নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো উন্নয়নের পথে

মোঃ এমদাদুল হক দেওয়ান (লিয়াকত )

আমি একজন গারমেটস কর্মী।

মোঃ এমদাদুল হক দেওয়ান (লিয়াকত ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনা ফলাও কর্ম ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

০১
শিক্ষা নিলাম বিদ্যালয়ে
বস হব সে ভাবনা নিয়ে,
এখন আমি যাই কি করে
কলম ছেরে লাংগল ধরতে?
ভুল ধারনায় পাইছে তোরে
শিক্ষা নিছ গ্যান অর্জনে,
গ্যান খাটালে কৃ্ষি কাজে
বৃ্দ্ধি পাবে ফলন তাতে।
অর্থণৈতিক মুক্তি আনতে
শহায়ক যা সবার আগে।
===================
০২
কিরে ব্যাটা ভবঘুরে
দেশের খেয়ে, দেশের পরে
দেশের সময় নষ্ট করে
ভাবিস্ কি তুই বসে বসে?
লাগ না কাজে, ভাবনা ছেরে
সোনা ফলা কর্মক্ষেত্রে
অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে।
----------------------
০৩
ভয় কিরে তোর মজুর দিতে
মুল্যায়ন তোর কমে যাবে?
তাই কিরে তুই বসে বসে
ধান্দা করিস্ কেমন করে
খাটনি বিনা পয়সা মিলে?
আঘাত হানিস জনমনে
হরন করিস সমাজ হতে
সুখ সান্তি সব কিছুকে।
ক্যান, বোকা তুই ভাবিসণেরে?
বাড়বে ফলন কর্মক্ষেত্রে
ধান্দা ছেরে মজুর দিলে
যে ফলনটি লাগবে কাজে
অরথনৈতিক মুক্তি আনতে।

===================
০৪
লাভ কি কাজে ফাঁকি দিয়ে
পারিস কি তুই বাইরে ঘুরে
দু-চার মিনিট রিল্যাক্স করতে?
দু-চার পয়সা বারতি পেতে
পারিস কি তুই বাইরে যেয়ে
অন্য কোন ধান্দা করতে?
কাজে ই যখন থাকিস লেগে
তবে কেন আনমনাতে
ফাঁকি মারিস নিজের কাজে?
যদি,কাজ না করিস সময় ব্যয়ে
কেমন করে সক্ত হবে
অর্থনীতি দেশের মাঝে?
==============
০৫
শীক্ষিত তুই, চাকুরি খুজিস প্রশাসনে
না পেলে তুই, থাকিস বসে বেকার সেজে।
এ সূযোগে
অভাব তোকে ঠেলে দেয় যে দিনে দিনে
অসত কাজে, গাজা মদের ছোবল খেতে।
পারিসণে তুই হাত লাগাতে
কুটীর শীল্পে নিপুন ভাবে?
যা হতে তুই পয়সা পাবি সংসারেতে
দশ ভাইও তোর পেট চালাবে,
তোর কাজেতে মজুর দিয়ে।
সোনা রূপে
ফলাস যদি ফলন তাতে
চলবে যে তা বিদেশেতে।
পয়সা এলে বিদেশ হতে
অর্থনীতি শক্ত হবে।
====================
০৬
দূর্ঘটোনা ঘটলে রোডে
গালি মারে সবাই মিলে
চালক ব্যাটাকে মূর্খ বলে।
নাই কি কেহ ভার্সিটিতে
আসবে যারা চালক হয়ে
লেখা পড়া করার শেষে?
নিয়ম মাফিক গারী চালাতে
দূর্ঘটনা কমিয়ে এনে
মানব সম্পদ রক্ষা করতে।
যদি প্রস্ন কর, বল কি হে
বড়, বড় ডিগ্রী নিয়ে
গাড়ী চালাব রাস্তা-ঘাটে?
বলব আমি কেন বাহে
ডিগ্রী থাকা, নাই কি তাদের অধীকারে?
ভাল-মন্দ বোঝার জন্যে
যারা, চালায় গাড়ী রাস্তা-ঘাটে।
===========================
০৭
শহর কিংবা গ্রাম-গঞ্জতে
যে জায়গাটা ভাল বেশি
সবাই সেথায় আবাস গড়ে।
সমাজ কিংবা দেশের মাঝে
যে মানুসটি ভাল বেশি
সবাই তাকে ভাল বাসে।
হাট বাজার ও শপিংমলে
যে বস্তটি ভাল বেশি
বিক্রী হয় তা অধিক দামে।
উপাদান তার মুখ্য নয়রে
তৈরি যেটা ভাল বেশি
বিক্রী হয় তা অধীক হারে।
পন্য দ্রব্য বিক্রি হলে
অধীক দামে বেশি বেশি
মূণাফা হয় অধীক হারে।
যে মুনাফায় গড়ে উঠে
শক্তিশালী অরথনীতি।
অরথনৈতীক মূক্তী আনতে
প্রত্যেককেই নিজের কাযে
হওয়া উচিত তাই মনযোগী।
=======================
০৮
লজ্জা কিরে ভীক্ষা ছেরে
বাজারেতে দোকাণ দিলে,
দোকান্দারীর চাকুরি নিতে
পা যদি তোর নাও থাকে।
লজ্জা কিরে ভীক্ষা ছেরে
কল চালাতে মেসিন ঘরে,
দেশের কাজে সময় দিতে
যদিও তুই বোবা হসরে।
লজ্জা কি তোর ভীক্ষা ছেরে
বাসন মাঝতে হোটেলেতে
চোখ যদি তোর একটি থাকে।
লাভ কিরে তোর ভীক্ষা করে
বাচ্চা একটি কোলে নিয়ে,
পারিসতো তুই সময় দিতে
চাইল্ড কেয়ারে বাচ্চা রেখে
দেশের কোন কর্মক্ষেত্রে।
যার বিনিময় দেশের মাঝে
অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে।
====================
০৯
কৃষক তুমি দূঃখ কর কেন
অফিস ছেরে ফসল ফলাও বলে?
একেই তুমি কর্ম ক্ষেত্র যেন
তাদেরই মত
যারা আছে কর্মরত অফিস আদালতে।
অফিসারগন চেয়ারে বসে মানব সেবায় রত
তমিওত ফসল ফলাও মাঠে
যে ফসলে মিটায় খুধা ভূখা আছে যত।
কৃষক তুমি দূঃখ কর কেন
অস্র ছেরে লাঙ্গল চালাও বলে?
একেই তুমি কর্মক্ষেত্র যেন
তাদেরই মত
শত্রু নিধন করছে যারা অস্র নিয়ে হাতে।
সেনারা সব অস্র হাতে দেশের সেবায় রত
তুমিওত ফসল ফলাও মাঠে
যে ফসলের পয়সা ব্যায়ে যোগায় তাদের অস্র।
কৃষক তুমি দূঃখ কর কেন
ভাষন দেয়ার পাওনা সূ্যোগ বলে?
জমিই হল কেন্দ্র বিন্দু,একেই তুমি করম ক্ষেত্র যেন
তাদেরই মত
যারা, অভাব মূক্তির অঙ্গিকারে গরম করে মঞ্চ।
কারন, তোমার চাষের ফলনই যে
অভাব মুক্তির যন্ত্র।
দেশের ক্রিষক, বন্ধু আমার, হাসো
ফলাও সোনা জমির মাঝে,
অভাব হতে দেশকে কর মুক্ত।
=======================
১০
ভোখা তুই কাঁদিস কেনে
মিটবে ক্ষুধা চোখের জলে?
কটি ধর সক্ত করে
লাঙ্গল চালা মাঠে,
ফলবে সোনা ফসল রুপে
মিটাতে তোর ক্ষিধে।
==============
১১
সোনার বাংলায় সোনা ফলে
যথেষ্ঠ নয় কিন্তু তা যে
জনসংখ্যার অনুপাতে।
চলবে না যে জীবন তাতে
জমাজমি যাহা আছে
মাথা পিছু ভাগ বন্টনে।
ভিন্ন উপায় খুজতে হবে
এখন হতে।
বিনিয়োগ করে শিল্প খাতে
অর্থ করি আনতে হবে
বিদেশ হতে।
উৎপাদনের মান বারাতে
মনযোগী হতে হবে
শ্রমজীবি মানুষ জনকে।
=====================
১২
পুজিপতি দেখ চেয়ে
নষ্ট করি সময় বসে
কাজ না পেয়ে মেশিন ঘড়ে।
শক্তি আছে বুদ্ধি আছে
সময় কাটাই তবুও বসে
অনাহারে অর্ধাহারে
উপার্জনের সূযোগ নাই যে।
লাভ কি পুজি আটকে রেখে?
