নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি। সন্ধ্যাবেলার চামেলি গো, সকালবেলার মল্লিকা আমায় চেন কি।’

এনামুলহক ভূঁইয়া

ফাল্গুন প্রাতের উতলা গো, চৈত্র রাতের উদাসী

এনামুলহক ভূঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়তু সমালোচনা

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

আত্ম-শুদ্ধির জন্য অন্যের সমালোচনা করতে হয়। যদিও অনেকের কাছে আত্ম-শুদ্ধি ও অন্যের সমালোচনা সাংঘর্ষিক বিষয়। তারা আত্ম-সমালোচনায় বিশ্বাসী। তবুও পরিশুদ্ধ মানুষ হতে হলে সমালোচনা অপরিহার্য। অন্যের সমালোচনা করলে নিজে পরিশুদ্ধ থাকার তাগিদ অনুভুত হয়। সমালোচনা করুন, নিজের অথবা অন্যের। তবে পরনিন্দা থেকে দূরে থাকুন। কেউ নিন্দা করলে সহজভাবে নিন। যদিও বিষয়টি দূরহ।

যাক, আত্ম-সমালোচনা দিয়ে শুরু করি। নোয়াখালীতে জন্ম বলে আমি গর্বিত। এজন্য অনেক সমালোচনা সইতে হয়েছে ও হয়। যার জন্য আমি দায়ি নই। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বেশী সমালোচিত হয়েছি। কলেজ জীবনে কোথাও নিমন্ত্রণে গেলে খেয়ে বসে থাকতাম। বন্ধুরা সবাই উঠলে, আমি উঠতাম।

কদাচ, আগে উঠলে; বন্ধুদের একজন বলতো বাড়ি কোথায়?

অন্যজন বলতো, “নোয়াখালী।”

আমি প্রায়শঃ বলতাম, “জ্বী।”



কলেজ ফেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার সমালোচনার মাত্রা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পেল।

বন্ধুদের সাথে আড্ডায় গেলে, বগুড়ার এক বন্ধু কারণে অকারণে প্রায়শঃ বলতো।

“নোয়াখালীর এক ভদ্রলোক বলেছিলেন।”

অন্যরা বলতো, “নোয়াখালীতে ভদ্রলোক ছিল! জানতাম না।”

একদিন বড় ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম, “মানুষ নোয়াখালী নিয়ে এমন বলে কেন?”

ভাইয়া বলেন, “নোয়াখালীর মানুষ আজকে যা চিন্তা করছে, সারা দেশের মানুষ আগামীকাল তা চিন্তা করবে।”

ঠিক কি বেঠিক জানিনা। তবে বন্ধুদের বলতাম, “যাই তোদের আগামীকালের চিন্তা করি।”

যাক, সুযোগ বুঝে বড়াই করে নিলাম।



ঠিক মনে নেই। কোন এক বই মেলায় হুমায়ুন আজাদকে এক রিপোর্টার জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি ও হুমায়ুন আহমেদ দু’জনে খুব ভাল লেখেন। বইমেলায়, হুমায়ুন আহমেদের অনেক বই, কিন্তু আপনার বই খুবই কম।”

উত্তরে, হুমায়ুন আজাদ বলেন, “ইতর প্রাণীর বাচ্চা বেশী।”

আমি দু’জনকে ভালবাসি।

আজাদ, বাঙ্গলা সাহিত্যের বিজ্ঞানী ও আহমেদ শিল্পী।



দু’দিন আগে ব্রিটিশ হাই-কমিশন ঘোষণা দিল, “বাংলাদেশী আবেদনকারীর ভিসা সিদ্ধান্ত দিবে দিল্লিতে অবস্থিত ব্রিটিশ হাই-কমিশন।” আমরা সবাই সমালোচনায় ফেটে পড়লাম। আত্ম-মর্যদা ও জাতীয় মর্যাদার বিষয় বলে কথা। তবে মর্যদার বিষয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা ভিন্ন চিন্তা করেন। আসুন তাদের পছন্দের গল্প শুনি।



বাপ-বেটা চুরি করতে গিয়ে ধরা খেল। সবাই বাপকে জুতা-পেটা করলো। ছেলে দৌড়ে বাড়ী গিয়ে বলছে, “মা! মা!”

মা বলছে, “কী বাছা?”

ছেলেঃ শুনো মা, “মানির মান আল্লাহ রাখে। বাজানকে জুতা-পেটা করলো। আমাকে কিছুই বলেনি।”



ও হ্যাঁ, রাজনীতির কথা বলছিলাম। বাংলাদেশে দু’দল আছে। সূঁই আর চালুনী। সূঁই বলে, “চালুনী, তোর পাছায় ফুটা।”



সমালোচনা! তুমি বেঁচে থাকো। তুমি আছ বলে-বাঙ্গালী বেঁচে আছে। তুমি আছ বলে আমাদের সময় কাটে। জয়তু সমালোচনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.