নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন দেখব বলে

আমাকে আমার মত থাকতে দাও ,আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি।

সপ্নছুরা

নতুন কে জানার এক অদম্য আগ্রহ

সপ্নছুরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল বলদ নবীর তিন সফর ;);)এক সেলিব্রেটি ব্লগারের ল্যাঞ্জা কট মুলক পোষ্ট:P

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৫

বাংলাদেশের একজন সেলিব্রেটির নাম বলুন?



প্রত্যেক শ্রেণীর একটি করে সেলিব্রেটি ঠিক করা আছে। আপনার আছে, আমার আছে।



কিশোর+কিশোরী+তরুণ+তরুণীর কাছে সেলিব্রেটি জাস্টিন বিবার । আমি জাস্টিন বিবারের নাম কেবল শুনে এসেছি- চর্মচক্ষে দেখার সাধ হলো দু'দিন আগে, একটা তরুণীর কমেন্ট দেখে। দেখুন কত্তবড় ক্ষ্যাত আমি। লোকমুখে শুনে এত বিশাল কামেল এক লোকের পরিচয় জানা লাগলো। বেবী বেবী বলে একটা গান আছে সম্ভবত বিবারের- সেটা শুনতে গিয়ে নাকে সেই তরুণী প্রায় তার ভার্জিনিটি হারিয়ে ফেলেছিলো! জাস্টিন বিবারের মতো এত্ত গুণি একজন সেলিব্রেটিকে জ্ঞানে রাখলাম না ভেবে অনুতাপ করলাম কিছুক্ষন।



অনুতাপ সন্তাপে রূপ নিলো জোকস্ টা শুনে-



এক কিশোর বালক সন্ধ্যা সন্ধ্যা দোর লাগিয়ে বসে মহাপ্রস্তুতি নিয়ে মাস্টারবেট করছে। মা সোমত্ত ছেলের অবেলায় দরজা বন্ধ দেখে ভয় খেলেন, দরজায় দড়াম দড়াম করে হাতুরি পেটা শব্দ করে ছেলের সংজ্ঞা ফিরিয়ে আনলেন। ছেলে নিতান্ত বিরক্ত হয়ে দরজা মেলে মাকে জিজ্ঞাসা করলো, কি ব্যাপার?

মা বললো, তুমি কি করছিলে ভিতরে?

ছেলে নিঃসঙ্কোচে জবাব দিলো, মাস্টারবেট করছিলাম।

মা স্বস্তির শ্বাস ফেলে বলল, থ্যাঙ্ক গড! আমি ভাবছিলাম তুমি জাস্টিন বিবার শুনছিলে।



আমার কাছে সেলিব্রেটি হলো আসিফ মহিউদ্দীন। জনগনের কাছেও তাই। তার ফেসবুক প্রোফাইল ভিজিট করা মানে শিক্ষাসফরে যাওয়া- পূঁজিবাদ, চাষাবাদ, আবাদ, সমাজতন্ত্র, ঘুড়ি ওড়ানো, নখ কাটা, পেপসি খাওয়া কত্তো কি শিখা যায়.......



শুরুতে নবীর বয়ান দিয়েই শুরু করি।



প্রথম কথা,



আসিফ মহিউদ্দীন ফেসবুকে ইদানিং দাবী করেছেন- একমাত্র পাড় আওয়ামী মনা, ছাত্রলীগ, বিএনপি, জামাত-শিবির ছাগু, ওড়না পেইজের ভোক্তা শ্রেণী, ধর্ম ছাগু, মৌলবাদী আস্তিক, ভন্ড, ঘাড় ত্যাড়া, যাদের আসিফ লাইক করেন না, যাদের আসিফ পোক দেন না, যারা আসিফ মহিউদ্দীনের কাছে পোন্দানি খেয়েছেন- এরাই কেবল মাত্র ব্লগে ফেসবুকে আসিফ মহিউদ্দীনের নামে সমালোচনা করে বেড়ান। এবং এটাও সাথে যোগ করে দিয়েছেন যে- এদের সবার বিরুদ্ধে বর্তমান হালের একমাত্র প্রতিবাদী কন্ঠটি যেহেতু আসিফ মহিউদ্দীন তাই এরা রাজ্যের কাজ কাম সিঁকেয় তুলে- সবাই একজোট হয়ে আসিফ নামক পাগলা ষাড় গরুকে থামানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত।



