![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।
বাংলাদেশের ভিন্ন পত্রিকায় আজ আজ একটা খবর থাকবে - খবরটা হলো - আজ "আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস" বা "আজ ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর"।
এই ঐতিহাসিক দিবসটি কেন বাংলাদেশীদের জন্যে গুরু্ত্বপূর্ন বা প্রকৃত পক্ষে সেইদিন কি পেয়েছিলো বাংলাদেশ, এই প্রশ্ন করাটা কি স্বাভাবিক নয়? ৭ই নভেম্বরের আসলে কি ঘটেছিলো - তার প্রকৃত ইতিহাস জানা কঠিন। কারন যারা সেইদিন ক্ষমতা দখলে স্বক্ষম হয়েছিলো - তারা ইতিহাসটা তাদের মতো করে লেখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু সেই ঘটনার প্রকৃত সত্যকে প্রকাশ করতে ব্যর্থ সুবিধাভোগীরা - তাই যেভাবে ইতিহাসটা লেখা হয়েছে - তা অনেকটা রূপকথার মতো শুনাবে।
রূপকথা বলা সময় যেমন হঠাৎ করে একজন রাজা আসে - এক দেশে এক রাজা ছিলো, তার ছিলো হাতি ঘোড়া ....ইত্যাদি। ৭ই নভেম্বরের ঘটনা বর্ননায় অধিকাংশ লেখককেও তেমনি বায়বীয় কিছু শব্দ ব্যবহার করতে দেখা যায়। যেখানে প্রকৃত পক্ষে ইতিহাসকে ধারন করা কঠিন।
বাংলাদেশে প্রকাশিত আজকের কয়েকটা পত্রিকার খবরগুলো একটু নজর দেওয়া যাক -
১) আজ ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এইদিনে সেনাবাহিনী ও জনসাধারণ ঐক্যবদ্ধভাবে জিয়াউর রহমানকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেন। পরবর্তীতে সিপাহী জনতার মিলিত বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বিশেষ পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। (দৈনিক আমাদের সময়)
২) আজ ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর । জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এইদিনে দেশপ্রেমিক সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লব আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এই ভূ-খণ্ডের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত করেছিল। তারা জিয়াউর রহমানকে (তৎকালীন মেজর জেনারেল) বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে এনে রাষ্ট্রীয় ৰমতায় অধিষ্ঠিত করেন। (দৈনিক ইত্তেফাক)
প্রায় সকল পত্রিকাই ইতিহাস লেখা শেষ করবে তিন লাইনে। যার সারমর্ম হলো:
১) দিনটি ঐতিহাসিক দিন।
২) সিপাহী- জনতা মিলে বিপ্লব করেছিলো।
৩) জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছিলো।
এই তিন লাইনের বাইরে গেলেই প্রকৃত সত্যগুলো বেড়িয়ে আসতে থাকে। সেই ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অংশটা জুড়ে থাকবে জাসদ, গনবাহিনী আর কর্নেল তাহের।
মুলত ১৯৭২ সাল থেকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে কর্নেল তাহেরে নেতৃত্বে প্রতিবিপ্লবীরা সংগঠিত হয়। এরা সেনাবাহিনীতেও একটা বিরাট প্রভাব ফেলে। তারপর ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্টের হত্যঅআন্ড, সামরিক শাসন আর ৩রা নভেম্বর জের হত্যা - সবই সংগঠিত হয় - কিন্তু জাসদ যদিও এই বিষয়গুলো সমর্থণ করেনি - কিন্তু বাঁধা দেবার মতোও কিছু করেনি। অবশেষে ৩ থেকে ৭ ই নভেম্বর দ্রুত দৃশ্যপট বদলাতে থাকে। কয়েকজন মেজর আর কর্নেলকে নিয়ে খন্দকার মুশতাক দেশে একটা অরাজকতা চালাচ্ছিলো। এই অবস্থার অবসানের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধারা খালেদ মুশাররফের নেতৃত্বে একটা প্রচেষ্টা নেয়। কিন্তু জেনারেল ওসমানীর মধ্যস্থতায় মুশতাক আহমদে বেঁচে যায় - কিন্তু জেলে নিহত হন চার নেতা। অন্যদিকে ওসমানীর মধ্যস্থতা মেনে নিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় মূল্যটাও পরিশোধ করেন খালেদ মোশাররফ।
