নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাহিদুর রহমান মাসুদ

সবকিছুই চুকিয়ে গেছে গালিব! বাকি আছে শুধু মৃত্যু!!

জাহিদুর রহমান মাসুদ

সর্বস্বত্ত লেখকের

জাহিদুর রহমান মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা বিষয়ক কিছু খুটিনাটি প্রশ্ন যার উত্তর আমজনতার জানা প্রয়োজন

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:২২

এ লেখাটি পূর্বের একটি লেখার সাথে সংশ্লিষ্ট। ধারাবাহিকতার স্বার্থে লেখাটি এখানে।



(Click This Link)





উপরের পোস্টে আমি আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে বিবেচনায় রেখে সমকামিতার অনধিকার-কে মানবিধাকের লংঘন বলা যাবে কিনা তানিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। আলোচনাক্রমে জানলাম কিছু লোকের ক্ষেত্রে সমকামিতা একটা ন্যাচারাল বিষয়। এতে অভ্যস্তরা নাকি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কোন আকর্ষণ অনুভব করেন না। অনুভুতিটা কেবল সমলিঙ্গের কারো প্রতি জাগ্রত হয়। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, এ বিষয়টা আমার জানা ছিলনা। এখন আপাতত এ তথ্যটি স্বীকার করে নিয়ে যারা সমকামিতার অধিকার-কে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাঁদের কাছে কিছু খুটিনাটি জিজ্ঞাস্য আছে। আমার মনে হয় আমজনতার কাছে সমকামিতার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এগুলো আলোচনার প্রয়োজন আছে।

--------------------------------------------------------------------------------



১। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের কথা নাহয় বাদই দিলাম, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোও সমকামিতার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। দু'একটা ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারেনা। অথচ এই দেশগুলোই মানবতার গান গায়, প্রগতির ধ্বজা ধরে, সারা বিশ্বে কোথাও মানবাধিকার লংঘিত হতে দেখলে ঝাপিয়ে পড়ে। মানবাধিকার নামক শব্দটা আমরা তাঁদের কাছ থেকে শিখেছি। এখন মানবতার এই ধ্বজাধারীরা কেন সমকামিদের অধিকার-কে স্বীকৃতি দিচ্ছেনা? তাঁরা কি বুঝতে পারতেছেনা এই লোকগুলোর যৌনতার অধিকার আছে এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তাঁদের কোন আকর্ষণ নেই?



আমি জানতে চাচ্ছি সমকামিতার অনধিকার বিষয়ে তাদের যুক্তিটা কি?



২। ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে যারা সমকামিতার স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁরা কি এটার স্বীকৃতি দিয়েছেন যে, সমকামিরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কোন আকর্ষণ অনুভব করেনা এবং সমলিঙ্গের কেউ না হলে তাঁদের যৌনচাহিদা মিটবেনা?



অর্থাৎ এখানে ব্যক্তির বিশেষ যৌনাকাংখার চাহিদা-কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে? নাকি বিজ্ঞান বা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে?



আমাদের দেশের সাপেক্ষে এ তথ্যটি জানা বিশেষ প্রয়োজন বলে মনে করি।



৩। উপরের পোস্টের (লিংক সংযুক্ত) ২৩ নং মন্তব্যে মন্তব্যকারী একস্থানে বলেছেন, এদেশে সমকামীদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। আবার আরেক স্থানে তিনি বলেছেন সংখ্যাটা ৬ থেকে ১২ মিলিয়ন যা দেশের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় মাইনরিটি জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। এখন ধরে নিলাম নগন্য সংখ্যাটা ওনি ওনার নিজস্ব পর্যবেক্ষণের আলোকে বলছেন আর ৬ থেকে ১২ থেকে মিলিয়ন সংখ্যাটা পরিসংখ্যানের আলোকে। আপাতত ৬ থেকে ১২ মিলিয়ন সংখ্যাটা নিয়ে আলোচনা করি। নগণ্য হলে জানার বিষয়টা ভিন্নমুখী হতে পারে।





