![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
০১
এ যে গোপন এতই যতটুকু যায় বোঝা
সবটুকু মনে হয় বুঝেছি জেনেছি ;তবু
বারবার দেখা দরকার
পলকের পূর্বের রহস্য তার ।।
এমনি সে গোপন গুঞ্জনা
বাণ হয়ে যেন কোথা থেকে
এসে কোথা হয়ে চলে যাবে !
কিছু বাতাসে মেলেবা চিহ্ন
কিছু আক্ষেপ বুঝিবা নিশ্বাস
তারা আসে না ,যায় না
অবস্থিতি হয় নাই তার
শুধু জানি যতটুকু চোখের সামনে
বা অলক্ষ্যে অগম্য অঞ্চল
দেখা না দেখা ,ছায়া আলো খেলা
পর্দা নাকি তার অন্তরাল ।।
পলক অপলক থাকি নাই ;
কখনও?হেঁটে যেতে যেতে
পর্দা শরীরে শরীরে শেষ হয়ে গেছে ;এত আলো এত ছায়া !
স্মৃতি সব নাই ,কুয়াশা জীবন
দেখতে পেয়েছি এখন ,গোপন তখন ।
০২
এই শহর জানালার কাঁচ থেকে ঝাপসা থাকুক তবু
লেখার অলস টেবিল কখন ভেসে ভেসে,ছেলেবেলার
কিছু দৃশ্যের এপারে বসিয়েছে ,খুব অসঙ্গত যদিও
একেবারেই তেমন কিছুই না ,কিছুই নয় । শুধু যেন
একান্ত আবদারে কোনে পুরাতন উপস্থিতি।
সত্যি তেমন কিছু না
কছু-পাতা পানি, ঝিরঝির অন্ধকার আমবাগানে
একটি সামান্য দূর্বার সহজ সবুজ হয়তো ...
দুইটি জানালার কোনটি স্পর্শ করতে দেয়নি !!
কিছু ব্যাঙের ডাক হয়তো
অহেতুক সময় চলে যাওয়া
ধ্বনি
আমি মানি আর না মানি
কি জানি তবু ঘ্যাঙ্ঘ্যান
এতদিন পরেও ,
নগরেই শুনি।
যারা শহুরের বৃষ্টি ঝঞ্জাট বিপরীত ঝাপসা জানালার কাঁচ
ভাসাভাসা টেবিল থেকে কচুক্ষেতের জঙ্গল;
সমস্ত জীবন
জানালা জানালা অজস্র,এপাশ এপাশ অজস্র ,অজস্র ওপাশ ।
সঙ্গীতের দাম তারা বেজাই হেঁকেছে ,হাকুক
ভীম-পল্লশ্রী ,বাতায়ানারণ্ণ্য সম্মীলন মেঘাশ্রু
কেনার মোহর-ঘড়া;লাঙলে হৃদয়-ফলা আছে
দেখনি ?
একটি পরিচিত দূর্বার সরল আনন্দ হারিয়ে ফেলেছি
খুব বেশি কিছু তো নয় ,একেবারেই বেশি কিছুই নয়...
প্রিয়ার সঙ্গীত বা মধুভাষন নয়,
সন্ধ্যা বিদায় পুর্বলগ্নে
জলঢালা আকাশের নিচে চন্দ্রনকশী
আমবাগানে মৌ-অলীক একটু আঁধারে
আর একটু বলেই দেই,
জলতৃপ্ত আপন ডোবায় কিছু ব্যাঙের বেসুরো চিতকার হারিয়ে হয়তো চলে গেছে
পঁচিশ বছরের দূর্গম্য পাচিলের ওধারে
কখনো পচিশ বছর পর অচেনা জানালা অচেনা সময়
চেনা মানুষের অচেনা অস্তিত্ত্বে ।।
জানালা থেকে জানালা
কাঁচ থেকে কাঁচ
সময় থেকে সময়
খুব বেশী কিছু নয় ,একটি জলায় পাঁচটি নতুন পাতা
আমাকে সেইসব ,সেইসব কিছুই স্পর্শ করতে দেয়নি
জানালা জানালা স্থির বিপরীতে
কাঁচ কাঁচ হয়ে আছে
সময় হয়েছে শুধুই সময়।
০৩
কতকাল আগে গ্রীষ্মকালে
বাড়ির জমাট দাওয়াই শুয়ে
রাত রাত ,অন্ধকার । অন্ধকারে
তবু কালো ছায়া ,ছায়া আমগাছ ছিল
উঠোনের এক কোণে;বাতাসে গন্ধে বলছিল কথা
মুকুলের মৌ মৌ ঘ্রাণে ...