খাটাও যদি উৎপাদনে
কর্মসংস্থান বাড়বে দেশে
বাড়বে পুজি দিনে দিনে।
তোমার দেয়া শুল্ক পেয়ে
শ্বদেশটিও এগিয়ে যাবে।
যদি
ফলাই সোনা কাজের মাঝে।
=================
১৩
শ্রমিক তুমি পুতুল বানাও
জাহাজ বানাও ডকে।
চিনা মাটির বাসন বানাও
আগুনেতে পুড়ে।
টেক্সটাইলেতে কাপড় বানাও
সুতা নিয়ে খেলে।
নকশীকাথা কভু বানাও
বসে নিজের ঘড়ে।
যে যাই বানাও
স্বপ্ন একই
আনবে টাকা ঘড়ে।
বেচার বেলায় দেখতে যে পাও
সেটাই বেশি চলে ,
খদ্দের যেটা বলে ভাল
মানটি যাচাই করে।
যে যাই বানাও
নিষেধ নাহি,
আনতে টাকা ঘড়ে।
মান যদি তার কর ভাল
থাকবে না যে পরে।
=================
১৪
লেখা পড়া করার শেষে
কর্মী হতে কাজে লাগে।
কাজে লেগেই পারে না সে
কল চালাতে নিজে নিজে,
যেমন প্রয়োজন তেমন ভাবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে
অভীজ্ঞদের দায়ীত্ব যে,
কাজ শিখানো স্বজতনে
নতুন কেহ লাগলে কাজে।
তা না হলে কেমন করে
ফলবে সোনা উৎপাদনে ?
নতুন যারা লাগবে কাজে
তাদের হাতের মেশিন হতে?
=================
১৫
জড়িনা তুমি বলবে আমায়
সত্যি করে একটি কথা।
ফলোয়াপে রাখলে তোমায়
ঘন্টা প্রতি কাজ কর যা,
না থাকলে কেউ নাকের ডগায়
ঘন্টায় ঘন্টায় কমে কেন তা?
স্যার
ধরে না যে আমার মাথায়
কাজ ছেরে কেন বলি কথা।
না কাটালেও সময় কথায়
মনে আসে স্থবিরতা।
যদিও বুঝি,পাইনে যে তায়
আরাম-আয়েশ কোন ফায়দা।
জড়িনা
একটি কথা বলব তোমায়
মনের মাঝে দিলে জায়গা
তা হল ভাই, দায়ীত্ববোধ ও আন্তরিকতা।
এ দুটি গুন থাকলে মাথায়
আপনা হতেই ঘুড়বে চাকা।
না থাকলেও ফলোয়াপার
ফলো করতে নাকের ডগায়
নিজেই হবে নিজের কর্তা।
কাজের গতি নীচে নামায়
নিজেই পাবে মনে ব্যাথা।
দেশটি যে আজ এটিই চায়
বৃদ্ধি করতে তার মুনাফা।
গড়তে দেশে সে মুনাফায়
নতুন নতুন কল কারখানা।
=====================
১৬
পুজিপতি মেশিন কিন
কর্মক্ষেত্র বৃদ্ধি কর।
কাজে লাগাও বেকার যত
দারিদ্রতার শিকল ছির।
=================
১৭
শোন দেশের শ্রমিক বৃন্ধ
শক্তি ব্যয়ে কর্ম ক্ষেত্র
করতে পার সবাই বড়।
আসবে নতুন মেশিন পত্র
বড় হলেই কর্মক্ষেত্র ।
আসবে নতুন মেশিন যত
কাজ পাবে যে বেকার তত।
ভেবে দেখ শ্রমিক বৃন্ধ
কমিয়ে আনতে বেকারত্ব
দ্বীতিও আর নাই যে মন্ত্র ,
বৃদ্ধি ছারা কর্মক্ষেত্র ।
পূজনীয় শ্রমিক বৃন্ধ
কাজ করে তাই বৃদ্ধি কর
দিনে দিনে কর্মক্ষেত্র
কমিয়ে আনতে বেকারত্ব ।
বেকারগন যে তোমারই কেহ
কাজ পেলে যে ,পাবে অর্থ।
নিজের আয়ে চললেইত
সংসারের ঐ বেকার অংশ ,
কমে যাবে তোমার কষ্ট ।
=====================
১৮
দ্যাখনা শ্রমিক চক্ষু মেলে
লখ্য বেকার ঘুরছে দেশে ।
নতুন মেশিন আসলে তবে
এরাও সবে
শ্রমিক হওয়ার সূযোগ পাবে ।
কিন্তু কবি
পুজি যদি আটকে রাখে
পুজিপতির সিন্দুকেতে
আসবে মেশিন কেমন করে ?
আমি জানি
পুজিপতি পুজির লোভী ।
পুজির অংক করতে ভারী
যখন তখন করতে রাজি
বিনিয়োগ তার সকল পুজি ।
কাজেই তাকে দেখাও যদি
কর্মক্ষেত্রে সোনা ফলে
শ্রমিক শ্রেনির শ্রম দেওয়াতে ।
পুজি বারে দিনে দিনে
কর্মক্ষেত্রের উন্নতিতে ।
তবেই দেশে
পুজিপতি পুজির লোভে
ভাংবে তালা পেরেক দিয়ে ,
গোপন পুজি কাজে লাগিয়ে
নতুন মেশিন আনবে দেশে ।
কর্মসংস্থান বাড়বে তাতে
বেকার শ্রেনীও সূযোগ পাবে ,
খাটূনি বেচে উপার্জনে
বর্ধিত সব কর্মক্ষেত্রে ।
=================

১৯
কাজ কর ভাই কাজ কর
অর্থ কড়ি আর্ন কর ।
বসে বসে করো নাকো
অসুস্থতার ভান কেহ ।
কাজ কর ভাই কাজ কর
ভীক্ষা চেয়ে লাভ কি বল
ঘুরে ফিরে যে পাও ই কষ্ট ।
ভীক্ষার চেয়ে নয় কি ভাল
কাজ করে কেউ পেলে অর্থ ।
কাজ কর ভাই কাজ কর
কাজ না করে যদি কেহ
অসৎ পথে আর্ন কর
ভুগবে তাতে তুমি সহ
পাসে থাকা দু-চার জনও।
কাজ কর তাই কাজ কর
অভাব যাদের নাই মোটেও
তারাও সবে কাজ কর ।
কাজ করলেই আসে অর্থ
মিটে তাতে অভাব যত।
না করে তাই সময় নষ্ট
অর্থ কড়ি আর্ন কর,
কাজ কর ভাই কাজ কর ।
দেশের খাও দেশের পর
কাজ না করে যদি শুধু
দেশের সময় নষ্ট কর ,
তাহলে কি হবে কভু
দেশটি তোমার উন্নত ?
কাজ কর তাই কাজ কর ।
=============
২০
দেশের যত বেকার বল
বেকার সংঘ তৈরী কর ।
চাকুরী পেতে মিছিল কর
মিছিলেতে শ্লোগান ধর
“ পুজি পতি মেশিন কিন
কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি কর “
“ কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি করলে
খাটুনী দেব মনে প্রানে
বৃদ্ধি করতে ফলন তাতে “
“ করব ফলন কর্মক্ষেত্রে
গুন বিচারে বিশ্ব মানের ,
আনতে ধরে অর্ডার তাতে
বিদেশী সব ব্যায়ার গনের “
আসলে অর্ডার বিদেশ হতে
বাড়বে পুজি দিনে দিনে ,
ফললে অর্ডার সোনা রুপে
দিনে দিনে বাড়বে তা যে ।
যার বিনিময় দেশের মাঝে
কর্ম সংস্থান বাড়তে থাকবে
অর্থ নীতিও চাঙ্গা হবে ।
=================
২১
কে যাবি আয় উন্নয়নের পথে
দামী পোষাক, সার্টিফিকেট
ষ্ট্যাটাস আর আরাম আয়েশ
সকল কিছু ভুলে ।
ধরতে লাঙ্গল শক্ত করে
ধান ফলাতে মাঠে ।
কে যাবি আয় উন্নয়নের পথে
যায়গা জমি যাদের নাইরে
নাইরে মামা প্রশাসনে
আয় তোরা সব মেশিন ঘরে ,
মন লাগাতে উৎপাদনে
ছোট বড় বিচার না কেউ করে ।
কর্মসংস্থান বাড়বে দেশে
দেখতে পাবি দিনে দিনে
ফলে যদি সোনা তোদের কাজে ।
বেকার সময় লাগবে কাজে
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেলে ,
উন্নতি যে হবেই তাতে দেশে ।
নিবেদন তাই বেকার গনকে
তত্বটিকে দেখতে ভেবে ।
তত্ব যদি সত্য হয়রে
বেকার গনের বিচারেতে ,
তবে আয়
আয়রে সবে উন্নয়ের পথে ।
================
২২
শুধু শ্রমিক নইরে
বাবাও আমি ।
কাজেই আমায় ভাবতে হবে
কর্মক্ষেত্রে কাজে বসি ।
নতুন ক্ষেত্র গড়তে হবে
যেখানেতে আসবে বসি,
সন্তান আমার পড়ার শেষে
উপার্জনে অর্থকড়ি ।
শুধু শ্রমিক নহি
মা ও আমি ।
তাইত ভাবি কাজে বসি ।
থাকলে মেশিন আর দু-চারটি
চাকরী পেত সে মেয়েটি
স্বামীর সাথে, হয়েছে যার ছারাছারি ।
আইভুরুটার হত গতি
হচ্ছে না যার বিয়ে সাদি ।
শুধু শ্রমিক নইরে
বোন ও আমি ।
কর্মক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে
বাড়তি যায়গা তাইত খুজি,
নেশাগ্রস্ত বেকার ভাইকে
চাকুরী দেব বলি ।
শ্রমিক হলেও ভাই আমি যে
ভাবি তাই কাজের ফাকে ,
কর্মসংস্থান না বাড়ালে
কোথায় মানুষ মজুর দেবে
আসছে যারা ক্ষনে ক্ষনে ?