পাশ্চাত্যের চেয়ে আমরা অন্তত যে বিষয়টাতে এগিয়ে আছি বলে দাবি করতে পারি তা হচ্ছে আমাদের পরিবার প্রথা। পরিবার হচ্ছে ব্যক্তির নিরাপত্তার সুদৃঢ় আশ্রয়। অবশ্য যৌবনের দিনগুলোতে আপনার মনে হতে পারে আপনার পারিবারিক নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বৃদ্ধ বা শিশুদের জন্য এই পারিবারিক নিরাপত্তার কোন বিকল্প নেই। অন্তত রাষ্ট্রীয় অবস্থা এতো শক্তিশালী হয়নি যে আপনি সরকারি খরচে অনেক বেবি কেয়ার সেন্টার বা বৃদ্ধনিবাস গড়ে তুলবেন।





আপনাদের দাবির মুখে সরকার মানবাধিকার রক্ষার্থে যে ১২ মিলিয়ন বা এককোটির উপরের জনসংখ্যার সমকামী-কে বিবাহের অধিকার দিয়ে দিল বিশ বা পঁচিশ বছর পরে তাঁরা বৃদ্ধ হবেন। স্বাভাকিভাবে চলার অনুপযোগী হয়ে পড়বেন। সোজাকথায়, অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। এখন পরিবার বিহীন এই বিপুল সংখ্যার বৃদ্ধদের কে দেখাশুনা করবে? আপনার রাষ্ট্র কি সেই বোঝা বহন করতে সক্ষম? যুদ্ধে নামার আগে কি কি পরিণতি আসতে পারে তার মোকাবেলারও প্রস্তুতি থাকা দরকার।



৪. বলা হচ্ছে আমাদের দেশের প্রায় ৬ থেকে ১২ মিলিয়ন লোক সমকামী। মাঝামাঝি সংখ্যা হিসেবে ধরলে প্রায় ১ কোটি লোক সমকামী। শতকরা হিসেবে প্রায় ১০%।



আমি এমন একজন লোককে জানি যে স্বাভাবিকভাবে বিবাহিত জীবনযাপন করছে, সন্তান আছে। কিন্তু আবার সমকামীতায়ও অভ্যস্ত। এটাকে কি আপনি অধিকার বলবেন? না বিকৃতি বলবেন? আপনার কি মনে হয়না যে সে ক্রাইম করছে?



এখন যে লোকটা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেনা তার সমকামিতার অধিকার থাকতে পারে। কিন্তু এই সংখ্যাটি কি সমাজের ১০%? সমাজের ১০% লোক যদি ন্যাচারাল সমকামী হতো তাহলে এ জীবনে এক না একজনের দেখা পেতাম। মানুষের সাথে মিশি, সেক্স নিয়ে আলাপও হয়। কিন্তু এ জীবনে আমি ন্যাচারাল কোন সমকামী দেখিনি, আমার আশেপাশের কেউ দেখেছেন বলেও শুনিনি। বন্ধুবান্ধবদের কেউ দেখেছে বলেও বলছেনা।



সমাজের দিকে তাকান। দেখবেন, সমাজের ৯৯.৯৯% বিয়ে করে, সন্তান হয়। বিয়ে করেনা এমন লোকের সংখ্যা হতে পারে .১%। এখন .১% ন্যাচারাল সমকামী এ কারণে বিয়ে করছেননা তাও বলা যাবেনা। পারিবারিক দায়ভার, প্রেমঘটিত সমস্যা, শারীরিক অক্ষমতা,যৌতুক দিতে অসমর্থ্য ইত্যাদি বিষয় বিয়ে না করার প্রধান কারণ। হয়তো এর মধ্যে ন্যাচারাল সমকামীও থাকতে পারেন। এখন সংখ্যাটাকে এভাবে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে বলার কি দরকার?



