নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূর্খ ব্লগ!!

জয় সরকার

রেলগাড়ির চাঁকা.........পাম্প দিলে ফুলিনা......ঠেললে চলিনা......

জয় সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন খান আতাউর রহমান

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০





খান আতাউর রহমান (ডিসেম্বর ১১,১৯২৮ – ডিসেম্বর ১,১৯৯৭) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রাভিনেতা, সুরকার, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, প্রযোজক, সংলাপ রচয়িতা, কাহিনীকার। অসংখ্য চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন, তার মধ্যে 'জীবন থেকে নেয়া' (১৯৭০) উল্ল্যেখযোগ্য।এই ছবিতে তার গাওয়া গান "এ খাঁচা ভাঙ্গব আমি কেমন করে", বাঙ্গালি জাতিকে মানসিক শক্তি যুগিয়েছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে। তার জন্মস্থান মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে। তিনি খান আতা নামে বহুল পরিচিত।



খান আতার বাবার নাম ছিল জিয়ারত হোসাইন খান এবং মায়ের নাম ছিল জোহরা খাতুন। তার মা তাকে আদর করে ডাকতেন “তারা”, তার মায়ের পরিবার ছিলেন মাজারের খাদিম তথা তত্ত্বাবধায়ক। ধর্মীয় উরসে তার মামা নানারকম আধ্যাত্মিক সংগীত পরিবেশন করতেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা জিলা সংগীত প্রতিযোগীতায় খান আতা 'মন পবনের ডিঙ্গা বাইয়া' গান গেয়ে প্রথম স্থান দখল করেন।তিনি তখন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।



খান আতা ১৯৪৪ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশান পরীক্ষা পাশ করেন। ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষা দেন ঢাকা কলেজ থেকে। এরপর ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ। ১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। এসময় তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের উদ্দেশ্যে পকেটে মাত্র ৬০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করেন।কিন্তু ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনে তিনি তার এক দুলাভাই এর চোখে পড়ে গেলে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু অল্প কিছুদিন পরেই মেডিকেল ছেড়ে চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়এ ভর্তি হন। এবারো তার বোহেমিয়ান স্বভাবের কারণে তিনি সেখানে থাকলেন না।এ বছরেই তিনি লন্ডনে ফটোগ্রাফি বিষয়ক একটি বৃত্তি লাভ করেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তিনি সেখানে যাননি।১৯৪৯ সালে আবার তিনি বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করেন। এবারো উদ্দেশ্য ছিল একই। এবার তিনি প্রথমে মুম্বাই যান। মুম্বাই গিয়ে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন, চলচ্চিত্র জগতের আনাচে কানাচে গিয়েছেন। এসময় তিনি জ্যোতি স্টুডিওর ক্যামেরাম্যান জাল ইরানির সাথে পরিচিত হন।জাল ইরানি তাকে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেন।কিন্তু আতা সাহেব এ কাজে পরিতুষ্ট হতে পারেননি।



১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে চলে আসেন করাচি। করাচী এসে তিনি যোগ দেন রেডিও পাকিস্তান এ সংবা্দপাঠক হিসেবে। এখানেই আরেকজন প্রতিভাবান বাঙ্গালী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফতেহ লোহানীর সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে।তখনো চলচিত্রের ব্যাপারে তার উৎসাহ কমেনি। যার কারনে তিনি প্রায় ই লাহোর যেতেন। এসময় তিনি সারঙ্গী বাদক জওহারি খানের কাছ থেকে তালিম নেয়া শুরু করেন। ফতেহ্‌ লোহানী কিছুদিন পরে লন্ডন চলে গেলে ১৯৫২ সালে খান আতা একটি পোল্যান্ডীয় জাহাজে করে লন্ডন পাড়ি জমান। সেখানে অনেক বাঙ্গালী অনুষ্ঠানে তিনি অংশগ্রহণ করেন গায়ক এবং অভিনেতা হিসেবে। এখানে এস এম সুলতানের সাথে তার সাক্ষাত হয়। এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের উপকরণ যোগানে সাহায্য করেন তিনি। খানা আতা এবং তার সাথীরা এস এম সুলতানের চিত্রকর্মের প্রদর্শনী এবং বিক্রয়ের ব্যাবস্থা করেন। লন্ডনের সিটি লিটারেরি ইন্সটিটিউটে তিনি থিয়েটার ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হন। পরের বছরেই তিনি ইউনেস্কো বৃত্তি নিয়ে নেদারল্যান্ডে চলে যান। ১৯৫৫ সালে আবার লন্ডনে ফিরে এসে শিক্ষকতা করেন। এসময় তিনি কিছুদিন বিবিসি এর সাথেও কাজ করেছেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন ।



