নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একমনে চুরি করে;আরেক মনে বিচার মানে,আমি কে? আমার মন জানে।

ইমন শাই

আত্মতত্ত্ব অর্জনের চেষ্টা করি

ইমন শাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থদন্ড

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৩






ক্যাসিনো অভিযানের পর এলকোহলীক বারে এখন আর বিদেশি মদ নাই,
সব কেরু এ্যান্ড কোং, দর্শনার মাল।
তবুও চাহিদা ব্যপক,বসার মতো ভালো যায়গা পাওয়া যাচ্ছেনা।

কেরু এ্যান্ড কোং যে শুধু বাংলা মদ বানায় তা কিন্তু না,ওদের মূল পণ্য হচ্ছে চিনি উৎপাদ।
তবে চিনি তৈরী করতে যেয়ে ;যে উপজাত-দ্রব্য বের হচ্ছে তা থেকে উলেখযোগ্য ভাবে তৈরী করছে চিটাগুড়,
দেশি মদ, বিদেশি মদ, ভিনেগার, স্পিরিট এবং জৈব সার।

দর্শনার ওরা নয়টি ব্র্যান্ডের ‘ফরেন লিকার’ বা বিদেশি মদ তৈরি করে যেমনঃ
সারিনা ভদকা,
রোজা রাম,
ওল্ড রাম,
ইয়েলো লেভেল মল্টেড হুইস্কি,
গোল্ড রিবন জিন,
ফাইন ব্র্যান্ডি,
চেরি ব্র্যান্ডি,
ইমপেরিয়াল হুইস্কি,
অরেঞ্জ ক্রেকাউট।

আমরা ওর্ডার করলাম সারিনা ভদকা।বারবয় জানালো শুধু ইম্পেরিয়াল হুইস্কি হবে
তাও মোটাকা ভাঙা কিন্তু মাল ভালো।
কি আর করার ৭৫০মিঃলিঃ ছিপিখোলা ইম্পেরিয়াল হুইস্কি নিলাম সাথে সালাদ,
বাদাম সহ আরো কিছু।
চিয়ার্স করে প্রথম পেগ খেয়েই আমি সারেন্ডার।খুব কড়া!
আমার কাছে মনে হলো বিদেশি লিকার বলে স্পিরিট দিয়ে দিছে।
কারন কেরু এ্যান্ড কোং তিন ধরনের স্পিরিট তৈরী করে যেমনঃ
কান্ট্রি স্পিরিট।
রেক্টিফায়েড স্পিরিট।
ডিনেচার্ড স্পিরিট।

স্পিরিট খেলাম না বিদেশি লিকারের ইমপেরিয়াল হুইস্কি খেলাম তা আর আবিষ্কার করতে পারলাম না।
খেতে ভিষণ কষ্ট হলেও চমৎকার একটা নেশা হয়েছে।

বারে সাউন্ড ছাড়া টিভি চলছে,সবাই চিৎকার করে কথা বলছে আমি চুপ হয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছি।
প্রায় তিনঘণ্টা সময় কেটে গেলো একটা সিগারেট ও জ্বালাইনি।
কেনো জানি মনে হচ্ছে নিকোটিন নিলে ভেতরে গিয়ে এলকোহলের নেশা আরো বাড়ায় দিবে।
তখন বমি হবার সুযোগ হতে পারে।আমি চাইনা সকলের সামনে বমি হোক।

ধোঁয়াটে পরিবেশে বসে একটানা অনেকক্ষণ সময় কাটানোর পর বাহিরে এসে আয়েশি-আয়েশি অনুভূতি হচ্ছে।
এই হলো বারে মদ খাওয়ার আলাদা মজা।
আমি বললাম 'পান খাই মুখে গন্ধ থাকবে না'।সঙ্গীরা বললো দরকার নাই।
গন্ধের জন্য কোন সমস্যা হবে না চুপচাপ নিরিবিলি বাড়ি চলে যাবো।

শীতল আবহাওয়া রিকশা চলছে।কিন্তু কিছু পথ গিয়ে রিকশা আর চলতে পারলো না,
আমাদের নামতে হলো চেকপোস্টে পুলিশ ইশারায়।
আমরা নামলাম এরপর শুরু হলো তাদের কার্যক্রম।আমাদের কোন কথাই কাজ হলো না।
মদ খাওয়ার অপরাধে অর্থদণ্ড সহ ভৎসনা করে পুলিশ তার দ্বায়িত্ব পালন করলো।

শেষের হিসেব টা এমন দাড়ালো, চার জনে বারে বসে মদ গিললাম দুই হাজার টাকার,
বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ ভাইদের দিতে হলো ছয় হাজার টাকা।

এটাই আমার বাংলাদেশ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: মদ খেলে পুলিশকে টাকা দিতে হবে কেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

ইমন শাই বলেছেন: আইনগত ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.