আপনারা সমকামীদের অধিকার নিয়ে কথা বলছেন, হয়তো কাজও করছেন। এখন আপনারা কি ব্যক্তিজীবনে একজন ন্যাচারাল সমকামীর দেখা পেয়েছেন, যে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেনা? আশা করি উত্তরটা তর্কের খাতিরে দিবেন না।



-------------------------------------------------------------------------------



এই প্রশ্নগুলো আমি আমার পোস্টেও করেছিলাম। সংশ্লিষ্টরা এখনও কোন জবাব দেননি। হয়তো আমাকে এতোটাই মুর্খ আর অর্বাচীন ভেবেছেন যে আমার সঙ্গে এটা আর কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেননি। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে এই যে ,সমকামিতার বিষয়ে আমাদের সমাজের ৯৯.৯৯% মানুষ আমার মতোই মুর্খ ও অর্বাচীন। আপনি রাষ্ট্র বা সমাজে দু'উপায়ে পরিবর্তন আনতে পারেন, ১. বিপ্লব ও ২. সংস্কার। এখন বিপ্লবই ঘটান আর সংষ্কারই করেন এতে আপনার আমজনতাকে সংশ্লিষ্ট করতেই হবে। আমাদের মতো মুর্খদের আপনাকে বুঝাতে হবে যে, আপনি যা করতে যাচ্ছেন তা সব বিবেচনায় যৌক্তিক। আমি নিশ্চিত আপনি যদি তা না করতে পারেন তবে এটা আপনার ড্রয়িংরুমের গরম চায়ের কাপে ফুক দেওয়া আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৯/-২

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৪৬

মোসাব্বির বলেছেন:
পোষ্টের জন্য আপনাকে ধনবাদ।
ন্যাচারাল সমকামীর দেখা আমি পাইনি, জিজ্ঞাসা করেছিলাম বন্ধুদের তারাও কেউ পায়নি এমনকি আমাদের দেশে কেউ পেয়েছে শুনিনি। অধিকারের দাবী যে তুলেছে সে পেয়ে থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি এগুলো আমাদের দেশের প্রক্ষাপটে অবান্তর।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২১

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: যারা মাইনাস দিছেন বুঝলাম তারা আমার সাথে একমত নন। এটা আসলে একমত দ্বিমতের বিষয় নয়। যারা সমকামিতার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন তারা যদি আমার প্রশ্নগুলোর সদুত্তর দিতে পারেন তাহলে তাঁদের আন্দোলনটা আরো বেগবান হবে।

পোস্টটা আলোচনার নিমিত্ত। তেমনটাই আশা থাকল।

৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২১

কাদা মাটি জল বলেছেন: এখন আপনারা কি ব্যক্তিজীবনে একজন ন্যাচারাল সমকামীর দেখা পেয়েছেন, যে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেনা? আশা করি উত্তরটা তর্কের খাতিরে দিবেন না।

আপনি যদি চোখ বন্ধ করেই রাখেন, আপনাকে খুলতে বলে লাভ কি? সমকামীরা সবাই ন্যাচারাল। কেউ কেউ হয়তো বুঝতে পারে অনেক দেরীতে, কিন্তু সেটার জন্য আমাদের সমাজ এবং ধর্মই দায়ী।
যেকোন সমকামী'র সাথে কথা বলে দেখুন আগে।

অবশ্য আপনি Homophobic হিসেবে খুব সহজেই চি্নহিত হতে পারেন, তো তারা আপনার গোঁড়া ধারণাকে শুনে আপনার সাথে কথা বলবে কি না সন্দেহ।

আর আমাদের দেশে সমকামীরা আছে, কিন্তু তাদের সাথে সুস্থ ভাবে কথা বলার মত বিপরীতকামী মানুষ খুব কমই আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩১

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: ঠিক আছে আমি গোড়া। এখন আপনার মতো উদারের সাথে কতজন কথা বলেছেন?

