নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুশীল ব্লগার না..নিরপেক্ষও না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

এস্কিমো

"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।

এস্কিমো › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্রেনী বিভক্ত সমাজে অভিজাত্যের প্রতীক ১২ কোটি টাকার তোয়ালে

০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:২৩

শিরোনাম দেখে অনেকে হয়তো অবাক হবেন - সমাজের শ্রেনী নির্ধারনের বা বহিঃপ্রকাশের তোয়ালের মতো একটা জিনিস কিভাবে ভুমিকা রাখে। তোয়ালে মুলত একটা রাথরুমের অপরিহার্য উপাদান হিসাবে বিবেচিত হবে- যা গামছা নামক একট দেশী বস্ত্রেনর উন্নতমানের সংস্কারন বটে।



তোয়ালের মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা প্রদর্শনের বিষয়টা প্রথম নজরে আসে যখন চাকুরীতে ঢুকি। অফিসে বসার প্রথম সপ্তাহই দফরের প্রধান কেরানী এসে একটা তালিকা দেখালো - তাতে অফিসে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যে চায়ের কাপ, পানির গ্লাস, ড্রয়ারে তালার সাথে তোয়ালে দেখে অবাক হয়েছিলাম। জানতে চাইলাম তোয়ালে কেন? উত্তরে ভদ্রলোক জানালেন - তোয়ালে অফিসের অবিচ্ছেদ্য অংশ বটে।



উনি তোয়লে বিষয়ক একটা নাতিদীর্ঘ বত্তৃতা দিলেন। জানলাম তোয়ালের জন্যে বাৎসরিক বাজেট বরাদ্ধ আছে। এই অর্থের পরিমান নির্ভর করে পদের গুরুত্ব ও জোষ্ঠ্যোতার উপর। যেমন কেরানীদের মধ্যে প্রধান কেরানী শুধু তোয়ালে পাবে - এবং তার সাইজ আর দাম হবে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে দফতর প্রধান পাবেন সবচেয়ে দামী আর বিদেশী তোয়ালে। সেগুলো চেয়ারের পিছনে থাকবে।



আমার জন্যে যখন তোয়ালে কেনা হলো - রশিদ দেখে একটু হাসতেই হলো। পঞ্চাশ টাকা দামের তোয়ালে কেনা হয়েছে একশত বিশটাকা দামে - অর্থাৎ ১৪০% চুরি হয়েছে একটা জিনিস কেনার জন্যে। আইনতগ ভাবে আমি তখন ১৫০ টাকা পেতে পারতাম তোয়ালে কেনার জন্যে।



প্রশ্নটা আজও মাথায় ঘুরছে - একজন কর্তাকে কেন তোয়ালে পেতে বসে থাকতে হবে? কোথা থেকে এই ধারনার প্রবর্তন হলো? বছরে কতটাকা সরকারী তহবিল থেকে ব্যয় হয় বাথরুমের একটা সরঞ্জামকে দফতরের কর্তাদের চেয়ারে পেছনে পাতার জন্যে? এই বিষয়গুলো গবেষনা যোগ্য বটে।



মজার বিষয় হলো - দেশ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে - কিন্তু আজও যখন দেখি প্রচন্ড গরমের মধ্যে স্যুটেট-বুটেট হয়ে তোয়ালে পেতে বসে থাকতে - নিশ্চিন্ত হয়ে বলে দিতে পারি এরা সরকারী চাকুরীজীবি। আর তোয়ালের সাইজ দেখে বলা যায় তুলনামুলক ভাবে উনি কতটা উপরে বা নীচে পদায়িত আছেন।



তবে শ্রেনী বিভক্ত সমাজে অভিজাত্য প্রকাশের এই হাস্যকর প্রয়াসের মাধ্যমে বছরে যে বিপুল পরিমান অর্থব্যয় হয় - তা কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না।





(কৃতজ্ঞতা - আমার ব্লগে প্রকাশিত পোস্টে সাঈদ সরকারী খাত থেকে বছরে ১২ কোটি টাকা খরচ করে সরকারী কর্তাদের চেয়ারে পাতার জন্যে তোয়ালে কেনা হয় - এই তথ্যটা দিয়েছেন।)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৮/-১

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৩৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: আজব !!! এইসব ফালতু খরচ ( আসলে খরচের দোহায় দিয়ে চুরির পথ বের করা ) অবশ্যই বর্জন করা উচিৎ .......

পাছার নিচে তোয়ালে দেওয়ার জন্য ১২ কোটি টাকা !!!! এইটাকায় ৩০/৪০ (আনুমানিক) টা প্রাইমারী স্কুল চালানো যায় !!!

তোয়ালে মুলত একটা রাথরুমের অপরিহার্য উপাদান হিসাবে বিবেচিত হবে- যা গামছা নামক একট দেশী বস্ত্রেনর উন্নতমানের সংস্কারন বটে। ---- এইখানে একটু দ্বিমত আছে :) ...... আমার কাছে মনে হয় গামছাই তোয়ালের উন্নতমানের সংস্করন :)

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯

মিলটন বলেছেন: হ্যা ঠিকই বলেছেন এটা সরকারী অফিসে বেশী দেখা যায়। তবে এই বাড়তি খরচ গুলো বাদ দেওয়াই ভালো। এমন আরো অনেক আইটেম আছে যেগুলো অপ্রয়োজনীয়।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪১

পথিক!!!!!!! বলেছেন: আরে ভাই সরকারী চাকুরী করতে গিয়া কত কিছূ যে দেখছি আর সহ্য করছি........
ব্রিটিশ এর পা চাটা আইনগুলো আমরা কেউ বদলাতে যেন চাই না। ..

