![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাই মিথ্যার নাশ, চাই সত্যের উন্মেষ, চাই শান্তির পৃথিবী
বিশ্বের অনেক সেক্যুলার (ধর্মনিরপেক্ষ) দেশসহগুলোতে প্রায় শোনা যায় হিজাব নিষিদ্ধের অাইন করতে । এমনকি অামাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে না হলেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছে এবং করছে । যারা যে কারণে হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে কথা বলছে বা করছে তাদের যুক্তিও অবজ্ঞা করা যায় না অাবার ঢালাওভাবে এই হিজাব নিষিদ্ধকরণকেও সমর্থণ করা যায় না । যদি সেক্যুলারিজমের (ধর্মনিরপেক্ষতার) কথা বলে হিজাব নিষিদ্ধের প্রশ্ন উঠে তাহলে সেটা খোদ সেক্যুলারিজমই লঙ্ঘন করে । কারণ যেখানে সেক্যুলারিজম প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলছে সেখানে একটা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশেষ পোষাকের বিরুদ্ধে লেগে পড়া অবশ্যই সেক্যুলারিজম নয় বরং বিশেষ ধর্মের প্রতি ধর্মীয়-বিদ্বেষিতা, সরাসরি বলতে গেলে ইসলামফোবিয়া । অন্যান্য দেশগুলোতে এই বার্তা পৌঁছবে কিনা জানিনা, তবে অামাদের দেশে যারা হিজাব নিষিদ্ধের পক্ষে তাদের প্রতি অামার দু-একটা কথা । এবং তাদের প্রতিও, যারা হিজাব নিষিদ্ধকরণের বিপক্ষে বলিষ্ঠ অবস্থান করছেন । কারণ প্রকৃত ইসলামে হিজাবের মানদন্ড জানা থাকলে অবশ্যই হিজাব নিষিদ্ধের প্রশ্নই উঠতো না । অার হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদও শোনা যেতো না ।
হিজাব ইসলামের কতটুকুন গুরুত্বপূর্ণ অংশ সেটা নির্ভর করছে ইসলামে অশ্লীলতা, অবৈধ কামনা-বাসনার ফলে ফিতনা বা বিপর্যয়ের পরিণামের উপর । ইসলাম শাব্দিক অর্থই শান্তি । তাই ইসলামে যত নিয়মনীতি অাছে সবগুলোর মূল উদ্দেশ্য ব্যক্তি, পরিবার থেকে সমাজ এবং সমাজ থেকে রাষ্ট্র তথা সমগ্র পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিশ্চিতকরণ । কোরঅান-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যারা নিজেদের ঈমানদার দাবি করে, নারী-পুরুষ উভয়কেই যৌনতার ব্যাপারে সংযত করে চলতে হবে । শুধু ইসলাম না, এটা প্রতিটা ধর্মই বলে । অামরা যারা গোড়াপন্থী মুসলিম, সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে অন্ধের ন্যায় ইসলাম পালন করে যাচ্ছি, অামাদের একটা মহাদোষ অাছে । অাল্লাহ হিজাবের ব্যাপারে যতটুকুন সীমা করে দিয়েছেন, ততটুকুন অামাদের কাছে পছন্দীয় নয় । এর বেশি করবো ! পায়ের পাতা থেকে চোখ, কোনোকিছুই বাদ রাখবো না । মুখ ঢেকে রাখতে হবে কেনো? মুখ ঢেকে রেখে হিজাব করতে বলেন নি অাল্লাহ । স্পষ্টভাষায় কোরঅানে অাল্লাহ বলে দিয়েছেন, "অার মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেনো তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে; তারা যেন তার মধ্যে যা সাধারণতঃ প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য্য প্রদর্শণ না করে, তাদের ঘাড় ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা অাবৃত করে, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভাতুষ্পুত্র, ভগ্নীপুত্র, অাপন