নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুশীল ব্লগার না..নিরপেক্ষও না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

এস্কিমো

"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।

এস্কিমো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতার জন্যে মরিয়া হয়ে খালেদার চরম রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রকাশ

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৬



(ছবি কৃতজ্ঞতায় - অমি রহমান পিয়াল)



বিশ্বায়ান আর এক কেন্দ্রিক পরাশক্তির কারনে বিশ্বের মোড়ল হিসাবে এখন আমেরিকার কোন প্রতিদ্বন্দী নাই। সেই বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়া সত্যিকার অর্থেই একটা ডেসপারেট মুভ নিয়েছেন। উনার সামনে আর কি বিকল্প ছিলো! যুদ্ধাপরাধের বিচারের এই পর্যায়ে খালেদার রিজার্ভ ফোর্স জামাত/শিবিরের ক্যাডাররা ব্যস্ত সন্ত্রাসে - তাদের বিষয়ে জনমত একটা ফাইন লাইনে চলছে। যদি জামাত/শিবির এইভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে থাকে তবে তাদের ভোট কমবে এবং তাদের মিত্র হিসাবে বিএনপির উপর জনসমর্থনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে নিশ্চিত করেই বলা যায়। এই সময়ে খালেদা জিয়া ঘোমটা পুরোটাই খুলে নাচতে নেমেছেন - যদি আগে গোপনে আমেরিকায় লবিষ্ট নিয়োগ করেছিলেন বিস্তর ডলার খর্চা করে - তার ফলাফল তেমন আসেনি।





বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের দেউলিয়াত্ব নতুন না। আগেও বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিয়েছেন উনারা - অহরহ দিচ্ছেন। কিছু দিন পরপর দেখি কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশীরা দেশের রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসাবে কানাডা সরকারের কাছে দরখাস্ত দেয় - বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নানান নালিশ করে। কিন্তু তাতে তেমন কোন কাজ হয় - কারন দেখলাম কানাডার ইমিগ্রেশন বিভাগ বাংলাদেশকে একটা নিরাপদ দেশ হিসাবে নতুন ভাবে তালিকা ভুক্ত করেছে - সুতরাং রাজনৈতিক কারনে রিফিউজী হিসাবে কানাডায় এসে লাভ হবে না। এর পিছনে বিরাট বাণিজ্য মার খেয়ে যাচ্ছে - সেই বিষয়ে অন্য একসময় বলবো। শুধু বলে রাখি - বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করার পিছনে রাজনীতির চাইতে অভিভাসন বাণিজ্যই বেশী ভুমিকা রাখে।





কিছু কাল আগেও খালেদা জিয়ার প্রিয় শ্লোগান ছিলো - বিদেশে আমাদের প্রভু নাই - কিন্তু সেইটা ছিলো মুখে মুখে - ভিতরে ভিতরে প্রভুদের তুষ্ঠির নগদ নারায়নের বিষয়ে উনাকে ব্যষ্ত দেখা গেছে। ইউএস ফেডারেল জাস্টিজ বিভাগের ওয়েব সাইট থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায় উনি ২০০৭ সালে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ডলার দিয়ে একটা লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিলেন। এবার আর ঘুরাপথে না গিয়ে ঘোমটা খুলেই নেমে পড়েছেন - পেটে ক্ষমতার ক্ষিদা রেখে লজ্জা না করাই ভাল। সেই হিসাবে এই লেখালেখি অনেকটাই যৌক্তিক।







যাই হোক - খালেদা জিয়া আমেরিকার ওয়াশিংটন টাইমস ( পোস্ট না) এর মতামত বিভাগে একটা বিবৃতি ছাপিয়েছেন। সাদা চোখে দেখলে এইটা কোন বড় বিষয় না। বাংলাদেশের পত্রিকায় চিঠিপত্র বিভাগের মতো মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নন হিসাবে অনেকে অনেক কিছু লেখেন - তেমনি খালেদা জিয়া একটা বিবৃতি ছাপিয়েছেন - যা বাংলাদেশের অনলাইন কমিউনিটি প্রচুর হিট করে টপ লিস্টে তুলে দিয়েছে এবং যথারীতি গালাগালি সমৃদ্ধ করেছেন। এতে কার কি লাভ হয়েছে জানি না - একটা লো-প্রোফাইল পত্রিকা হটাৎ প্রচুর হিট পেয়ে র‍্যাংকিং এ অনেকটা উপরে উঠে গিয়ে হয়তো ব্যবসায়ীক ভাবে লাভবান হবে। এই বিষয়ে হৈ চৈ না করে যদি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতর একই ভাবে তাদের বক্তব্য পাঠিয়ে দিতো - মামলা খতম হয়ে যেতো। কিন্তু সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গা। বেগম খালেদা জিয়া এই বিবৃতিতে কিছু কথা বলেছেন যা ইতিহাস সম্পর্কে মিথ্যাচার। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে আমেরিকার ভূমিকা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বক্তব্যগুলো আসলেই হজম অযোগ্য - যার প্রতিবাদ না করা রীতিমতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।