১৯৫৬সালে পাকিস্তানি পরিচালক এ. জে. কাদের পরিচালিত ছবি “জাগো হুয়া সাভেরা” তে মূল ভূমিকাতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবনের সূত্রপাত হয়।এ ছবির সহকারী পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান। চলচ্চিত্র জগতে তিনি 'আনিস' নাম টি ব্যবহার করতেন।তার অভিনীত প্রথম বাংলা ছবি “এদেশ তোমার আমার” মুক্তি পায় ১৯৫৯ সালে। এহতেশামের এই চলচ্চিত্র 'এ দেশ তোমার আমার' এ তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬০ সালে জহির রায়হানের সাথে গড়ে তোলেন লিটল সিনে সার্কেল। এর পরের বছরগুলোতে জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় তার। অভিনেতা এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন কখনো আসেনি, যে নদী মরুপথে, সোনার কাজলের মতো সফল চলচ্চিত্রে।

১৯৬৩ সালে "অনেক দিনের চেনা" ছবির মাধ্যমে তিনি তার পরিচালনার ক্যারিয়ার শুরু করেন। এর পর একে একে নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭), সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮), অরুণ বরুণ কিরনমালা (১৯৬৮), আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩), সুজন সখী (১৯৭৬), এখনো অনেক রাত (১৯৯৭) এর মত ছবি দর্শকদের উপহার দেন।



সূর্যস্নান ছবিতে ১৯৬২ তে তিনি উপহার দেন 'পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে' এরমতো গান। কন্ঠ দেন কলিম শরাফি। ১৯৬৩ সালে জহির রায়হানের 'কাঁচের দেয়াল' ছবিতে তিনি নিয়ে আসেন 'শ্যামল বরণ মেয়েটি' শীর্ষক একটি জনপ্রিয় গান। 'সূর্যস্নান' ছবির গীতিকার হিসেবে এবং 'কাঁচের দেয়াল' ছবির সংগীত পরিচালক হিসেবেপাকিস্তান ফিল্ম ফেস্টিভাল এ ১৯৬৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া সংগীত পরিচালক ছিলেন বাহানা, সাগার, আখেরি স্টেশান, মালা প্রভৃতি উর্দু ছবিতে। ১৯৬৯ সালে জহির রায়হানের পরিচালনায় জীবন থেকে নেয়াতে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তিনি ” এ খাচা ভাঙ্গবো আমি কেমন করে ” শীর্ষক গানের কথা লিখেন এবংনিজেই কন্ঠ দেন। ১৯৭১ এর মুক্তি যুদ্ধে দেশাত্মবোধক গান লিখেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে সাহায্য করেন।৭০’ এবং ৮০’র দশকে উপহার দেন সাবিনা ইয়াসমীনের কন্ঠে এ কি সোনার আলোয়, শহনাজ রহমতুল্লাহের কন্ঠে এক নদী রক্ত পেরিয়ে এর মতো গান।





ব্যক্তিগত জীবনে খান আতাউর রহমান তিন বার বিয়ে করেন।লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে তিনি শার্লি নামক এক ইংরেজ মেয়ের সাথে পরিচিত হন এবং তাকে বিয়ে করেন।বাংলাদেশে আসার পর তাদের একটি সন্তান হওয়ার পরে খান আতা এবং শার্লির মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এবং শার্লি সন্তান নিয়ে লন্ডনে ফিরে যান।এরপর খান আতা মাহবুবা হাসনাত কে বিয়ে করেন।একটা বেতার কেন্দ্রে তাদের পরিচয় হয়েছিল।তাদের একটি মেয়ে হয়। মেয়ের নাম রুমানা ইসলাম।১৯৬৮ সালে খান আতা বাংলাদেশের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন।খান-আতা এবং নিলুফারের ছেলে আগুন বাংলাদেশের একজন শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীতশিল্পী।



