![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।
বিষয়টা আসলেই বুঝা কঠিন। জামাত শিবিরের কর্মীরা জানবাজি লড়াই করছে। পুলিশের উপর সংঘবদ্ধ আক্রমন করছে। বাসে আগুন দিচ্ছে - ত্রাস তৈরী করেছে। এর কারন কি? এদের সন্ত্রাসের কারনে কি আদালত বন্ধ হয়ে যাবে? মোটেও না। তাইলে কেন এই সন্ত্রাস?
বিষয়টা একটু লজিক্যালি দেখা যাক। যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্যে জনগন আওয়ামীলীগ জোটকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। সেই বিচার না করলে আওয়ামীলীগ জনগনের সাথে প্রতারণা করতো। ধীরে সুস্থে বিচার শুরু হলো। নানান ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করা হলো - বলা হলো এই বিচার এই না সেই না। ইত্যাদি ইত্যাদি। বারবার একটা বিষয় জানতে চেয়েছে - জামায়াতের ওয়েব সাইটে দেওয়া নেতাদের বায়োডাটা ( যা এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে) সেখানে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৮ পর্যণ্ত স্কীপ করা হয়েছে। সবার জীবন ইতিহাস বিরাট করে লেখা হলেও ১৯৬৯-১৯৭৮ পর্যণ্ত সময়কালের বিষয়ে পুরো নীরব। কেন এই নীরবতা? জামায়াত আশা করেছিলো দু্ই সামরিক শাসকের বদৌলতে মানুষ ভুলে যাবে তাদের অতীত। কিন্তু তা হয়নি। অবশেষে বিচার শুরু হয়েছে।
এখানে লক্ষ্যনীয় - জামায়াত দাবী করছে তারা একটা নিয়মতান্ত্রিক দল। কিন্তু সংসদে সর্বোসন্মত ভাবে গৃহিত সিদ্ধান্তের আলোকে যে বিচার শুরু হলো তা যে একটা বৈধ এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তা তারা মানতে চাইছে না। আবার আদালতের কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিয়ে তারা আদালতের অংশ হিসাবে কাজ করছে -তার মানে তারা আদালতকে বৈধ এবং নিয়মতান্ত্রিক বলে স্বীকৃতি দিচ্ছে কিন্তু বাইরে মিছিল-মিটি করে বা প্রচার প্রপাগান্ডায় বলছে আদালত মানি না।জামায়াতের নীতি হলো - সংসদ মানি - সংবিধান মানি - কিন্তু সংসদের সিদ্ধান্ত মানি না। আদালত মানি ভিতরে গিয়ে কিন্তু রাস্তায় গাড়ী পুড়িয়ে বলি তা মানি না। জামায়াতের এই দ্বৈত নীতির কারন কি?
আদালত শুরু থেকেই নানান ভাবে বিতর্ক, চাপ আর সন্ত্রাস করে আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে জামাত শিবির - কারন কি ওরা জানে যে অপরাধীরা তাদের অপরাধের জন্যে চুড়ান্ত শাস্তি পেতে যাচ্ছে - তাই শক্তি প্রয়োগ করে তাদের বাঁচাতে হবে - যে কোন মূল্যে।
যেহেতু এরা নিশ্চিত জানে যে ১৯৭১ সালে এরা কি করেছিলো - তার কারনে কখনই সেই সময়টা নিয়ে লুকোচুরি করে আর চায় না কেউ এই বিষয়ে কথা বলুক। কিন্তু সত্যতো আর লুকিয়ে রাখার বিষয় নয় - তাই এরা ভীত এবং শংকিত। এরা জানে তাদের কৃতকর্মের পরিনাম কি? তাই এরা আদালতেও আছে বৈধ ভাবে আবার রাস্তায় গিয়ে মানুষকে সন্ত্রস্ত করছে অবৈধ ভাবে। এরা একদিকে বিদেশী প্রভু ধরছে বাঁচার জন্যে - অন্যদিকে নিজেদের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহ রসুলের নাম বাদ দিচ্ছে ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার জন্যে।
জামায়াতের এই সর্বনাশী বহুমুখী নীতির চর্চা বহু দিনে পুরানো। এরা রংবদলাও গিরগিটি। প্রয়োজনে এরা নারী নেতৃত্ব হারাম করে - প্রয়োজনে নারী নেতৃত্বের আঁচলের নীচে ঢুকে পড়ে। সমস্যা হলো জামায়াতের পরিকল্পিত ক্যাডার বাহিনীর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ নেই - কারন এরা অর্থনৈতিক বা সামাজিক ভাবে পুরোপুরি দাস হিসাবে দলের হাইকমান্ডের আদেশ মেনে চলে। এই ক্যাডার বাহিনীকে ব্যবহার করে জামায়াত দেশে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরী চেষ্টা করছে। সুষ্পষ্ট দ্বিমুখী নীতি নিয়ে এরা নিজেরাও বিভ্রান্তঅ ভয়ার্ত আর বিভ্রান্ত একদল মানুষের তান্ডব দেখছে বাংলাদেশের মানুষ কিছুদিন ধরে।