খালেদা জিয়ার ওয়াশিংটন টাই্মসের অপিনিয়ন বিভাগে কমেনটারী লেখার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক না - অবশ্যই এইটা উনার মতপ্রকাশের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেই লেখার ভিতরের বক্তব্যগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা এবং তার ব্যাখ্যা চাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে। বিশেষ করে একটা দেশের কিছু ষ্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে পরাশক্তির হস্তক্ষেপ কামনা করার যে ভয়াবহ পরিনতি পাকিস্তানীরা দেখছে ড্রোন আক্রমনের মাধ্যমে - সেই দিক বিবেচনা করে খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য প্রদানের বিষয়ে প্রতিটি নাগরিকের সতর্ক থাকা এবং খালেদাকে প্রশ্নের সন্মুখিন করা একটা অবশ্য কর্তব্য হিসাবে দেখা দিয়েছে।



যদি আমরা বিবৃতির উল্লেখ্যযোগ্য অংশগুলো ব্যবচ্ছেদ করি - তাহলে দ্বিমতের কোন অবকাশ থাকবে না যে খালেদা জিয়া ক্ষমতার জন্যে অন্ধত্ব বরন করেছে এবং তাকে থামানোর জন্যে দেশবাসীকে ঐক্যব্ধ হওয়া জরুরী - নতুবা যে সর্বনাশ পাকিস্তানে হয়েছে - বাংলাদেশও সেই পরিনতির দিকে যাবে।



দেখা যাক উল্লেখযোগ্য অংশগুলো।



১) পদ্ম সেতুর দূর্নীতি - পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক ২ বিলিয়ন ডলার ঋনের পরিমানের কথা বলেছেন - যা আসলে ১.২ বিলিয়ন ডলার। সংখ্যার এই হেরফের উনার পদ্ম সেতু তথা তথ্যের বিষয়ে সিরিয়াসনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।



২) পদ্ম সেতুর দূর্নীতিতে যতটা নির্বাচিত কর্তারা জড়িত ততটাই আমলা এবং টেকোক্রেটরা জড়িত - তার মানে বাংলাদেশের পুরো ব্যবস্থাপনার দূর্নীতির বিষয়ে একটা তথ্য উনি আমেরিকার জনগনের উদ্দেশ্যে বলছেন - কিন্তু যদি কেউ বাংলাদেশের দূর্নীতি নিয়ে গুগোল সার্চ করে তবে উনার ছেলে কোকোর নামই উঠে আসবে - যা উনার জন্যে বুমেরাং হয়ে উঠেছে।'



৩) খালেদা জিয়া এবং উনার উপদেষ্টার এখানে ড. ইউনুসকে ট্রাম কার্ড হিসাবে ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছেন - যদিও ড. ইউনুস বয়সসীমা লংঘন করে পদ আকড়ে থাকায় সরকার তাকে পদচুত্য করার সুযোগ পেয়েছে এবং ইউনুস সাহেব সর্বোচ্চ কোর্টে গিয়ে মামলায় হেরেছেন। যখন কেউ জানবে যে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশে উনি পদ ছেড়েছেন - এখানে বেগম জিয়া সর্বোচ্চ আদালতের রায়কেও আমেরিকানদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে উপস্থাপন করেছেন।



৪) "Now Ms. Hasina is attempting to remove from the constitution the need for a caretaker government -- six months before the election. " - এইটা একটা মিথ্যাচার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের ছয় মাস আগে নয় বহুআগেই বাতিল করেছে কোর্ট এবং এই ধরনের সরকার আনলে তা কোর্টে চ্যালেঞ্চের মুখে পড়ার সম্ভাবনা আছে। দু্ইদল মিলে বিকল্প কিছু একটা বের না করে বিদেশে নালিশ করার জন্যে মিথ্যাচার করা ঠিক হয়নি।