১। আমি ন্যাচারাল সমকামীর অধিকারটা মেনে নিলাম। এদের সংখ্যা কত %? আর আপনের মত অনুসারে যদি ধরে নেই সমকামীরা সবাই ন্যাচারাল তাদের মধ্যে কতজন সমলিঙ্গের সাথে সংসার করতে ইচ্ছুক? উত্তরটা আমাদের দেশের সাপেক্ষে বাঞ্চনীয়।

২। আপনি সরাসরি চার নম্বর প্রশ্নের একটি ক্ষুদ্র অংশে চলে এসেছেন। একজন উদার মানুষ হিসেবে আপনার কাছ থেকে আগের তিনটি প্রশ্ন বা আলোচনার মতামত আশা করি। কারণ সমকামিতার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আগের বিষয়গুলোও আলোচনার দরকার।

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪৬

পূজারোজ বলেছেন: উদারতার মানে এই নয় প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজকে মেনে নেওয়া, বরং তাদের চিকিৎসা করা উচিত । এখন এই কথার জন্য যদি কেউ আমাকে বা আমাদের মত যাদের ভাবনা তাদের মূর্খও ভাবে তাতে তো কিছু করার নেই। মানুষের চরিত্র এমন যে যত ছাড় পাবে তত বেয়ারা হতে থাকে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১০

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: অধিকার চাওয়ার আগে পারিপার্শ্বিকতা ও যৌক্তিকতা এবং পরবর্তীতে কি ঘটতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা করা উচিত। এখন কেউ যদি এসব নিয়ে আলোচনা করতে চায় তাকে মুর্খ আর নিজেকে পন্ডিত ভাবা লোকের অধিকারের প্রতিষ্ঠা অন্তত ঐ ব্যক্তি দেখে যাবেন বলে মনে করিনা।

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:২৪

রামন বলেছেন: সমকামিতা সম্পর্কে আপনার ধারনায় যথেষ্ট ঘাটতি আছে, অবশ্য আপনি নিজেও তা স্বীকার করেছেন। আজকাল দু একটি দেশ নয় পৃথিবীর অনেক দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে , ইউরোপের প্রায় সবকটি দেশসহ উত্তর আমেরিকা ,দক্ষিন আমেরিকার অনেক দেশে এটি মেনে নেয়া হয়েছে। ইউরোপ ,আমেরিকাতে চাইলে এরা এখন কোর্টে বিয়েও করতে পারে, কাবিননামাও এদেরকে দেয়া হয়ে থাকে। আপনি ৩ নম্বরে বলছেন এরা বৃদ্ধ হলে কে এদের দেখবে? এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক চলতে পারে কিন্তু সেই তর্কে আমি যাচ্ছি না , তবে আপনার জেনে রাখা ভালো ,যেহেতু আপনি এ বিষয়ে গবেষণা করছেন , পশ্চিমাদেশগুলোতে এখন সমকামীদের বাচ্চা পালার অর্থাত দত্তক নেয়ারও অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:১৭

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: ১। ঠিক কতোটি দেশে দেওয়া হয়েছে সেটা ক্লিয়ার করে বললে ভাল হতো। ফেডারেল রাষ্ট্র আমেরিকার কতোটি রাজ্যে এর অধিকার আছে? সেটা কি তারা বায়োলজিক্যালি বিপরীত সেক্স করতে পারেন না, এই কারণে?

২। ঠিক আছে আপনি দত্তক দিলেন। এখানে দত্তক নেয়া শিশুটিকে তাঁরা কতদূর পিতা-মাতার দায়িত্ব নিয়ে পালন করতে সক্ষম? সেটাও ভাববার অবকাশ আছে। আপনি এই লিংকের (http://en.wikipedia.org/wiki/LGBT_adoption) ইউরোপ অংশের ফ্রান্স হাইকোর্টের পর্যব্ক্ষেণটা দেখতে পারেন।

৩। আলোচনার মূল বিষয়বস্তুটাতে আমাদের দেশের সামাজিক ও সামর্থের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখার অনুরোধ থাকল।

৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৪

প্রচ্ছদ বলেছেন: পাশ্চাত্যের চেয়ে আমরা অন্তত যে বিষয়টাতে এগিয়ে আছি বলে দাবি করতে পারি তা হচ্ছে আমাদের পরিবার প্রথা। পরিবার হচ্ছে ব্যক্তির নিরাপত্তার সুদৃঢ় আশ্রয়। অবশ্য যৌবনের দিনগুলোতে আপনার মনে হতে পারে আপনার পারিবারিক নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই।...

