![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট একটা ফার্মে কাজ করছি । সৌখিন লেখক । ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি । পকেটে পয়সা থাকলে এদিক ঘুরে খরচ করে ফেলি । সুনীলের লেখার ভক্ত, শামসুর রাহমানের কবিতা পড়ি। বিদেশী লেখকের মধ্যে ড্যানিয়েল স্টীলের লেখা ভাল লাগে । সবচেয়ে ঘৃণা করি স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিকে । একাত্তর আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। ইমেইল: [email protected]
আব্বা ছিল ভীষণ কড়া। আমাদের বাসায় কার্টুন দেখাও মানা। সহপাঠীরা কত মজা করে সব টিভি দেখছে! সন্ধ্যার পর এক ঘন্টা সাদাকালো টিভি দেখতে অনুমতি দেয়া হতো। আব্বার মতে এসব দিয়ে দিয়ে সে যুগের ছেলে মেয়ে মানুষ হচ্ছিল না। আমি সৌখিন ছিলাম। জেদী ছিলাম। বাড়িতে ফার্নিচার বলতে ছিল খাট পালঙ্ক আর বেতের শেলফ। একটা কেরোসিন কাঠের ডেস্ক ছিল আমার। ওটার কথা এখনো খুব মনে পড়ে। ঢাকনা খুলে তার ভিতর প্রিয় জিনিস রেখে দিতাম। অনেক বড় হয়েও আমার কিছু খেলনা ছিল, ফেলি নি।
আমি তো ছোট ছিলাম। পড়তে পড়তে প্রায়ই ডেস্কে ঘুমিয়ে যেতাম। আব্বা খুব রাগী মানুষ ছিলেন। যদি পাশের রুম থেকে শব্দ পেতেন না, বুঝতেন আমি ঘুমাচ্ছি। তিনি এসে ডেকে তুলে কলের পানিতে চোখ ধুয়ে ফের পড়তে বসতেন। আমার খুব কষ্ট হতো মনে হতো কেন আমার আব্বা এত দয়াহীন, অত্যাচারী। আমার অভিমানে ঠোঁট ফুলে যেত, আমি কাঁদতাম। দোয়া করতাম আল্লাহ আমাকে একটা বেটার আব্বু দাও যে টিভি দেখতে দেয়, বেড়াতে নিয়ে যায়, যা চাই তা কিনে দেয়। কিন্তু এমন তো আর হয় না। পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে আরো বকাঝকা শুনতে হবে এই ভয়ে জোর করে পড়তাম।
আমি এমন করে একদিন ঘুমিয়েছি। স্বপ্ন দেখছি একটা পরী এসেছে। বলছে তার নাম নারগিস। আমাদের স্কুলে বাংলা যে পড়াতেন সেই টিচারের নাম ছিল, নাম নার্গিস সুলতানা। তিনি ছিলেন আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে। পরীর মত গোলাপী রং, আবার চোখ নাক পুতুলের মত। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন। আমি দেখছিলাম সেই মিস আমাদের সব স্টুডেন্টদের নিয়ে যাবেন পরীর দেশে। আমার মন খারাপ আমি বলছি, আব্বু তো যেতে দেবে না। সন্ধ্যা পর বাড়ি না ফিরলে আব্বু মারে। শুনে মিস কিছু না বলে সব স্টুডেন্টদের নিয়ে উড়ে গেলেন।
আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল স্বপ্নের ভিতর। আমি জানি না আসলেই স্বপ্নেও কেউ কষ্ট পায় কিনা।
এমন সময় টের পেলাম একটা নরম হাত আমার পিঠে। আব্বা ঘুম থেকে তুলছেন আমাকে। হাতে এক গ্লাস হরলিক্স। বলছেন, ওঠ, নিরো, তোর মার শরীর খারাপ। এটা খেয়ে তারপর হাত মুখে ধুয়ে আবার পড়।
ঘুম ঘুম চোখে কোন ভয় না নিয়ে আব্বার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এত নরম করে আদর আব্বার কাছে আমি কখনো পাইনি। কেন তিনি এটা লুকিয়ে রাখেন নিজেকে?