আসিফ মহিউদ্দীনের সাথে আন্তর্জালিক পরিচয়ের পর আজ পর্যন্ত আমি তেমন কোন লেখাই লিখি নি তাকে নিয়ে, বলতে গেলে এটাই প্রথম- তাই চাটা বাহিনী [একটা বিশেষ বাহিনী, এদের অপর নাম আসিফ কা ইজ্জত রক্ষা কমিটি] যদি আমাকে আসিফ মহিউদ্দীনের উপরোক্ত উল্লেখ্য দলগুলোর মাঝে ঠিক কোন দলে ফেলা যায় তা নিয়ে সন্দেহে ভোগেন- প্লিজ যে কোন একটিতে ফেলে দিন, আমি মাইন্ড খাবো না। আমি ডোন্ট মাইন্ড ফ্যামিলির ছেলে।



দ্বিতীয় কথা,

পোস্টের শিরোনামের ডিজিটাল বলদ নবীর তর্জমা বলে নেই- আসিফ মহিউদ্দীন ডিবির হাতে কট্ খাবার আগে আর পরে তার বিরাট একটা বিবর্তন ঘটে। যে সে এলেবেলে মার্কা বিবর্তন না- একেবারে চোর থেকে নবী মার্কা বিবর্তন। আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগিং জীবনে এই ডিবি একটা টার্নিং পয়েন্ট। পুলিশ-জেল বিষয়াদি কেবলমাত্র রাজনৈতিক চরিত্রগুলোর ক্যারিয়ার পোক্ত করার সহযোগ উপাদান নয়, এটা এই ব্লগারটির ক্ষেত্রেও। আমাদের বাংলা ব্লগে আরো দুয়েকজন ব্যক্তি বিশেষ রয়েছেন যারা পুলিশ নামক ভয়ঙ্কর প্রাণীটির দর্শন করে এসেছেন তাদের আস্তানায় গিয়ে। কিন্তু কপাল ফেরে তাদের পুলিশ-ডিবি-হাজত দর্শন যথার্থ আলোচিত হয় নি, হলে আজকে নবীর সংখ্যা কিছু বৃদ্ধি পেত। লেখার বিষয়বস্তু এটা নয়- তাই প্রসঙ্গান্তর না করে বাদ দিচ্ছি এটা।



এই ডিবি ঘটনায় বিখ্যাত হয়ে উঠা নবীকে ডিবি নবী বলে ডাকা যায়। ডিবি নবী মানে ডিজিটাল বলদ নবী। আর ডিবি নবীর ইজ্জত রক্ষা বাহিনী- চাটা বাহিনী।



তৃতীয় একটা কথা আছে। যার কারনে এই পোস্ট প্রসব। সেই কথাটা সবার শেষে রাখছি।



মাঝখানের কথাগুলো বলি এবার।



মে মাসের ত্রিশ তারিখে আসিফ মহিউদ্দীন একটা স্যাটায়ার লিখলেন। প্রথমে নিশ্চিত ছিলাম না- এটা স্যাটায়ার কিনা। ব্লগের সেই প্রাতঃকালীন সময়ে ব্লগে স্যাটায়ার লিখা হতো আদম-ঈশ্বর নিয়ে, পাশের বাসার ভাবীকে নিয়ে, এরশাদাদুকে নিয়ে, ব্রাত্য রাইসুকে নিয়ে, ত্রিভুজকে নিয়ে, মামোকে নিয়ে। এখন লেখা হয় কসমোলজি, স্পীডব্রেকার, কাঠপেন্সিলের পিছনের রাবার, নেইলকাটার, ঘুড়ি, জাঙ্গিয়া, হাগু ইত্যাদি নিয়ে। উত্তরাধুনিক স্যাটায়ারে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন আসিফ মহিউদ্দীন- তিনি কেবল গণহারে আমি আমি আমি আমি করতে থাকেন, সেটাতে অভিনবত্ব দিয়েছে একদল ফেসবুকনিবাসী- এদের আমি চাটাবাহিনী বলি, এরা স্যাটায়ার লিখেন আপনি আপনি আপনি আপনি বলে। যেহেতু উত্তরাধুনিক, বিধায় স্বভাবগত নিয়মে সবার অ্যান্টেনায় সেগুলো আটকায় না। আমার অ্যান্টেনাতেও আটকায় না।