আসবে যারা সনে সনে
লেখা পড়া করার শেষে ,
কোথায় তারা লাগবে কাজে
কর্মজীবন শুরু করতে ?
কিন্তু আমি কবি বলে
নাই হতাশা মনে ।
ভাবী শুধু বসে বসে
হবে হবে , সবই হবে ।
যারা আছে কর্মক্ষেত্রে
তারা যদি মিলে মিশে
ফলায় সোনা কর্মক্ষেত্রে ।
===================

২৩
পজি পতি খাটাও যদি
তোমার পুজি দেশে ,
কর্মসংস্থান পাবে বৃদ্ধি
তোমার দেশের মাঝে ।
সূযোগ পাবে দেশের কর্মি
অর্থ উপার্জনে ।
বেকার হবে শ্রমজীবি
কাজে লাগার ফলে ।
পুজি পতি, লাভ যে তোমার একই
লাগাও যদি তোমার পুজি বিদেশেতেও কাজে ।
বারতি সূযোগ পাবে তুমি
দেশের সেবক হতে ।
বিদেশে নয় তোমার পুজি
খাটাও যদি দেশে ।
কর্মসংস্থান পেলে বৃদ্ধি
তোমার পুজির বলে ।
শক্ত হলে অর্থনিতি
বারতি রুজির ফলে ।
=======================
২৪
স্বাধীন স্বদেশ ও অর্থ প্রাপ্তী
দুটোর মিলনেই আসল মুক্তি ।
স্বাধীণ স্বদেশ পেলেও জাতি
উপার্জনে পায়নি গতি ।
উপার্জনে পেতে গতি
গড়েনি যে দক্ষ কর্মী ।
গড়লে এ দেশ দক্ষ কর্মী
ঊৎপাদনে বাড়বে গতি।
দক্ষ হাতের ছোঁয়া লাগি
ফলবে ফলন সোনা রুপী ।
রফতানী আয় বাড়বে বেশী
আমদানী ব্যয় আসবে নামি ।
হবে দেশের অর্থনিতি
দিনে দিনে শক্তিশালি,
অর্থের রিজার্ভ হওয়ায় ভারী ।
স্বাধীনতার পাশাপাশি
স্বচ্ছলতাও পাবে জাতি ।
===============
২৫
শিল্প বাঁচাও শ্রমিক বাঁচবে
সর্ব খাতে উন্নতি হবে ।
শিল্প বাড়াও শ্রমিক হবে
দেশে যারা বেকার আছে ।
আয় উন্নতি বাড়বে দেশে
বেকার শক্তি লাগলে কাজে ।
শিল্প বাড়াও শ্রমিক হবে
দেশে যারা বেকার আছে ।
সমাজ জীবন স্বস্তি পাবে
বেকার মগজ বন্দি হলে ,
নির্ধারীত কাজের মাঝে
অসামাজিক ধান্দা ছেরে ।
================


২৬
রক্ষা করতে স্বদেশ ভূমি
মাধ্যম যেমন সেনা শ্রেনী।
ঊণ্ণয়নেরও মাধ্যম তেমনি
দেশের দক্ষ শ্রমিক শ্রেনী।
কাজেই এসো কুচিং খুলি
তৈরী করতে যোগ্য শ্রমিক।
যেমনি ভাবে তৈরী করি
দেশ রক্ষার্থে যোগ্য সৈনিক।
উপার্জনে অর্থ কড়ি
ঘটাতে বিপ্লব অর্থনৈতিক।
===============
২৭
দেশের সকল কর্ম ক্ষেত্রে
অভীজ্ঞ জন যারা আছ ,
তাঁরা সবাই ট্রেনিং দিয়ে
জুনিয়রদের তৈরী কর ।
কোয়ালিটিফুল কাজের জোড়ে
দখল করতে বহিঃবিশ্ব ।
তা না হলে আসবে নারে
বিদেশ হতে অর্ডার পত্র ।
মেশিন দেশের চলবে নারে
বৃদ্ধি পেলেও কর্ম ক্ষেত্র ।
=============

২৮
দক্ষতা দাও সোনা দেব
ফলিয়ে কর্মক্ষেত্রে।
মেশিন দিলেই ফলন দেব
স্বচ্ছলতা আনতে।
উৎপাদন হার বাড়িয়ে দেব
পুজি বৃদ্ধি করতে ।
অর্থ নিতি সক্ত করব
বাড়িয়ে পুজি দেশে।
সক্তিশালী হবে দেশও
পুজি বৃদ্ধির ফলে ,
সক্ত সবল শ্রমিক সুংঘ
গড়ে উঠলে দেশে ।
===============
২৯
যারে
পাগল হয়ে খুজ তুমি
আকাশের ঐ নীলে ।
পাওয়ার জন্য যারে তুমি
ঘুমাওনা যে রাতে ।
ধরতে যারে ছোট তুমি
ছায়াপথের মাঝে ।
সে যে
ছায়ার মত সারাক্ষনই
থাকে তোমার পাশে ।
খুলেনা সে মুখোশ খানি
তোমায় ধরা দিতে।
বেকারত্বের কষ্টখানি
তুমিও পাবে বলে ।
তবে
পাবে তারে প্রেম পিয়াসী
খুজা খুজি ছেরে ,
খুজার সময় লাগাও যদি
দেশের উন্নয়নে ।
কর্ম সংস্থান পেলে বৃদ্ধি
উন্নয়নের ফলে ।
পেলে সেও কর্মখালি
খোজ তুমি যারে।
হাত বাড়িয়ে ধরবে চাপি
তোমায় বুকের মাঝে ।
পেলেই সে অব্যাহতি
বেকার জীবন হতে ।
================
৩০
ভাই বিদেশে পাঠায় টাকা
সবাই বসে ভাংগিস যে তা
না করেও লেখা পড়া ।
লাগলে কাজে সবাই তোরা
মাসে মাসে জমত যাহা ।
পাওয়া যেত সহায়তা
বৃদ্ধি করতে স্বচ্ছলতা ।
কিন্তু চাচা
বিদেশ কিংবা ব্যবসা ছারা
করতে পারি কি আর মোরা ?
এ মহুর্তে পারি না যা
না থাকাতে টাকা পয়সা ।
বাবা
ব্যবসা কেন চাষ করনা
বাড়ীর পাশের পুকুর খানা ।
হাতে এনে নিপূনতা
সবাই মিলে তৈরী করনা
নিত্য নতুন নকসী কাঁথা ।
বিদেশেতে পাঠালে যা
দেশের মাঝে আসবে টাকা ।
================
৩১
কাজ শিখালে জুনিয়রকে
সূযোগ খুজে ক্ষনে ক্ষনে
বসবে নিজে কেমন করে
বস সরিয়ে তার আসনে ।
পুজি পতিও সূযোগ বুঝে
কম খরচে কাজ করাতে
অভীজ্ঞদের বিদায় করে ।
দেশের কালচার এমন হলে
জন্ম নেবে কেমন করে ?
নতুন শ্রমিক দেশের মাঝে
কাজ শিখে সে বেকার হতে।
স্কুল কলেজও নাই তেমন যে
ট্রেনিং দিয়ে গড়তে পারে
দক্ষ শ্রমিক দেশের জন্যে ।
যাদের কাজের বিনিময়ে
ফলবে সোনা কর্মক্ষেত্রে ।
এমন নিয়ম চললে দেশে
লাভ কি হবে বৃদ্ধি করে
নতুন মেশিন দেশের মাঝে ?
