![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফিরে দেখা---৪০,৪১
(শেষ পর্ব)
৪২
নিয়তি কোন রকমে বিছানা থেকে উঠে রাতের খাবার খেল। দিবাকরই অনভ্যস্থ হাতে বেড়ে দিল। ছেলেদের নিয়ে বসে একসঙ্গে তারা খেল। খাওয়া দাওয়ার পর দিবাকর বাইরে বারান্দায় এসে রেডিওটা খুলে কানে চেপে ধরে বসলো। বিড়ি খেতে খেতে সে রেডিও শুনে চলেছে । একটু পরেই রাত-পাহারার জন্য বের হওয়ার কথা। কিন্তু আজ মনে হয় যাওয়া হবে না। নিয়তির শরীর—কখন কী হয় বলা যায় না। সাবিত্রীর মা আজ রাতটা এখানে থেকে গেলেই পারতো।
এরমধ্যেই হঠাৎ উঠোনে কাউকে দৌড়ে আসতে দেখে দিবাকর রেডিওটা কান থেকে সরাতেই বেশ কিছু গুলির আওয়াজ শুনতে পেল।–তার মধ্যেই মনে হলো করিমের গলা--দুলাভাই শিগগির ঘরে যান—গুলি করতাছে--। দিবাকর ঝট করে ঘরে ঢুকতে গিয়ে চৌকাঠে পা ঠেকে পড়ে গেল। চমকে উঠলো ঘরের সবাই। নিয়তি বিছনায় উঠে বসে পড়েছে। সে কাঁপছে। চাপা গলায় বলছে—এই তুমি এই কয়ডারে লইয়া পালাও—শিগগির পালাও—হায় ভগবান— । কোনমতে দিবাকর মাটি থেকে উঠে শুধু বললো--চুপ চুপ—রাও কইরোনা—শুইয়া পড়—গুলি চলতাছে। বাচ্চাগুলো একটা জিনিস বুঝে যে এইসময় কান্নাকাটি করা যাবে না। দিবাকর তিনটাকেই তক্তপোশের নিচে চালান করে দিল। শুনতে পারছে তাদের উঠোন দিয়ে ছোটাছুটি,পায়ের শব্দ। কিন্তু কোন কথা নেই, চীৎকার নেই। মাঝে মাঝে শুধু কান ফাটানো শব্দ—গুলি না বোমা কে জানে। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই আর খুব কাছে মনে হচ্ছে না। দূরে সরে যাচ্ছে মনে হলো। এরমধ্যেই আবার শোনা গেল করিমের গলা খুব আস্তে—অ দুলাভাই পানি আছে--এট্টু পানি লাগবো—দরজাটা খোলেন—ভয় নাই--। দরজা খোলা উচিত কি উচিত না—এসব না ভেবে দিবাকর আচ্ছন্নের মত দরজাটা খুলে দিল। দেখলো তাদের বারান্দায় অন্তত বেশ ক’জন যুবক। অন্ধকারে বোঝা না গেলেও মনে হলো সবারই হাতে অস্ত্র। তারমধ্যে একজন বারান্দায় শুয়ে আছে---অন্ধকারে ভাল করে দেখতেও পারছে না দিবাকর—হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে একজন বলে উঠলো---কিছুটা কাপড় হবে—পরিস্কার কাপড় –।দিবাকর বুঝে গেল কারোর চোট লেগেছে।সে ঘরে ঢুকে আস্তে আস্তে নিয়তিকে বললো পুরনো কাপড় লাগবে—বাইরে একজনের মনে হয় চোট লাগছে। নিয়তি তখনও কাঁপছে—তবু বলে দিল তার পায়ের দিকের পুরনো ট্রাঙ্কটা খুলে নিয়ে নিতে ।
দিবাকর খুব তাড়াতাড়ি একটা পুরনো কাপড়ের অনেকটা অংশ ছিঁড়ে নিয়ে বাইরে এনে একজনের হাতে দিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই শায়িত যুবকটির পায়ে কাপড়টা জড়িয়ে তাকে দুজন মিলে কাঁধে তুলে নিয়ে প্রায় দৌড়ে বেরিয়ে গেল। কথাবার্তায় বোঝা গেল যোগেশ ডাক্তারের বাড়ি যাচ্ছে। যারা রয়ে গেল তাদের একজন দিবাকর আর করিমের উদ্দেশ্যে বললো ভয় পাবেন না—আমরা আছি এখানে। এরমধ্যেই করিম তাদের ঘর থেকে আরো জল নিয়ে এলো—সবাই ঢক ঢক করে জল খেয়ে এদিক ওদিক অন্ধকারে ছড়িয়ে গেল। তাদের বারান্দায় খালি দু’জন বসে থাকলো। দিবাকর তাদের বিড়ি দিতে চাইলো। বললো,--দিলে ঘরের ভিতর থাইক্যা ধরাইয়া আনেন । এইখানে আগুন জ্বালবেন না। দিবাকর তাই করলো। করিমও বসে আছে। তাকেও একটা জ্বলন্ত বিড়ি দিল।