নারীগণ, তাদের মধ্যে মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌনকামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারো নিকট তাদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে । তারা যেন তাদের সৌন্দর্য্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে না হাটে । হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই অাল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো ।" (সূরা নূর, ৩১ নং অায়াত)
অায়াতটিতে না বুঝার কিছুই নেই । ঘাড় ও বুক মাথার কাপড় দ্বারা অাবৃত করে রাখতে বলেছেন, মুখমন্ডল নয় । কারণ মুখমন্ডল স্বাভাবিক প্রকাশমান সৌন্দর্য্য । কোনো নারী যদি এখন মুখমন্ডল ঢেকে রাখে, তাহলে যে কারোও সন্দেহের উদ্রেক হবে কে এই নারী? নারীবাদে অন্য কেউ তো হতে পারে । অথবা এই মুখমন্ডল ঢাকা নারীটি হিজাবকে মুখোশ হিশেবে অপকর্মে ব্যবহার করছে না তার কিসের গ্যারান্টি? অামাদের দেশে পতিতারাও অাজকাল হিজাব পরে অাত্মপরিচয় লুকিয়ে রাখছে । তখন হিজাব হয়ে যায় একটা মুখোশ । হিজাবের ভিতরে মানুষটি কে? নিরাপত্তার তাগিদে প্রশ্ন উঠা অত্যন্ত স্বাভাবিক । এখন একজন ধার্মিক নারীকে যদি বলা হয়, অাপনার মুখটা খুলেন? অাপনি কে? তখন ঐ ধার্মিক নারীটি যথেষ্ট বিব্রতিকর অবস্থায় পড়বে । অার মুমিন নারীরা যাতে এই উত্যক্তকর পরিস্থিতির শিকার না হোন, সেজন্যই অাল্লাহ অন্যত্র বলেছেন, “হে নবী, তুমি তােমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে বলঃ তারা যেনে তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় । এতে তাদের চেনা সহজতর হবে; ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না । অাল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু ।" (সূরা অাহযাব, ৫৯ নং অায়াত)
[ক্যাপশন-১ঃ স্বাভাবিক জ্ঞানেই বলে, এরকম মুখমন্ডল ঢেকে রাখা হিজাবধারীদের চেনা মোটেই সহজ নয় । চিনতে গেলে অবশ্যই মুখ খুলতে হবে ।]
মুখমন্ডল ঢেকে রাখলে একজন মানুষকে চেনা সহজ হবে নাকি খুলে রাখলে? এরকম বোকার মতো প্রশ্ন করে পাঠকসমাজকে বিব্রত করতে চাই না । ধার্মিক নারীটি যদি এভাবে মুখমন্ডল খুলে রেখে হিজাব করতো তবে তাকে মোটেও ও-রকম বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো না । এতো সহজ ও সাবলীল ভাষায় অাল্লাহ কোরঅানে এতো সুন্দর করে বলে দিলেন, তারপরেও অামরা গোঁড়াপন্থী মুসলিমরা জোর করে হাদিস-ইজমা-কিয়াস-মাসলামাসায়েল ইত্যাদির মাধ্যমে ত্যানাপ্যাঁচিয়ে নারীদের সমগ্র মুখমন্ডল ঢেকে রেখে কিম্ভূতকিমাকার বানিয়ে রাখার পক্ষে যেখানে অাল্লাহ কোরঅানে বিভিন্ন জায়গায় বলে দিয়েছেন, “অামি তোমাদের নিকট অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট অায়াত, তোমাদের পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত এবং মুত্তাকীদের জন্যে উপদেশ ।” (সূরা নূর, অায়াত ৩৪) “অামি পরিষ্কারভাবে তোমাদের জন্য অায়াতগুলো ব্যক্ত করেছি যাতে তোমরা বুঝো ।” (সূরা হাদীদ, অায়াত ১৭) “যারা অামার অায়াতসমূহকে ব্যর্থ করবার চেষ্টা করে তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ংকর পীড়াদায়ক শাস্তি ।” (সূরা সাবা, ৫ নং অায়াত)