ফলবে না যে ফলন তাতে
যেমন প্রয়োজন তেমন রুপে
দক্ষ সেনার অভাবেতে ।
কিন্তু দেশের সেনা ক্যাম্পে
দিচ্ছে ট্রেনিং যেমন করে ,
দক্ষ সেনা তৈরী করতে
সিনিয়রগন জুনিয়রকে ।
ট্রেনিং পেয়ে কেউ র্যাং কে উঠলে
ট্রেনিং দাতাও ঊপরে উঠে ।
হয়না ছাটাই কখনো সে
যত দিন তার বয়স থাকে ।
এমন নিয়ম চালু হলে
দেশের সকল কর্মক্ষেত্রে ,
দক্ষ শ্রমিক তৈরী হবে দলে দলে
অভীজ্ঞদের ট্রেনিং পেয়ে ।
যাদের হাতে মেশিন দিলে
ফলবে ফসল সোনা রুপে ।
বেকারত্ব আসবে কমে
ভাসবে সবে ,
উন্নয়নের জোয়ারেতে ।
===================
৩২
অভীজ্ঞ জন যদি ভাব
নিজের কাজ নিজেই করব
জুনিয়রকে বয় বানাব ।
থাকব নাকো টেনশনেতে
চাকূরী চলে যাবার ভয়ে ।
তাহলে যে জিতবে নিজে
ঠকবে দেশের জনগনে ।
আসছে যারা কর্ম ক্ষেত্রে
লেখা পড়া করার শেষে ,
শিখবে তারা কেমন করে
উন্নয়নের হাল চালাতে ।
দক্ষ শ্রমিক না গড়লে যে
লাভ হবে না মেশিন কিনে ।
পুজির অংক গুটিয়ে নেবে
পুজিপতির লাভ না হলে ।
কর্ম সংস্থান আসবে কমে
না বেড়ে তা দিনে দিনে ।
বাড়বে তাতে অশান্তি যে
বেকারত্ব বাড়ার ফলে ।
দেশের শান্তি রাখতে ধরে
ছালাম জানাই সবার তরে ,
যারা আছ কর্ম ক্ষেত্রে
অভীজ্ঞতা নিয়ে বসে ।
তোমরা আমার ভাই,বোন আমার
বন্ধু আমার শ্রমিক সমাজ ।
কিছু কথা রাখ আমার
চাকুরী নিয়ে ভেবো না আর ।
চাকুরী হাড়ানোর ভয় না পেয়ে
ভাব সবাই মুক্ত মনে ,
যেমন করে মুক্তি যুদ্ধে
মুক্তি যোদ্ধা মরছে দেশে
স্বাধীনতা পাওয়ার জন্যে ।
তেমনি ভাবে
শুধু চাকুরী নয়রে ,
জীবন দেব প্রয়োজনেতে
অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে ।
চালাও ট্রেনিং দেশের স্বার্থে
গড়তে শ্রমিক বেকার হতে ।
অভাব হতে মুক্ত করতে
দেশের সকল বেকার গনকে ।
চালাও মেশিন সবাই মিলে
বাড়াও পুজি দিনে দিনে
কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি করতে ।
======================
৩৩
আমি করম আলী
পেশা আমার দর্জিগিরি
করি শুধু কাটাকাটি ।
কাটার বাহন লোহার কেচী
কিন্তু
দৃষ্টি দিলেই কেচীর প্রতি
কেচী নহে ,শুধুই দেখি
কেচীর মাঝে মেয়ের হাসি।
হয়ত তাই
কেচী দিয়েই যে যোগার করি
মেয়ের প্রীয় আইস কিরিমের বাটি ।
=================
৩৪
জেনে রাখ স্বাধীন দেশ
ট্রেনিং পেলে হয় কি বেশ।
স্বাধীন স্বদেশ তৈরী করতে
ট্রেনিং নিল জনগনে ।
ট্রেনিং নিয়ে মাঠে ঘাটে
ধরল সবে বীরের বেশ।
ট্রেনিং পেয়ে লাংগল ছেরে
কৃষকরাও ছুরল বুলেট ,
শ্ত্রু সেনা নিধন করতে
বিদ্ধ করল বক্ষ তাদের ।
থাকল না কেউ অবশেষে
দক্ষ সেনা শোষক দলে
টিকতে পারে তারার মুখে
ট্রেনিং প্রাপ্ত জনগনের ।
হাত উঠাল সবাই মিলে
খোলে তাদের শোষক বেশ।
বুঝলে এবার স্বাধীন দেশ
করতে সাধন অসাধ্যকে
ট্রেনিংই হল আসল কেস ।
দাওনা ট্রেনিং কেন তবে
গড়তে শ্রমিক বেকার হতে ?
কাজে যে জন আছে লেগে
উন্নয়নের সূত্র মতে
তাকে আরও দক্ষ করতে ?
যার বিনিময়ে তৈরী হবে
শক্তিশালী স্বাধীণ দেশ।
==================
৩৫
মানুষ আছে যায়গা নাইরে
এমন দশা বাংলাদেশে ।
দেশ ছেরে তাই যেতে হবে
জায়গা পেতে বিদেশেতে ।
কিন্তু
দক্ষতাই ভরসা যে
একমাত্র যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
দক্ষ শ্রমিক হতে পারলে
ডাক পাবে যে বিদেশ হতে ।
বেতন ভাতাও বেশি পাবে
অদক্ষদের তুলনাতে ।
ফললে সোনা কাজের ফলে
বিদেশীদের কর্ম ক্ষেত্রে ।
ছিটিজেন সিপ তারাই দেবে
রাখতে ধরে তাদের দেশে ।
=====================
৩৬
স্বাধীনতা তুমি গর্ব কর
সৈনীকেরা বিদেশেতে
সুনাম অর্জন করছে বলে ।
গর্ব তোমার আরও হত
গড়তে যদি শ্রমিক দেশে
উপযুক্ত ট্রেনিং দিয়ে
সেনাবাহিনীর আদলেতে ।
ট্রেনিং পেয়ে ,
দক্ষ শ্রমিক বিদেশ যেয়ে
শ্রমবাজার দখল করলে ।
পারতে তুমি সবার হতে
বিদেশ হতে
অঢেল টাকা আসলে দেশে
দক্ষ শ্রমিকের কাজের ফলে ।
দেশের মাঝে ,
কল বাড়ালে দিনে দিনে
শ্রমিক শ্রেনির উপার্জনে ।
ফুটলে হাসি সবার মুখে
উপার্জনের সূযোগ পেয়ে ।
সকল শ্রেনি মুক্তি পেলে
দারীদ্রতার কবল হতে।
======================
৩৭
হস যদি তুই কাড়িগড়
দেশ গঠনে মানুষ গড় ।
পাসনি বলে যোগ্য স্থল
লাভ কি হবে কেদে বল ?
যেথায় আছিশ যাদের নিয়ে
জ্ঞ্যান ছরাস না তাদের মাঝে
গড়তে তাদের দক্ষ বল ।
তারাও যদি গড়তে পারে
তোর বদলে দেশের মাঝে
বড় বড় কর্মস্থল ।
তবুওত পূর্ন হবে
ইচ্ছে যা তোর আছে মনে ,
কাজ পাওয়াতে সে স্থলে
বেকার কিছু জনগন ।
===============


৩৮
কাড়িগড়
হয়নি বলে মূল্যায়ন তোর
ক্ষোভ রাখলে মনের ভিতর
ঠকবে জাতি, ঠকবে জনগন ।
চাওয়া পাওয়ার হিসেব ভুলে
কাজ শিখালে জুনিয়রকে ,
তুই না পেলেও কিছু নিজে
সূযোগ পাবে দেশের ছেলে
হতে কাড়িগড় ।
যার বিনিময় তারই ঘড়ে
স্বচ্ছলতা আসবে চলে ,
স্বচ্ছলতা জাতিও পাবে
দক্ষগনের কাজের ফলে ।
তোর পরেও জাতি পাবে
উন্নতি তার রাখতে ধরে
নতুন কাড়িগড় ।
==============
৩৯
সুস্থ দেহের সুস্থ মন
প্রেম পীড়িতের জন্মস্থল ।
সুস্থ থাকে দেহ ঘর
খাবার খেয়ে সারাখন,
সুস্থ থাকলে দেহ ঘর
সুস্থ থাকে দেহের মন ।
না পেলে কেউ খাবার খেতে
মন মরে তার ধীরে ধীরে ।
মরা মনের মানুষ জনে
হাত মিলায় না প্রেমের টানে
যদিও কেউ এগিয়ে আসে ।
প্রেম বলে যা ছিল আগে
পালায় তাও দিনে দিনে
দারিদ্রতার কষাঘাতে ।
কাজেই ছবি ফুটে উঠে
মাঝে মাঝেই মিডিয়াতে ।
হত্যা করে বাবা মায়ে
জন্ম দেয়া সন্তানেরে ।
পেপার ভরা বর্ননাতে
নিত্য যাহা ঘটছে দেশে
দূর্নিতি ও হানাহানিতে ।
ঘটছে সবই শুধুই যে
অভাব পূরন করার জন্যে ।
কবি
এত অভাব যে দেশেতে
সে দেশেরই মানুষজনে
বল
করবে পীড়িত কেমন করে ?