কথাবার্তায় ইতিমধ্যে যুবকরা জেনে গেছে এদিকে এই একটাই হিন্দু বাড়ি। দিবাকরকে একজন জিজ্ঞেস করলো—আফনে ওইপারে গেলাইন্যাযে—সবাই যহন গেছে গিয়া---। দিবাকর কী বলবে যখন ভাবছে তখনই নিয়তি দরজা ঠেলে আস্তে আস্তে বাইরে বারান্দায় পা দিল। আবছা অন্ধকারে কেউ কাউকে পরিষ্কার না দেখলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে যে নিয়তির ভরা মাস। দিবাকর চট করে উঠে কাছে আসতেই নিয়তি বললো –বাইরে যাওন যাইব--? নিয়তির এক হাতে জলের ঘটি। দিবাকর তার হাত ধরে ধরে ঘরের পেছনের দিকে নিয়ে গেল। তারা ফিরে আসতেই দেখে বসা দুজন যুবক উঠে দাঁড়িয়েছে। একজন বলছে –আমরা না জেনে আপনাদের অসুবিধা করলাম বোধহয়। উত্তরে দিবাকর—না না অসুবিধা কিয়ের—আফনেরা থাহনেত সাহস পাইলাম--। না অইলেত ভয়েই শেষ অইয়া যাইতাম।যুবকদের একজন বললো–ঠিক আছে আফনে বরং ঘরে থাহেন—আমরা এদিক ওদিক আছি—দরকার লাগলে ডাকবেন।
এই ঘটনার পর ঘুমের আর সুযোগ নেই। সারা গ্রামই জাগছে। বাড়ির উঠোনে লোক যাওয়া আসারও বিরাম নেই। ধীরে ধীরে লোকজনের কথা বার্তাও শোনা যাচ্ছে। রাত-পাহারার দল গ্রামের এ মাথা ও মাথা করে যাচ্ছে। জানা গেল সন্ধ্যে বেলাতেই আজ মোহনগঞ্জের শান্তিবাহিনীর একটি দল দক্ষিণ বরাবর আভিযানে বেরিয়েছিল। তাদের কাছে খবর ছিল যে এই অঞ্চলের মুক্তিবাহিনির দলটি আমিত্তিপুর শ্রীমন্তপুরের কোথাও আছে। সম্প্রতি তারা নেত্রকোণার মিলিটারি ক্যাম্প থেকে প্রচুর গোলাবারুদ পেয়েছে। নির্দেশ পেয়ে মিলিটারিরা এখন ময়মনসিং হয়ে ঢাকার পথে পাড়ি দিচ্ছে। বোঝা হাল্কা করার কারণে তারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র গোলা বারুদ বিতরণ করেছে । স্থানীয় লোক জন নিয়ে গড়া শান্তিবাহিনি এসব পেয়েই উল্লাসে আশেপাশের অঞ্চলে বেশ কিছু হত্যাকান্ড চালিয়েছে। আজ এখানে একটা ধাক্কা খেয়ে পরিষ্কার হয়ে গেল যে ওরা চলে গেলেও আবার আসতে পারে। ওদের ফিরে যাওয়ার পথে বাঁধা দেয়া হবে না। বরং যেতে দিয়ে আগামী কাল সকাল থেকে ওদেরকে মোহনগঞ্জেই অবরুদ্ধ করা হবে। এ বাবদ একটা সংক্ষিপ্ত মিটিং দিবাকরদের বারান্দাতেই হয়ে গেল। ঘরে বসে দিবাকর আন্দাজ করে নিল। কিন্তু লতিফ ছিল কিনা বোঝা গেল না।
শেষ পর্যন্ত আর একটা সকাল ঠিকই হলো। দিবাকরও অনুভব করলো যে তারা বেঁচে আছে। মুখ না ধুয়েই সে ঘরে বসে বসে একবার রেডিও খুলে কানে চেপে খবর শুনতে গিয়ে অবাক হয়ে গেল যে বিশেষ বুলেটিন চলছে। বলা হচ্ছে যে অবরুদ্ধ ঢাকার পতন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ আজ। উৎসাহের চোটে সে বাইরে বেরিয়ে খবরটা দিতে গিয়ে দেখলো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। রেডিও নিয়ে সে উঠানে নেমে এলো—কোথায় কি---কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। গলা চড়িয়ে