নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বল বীর চির উন্নত মম শির !

শাহারিয়ার ইমন

শাহারিয়ার ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়ার সর্বাধুনিক জঙ্গী বিমান সুকোই-সু 57 ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০



সুকোই সু-57 রাশিয়ার এ যাবতকালের সবচেয়ে আধুনিক জঙ্গী বিমান । এটি রাশিয়ার PAK_FA (Prospective Aviation Complex of Frontline Aviation) তে প্রস্তুতকৃত । রাশিয়ান বিমান বাহিনীর একটি পঞ্চম প্রজন্মের যোদ্ধা বা জঙ্গী বিমান ।
এর অভ্যন্তরীণ নাম হলো টি -50। রুশ সামরিক পরিষেবায় সু-57 হল প্রথম স্টিলথ প্রযুক্তি তৈরিকৃত জঙ্গী-বিমান । এই বিমানে পাইলটের জন্য একটি সিট , ডাবল ইঞ্জিন রয়েছে ।

এর আগে বলে নেই স্টিলথ প্রযুক্তি মানে কি ??


মনে করুন আপনার অবস্থান হতে দশ মিটার দূরে একটি প্রজাপতি আছে। আপনি প্রজাপতিকে দেখতে পাবেন খুব সহজে এবং এর উপর নজর রাখতে পারবেন অনেকক্ষণ। কিন্তু এবার সে প্রজাপতির জায়গায় একটি মাছি রাখলে সেটা দেখা প্রায় অসম্ভব।কারন প্রজাপতির তুলনায় অনেক ছোট।এবার সেই মাছিকে ১ মিটার দূরত্বে আপনার অবস্থান হতে নিয়ে আসলে আপনি হয়তো মাছিটিকে দেখতে পারবেন কিন্তু তার উপর নজর রাখতে পারবেন না।একটু পর পর সে আপনার দৃষ্টির বাহিরে চলে যাবে।এরপর তাকে মারার জন্য আপনাকে বলে হলে সেটা আরোও কঠিন কাজ হবে।কারন আপনি তো তার উপর নজর রাখতে পারছেন না।এই সময় কানের সাহায্য নিতে হবে। অর্থ্যা মাছিটির ভনভন শব্দ শুনে এর অবস্থান নির্নয় করার চেষ্টা করবেন আর সেখানে আঘাত করার চেষ্টা করবেন যাতে মাছিটি মারা যায়।তবে বাস্তবে দেখা যায় সেটা সম্ভব হয় না। কারন মাছিটি তার আগেই অন্য জায়গায় চলে যাবে।

আর ঠিক এভাবে স্টিলথ বিমান কাজ করে।দশমিটার দূরত্বে যে জায়গায় প্রজাপতি ছিলো ঠিক সেই জায়গায় একটি সাধারন বিমান আর মাছিটির জায়গায় একটি স্টিলথ বিমানের কথা চিন্তা করুন।প্রজাপতিকে আপনি যেভাবে ডিটেক্ট করেছেন ঠিক সেভাবে রাডার সাধারন বিমানগুলোকে ডিটেক্ট করতে পারবে।এবার মাছিটির কথা চিন্তা করুন। আপনি কিন্তু তাকে দেখতে পান নি।মনে আছে তো।ঠিক স্টিলথ বিমানও সাধারন বিমানের মত রাডার এতো দূর থেকে ডিটেক্ট করতে পারবে না।


পূর্বের ভার্সনের জঙ্গী বিমান গুলো শুধু এয়ার ফাইটিং এর জন্য অধিক কার্যকর ছিল । সু- 57 এয়ারের পাশাপাশি স্থল আক্রমন, মেরিন ডিফেন্সের জন্যও সমভাবে কার্যকরি । এই বিমানটির প্রটোটাইপ প্রথম আকাশে ওড়ে ২৯ শে জানুয়ারি ২০১০ সালে । এর পরে টি50-1 হতে টি50-11 পর্যন্ত ১২ টি ফ্লাইট টেস্টিং করা হয়েছে অগাস্ট-২০১৭ পর্যন্ত । ২০১৯ সালে রুশ বিমান বাহিনীকে এটা হস্তান্তর করার কথা থাকলেও ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে সিরিয়ার আকাশে সু-57 কে উড়তে দেখা গেছে ।
সিরিয়ার আকাশে সু-57

ডিজাইন ;

সু -57 একটি পঞ্চম-প্রজন্মের বহুমুখী সুবিধা সংবলিত জঙ্গী বিমান এবং রাশিয়ান বিমান বাহিনীর জন্য প্রথম অপারেশনাল স্টিলথ প্রযুক্তির জঙ্গী বিমান । যদিও বেশিরভাগ তথ্যই গোপন করা হয়েছে , তবে Sukhoi কোম্পানি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে খোলাখুলিভাবে বলা হয় যে বিমানটির শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দেয়া , উচ্চমানের, সুপারক্রজ ক্ষমতা আছে, প্রচুর পরিমাণে কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালস অন্তর্ভুক্ত, এবং উন্নত এভিয়েশন যেমন সক্রিয় ফেজ-অ্যারের রাডার এবং সেন্সর হল ফিউশন প্রকৃতির ।