তিনি একটু বড় হলে আমাকে বলেছিলেন, নিরো, জীবনটা কঠিন, আজকের পড়াশোনা একদিন তোর সারাজীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে। আমি নিজের জীবনে দেখেছি, বাবার মৃত্যুর পর কত কষ্ট করে চলেছে জীবন। পড়াশোনার বিকল্প নাই - একথা তোকে বলে যাই।
২
একটু বড় হলে, আমরা যে বাসায় ভাড়া থাকতাম তার নিচতলায় সিঁড়ির পাশে একটা কাছের ডাকবাক্স ছিল। বিকেল তিনটায় টুপি পরা পিয়ন এসে ব্যাগ থেকে চিঠি তুলে সেখানে রাখতো। বাক্সটাকে একটা ফাঁদ মনে হতো। হাত দিয়ে চাপ দিলে ডাকবাক্স খুলে যায়। যেমন করে মাছ ফাঁদে ঢুকে যায়। গ্রামের সরু নালার মুখে বাঁশের মাছ-ফাঁদ যেমন। একবার ঢুকে গেলো তো মাছ বন্দি। ডাকপিয়ন চিঠিগুলো ছেড়ে দেবার পর চিঠিগুলো বোতলে দৈত্যের মত আটকে পড়তো। আমি ভাবতাম পিয়নের কি সাধ্য আছে সেটা তুলে নেয়? না নেই । সন্ধ্যে বেলা আব্বু তার গোপন চাবি দিয়ে ডাকবাক্স খুলে চিঠি নিয়ে ঘরে ফিরতো। আব্বার অধিকাংশ চিঠি ছিল জরুরী।
আমি কি বলেছি যে যখন ক্লাস টু তে উঠলাম, রেজাল্ট ভাল হয়েছে বলে খা-মণি আমাকে আর হীরাকে দুটো একইরকম স্ট্যাম্পবুক কিনে দিয়েছিল। সত্যি বলতে কি আমার ওটা পছন্দ হয় নি। রিমোটকন্ট্রোল গাড়ির সখ ছিল। কিন্তু খালা ওটাই দিলেন। আমি বলেছিলাম, খা-মনি, ওটা দিয়ে করবো?
তুই ডাকটিকেট জমাবি, তিনি হেসে বলেছিল। যে কোন সখই ধৈর্য নিয়ে শিখতে হয়। শিখলে আর তাকে ছাড়তে পারবি না। প্রতিবেশি বন্ধু সহ সবাইকে বলে রাখবি কেউ বিদেশ থেকে চিঠি পাঠালে সেই স্ট্যাম্প চেয়ে আনবি। এক একটা স্ট্যাম্পে এক একরকম গল্প থাকে। কি গল্প? এতটুকু ছবিতে কি গল্প থাকবে! আমি বুঝিনি। ভিউকার্ড বা স্টিকার তারচেয়ে ভাল। একদিন খা-মণি আমাদের ডেকে বললেন আজকে তোদের দুই জনকে আমার নিজের বহু বছরের জমানো স্ট্যাম্প দেবো। কিন্তু শর্ত নষ্ট করবি না।
খালামণি খুব যত্ন করে স্ট্যাম্প সাজিয়ে দিলেন। এত সুন্দর সুব টিকেট। ওখান থেকে দেশের নাম শিখলাম। একটা দেশের স্ট্যাম্পে রাণীর মাথা ছিল, শুনলাম ইংল্যান্ডের স্ট্যাম্প। একটার নাম Magyar posta, অন্যটা Helvetia, একটা Posta Romana এগুলো সব দেশের সাংকেতিক নাম। আমাকে সব সাজিয়ে কপালে চুমু দিয়েছিল। খা-মনির মত এত আদর আমাদের আর কেউ করে নি।
আমাদের ঘনিষ্ট কোন আত্মীয় বিদেশ থাকতো না। উপরতলায় থাকতো। তবে কখন চিঠি এসেছে এটা জানা থাকতো বলে, স্ট্যাম্প নিয়ে কাড়া কাড়ি চলতো। হীরা হিংসুটে খুব। তার জন্য কোনদিন টিকেট রক্ষা করাতে পারতাম না।
যেদিন মেরী আন্টিকে চিঠি পাঠালো তার মামা হাঙ্গেরী থেকে। ত্রিভূজ আকৃতির স্ট্যাম্প দেখে আমি পিছন পিছন গিয়ে নিয়ে এলাম। কিছুক্ষণ পর হীরা বললো সে আগেই বলে রেখেছিল। দুজনের খুব ঝগড়া হলো। আমি মার খেয়ে হীরার চুল ধরে টেনে মেঝেতে ফেলে দিয়েছি। ওকে মেরে ফেললেই খুশি হতাশ। আম্মা দেখে ফেললো। আমার পিঠে মারের দাগ বসে গিয়েছিল। আমি জানতাম ছোটদের কথা বাসায় কখনো শোনে না। হীরা আমাকে অনেক ব্যাথা দিলেও তাকে কিছুই বলেনি আম্মা। আমি হীরা সাথে সেদিন কাট্টি নিয়েছি। প্রমিজ করেছিলাম ওর মত হিংসুটের সঙ্গে জীবনে কথা বলবো না ।