৫) যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কথা বলাটা খালেদাকে জামাতের এজেন্ট মনে হয়েছে। জামাত মিলিয়ন ডলার খরচ করে যা বলার চেষ্টা করেছেন - বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতের পক্ষে সেই কথাগুলোই বলেছেন - সা সত্যই লজ্জাষ্কর বাংলাদেশের জন্যে। খালেদা জিয়া আবারো প্রমান করলেন উনি বাংলাদেশের না - জামাতের মিত্র।



৬) সবচেয়ে মজার যে কথাটা খালেদা জিয়া বলেছেন - তা হলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা এক পরিবারের হাতে চলে যাওয়ার কারনে গনতন্ত্রের ক্ষতি হবার আশংকা প্রকাশ - " If Bangladesh succumbs to the rule of one family, it would be a major step backward for the region." -বেগম জিয়ার উপদেষ্টারা আসলেই বুদ্ধির জড়তায় ভুগছে - না হলে এই ধরনের কথা কিভাবে উনি বলেন। বলাই বাহুল্য উনি শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছেন - আশংকা থেকে যে জয় রাজনীতিতে আসবে। কিন্তু উনার ছেলে তারেকে তো উনি উনার পিছনে লাইন করিয়ে রেখেছেন ক্ষমতার জন্যে। একপরিবারের ক্ষমতা দখলের আশংকা তো উনিও তৈরী করেছেন।



৭) পুরো লেখায় শেখ হাসিনার নাম এসেছে ৯ বার - প্রায় সবগুলোই অত্যান্ত দূর্বল ভাবে অভিযোগের সুরে, যেমন- কেন শেখ হাসিনার নবেল প্রাইজ পাওয়া উচিত না তার কারন হিসাবে উনি বলছেন - Most Bangladeshis would disagree that Ms. Hasina has any claim on the prize. Just ask the families of some 300 people who have been registered as missing since 2009 at the hands of Ms. Hasina's Rapid Action Battalion — a paramilitary wing of the police - রেবের হত্যাকান্ডের কারনে শেখ হাসিনা নবেলের অনুপুযুক্ত - হাস্যকর এই কথাগুলো যে উপদেষ্ঠা লিখেছে তাকে বিএনপি থেকে বের করে দেওয়া উচিত - কারন এরা বিএনপিকে দল হিসাবে হাস্যকর বানিয়ে ফেলেছে।



মজার বিষয় হলো এই বাহিনী কিন্তু খালেদা জিয়াই বানিয়েছিলেন এবং আমেরিকার সাথে চুক্তি্ও করেছিলেন প্রশিক্ষনের সহায়তার জন্যে। সেখানে - শেখ হাসিনার রেপিট একশন বেটেলিয়ান কথাটা কেমন জানি সস্তা অভিযোগ হিসাবে আসছে না!





একটা দেশের রাজনৈতিক বিরোধকে দাম্পত্য কলহের সাথে তুলনা করাটাই নিরাপদ - নতুবা এই কলহের কথা বাইরে প্রকাশ পেলে দুইদলেই ক্ষতির সম্ভবনা থাকে। নিজের দেশের মানুষের উপর নির্ভর করেই রাজনীতি করা ভাল। নতুবা ধার করা লাঠিতে ভর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার বিপদ হলো যে কোন সময় লাঠি মালিকের হাতে চলে যেতে পারে।



বেগম খালেদা জিয়ার এই লেখক হয়ে যাওয়া অথবা উপদেষ্টাদের অতি উৎসাহের কারনে উনি যেভাবে পরাশক্তিকে বাংলাদেশের উপর হস্তক্ষেপের জন্যে আহ্বান জানালেন - তা সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া চরম আস্থাহীনতায় ভুগছেন। যেন যেত ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার মিশন হিসাবে উনার ভারত সফরও অনেককে অবাক করেছে - বিশেষ করে ভারতের নেতৃত্বের কাছে বাংলাদেশের মাটিকে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসের জন্যে ব্যবহার না করতে দেওয়ার অংগীকার অনেকের জন্যে খটকা লেগেছে। পুরো বিষয়টা আমি দেখছি একজন মরিয়া হয়ে উঠা মায়ের ছেলেদের বাঁচানোর চেষ্টা হিসাবে। বিএনপির দূর্বল এবং জড়তায় আক্রান্ত নেতৃত্ব আর কর্মীরদের সাথে দলের বিচ্ছিন্নতা খালেদা জিয়াকে হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।



