![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অধিকাংশ সময় দেখা যায় জামাতে চলতে গেলে এলান,গাস্তের আদাব, ঈমানী কথা, বয়ান করা যায়; কিন্তু ত্বারুফী কথা বলতে পারে না। আমার মনে আছে ২০১৩তে ইজতেমার শেষে রাজশাহী শহরে চিল্লার সফরে আমার এক ছোট ভাই যার ৩চিল্লার শেষ চি্ল্লা ছিল, ত্বারুফী কথা দেয়া হয়, সে দাড়িয়ে থেকে কোন কথা আসছেনা দেখে ভয়ে কেঁদে ফেলে।
তাই এখানে আমি ত্বরুফী কথা মোটিমুটি লিখলাম।এর চেয়ে আরো ভাল বলতে পারবে সবাই আশা রাখি।
কয়েকটা পয়েন্ট মনে রাখতে হবে।
১) দ্বীনের আহমিয়াত বা গুরুত্ব,
২) আমরা কারা ?
৩) আমরা কি জন্য এসেছি ?
৪) আমরা কি চাই ?
৫) ফাজায়েল বা লাভ।
আল্লাহপাক মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের সুখ শান্তি সফলতা রেখেছেন একমাত্র দ্বীনের মধ্যে। যেমন মাছের শান্তি রেখেছেন পানির মধ্যে। । আল্লাহপাকের হুকুম নবীর তরীকায় পুরা করাকে দ্বীন বলে।
মানুষ যখনই দ্বীন থেকে গাফেল হয়ে গেছে, আখিরাতকে ভূলে দুনিয়ামুখী হয়েছে, একমাত্র আল্লাহপাকের উপর ভরসাকে ছেড়ে সৃষ্ট বস্তুর উপর একীন করেছে তখনই আল্লাহপাক মানুষের কামিয়াবী ও নাজাতের জন্য পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক নবী রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। প্রত্যেক নবী রাসূলই মানুষকে এক আল্লাহ্‘র দিকে দাওয়াত দিয়েছেন। দাওয়াতের এই মেহনত করতে গিয়ে প্রত্যেক নবীকেই মেহনত মোজাহেদা করতে হয়েছে। সর্বশেষে সাইয়্যেদুল আম্বিয়া হয়রত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও মেহনত মোজাহেদা করতে হয়েছে।
.
মক্কার কাফেররা যখন চরমভাবে কষ্ট দিতে লাগল তখন সাহাবীদের দুটি জামাত আফ্রিকার আবিসিনিয়া নামক দেশে হিজরত করেন। আবিসিনিয়ার বাদশা নাজ্জাসী একক ভাবে তাদেরকে নুসরত করেছেন তাই বাদশা একক ভাবে হেদায়েত পেয়েছেন। পুরা দেশের মানুষ মিলে নুসরত করে নাই ফলে সেখানে দ্বীন জিন্দা হয় নাই। পরবর্তীতে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন মদীনাবাসীরা সর্বদিক থেকে নুসরত করে ফলে সেখানে দ্বীন জিন্দা হয় এবং মদীনাকে কেন্দ্র করে সারা দুনিয়ায় দ্বীন জিন্দা হয়। তাই ওলামা একরাম বলেন যদি কেউ একক ভাবে নুসরত করে তবে যিনি নুসরত করবেন তিনি হেদায়েত পাবেন আর জামাতের সেকেলে নুসরত করলে এলাকার প্রতিটি ঘরে হেদায়েতের আলো আসবে।
পাখি যেমন এক ডানা দিয়ে উড়তে পারে না, সাইকেল যেমন এক চাকা দিয়ে চলতে পারে না ঠিক তেমনি হিজরত এবং নুসরত ছাড়া দ্বীন জিন্দা হয় না।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতকারী এবং নুসরতকারী অর্থাৎ মোহাজের এবং আনসারদের জন্য গুনাহ মাফের দোয়া করেছেন, তাদেরকে খাটি মুমিন বলেছেন। তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক রিযিক এবং তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।
বিশেষ করে আনসারদের জন্য অনেক দোয়া করেছেন। নবীজী এক জায়গায় বলেছেন, হে আল্লাহ আপনি আনসার ও তাদের পুত্রদের এবং তাদের পৌত্রদের মাফ করে দিন। অন্য বর্ননায় এরকম আছে যে তাদের স্ত্রীগণকেও মাফ করে দিন। তাদের প্রতিবেশী এবং গোলামদের মাফিরাতের জন্যও দোয়া করেছেন।
আমরাতো ভাই অল্প সময়ের জন্য আপনাদের এলাকায় হিজরত করে এসেছি আমাদের সাথে বিভিন্ন তবকার লোক আছেন, যেমন নওজোয়ান-বৃদ্ধ, শিক্ষত-অশিক্ষিত, ধনী-দরীদ্র, আপনাদের এখানেও এমন আছে, এজন্য আপনাদের কাছ থেকে নুসরত বা সহযোগিতা কামনা করছি। হতে পারে আপনাদের এবং আমাদের সম্মিলিত চেষ্টার ফলে এই মহল্লায় দ্বীনী পরিবেশ কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদেরকে নুসরত করার জন্য কোন্ কোন্ ভাই তৈয়ার আাছেন ? খানাপিনার ব্যবস্থাতো আমাদের সাথেই আছে। আপনারা শুধু আমাদেরকে সময় দিয়ে নুসরত করবেন। সবচেয়ে উত্তম হলো আপনাদের মহল্লায় আমরা যতক্ষণ থাকব ততক্ষণ সামানা নিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন এজন্য কোন্ কোন্ ভাই তৈয়ার আছেন? বলি ভাই।
সৌজন্যেঃ কেরানীগঞ্জ বাংলাওয়ালী মসজিদ
©somewhere in net ltd.