কে ?
স্বপ্ন বুঝিবা এতকাল পরে জেগে দেখি
তবু সেসব স্বপ্ন তো নয়!
হলুদ চাঁদ কিছু বলছিল ,আরও কত কি! জানিনা ।
শৈশবের সব গল্প বলতে পারলে
কেউ কি কখনও বড় হত?
এমন সময় যখন ;তখন একটি চিল বা একার অচিন অন্য কোন পাখি
নাই আলো নাই অন্ধকারে ;স্বপ্ন স্বপ্ন গাছ-পাতার রূপালী অবসরে । মাখি
হলদে চাঁদে গেল।
তাতে পৃথিবীর নেই ভ্রুক্ষেপ ,
আমারই বা ,
তাতে সঙ্গতি আছে !
তবু বা চিল চলে গেল
আরও দূরে হলদে চাঁদের দেশে
গ্রামের শেষের মাঠের পরে নয় ,বালকের হাতে নয় ,আকাশের পরে নয়
কোথায় সে থামবে ?
এইসব জিজ্ঞাসান্তে বুঝি শৈশব শেষ হয় ?
থামেনি ,আসেনি ,পাইনি
হারিয়েছি।
ছাদের ঘরে রাত কাটানো রাত দেখা
অজস্র তারা যেন কতদূর
প্রশান্তি সমীরণ বুঝিবা তারা আনে
তারপর কতদুর চিল
কতদুর তারা
কত সহজেই কিছু দিন চলে যাওয়া
কত সহজেই ভালবেসে ফেলা
কত সহজেই ভুলে যাওয়া
আবিষ্কারের আল্পনা
যাই হোক ! সেসব তো আর তেমন কিছু না ।
আরও দূর থেকে দূর ,চিল কিংবা সবুজ কোন সরলতা
রাত্রের মায়াপুরী থেকে,দিবসের বেশী স্বচ্ছতা
যেদিন চিরতরে আড়ি নিয়েছে
একটি দূর্বা বা চিলের সাথে বন্ধুত্ব চুকে গেছে
সেদিন থেকেই অনেক জানালায়
ওদের দেখেছি ,দেখছি
সব টেবিল ভেসে আসে জানালার এপাশে
কখনও বুঝিবা দরজার কাছে যেতে নেই
কে জানে দরজা জগতেই নেই
খুঁজিনি।
যেমন কাঁচ স্পর্শ করা যায় না
যেমন সময় শুধু সময় হয়ে যায় ।।
কিছু সন্ধ্যা রুপকথা একা একা
কিছু চিল হলদে আলোয় একা একা
জানালার ওপাশে এসে বলে ,
এ যে গোপন এতই যতটুকু বোঝা যায়
সবটুকু মনে হয় বুঝেছি জেনেছি
তবু বারবার দেখা দরকার
পলকের পূর্বের রহস্য তার ।।
সব এসে যদি জমে
বন্ধ ঘরের কোণে
পুরাতন আসবাবে ,ওধারে রহস্য সন্ধান
স্মৃতি সব নাই ,কুয়াশা জীবন
দেখতে পেয়েছি এখন ,গোপন তখন।।
০৬।০৪।২০১৪
শিবগঞ্জ
©somewhere in net ltd.