হিজাবের ব্যাপারে অাল্লাহ যতটুকুন করতে বলেছেন অামাদেরকে ততটুকুনই করতে হবে । এর বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন করা গুরুতর অপরাধ, যা অাল্লাহ কোরঅানের পরতে পরতে বলে দিয়েছেন এভাবে - “নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।” (সূরা বাকারাহ, অায়াত নং ১৯০) । এরপরেও যারা মুমিন নারীদের মুখমন্ডল ঢেকে রাখার পক্ষে তারা হয় অাল্লাহর কথায় ভরসা পায় না, সন্তুষ্ট হয় না; নয় নারীদের মুখমন্ডল দেখে তাদের যৌনানুভূতি জেগে উঠে । অার যাদের এরকম হয়, তাদের ঈমান নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ও তারা ঘরে বসে থাকলেই পারে । তাদের জন্য ঈমানদার নারীরা কেনো কষ্টের শিকার হবে? অনেকে বলতে পারেন - হাদিস- ইজমা-কিয়াসে নারীদের হিজাবের ব্যাপারে অন্যকিছু বলা অাছে । থাকতেই পারে । কিন্তু কোরঅানে অনেক বিষয় অাল্লাহ পরিষ্কার রূপে বুঝিয়ে দিয়েছেন যেমন- ওযু, তায়াম্মুম, বিবাহ, যাকাত, অাত্ম ও যৌন সংবরণ অর্থ্যাৎ নারী-পুরুষের পর্দা, কারো ঘরে ঢুকার অাগে কী বলে ঢুকতে হবে ইত্যাদি । এগুলো যেহেতু পরিষ্কার রূপে অাল্লাহ নিজেই বর্ণনা করেছেন সেখানে কােরঅান ব্যতীত অন্যত্র খোঁজা অাল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ । অাবার অনেক জিনিস যেমন- নামায কীভাবে পড়তে হবে, হজ্জ কিভাবে করতে হবে এগুলোর পালন পদ্ধতি তিনি কোরঅানে বলেন নি, তাই সেগুলো অামাদেরকে হাদিস থেকেই জেনে নিতে হবে । তাছাড়া হাদিসে এটাও উল্লেখ অাছে যে, সাবালিক মেয়ে হওয়ার পর তার মুখমন্ডল ও হাতের কবজি ব্যতীত অন্য কোনো অঙ্গ খোলা রাখা জায়েজ নয় অর্থ্যাৎ মুখমন্ডল ঢেকে রাখার পক্ষে বলা হয় নি । যেমনঃ হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, হযরত আসমা (রাঃ) একবার পাতলা কাপড় পরিহিতা অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট আগমন করলে তিনি তাঁর দিক থেকে চেহারা ফিরিয়ে নেন এবং বলেন, হে আসমা! কোন মেয়ে যখন সাবালিকা হয় তখন তার মুখমন্ডল ও হাতের কবজি ব্যতীত অন্য কোন অংগ খোলা রাখা জায়েয নাই । (আবু দাউদ শরীফ-২/২৬৭)
তারপরেও মুখমন্ডল ঢেকে রাখার পক্ষে যতগুলো সহীহ হাদিস রয়েছে সবগুলোই রাসূল সাঃ এর পত্নীদের ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে । কারণ, সাধারণ নারী ও রাসূল সাঃ এর পত্নীদের ব্যাপারে পৃথক পৃথক নির্দেশ রয়েছে । অাল্লাহ কোরঅানের সূরা অাহযাবের ৩০ থেকে ৩৩ নং অায়াতে যা বলেছেন তা হলো - নবী পত্নীরা অার সাধারণ নারীরা এক নয় । তাঁরা স্বগৃহে অবস্থান করবে । বাইরে নিজেদের স্বাভাবিক সৌন্দর্যও প্রদর্শণ করবে না । পরপুরুষের সাথে মিষ্টি কথা না বলে যথাসম্ভব কর্কশ কন্ঠে কথা বলবে যাতে কেউ অাকৃষ্ট না হয় । শুধু তাই নয়, নবী-পত্নীরা যদি কোনো স্পষ্টত অশ্লীল কাজ করে তার শাস্তিও দ্বিগুণ অাবার কোনো পুণ্য কাজ করলে তার বিনিময়ও দুবার । একই সূরার ৫৩ নং অায়াতে এটাও বলে দিয়েছেন, রাসূল সাঃ পত্নীদের কাছে কেউ কিছু চাইলে সেটা পর্দার অাড়াল থেকে চাইতে হবে এমনকি রাসূল সাঃ এর ওফাতের পর কেউ নবীপত্নীদের বিয়েও করতে পারবে না । অথচ এই হুকুমগুলো সাধারণ নারীদের জন্য নয় । এটাই অাল্লাহর বেঁধে দেয়া সীমা ।