এখনও সময় আছে এই সন্ত্রাসী গনহত্যার সহযোগী দলের ত্রাসের রাজত্ব তৈরী পথকে রুদ্ধ করে দেবার। জামাত শিবির বাংলাদেশের জন্যে রাজনীতি করে না - এরা মার্কিন দূতাবাসেরর গাড়ীতে ঢিল মেরে ক্ষমা চায় - কিন্তু ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যার সাথে জড়িত থেকেও সামান্য দুঃখিত না। এদের কার্যক্রম চালাতে সুযোগ দে্ওয়া মানেই দেশকে একটা বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া। দেশের সকল মহলকে বুঝতে হবে - এরা কি চায় - কেন এরা মিলিয়ন ডলার খরচ করে তাদের নেতাদের বিচারকে বাৎধা দিতে চায়। সময়ের কাজ সময়ে না করলে পরে তার জন্যে বিরাট মূল্য দিতে হয় - কথাটা বিবেচনা করে জামাত/শিবিরকে এখনই নিষিদ্ধ করা হউক - নিষিদ্ধ করা হউক ১৯৭১ সালে তাদের গনহত্যার সহযোগীতার কারনে এবং আজকে জনপদে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক এবং অগনতান্ত্রিক আচরনের জন্যে। এখনই সময়.....
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৬
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ভাই। সময় করে পড়ব। এ বিষয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
জননেতা বলেছেন: আওয়ামী সনদে মুক্তি! Click This Link
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯
আলুমিয়া বলেছেন: জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করা মোটেও বুদ্ধিমানের মত কাজ না। একটা কথা ভাবেন - ধরেন নিষিদ্ধ করা হল। তাতে কি হল - তাতে জামাত শিবিরের মত একটা বিশাল দল আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেল। তখন তারা যাই করবে তা হবে অবৈধ আর তার জন্য পুলিশকে ছুটতে হবে পিছনে। আপনার কি ধারনা বাংলাদেশের পুলিশের সেই সামর্থ আছে? তাহলে উপায় - খুবই ভাল উপায়। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা। মানুষকে জাগিয়ে তোলা।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২
এস্কিমো বলেছেন: নিষিদ্ধ করার পর কি মানুষ জাগতে পারবে না। এক সময় জাসদও বিরাট দল ছিলো। তাকে নিষিদ্ধ করার পর ছত্রভংগ হয়ে যায়। পরে যখন আবার রাজনীতিতে ফিরে আসে তখন সেই জাসদ ছিলো না।
জামাতকে নিষিদ্ধ করা খুবই জরুরী। এইটা রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জন্যে একটা চ্যালেঞ্জ। নিষিদ্ধ করার পর জামাতও ছত্র ভংগ হয়ে যাবে। তাদের আর্থিক প্রতিষ্টানগুলো রাষ্ট্রের অধিকারে নিয়ে নিলে জামাত সোজা হয়ে দাড়াতে পারবে না।
৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫
মিতক্ষরা বলেছেন: সরকার বলছে এগুলো বিএনপি জামাতের তান্ডব। তাই বিএনপি জামাত দুটোকেই নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে সরকারের পক্ষে আবারো ক্ষমতায় আসা সহজ হবে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
এস্কিমো বলেছেন: অবশ্যই বিএনপি বর্তমান সন্ত্রাসের হাওয়া দিচ্ছে - যার পরিনতি একসময় বিএনপিকে ভোগ করতে হবে।
৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: "জামাত শিবির বাংলাদেশের জন্যে রাজনীতি করে না - এরা মার্কিন দূতাবাসেরর গাড়ীতে ঢিল মেরে ক্ষমা চায় - কিন্তু ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যার সাথে জড়িত থেকেও সামান্য দুঃখিত না। "
৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
মেলবোর্ন বলেছেন: জামাত মানেই ভন্ড ইসলামের নামে করে লন্ড ভন্ড।-
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
বি পজেটিভ বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: "জামাত শিবির বাংলাদেশের জন্যে রাজনীতি করে না - এরা মার্কিন দূতাবাসেরর গাড়ীতে ঢিল মেরে ক্ষমা চায় - কিন্তু ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যার সাথে জড়িত থেকেও সামান্য দুঃখিত না। "
