![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) "একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।"- অসমাপ্ত আত্মজীবনী ।
২)" প্রধানমন্ত্রী হবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন, তা আমি সারাজীবন মনে রাখব। অত্যাচার, নিপীড়ন এবং কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠকেও আমি ভয় করি না। কিন্তু জনগণের ভালোবাসা যেন আমাকে দুর্বল করে ফেলেছে।" -অসমাপ্ত আত্মজীবনী ।
৩) " বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব হিসেবে আমি চাকরি করেছি তিন বছর। শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর দেয়া একটি আদেশনামার কথা দিয়ে শুরু করতে চাই। বঙ্গবন্ধু একদিন বললেন এই আদেশনামা লিখে নিয়ে আসো। সেখানে লেখা ছিল ‘পাবলিক সেক্টরে যে সকল নিয়োগ হবে তাতে ১০ শতাংশ মেয়েদের নিয়োগ থাকবে।’ এর মানে নারীদের ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন অনেক আগে। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মিশতেন একেবারেই অন্যভাবে। একবার এক সফরে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা যাবেন তাদের একটি নথি দেখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কফিলউদ্দিন সাহেব বললেন, এত লোক না গেলে চলে না। বঙ্গবন্ধু তাকে কিছু বললেন না।
মাহমুদ সাহেব নামের তালিকা কাটতে শুরু করলেন। অর্থাত্ ভয় পেয়ে কাউকে দায়িত্ব পালন করতে হতো না। জহুরুল হক নামে একজন কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসার দেখা করতে আসলেই বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে যেতেন। এটা নিয়ে সবার কৌতূহল ছিল। একদিন বঙ্গবন্ধু নিজেই আমাদের জিজ্ঞেস করলেন তোমরা জহুর ভাইকে চেন? পরে আমরা জানতে পারি জহুর ভাই হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ইংরেজিতে কিছু লিখলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীও কখনো কাটতেন না। বঙ্গবন্ধু এভাবেই গুণীদের সম্মান জানাতেন।” - ড. মসিউর রহমান ।
৪) "বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৪৪ সালে। তখন আমি স্কুলের ছাত্র। কুষ্টিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসেছিলেন। এরপর ঢাকা, কলকাতা, লন্ডনে নানা জায়গায় তার সঙ্গে রাজনৈতিক নানা আয়োজনে, সংগ্রামে একসঙ্গে ছিলাম আমরা।
১৯৬৬ সালে ৬ দফা দেয়ার পর সারাদেশে একের পর এক জায়গায় যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু। মিটিং করছেন, বক্তব্য রাখছেন আর গ্রেফতার হচ্ছেন। জেল থেকে ফিরছেন তো আবার মাঠে ময়দানে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু কখনো কেনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছপা হতেন না। তিনি তার রাজনৈতিক জীবনেও সেই চর্চা করে গেছেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর বিষয়টি একরকম গুরু-শিষ্যের মতো। কিন্তু তিনি সেখানেও কোনো অন্যায় কিছু থাকলে তা তুলে ধরতেন। আমাদেরকেও বলতেন সেই একই চর্চা করতে।" - ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম বলেন ।
৫) ‘আমি কী চাই? আমি চাই বাংলার মানুষ পেটভরে ভাত খাক। আমি কী চাই? আমার বাংলার মানুষ সুখী হোক। আমি কী চাই? আমার বাংলার মানুষ হেসে-খেলে বেড়াক। আমি কী চাই? আমার সোনার বাংলার মানুষ আবার প্রাণভরে হাসুক।’ - ১৯৭২ সালের এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু ।
৬) "বঙ্গবন্ধু তাঁর মা-বাবাকে অসম্ভব ভালোবাসতেন। তিনি লিখেছেন, “আমার ওপর আমার মা-বাবার টান যে কত বেশি সে কথা কাহাকেও বোঝাতে পারব না। তাঁরা আমাকে ‘খোকা’ বলে ডাকেন। মনে হয় আজো আমি তাঁদের ছোট্ট খোকাটি। পারলে কোলে করেই শুয়ে থাকে। এই বয়সেও আমি আমার মা-বাবার গলা ধরে আদর করি।” মা খোকার কাছে একবার জানতে চেয়েছিল, ‘বাবা, তুই তো পাকিস্তান পাকিস্তান করে চিৎকার করেছিস, কত টাকা খরচ করেছিস—এ দেশের মানুষ তো তোর থেকেই পাকিস্তানের নাম শুনেছিল, আজ তোকেই সেই পাকিস্তানের জেলে কেন নেয়?" - কালের কন্ঠ পত্রিকা(আব্দুল মান্নান )।
৭) "বঙ্গবন্ধুকে যে সেলে রাখা হতো সেই সেলের কাছেই ছিল পাগলা গারদ। কেউ জেলে থাকতে থাকতে পাগল হয়ে গেছে, কেউ বা পাগল বলে পরিবারের লোকজন জেলে দিয়ে গেছে। রাতে প্রায়ই পাগলরা চিৎকার জুড়ে দিত, যার ফলে শেখ মুজিব ঘুমাতে পারতেন না। শেখ মুজিব বেগম মুজিবকে বলেছিলেন, ‘যদি কোনো দিন পাগল হয়ে যাই, তবে পাগলা গারদে বা জেলের পাগলখানায় আমাকে দিয়ো না।’ পূর্ব বাংলার গভর্নর মোনেম খাঁ শেখ মুজিবকে একেবারে সহ্য করতে পারতেন না।
তিনি আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন শেখ মুজিব সম্পর্কে সব সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। যখন চারদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতন চলছে, তখন শেখ মুজিব লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় মোনেম খাঁ সাহেব পশ্চিম পাকিস্তান গিয়ে কোনো কোনো বন্ধুর কাছ থেকে বুদ্ধি নিয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন এটা পূর্ব বাংলা, পশ্চিম পাকিস্তান নহে! আন্দোলন করা এবং নির্যাতন সহ্য করার ক্ষমতা এরা রাখে।"- কালের কন্ঠ পত্রিকা (আব্দুল মান্নান)