কবি
এত কিছু দেখেও কেনে
নষ্ট কর সময় তুমি প্রেমের গানে ?
ফিরিয়ে দাওনা কলম ধরে
চেতনা বোধ সবার মনে ।
“প্রেম না করে কর্মী হওরে
অর্থনৈতিক মুক্তি এনে
দেহ ও মনকে সুস্থ রেখে
প্রেমানুভূতিকে বাচিয়ে রাখতে ।“
=================
৪০
শ্রমিক শ্রেনি
নিজের কাজে দিলে ফাকি
প্রথমেতে ঠকবে মালিক
পরক্ষনেই ঠকবে তুমি ।
লোকসানেতে পরলে মালিক
বন্ধ করলে ব্যবসা খানি ।
=======================
৪১
শ্রমীক শ্রেনি
কর্ম স্থলে দিয়ে ফাকি
ভাব যদি বসে তুমি
“কাজ না হলে কর্ম স্থলে
লচ খাবেতো মালিক নিজে “
আমার তাতে যায় আসে কি ?
ঠিক নহে যে এ ভাবনাটি
যাবে যখন চাকুরি চলে
লচের ঘানি টানার ফলে
কর্ম ক্ষেত্র বন্ধ হলে ।
তখন তুমি বুঝবে ঠিকই ।
=============
৪২
শ্রমিক শ্রেনি দেখ ভেবে
কর্ম ক্ষেত্র বন্ধ হলে
তুমি শুধুই চাকুরি হারাও ।
গাড়ির চাকা ঠিকই ঘুরে
মালিক যেটা ইউজ করে
ব্যবসা তাহার বন্ধ হলেও ।
অর্থ সম্পদ না থাকাতে
পাওনা খাবার তুমি নিজে
বেতন ভাতা বন্ধ হলে ।
মালিক যায়রে হানিমুনে
নতুন ব্যবসা খুজার নামে
অর্থ সম্পদ থাকার ফলে ।
শ্রমিক শ্রেনী এবার বুঝলে
কাজ না করে ফাকি দিয়ে
কর্ম সংস্থান বন্ধ করলে
ভূগবে নিজেই মালিক নহে ।
=================
৪৩
শ্রমিক শ্রেনীর একটি দাবী
মালিক পক্ষ খাটায় বেশী
বৃদ্ধি করতে মুনাফাটি ।
শ্রমিক শ্রেনী
আসলে কি ?
সাধ্য মত পার যেটি
তার চেয়েও কি খাট বেশী ?
করতে পারে কি কোন শ্রেনী
সাধ্যের চেয়েও কিছু বেশী ?
জানি জানি
বলতে থাকে মালিক শ্রেনী
কর , কর আরও বেশী ।
শুধু মাত্র
ঠেকাতে যে ফাকি বাজি ।
=================
৪৪
এসো বেকার শ্লোগান ধরি
সেই নেতারই পিছে ,
বিপ্লবী যে দেশের মাঝে
কর্ম সংস্থান গড়তে ।
এসো শ্রমিক শ্লোগান ধরি
সেই নেতারই পিছে,
বিপ্লবী যে চালু করতে
বন্ধ মেশিন দেশে ।
কৃষক বৃন্ধ শ্লোগান ধর
সেই নেতারই পিছে,
পরিবর্তন আনতে চায় যে
কৃ্ষি প্রযুক্তিতে ।
ছাত্র,কৃ্ষক ও শ্রমিক বৃন্ধ
সবাই মিলে গড়ে তোল
সেই নেতাই দেশে,
বিপ্লবী যে গতি আনতে
দেশের উন্নয়নে ।
================
৪৫
ভন্ড নেতার মন্ত্র শুনে
যেওনা কেউ তাদের পিছে ।
পুজি পতির অনুগ্রহে
যে নেতাদের জীবন চলে ।
যেওনা কেউ আন্দোলনে
ভন্ড নেতার হুকুম পেয়ে ।
কারন তারা ফায়দা পেতে
চালু মেশিন বন্ধ করে ।
উস্কানি দেয় শ্রমিকদেরকে
রাজপথে নামিয়ে এনে
অরাজকতা তৈরী করতে ।
আশার বানী শোনায় সবে
মাঠটি তাদের গড়ম করতে ।
পেলেই কিছু পকেটেতে
আলোচনার কথা বলে
নমনীয় হতে থাকে ।
আস্তে আস্তে কেটে পরে
বিপ্লবীদের পিছন হতে ।
============
৪৬
মালিক পক্ষ মেশিন কিনে
শ্রমিক চালায় তাহা ।
যার বদলে শ্রমিক পায়রে
উপার্জনের যায়গা ।
শ্রমিক যেমন না চালালে
থাকবে মেশিন বসা,
কিনল মেশিন যে আশাতে
মিটবে না সে আশা ।
মালিক তেমনি মেশিন বেচলে
শ্রমিক থাকবে বসা,
পরবে শ্রমিক অভাবেতে
হারিয়ে তার উপার্জনের যায়গা ।
মালিক শ্রমিক ভিন্ন নয়রে
দুজনই তাই একই সুতায় বাধা ।
করব যখন দুজন মিলে
এমন একটি ভাবনা,
তখন হতেই শুরু হবে
উন্নয়নের অগ্র যাত্রা ।
================
৪৭
প্রীয়তম
অনেক হল,
আজ আর নহে
ঘুমিয়ে পর ।
তুমিত শুধু আমারই নও
বেতন দেয় যে তারও ।
জেগে থাকলে সারারাত
পারবে নাত করতে কাজ ।
আমার জন্য
লচ খাবেত সেও ।
ঊৎপাদন হার কমে গেলে
লচ যে শুধু সেই নহে
লচ খাবেত দেশের জনগনও ।
প্রীয়তম
আজ আর নহে ,
এ পাপ হতে
আমায় ক্ষমা কর
ঘুমিয়ে পর ।

৪৮
গড়লে মালিক কল কারখানা
শ্রমিক পায় তার কর্মশালা ।
খাটুনি দেওয়ায় শ্রমিকেরা
মালিকেরও হয় মুনাফা ।
ঠিক নহে তাই এমন ভাবা
কেউ একজন ওপরওয়ালা ।
এমন ভাবে যদি ভাবি
উভয় একই ,
হওয়ায় মোরা মানুষ জাতি ।
বুঝব তখন খুব সহজেই
মালিক শ্রমিক উভয়েই
একে অন্যের উপকারী ।
এমন ভাবনা মনে নিয়ে
খাটুনি দিলে মিলে মিশে
দেশের সকল কর্ম ক্ষেত্রে ,
ফলবে সোনা অবশ্যই ।
কর্ম ক্ষেত্রও বাড়বে দেশে
দিনে দিনে সর্বত্রই ।
============
৪৯
শোন শোন মালিক বৃন্ধ
শ্রমিক শ্রেনী কাজ করে যে
সর্বদায়ী তোমার জন্য ।
কাজেই তারা ভিন্ন নহে
ভেবে দেখ তোমারই অংশ।
নিপাত গেলে তাই শ্রমিক সমাজ
না পাওয়াতে বাচার যোগান
বন্ধ হবে যে মেশিন তোমার ।
মরবে যদিও শ্রমিক সমাজ
গড়তে তুমিও পারবে না আর
শ্রমিক খাটিয়ে লাভের পাহার ।
==================

৫০
যদিও জানি
মালিক পক্ষ ও শ্রমিক শ্রেনী
একে অন্যের উপকারী।
ঝগরা বাধে তবুও দেখি
উত্থাপনে নতুন দাবী।
করত না যে শ্রমিক শ্রেনী
দাবী তাদের অধিক ভারী ।
ঠিক থাকলে বাজার নীতি
প্রাপ্ত টাকায় আগের মত
বর্তমানে ভরলে হাড়ি ।
কিন্তু
বাজার নীতির রদ বদলে
নিত্য খরচ বেরে যায়,
শ্রমিক শ্রেনীর চাহিদা যে
আগের মতই থেকে যায়।
আগের টাকায় বারতি দামে
সমান খাবার না পাওয়াতে
পেট যে খালি থেকে যায় ।
কাজেই শ্রমীক পেটের দায়ে
দাবী দাওয়ার জাল বানায় ।
আলোচনায় মিট না হলে
কর্মস্থলে ঢিল চালায় ।
শ্রমিক শ্রেনী
লাভ কি তাতে ভাংলে মেশিন
তোমাদেরই আসবে দুর্দিন ।
মিট মাটেই আসবে সুদিন
মালিক পক্ষ করে যদি
দাবী দাওয়ার মুল্যায়ন।
ভাবে যদি আছে প্রয়োজন ,
টিকিয়ে রাখতে অগ্রগতি
বাচাতে তার জনবল ।
======================
৫১
“ হিন্দু মুসলিম ঐক্য গড়
আমলা ধরে হজম কর
স্বদেশ প্রীতি বৃদ্ধি কর
জন্ম ভুমি রক্ষা কর । “
বৃটিশ তারাও আন্দোলনে
