![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানবে আমি শুধু আমি নই, আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ভ তোমাতে মিলিয়ে আমার সব সুখ।
(এই স্ট্যাটাসের সকল চরিত্র কাল্পনিক হলেও বাস্তবের সাথে সম্পূর্ণ্য মিল থাকলেও থাকতে পারে)
(নির্বাচনী প্রচারণায় এক প্রার্থীর সাথে একজন মুরব্বির কথোপকথন)
প্রার্থী: আস্সালামু আলাইকুম চাচা।(লম্বা সালাম)
মুরব্বি: মাথা নাড়ছে।(হতাশাগ্রস্থ মুখে)।
প্রার্থী:চাচা ভালো আছেন?
মুরব্বি: ভালো থাকতে আর দিলা কই !
প্রার্থী: জ্বি চাচা?
মুরব্বি: না ! কিছু না।
প্রার্থী: চাচা আপনাদের দোয়া নিতে আসলাম। চাচা দোয়া কইরেন।
মুরব্বি: হুম ! দোয়াতো গাছে ধরে। দোয়ার আড়ৎ খু্ইলা বসছি তোর জন্য। হারামী বদ (মনে মনে)।
প্রার্থী: কি চাচা আমাদের জন্য একটু দোয়া-টোয়া কইরেন, যাতে আপনাদের সেবা করতে পারি।
মুরব্বি:বাবা আমাদের চিন্তা করন লাগতো না, তুমি নিজের চিন্তা কর। সামনে তোমার মহাবিপদ।
প্রার্থী: আপনারা দোয়া করলে সব বিপদ কাইটা যাইবো। আপনাদের সেবা করারও সুযোগ পামু আরকি(হাত কচলে)।
মুরব্বি:তুমি বদের বাচ্চা বদ মা-বাবার সেবা করোনা, আমাগো সেবা কি করবা (মনে মনে)।
প্রার্থী: কি চাচা কিছু ভাবছেন নাকি।
মুরব্বি: না না চিন্তা করতাসি তোমাদের দোয়া না করলে কারে করুম।
প্রার্থী: চাচা তাইলে আজকে যাই, হাতে সময় কম।
মুরব্বী: এখনই সময় পাও না আর নির্বাচনে জিতলে তো কথাই নাই।
প্রার্থী: হাসতে হাসতে .... আরে চাচা কি কন, আপনাদের সেবাই লাইগা থাকুম।
মুরব্বি: বাবা ভোট চাইতে আইছো ভোই চাও এইসব ভুজুঙ্গ-ভাজুঙ্গ কথা কইয়ো না।
প্রার্থী: চাচা আসেন আপনার সাথে একটু কুলাকুলি করি।আপনার কথা আমার ভাল্লাগছে।
মুরব্বি: বাবা আমার গায়ে খোস-পাচড়া হইছে কোলাকুলিতে তোমার গায়েও খোস-পাচড়া হইতে পারে(বিরক্ত মুখে)।
প্রার্থী: মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। তবুও হাসছেন (নকল হাসি) আশেপাশে অনেক লোক তাকিয়ে আছে আর কথাও শুনছে। ধ্যাৎ এই বুড়ার কাছে আসাটাই বোকামী হইছে। বুড়া ত্যাদড় (মনে মনে )।
আরে চাচা সমস্যা নাই খোস-পাচড়া হইলে হইবো আসেনতো কোলাকোলিটা করি।
মুরব্বি: খাইছে আমারে! মায়া একেবারে উপচাইয়া পড়তাছে (মনে মনে), বাবারে গরম দেখছো আজকে ? একেবারে কাঁঠাল পাঁকা গরম, আজকে আর কোলাকোলিতে যাবো না (মুখে বিরক্তের ছাপ)।
প্রার্থী: এখানে দেড়ি করাটা ঠিক হবে না, ত্যাদড় বুড়া বারবার বোল্ড করতাছে (মনে মনে), তাইলে চাচা যাই পড়ে দেখা হবে।
মুরব্বি: যাও বাবা। অহ ! তোমারেত বাবা একটা কথা জিগাতেই ভুইলা গেছি।
প্রার্থী: কি কথা চাচা?
মুরব্বি:তোমার মাডার কেইসটার কতোদূর?
প্রার্থী: বুইড়া বাদরের কাছে আইয়া কি সর্বনাশ যে করছি! এক ভোট খুজতে আইসা কতগুলা ভোট হারাইছি আল্লাহপাক জানে। সবাই কেমনে তাকাইয়া আছে। বুইড়া পুরান কবরে দাড়াইয়া কি সর্বনাশটা করলো। দাড়া বুইড়া বাদর আগে পাশ করি তারপর তোমারে দেখামু।(মনে মনে)।
চাচা তাইলো আজকে আসি?
মুরব্বি: যাইবা? যাও ! এলাকার বারোটা বাজাও (নিরাশ ভাব)।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
ই. আলম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
সাজানো ভোট নিয়ে কথা বলার আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। সেটা আপনি-আমি-সকলেই জানি।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
নীল জানালা বলেছেন: এইলিগাই এইসব প্রার্থীদের গডমাদার এইবার নির্বাচনী প্রচারনার আশেপাশেদিয়া না গিয়া সরাসরি নির্বাচনী প্রতারনার আশ্রয় নিসে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৯
ই. আলম বলেছেন: ভেজালে যাওয়ার কোন প্রয়োজনই নাই। সরকার-সরকার নির্বাচন করবে তারচেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? প্রথম বার ভোটার হয়ে খুব বিপদে আছি। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। একদিকে ভোট দেয়ার অধিকার আরেক দিকে দেশ .........
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫২
উদাস কিশোর বলেছেন: নীল জানালা বলেছেন: এইলিগাই এইসব প্রার্থীদের গডমাদার এইবার নির্বাচনী প্রচারনার আশেপাশে দিয়া না গিয়া সরাসরি নির্বাচনী প্রতারনার আশ্রয় নিসে।
সেইরাম মজা পেলুম
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১০
ই. আলম বলেছেন: ধন্যবাদ উদাস কিশোর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
পৃথিবীর আলো বলেছেন: চরম হইছে, ভাই । তবে ভোট নিয়া আরও দুই একটা কথা থাকলে আরও ভাল হত।
ক্রিয়েটিভ পোস্ট।