নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একমনে চুরি করে;আরেক মনে বিচার মানে,আমি কে? আমার মন জানে।

ইমন শাই

আত্মতত্ত্ব অর্জনের চেষ্টা করি

ইমন শাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

★হাজী রিগান Like সানি লিয়ন★

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

(১)
ফেবুর বদলোতে সহজেই যেনে যাই আজব গুজব হাস্যরস সহানুভূতিশীল প্রেম বিরহের ঘটনা বলি সব মিলিয়ে বাস্তব ও কাল্পনিকে রস-রসা ।
সেরকম ফেবুতে ঘটে যাওয়া বাস্তব কিছু বিষয় ‘হাজী রিগান Like সানি লিয়ন’।
রিগান আমার বন্ধু। সৌদিআরবে প্রবাসী। অল্প বয়সে বিদেশে পারি জমায়।ও আমি আলাদা স্কুলে পড়তাম। স্কুল পালিয়ে যখন ইকদ্রাকপুর কেল্লায় যেতাম রিগানও সেখানে আসতো খুব সম্ভবত তখনি ওর সাথে পরিচয়। অন্য কোন ভাবে হতে পারে আমার মনে নেই। ওর সাথে যে খুব মাতামাতি ছিল তা কিন্তু না। তবে সক্ষতা ছিল। ওর চিন্তা ভাবনা পারিবারিক সিদ্ধান্ত আমাকে জানাত।সাথে আরও ভাব প্রকাশ করতো যেমন শিল্পকলা ও সাহিত্তের প্রতি আগ্রহ। কবিতা লিখত এবং ওদের পাড়ার ক্লাবের অনুষ্ঠানে রিগানের কবিতা পাঠ করা হত।কি জানি শখের কবি না এখনো অভ্যাস আছে!ধর্মের প্রতি রিগানের বিশাল বেশ দুর্বলতা ছিল।এখনো হয়তো আছে।
ফেবুর কল্যাণে প্রমান মিলে গেলো রিগান এখনো ধর্ম পরায়ন।এবং বেশ ফ্যাশন সচেতন ধর্ম ওয়ালা।মানে রমজানে দাড়ি টুপি সহ প্রপি।ধর্মীয় আহবানে নানান স্ট্যাটাস।‘যাইহোক’ ঈদের পরে পাহাড়ে গেলাম বেড়াতে।বন্ধু কুমকুম পাহাড়ি ফুল দেখে মুগ্ধ।ফুল গুলো তুলে প্রবাজ্জার মতো ধ্যান মগ্ন হয়ে গেলো।আর আমিও সুন্দর একটা মুহূর্তকে রসিকতার ছলে মাথা নত করে প্রনাম জানিয়ে পানি(অনুরাগ)পার্থই হলাম।বাড়ী ফিরে পাহাড়ে তোলা সেই দৃশের ছবিও পেয়ে গেলাম ও কভার ফটো দিলাম।এতেই অধমের যত দোষ।সেই ফটোই রিগানের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে।
ঐ কভার ফটোতে হাস্যরস কমেন্ট পেয়েছি।যা কিনা ছিল আমার গুনা হচ্ছে।আমি ধর্ম থেকে বঞ্চিত হয়েছি।সরাসরি আমাকে হিন্দু ও বলেছে।যে যা বলেছে ওটা ঐ কমেন্টেই পরে থাক।রিগান আমাকে চ্যাটে বলে 'এইটা কি দিছশ তোর গুনা হবে!
আমিঃ আমার যে গুনা হবে এটা তুই জানলি কেমনে?
রিগানঃ তোর ছবি দেখলেই বোজা যায় তুই পুজা দিচ্ছশ,এটা ইসলামে নিষিদ্ধ।
আমিঃ মাজার শরিফের সামনে ছবি তোলা প্রসিদ্ধ?ওখানে ছবি তুল্লেই হজ হয়ে যাবে?
রিগানঃ আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কাওকে ভক্তি দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য গুনা।তুই যেনে শুনে অন্যায় করছিস।