এমন নীতি থাকার ফলে
বাধ্য হয়ে চলে গেছে
বৃটিশ সরকার দেশটি হতে ।
অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে
ধরলে শ্লোগান তেমন করে
“মালিক শ্রমিক ঐক্য গড়
চামচা খুজে বিদায় কর,
দেশ গঠনে কাজে লাগ
ফাঁকি বাজি বন্ধ কর। “
অবশ্যই মুক্তি আসবে
যদি, ফলায় সোনা কর্মক্ষেত্রে
মালিক শ্রমিক মিলে মিশে ।
দাড়ীদ্রতা চলেই যাবে
বৃটিশ যেমন গেছে চলে ।
====================
৫২
রাষ্ট্র যখন দেয়নি তোমায়
উপার্জনের ক্ষেত্র।
সমাজ যখন দিল তোমায়
বেকার নামটি মাত্র।
তখন যে জন ডাকল তোমায়
বানিয়ে কর্ম ক্ষেত্র।
যে জন দিল কর্ম তোমায়
বেকার নামটি করে উড্র
সেত মালিক, নয়তো তোমার শ্ত্রু।
শ্ত্রুত ভাই সমাজ পতি
আসল নামটি কেটে যে জন
রাখল বেকার নামটি ।
শ্ত্রু হলে মালিক শ্রেনী
ফিরিয়ে তোমায় দিত সেকি
বেকার নহে, ম্যানেজার স্বপন
নামটি।
===============
৫২
দ্রব্য মুল্যের উর্ধ গতি
সবচে দায়ী
তৈরী করতে নতুন দাবী।
যার কারনে ভুগে বেশী
কর্মস্থলের শ্রমিক শ্রেনী।
যদিও নয় এতে দায়ী
কর্ম স্থলের বিনিয়োগকারি।
দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতি
ক্রয় ক্ষমতা কমায় বলি
পেট পোরনে শ্রমিক শ্রেনী
তৈরী করে নতুন দাবী।
মানেনা যা মালিক শ্রেনী
মুনাফা তার হয় না বলি।
উভয় মাঝে চলে তাই
উন্নয়ন নয়, মারা মারি ।
===============
৫৩
ঠিক থাকলে বাজার নীতি
করত না যে শ্রমিক শ্রেনী
দাবী দাওয়া অনেক ভারী।
মেনেও নিত নিয়োগ কারী
না বলেই,
“লাভের চেয়ে দাবীই ভারী”।
করত না যে মারা মারি
মালিক শ্রমিক উভয় শ্রেনী।
ফলত সোনা কর্ম ক্ষেত্রে
থাকার ফলে উভয়ই খুশি।
কর্মসংস্থান বাড়ত দেশে
বিনিয়োগে হওয়ায় সুখি।
==============
৫৪
শ্রমিক দলতো নয় যে দায়ী
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ গতির ।
যার করনে উত্থাপন হয়
শ্রমিক শ্রেনীর বারতি দাবীর ।
মালিকগনও নয়রে দায়ী
যেমন নয়রে শ্রমিক শ্রেনী ।
লাগাম টেনে প্রশাসনই
সর্বদায়ী করে দেখি
দ্রব্য মুল্য উর্দ্ধ গামী ।
তবুও দেশের শ্রমিক বৃন্ধ
না পুড়নে দেয়া শর্ত ।
জ্বালাও কেন কর্মক্ষেত্র
না জ্বালিয়ে প্রশাসনিক ভবন গৃহ ।
=====================
৫৫
টানছে ধরে লাগাম খানি
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ গতির
মালিক নহে, প্রশাসনই।
যার কারনে বাড়লে বাজেট
বাচিয়ে রাখতে জীবন খানি ।
বাস্তবায়নে নতুন দাবী
ধরতে হবে
মালিক নহে
প্রশাসনের গলা চাপি ।
==============
৫৬
কর না কেউ সময় নষ্ট
স্বপ্ন দেখে শুধু ,
স্বপ্ন পূরন করতে চাইলে
কোমড় কষে বাধ।
রাজনীতিবিদ হতে চাইলে
ন্যায্য কথা বল,
যারা আছে অসৎ কাজে
তাদের আগে ধর।
হতে চাইলে জনদরদী
জনস্বার্থ দেখ,
সময়টাকে কাজে লাগিয়ে
অর্থ যোগার কর।
স্বপ্ন হলে দেশ গঠনে
কর্মি নিজে সাজ।
নিজে খাট
দশ জনাকে খাটাও আরো
সঠিক নিয়ম মত।
=============
৫৭
কারিগড়
মনটি তোমার যদিও ভাঙ্গে
কঠোর বজ্রপাতে,
চামচা দলের ফাদে পরে
মালিক পক্ষ যখন বলে
ও আবার কে ? ধোর
আমি জানি
এমন কষ্টে আমিও ভোগী
হওয়ায় আমি
তোমার মত আর এক কারিগড় ।
কিন্তু বন্ধুবর
এতেই যদি বন্ধ করি
মানুষ গড়ার কর্মসূচী ।
তাহলে ভাই পাবে আর কি
উৎপাদন দেশ সোনারুপী ?
দিনে দিনে যাবে থামি
উন্নয়নেরও কর্মসূচী ।
দায়ীত্ব ভার পরবে বলি
চামচাদের উপর ।
চামচা শ্রেনীর এমনি রীতি
করে শুধু চাটুকারি ।
মনের ভিতর মালিকেরই
নিজের জন্য গড়তে বাড়ি ।
কাজ না করে , করে চুরি
মালিক পক্ষের নজর কারি ।
ধরা পরলেই পা দুখানি
মালিক পক্ষের ধরে বসি ।
বন্ধু আমার কারিগড়রা
চামচারা যে রক্ত চোষা ,
রক্ত টুকু হলে চোষা
কেটে পরে নিজেই তারা ।
মালিক পরে থাকে একা
সাথে নিয়ে , অর্থশূন্য কর্মশালা ।
বুঝইত বন্ধুবর
মালিক তখন হয়রে অধম,
কাজ না পেলে হয়রে যেমন
আমার মত কারিগড়্গন ।
অধম হলে মালিকগন
চাকুরী হারায় শ্রমিক দল
বন্ধ করায় কর্মস্থল ।
ভেবে দেখ বন্ধুগন
দেশের সকল কারিগড় ,
শ্রমিক শ্রেনীত নহে পর ।
আমাদেরই আপন জন
ভাই বোন বা বন্ধুবর ।
মালিক নাহলেও তাই, তাদেরই জন্যে
কারিগড়দের দায়ীত্ব যে
টিকিয়ে রাখা কর্ম স্থল ।
তাহলেই যে থাকবে টিকে
শ্রমিক শ্রেনীর উপার্জন ।
কাজেই সকল বন্ধুগন
মানুষ গড়তে লাগাও মন ।
বারাও সবে মনোবল
কাজে লাগাও দেহ বল,
খতম করতে চামচা দল ।
==================
৫৮
শ্রমিক বৃন্ধ সঙ্ঘ গড়
ছুটির পরে পথে নাম ।
মিলে মিশে শ্লোগান ধর
বন্ধ মেশিন চালু কর ।
বন্ধ মেশিন চালু হলে
বেকারত্ব আসবে কমে ।
বারতি টাকা মাসে মাসে
পাবে দেশের সরকারও যে ।
পতিত জমি আবাদ করে
যদি তাতে সোনা ফলে
আমদানী ব্যয় আসবে নেমে,
অর্থনীতি চাঙ্গা হবে
রপ্তানী আয় বাড়ার ফলে ।
কিন্তু বন্ধু, এমন নহে
ভাংব গাড়ী রাস্তা ঘাটে
আগুন দেব কর্মক্ষেত্রে
দাবী আদায় করার নামে ।
তাহলে যে দিনে দিনে
ঘাড়ের ঘানি ভারী হবে ।
মেশিন , গাড়ী নিজের ভেবে
ধরতে হবে প্রশাসনকে
বন্ধ মেশিন চালু করতে ।
প্রয়োজনেতে আঘাত হবে
প্রশাসনিক ভবন ঘড়ে ।
দেশ ও দশের উন্নয়নে
বন্ধ মেশিন চালু করা
সরকারেরই দায়ীত্ব যে।
===============
৫৯
বন্ধু আমার শ্রমিক দল
কেমন তোমার নেতাগন
দেয় না শ্লোগান মুখের পর
চালু করতে বন্ধ কল ।
শুধু
উস্কানী দেয় চাকুরী গেলে
কোর্টে যেয়ে মামলা কর ,
মামলা করতে রাজী হলে
চুক্তি করে দেবে কত ?