[ক্যাপশন-২ঃ এই হিজাবধারীকে চেনা মোটেই কঠিন নয় । মুখ দেখেই বলে দেয়া যাবে উনি কে? প্রকৃত ইসলামে এই হিজাবের কথাই বলা হয়েছে, যেটা যৌন-প্রদর্শণকারীও নয়, অাবার চেনাও সহজতর ।]
মুখমন্ডল ঢেকে রাখার বিপক্ষে বলছি বলে ধরে নিবেন না যে অামি এমন হিজাবের পক্ষে কথা বলছি যা যৌন-সৌন্দর্যের সাক্ষ্য বহন করে । কোন হিজাব যৌন-সৌন্দয্য প্রদর্শণকারী অার কোনগুলো নয়, সেটা নারীরা ভালো করেই জানে । তারপরেও যদি জেনে না জানার ভান করে, তাহলে তার শাস্তি তিনি অাল্লাহর কাছে পাবেন ।
[ক্যাপশন-৩ঃ এটার নাম হিজাব হতে পারে না । এই নারীটি ইসলামে হিজাবের উদ্দেশ্য না জানায় এমনভাবে হিজাব ব্যবহার করেছেন । এই হিজাব স্পষ্টত যৌন-সৌন্দর্য্য প্রদর্শণকারী ।]
এখন অারেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে অাসা যাক । হিজাব কেনো দেয়া হলো? অার এটা কি কেবল নারীদেরকেই দেয়া হয়েছে? হিজাবের ব্যাপারে সূরা নূরে যে অায়াত অাল্লাহ বলেছেন তার প্রথমেই হুকুম দেয়া হয়েছে মুমিন পুরুষদেরকে । তিনি বলেছেন, "মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে;এটা তাদের জন্য পবিত্রতম; তারা যা করে সে বিষয়ে অাল্লাহ অবহিত ।" (সূরা নূর, ৩০ নং অায়াত) তারপরে তিনি মুমিন নারীদেরকে এই নির্দেশসহ পূর্বল্লেখিতঅারো কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছেন ।
প্রকৃত ইসলামে এতো সুন্দরভাবে হিজাব নিয়ে বলা অাছে, তারপরেও যদি এই হিজাব নিষিদ্ধের প্রশ্ন উঠে- হিজাব নিষিদ্ধ করা হোক! হিজাব পড়ে ক্লাসে অাসা যাবেনা, অফিস যাওয়া যাবেনা, এই করা যাবে না, সেই করা যাবে না ইত্যাদি; তাহলে বুঝতে হবে হিজাবের প্রতি তাদের যে অাক্রোশ ও ঘৃণা জন্ম নিয়েছে এটা তো মোটেই সেক্যুলারিজম নয়, বরং ইসলামফোবিয়া । যারা নিরাপত্তার তাগিদে হিজাব নিষিদ্ধকরণের পক্ষে কথা বলছেন বা চিন্তা করছেন অাপনারা বরং কোরঅানের অালোকে ছাত্রী বা কর্মীদের ইসলামে প্রকৃত হিজাবের কথা বুঝিয়ে বলুন । অার এ ব্যাপারে সবার অাগে অালেম শ্রেণিটিকে এগিয়ে অাসতে হবে । ইসলাম কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেবার জন্য অাসে নি । কোরঅানে অাল্লাহ বলেছেন, “ইসলামে কোনোরকমের জোরজবরদস্তি নেই" (সূরা বাকারাহ, অায়াত ২৫৬) । তাই কেউ যদি হিজাব না করতে চায়, তাকে জোরজবরদস্তি করা যাবে না বরং উপদেশ দিতে হবে হিজাব না করলে গোনাহ হবে । এভাবে হিজাব নিয়ে সচেতন হলে অাশা করাই যায়, হিজাবের ব্যাপারে অামাদের দেশসহ সারা বিশ্বে সবার হিজাবের প্রতি ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা ও সম্মান জন্মাবে ।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩১
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: কোরঅানের অপব্যাখ্যা কোথায় করলাম? কোরঅান থেকে সরাসরি অায়াত তুলে দিলাম । এতো সহজভাবে কোরঅানে বলে দেয়া অাছে । তারপরেও তাফলিমু, তাফসীর, তাফহীম !!!