আমিঃভক্তি আমি প্রতিদিনি দু চারজন কে করি।এটা মনের প্রকাশ মানুষ ভেদে।যাই হোক,আমরা চোখে যা দেখি তার সর্বোপরি বিশ্লেষণ না করে কোন মন্তব্য করা ঠিক না।এতে গুনা কার উপর বর্তায় বলা যায় না।না যেনে মন্তব্য করে ফেলিস কুসংস্কারবাদীর মতো।দোস্ত ধর কক্সবাজারে গিয়ে সূর্যাস্তের ছবি তুললি, এটা দেখে কি মনে হবে?সূর্য সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।আদো কি তাই সূর্য সুমুদ্রে ডুবে?দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেখ কতো ভাবে ভাবা যায়।
রিগানঃ তোরা দেখি ফেবু ও নাপাক কইরা দিবি !
আমিঃ দোস্ত আমার কথা না পাক কোরআনের কথা “নাপাক জলে মানবের সৃষ্টি’’ দুনিয়াতে এমন কোন জল আছে দুলে আমরা পাক হবো?না হবো না।পাক হতে হবে মনে।তদ্রুপ আমি কুমকুম কে ভক্তি দিয়েছি ঈশ্বর চিন্তা নয় রসিকতা করে।এটা আমি আর ঈশ্বরী ভালো জানি।এ বিষয়ে তোর ধর্মীয় দিক চিন্তা করা ঠিক না।
রিগানঃ অতশত বুঝিনা তোর এই ছবিটা দেওয়া ঠিক হয়নাই। তুই তোওবা কর।এবং পিক টা ডিলিট কর।
আমিঃ আমি কি ডিলিট করবো তোর খুশীর জননে, না আল্লহার।আচ্ছা শিল্পাচার্য জয়নুলের আঁকা ছবি গুলো কি গুনা?
ও আরেকটা কথা সব নুর যখন আদম ‘জী কে সেজদা জানালো,ঐ দৃশের ছবি যদি থাকতো আর সেটার কভার পিক দিলে কি গুনাহ হতো?
রিগানঃ তোর সাথে অনেক কথা আছে।আর লালন সম্পর্কে বেশ কিছু জানতে হবে।পরে কথা হবে এখন অফিসে।
আমিঃ অফিসের সময় ফাঁকি দিয়ে বন্ধুর সাথে চ্যাট এটা গুনা হবে কিনা খোজ নে পরে আমার কভার ফটো নিয়ে চিন্তা করিস।দোস্ত মানুশের মনকে মূল্য দিতে শিখ।মরে গেলে দেহ থাকে মনটা থাকেনা।বিচার হবে মনের দেহটা পচে গলে যায়।এবার চিন্তা করে দেখ মনে মনে আমরা কতো কি ভাবি এই সব ভাবনা কে কেন্দ্রভুত করলে নিজের সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্ভব।তখন নিজেই বুজতে পারবে সে কতটা ভালো বা মন্দ।বুজতে পারবে ধর্মের পোশাক গাঁয়ে চেপে কি নিজের অপকর্ম ঢাকছে,শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো।আসলে, আমার মনের উপলব্ধি কি ছিল সেটাই বড়।ছবিটা সব নয়।তোরা যে যা ইচ্ছে ভাব।ধর্মকেও সব বিষয় এর সাথে মেলানো ঠিক না।
(২)