যায়না কেহ তদন্ততে
চাকুরী গেল কি কারনে ।
শিক্ষা দেয়না শ্রমিক দেরকে
সোনা ফলাও কর্মক্ষেত্রে ,
কর্মক্ষেত্র টিকবে কেমনে
কোয়ালিটফুল কাজ না করলে ।
না বাড়ালে দিনে দিনে
কর্মক্ষেত্রের উৎপাদন ।
বন্ধু আমার শ্রমিক দল
কেমন তোমার নেতাগন
দেয় না শ্লোগান মুখের পর
চালু করতে বন্ধ কল ।
=====================
৬০
শ্রমিক নেতা নিজেই যে
শ্রমিক নহে ।
পুজিপতির পিছে হাটে
কাজ না করে পেট চালাতে ।
কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি করতে
যায়না কভূ আদালতে ।
কভূ নাহি বায়না ধরে
সরকার তোমায় গড়তে হবে
কর্মক্ষেত্র দেশের মাঝে ,
বেকার যারা ঘুরছে দেশে
তাদের উপার্জনের জন্যে ।
দেয়না ট্রেনিং তারা কাউকে
কর্মি গড়তে দেশের জন্যে ।
ভাষন মারে শুধুই মুখে
মেশিন যাও আছে দেশে
তাও তারা বন্ধ করতে ।
তাদের কথায় গড়ম হয়ে
শ্রমিক মেশিন বন্ধ করলে ,
পূজিপতি তাদের খুজে
পয়সা কিছু ধরিয়ে দিতে ।
পরলেই কিছু পকেটেতে
চুপ হয়ে যায় ধীরে ধীরে
মঞ্চে দেয়া ভাষন ছেরে ।
বন্ধুমম শ্রমিক বৃন্ধ
শ্রমিক নেতা এমন হলে
কর্মসংস্থান কি বাড়বে দেশে ?
কর্মহীন কি পাবে খুজে
নতুন ক্ষেত্র উপার্জনে ?
===================
৬১
জড়িনা তুই হলেও কাল
তোর হাতে যে আছে যাদু
কাজ করিস তাই খুবই ভাল ।
তোর যদিও নাকটি ভোতা
কাজ করিস যে চোখা চোখা ।
না থাকলেও ঠোটে হাসি
কাজে কভূ দিসনে ফাকি ।
হলেও তুই টেরা চোখি
কাজ করিস তুই বেশী বেশী ।
জড়িনা তুই হলেও বোবা
কাজ ফেলে তুই কইসনে কথা ।
ঠোট দুটি তোর যদিও মোটা
কোন কাজেই তোর নেই যে মানা ।
চোখের নীচে তোর যদিও কালি
কাজ ফেলে তুই, করিসনে যে তাকাতাকি ।
যদিও তুই দেখতে খাট
মনটি যে তোর অনেক বড় ।
ভাবিস সদাই দেশের জন্য
কাজ করে যাস মনের মত ।
রূপ যদি তোর নাও থাকে
দক্ষ যে তুই কর্মক্ষেত্রে ।
প্রয়োজন যা সবার আগে
শক্তিশালী দেশ গঠনে ।
পরিচয় তোর যাই হোকরে
তোর কাজে যে সোনা ফলে ।
থাকিসনে তুই ঘড়ে বসে
বৃথা সময় নষ্ট করে ,
কাজ করিস যে দেশের জন্যে ।
কাজেই ভাল বাসি তোরে
প্রনাম করি ক্ষনে ক্ষনে
দেশ প্রেমীক এক কবি বলে ।
==============
৬২
ভাল লাগেনা বসে বসে
চায়ের দোকান আর বাঁশ বাগানে
খালি পকেট সাথে নিয়ে ,
হতাশাতে ডুবে থাকা বাবা মায়ের মুখটি দেখে ।
পূজিপতি দাওনা কিছু মেশিন কিনে
কাজ করে খাই সেখানেতে ।
জানি
তুমি ভাবছ হয়ত
নতুন শ্রমিক খাটলে তাতে
লাভ না হয়ে লচ হবেত ।
কিন্তু মোরাও ট্রেনিং পেলে
ডিম দেব যে সোনার মত ।
৬৩
আমি কবি
তোমরা আমার বন্ধুসম শ্রমিক বৃন্ধ ।
বলছি তাই
সর্বদায়ী সজাগ থেক ।
হয়না যেন কোন ক্রমেই মেশিন বন্ধ ।
নিজ কিংবা অন্য কোন কর্তার জন্য ।
কেন কবি
বন্ধ হলে মাশিন সবই
আমার তাতে কি ?
বন্ধু তোমি বলছ একি
বন্ধ হলে মাশিন সবই ,
বেচবে কোথায় অর্থ পেতে
পরিশ্রম আর দক্ষতাকে ?
তাইত
তাইত কবি সঠিক তুমি ।
কিন্তু কবি ,
কেমন করে বুঝব আমি
কে দায়ী ভাই মেশিন বন্ধে ?
বুঝেইবা লাভ কি হবে
বিচার করব কেমন করে ?
বন্ধু
বুঝবে তুমি খুব সহজে
তাকাও যদি মনযোগে ।
বিচার করব ফ্যায়ার করে
সঙ্ঘ বদ্ধ হয়ে সবে ।
নিম্ন শেনীর কর্মচারী
ক্লিনার , সুইপার যাই বলি
তারাও কাজে দিলে ফাকি ,
রাস্তাঘাট ও অলিগলি
আবর্জনায় যায় যে ভরি ।
সহজেই তা সবাই বুঝি ।
এমন কিছু ঘটলে পরে
করতে হবে ছাটাই তাকে
ঘটছে যাহার ঢিলেমিতে ।
জি.এম , পি. এম যাই বলি
উচ্চ শ্রেনীর কর্মচারী ।
যাদের কথায় শ্রমিক শ্রেনী
ঊৎপাদনে আনে গতি ।
তারাও কাজে দিলে ফাকি
উৎপাদন হয় নিম্নগামী ।
চলতে দিলে এমন ভাবে
লাগবে তালা মিলের গেটে ।
কাজেই নজর রাখতে হবে
ম্যানেজমেন্টের কার্যক্রমে ।
দেখলেই কাউকে ফাকি মারতে
বুঝতে হবে
তার কারনেই লাগতে পারে
তালা কভূ মিলের গেটে ।
করতে হবে ফ্যায়ার তাকে
সবাই মিলে
যেই হোক সে ,
কর্মস্থলকে টিকিয়ে রাখতে ।
বেতন কভু আটকে গেলে
হিসেব করবে সবাই মিলে
মালিক পক্ষ দিনে দিনে
লোকসানে কি পরল তবে ?
শ্রমিকগনকেই খুজতে হবে
এর পিছনে রাজাকার কে ?
করবে ফ্যায়ার খুজে তাকে
কর্মসংস্থান রক্ষা করতে ।
করবে বন্ধু এই ভেবে যে ,
শ্রমিক শ্রেনীরই বিপদ হবে
লাগলে তালা মিলের গেটে।
==================
৬৪
কাজের কথা বলি বলে
ভূল বুঝনা বন্ধু ।
কাজ না করে বসে থাকলে
আসবে না যে নতুন কিছু।
যে নতুনে তৈরী করবে
তোমার আমার মাঝে সেতু।
=============
৬৫
ধনী গড়ীব বিভেদ ভোল
সবাই মিলে কাজে লাগ
সুস্থ দেহে বাস কর ।
কায়ীক শ্রমের অভাবেতে
দেহটাকে ধরবে রুগে ।
অভাবিরা থাকলে বসে
ক্ষুধা নিয়ে পেটের মাঝে
পুড়বে নাড়ী এসিডিটিতে ।
কাজ না করলে অর্থ কষ্টে
মনের সুখও যায়রে চলে ,
ছেলে মেয়ের আর্তনাদে
সুখ থাকে না পরিবারে ।
কাজ না করলে নিজের ক্ষতি
পরিবারেরও , হয় অবনতি ।
হয়না শুধু নিজেরই ক্ষতি
হয় যে তাতে দেশেরও ক্ষতি ।
কাজের বদলা মজুরী পেলে
গড়ীবের মুখে হাসি ফোটে ।
কাজের বদলা অর্থ আসে
অর্থ দানেই ইজ্জত বারে ।
স্বার্থকতা জন্মের পরে
মানুষজন যে এতেই খুজে ।
আবার
পূন্য অর্জনও অর্থ দানে
কোরআন, পুড়ান তাই বলে ।
কিন্তু
নেইতো এমন যাদু মন্ত্র
কাজ না করেও আসে অর্থ ।
ধান্দা করি যেই যত
সবই হল মিছে মন্ত্র ।
সত্য হল পেতে অর্থ
কাজ করেই তা সম্ভব মাত্র ।
কাজেই আমার দেশ বরেন্য
বাপ, ভাই , বোন ও বন্ধুমম
কাজ কর তাই কাজ কর ।
=================
৬৬
প্রীয়তম
আর কত
এভাবে দিন চলে ?