ডাকলো –অ করিম, করিম ঘরে আছো নাহি। ঘোমটা দেয়া করিমের স্ত্রী বারান্দায় এসে বললো—জ্বী না , হ্যায় ত বাড়িত নাই। দিবাকর বাইরের রাস্তায় গিয়ে দেখে সেখানেও লোক বেশি নাই। একজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো যে সবাই নাকি বিক্রমপুরের দিকে গেছে। ঐখানে নাকি কয়টা লাশ পড়ে আছে। সন্দেহ করা হচ্ছে গত রাতের লড়াইয়ের ফল। সবাই আন্দাজ করছে এইসব রাজাকা্রের লাশ না হইয়া পারেনা। হালার পুতেরা লাশ ফালাইয়া পলাইছে। দিবাকর মনে মনে ভাবছে ঢাকার পতন যেখানে আসন্ন সেখানে রাজাকারের লোকজন কার ভরসায় লড়াই করল কাল—দিবাকর বুঝতে পারছে না।–হেরায় কি খবর রাহেনা? ঘাট থেকে মুখ ধুয়ে এক বালতি জল নিয়ে এসে দিবাকর বারান্দায় শুকিয়ে যাওয়া গত রাতের রক্তের দাগ ধুয়ে পরিষ্কার করতে লাগলো। কেউ ওঠেনি এখনও । ফলে কারোর চোখে পড়েনি।
৪৩
গ্রাম শুনশান। সকালে পাওয়া দারুণ খবরটা আর কাউকে দেয়া হলোনা দিবাকরের । বড় ছেলে শম্ভূকে দিয়ে নিয়তি দিবাকরকে ডেকে আনিয়ে বললো—সাবিত্রীর মায়রে তাড়াতাড়ি ডাইক্যা আন—যাও। বিছানায় শুয়ে নিয়তি ছটফট করতে লাগলো। দিবাকর চলে গেল সাবিত্রীর মাকে ডাকতে। সাবিত্রীর মা খবর পেয়ে দিবাকরকে বলে দিল—বাবা বাড়িত গিয়া মা-এরে আঁতুড় ঘরে শুয়াইয়া দেওগা আর এক গামলা জল চুলার উপর বসাইয়া নিচে আগুন জ্বালাইয়া রাহ গিয়া—আমি এই আইতাছি। বাড়ি ফিরে দিবাকর দেখে করিমের বউ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।নিয়তি আঁতুড় ঘরেই শুয়ে আছে আর গোঙাচ্ছে। চারদিকের শুনশান সকাল নিয়তির আর্ত-স্বরে যেন নিজেও আজ কাঁদছে। দিবাকর কী করবে বুঝতে না পেরে আবার সাবিত্রীর মায়ের বাড়ির দিকে যাবে বলে ঘুরতেই দেখে সাবিত্রীর মা আসছে। তার কোন উত্তেজনা নেই। ঘর থেকে একগাদা পুরনো কাপড়চোপড় নিয়ে সে আঁতুড়ে প্রবেশ করতে করতে দিবাকরকে বললো –বাবা জল বসাও নাই—বসাও গিয়া—যাও এইহানে খারোইয়া থাইক্য না। বারান্দায় করিমের বউকে দেখে তাকেও সাবিত্রীর মা বললো—যাওতো বউ দেহত জল গরমডা---।
করিমের বউকে রান্নাঘরের সামনে পেয়ে দিবাকর হাতে স্বর্গ পেল।---ও ভাবী দেহুইন জল কিবায় গরম অইবো।--এই বলে দিবাকর রান্নাঘর ছেড়ে দিয়ে বাইরে এসে পায়চারী করতে লাগলো। রেডিওর কাছে যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু যেতে পারছে না। বাড়ির বাইরে রাস্তায় যেতে মন চাইছে, কিন্তু যেতে পারছে না। অবিন্যস্ত পায়ে সে উঠোনের এদিক ওদিক করতে লাগলো। এইসময় কোথা থেকে করিম এসে দাঁড়ালো তাদের উঠোনে । দিবাকর তার দিকে তাকিয়ে বলে—কারে খুজ? করিম বলে—হুনলাম হ্যায় আফনেরার দিকে আইছে। দিবাকর বললো—যাও রান্দাঘরে দেহ গিয়া। করিম তাদের রান্না ঘরে ঢুকে গেল। দিবাকরের ছেলেরা ঘুম থেকে ওঠার পর করিমের বউ তাদের নিজের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।