খান আতা পরিচালিত ছবি সমূহঃ



অনেক দিনের চেনা (১৯৬৩)

রাজা সন্যাসী

নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭)

সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮)

অরুণ বরুণ কিরনমালা (১৯৬৮)

জোয়ার ভাটা (১৯৬৯)

মনের মত বউ (১৯৬৯)

আবার তোরা মানুষ হ(১৯৭৩)

সুজন সখী (১৯৭৫)

দিন যায় কথা থাকে

আরশীনগর

পরশ পাথর

এখনো অনেক রাত (১৯৯৭)



খান আতা অভিনীত ছবি সমূহঃ



জাগো হুয়া সাভেরা (১৯৫৬)

এ দেশ তোমার আমার (১৯৫৯)

কখনো আসেনি (১৯৬১)

কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩)

সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮)

মনের মত বউ (১৯৬৯)

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)

আবার তোরা মানুষ হ(১৯৭৩)

সুজন সখী (১৯৭৫)



গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন যেসব ছবিরঃ



এ দেশ তোমার আমার (১৯৫৯)

কখনো আসেনি (১৯৬১)

কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩)

সঙ্গম (১৯৬৪)

বাহান (১৯৬৫)

বাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭)

অরুণ বরুণ কিরনমালা (১৯৬৮)

সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮)

জোয়ার ভাটা (১৯৬৯)

মনের মত বউ (১৯৬৯)

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)

আবার তোরা মানুষ হ(১৯৭৩)

সুজন সখী (১৯৭৫)



খান আতাউর রহমান সম্পর্কে কিছু বলার নেই, থাকতে পারেনা।শুধু একটা কথাই বলা যায়, খান আতাউর রহমান বাংলাদেশে একজনই ছিল যাকে নিয়ে বাংলাদেশ গর্ব করত, আজও করে, সবসময় করতে পারবে।



সূত্রঃ whoiswho.evergreenbangla.com, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

হাসান তারেক বলেছেন: উনার প্রতিটি চলচিত্রের অভিনয় হৃদয়ে গেথে যাবার মত।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ সাথে ++

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০২

জয় সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান তারেক।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাসান তারেক বলেছেন: উনার প্রতিটি চলচিত্রের অভিনয় হৃদয়ে গেথে যাবার মত।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ সাথে ++

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০২

জয় সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ময়নামতি বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার এই পোস্ট আমার প্রিয় খান আতার সুজন সখী , মনের মত বৌ, জীবন থেকে নেয়া আমি দেখেছি।+++++++

ধন্যবাদ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৩

জয় সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ময়নামতিকে।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০০

জাফর সািদক রুমী বলেছেন: (আর মাত্র ১ দিন বাকি) Click This Link

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৩

জয় সরকার বলেছেন: :| :| :|

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৭

সায়েম মুন বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ!!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১০

জয় সরকার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সায়েম মুন।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৯

স্বপ্ন ও সমুদ্র বলেছেন: বাহ! কী বিচিত্র জীবন।
ভালো লাগল।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১০

জয় সরকার বলেছেন: আসলেও বিচিত্র......... বাহ!!

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৭

আবদুল্লাহ আল জাফর মালেক বলেছেন: আপনে তো ভাই খান আতা'র হায়াত সাত বছর বাড়াইয়া দিলেন!