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
প্রিয় বলেছেন: সহমত। +
১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
শয়ন কুমার বলেছেন: অচিন্ত্য বলেছেন: গতরাতে একটি টক শো'তে মুনতাসির মামুন বলেছেন, "পরাজিত শক্তি যখন পরাজিতের মত আচরণ করে না, তখন কীভাবে তাকে চিরকালের মত পরাজিত করে রাখতে হয়, সেই কাজটি করার সময় এসেছে।" তিনি জামাতকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন মানুষের কাছে জামাতের চরিত্রা আবার প্রকাশিত হচ্ছে। আবার যখন ঘর থেকে ধরে নিয়ে মানুষ মারা হবে, তখন মানুষ বুঝবে যে সত্যি সত্যিই ৩০ লক্ষ প্রাণের দামেই ৭১ এসেছিল। ৭১ কে অস্বীকার করার মানে বাঙালি জাতীয়তাবাদ অস্বীকার করা। তার মানে সংবিধানকে অস্বীকার করা। কারণ সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্পষ্ট লেখা আছে যে সকল মহান আদর্শ আমাদেরকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উদ্দীপিত করেছিল সেই সকল আদর্শই হবে আমাদের সংবিধানের মূলনীতি। কাজেই এই অদর্শের বিরুদ্ধে সহিংস অবস্থান রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল বলে মনে হয়।
১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪
শয়ন কুমার বলেছেন: হানাদার বাহিনীর শীর্ষস্হানীয় দোষর নেতৃবৃন্দ জামায়াত নেতারা ৭১ এ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তাদের সুপেরিরর অবস্থান ব্যাবহার করে নিজেরা অন্যায় করেছে এবং তাদের অধিনস্তদের অন্যায় করার আদেশ দিয়েছে। অধিনস্তদের অস্ত্র হাতে নিয়ে পাক সেনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করার আদেশ দিয়েছে ।
জামায়াত নেতারা রাজনৈতিক বিরোধীতার পাশাপাশি তাদের পুরোটা সময় তাদের কর্মিবাহিনীকে ইসলামের নামে বিভ্রান্ত করে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন সশস্ত্র রাজাকারবাহিনীতে যোগ দিতে। যে রাজাকার বাহিনীর কাজেই ছিল বাঙালীর উপর নির্বিচারে গনহত্যা চালানো , বাঙালী মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করা আর হানাদার বাহিনীর অপারেশনে সাহায্য করা ।
একই সাথে জামায়াতে ইসলামী তাদের ছাত্র সংঘটন "ইসলামী ছাত্র সংঘ" (বর্তমানে ছাত্রশিবির) কে ব্যবহার করে গঠন করে দূর্ধর্ষ আলবদর বাহিনী যারাই মূলত ঘটায় বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ড। তাই জামায়াতের বিরোধীতা শূধু রাজনৈতিকও ছিলো না ছিলো সামরিকও। পাকিস্তানের মাধ্যমিক শ্রেণীর পাঠ্যপূস্তকে এখনও জামায়াতের ভূমিকা উল্লেখিত আছে, "In the military operations, the armed volunteers of Jamaat-e-Islami also took part and used the occasion to settle old scores with their political opponents. " [২] এভাবে। এখানে "Armed" এবং "Volunteer" শব্দ দুটি খেয়াল করুন। যার অর্থ দাঁড়ায় জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের তাঁবেদারীর জন্য স্বেচ্ছায় অস্ত্র তুলে নিয়েছিলো। অর্থাত জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতা শূধু রাজনৈতিক ছিল না সামরিকও ছিল ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকাররেরা যাদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে, তাদের সঙ্গে রাজাকারদের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক শত্রুতা ছিল না। ৩০ লাখ মানুষকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল দলীয় ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্দিষ্ট আদর্শিক প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে।রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল তাদের লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