আমি আসিফ মহিউদ্দীনের স্যাটায়ারের বিশেষ ভক্ত। উনি প্রায়ই কিছু দুর্দান্ত স্যাটায়ার দেন। বস্তুবাদী স্যাটায়ার- দশ ছটাক ভাববাদের সাথে আধাকিলো বস্তুবাদ, তিন টন 'আমি'। শুনে হাসতে হাসতে মুতে ধরে যায়। ইদানিং উনার স্ট্যাটাস পড়তে গেলেই আমি মুতে দেই। আমি ছাড়াও আরো অনেকে উনার স্যাটায়ারের ভক্ত। রিজেন্সিতে ইফতার করে আর কালাপানি খেয়ে, মাসে সিগারেটের পিছনে হাজার তিনেক খরচ করে সাম্যবাদী আসিফ মহিউদ্দীন যখন ভুখা হাড্ডিসার ছেলের ছবি আপলোড করে বলেন, 'সাম্যবাদের জয়গান আমি গেয়েই যাবো'- তখন কানাঘুষা শুনি মার্ক্স-লেনিনের কঙ্কাল কবর থেকে উঠে এসে মুতে দিয়েছে। নিশ্চিত হই অ্যান্টেনা একটা আসিফ মহিউদ্দীনেরও আছে- ফেসবুকে ঢোকার আগে উনি সেটা মাথার উপর টাঙ্গিয়ে দেন গায়ে যাতে মুতের ছিটা না লাগে।



মাথার উপর দিয়ে এরকম উড়ে যাওয়া একটা স্যাটায়ার খট্ করে আটকে গেল শাহাবাগ, বিপ্লব, মুক্তমনা, উজবুক আর কতগুলো আমি আমি শুনে। একটু ভালো মতো নাকের উপর চশমা আঁটিয়েই টের পেলাম এটি ফেসবুক বিপ্লবীর স্ট্যাটাস।



এই স্ট্যাটাসের তর্জমা বর্ননা করার আগে জানিয়ে নেই আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগিং বয়স প্রায় পাঁচ বছরের উপর হতে চলল। এই পর্যন্ত অনেক লেখা তিনি লিখেছেন। দিনরাত হাজার হাজার অক্ষর যন্ত্রনায় ক্লান্ত করেছেন ল্যাপটপ কে, এতগুলো জ্ঞান-বিজ্ঞান উদারহস্তে ঢেলেছেন ব্লগে ব্লগে- যা চাটাবাহিনীর কেউও পড়ে শেষ করতে পারে নি আমার জানামতে। সেই অ্যান্টেনা দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করে ছেড়েছেন কতগুলোকে। মৌলবাদি-আস্তিক পুন্দিয়ে সবাইকে ধর্মছাগু বানিয়ে দিয়েছেন। ব্লগের সবচেয়ে বড় সাফল্যটি এসেছে তার হাত ধরে- ত্রিভুজ। ত্রিভুজ আসিফ মহিউদ্দীনের পোন্দানি খেয়ে সহ্য করতে না পেরে বিয়ে করে ফেলেছে। ট্র্যাজিডি আর কাকে বলে!!!



সামহোয়্যারে আসিফ মহিউদ্দীন লেখালেখি করেন ২০১০ সালের জানুয়ারী মাস থেকে। এর আগে জেজে ব্লগে রেজিঃস্ট্রেশন করেন ২০০৭ সালে। সেখানে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে ধর্ম-কর্ম নিয়ে লিখে। এই নিয়ে তিনি নিজেও বলেছেন> স্ক্রীনশট লিঙ্ক >http://2.bp.blogspot.com/-tFgQ69g5y1I/T9TbUzYIR7I/AAAAAAAABj4/Yxjq9Ld0SWQ/s1600/asifer+id.png

আসিফ মহিউদ্দীন সম্পর্কে অন্যেরা কি বলে তাতে আমার মাথাব্যাথা কম। আসিফ মহিউদ্দীন নিজেকে কিভাবে ব্যাখ্যা করেন, তার লেখা নিয়ে তার নিজের ধ্যান-ধারনা কি, তিনি কাদের জন্য লিখেন, তিনি কি উদ্দেশ্যে লিখেন- এগুলো সম্পর্কে তিনি কি বলেন আমার আগ্রহ সেই বিষয়ে। তার এক লেখায় তিনি তার নিজের লেখার গড়ন উদ্দেশ্য নিয়ে সামান্য বলেছিলেন এই ভাবে-[স্ক্রিনশট লিঙ্ক]http://1.bp.blogspot.com/-9-qqJiYcthE/T9TaDqvulJI/AAAAAAAABjw/tsd7lu2po_I/s1600/--------+---------+-------+-+-------+----------+-----+-----------+++----+---------+--+-----+----.png