আম্মাকেও আমার অপছন্দ। অনেকবার শাস্তি পেলাম। আমাকেই তিনি বলতেন স্বার্থপর। বলেছে দুজন ভাগ করে নিলেই হয়। কিন্তু সব ত্যাগ আমাকেই করতে হবে।
আমার এই স্বার্থপর হিংসুটে বোনটি আজকে বিলাত থাকে। আম্মা কাঁদছিল। আমি বুঝতে পারি নি বহু বছরের জন্য কেউ বাইরে চলে যায়। আমি কখনোই আর হীরার সঙ্গে ঝগড়া করতে পারবো না। তার বাড়ির একটা পোষা পাখি যাবার সময় আমাকে দিয়ে গেল। এয়ারপোর্টে সি অফ করে, ফিরে আসছিলাম। আমার খুব কান্না পাচ্ছিল যে প্লেনটা ওকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি কার সঙ্গে রাগ করবো? ঝগড়া করবো? অভিমান করবো?
তার দুসপ্তাহ পর আমি স্কুল থেকে ফিরে আসছি। সিঁড়ির কাছে ডাকপিয়ন এসে আমাকে ডাকলো। একটা এয়ারমেইল খাম। উপরে লেখা
প্রতি নিরো, প্রযত্নে.... ওটা ছিল আমার প্রথম বিদেশী চিঠি। হীরা আমাকে চিঠি দিয়েছে বহু মাইল দূর থেকে। ও লিখেছে ও আমাকে মনে করে।কতবার আমি চিঠি পড়েছি ... উপরে রাণীর মাথা ওয়ালা সুন্দর সব স্ট্যাম্প। আর একটা ঘটনা, সেদিনই প্রথম হীরা আমাকে নিজ থেকে স্ট্যাম্প দিয়েছিল।
৩
আমি যখন কলেজ পাশ করলাম, একটা ডায়েরীতে এই লেখাটা লিখেছিলাম। আজ পড়তে পড়তে উদাস হয়ে গেছি।
..........আমি খুব অচেনা হয়ে পৃথিবীতে এলাম। আমি নাকি লুকিয়ে ছিলাম মায়ের পেটে। সেই ঘরে আমাকে খেতে দিলেন আমার মা। আমার কোন শরীর ছিল না, শরীর হলো - এতটুকু মাথা, এতটুকু হাত, পা। আমার কি নাম? আমার নামই নেই। খা-মনি এসে নাম দিল নিরো। আমি নিরো হলাম সেদিন থেকে। এমন না আমি শুধুই নিরো! যে নাম আমাকে দেয়া হতো আমি সেই নামই পেতাম। আমি কেন আমাকে দেখি না। আব্বার মুখে দেখে মনে হল আব্বাকে দেখি, ক্লাসমেট রবিন দেখি, মুস্তাফিজ, খালেদের মুখ দেখি, মামা খালু দেখি, আন্টি ও দেখি শুধু আমার চেহারা কেমন তা দেখি ন। কারণ আমার চেহারা শুধু দেখতে পাই আয়নায়। আয়না যদি ভুল হয় আমি ভুলই দেখি। আমি আমার চেহারা দেখি ক্যামেরা ছবিতে। কিন্তু সেই ছবিও ঘুরে আসে লেন্সের ভিতর। কত বদলে যায় কত রঙ পাল্টায় আমাকে আমি আজও দেখি নি।
আমি জানি না আমি কোথা থেকে এলাম আর কোথায় যাবো। আমার সৃষ্টিকর্তা কি ধাঁধাঁয় রেখে গেছে, যেহেতু আমি মুসলিম ঘরে জন্ম নিয়েছি আমি বিশ্বাস করি আল্লাহকে। যদি আজকে জন্ম নিতাম এস্কিমোদের দেশে, অথবা আফ্রিকার পিগমীদের দেশে, যেখানে মানুষের ধর্ম আলাদা, কাঁচা মাংস খায়, পোশাক পরে না - আমি সেই ধর্মের সেই সমাজের মানুষ হতাম। বিলাতে সব শিশুরা ইংরেজি শেখে, জেদ্দায় সব শিশু আরবী শেখে, জার্মানীতে জার্মান। আজ আমার যদি সেসব দেশে জন্ম হতো আমিও ওদের মতই বিদেশী হতাম। বাংলায় স্বপ্ন দেখতাম না। বাংলাকে আমি চিনতামই না।
.........আমি এখনো খুব অচেনা। নিজেকে চিনতে পারি না। কখনো নিজেকে মন হয় একরকম। আবার পরিস্থিতি পাল্টালে আমি অবাক হই আমি কত বদলে গেছি। কত আলাদা হয়ে গেছি। আর এভাবেই জীবনে নিজেকে নিয়ে জানতে ইচ্ছে হয়। কাউকে জিজ্ঞেস করলে সেও কিছু জানে না মনে হয়..........
৪