শেষ কথা হলো - খালেদা জিয়ার এই বিবৃতি ছাপানোর বিষয়টি যথেষ্ঠ গুরুত্বের সাথে আলোচিত হবে সর্ব মহলে এবং হয়তো আগামী নির্বাচনে বিএনপির ভুমিকা আর তার ফলাফল অনেকটাই নির্ভর করবে খালেদা জিয়ার এই সর্বমূখী মরিয়া হয়ে ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার প্রচেষ্টা এবং বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীর পক্ষের সুষ্পষ্ট অবস্থানের উপরেই।







মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩

মরু বালক বলেছেন:
.
.
.
তাই নাকি???

বুকে হাত দিয়ে বলেন দেখিঃ হাসিনা কখনো বিদেশীদের কাছে ক্ষমতার জন্য কোনদিন চিঠি লিখেনি!!!

........

যুদ্ধাপরাধ আর মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পার্থক্য কি ??

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

এস্কিমো বলেছেন: কি আর বলি রে - লালনের ভাষায় বলি - বামন চিনে পৈতা দেখে বামনি চিনে কি প্রকারে, ঠিক সেভাবেই জামাত/শিবির নিজেদের চেনায় তাদের প্রশ্ন দিয়ে - বলেতো তো এই লেখায় হাসিনা পড়ে আপনার কেন মনে হলো হাসিনা একটা কাজ করলে তা করা খালেদার জন্যে সহী হয়ে যায়।

ভাল করে পড়ুন। তর্ক না বিতর্ক করুন।

.......

শিবির আর আপনার মধ্যে যতটুকু পার্থক্য আছে ততটুকু।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৯

ভেজাল* বলেছেন: এটা একটা বাজে কাজ। কিন্তু ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা কি বিদেশ গিয়ে নালিশ জানাননি? তিনি তো সম্ভবত আমেরিক‍া গিয়ে বলেছিলেন, বাংলাদেশের মন্ত্রীসভায় ২ জন স্বাধীনতা বিরোধী আছে। আবার সবসময় আওয়ামী লীগের নেতাদের দেখা যেত ই ইউ দেশগুলোকে অভিযোগ করতো বি এন পি’র বিরুদ্ধে। ঐটাও অপরাধ, এটাও অপরাধ। তাই লীগের মুখে এখন এটা মানায় না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

এস্কিমো বলেছেন: আপনেই তো সবটুকু বলে দিলেন।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

মরু বালক বলেছেন:





এখন লালন বানী !!! অ্যারো কতো কি সুনাবেন !!!
এখনকার কানারা হাইকোর্ট ভালই চিনে, আপনাদের কষ্ট করে দেখাতে হয় না !!
.....
যে বিলাইদের কচুতে এতো অরুচি! তারাই কচু ভক্ষনের! ভিটামিনের কিচ্ছা বর্ণনা করে। আর কচু খাদকদেরই একমাত্র ক্রেডিট দিতে কার্পণ্য করে না, নিজের অরুচির কথা বেমালুম ভুলে যায়!!! :P


আর কইলেই ..
কয়ঃ আমিতো কচু খাই না!!!! :D :D

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪

এস্কিমো বলেছেন: মাথা ঠিক আছে তো?

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

নিষ্পাপ কয়েদি বলেছেন: প্রতিমাসে একবার করে সরকার পতনের চুরান্ত আন্দোলনের ডাক দিয়ে আসছে খা-লেদা। সুবিধা করতে না পেরে বিচার দিয়ে বেড়াচ্ছে।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

টয় বয় বলেছেন:
খালেদা যা লিখেছে, একটি লাইনও মিথ্যা না| সত্য লিখেছে, আওয়ামীলীগ কান্তাছে কেন??

হাসিনা যখন ইউরোপ-আমেরিকা-জাতি সংঘ স হস সব দেশের দূতাবাসে চিঠি লিখছিল, সেইটা কি ভুইলা গেল আম্লীগ??

অস্ট্রেলীয়া থেকে স্যার নিনিয়ানকে ডেকে এনে মাতাব্বরি করার সুযোগ দিয়েছিল আম্লীগ ও হাসিনা|

মাত্র ৪ বছর আগে আমেরিকা-ভারত-বৃটেনের সাথে হাসিনার গোপন বৈথক কি সবাই ভুইলা গেছে??