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
আরব বেদুঈন বলেছেন: পর্দা
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
ভোরের স্বপ্ন বলেছেন: আপনার শেষের আয়াতটি সম্পর্ণ মনে হচ্ছে না, বিস্তারিত বলুন
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৯
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: লা ইকরাহা ফিদ্দীন । লা=নেই, ইকরাহা=বল প্রয়োগ, জোরাজোরি; ফিদ্দীন=দীন বা জীবনব্যবস্থা (ইসলাম) সম্পর্কে বা সম্বন্ধে । সম্পূর্ণ একটি বাক্য । তথ্যসূত্রের জন্য সূরা বাকারাহর ২৫৬ নং অায়াত বলা হয়েছে ।
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:২১
এ আর ১৫ বলেছেন: তারা যেন গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে। "... (সূরা নূর : ৩১)-------- গ্রীবা এবং মাথার কাপড় আপনি কোথায় পেয়েছেন ? এই আয়াতে আরবি শব্দ খিমার ব্যবহার করা হয়েছে ----- খিমার শব্দের অর্থতো শুধু মাথার কাপড় নয় তবে মাথার কাপড় এক ধরনের খিমার । এই বাক্যের মুল কমান্ডমেন্ট হোল বক্ষ আবৃত করা কি দিয়ে আবৃত করতে বোলেছে খিমার দিয়ে , এখন দেখুন খিমারের অর্থ কি এবং সেই সাথে বুঝতে পারবেন মাথা ঢাকা বা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ কোরানে নেই -----
Khimar" is an Arabic word that means, cover, any cover, a curtain is a Khimar, a dress is a Khimar, a table cloth that covers the top of a table is a Khimar, a blanket can be used as a Khimar..etc. The word KHAMRA used for intoxicant in Arabic has the same root with Khimar, because both covers, the Khimar covers (a window, a body, a table . . . etc.) while KHAMRA covers the state of mind. Most of ...the translators, obviously influenced by Hadith (fabrications) translate the word as VEIL and thus mislead most people to believe that this verse is advocating the covering of the head.
In 24:31 God is asking the women to use their cover (khimar)( being a dress, a coat, a shawl, a shirt, a blouse, a tie, a scarf . . . etc.) to cover their bosoms, not their heads or their hairs. If God so willed to order the women to cover their heads or their hair, nothing would have prevented Him from doing so. God does not run out of words. God does not forget. God did not order the women to cover their heads or their hair.
God does not wait for a Scholar to put the correct words for Him!
The Arabic word for CHEST, GAYB is in the verse (24:31), but the Arabic words for HEAD, (RAAS) or HAIR, (SHAAR) are NOT in the verse. The commandment in the verse is clear - COVER YOUR CHEST OR BOSOMS, but also the fabrication of the scholars and most of the translators is clear by claiming- cover your head or hair.
The last part of the verse (24:31) translates as, "They shall not strike their feet when they walk in order to shake and reveal certain details of their bodies." The details of the body can be revealed or not revealed by the dress you wear, not by your head cover.
Notice also the expression in 24:31,
[Quran 24:31] They shall not reveal any parts of their bodies, except that which is necessary.
This expression may sound vague to many because they have not understood the mercy of God. Again God here used this very general term to give us the freedom to decide according to our own circumstances the definition of "What is necessary".
It is not up to a scholar or to any particular person to define this term. God wants to leave it personal for every woman and no one can take it away from her. Women who follow the basic rule number one i.e. righteousness, will have no problem making the right decision to reveal only which is necessary.
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:০১
এ আর ১৫ বলেছেন: তাদের ঘাড় ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা অাবৃত কর------ আমি আগের মন্তব্যে এর জবাব দিয়েছি। এই বাক্যটি ব্যবহার করা হয় মাথা চুল ঢাকার জন্য ( যাকে আমরা হিজাব বলি) ---- আসলে মাথা চুল ঢাকার কোন নির্দেশ নাই কোরানে এবং নিকাব পড়ে আড়াল করার ও কোন নির্দেশ নেই ।
মরুভুমির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫৫তে ভ্যারি করে সেটা বোধ হয় আপনার জানা নেই । ঐ তাপদাহ থেকে বাচার জন্য মুসলিম অমুসলিম সবাই মাথা সহ গোটা দেহ ঢেকে রাখে । ঘাস নাই সামান্য বাতাসে বালু উড়ে এই বালু যদি শরির বা মাথার চুলে প্রবেশ করে সেটা খুবই যতনা দায়ক তাই নারি পুরুষ মুসলিম অমুসলিম মাথা সহ শরির ঢেকে রাখে কারন পানি খুব দু:প্রাপ্য তাই পরিষ্কার করা বা গোসল করা সহজ নয় । মেয়েদের মুখের চামড়া নরম তাই অনেক মহিলা নিকাব পরে মুখকে তাপ হতে রক্ষা করার জন্য
৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৪০
তার ছিড়া আমি বলেছেন: চায়ের দোকানের প্যাচাল..........