একটা এলবাম পেয়েছি। সেখানে সবার ছবি। ঈদের সময় আমার এক আত্মীয় ক্যামেরা নিয়ে এলেন। আমরা তো সাজগোজ করেছিলাম কী যে উৎসাহ সবার। ছবিতে আম্মাকে ইয়াং দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার কোন এক ক্লাসমেট। আব্বার মুখের গোঁফ কালো, অনেক চুল মাথায়। তখনো চশমা পরতেন না। কফি হাউজের আড্ডা গানের কথা মনে হয়। আমরা কখনোই সেই দিন গুলো পাবো না।
ঝর ঝর করে বৃষ্টি পড়ছে। আব্বা ফিরছেন না। আম্মা ঝড়ো বাতাস বইছে আর জোরে জোরে দোয়া পড়ছেন। তারপর আব্বা ফিরলেন কাক ভেজা হয়ে সাথে কালো বড় একটা ছাতা। আমরা ভাইবোন হাসের ছানার মত দৌড়ে গেলাম - আব্বা আব্বা বলে। এরকম ছবি সবারই আছে। প্রত্যেকেই দেখবে ছবির মানুষগুলো মুছে গেছে বাস্তব থেকে। আমার নিজের দিকেই তাকাই। কত বদলে গেছি! ছোট ছোট হাত পা অলা একটা শিশুকে আম্মা কোলে নিয়ে বসে আছে। তারপর যখন ছয় বছর স্টুডিওতে ছবি তুলতে গেলাম। আমার কি কান্না আমি বিড়ালটাকেও সাথে নেব। বিড়ালটার কথা বলা হয় নি। ওকে আমরা ছোট বেলা থেকেই পালতাম। কপালে বড় কাল গোল টিপ। আর পেটে। কাঁটা খেতো, দুধ ভাত পেলে তো কথাই নেই। মশারী ছিঁড়ে লেপের ভিতর ঘুমাতো বলে কত মার খেয়েছে। ভাল মন্দ মিলে মানুষ। বিড়ালও। এত গোশভাত দিলেও চুরি করার আগ্রহ ছিল বেজায়। আমরা বাড়ি বদলে এসেছি যখন বিড়ালটাকে আম্মা আনতে দেয় নি। অনেক বছর পর মনে হয় মানুষের জন্য যেমন এত এত স্মৃতি - বিড়ালটার জন্যও। বিড়ালটা পায়ের কাছে ঘুরতো, মিউ মিউ করে।
--
ড্রাফট ২.০ /
৩, ৪ নতুন যুক্ত করা হল।
শৈশবের কাহিনীর মত লেখা - যদিও এসব পুরোটাই বানানো।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ড্রাফটের কমেন্টটা লিখে পরে মনে হয়েছিল আসলে
বানানো কথা বলা ঠিক হয় নি।
আমি যা লিখছি সব আমার শৈশবের ছায়া থেকে পাওয়া। শুধু মানুষগুলোর নাম আর ঠিকানা বদলে গেছে।
ধন্যবাদ
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
নিমচাঁদ বলেছেন: বানানো না সত্যি তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই ,
পোষ্টটি পড়ে নষ্টালজিক হয়ে গেলাম ।
ঘড়ির কাটাকে যদি পেছনে ফেরাতে পারতাম ......।।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ঘড়ির কাঁঁটা পেছনে ফেলা এক দ্বন্দ্ব
আমি বড় হতে চেয়েছি ছোট বেলায়, বড় হওয়ার সুবিধা অনেক। কেউ পড়তে বলে না। কেউ বকে না ( যদিও ছোট মানুষগুলো জানে না বড়রা কেমন পরাধীন)
তবুও বড় হলাম বলেই এত আরাম করে শাসনাধীন কপর্দকহীন অধীনস্ত সময় কে মনে করতে পারলাম।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২২
নানাভাই বলেছেন: ঘড়ির কাটাকে যদি পেছনে ফেরাতে পারতাম .....
আহা আবার যদি পেছনে ফিরে যেতে পারতাম!
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ঘড়ি ঘুরতে টাইম নেয়। আমার এত ধৈর্য কোথায়। ক্যালেন্ডারের পাতা পিছন দিকে নিতে চাই। ঘুরতে ঘুরতে আমি নাই - সেই সময়টা চাই।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
পড়শী বলেছেন: ++++ আপনার লেখার স্টাইল ভালো লাগল।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ পড়শী