পরিবার প্রথা নিয়ে আপনি দেখি রোমান্টিক অসুখে ভুগতেছেন;

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৪৫

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: ব্যক্তি আমার কাছে আমার পরিবার আমার অস্তিত্ব। এটা ছাড়া আমাকে কল্পনাও করতে পারিনা।


কারো যদি পরিবারের প্রয়োজন না পড়ে সেটাও তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত। জোর করে তাঁকে পরিবারের অংশীদার করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু এমন লোকের সংখ্যা কত?

নন্দুলালের গল্পটা জানেন? নন্দের ভাইয়ের একবার কঠিন সংক্রামক ব্যাধি হল। কিন্তু তাঁর ভাইয়ের ধারেকাছেও যায়না। প্রতিবেশীরা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে নন্দ বলে সে যদি এই মুহুর্তে তাঁর ভাইয়ের কাছে যায় তাহলে তারও কিছু একটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাঁর কিছু হলে দেশের তখন কি হবে?

যারা পরিবার প্রথাকে পাশ কাটিয়ে কোন সমস্যার সমাধান করতে চান তাঁরা আসলে নন্দুলালের মতোই রাষ্ট্রের সেবা করতে চান।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটলের গুরু প্লেটোও পরিবার প্রথা ভাঙ্গতে চেয়েছিলেন। তবে তা সীমিত ক্ষেত্রে। তিনি শুধু শাসক ও যোদ্ধা শ্রেণীর জন্য পরিবার বিলুপ্ত করতে চেয়েছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল এই শ্রেণীর পরিবার থাকলে তাঁরা স্বজনপ্রিয় হয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বে। আদর্শ রাষ্ট্র থেকে প্লেটো কবিকেও বিদায় করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আড়াই হাজার বৎসর পরেও শাসক শ্রেণীর পরিবার আছে, সমাজে কবির সংখ্যাও বাড়তেছে। মানুষের প্রয়োজনেই মানুষ এ প্রথাটি ধরে রেখেছে।

প্লেটো পারেননি। দেখেন আপনারা পারেন কিনা।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪০

প্রচ্ছদ বলেছেন: পরিবার প্রথা আর পরিবার কাঠামো দুইটা ভিন্ন ব্যাপার। B-) B-) B-) B-)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৯

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: কাঠামোর পরিবর্তন আপনি তখনই আনবেন যখন এটা আর কাজ করছেনা। বর্তমানের পরিবার কাঠামোর মধ্যে আপনি কি অসংগতি লক্ষ্য করছেন যে এটার পরিবর্তন আবশ্যক? আপনার মতে নতুন কাঠামোটা কি হওয়া উচিত?

নতুন কাঠামো দেওয়ার আগে এর কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তাও ভেবে দেখবেন। ন্যাড়া অবস্থায় বেলতলাতে যাওয়ার আগে হেলমেট পরে নেওয়াটাই শ্রেয়।

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বর্তমান কাঠামোতে যদি কেউ ধরা খেয়ে থাকেন তবে তিনি পরিবর্তনটা চাইতেই পারেন। তার চাওয়া আর সমাজের সামগ্রিক চাওয়া এক নয়।

৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রকৃতি কি সমকামিতা চায়?
চাইলে ২ লিংগের মানুষ সৃষ্টি হত না।
অস্বাভাবিক কোন কিছুই আমি সমর্থন করি না।

৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: নিয়ম আর মানুষের চাহিদার মধ্যে অনেক তারতম্য । আদি যুগ থেকেই যারা শক্তিমান তারা নিয়ম করে গেছে আর বাকিরা তা মেনে যাচ্ছে। কিন্তু একই নিয়ম সব মানুষের জন্য প্রযোজ্য হবে তা কি ঠিক? বুদ্ধি, চিন্তা, প্রকৃতি নানান কিছু দিয়ে প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাই অনেকে নিয়ম ভেঙ্গে বেড়িয়ে আসেন বিভিন্ন ভাবে। কিন্তু ব্যতিক্রম সবাই মেনে নিতে পারেন না। অভ্যাসের কারণে। ধর্ম, সমাজ অভ্যস্ততা বাধা হয়ে দাড়ায়। নিজের মনের কাছে।
সমকামী মানুষ বিপরিত লিঙ্গের প্রতি আর্কষন বোধ করে না এটা ওদের জন্য খুব স্বাভাবিক। যেমন আমাদের দেশে ডান হাতে অনেক কাজ করতে হয়। কিন্তু যারা বাম হাতি মানুষ, যে কোন কাজে তাদের বাম হাতটা এগিয়ে আসে । ছাত্র যদি শিক্ষক কে বাম হাতে বই এগিয়ে দেয় তবে তাকে বেয়াদব বলা হয়। মারধরও করা হয় কিন্তু ভাবা হয় না সে তার প্রকৃতিগত ভাবে কাজটা করেছে। সমকামীও তেমনি আসলে। অনেকে আছে আমাদের দেশেও আছে কিছু বিখ্যাত লোকও আছে কিন্তু নিয়মের কারণে নিজেদের প্রচার করে না।
মানবতার দেশ ক্যানাডা সমকামীদের স্বিকৃতিদেয় ক' বছর আগে। আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশ থেকে অনেকে তখন চলে আসে এখানে বিয়ে করার জন্য। আমেরিকার কয়েকটা প্রদেশে ওদের অধিকার দেয়া হয়েছে সব জায়গায় নয়।
এটা আসলে মানুষের ব্যতিক্রমি প্রকৃতি সব নয় কিছু মানুষ ওদের সেভাবেই দেখা উচিত। প্রকৃতিরই সৃস্টি সমকামী মানুষ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২২

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: ১। আপনার মন্তব্য থেকে বুঝলাম, আমেরিকার বেশিরভাগ রাজ্যে এদের স্বীকৃতি দেয়নি। কোন যুক্তিতে দেয়নি বা দিচ্ছেনা? প্রশ্নটা মূল পোস্টেই ছিল। কানাডা কি এদের বায়োলজিক্যাল ব্যাপারটি স্বীকৃতি দিয়েছে নাকি ব্যক্তিইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করেছে? আমি গত কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেটে এটা নিয়ে টুকটাক পড়তেছি। এ সূত্রে জানলাম এদের অনেকেই পূর্বে স্বাভাবিক সেক্সে অভ্যস্ত ছিল এবং এদের আগের সংসারে সন্তানও আছে। কাজেই বায়োলজিক্যালি এরা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণবোধ করেনা তা সর্বাংশে গ্রহণযোগ্য নয়।

২। এদের বিবাহের বা সন্মান দেখাতে সংসারই বললাম তা কতোটা স্থায়ী? মানে সংসারের স্থায়ীত্ব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

৩। আমাদের দেশের সাপেক্ষে সমকামী যারা একসময়ে নির্ভরশীল বৃদ্ধাবস্থায় উপনীত হবে তখন তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা কীভাবে সম্ভব?

