![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমরুল কাওসার ইমন : পটুয়াখালীর কলাপাড়া মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমায় হাজারও মানুষ। সমুদ্রকন্যা কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দুরত্ত্বে অবস্থিত গৌতম বুদ্ধের এই মূর্তিটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। স্থানীদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও জনপ্রিয় এই স্থানটি পরিদর্শনে আসেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুয়াকাটার দশর্নীয় স্থানগুলোর মধ্যে শত বছরের পুরনো মিশ্রীপাড়া ‘সীমা বৌদ্ধ বিহার’টি অন্যতম। প্রতিদিন হাজারো পযর্টক ভিড় করেন এই স্থানটিতে। শুধু তাই নয় দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে বড় বৌদ্ধ বিহারের মধ্যে এটি অন্যতম। গৌতম বৃদ্ধের এই মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৩২ ফুট।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ২ একর জায়গা নিয়ে বৌদ্ধবিহারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীরা জানিয়েছেন, সিডর এবং আইলায় এই স্থাপনাটির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল। ফলে আশঙ্কা জনকভাবে এখানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের এপ্রিলে জামার্ন সরকারের অথার্য়নে প্রায় অধের্কাটি টাকা ব্যয়ে বৌদ্ধ বিহারটির নতুন উপাসনালয় প্রতিষ্ঠিত করা হয়। আর তখন থেকেই এটি মানুষের কাছে আরও আকষর্ণীয় হয়ে ওঠে।
বৌদ্ধ বিহারের চারপাশ ঘুরে দেখা গেছে, কিছু বাগান, আর মিঠা পানির কূপ রয়েছে। গৌতম বুদ্ধের মূর্তির পাশাপাশি এই কূপটিও পর্যটকদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। তবে নানান ধরনের অব্যবস্থাপনায় ভগীরতা হারিয়েছে কূপটি। মাটি ভরাট হয়ে ভেতরে জমে থাকা পঁচা পানির দুর্গন্ধে পর্যটকদের অনেকটাই দুর্ভোগে পড়তে হয়। বেহাল দশা ভেতরের ফুলের বাগানগুলোরও। ভেতরের লোহার গ্রিলগুলো চুড়ি হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে ইটের তৈরি দেয়াল। এগুলো সংস্থারেরও নেই কোনো উদ্যোগ।
এখানে ঘুড়তে আসা পর্যটক আসাদুল বলেন, ভেবে ছিলাম এক রকম। আর এসে দেখলাম আর এক। শুধু মূর্তিটিই বড়। দেখার মত আর কিছুই নেই। এই মূর্তি দেখা জন্য এখানে আর কখনও আসবো বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, এই জায়গার সংস্কার করে এটাকে আরো ভালো পর্যটন স্পটে পরিণত করা যেত। শুধু মাত্র ইচ্ছার ব্যাপার। অপর এক পর্যটক মামুন বলেন, কূপটির অবস্থাও করুণ। নোংড়া পানির দুর্গন্ধযুক্ত এই কূপ দেখতে কেন এখানে মানুষ টাকা খরচ করে আসবে। এক জন পর্যটক হিসেবে এখানে এসে অনেক মর্মাহত হলাম। তিনি বলেন, বিদেশীরা তাদের একটা ছোট মন্দিরকেও এমনভাবে রূপ দেয় যেন মনে হয় এটি বিশাল একটা কিছু। তবে আমরা কেন পারি না? আমাদের সমস্যাটা কোথায়? তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ চাইলে এটিকে আরো সুন্দর করা সম্ভব।
তবে আশার কথা হলো বৌদ্ধ বিহারকে ঘিরে আশপাশে গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। উন্নতি হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থারও। কুয়াকাটা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে মিশ্রিপাড়া গ্রামে অবস্থিত রাখাইন সম্প্রদায়ের ‘সীমা বৌদ্ধ বিহার’টি দেখতে প্রতিদিন লেগে থাকে অগনিত মানুষের ভিড়। এ ব্যাপারে সীমা বৌদ্ধ বিহারের সাবেক সভাপতি মংলাচিন তালুকদার জানান, বৌদ্ধ বিহারটি এখন পযর্টকদের ভালো লাগার স্থানে পরিণত হয়েছে। মানুষ ভিড় করে বিহারটি দেখার জন্য। বিদেশ থেকেও অনেক পর্যটকরা আসেন এটি দেখতে। তিনি বলেন, প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। আর পুরো অর্থটাই ব্যয় হয় এই সম্প্রদায়ের দরিদ্র ছাত্রদের কল্যানে।
©somewhere in net ltd.