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
নিমচাদ ভাই'র মন্তব্য টা আমার
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: নিমচাঁদা ভাইকে আর আপনাকে যৌথভাবে থ্যাংকস দিলাম
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০০
হাসান মাহবুব বলেছেন: সত্যি ভেবেছিলাম। গল্পটার মধ্যে অনেকেই নিজের শৈশবের কিছু স্মৃতি খুঁজে পাবে। আমার মনে পড়ল স্ট্যাম্প জমানোর কথা।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: স্ট্যাম্প জমানোটা অনেকে আজীবন বয়ে বেড়ায়। এতো ঐতিহ্যবাহী একটা সখ। এখন তো জরুরী কাজ ছাড়া আর চিঠি লেখে না। স্ট্যাম্প সংগ্রহের সখও বিলুপ্ত প্রায়।
৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: গল্পটা দারুন, বানানো বলে ভাবিনি শুরুতে।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: আসলে পরে মনে হয়েছে অনেক ঘটনাই স্মৃতি থেকে তুলে আনা। হুবুহু না...এই যা।
৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
++++++++++++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখোয়াড়
৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: আমর সব গুলা ডাকটিকেট চুরি করছিল আমার এক চোরা দোস্ত
অবশ্য, বেশির ভাগই চোরাই মাল আছিল
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
স্ট্যাম্প চুরি করে কেউ ধরে রাখতে পারে না। সেই দোস্তও এই মাল েবশি দিন ধরে রাখতে পারে নাই নিশ্চিত থাকেন।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
নেক্সাস বলেছেন: হায়রে ষ্ট্যাম্প। নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। ষ্টতাম্পের জন্য ডাকপিওনকে যে কত কাকা মামা ডেকেছি তার হিসাব নাই
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১০
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: নেক্সাস..কি কপাল
ডাকপিওনের আর আত্মীয় থাকা হলো না।
১১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লাগলো পড়ে ||
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১০
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ই. ক. মুন
১২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
সোমহেপি বলেছেন: যা লিখেছেন তা তো বানানোই।সত্যি কি আর লেখা যায়।
সত্যি লিখলে সামুতে দৌড়ানি খাইয়া পালাইতে হইব।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
বানানো না, টত্যি । সত্যির কাজিন।
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৮
মুনসী১৬১২ বলেছেন: নষ্টালজিক
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১১
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: নস্টালজিক শব্দটাই সুন্দর।
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
সকাল রয় বলেছেন:
মনে পড়ে মনে পড়ে শৈশব
সেই প্রথম লজ্জা পাবার দিন
সেই প্রথম ঋণী হবার দিন
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
মনে পড়ে মনে পড়ে শৈশব
সেই প্রথম লজ্জা পাবার দিন
সেই প্রথম ঋণী হবার দিন
আহা!
১৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৭
ভিয়েনাস বলেছেন: পড়তে পড়তে মনে হলো সত্য ঘটনা। যদিও শৈশবের এমন স্মৃতিময় ঘটনা অনেকের জীবনেই ঘটেছে
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
ইনোসেন্ট দিনগুলোতে সবাই যেন এক। কত বেশি মিল, ভিয়েনাস
১৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখার গুনে নষ্টালজিক হয়ে গেলাম।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: প্লিজ যান ফিরে ছোট বেলায়
-
বাঘ তো ছোটই নিরাপদ,
বড় হলেই বিপদ!
১৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: আব্বা বোধকরি কোন টেলিপ্যাথির মাধ্যমে বুঝে গ্যাছেন তার সন্তানের স্বপ্নে নাচছে কে !!
অসাধারণ লাগলো স্বদেশ হাসনাইন।
যদিও আমার শৈশবের সাথে মিল নাই বললেই চলে, তাও মনে হচ্ছিল এ তো আমারই কাহিনী।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
বাপের টেলিপ্যাথি - গ্রেট সেন্স অফ হিউমার...ফ্রাস্ট্রেটেড।
আমি হাসছি ভেবে..জিজ্ঞেস করার তো উপায় নেই।
১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
আমিভূত বলেছেন: মনেই হোল না বানানো !
আমার মনে হচ্ছে সত্যি ঘটনা , ভালো লাগলো লেখা । শুভ কামনা ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: থ্যাং্কস আমিভুত। ব্লগে স্বাগতম।
১৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ পুরাপুরি সত্যি মনে হয়েছিল
+++
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
আপনাকেও +++ মন্তব্যের জন্য
২০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১১
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: স্বদেশ হাসনাইন , অনেকদিন পরে আপনার পূর্ণ কোন গল্প পড়লাম , সেই আগের মতো ভালোলাগা বিস্ময়।
আমার ছোটবেলাতেও একটা স্ট্যাম্প এলবাম ছিল, কিন্তু বিদেশ থেকে কোন চিঠি আসতো না । একটা সময়ে অনিচ্ছার আদলে ফেলে রাখি, আর একদিন সেটা হারিয়ে যায়। ৩ এ ধর্ম নিয়ে যেই ভাবনাটা আছে ইশকুলে সেইএকইরকম ভাবনা আমারো ছিল । আমার এক বড় ভাই বলেছিলেন - পরিবার আমাদের ধর্মকে ঠিক করে দেয় , বুঝলি ? সেটারই সম্প্রসারিত ভাব আমাকে ভাবাতো ! কো-ইন্সিডেন্স , ভাবনার ভাষাটা এরকম ছিল।
স্মৃতি কিংবা এরকম জমানো ডাকটিকিটগুলো হারিয়ে যায়, আমাদের মৃত্যু নামক অভিজ্ঞতাহীন একটা যাত্রা শুরু হলে।
শুভেচ্ছা স্বদেশ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: কত কিছুই তো বদলালো, মানুষটা ছাড়া। সাদাকালো হয়ে গেল রঙিন। আবার রঙিনকে জোর করে সাদা কালো বানিয়ে আমরা স্মৃতি স্মৃতি ভাব খুজি। নৌকোর বদলে বজ্রা এলো, আবার ঠিকই চাঁদনি রাতে নৌকাভ্রমণের বিলাসী ইচ্ছে রয়েই গেল।
মানুষের ভাবনা বদলেছে, অআ, ব্যস্ততা বদলেছে। আবার ছুটির জন্য আবেদন বাড়ছে, কোন সৈকতে সপরিবারে আলস্য পাবে - এই আশায়। চাহিদার যোগান বাড়ছে বলে বদলে গেছে ঘরের মেঝে, বাড়ির চাল, ছাদের এন্টেনা, বারান্দায় শুকাতে দেয়া পোশাকের ধরণ। আবার বাউল হয়ে এক বস্ত্রে একতারার গান শুনবে - সে ইচ্ছাও কমেনি। টেকনোলজি ধুপ ধাপ করে বদলে দিচ্ছে শহরের রঙ, বদলে দিচ্ছে আফুটপাথআকাশ।