অবশেষে জাসদ গনবাহিনীকে সক্রিয় করে ক্যান্টনমেন্টে একটা বিদ্রোহ করায় এবং সফলও হয়। কিন্তু কর্নেল তাহের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বিশ্বাস করে। তাহেরের নির্দেশে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসানো হয়।
তারপর জিয়াউর রহমান দ্রুতই তার আসল চেহারা খোলশ থেকে বের করে ফেলে। একটা পাতানো আদালত বানিয়ে তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। শত শত জাসদ কর্মীকে জেলের ভেতরে হত্যা করা হয়।
একজন মুক্তিযুদ্ধ হিসাবে কর্নেল তাহের আরেকজন মুক্তিযুদ্ধা জিয়াউর রহমানকে বিশ্বাস করে ক্ষমতায় বসালেও - সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় মক্তুযুদ্ধে অর্জনগুলো। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার শত্রু আর পরাজিত শক্তিকে পূর্নবাসন শুরু করে - অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে বর্জণ করে। ফলে ধর্মান্ধ আর ধর্মব্যসায়ীরা চলে আসে দৃশ্যপটে। প্রতিশীলতা বিসর্জিত হয় রাষ্ট্রের মুল নীতি থেকে।
এভাবে জাসদ নামে একটা দল, একজন মুক্তিযুদ্ধা তাহের আর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া একটা দেশের জনগন আরেকজন মুক্তিযুদ্ধার হাতে প্রতারিত হয়।
(২)
আরেকটা বিষয় লক্ষ্যনীয় - ৭ই নভেম্বর পালন করে যারা, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিএনপি, জাসদ আর বাজাই( জামাত)।
বিএনপি তিন লাইনের ইতিহাসের উপরে এই দিবসটিকে পালন করে - এর যথেষ্ঠ যুক্তি আছে। প্রকৃত পক্ষে বিএনপির জন্মদিন এই ৭ই নভেম্বর। তবে যদি সৎ ভাবে এরা তিনটি পালন করে - তাহলে তাদের আলোচনায় তাহেরে প্রতি কৃতজ্ঞতার বিষয়টা উল্লেখ করা উচিত। যদি কর্নেল তাহের সেইদিন জিয়াউর রহমানকে বিশ্বাস না করতেন - তাহলে হয়তো ৭ই নভেম্বর জিয়াউর রহমান মৃত্যু বার্ষিকীর পারিবারিক মিলাদে অনেকে দাওয়াত পেতেন।
জাসদও এই দিবসটি পালন করে। ওরা বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করলেও - প্রকৃতপক্ষে প্রতারিত ও "জাসদের শেষের শুরু" দিবস হিসাবে পালন করা উচিত বলেই মনে করি। কারন আওয়ামীলীগের বিরোধী বিরাট একটা তারুন্যের দল ছিল জাসদ - বিপ্লব - গনবাহিনীর ইত্যাদি অতিবিপ্লবী কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িয়ে এরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিগনিত হয় - পরে কর্নেল তাহেরের একটা ঐতিহাসিক ভুলে এই দিনে জিয়াউর রহমান জাসদের মৃত্যর পরোয়ানা জারি করে এইদিনেই।
তৃতীয় যে দলটা এই দিবসে পালন করে তারা হলো জামাত বাজাই। যদিও এরা বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে - প্রকৃতপক্ষে না বিপ্লব - না সংহতি - কোনটার সাথেই এদের কোন যোগাযোগ ছিলোনা। বরঞ্চ এরা এই দিনটাকে পুনর্জন্ম দিবস বা "ভাগাড় থেকে প্রত্যবর্তন" দিবস হিসাবে পালন করলে বরঞ্চ সত্যের কাছাকাছি যাবে।
(৩)
আর সাধারন মানুষ?