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬

মুনীর উদ্দীন শামীম বলেছেন: আমার মনে হয় এ পদসোপানমূলক তোয়ালে সংস্কৃতিটা শুধু শ্রেণীর সাথে সম্পর্কৃত নয়, এর সাথে আমাদের সামন্ত সংস্কৃতিরও সম্পর্ক আছে। সামন্তপ্রথার শেষ হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু তার রেশ রয়ে গেছে। তা আবার প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে বেশি করে। আমাদের পুঁজিপতিরাও মুনাফা তৈরিতে পুঁজিবাদী। কিন্তু আচরণে সামন্ততান্ত্রিক। এ পদসোপানের চিহ্ন পাবেন তোয়ালের মধ্যে, চেয়ারের মধ্যে, নামাজের মাসলার মধ্যে..........এমনকি জাতীয় ঈদগাহ এর কাতারের মধ্যে।
আর আপনি যেদিকগুলোর প্রতি নজর দিয়েছেন তার সাথে সহমত এবং ধন্যবাদ।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯

পজিটিভ২৯ বলেছেন: শান্তির দেবদূত বলেছেন: পাছার নিচে তোয়ালে দেওয়ার জন্য ১২ কোটি টাকা !!!! এইটাকায় ৩০/৪০ (আনুমানিক) টা প্রাইমারী স্কুল চালানো যায় !!!

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:৫৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আমাদের সরকারী প্রতিস্ঠানগুলোতে প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেনীর - যে স্ট্রাকচার আছে সেটাইতো দাসত্বের নিদর্শন। বৃটিশরাছিল প্রথম শ্রনীর অফিসার আর আমরা ন্যটিভরা ছিলাম - দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেনীর। এখনও প্রথম শ্রেনীর অফিসাররা দ্বীতীয় শ্রেনীর সাথে দাসেরমত ব্যাবহার করে আর দ্বিতীয় শ্রেনীর লোকেরাও প্রথম শ্রেনীর অফিসারকে স্যার স্যার করে গলা শুকিয়েফেলে ( আর পিছনে পিছনে গালি দেয় )।

আমি কিছুদিনের জন্য পি.ডি.বির একটা প্রজেক্টে কাজ করেছিলাম, তখন আমার বাবা/চাচার বয়সী সাব-এ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্চিনিয়াররা আমাকে যেভাবে স্যার বলত তা দেখে আমার রিতিমত লজ্জা লাগত। অথচ তারা এটাকেই ভদ্রতা/আনুগত্য প্রকাশের উপায় মনে করে - কি নিদারুন মানষিক দাসত্য আমাদের বন্দি করে রেখেছে ভাবলেই খারাপ লাগে।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:০০

মেঘলা মানুষ বলেছেন: পজিটিভ২৯ বলেছেন:এইটাকায় ৩০/৪০ (আনুমানিক) টা প্রাইমারী স্কুল চালানো যায় !!!

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:১৩

স্বপ্ন ব্যাকরণ বলেছেন:
এবারের বাজেটে কি তোয়ালার জন্য বিশেষ বরাদ্দ হবে?

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮

জরিণা বলেছেন: নিজ টাকায় তোয়ালে কেনার বন্দোবস্ত করা হউক। তবে ১৪০% চুরি রোধ হবে।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৪১

আন্ধার রাত বলেছেন:
নতুন গ্রুপ "শেয়ার কথা"
Click This Link

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৯

রোহান বলেছেন: ভাইরে সরকারী অফিসে কামের চেয়ে আকাম বেশি হয়। অনেক আগে এক বন্ধুর বাবার অফিসে দেখলাম কর্মকর্তাদের সবাইরে পিসি দিসে। এখন ২৫ টা পিসিতে বাংলা টাইপ করবো তাই প্রত্যেক পিসির জন্য এক হাজার না কত জানি বরাদ্দ হইছে সফটওয়ার কিনার লাইগা। আমি গেছি এক কামে, যেয়ে দেখি ৬০ টাকার মিক্স সফটওয়ারের একটা সিডি দিয়াই সবগুলাতে বিজয় ইন্সটল করতাসে। হায় সেলুকাস।

আমরা প্রাইভেট অফিসে কমন একটা ল্যান করা প্রিন্টার দিয়া কাম চালই, তাও আবার এইচ আর বলে সেইভ পেপার। ঐদিন সরকারি অফিসে এক ফ্রেন্ডের কাছে গেছিলাম, দেখি প্রতি রূমে তিনজনের জন্য একটা করে লেজার প্রিন্টার আর অফসেট কাগজ তো আনলিমিটেড।

এসবের কাছে তোয়ালে তো কিছুই না।

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:১০

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: +। জিয়া ভাই কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.