শয়ন কুমার বলেছেন: রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল তাদের লিডারদের রাজনৈতিক আহ্ববানেই ।
বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অধিনস্ত রাজাকারদের অস্ত্র হাতে নিতে মুজাহিদের নির্দেশঃ
সঙ্গে
১৯৭১ এর গনহত্যাকারী আলবদর বাহিনীকে একশনে উৎসাহিত করতে আলবদরের নেতা নিজামীর প্রচেষ্টার নমুনাঃ
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
এস্কিমো বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান সংযোজনের জন্যে।
১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
শার্লক বলেছেন: মাথা গরম করে সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আলুমিয়ার সাথে একমত। জানি না এই মাথামোটা সরকার কি করবে সেটাই দেখার বিষয়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
এস্কিমো বলেছেন: ৩৫ বছরের অনেক সরকার যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে অনীহ আর দ্বিধান্বিত ছিলো। যার ফলাফল দেখছেন দুপুরে বিজনেস আওয়ারে মতিঝিলে সন্ত্রাস করে একটা দল - যাদের ক্যাডার বাহিনীর কাছে দেশের কোন কিছুই মূল্য রাখে না।
জামাত নিষিদ্ধ করতে সাত সতের ভাবতে গিয়ে যদি আরো ৩০ বছর ব্যয় হয় - তাহলে তার মূল্য শোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। জামাতকে আমেরিকান পছন্দ কেন - এই প্রশ্নের উত্তর যদি খুঁজে পান - বুঝতে পারবেন জামাত বাংলাদেশের জন্যে কত বড় সমস্যা। কার্যত একসময় জামাত নিষিদ্ধ হবেই - কারন বাংলাদেশ আর জামাত পরষ্পর বিরোধী দুইটা সত্তা। বাংলাদেশ টিকে গেছে - সুতরাং জামাতকে যেতেই হবে। প্রশ্ন হলো কত সময় লাগবে।
১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: যারা জামায়াত শিবির সমর্থন করে তারা বহু আল্লাহর পথ ছেড়েছেন বহু আগেই। যারা জামায়াত করেন তারা মূলত আল্লাহর পথে নয়, অন্ধভাবে চলেন তাদের নেতাদের পেছনে। যদি বাস্তবিক অর্থেই তারা আল্লাহর পথে থাকতো, তবে তাদের সংবিধান থেকে আল্লাহ-রাসূল বাদ দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে বেছে নিতো না কোন ভাবেই।
পবিত্র কুরআনে পাকে যেখানে বলা আছে, ‘কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন ও তাকে অভিশপ্ত করবেন এবং তার জন্য মহা শাস্তি প্রস্তুত রাখবেন।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত-৯৩)
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, ‘দুনিয়া ধ্বংস করে দেওয়ার চেয়েও আল্লাহর কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।’ (তিরমিজি)
অথচ সেই কুরআন-সুন্নাহ ছেড়ে একাত্তরে এই জামায়াতীরাই পাকিস্তানীদের সাথে নিজেদের হাত রাঙ্গিয়েছে ত্রিশ লাখ বাঙ্গালীর রক্তে। ইসলামের নামে ধর্ষণ করেছে নিরীহ মা-বোনদের। এখনো থেমে নেই তাদের এই অগ্রপন্থী কর্মকান্ড। অথচ এসব কাজের জন্য তারা অনুতপ্ত নয় বিন্দুমাত্র।
এতেই কি প্রমাণ করেনা ইসলামের নাম করে প্রকৃত অর্থে বাস্তবায়ন করছে ভিনদেশী এজেন্ডা?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এস্কিমো বলেছেন: "যদি বাস্তবিক অর্থেই তারা আল্লাহর পথে থাকতো, তবে তাদের সংবিধান থেকে আল্লাহ-রাসূল বাদ দিয়ে তারা গণতন্ত্রকে বেছে নিতো না কোন ভাবেই।"
- সত্য কথা। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: বর্তমানে জঙ্গীবাদ হলো পরাশক্তিদের আগ্রাসনের একটি ছুতো মাত্র। জামায়াতকে দিয়ে এই পরাশক্তিগুলো চায় এদেশকে পাকিস্তানের মত অকার্যকর জঙ্গীবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে, যাতে এই অজুহাতে তারা সেনা পাঠাতে পারে আমাদের দেশে।