মুক্তিযুদ্ধের সাথে বেঈমানী করলো একজন মুক্তিযুদ্ধা, প্রতারিত হলো একটা দল আর বিশেষ করে প্রতারিত হলেন একজন মহান মুক্তিযুদ্ধ তাহের - এই বিষয়গুলো দেখার পর - দিনটি জাতীয় প্রতারনা দিবস হিসাবে পালন করতে পারেন।
(ছবি কৃতজ্ঞতাঃ জেনোসাইডবাংলাদেশ.অর্গ)
(পূর্বে প্রকাশিত)
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২১
গোরা বলেছেন: ১৯৭১ সালের এই দিনেই জামাত আল বদর দিবস হিসাবে পালন করে
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩০
অবুঝ পাঠক বলেছেন: রাজনীতি ছাড়া কি বেচে থাকা খুব কঠিন ?
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১২
অন্তরপুর বলেছেন: পাগলের প্রলাপ।
ইতিহাস তো আমরাও জানি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮
এস্কিমো বলেছেন: তাইতো - আপনি আপনার ইতিহাসের ভার্সানটা জানান। দেখি কে বড় পাগল।
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৮
অপরাজেয় বিদ্রোহি বলেছেন: পোস্টে ++++++
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৯
িফেরাজ আহেমদ ভুইয়া বলেছেন: দাসত্ব ভাইয়ের ব্লগে একটু চোখ বুলিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি ।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯
এস্কিমো বলেছেন: আপনার দাসত্ব ভাই আমাকে ব্লক করে রেখেছে কেন?
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩১
রিমন০০৭ বলেছেন: ক্রাচের কর্ণেল বইটা পড়েছেন?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৯
এস্কিমো বলেছেন: জ্বী - পড়েছি।
৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫১
আমার মন বলেছেন: সত্য জানার চেষ্ঠায় আছি। ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।
৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১০
১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৪
নেয়ামূল হক বলেছেন: তাহেরের নির্দেশে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসানো হয়।
জাসদে তাহেরের পদবীটা কী ছিল জানাবেন কী?
জিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে কতটি অভি্যান চালিয়েছিল তাহের ও তার গনবাহিনী জানালে উপকৃত হতাম।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০০
এস্কিমো বলেছেন: গনবাহিনী জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্য কোন অভিযান চালিয়েছিলো বলে শুনিনি। তবে গনবাহিনী সেনা কর্তাদের হত্যা করেছিলো এবং জিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছিলো তাহেরের নির্দেশেই।
জাসদের মুল ব্যক্তিত্বের মধ্যে তাহের ছিলেন সর্বাগ্রে - গনবাহিনীর সংগঠক এবং মুল পরিকল্পনাকারী।
১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২০
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট সবাইকেই ৭ ই নভেম্বর সম্পর্কে জানা উচিত ভাই , ধন্যবাদ ।
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: +++
১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: দেখা যাক কি শিখতে পারি.....
১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১১
মাক্স বলেছেন: +++
১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫১
ডিগবাজি বলেছেন: সত্য দেশের বেশির ভাগ মানুষই জানে। কে ষড়যন্ত্রকারী আর কে ষড়যন্ত্রের স্বীকার।
কে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে, আর কে মানুষের হৃদয়ে।
১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ওকাপী বলেছেন: একটা প্রশ্ন প্রায়ই মনে হয়।
অবসর নেবার পর নাজুক সেনাবাহিনীর সহায়তায় কি করতে চেয়েছিলেন তাহের?