১ ডিসেম্বর ঠিক আছে। শুধু ২০০৪ এর জাগায় ১৯৯৭ হবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২০

জয় সরকার বলেছেন: স্যরি বস, খেয়াল করিনাই। ঠিক কইরা দিতাছি।

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৬

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগল জয় ভাই। জহির রায়হান ও তারেক মাসুদকে নিয়ে আরো দুটি লেখা চাই :)

ই-বুকের জন্য লিংকটা নিয়ে গেলাম। আশাকরি, অনুমতি দিবেন।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৯

জয় সরকার বলেছেন: অবশ্যই, নিয়ে যান কোন সমস্যা নাই।

জহির রায়হান, তারেক মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল, মোর্শেদুল ইসলাম এদের সবাইকে নিয়েই লেখার ইচ্ছে আছে।তবে অলস মানুষ তো!! আস্তে আস্তে সবই হবে।

অনেক ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৩

ডিজিটাল কলম বলেছেন:
জানলাম........ব্লগারকে ধন্যবাদ।


**শীলা জাওয়ানির ভীড়ে এই দেশে আরেকজন জহির রায়হান বা খান আতার জন্ম কোনদিন হয় কিনা সন্দেহ.... আফসোস



৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৯

জয় সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যদাতাকে.........

আফসোসের কারণ বটে, তবে আসবে.........হয়তো অনেক দেরী লাগবে, এটাই আসল আফসোস।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৯

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: বস সমস্যা নাই। জানুয়ারির একত্রিশ তারিখ আসতে এখনো এক মাস। আমি ভুলে গেলে, প্লিজ রুশো ভাইয়ের পোস্টে অন্যগুলোর লিংক দিয়ে আসবেন :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৫

জয় সরকার বলেছেন: আইচ্ছা......লিখলে অবশ্যই লিঙ্ক পাবেন......... :)

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৪

কাউসার রুশো বলেছেন: আপনাকে কী বলে যে ধন্যবাদ দিবো??!!! কৃতজ্ঞতা :)
৩১ জানুয়ারিরর মাঝেই আপনার দেশী পরিচালকদের নিয়ে সিরিজটা শেষ হবে বলে আশা করছি।
আপনার জন্য অ্যাসাইনমেন্ট:
জহির রায়হান
আলগমীর কবির
তারেক মাসুদ
মোরশেদুল ইসলাম
তানভীর মোকাম্মেল

এদের কর্মজীবন নিয়ে লিখবেন। পারলে উনাদের চলচ্চিত্রের কোন পোস্টার থাকলে যোগ করে দিবেন।

সূর্য দীঘল বাড়ি এবং মুখ ও মুখোশ এ দু'টি মুভি নিয়ে পোস্ট দিবেন।

বি.দ্র: কোনভাবেই না করা যাবেনা। কোন অজুহাত শুনবো না। আমি খুব যন্ত্রণাদায়ক মানুষ। আপনাকে ক্রমাগত যন্ত্রণা দিয়েই যাবো যদি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে লেখাগুলো না দেন।
নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা । অনেক ভালো থাকবেন :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৫

জয় সরকার বলেছেন: দাদা, আপনি এমন একটা সময়ে তাগাদাটা দিলেন যে আমার প্রচন্ড অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও না করা লাগবে।আগামী ১১ জানুয়ারী থেকে আমার ফাইনাল পরীক্ষা।এর পরেও আমি যতগুলো পারি লিখবো।তবে সমস্যার যায়গা হচ্ছে পারফেকশান জিনিসটা আমার খুব প্রিয়।অন্তত নিজের কাছে ভালো না লাগলে সেটা আমাকে পীড়া দেয়, প্রচন্ড।তাই শুধু লেখার জন্য লেখা না লেখাই ভালো, যেখানে নিজের মানসিক ক্ষুধা মেটাতেই লিখি।তাই যে কয়টাই আমি পারি, লেখার চেষ্টা করব।হয়তো সবগুলো লেখা সম্ভব হবেনা।কারন আমি একটা করে পরীক্ষা দিব আর ওইদিন একটা করে পোস্ট লিখব।আমার এতটুকু অপারগতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।

আর যন্ত্রণার কথা বলছেন? আমাকে লিখতে বলে যদি আপনি যন্ত্রণা দেন তবে তা হচ্ছে আমার সবচেয়ে বড় আশির্বাদ, সবচেয়ে বড় পুরষ্কার, সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি।এমন যন্ত্রণা আমি ভীষনভাবে চাই।এটা আমার কাম্য জিনিস।

শেষে, আমি যতটুকু পারি অবশ্যই লিখব।দোয়া করবেন।আপনাদের ভালোবাসায় ই বেঁচে আছি।

শুভকামনা।

১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৬

ওয়াসিক মু্ঃ ইশতিয়াক ইজাজ বলেছেন: জয় ভাইয়া , লেখা পছন্দ হইছে ;) ;) ;) ;)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৫

জয় সরকার বলেছেন: এই মিয়া তুমি এতদিন ধরে ব্লগ লেখ, আগে কইবানা......আছ কেমন??

অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগ দেখার জন্য।আবারো আমন্ত্রণ রইলো। ;)

১৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৮

কাউসার রুশো বলেছেন: পারফেকশান জিনিসটা আমার খুব প্রিয়।অন্তত নিজের কাছে ভালো না লাগলে সেটা আমাকে পীড়া দেয়, প্রচন্ড।তাই শুধু লেখার জন্য লেখা না লেখাই ভালো, যেখানে নিজের মানসিক ক্ষুধা মেটাতেই লিখি।তাই যে কয়টাই আমি পারি, লেখার চেষ্টা করব

এ বিষয়টা মেইনটেইন করার কথা যখন বলছেন তখন অবশ্যই ব্যাপারটা কনসিডার করা গেলো। :)
ঠিক আছে যতটুকু পারেন দিয়ে দিন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৪

জয় সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রুশো ভাই............কনসিডারেশান এর জন্যে স্পেশাল ধইন্যা.........আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, এ কথা দিলাম।

১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৩

হাম্বা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩৯

জয় সরকার বলেছেন: ধইন্যা হাম্বা............

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

গানচিল বলেছেন: ভাল লাগলো , আমার প্রিয় একজন লোক কে নিয়ে আপনার এ লিখা।
Click This Link

আপনার নাম জয় সরকার। আপনি কি জানেন কোলকাতার এ সময়ের একজন বিখ্যাত সুরকারের নাম জয় সরকার , যিনি শ্রীকান্ত/ শুভমিতা ইন্দ্রনীল প্রমুখদের প্রচুর হিট গানের নির্মাতা ! নাকি আপনিই সেই?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৬

জয় সরকার বলেছেন: স্বাগতম।

না আমি সেই জয় সরকার নই।আরো একজন এই ব্লগেই আমাকে সেই জয় সরকার মনে করেছিলেন। ;)

আমি গীতিকার, সুরকার বা সঙ্গীত পরিচালক কিচ্ছু নই।আমি সাধারণ একজন শ্রোতা।

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

গানচিল বলেছেন: খান আতা পরিচালিত প্রত্যেক ছবির গীতিকার সুরকার উনি নিজেই।
আপনার লিস্টে , আরশী নগর , হিসাব নিকাশ, পরশ পাথর ছবিগুলার উল্লেখ নেই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

জয় সরকার বলেছেন: লিস্টে উক্ত ছবিগুলোর উল্লেখ নেই এর কারন হয়তো আমার সূত্রে উল্লেখ নেই বা সূত্রে উল্লেখ থাকার পরেও আমি সময় স্বল্পতার কারনে খেয়াল করিনি।

যাই হোক, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।

১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১২

মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: আমার কেন জানি মনে হয় উনার কৃত কর্মের প্রাপ‌্য সম্মান আমরা দিতে পারি হয়ত উনি কোন দলের চামচামি করেন নাই তাই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮

জয় সরকার বলেছেন: সেটা নিয়ে আর বলে লাভ নাই.........

তবে তিনি ছিলেন রিয়েল জিনিয়াস.........

অনেক শ্রদ্ধা আছে তাঁর প্রতি......

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০২

কাউসার রুশো বলেছেন: প্রকাশিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র বিষয়ক ই-বুক 'এক মুঠো চলচ্ছবির' দ্বিতীয় সংখ্যা । লেখা আহবান

১৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

মাহমুদ বিন আমিন বলেছেন: খান আতাউর রহমান সম্পর্কে কিছু তথ্য---
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর রেডিওতে সরকার কবীর উদ্দিনের কণ্ঠে বারবার ঘোষিত হচ্ছিলো—শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে... অতঃপর রেডিওতে মেজর ডালিমের সদম্ভ উচ্চারণসমূহ একটি সদ্য স্বাধীন দেশকে ঘোর অন্ধকারের দিকে ফিরিয়ে নেবার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করছিলো বারবার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ওই কুলাঙ্গারের উচ্চারণে ইসলামিক রিপাবলিকে রূপান্তরিত হয়েছিলো এক লহমায়। রেডিও পাকিস্তানের অনুকরণে 'বাংলাদেশ বেতার' হয়ে গিয়েছিলো ‘রেডিও বাংলাদেশ’। ১৫ আগস্ট দুপুর থেকে ‘রেডিও বাংলাদেশ’-এ একটি গান বাজানো হচ্ছিলো অবিরাম। কোরাস কণ্ঠে গীত সেই বিশেষ গানের প্রথম কলিটি ছিলো—''আমরা এদেশ স্বাধীন করেছিলাম কাহাদের জন্য, কাহাদের জন্য, কাহাদের জন্য?/ মুষ্টিমেয় অই দুর্নীতিপরায়ণ নিষ্ঠুর হায়েনার জন্য?/ না না না না মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে কথা/মিথ্যে কথা মিথ্যে কথা।/আবার প্রশ্ন করো জনতার কাছে/...আমরা আমরা আমরা/আমাদের জন্য আমাদের জন্য আমরা আমরা আমরা/তোমরা কারা? তোমরা কি বাংলার নিপীড়িত মানুষের জনতা?/ নিপীড়িত জনতা! কোথায় সে নিপীড়িত জনতা?/আমরা শ্রমিক আমরা কিষাণ মেহনতি মানুষের জনতা/পরাধীন জীবনে শাসন আর শোষণে রিক্ত যারা/অন্যায় অবিচার সইছে যারা/বাংলার স্বাধীনতা আমাদের নয়তো কাহাদের কাহাদের কাহাদের?/বলো কাহাদের? বলো কাহাদের?/সত্য ভাষণ হে বাংলার জনতা স্বাধীনতা তোমাদের তোমাদের তোমাদের তোমাদের/......এই কি ছিলো সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের লক্ষ্য?/এই কি ছিলো সেই মিক্তিযুদ্ধের কাম্য?/ এই কি বাংলার সাম্য?/না না না না নাহ্‌ নাহ্‌/আমরা বাংলাকে স্বাধীন করেছিলাম সাধারণ মানুষের জন্য/নিপীটিত জনতার জন্য...।'' অসংখ্যবার শোনার কারণে পুরো গানটিই আমার স্মৃতিতে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। একবার প্রশ্ন করছিলো পুরুষকণ্ঠ, জবাব দিচ্ছিলো নারীকণ্ঠ। আরেকবার প্রশ্ন করছিলো নারীকণ্ঠ জবাব দিচ্ছিলো পুরুষকণ্ঠ। কখনো সলো কখনো কোরাসে। মনে হচ্ছিলো স্বাধীনতাযুদ্ধের লক্ষ্য ও মুক্তিযুদ্ধের কাম্য থেকে বাংলাদেশ সরে যাচ্ছিলো এবং সেই সময়ে স্বাধীনতার স্থপতি মুজিবকে হত্যা করা ছাড়া স্বাধীনতার স্বপ্নকে সফল করা যেতো না।

মুজিব হত্যার আনন্দে আপ্লুত হয়ে গানটি রচনা সুর সংযোজন এবং মিউজিক কম্পোজ ও সঙ্গিত পরিচালনা করেছিলেন খান আতাউর রহমান। আমাদের চলচ্চিত্রের মেধাবীপুরুষ বিখ্যাত খান আতা! খান আতার তৈরি করা গানটি ছিলো জাতির জনক হত্যাকে বৈধতা দেয়ার একটি সুরেলা প্রচেষ্টা। পঁচাত্তরেঘৃণ্য একদল ঘাতকের সমর্থনে স্বাধীনতার খোঁজে নেমেছিলেন সংস্কৃতিব্যক্তিত্ব বহুগুণে গুণান্বিত বিরল প্রতিভা খান আতা।

লিখাটি লুৎফর রহমান লিটন এর ফেসবুক পোষ্ট থেকে পাওয়া। লিংক নিচে দিলাম।

লুৎফর রহমান লিটন এর ফেসবুক পোষ্ট লিংক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.