![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মডারেশনের সকল অস্বচ্ছ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাই
বর্তমানে তথ্য সচিব এবং কবি আবু করিমের ২০০৮ এর একুশের বইমেলায় সূচীপত্র প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘বাগানে ফুটে আছে অসংখ্য গোলাপ’ কাব্যগ্রন্থে ‘আলুবোখরা ও আবদুর রহমান’ কবিতায় কাকে আলুবোখরা ও লতিফুর রহমান হিসেবে উল্লেখ করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই কবিতায় লতিফুর রহমান নামের আড়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীই যে বিকৃতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে সেটা অনেকের কাছে স্পষ্ট। এবং এ নিয়ে অনেকের মধ্যে ইতোমধ্যেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত বইটির ১৫ থেকে ১৮ পৃষ্ঠাব্যপী দীর্ঘ এই গদ্য কবিতায় লেখা হয়েছে: তখন বোখারীদের মধ্যে একজন চালাকাতুর নেতা আর্বিভূত হলো। এই নেতার নাম লতিফুর রহমান। বোখারার জনগণ ছিল খুবই আবেগপ্রবণ। যে কোনো কিছু বাড়িয়ে বলার প্রবণতা ছিল তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। ত্রিশ হাজার লোক মারা গেলে তারা বলতো ত্রিশ লক্ষ। গুনে দেখার পরিশ্রম করতে রাজী ছিল না।
লতিফুর রহমানের আগে তাদের নিজেদের কোনো একক নেতা ছিল না। লতিফুর খুব ভাল বক্তৃতা করতে পারতো। সে বোখারা ভাষার ফুলঝুরি তোড়ে অন্যসব নেতাদের ভাসিয়ে দিল। বোখরার অপামর জনগণ তাদের প্রিয় খাদ্য আলুর কথা ভেবে লতিফুর রহমাকে নাম দিল আলুবোখরা।
বোখারার চালাক চতুর নেতা লতিফুর রহমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাথমিক অবস্থাতেই গাঞ্জাবীদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করলো। তার চ্যালা-চামুণ্ডারা কিন্তু কাকস্তানে পালিয়ে গিয়ে বোখরার স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু করে দিল। কাকস্থানের সহায়তায় বোখরা স্বাধীন হওয়ার পরই আলুবোখরা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলো। বিলাতের প্রধানমন্ত্রী ১০ নং ডাইনিং স্ট্রিটে থাকে সুতরাং ১০ সংখ্যাটি আলুবোখরার জন্য উত্তম সংখ্যা ভেবে সে জানোয়ার মাসের ১০ তারিখে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলো। দেশের জনগণ তাতে রাজমুকুট পড়িয়ে দিল।
আলুবোখারা সিংহাসনে আরোহণের পরপরই কাকস্তানের রাণীর সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি সম্পাদন করলো। সারাদেশের সব যত কলকারখানা- ক্ষেত খামার সবকিছু সে তার নিজের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে বিলিবন্টন করতে শুরু বরলেন। সব মাঠের নাম রাখা হলো আলুবোখারা মাঠ। যেসব বিদ্যালয়ে পড়ারেখা করা হয় সেগুলিরও নাম রাখা হলো আলুবোখারা মাঠ। আলূবোখারার তিনটি পুত্র ছিলো। বড়টির নাম ছিলো কমলাকলি। তার দায়িত্ব ছিলো বোখারার সকল বিদ্যালয় মাদ্রাসা কলেজ টোল ইত্যাদি সর্বত্র ছাত্র ছাত্রীদের শাসন করা। সে শিক্ষকদের চড় থাপ্পড় দেয়া, ছাত্রীদের পশ্চাদ্দেশে হাত বোলানো ইত্যাদি কর্মকাণ্ড করতো। তার ভয়ে ছাত্রীরা সবাই দৌড়ে পালাতো যে ছাত্রীটি এই দৌড়ে সকলের আগে ছিলো এবং দ্রুততমা তকমা লাভ করেছিলো কমলাকলি তাকে বিবাহ করলো।
নিজের দ্বিতীয় পুত্রকে আলুবোখারা দায়িত্ব দিল বোখারার সেনাবাহিনীর ভবিষ্যত অধিপতি হিসেবে আবির্ভাবের। জামতলি নামের এই পুত্রও আলুবোখারার মতোই উগ্র মেজাজের ছিলো। কিছুদিনের মধ্যেই সেনাবাহিনীর সব স্তরে প্রচণ্ড বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লো। আলুবোখারা দেখলো অবস্থা বেগতিক। নিজের রক্ষার জন্য সে সে সেনাবাহিনীর সমান্তরাল রক্ষাবাহিনী নামে একটি বাহিনী গঠন করলো। এই রক্ষা বাহিনী গ্রামেগঞ্জে সকল যুবককে হত্যা করতে শুরু করলো। আলূ বোখারার বিরুদ্ধবাদী কিছু তরুণ নেতা ‘যুবকফোন’ নামে একটি টেলিফোন কোম্পানি গঠন করে সবাইকে ফোন করে জানাতে লাগলো যে আলুবোখারার অত্যাচারে দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে, কিশোরী ও যুবতী নারীরা আলুবোখারার বড় দুই পুত্র ও তাদের বন্ধুদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। আলুবোখারার তৃতীয় পুত্রটি ছিলো খুবই ছোট তার নাম ছিলো রসকলি। অপকর্ম করার মতো দড় সে তখনো হয়নি।
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট যেদিন কাকস্তান স্বাধীনতা লাভ করেছে সেদিন আলুবোখারা ও তার ৩ পুত্রকে হত্যা করা হয়। তাছাড়া আলুবোখারার অন্যান্য অনেক আত্মীয়কেও হত্যা করা হয়। রফিউল্লা নামে আলুবোখারার অনুগত যে সেনাপ্রধান ছিল তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বিদেশে রাষ্ট্রদূত বানিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সৈন্যবাহিনীর উপ-প্রধান আবদুর রহমান সৈন্যবাহিনীর দায়িত্ব লাভ করলো।
আলুবোখারা স্থির করেছিল দেশে একটি রাজনৈতিক দল ও ৪টি দৈনিক পত্রিকা থাকবে। আবদুর রহমান স্থির করলো ২টি রাজনৈতিক দল থাকতে হবে এবং পত্রিকাও থাকবে ২টি। একটি দল হবে সরকারপন্থী এবং অন্য একটি দল থাকবে সরকার বিরোধী।
আমাদের সময় থেকে
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৫৪
একলা একজন বলেছেন: বইটি কিনবো এই সপ্তাহে, পড়ে দেখি
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৫৩
রাজর্ষী বলেছেন: লোকটি কাজটি ভালো করেনি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৫৪
একলা একজন বলেছেন: রম্য করা যায়, কিন্তু এইভাবেই?
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:০৭
রোবোট বলেছেন: জামাতী আর কি? এমনকি বিএনপিও এভাবে বলবে না
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৪:১১
একলা একজন বলেছেন: হয়তবা!
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২৪
একলা একজন বলেছেন: এই সচিব এখন চাকরি হারিয়ে জেল-পুলিশ করছে
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:৫২
বিডি আইডল বলেছেন: বিশাল কাহিনী দেখি