প্রশ্ন আসতে পারে এদেশে সোনার খনি-হীরার খনি- তেলের খনি নেই, তবু পরাশক্তিরা সেনা পাঠাতে চায় কেন? মূল কারণ আমাদের ভৌগলিক অবস্থান। আমাদের পাশে রাইজিং সুপার পাওয়ার ভারত, অল্প দূরেই চীন, আর সাথে বঙ্গোপসাগর। তাই এই দেশে যদি কোনো ভাবে ঘাঁটি গাড়তে পারে তারা সেক্ষেত্রে তারা ভারত আর চীনের উপর খবরদারি করার সুযোগ পাবে, অতি নিকটে থাকার কারণে। তাই তাদের মূল পরিকল্পনা জঙ্গিবাদী দল জামায়াতীদের ব্যবহার করে অস্থিতিশীল করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে খারাপ ধারণা দেওয়া এবং ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি এমন দিকে নিয়ে যাওয়া যাতে করে তারা সহজেই রণতরী নিয়ে এদেশে আসতে পারে।একারণেই খেয়াল করবেন আমেরিকা, ব্রিটেন এরাই জামায়াতের সবচেয়ে বড় মিত্র, আর জামায়ত তাদের। আর একই কারণে আমেরিকান দূতাবাসের গাড়ীতে ঢিল লাগা মাত্র এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করে জামায়াত, অথচ সাধারণ মানুষের গাড়ী পোড়ানো আর হত্যাতে তাদের ভ্রুক্ষেপ নেই।
তাই তাদের এই উগ্রপন্থী জঙ্গীবাদী কর্মকান্ড কি যেকোনো কারো মনে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দেবে না? যে শিশুটি আজ টিভিতে দেখছে ইসলামের নামধারী একটি দল আজ এসব কাজ করছে, সেই শিশুটি কি আর ইসলাম শান্তির ধর্ম এই মন্ত্রে বিশ্বাস করবে? তাই যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমান, তাদের নিকট আশু আবেদন অতি সত্ত্বর রুখে দাঁড়ান এসব জামায়াতীদের বিরুদ্ধে। চারিদিকে ছড়িয়ে দেন, জানিয়ে দিন, জামায়াতে ইসলামী করে যারা, আল্লাহ-রাসূল মানেনা তারা। এক ক্রান্তিকালে পৌঁছে গেছে জাতি। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই। ইসলামের পথে থাকবেন, নাকি জামায়াতে ইসলামের পক্ষে থাকবেন
১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: ৭১ এ ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করসে যে রাজাকার বাহিনী, সেই রাজাকার বাহিনীর লিডার গোলাম আজম গং দের কৃতকর্মের কথা মনে করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় জামাত- শিবির একটা ধর্ম বেচে খাওয়া মিথ্যাচারের চর্চা করা একটা দল ।মুখে ইসলাম কায়েমের কথা কয় আবার আদালতে মিথ্যাচারও করে ।ইসলামের ইতিহাসে খেলাফত কায়েমকারী কাউরে কখনো দেখছেন মিথ্যাচারের চর্চা করতে ?? জামাত-শিবির হলি ইসলামের প্রকৃত শত্রু, যারা মুখে খেলাফত কায়েমের কথা কয় আবার মিথ্যাচারের চর্চাও করে ।যেমনঃআদালতে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের ঘটনাস্হল ঢাকার মিরপুর এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জে ।অথচ এ প্রসঙ্গে আদালতে কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী হাফেজ এ আই এম লোকমান আদালতে মিথ্যা জবানবন্দী দিয়ে বলেছেঃ যুদ্ধকালে আব্দুল কাদের মোল্লা নাকি ঢাকাতেই ছিলেন না। তিনি গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে ছিলেন। হানাদার বাহিনীর সাথে কাদের মোল্লার নাকি কোন সম্পর্কই ছিল না !!!!!!! দৈনিক সংগ্রামও কাদের মোল্লার পক্ষের ঐ সাক্ষীর এই মিথ্যা জবানবন্দীটি রিপোর্ট ফলাও করে নিখছে কাদের মোল্লার পক্ষের সাক্ষী লোকমান যে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দী দিয়েছে তার প্রমান দেখা মেলে এই ছবিতে যেখানে কাদের মোল্লার{গোল দাগ চিহ্নিত} সাথে পাক বাহিনী সেনাপতি ঘাতক নিয়াজীর সঙ্গে
১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
ম্যানিলা নিশি বলেছেন:
জামাত শিবিরের সন্ত্রাস দমনের একমাত্র উপায় হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তরিকভাবে করা,এই বিচার থেকে কোন রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা না করা।
