নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুশীল ব্লগার না..নিরপেক্ষও না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

এস্কিমো

"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।

এস্কিমো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতের "জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে"র একটি ক্লাসিক ভন্ডামীর উদাহরন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৫

মুক্তিযুদ্ধা আলী আমানকে লাথি দিয়ে যে সংগঠনটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে তার নাম "জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে"। সংগঠনটির পিছনে কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী রাজাকার আলবদর নামক পাকিস্তানী আর্মির সহকারী বাহিনীর সংগঠন জামায়াত।



জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের জাতীয় সন্মেলনের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়ঃ-





১) পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবী ক্রমশ জোড়ালো হচ্ছে তখন মুক্তিযুদ্ধাদের বিভ্রান্ত করা আর দেশের মানুষকে বোকা বানানোর প্রচেষ্টা হিসাবে গত ২৬ জানুয়ারি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে এ/১১ শ্যামলী হাউজিং, আদাবরে একটি বাড়িতে এর প্রধান কার্যালয় ছিল। গত মাসে সেটি ১১৬/২ নয়া পল্টনে স্থানান্তর করা হয়। পল্টন থানা জামায়াতের সাবেক আমির সিরাজুল হকের পল্টন মানব শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের একটি কক্ষ সাবলেট (ভাড়াটের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া) নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। সিরাজুল হকও এই সংগঠনের উপদেষ্টা।



২) সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।





৩) "জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে"র প্রধান তিন নেতা মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে যে পরিচয় দিয়েছে - তা ভুয়া প্রমানিত হয়েছে।

৩.ক) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের গঠনতন্ত্রে সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দীনের মুক্তিযুদ্ধকালীন দায়িত্ব হিসেবে লেখা আছে ‘৮ নম্বর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের ক্যাম্প কমান্ডার’। ‘আপনি তো ৮ নম্বর সেক্টর হেডকোয়ার্টারের ক্যাম্প কমান্ডার ছিলেন’। ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব·) আবু ওসমান চৌধুরী। প্রথম আলোকে তিনি জানান, কল্যাণীতে তাঁদের কোনো প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ছিল না। কাজেই কেউ সেই প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কমান্ডার বললে সেটা মিথ্যা বলা হবে। সেখানে ৮ নম্বর সেক্টরের প্রশাসনিক সদর দপ্তর ছিল। এর বাইরে কল্যাণীতে তাঁরা কিছু বাড়ি ভাড়া করেছিলেন। সেখানে এই সেক্টরের কর্মকর্তাদের পরিবার থাকত।



৩.খ) মোসলেম উদ্দীন জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি পাবনা শহরে। পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল লতিফ সেলিম জানান যে, তিনি মোসলেম উদ্দীন নামের কোনো মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে চেনেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘এই নামে পাবনার কোনো বড় মুক্তিযোদ্ধা থাকলে আমরা তো জানতাম।’ পাবনায় বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট-বিএলএফের (মুজিব বাহিনী) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ও বর্তমানে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহুরুল ইসলাম বিশুও জানিয়েছেন, পাবনায় ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দীন নামের কোনো মুক্তিযোদ্ধা কামন্ডার নেই।



৪) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রবের মুক্তিযুদ্ধকালীন দায়িত্ব হিসেবে দলীয় গঠনতন্ত্রে ‘ক্যাম্প কমান্ডার’ লেখা আছে। ওই সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব·) সি আর দত্ত বলেছেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রব নামে তাঁর অধীনে কোনো কমান্ডার ছিল না; এমনকি কৈলাসটিলায় মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো ক্যাম্পও ছিল না।



৫) সংগঠনটির আরেক সহসভাপতি ফজলুল হকের মুক্তিযুদ্ধকালীন দায়িত্ব হিসেবে লেখা আছে ‘এফ এফ সাব সেক্টর কমান্ডার এবং থানা কমান্ডার’। প্রকৃত ইতিহাস হলো নোয়াখালী এলাকার সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব·) জাফর ইমাম। জনাব জাফর ইমাম জানান, ‘বৃহত্তর নোয়াখালীর সাব সেক্টর কমান্ডার ছিলাম আমি নিজে। আর বিএলএফের (মুজিব বাহিনী) নোয়াখালী কমান্ডার ছিলেন বেলায়েত। তিনিও আমার অধীনে যুদ্ধ করেছেন। এখন কেউ যদি নিজেকে সাব সেক্টর কমান্ডার দাবি করেন, তাহলে বুঝতে হবে সে লোকটা ভুয়া। তিনি স্বাধীনতার বিরুদ্ধশক্তির কমান্ডার হতে পারেন। এর বিরুদ্ধে আমরা পুলিশের সহায়তা নেব।’



৫.ক) লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হুমায়ুন কবীর তোফায়েলও প্রথম আলোকে বলেছেন, ফজলুল হক নামে লক্ষ্মীপুরে কোনো কমান্ডার ছিলেন না।





