করার সাহস ভদ্রলোকের হয়নি....।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৩
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: অতি বাস্তব বিষয়ের অবতারনা করেছেন লেখক-ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
রোগীর প্রাণের চেয়ে ডাক্তারদের সময়ের দাম বেশি কিনা,
সে প্রশ্ন করার সাহস ভদ্রলোকের হয়নি....।
এমন চিত্র সবখানে না হলেও কোথাও কোথাও দেখা যায় বৈকি !
লেখা অনেক ভালো লাগলো ! ++ চালিয়ে যান ।