কিছুক্ষণ পর করিম রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এসে দিবাকরকে বললো—আফনে খারোইয়া আছুইন ক্যান—চাউল বাইর কইরা ধুইয়া দ্যান গা –ভাত বসাইয়া দিবনে হ্যায়—পুলাফানগুলা খাইবো কি এট্টু পরে--? দিবাকর চাল খুঁজতে ঘরে ঢুকলো। কিন্তু চাল খঁজার বদলে সে চমকে উঠলো। একটা রিণ রিণে শিশুকন্ঠের কান্না যেন তার কানে ঢুকতে লাগলো। শোনা গেল কান্নাটা বারান্দার আঁতুড় ঘর থেকেই আসছে আর ক্রমে উচ্চগ্রামের দিকে উঠতে চাইছে। শোনা গেল শুধু না—কান্নাটা ক্রমে শুনশান ঘরবাড়ির উপর উঠে গিয়ে তাদের আম- জাম-সুপারি ও সবচে উঁচু নারকেলগাছটির মাথা ছুঁয়ে দশদিকেই ছড়িয়ে পড়তে চাইছে। দিবাকর থমকে গেল। ধীরে ধীরে সে উঠোনে নেমে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই কান্নার বৃষ্টিতে স্নান করতে লাগলো। একসময় পায়ে পায়ে এসে আঁতুড় ঘরের সামনে গিয়ে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। এই সময় উলু দিতে হয়। কে দেবে--কেউ নেই উলু দেয়ার। আঁতুড় ঘরের পর্দা সরিয়ে সাবিত্রীর মা মুখ বাড়িয়ে দিবাকরকে দেখে হাসি মুখে বললো—সোন্দর একখান মাইয়া অইছেগো বাপ, ঘরে লক্ষ্মী আইছে—অ করিমের বউ, মা’রে গরম জলডা লইয়া আয় দেহি এইবর। রান্নাঘরের আড়াল থেকে করিমের বউ সবই শুনতেছিল। সঙ্গে সঙ্গেই সে গামলা ভর্তি গরম জল নিয়ে গিয়ে আঁতুড়ের সামনে রাখলো। দিবাকর কতক্ষণ সবকিছু ভুলে ছিল খেয়াল নেই। খেয়াল হইলো করিমের বউয়ের ডাকে—দুলাভাই, আফনে অহন কুদাল লইয়া একটা গর্ত খুঁড়েনগা ঘরের ফিছনে । দিবাকর চমক ভাঙ্গতেই মাথা নিচু করে কোদাল খুঁজতে চলে গেল।
কিছুক্ষণ পর দিবাকর মাইয়ার মুখ দেখে বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ালো। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার অনুভূতি তার। একটা বিড়ি খাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে সে পুকুর পারের দিকে হাঁটতে লাগলো। বেশি সময় একা একা তার বিড়ি খাওয়া হলো না। চোখে পড়লো করিম ছুটতে ছুটতে তার দিকে আসছে দেখে সে ভয়ে উঠে দাঁডিয়ে পড়লো। কিন্তু করিমের মুখে চওড়া হাসি।---দুলাভাই হুনছুইন যুদ্ধ নাহি থাইম্যা গেছে---পাকিস্তান হাইরা গ্যাছে। পুকুর পাড় আর তাদের বাড়ির মধ্যে দিয়ে গেছে সরকারী রাস্তা। ধীরে ধীরে সে রাস্তা দিয়ে দেখা গেল দলে দলে লোক যাচ্ছে। আমিত্তিপুরের লোকজনইতো মনে হয়—যায় কোথায় !
শোনা গেল তারা সবাই মোহনগঞ্জের দিকে হাঁটা দিয়েছে—ওইখানে নাহি বাংলাদেশের নিশান উড়াইছে। দুলাভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে করিমও সেই দিকে ছুট লাগাইলো। যেতে যেতে বলে গেল--আমরার পোলাফাইনগুলা বাড়িত আছে—দেহুইনযে---। মানুষজন চলে যাওয়ার পর শ্রীমন্তপুর যেন আরো নিস্তব্ধ হয়ে পড়লো। আরো একটা বিড়ি খেয়ে দিবাকর বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। বুঝতে পারলোনা কী কারণ, শুধু টের পেল তার চোখ আজ কেমন ভেজা ভেজা।
(শেষ)
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
রাজা সরকার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আবেগে বুকটা থরথর করে কাঁপল ।