৬) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের গঠনতন্ত্রে মোট ৪২ জনের নাম আছে, যাঁদের পরিচয় দেওয়া আছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। এর মধ্যে নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ১৪ জনের নাম আছে। তাঁদের একজন কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও কিশোরগঞ্জ ওয়ালীনেওয়াজ খান কলেজের শিক্ষক মুসাদ্দেক ভূঁইয়া। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। সংগঠনের গঠনতন্ত্রে তাঁর পরিচয় ১১ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ আছে। তবে জানতে চাইলে তিনি কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছেন, তা বলতে পারেননি। তিনি জানান, ‘তখন তো নবম-দশম শ্রেণীতে পড়তাম; মুক্তিযুদ্ধের পর আবার ছাত্রজীবন, পরে ’৭৭ সালে অন্য রাজনীতিতে (জামায়াত) যুক্ত হয়ে গেলাম। তখন আর এ বিষয়ে খোঁজখবর নেইনি।’ তিনি দাবি করেন, ভৈরবের কাছে নরসিংদীর বেলাব থানার নারায়ণপুরে একটি ক্যাম্পে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ভৈরব, নারায়ণপুর, কালিকাপ্রসাদ এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করতেন। তবে তাঁর কাছে কোনো অস্ত্র থাকত না। তবে ভৈরব মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন শাহজাহান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মুসাদ্দেক ভূঁইয়া নামে ভৈরবে কোনো মুক্তিযোদ্ধা কখনোই ছিল না। আর নারায়ণপুর বেলাব থানায় হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় এ জায়গাটি তাঁদের অধীনে ছিল এবং সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল না। কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার মো· আসাদুল্লাহ্‌ জানান, জামায়াতের নেতা মুসাদ্দেক হোসেনের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় কখনোই ছিল না।



(কৃতজ্ঞতা - দৈনিক প্রথম আলো)



ছবি - ১৯৭১ সালে আলবদরের সমাবেশে বত্তৃতা দিচ্ছে আলবদর কমান্ডার মুজাহিদ (সৌজন্যে - ডেইলি স্টার)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১০/-৩

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

বুলবুল আহমেদ পান্না বলেছেন: জামাতী শুয়োরের বাচ্চা গুলারে কুত্তা দিয়া ্দানো উচিত।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭

মীতু বলেছেন: পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০০

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

ধিক এইসব ভন্ডদের !

ওদের মুখে থু থু !

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৩

কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: দরকারী পোস্ট।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:০৮

লাল দরজা বলেছেন: ব্লগে কিছু নিক খেয়াল করেছেন নিশ্চই স্বাথীনতা/মুক্তি ইত্যাদি শব্দ যুক্ত সব নিক। আমার ঐ পোষ্টটিত আপনি দেখেছেনই "মুক্তি যোদ্ধা শিবির" ( Click This Link ) আর এখন আজান দিয়া শুরু করছে ধারন করেছে তারা "জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে"র। আমার ঐ ইউটিউব ভিডিওতে এক জনে কমেন্ট করেছে এইরকম, তারা কি দেশটারে ভালোবাসতে পারে না? কি পরিমান সিনাজুড়ি ভেবে দেখেছেন! একটু একটু একটু করে আস্তে আস্তে করে কি ভীষন স্পর্ধায় এরা বেড়ে উঠছে ভাবলে মাথা ঘুরে যায়

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:১১

লাল দরজা বলেছেন: ব্লগে কিছু নিক খেয়াল করেছেন নিশ্চই স্বাধীনতা/মুক্তি ইত্যাদি শব্দ যুক্ত সব নিক। আমার ঐ পোষ্টটিত আপনি দেখেছেনই "মুক্তি যোদ্ধা শিবির" ( Click This Link ) আর এখন আজান দিয়া শুরু করছে তারা "জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে"র। আমার ঐ ইউটিউব ভিডিওতে এক জনে কমেন্ট করেছে এইরকম, তারা কি দেশটারে ভালোবাসতে পারে না? কি পরিমান সিনাজুড়ি ভেবে দেখেছেন! একটু একটু একটু করে আস্তে আস্তে করে কি ভীষন স্পর্ধায় এরা বেড়ে উঠছে ভাবলে মাথা ঘুরে যায়

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৩

রাফা বলেছেন: এখন আর জুতা পেটায় কাজ হবেনা।শুয়োর গুলোকে পা দিয়ে পিশে ফেলতে হবে।ধন্যবাদ

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৪৭

আরিফুল হোসেন তুহিন বলেছেন: জামাতিগো কুত্তা দিয়া খাওয়ান দরকার

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮

শহিদবিডি বলেছেন: রাফা শুনেন যারা মানুষকে শুয়োর বলতে পারে তারা কোন জাতের মানুষ প্রশ্ন থেকে যায়। শুধু ব্লগে উল্টা পাল্টা কথা লিখলেই দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। দেশপ্রেমিক হওয়ার জন্য দেশের উন্নতির জন্য কাজ করুন। অন্য লোকের দোষ ধরার চেয়ে নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করাই একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের লক্ষণ।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:০৪

শহিদবিডি বলেছেন: তুহিন ভাই দেখুন, কোন দলের একতরফা বিরোধীতা করার মধ্যে কোন স্বার্থকতা নেই। আসুন আমরা সবই মিলে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করি। বর্তমান সময়ে কারা দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে কাদের কাজে দেশের মানুষের জন জীবন বিগ্নি ত হচ্ছে তার আমাদের বিচার করতে হবে। আমরা যদি দেশকে ভালোবাসি তাহলে উচিত হবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কথা বলা। কিছু গতানুগতিক কথা বললেই যদি দেশপ্রেমিক হওয়া যেত তাহলে পাগলরাই হত সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫০

মিছে মন্ডল বলেছেন: শহিডবিডি, শালা ফাকিস্তানের গো.চাটা শুয়োর অফ যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.