এখন খালেদা যা করেছে, ঠিক করেছে, আম্লীগের যায়গামত পেপার স্প্রে দিয়েছে, জ্বলছে আম্লীগের, জ্বলছে!!!!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫

এস্কিমো বলেছেন: কপি পেস্ট থামা রে ভাই - নিজের কথা কিছু বল।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫০

প্রিয় বলেছেন: আপনার লেখাটা কি আমার অনলাইন পত্রিকার জন্যে নিতে পারি?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৬

এস্কিমো বলেছেন: অবশ্যই পারেন। দয়া করে আপনার পত্রিকার একটা লিংক দেবেন।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

মিতক্ষরা বলেছেন: চিন্তা নাই। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলাও করা হবে।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৫

টয় বয় বলেছেন: এইটা আমারই কমেন্ট, সাইজটা ঠিক আছে না? আম্লীগের অতীত কুকর্ম স্মরন করাইয়া দিলেই কয়, পুলাডা ভালা না ;);)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৩

এস্কিমো বলেছেন: এই মহান দায়িত্বটা আপনেরে কে দিলো। শাক দিয়া মাছ ঢাকার মতো বোকামী করা ঠিক না।

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৯

রাফা বলেছেন: মহিলা জামাতের আমিরের পদ গ্রহণ করার পর উনি এখন আর জনগণের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

তাই দ্বাসখত দিয়ে হোলেও ক্ষমতায় যেতেই হবে।২০০৬-এ পরিবারকে রক্ষা করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলো।আর এবার আবার পরিবারকে সগৌরবে ফিরিয়ে আনতে উনি পরিবার তন্তরের বিরুদ্ধে নতুন তত্ত্ব দিলেন।

মাইন্ড কইরেন না।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০২

জহির উদদীন বলেছেন: আপনার ফোটুক থেকে আমার ফোটুক কি কম সুন্দর........

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

এস্কিমো বলেছেন: দুইটা ছবিই সুন্দর। একটা হলো ইতিহাস আরেকটা বর্তমান। এই ছবির সাথে একটা বাঁশের ছবি দিলে ভাল হতো।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

ম.র.নি বলেছেন: আপনার পোস্টা বায়াজড তা পড়লেই বুঝা যায়।কথায় কথায় জামাত শিবির এনে ডিফর‌্যন্ট একটা সহানূভুতি ভিক্ষা চাওয়ার মানসিকতা পরিহার করুন।আপনার বলা উল্লেখযোগ্য অংশে কিন্তু 'হজম অজোগ্য' অপরাধ নিয়ে কিছু বলেন নি। কি বলেছেন? দূর্নিতী'র বা প্রকল্পের এমাউন্টা উনি ১.২ না বলে ২ বিলিয়ান বলেছেন তাই ঠিক হয়নি।এটা বড় বিষয় হলো 'ড্রোন এ্যাটাকের প্রসংগ আনা?কোকোর দূর্ণীতি আর দেশের মন্ত্রী যিনি আবার প্রধানমন্ত্রী দ্বারা সার্টিফাইড তা কি এক হলো?ডঃইউনূস সম্পর্কে আপনি বলেছেন আদালতের রায়কেও খালেদা জিয়া প্রশ্নবিদ্ব করেছেন।বর্তমানে বাংলাদেশের আদালতের কি অবস্থা?তাঁরাতো 'ইকনোমিস্ট'রে ও 'রোল' জারি করেন।আর মজার ব্যাপার হলো আদালত যখন 'শেখ হাসিনাকে 'রং হেডেড' পারসন বলে ডিক্টেট করেন তখন কি বলবেন আদালত ঠিক বলেছে??