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এস্কিমো বলেছেন: সোজা উত্তর হলো তাহের একটা বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন - সেখানে সেনাবাহিনীর ভিতরেও বিপ্লবের এজেন্ট অনুপ্রবেশ করিয়েছিলেন। সবই ঠিক মতো চলছিলো - কিন্তু দাবার মুল চাল চেলেছিলো মার্কিন দুতাবাস থেকে - সেখানে তাহের আউট হয়ে জিয়া ইন হয়েছিলেন।
১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৪৩
মিতক্ষরা বলেছেন: মুজিব আমলে জেল খানা যেখানে ভর্তি হয়েছিল জাসদের কর্মী দিয়ে, সেখানে তাহের কি করে ফস্কে গিয়েছেলেন কেজানে?
০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ২:৫১
এস্কিমো বলেছেন: কোথা থেকে এই তথ্য পেলেন যে মুজিব আমলে জাসদ কর্মী দিয়ে জেল ভরা হযেছিলো। একটু খোঁজ খবর নেন - জাসদের একটা অংশ গোপনে গনবাহিনীর নামে সন্ত্রাস করলেও বড় অংশ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে রাজনীতি করছিলো। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর পর্যণ্ত জাসদ ঢাকায় বড় সর মিছিলে করেছে। প্রায় নেতাই ছিলো মুক্ত। জিয়া ক্ষমতায় এসেই জাসদের উপর চড়াও হয় এবং জাসদের নেতাকর্মীদের পাইকারী হারে জেলে ঢুকায়। সেই সময় অনেকেই দেশ থেকে পালায়। যার একটা অংশ এখনও জার্মানীতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে।
তাদের মুজিব মরকারের নিযোগ পেয়ে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেডিং বিভাগের প্রধান হিসাবে চাকুরীরত অবস্থায় গোপন সংগঠন করে এবং ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর চাকুরী ছেড়ে দেন।
রব, জলিল, শাহজাহান সিরাজ, ইন, আরিফ সবাই একটা সময় জেল খেটেছেন।
১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:১৩
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। ৩ বছর আগে আমি ৭ নভেম্বর নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু আপনার মত এত সুন্দর আর গোছানো লেখা হয়নি।
১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৪
ওকাপী বলেছেন: লেখক বলেছেন: সোজা উত্তর হলো তাহের একটা বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন - সেখানে সেনাবাহিনীর ভিতরেও বিপ্লবের এজেন্ট অনুপ্রবেশ করিয়েছিলেন।
এর অর্থ ঐসময় যত হানাহানি হয়েছে....ক্যু-কাউন্টার ক্যু হয়েছে তার সব দায় দায়িত্ব তাহেরের।
সদ্য স্বাধীন নাজুক একটা দেশের জন্য আরেকটা বিপ্লব কি জরুরী ছিল ?
এসব বালখিল্যতার বিচার চাই।
২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
নষ্ট ছেলে বলেছেন: লেখক বলেছেন: সোজা উত্তর হলো তাহের একটা বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন - সেখানে সেনাবাহিনীর ভিতরেও বিপ্লবের এজেন্ট অনুপ্রবেশ করিয়েছিলেন।
এই ধরনের ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীতে কি ধরনের শাস্তি হয়?
কি ধরনের বিপ্লব করতে চেয়েছিলেন?
২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
নেয়ামূল হক বলেছেন: প্রশ্নের প্রথম অংশের উত্তর ঠিক তাও আবার ৭ নভেম্বরের আগ পর্যন্ত আমি জানতে চেয়ে ছিলাম ৭নভে হতে গ্রেফতারের আগের ঘটনা গুলি। নাকী কিছুই জানেন না?
দ্বিতীয় অংশের উত্তরে পুরোপুরি হতাশ করলেন তবে অবাক হইনি। নেট জগতে এমন ইতিহাস গবেষকের দেখা নিয়মিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৯
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। জিয়ার যে স্বাভাবিক মৃত্যু হবে না সেটাও এই দিনেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।