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
আরব বেদুঈন বলেছেন: মনে হই আমার দেওয়া তাফসীর না দেখেই প্রতিউত্তর করেছেন ওখনা আয়াতের বিস্তারিত আছে।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮
আরব বেদুঈন বলেছেন: হে নবী! তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দাও তারা যেন তাদের চাদরের প্রান্ত তাদের ওপর টেনে নেয়।১১০ এটি অধিকতর উপযোগী পদ্ধতি, যাতে তাদেরকে চিনে নেয়া যায় এবং কষ্ট না দেয়া হয়।১১১ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়। ( সূরা আহযাব আয়াত ৫৯)
টীকার ব্যাখ্যাঃ ১১০) মূল শব্দগুলো হচ্ছে, يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ আরবী ভাষায় ‘জিলবাব’ বলা হয় বড় চাদরকে। আর ‘ইদন’ (ادناء) শব্দের আসল মানে হচ্ছে নিকটবর্তী করা ও ঢেকে নেয়া। কিন্তু যখন তার সাথে ‘আলা’ অব্যয় (Preposition) বসে তখন তার মধ্যে ইরখা (ارخاء) অর্থাৎ ওপর থেকে ঝুলিয়ে দেয়ার অর্থ সৃষ্টি হয়। বর্তমান যুগের কোন কোন অনুবাদক ও তাফসীরকার পাশ্চাত্য ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে এ শব্দের অনুবাদ করেন শুধুমাত্র “জড়িয়ে নেয়া” যাতে চেহারা কোনভাবে ঢেকে রাখার হুকুমের বাইরে থেকে যায়। কিন্তু যা বর্ণনা করছেন আল্লাহর উদ্দেশ্য যদি তাই হতো, তাহলে তিনি يدنين اليهن বলতেন। যে ব্যক্তিই আরবী ভাষা জানেন তিনি কখনো একথা মেনে নিতে পারেন না যে, يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ মানে কেবলমাত্র জড়িয়ে নেয়া হতে পারে। তাছাড়া مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ শব্দ দু’টি এ অর্থ গ্রহণ করার পথে আরো বেশী বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। একথা সুস্পষ্ট যে, এখানে মিন (من) শব্দটি ‘কিছু’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ চাদরের এক অংশ। আর এটাও সুস্পষ্ট যে, জড়িয়ে নিতে হলে পুরো চাদর জড়াতে হবে, নিছক তার একটা অংশ নয়। তাই আয়াতের পরিষ্কার অর্থ হচ্ছে, নারীরা যেন নিজেদের চাদর ভালোভাবে জড়িয়ে ঢেকে নিয়ে তার একটি অংশ বা একটি পাল্লা নিজেদের ওপর লটকিয়ে দেয়, সাধারণভাবে যাকে বলা হয় ঘোমটা।
নবুওয়াত যুগের নিকটবর্তী কালের প্রধান মুফাসসিরগণ এর এ অর্থই বর্ণনা করেন। ইবনে জারীর ও ইবনুল মুনযিরের বর্ণনা মতে মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন (রা.) হযরত উবাইদাতুস সালমানীর কাছে এ আয়াতটির অর্থ জিজ্ঞেস করেন। (এই হযরত উবাইদাহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মুসলমান হন কিন্তু তাঁর খিদমতে হাযির হতে পারেননি। হযরত উমরের (রা.) আমলে তিনি মদীনা আসেন এবং সেখানেই থেকে যান। তাঁকে ফিকহ ও বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে কাযী শুরাইহ-এর সমকক্ষ মনে করা হতো।) তিনি জবাবে কিছু বলার পরিবর্তে নিজের চাদর তুলে নেন এবং তা দিয়ে এমনভাবে মাথা ও শরীর ঢেকে নেন যে তার ফলে পুরো মাথা ও কপাল এবং পুরো চেহারা ঢাকা পড়ে যায়, কেবলমাত্র একটি চোখ খোলা থাকে। ইবনে আব্বাসও প্রায় এই একই ব্যাখ্যা করেন। তাঁর যেসব উক্তি ইবনে জারীর, ইবনে আবি হাতেম ও ইবনে মারদুইয়া উদ্ধৃত করেছেন তা থেকে তাঁর যে বক্তব্য পাওয়া যায় তা হচ্ছে এই যে, “আল্লাহ মহিলাদেরকে হুকুম দিয়েছেন যে, যখন তারা কোন কাজে ঘরের বাইরে বের হবে তখন নিজেদের চাদরের পাল্লা ওপর দিয়ে লটকে দিয়ে যেন নিজেদের মুখ ঢেকে নেয় এবং শুধুমাত্র চোখ খোলা রাখে।” কাতাদাহ ও সুদ্দীও এ আয়াতের এ ব্যাখ্যাই করেছেন।