বিচার শুরুর চার বছর পর রায় দেয়া শুরু হয়েছে,এখন যদি রায় আগামী নির্বাচনের পর কার্যকর ঘোষনা আসে তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে রাজনীতি ঢুকিয়ে সেটি বরবাদ হবার পাশাপাশি জামাত শিবিরের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের যাবার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।
আপনার কি মনে হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
এস্কিমো বলেছেন: ভবিষ্যৎ বলার মতো ক্ষমতা আমার নাই। আশা করি হবে। রাজনীতি নিয়ে চিন্তিত না।
১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
তিক্তভাষী বলেছেন: আওয়ামী সনদে মুক্তি! আজকের কালের কন্ঠ থেকে-
অতর্কিত হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সনদে। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ...এসব মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের কেউ বিএনপি বা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত- এমন তথ্য কোনো মামলার নথিতে মেলেনি।...আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের জামিন শুনানির সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেওয়া সনদ দেখিয়ে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট আসামি আওয়ামী লীগের সদস্য বা আওয়ামী লীগ সমর্থক। সে কখনো জামায়াত-শিবির করেনি। সুতরাং সে জামায়াত-শিবিরের হামলায় অংশ নিতে পারে না।
বিষয়টা আসলেই বুঝা কঠিন!!
১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮
বাউল! বলেছেন: মাথা ঠান্ডা রেখেই জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে, এতোদিন বিচার হয়নি এখন হচ্ছে। এতোদিন তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে বলে এখনো করবে এমন কোন নিয়ম নেই। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতাকারী একটি দল, ধর্মকে অবমাননা করে এতো বছর ধরে বাংলাদেশে প্রকাশ্যে রাজনীতি করে এসেছে এটাই আমাদের জন্য চরম লজ্জার। আসলেই এখন সময় হয়েছে এদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার, নিষিদ্ধ করার পরে কয়জন এক্টিভ থাকবে সেইটা প্রশ্ন সাপেক্ষ। একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সঙ্গঠনের সাথে যুক্ত থাকাই আইনের লঙ্ঘন, সেক্ষেত্রে কয়জন আইন ভাঙবে? আরেকটা প্রসঙ্গ আসে, এদের নিষিদ্ধ করার কথা উঠলেই, সেটা হচ্ছে যে এরা নাকি আন্ডারগ্রাউণ্ডে গিয়ে আরো বেশী নাশকতা করবে। তাহলেতো পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট, সর্বহারা পার্টির মতো করে এদেরকে দমন করা হবে। এস্কিমো, যথার্থ বলেছেন, চরমপন্থী জাসদ একসময় সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী একটি বড় দল ছিলো, নিষিদ্ধের পর তার অবস্থা কি?
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০২
এস্কিমো বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
এতোদিন তারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে বলে এখনো করবে এমন কোন নিয়ম নেই।
- অতি সত্য কথা।
২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩
বাকাট্টা বলেছেন: কোন প্রকার দেড়ী ছাড়াই জামাতকে নিষিদ্ধ করা উচিত! ইতিমধ্যে অনেক দেড়ী হয়েছে। আপনে যতটা এই বিষয়ে আন্তরিক বর্তমান সরকার ততটা নয়। তারা নোংরা রাজনীতিতে লিপ্ত। আর আপনের সুরও বর্তমান সরকারের প্রতি অনেক নরম।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: সাব্বাশ, সত্য কথা গুলো সামনে আনলেন।
তবে আমার কেন যেন মনে হয় এইগুলারে ব্রাশ ফায়ার কইরা মাইরা ফালান উচিত। হারামীর বাচ্চাগুলা কিভাবে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করতাছে, দ্যাকলে মাথায় চরম জিদ চাইপ্যা যায়। আর সাউয়্যার পুলিশ, হুদা খাড়ায়া খাড়ায়া মাইর খায়।