বলেছি বাতিঅলার কথা? প্রতিদিন পুরনো ঢাকায় কবির বাড়ির সামনে ল্যাম্প পোস্টে মই দিয়ে উঠে বাতি জ্বালতো। তারপর বিজলী বাতি আসার আগের দিন শেষবার সেই পৌঢ় মানুষটি নেমে এলো। কেমন একটা বিষন্ন দিন। টেলিগ্রামের শবাধারের পিছন পিছন বেরিয়ে এলো টরেটক্কা কর্মচারী। সেই ফিলাটেলির অফিসটা কত দিন থাকবে? যতদিন শেষ লোকটি চিঠি ছেড়ে দিয়ে আসবে লুপ্তপ্রায় ডাকবাক্সে।
২১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৭
শায়মা বলেছেন: এইসব বানানো!
কেউ ধরতেই পারবেনা না বলে দিলে!
২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: বানানো বুঝে ফেলে গল্পটা ধরে ফেলুক খপ করে। সেই সময়ে পালিয়ে বেড়ানো ছেলেটাকে যেন না ধরে আনে।
২২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
একজনা বলেছেন: হাহাহাহা বানানো নাকি?! শৈশব স্মৃতিচারণ ভালো লাগল। নষ্টালজিক হলাম।
আমারও ছোট বেলায় মনে হত- আমার আব্বা কেন এত দয়াহীন, গম্ভীর, কেন বেড়াতে নিয়ে যায়না, কেন আমাদের হৈচৈ করেনা আর মা'ও কেন এত সহজ সরল সাধারণ আটপৌরে। ভাবতাম আহা, আমার আব্বা-মা যদি আরেকটু বেটার হত, গল্প উপন্যাসের প্রিয় বাবা-মা গুলোর মত হত!
এখন বড় হওয়ার সাথে সাথে জানি আমার আব্বা-মা ও সাধারণ হয়েও অনন্য বৈশিষ্টের। এখন তাঁদের অসাধরণ জীবনবোধ, দৃষ্টিভংগি, দর্শনবোধ, জীবনাদর্শ বুঝতে পারি বলেই তাদেরকে নিয়ে গর্ববোধ করি। নিজের মধ্যে তাঁদের আদর্শ লালন করি।
ভালো থাকবেন।
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি কমেন্ট
আবারও কৃতজ্ঞতা
২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪০
সোহাগ সকাল বলেছেন: আমার কাছে এখনও কেন জানি মনে হচ্ছে, গল্পটা বানানো নয়।
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এটা ঠিক বানানোও না, পরে বলেছি। অনেক ছায়ামিলে একটি শরীর দিয়েছে এর।
২৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৯
shfikul বলেছেন: বানানো মনে হয়নি।খুব ভালো লেগেছে লেখাটা।শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম।
৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এটা ঠিক বানানোও না, পরে বলেছি। অনেক ছায়ামিলে একটি শরীর দিয়েছে এর।
২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
বলাক০৪ বলেছেন: I, many times, think of my children in the same way. How small they were, did a lot of funny things. All those golden memories.....
I suspect it is a true story, only you felt shy to admit?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
আশিক মাসুম বলেছেন: শৈশবের কাহিনীর মত লেখা - যদিও এসব পুরোটাই বানানো।