একটি টি-50 মডেল বিমানের গঠন ;-

দৈর্ঘ্য: 19.8 মি (65 ফুট)।
উইং স্পান : 13.95 মিটার (45 ফুট 10 ইঞ্চি)।
উচ্চতা: 4.74 মিটার (15 ফুট 7 ইঞ্চি)।
উইং এলাকা: 78.8 মিঃ² (848.1 ফুট²)।
খালি ওজন: 18,000 কেজি (39,680 পাউণ্ড)।
লোড ওজন: ২5,000 কেজি (55,115 পাউণ্ড) সাধারণ মিশন ওজন, ২9২70 কেজি (64,530 পাউণ্ড) সম্পূর্ণ লোড
সর্বোচ্চ। টেকঅফ ওজন: 35,000 কেজি (77,160 পাউণ্ড) ।
জ্বালানি ক্ষমতা: 10,300 কেজি (22,700 পাউণ্ড) ।


পারফর্মেন্স ;

#সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ১৭০০ কিলোমিটার পার ঘন্টা । রেঞ্জ ৩৫০০ কিলোমিটার ।
#বন্দুক: একটি ৩০ মিমি এর Gryazev-Shipunov GSh-301 লেভকন স্বয়ংক্রিয় ক্যানন । এই ক্যাননের সাহায্যে প্রতি মিনিটে ১৮০০-২০০০ গুলি ফায়ার করা যায়



# হার্ডপয়েন্ট: ১২ টি হার্ডপয়েন্ট (৬ টি বিমানের অভ্যন্তরীণ, 6 টি বহিরাগত) ( হার্ডপয়েন্ট দিয়ে এয়ার ট এয়ার ৬ টি মিসাইল ,এয়ার টু স্পেস ৪ টি মিসাইল , এন্টি জাহাজ মিসাইল ২ টি ও এন্টি বিকিরন মানে পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র মিসাইল ৪ টি বহন করেত পারবে । )
মিসাইল টাইপ :
এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল:
4 × RVV- এমডি
2 × R-73
এয়ার-টু-স্পেস মিসাইল:
4 × Kh-38ME
এন্টি জাহাজ মিসাইল:
2 × kh -35 E
এন্টি বিকিরণ ক্ষেপণাস্ত্র:
4 × kh-58 UShkE.



আমেরিকান জঙ্গী বিমান এফ-35 এর চেয়ে আকারে ছোট হওয়ায়, অধিক মিসাইল বহন করার ক্ষমতা ,উন্নত এভিয়েশন সিস্টেম সমৃদ্ধ এক অপ্রতিদ্বন্দী জঙ্গী বিমান হতে হলছে রাশিয়ান সু-57।

সু-৫৭ নিয়ে আরেকটি চমকপ্রদ খবর হল ,ট্রাম্প প্রশাসনিক মহলে নিউক্লিয়ার পোস্টার রিভিউ (এনপিআর) তে পারমানবিক শক্তিধর
স্ট্রাইক বিমান হিসেবে গন্য করা হয়েছে ,ধরা হচ্ছে সু-34 (রাশিয়ার বর্তমান পারমানবিক স্ট্রাইক বিমান ) এর পরিবর্তে সু-৫৭ ব্যবহার করা হবে ।

এনপিআর আরো যুক্তি দিয়েছে যে রাশিয়া প্রায় 2000 পারমাণবিক যুদ্ধক্ষেত্রের অ-কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রাগারের অস্ত্র আধুনিকায়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: স্টিলথ প্রযুক্তির ব্যাখ্যা সুন্দর হয়েছে। রাশিয়ান পুরানো ফাইটার গুলা আমাদের কাছে আর না বেচলে ভাল হয়!মিগ ২৯ নিয়া এমনিতে জাতি ঝামেলায় আছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ঠিক বলছেন

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


স্টিলথ প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানতাম না। ভাল লাগলো।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০২

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সুকোই-সু 57??? প্রথম ছবিটাতো সুখোই সু ৩৫ বিমানের??? তবে লেখাটা তথ্যপূর্ণ।

এসব বিমানে কি আসলেই বন্দুক/কামান থাকে??? যেই গতিতে চলে, তাতে বিশ্বাস হয় না।।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: কামান না ঠিক বন্ধুক সঠিকভাবে বলতে গেলে ক্যানন থাকে । প্রথম পিকটা ভুলে চলে আসছে । ক্যাননের পিকটা জুড়ে দেওয়া হয়ছে ।ধন্যবাদ ।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



দুষ্টের হাতে ভয়ংকর অস্ত্র।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: সবাই তো অস্ত্র বানাচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.