৪ নং পয়েন্টে উল্লেখিত আপনার করা ইংরেজি অনুবাদ ঠিক হয়নি বলে মনে করি।আপনি ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।যদি অনুবাদ করা হয় তাহলে বলা যেতে পারে যে 'মিজ হাসিনা সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করার চেস্টা করছেন,যা(ত. সরকার)নির্বাচনের ছয় মাস আগে থেকে থাকার কথা'' (আমার মতে এখানে ছয় মাস না তিন মাস বা খায়রুলের করা নির্দেশে কত দিনের কথা বলা ছিল তা দেখে নিতে হবে) কেয়ারটেকার গভর্ণম্যা্ন্ট অনেক আগে রায় হলেও একটা 'উইন্ডো' খোলা ছিল; কয়েকটা টার্ম ঐ সিস্টেমটা চালু রাখার কথা বলা ছিল।আপনি ভুল অনুবাদ করে সহব্লগারদের 'রং ডিরেক্শান' দিচ্ছেন।
আর সমালোচনা করলে সৎভাবে করুন সবাই আসল নকল যেন যাচাই করতে পারে।আর তথ্য বিকৃতি করাও অপরাধ। আপনি বলেছেন জিয়ার প্রিয় শ্লোগান ছিলো - বিদেশে আমাদের প্রভু নাই হ্যাঁ ঠিকই কিন্তু পরের লাইনটা কিন্তু বলেননি।কেন? কারন 'লেস ইনফর্মড' অন্যান্য নতুন ব্লগাররা যেন একটা বিরূপ ধারনা পান খালেদার প্রতি?তাই বলি 'বিদেশে প্রভু নাই, বন্ধু আছে'।
মনে হয় পেইড ব্লগার হলে মানুষ মনে হয় আপনার মতই করে।তাই আপনার পোস্টে 'বিয়োগ চিহ্ন'।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

এস্কিমো বলেছেন: আমার বিরাট ভুল হইছে - এখন শ্লোগান হবে এভাবে -

জিয়ার প্রিয় শ্লোগান ছিলো - বিদেশে আমাদের প্রভু নাই, শুধু আমেরিকার ছাড়া।

যখন ভারত যাবে - তখন হবে - জিয়ার প্রিয় শ্লোগান ছিলো - বিদেশে আমাদের প্রভু নাই, ভারত ছাড়া।

যখন চীনে যাবে - তখন হবে - জিয়ার প্রিয় শ্লোগান ছিলো - বিদেশে আমাদের প্রভু নাই, চীন ছাড়া।

ইত্যাদি ইত্যাদি।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: হাসিনা আফায় বৈঠক করছিল, এইডা মানলাম। এর জন্যে হাসিনা আফার ২ গালে ......তাও মারলাম। বিশ্বাস এইবার রাখলাম খালেদা আফার ....। খালেদা ম্যাডাম আবার বিশ্বাস রাখল জামাতের উপর....। মেজাজ টা গরম হইল তখন ই। আমি জনগণ হইয়া যদি উনার উপর বিশ্বাস রাখতে পারি, তাইলে উনার জনগনের উপর বিশ্বাস রাখতে অসুবিধা কই???????????????

হাসিনা আফায় বৈঠক করছিল, তাই হেরে ......তা মারসিলাম। এইবার খালেদা ম্যডাম রে কি করা যায় হের দালালীর লিগা?????

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: দেশের এই কঠিন স্বন্ধিক্ষণে, কঠিন দূর্যোগকালীন বাস্তবতা তুলে ধরে দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব তথা সাধারন জনগনের অস্তিত্ব রক্ষায় খালেদা জিয়ার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

বিরোধীদলে থাকা কালীন শেখ হাসিনাও বিভিন্ন দেশের কাছে ধর্ণা দিয়েছিলেন এমনকি আমাদের দেশে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা বন্ধ করে দেবার আহবান জানিয়েছিলেন-যা জ্ঞান পাপীরা ভুলে গেলেও সাধারন জনগন ভুলে যাননি।

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

নিষ্পাপ কয়েদি বলেছেন: ছি ছি, শেষ পর্যন্ত নাস্তিকের কাছে বিচার!!!!!

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: হাসিনা ২০০৭-০৮ এ যা করছিলো তা আমরা সব ভুলে গেছি এরকম একটি অসাধারন আওয়ামী বাল্পুষ্টের কল্যানে |-) /:)

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

উদ্ভাসিত বলেছেন: উহহু, ছাগু আর ছাগিয়তাবাদিগুলার লাদায় পোস্ট ভইরা গেল। কিছু কাঁঠাল পাতা ছিটায় দেন, লাদা শুদ্ধা খাইয়া যাইব :D

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

প্রিয় বলেছেন: পুনপ্রকাশিত এখানে http://www.priyoaustralia.com.au/

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

বাউল! বলেছেন: হাসিনার প্রিবার কেন্দ্রিক রাজনিতির প্রমান
ক্লীক প্লিজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.