বরাবরই আমি ফেবুতে অনিয়মিত।প্রায় তিন মাস পর ফেবুতে প্রবেশ করলাম।স্বাভাবিক,কিছু নটিফেকেসন তো ঝুলবেই।নটিফেকেসনে রিগানের ট্যাগ করা ছবি পেলাম।যা কি না ছিল রিগানের হজ কালীন ছবি।ছবিটা দেখে আমার দৃষ্টি কাটে।ও যতগুলো হজের ছবি আপলোড করেছে আমি পুঙ্খানুপুঙ্খু দেখার চেষ্টা করি।প্রতিটা ছবিতেই রিগানের নাভির নিচে বসন।প্রধান ফরজ হয়তো হজের সময় ছিল।ছবি উঠানোর সময় বসন নাভির নিচে নেমে ফরজ ছুটে গেছে।যদি হজের সময় বসন নাভির নিচে নেমে গিয়ে থাকে তবে কি ফরজ ছুটে যাবার কারনে হজ হবে না?
কেন হবে না।ফরজ না হয় ছুটে গেলো নিয়ত তো আর যায় নি।সাথে হজের উদ্দেশ্য, ইচ্ছে ,সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রেম ও ভাবনা চলে যায়নি।কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষক হতে বাল্য কালে শিক্ষা পেয়েছি ফরজ ছাড়া বান্দা গুনাহগারি ও নামাজ হবে না।ধর্মীয় শিখক এর কথা মানতে গেলে শরিয়া আনুযায়ি ফরজ ছাড়া ধর্ম কর্ম হবে না।তবে, সৃষ্টিকর্তার যা ইচ্ছে তাই করবে।হওয়া না হওয়ার যাচাই করার মালিক তিনি।তবুও অকপটে আমরা অপরকে কতো ধর্মীয় আঘাতে অভিযুক্ত করি।যা ধর্ম করতে শেখায়নি।
(৩)
হঠাৎ একদিন রিগানের কাঠমোল্লা তন্ত্র ফুটে উঠলো।অন্তরে কাম,মুখে আল্লাহর নাম।আমাকে দশক নিয়ম কানুনের কথা বলে হাজী রিগান সানিলিওনের পেজে লাইক দিলো।
আচ্ছা রিগান;সানিলিওন এর পেজে লাইক দিয়ে কি কোন অন্যায় করেছে?না সানিলিওন কে ভালোলাগার মত প্রকাশ করেছে।এ সত্য মতপ্রকাশিবা কো জন করতে পারে?নৈতিক দিক বিচার করতে গেলে দোষ বিহীন মানুষ পাওয়া দায়।সবাই তো নিজ দোষ নিগুর রেখে বেক্তিত্ত বৃদ্ধি করতে চায়।অন্তরালে ঐ সব লোক গুলো মুখশ ধারি ।আর যারা গুনের সাথে দোষ প্রকাশ করতে কার্পণ্য বোধ করেনা তারা অন্তত অমানুষ না।যেমন রিগান।যেখানে সানিলিওন এখন শিশুদের প্রিয়।কোথাও কোথাও নারীদের আদর্শ ও পুরুষের বাসনার দেয়ালে পেরেক মেরে বসে গেছে সেখানে হাজী রিগান কি এমন অন্যায় করেছে? এবার ‘পাঠক’ ভেবে দেখুন কে অন্যায় না করছে।শরিয়ায় হারাম এমন কাজ এখন আমাদের নৈত্য নৈমিত্তিকক্রিয়া।হয়তো সবাই ভুলেই গেছে নাচ,গান,অভিনয়,পরপুরুষ/নারীর সাথে দূরালাপনি বাক্য/আলাপ বিনিময় এই সব যেনা মস্ত বড় পাপ।
‘এগুলো কোন বিষয় না” দেখা যাবে আমি কেন সানিলিওনের পাশে হাজী রিগান কে বসালাম সেটা নিয়ে মাতা মাতি হবে আমার ঐ কভার ফটোটির মতো ।
যা ইচ্ছে তাই হোক।রিগান ধর্ম পরায়ন ছেলে ও নিশ্চয় ভালো করে জানেনা নিষ্ঠায় বা ভক্তিতে কখনো মানব কল্যাণে বিগ্ন ঘটায় না।এগুলো সমাজে ছিল,আছে,থাকবে।।
তবে কেন এতো ক্ষুদ্র বিষয় নিয়ে মাতামাতি।
ইমন সাঁই
মিরপুর৬
আনন্দ কানন ২০১২।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.