৮) "আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।"- ফিদেল কাস্ত্রো ।
৯) "মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে ।"
- উইলিবান্ট ।
১০) "কোনো জেল জুলুমই কোনোদিন আমাকে টলাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভালবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে ।" - বঙ্গবন্ধু ।
১১) "তাকে যখন প্রথম দেখি তখন তিনি শুধু শেখ মুজিবুর রহমান।১৯৪৯ সালের মার্চ মাস।তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ তেজী নেতা শেখ মুজিব।
এই আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন অলি আহাদ,কে,জি মোস্তফা এবং আরও কেউ কেউ।শেখ মুজিবের নেতৃত্ব আমরা কিছুসংখ্যক সাধারণ ছাত্র তখন ভাইস চ্যান্সেলরের বাসভবন ঘেরাও করেছিলাম।আমার মতো ভেতর-গোজা মানুষের পক্ষে কোনো মিছিল কিংবা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া খুব সহজ ছিল না সেকালে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনের কী করে যে সেদিন ঝাপিয়ে পরেছিলাম তা ভাবলে এখনও বিস্মিত হই।সেদিন ভাইস চ্যান্সেলরের সবুজ পাতা-অলা ছোট ছোট গাছের বেড়া-ঘেরা বাসভবনের সামনে,মনে পড়ে,দশাসই ঘোড়সওয়ার পুলিশের তাড়া খেয়েছিলাম।
একটি বলবান অশ্বের খুরের ঠোকর আর পুলিশের ব্যাটনের বাড়ি খেতে খেতে বেচে যাই কোনোমতে।দীর্ঘকায়,কান্তিমান শেখ মুজিব তার কথা এবং জ্বলজ্বলে দৃষ্টি আমাদের অনুপ্রানিত করছিলেন,জাগাচ্ছিলেন সাহস।সেদিন ঘোড়ার পায়ের নিচে পড়ে থেৎলে গেলেও হয়তো কোন খেদ থাকত না। আসল নেতার প্রেরণা শক্তি বোধহয় এ রকমই হয়।"- শামসুর রাহমান ।
১২)"যখন তুমি কোন ভদ্রলোকের সাথে খেলবে তখন তোমাকে ভদ্রলোক হতে হবে,
যখন তুমি কোন বেজন্মার সাথে খেলবে তখন অবশ্যই তোমাকে তার চাইতে বড় বেজন্মা হতে হবে। নচেত পরাজয় নিশ্চিত।"-বঙ্গবন্ধু ।
১৩) "সাত কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না।" - বঙ্গবন্ধু ।
১৪) " জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই কথা মনে রাখতে হবে। আমি বা আপনারা সবাই মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সাথে আর কিছুই নিয়ে যাব না। তবে কেন আপনারা মানুষকে শোষণ করবেন, মানুষের উপর অত্যাচার করবেন?" - বঙ্গবন্ধু ।
১৫) ""শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন,সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত- বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।"- হুমায়ুন আজাদ ।
১৬) ''শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত।তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন।তারঅনন্যসাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও
আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল।''–ইন্দিরা গান্ধী ।
১৭) " “শেখ মুজিব নিহত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাকে হত্যা করতে পাকিস্তানীরা সংকোচবোধ করেছে।”
-বিবিসি-১৫ আগস্ট ১৯৭১।
১৮) " শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই এর সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুইয়ের মত তিনি এ দাবী করতে পারেন আমিই রাষ্ট্র।" -পশ্চিম জার্মানী পত্রিকা।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখলে আসলে শেষ করা যাবেনা । তার মত নেতা একবারই জন্মায় । কষ্ট হয় যখন দেখি ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ভণ্ডামি চলে ,তার মত মহান নেতার আদর্শ নিয়ে এদেশে এখন জোতচুরি চলে অথচ তিনি একজন বিশ্বমানের নেতা । তার কাছ থেকে আমরা কিছুই শিখতে পারিনি ।
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: যতদিন থাকবে এই বাংলা ,ততদিন রবে বঙ্গবন্ধু
২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: দারুন লাগল।
এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলারমানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়। .... বঙ্গবন্ধু
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: এখন কি স্বাধীনতা পুর্ণ হচ্ছে ?
৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
রাজীব নুর বলেছেন: গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ একটা ছেলে প্রথম ক্লাশ করতে এসেছে। ছেলেটির বয়স সাত বছর। তাকে নিয়ে এসেছে- তার বড় বোন ফাতেমা বেগম। ছেলেটি হাসি মুখে ক্লাশে রুমে ঢুকে প্রথম বেঞ্চে বসল। অন্য ছেলেদের মতন সে কোনো কান্নাকাটি করল না।
এই সাহসী বালকের মায়ের নাম সায়েরা খাতুন। স্কুল ছুটির পর বালক একা একা হেঁটে বাসায় ফিরল। তার মেজ বোন আছিয়া বেগম ভাইকে আনতে স্কুলে যেতে চেয়েছিল- কিন্তু বালক চিৎকার করে বলেছে- আমি একাই আসতে পারব- এতটুকু পথ।
এই বালক ১৯৩৮ সনে আঠারো বছর বয়সে ফজিলাতুন্নেসা নামক এক তরুনীকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আজ তাকে নিয়ে ব্যবসা হয়, ভাবলেই গা গুলিয়ে ওঠে।
তিনি বেঁচে থাকবেন বাংলার মাটির সোঁদা গন্ধের সাথে, চিরকাল