ছেলে মেয়ের স্কুল বন্ধ
রাখি তাদের ঘুম পাড়ীয়ে
খাবার চাবে বলে ।
দুপুরেতে জুটলেও কিছু
রাতে আবার মিছে ,
রান্না ছেরে থাকি বসে
ঘুমিয়ে পরার আশে ।
বল, এভাবে দিন ছলে ?
একা খেটে কি আর করব , বল
খাটনিওতো কম খাটিনে ।
জায়গা খুজি ছুটির পরেও
বারতি আরও খাটার জন্যে ।
প্রীয়তমা , বিশ্বাস কর
সূযোগ কোথাও পাচ্ছিনে যে ।
এ সূযোগ আর কোথায় পাবে
যে দেশেতে তালা লাগে
কথায় কথায় মিলের গেটে ।
সবই বুঝি প্রীয়তম
তবুওত বাচতে হবে
সন্তানাদি বাচাতে হবে ।
তাই বলি কি
আমিও কিছু করি ,
কোথাও কাজে লাগি ।
কিন্তু
কাজ না জানা কর্মীদের যে
কম বেতনে খাটায় সবে ।
অভীজ্ঞ নই যদিও আমি
তবুও যে আমার কাজে
আমদানী ব্যয় আসবে নামি,
গড়ি যদি দেশী পন্যও বসি ।
কর্মস্থলে কাজের চাপে
লাবন্যতা হারাবে যে।
প্রীয়তম
হারালেও লাবন্যতা
টিকবে যে মোর রসের ধারা।
যে ধারাতে সূযোগ পাবে
মনের মত সাতার কাটতে
সন্তানেরাও খেতে পাবে
বারতি কিছু পাবার ফলে ।
কাজেই তুমি শিখাও আগে
কাজ করব কেমন করে ,
আদর সোহাগ লুকিয়ে রেখে ।
বিশ্বাস আমার প্রীয়তম
উভয় মিলে লাগলে কাজে
কাটবে অভাব অল্প দিনে ।
হাসতে দেখে সন্তানেরে
যোয়ার আসবে প্রেম সাগড়ে ।
যোগল শ্রমের বিনিময়ে
ফলে যদি সোনা মাঠে ,
জড়িয়ে ধরে লুটিয়ে পরো
ফসল ভরা মাঠের মাঝে
তোমার প্রানের প্রীয়তমাকে ।
===================
৬৭
বন্ধু আমার শ্রমিক শ্রেনী
চোরত নই, মোরা কর্মচারী।
এসো তাই শপথ করি
চুক্তি ভঙ্গ করব না
করলেও তাকে রাখবনা।
চুরি কভূ করব না
কাজে ফাকি মারব না
মারতেও কাউকে দেবনা ।
মেশিন কভূ ভাঙ্গব না
ভাঙ্গলে কেহ ছারবনা ।
ডাকলে মোদের ভন্ড নেতা
আন্দোলনে নামব না ।
চাটুকারীর ফলে কারো
যোগ্য ব্যক্তি হলে খাট
আমরা তাকেও ছারব না ।
চুক্তি ভঙ্গ করলে মালিক
মিলে মিশে করব মিটিং ,
করব নাকো বন্ধ মেশিন
বলার আগে “ মানব না ”।
দ্রব্য মূল্য বেড়ে গেলে
নতুন দাবী আদায় করতে
মালিক শ্রমিক বসব মিলে ,
বসে কোন কাজ না হলে
বিচার দেব আদালতে
কর্মক্ষেত্র পুড়ব না ।
ভেবে নেব শান্ত মনে
কোন কিছু করার আগে ,
এমন কিছু করব না যে
শ্রমিক শ্রেনীই বিপদে পরে ।
কাজ করব নিজ দায়ীত্বে
ভাল মন্দ বিচার করে ।
কোন কিছু না বুঝিলে
প্রশ্ন করব গুরুজনকে ।
শপথ সবই বৃদ্ধি করতে
মেশিন সংখ্যা দেশের মাঝে ।
যে মেশিনে বাড়িয়ে দেবে
শ্রমিক শ্রেনীর মর্যাদাকে ।
===============
৬৮
শ্রমিক শ্রেনী হিসেব কষ
সময় যদি চুরি কর
বারতি অর্থ পাও কি কেহ ?
সূযোগ বলতে পাও শুধু যে
গীবত গাওয়ার আড্ডা দিয়ে ।
আড্ডা দিয়ে পাও কি হাতে
বারতি অর্থ , স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি অরতে ?
শুধু শুধু নষ্ট কর ধর্ম মতে
নিজেই নিজের আখেরাতকে ,
গীবত গাওয়ার অপরাধে ।
অভাব ডেকে আন দেশে
কাজ না করে সময় ব্যয়ে ।
===============
৬৯
সময় হল মেইন হাতিয়ার
অর্থনৈতিক মুক্তি আনার ।
সময় দিলে তাই কর্ম ক্ষেত্রে
ফলবেই যে সোনা তাতে ।
যার বিনিময়ে দিনে দিনে
ভরবে গোলা ফসলেতে ।
যে ফসলে আনবে বয়ে
নিজ ও দেশের উন্নতি ।
কাজেই যে জন করে রোজই
কর্ম ক্ষেত্রে সময় চুরি
বলব সে জন ঘোর বিরোধী
দেশ ও দশের উন্নতির ।
====================
৭০
চুর চুর টাকা চুর
তবুও সে ভাল ।
হয় যদি সে পরিশ্রমী
ঊন্নয়নে মনযোগী ।
লাভের টাকা চুরি করে
নিজেও হয় বড় ।
চুরি করা পরার টাকা
যদিওবা হুকুম ভাঙ্গা
তবুওত আয় করে সে ।
চুরি করলেও আয়ের টাকা
থাকে যে তা দেশেরই মাঝে ।
কিন্তু
করলে কেহ সময় চুরি
নিজের কাজে দিয়ে ফাকি ,
কর্মস্থলের অগ্রগতি
দিনের পর দিন যায় যে থামি ।
যে কারনে পায়না কেউই
অর্থনৈতিক সূভিদাদি ।
হারায় আরও শ্রমিক শ্রেনী
চাকুরী যাওয়ায় রুটি রুজি ।
সময় ব্যয়ে হয়না বলে
নিয়ম মাফিক কার্যাবলী ,
লাভ না হয়ে কর্মস্থলে
লাভের বদলে হয় যে ক্ষতি ।
হিসেবে তাই ধরা পরে
অর্থনৈতিক অবক্ষয়ে
সময় চুরই অধিক দায়ী
টাকা চুরের চেয়ে ।
==============
৭১
কাজ না করে চুরি করলে
সময় কেহ কর্ম ক্ষেত্রে ,
কর্ম ক্ষেত্র লুটিয়ে পরে
উৎপাদন তার কমার ফলে ।
কর্ম ক্ষেত্র লুটিয়ে পড়লে
চাকুরী হারায় কাজের লোকে,
সময় চুরও পথে বসে
তালা লাগায় মিলের গেটে ।
অতএব বন্ধু এসোনা সবে
আর, ফাকি না দেই নিজের কাজে ।
রুটি রুজি ,টিকিয়ে রাখি তাদের জন্যে
যারা কাজ করে যায় নিজের মনে ।
সালাম জানাই উন্নয়নকে
শক্তিশালী দেশ গঠনে ।
দাড়াই আমরা তাদের পাশে
আসবে যারা ভবিষ্যতে
কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি করে ।
নিজেও বাচি খেয়ে পরে
মিলের গেটকে খোলা রেখে
===============
৭২
পুজিপতি
ভয় পেয়না মেশিন কিন
কথা দিলাম গড়ে দেব
শ্রমিক সেনা লাগে যত ।
যে সেনারা যুদ্ধ করে
করবে যেমন রুটি রুজী
করবে তারাও তেমনি ভাবে
তোমার পুজিও অনেক ভারী।
পাবে না যা কোন দিনই
রাখ যদি পুজি তুমি
না খাটিয়ে ব্যাংকে ভরি ।
==================

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.