সাহাবা ও তাবে’ঈদের যুগের পর ইসলামের ইতিহাসে যত বড় বড় মুফাসসির অতিক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা সবাই একযোগে এ আয়াতের এ অর্থই বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেনঃ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ অর্থাৎ ভদ্র ঘরের মেয়েরা যেন নিজেদের পোশাক আশাকে বাঁদীদের মতো সেজে ঘর থেকে বের না হয়। তাদের চেহারা ও কেশদাম যেন খোলা না থাকে। বরং তাদের নিজেদের ওপর চাদরের একটি অংশ লটকে দেয়া উচিত। ফলে কোন ফাসেক তাদেরকে উত্যক্ত করার দুঃসাহস করবে না। (জামেউল বায়ান ২২ খন্ড, ৩৩ পৃষ্ঠা)।
আল্লামা আবু বকর জাসসাস বলেন, “এ আয়াতটি প্রমাণ করে, যবুতী মেয়েদের চেহারা অপরিচিত পুরুষদের থেকে লুকিয়ে রাখার হুকুম দেয়া হয়েছে। এই সাথে ঘর থেকে বের হবার সময় তাদের সতর ও পবিত্রতা সম্পন্না হবার কথা প্রকাশ করা উচিত। এর ফলে সন্দেহযুক্ত চরিত্র ও কর্মের অধিকারী লোকেরা তাদেরকে দেখে কোন প্রকার লোভ ও লালসার শিকার হবে না।” (আহকামুল কুরআন, ৩ খন্ড, ৪৫৮ পৃষ্ঠা)
আল্লামা যামাখশারী বলেন, يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ অর্থাৎ তারা যেন নিজেদের চাদরের একটি অংশ লটকে নেয় এবং তার সাহায্যে নিজেদের চেহারা ও প্রান্তভাগগুলো ভালোভাবে ঢেকে নেয়।” (আল কাশশাফ, ২ খন্ড, ২২ পৃষ্ঠা)
আল্লামা নিযামুদ্দীন নিশাপুরী বলেন, يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ অর্থাৎ নিজেদের ওপর চাদরের একটি অংশ লটকে দেয়। এভাবে মেয়েদেরকে মাথা ও চেহারা ঢাকার হুকুম দেয়া হয়েছে। (গারায়েবুল কুরআন ২২, খন্ড ৩২ পৃষ্ঠা)
ইমাম রাযী বলেনঃ “এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, লোকেরা যেন জানতে পারে এরা দুশ্চরিত্রা মেয়ে নয়। কারণ যে মেয়েটি নিজের চেহারা ঢাকবে, অথচ চেহারা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়, তার কাছে কেউ আশা করতে পারে না যে, সে নিজের ‘সতর’ অন্যের সামনে খুলতে রাজী হবে। এভাবে প্রত্যেক ব্যক্তি জানবে, এ মেয়েটি পর্দানশীল, একে যিনার কাজে লিপ্ত করার আশা করা যেতে পারে না।” (তাফসীরে কবীর, ২ খন্ড, ৫৯১ পৃষ্ঠা)
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২
আরব বেদুঈন বলেছেন: একমত হতে পারলাম না কুরানের আয়াতের অর্থ আপনি ভুল ব্যখ্যা করেছেন।কারণ আমি তাফলিমু কুরানের তাফসীরে দেখেছি যে মুখ ঢাকতে হবে যদি চান তাফসীর দেখাতে পারি।পড়ে দেখুন যুক্ত ভুল হলে মানবেন না আর ঠিক হলে মানুন।
http://www.banglatafheem.com/index.php?option=com_quran&id=33&view=quran&limitstart=55
http://www.somewhereinblog.net/blog/ArabBeeduin/30093411