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪০

প্রচ্ছদ বলেছেন: আপনার আগের পেস্টটা ছিলো আলোচনার জন্য চমতকার ও অত্যন্ত উপযোগী। কিন্তু আলোচনা এই পোস্টের মাধ্যমে যে অবস্থায় নিয়ে এসেছেন তাতে আর আলোচনার স্পেস নাই। অন্তত আমার দিক থেকে। কারন এই পোস্টে আপনার বক্তব্যের যে টোন তা ঠিক আমার পরিচত নয়..... কিম্বা এটা ঠিক আমার চেনা মানুষের টোন নয়। অথবা আমি আপনাকে এভাবে দেখে অভ্যস্ত নই।। অবশ্য এটা আমার স্বীমাবদ্ধতা হওয়ার সম্ভবনাই বেশী।

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন: যে ভাবে জানতে চাচ্ছেন তাতে মনে হয় প্রতিটি দেশ মানুষ অনেক কিছু নিয়ে আপনাকে রির্সাস করতে হবে।
আমেরিকার প্রতিটি রাজ্যে নিজেস্ব কিছু নিয়ম আছে জাতীয় সিদ্ধান্তের উপর স্থানীয় নিয়মগুলোর উপরও জোড় দেয়া হয়। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয় ।

কানাডা কি এদের বায়োলজিক্যাল ব্যাপারটি স্বীকৃতি দিয়েছে নাকি ব্যক্তিইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করেছে?

আপনার এই প্রশ্নটার কি আদৌ কোন প্রযোজন আছে?
মানবিক ভাবে যখন কিছু মূল্যায়ন করা হয় তখন সার্বিক ভাবে বিবেচনা করা হয় ।
সব কিছু মিলেই মানবিকতা।
আপনি যখন ইন্টারনেটে পড়ছেন তখন অনেক পরিচিত নামের মানুষ পাবেন যারা সংসার করেছে বাচ্চা হয়েছে তারপরও সমকামী হয়েছে।
সহজ ভাবে যদি ভাবেন, এক জনের সাথে প্রেম ছিল বিয়ে হলো অন্য কারো সাথে অনেক রকম নিয়মের কারণে।
সংসার বাচ্চা সবই থাকবে আবার পুরানো প্রেমিকার সাথে দেখা হলে তার প্রতি আসক্তি চলে আসবে, অনেক ক্ষেত্রে হয় । ওরাও হয়তোবা নিয়মের কারণে সংসার করেছে।
অনেক মধ্যপন্থি আছে যারা সুযোগ সন্ধানী তারা সত্যিকারের সমকামী না।
দেশ, জাতি, ধর্ম, মানুষ অনুযায়ী অনেক তফাত পাবেন। নিজে রির্সাস করতে থাকুন।



০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩৬

জাহিদুর রহমান মাসুদ বলেছেন: আপনার শেষ লাইনটাই আমার খুজাঁর বিষয়। কোন অধিকার চাওয়ার আগে সেই দেশ, তার সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, সামর্থ্য এবং রাষ্ট্রীয় কাজের প্রায়োরিটি ইত্যাদি বিবেচনায় আনা উচিত। এখানে আমি ঠিক রিসার্স করছিনা।

আমেরিকা নয়, প্রতিটি ফেডারেল রাষ্ট্রেই অংগরাজ্যের নিজস্ব সংষ্কৃতি ও চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব আইন আছে যা কেন্দ্রের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। ফেডারেল রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল শর্তই এটা।

এখানে আমি আসলে আমার নিজের সাথেই একটা তর্ক করছি। আমাদের দেশের সাপেক্ষে যারা সমকামিতার পক্ষে বলছেন তারা কতটুকু যৌক্তিক তা বুঝার চেষ্টা করছি। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও সামর্থ্য বিবেচনায় আমি এখনও এটা ঠিক সমর্থন করতে পারিনা।

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:২১

অরণ্যচারী বলেছেন: এই পোস্টে এসে পুরোপুরি হতাশ হলাম। বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি একজন তালগাছবাদী - অন্তত সমকামীতার বিষয়ক আলোচনায়। আমিও আপনার মতই ভাবতাম। যদি কোনদিন আপনার আপনজনদের কেউ নিজেকে সমকামী দাবি করে (যেটা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে) তাহলে হয়তো আপনার চোখ খুলবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.