আসুন একটু দেখার চেষ্টা করি, আমরা যারা আসিফ মহিউদ্দীনের লেখার ভক্ত, যারা দিনরাত ব্লগ কামড়ে, ফেসবুক আঁকড়ে ধরে বসে থাকি নবীজি কখন পোস্টাবেন, কখন লিখবেন, কখন জ্ঞানের ডালি উপুর করে দিবেন- সেই সময়ের জন্য, আসিফ আসলে কি দেন আমাদের।



ভালো কথা উপরের ছবির তর্জমা পড়ে বর্ণনা করবো- হয়তো বা মন্তব্যে। এখন আসিফ ভাইয়ের লেখালিখি দেখি-



তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ:



ত্রিভুব কাঁপানো সেই কুখ্যাত জেদী, একরোখা উচ্চকন্ঠের জীবন্ত মূর্তি আসিফ মহিউদ্দীন তার দীঘল কেশরাজী নিয়ে হাজির হন বাংলা ব্লগে। তিনি ব্লগে পয়দা হয়েই বললেন, 'জানুদীর্ঘ দীঘল কেশ আর চৌর্যবৃত্তি এই দুই গুণ লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। যা চুরি করতে চাও ডাকাইতের মতো চুরি করো, ম্যা ম্যা করো না। আর যা দেখাতে চাও তা ঢেকে রেখো না।' [স্ক্রিনশট]। আর তাই তিনি স্বনামে বোরকা খুলে লেখালেখি করে গেছেন তারপর থেকে। আগে তার লেখার প্রশংসাগুলো গ্রামীণফোনের টাওয়ার ঘুরে তার কানের গোড়ায় আসতো। ব্লগ আরও আধুনিক- তার বানভাঙ্গা প্রশংসা আসা শুরু করলো সুদূর চীন দেশ থেকে। জ্ঞান অন্বেষনে সুদূর চীনদেশে যাচ্ছে মানুষ, আর তাবত জ্ঞানের গুডাউন আসিফের কাছে চীনদেশ থেকে প্রশংসা আসা শুরু করলো অপটিক ফাইবারের লাইন দিয়ে। রমরমা দশা দেখে আসিফ আনন্দে কোথ্ মারা শুরু করলেন।



দুই দিন আগে নবীর বয়ান-

নবীজি কি করেন তার অভিযোগের স্বপক্ষে- আসুন একটু দেখা যাক।



নাস্তিকের ঈশ্বরজ্ঞান-



আতিকা বিনতে বাকি এই 'নাস্তিকের ঈশ্বরজ্ঞান' [http://www.ukbengali.com/Literature/Stories/Sto20080926-AnikaBaki-Nastik.htm] লেখা ইউকে বেঙ্গলির গল্প বিভাগে দেন ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ এ।



আসিফ ঠিক একই লেখা দাড়ি-কমা সহ যৌবনযাত্রায় দেন এপ্রিলের ৩ তারিখে, ২০০৯ এ। আসিফএম নামক সেই কুখ্যাত নাস্তিকের বহু শ্রমের সেই চমৎকৃত লেখা হুবুহু একই লেখা আতিকা বিনতে বাকি বঙ্গদেশে নাস্তিকদের অন্যতম পথপ্রদর্শক আসিফের পোস্ট করার প্রায় সাত মাস আগে চুরি করে ইউকে বেঙ্গলিতে ছাপিয়ে দেয়। ওহ মাই গড!!!!



নাকি আতিকা বিনতে বাকি আসিফের ছাইয়্যা নিক!



আমি জানি আসিফ কা ইজ্জত রক্ষাকারী বাহিনী শাহাবাগ থেকে একটা বিপ্লব বয়ে নিয়ে আসবেন প্রথমেই প্রতিবাদ করার জন্য। তাদের তৃষ্ণা নিবারনের জন্য পিডিএফ লিঙ্কটি Click This Link হলো। দুটো লেখাই এখানে আছে।



সংযুক্ত পাশবিক জোকস্:

ম্যাথমেটিক্যাল কোরান-



ম্যাথমেটিক্যাল কোরান নামে আসিফ মহিউদ্দীন যে পোস্টটি করেছেন তা ৩১-৩-২০০৯

আর একই বিষয়ে বহু নাস্তিকের ধর্মকথা লিখেছেন ১-২-২০০৯। উনার লেখা দুটো এখনো আছে সামুতেhttp://www.somewhereinblog.net/blog/nastikerdharmakathablog/28904756 এবং মুক্তমনায়http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=811।



এক মাস পরেই আসিফ মহিউদ্দীন লেখাটা চুরি করে নিজের নাম করে যৌবন যাত্রায় দিয়ে দেয়। কিংবা যদি টাইম মেশিনের অস্তিত্ব আমরা বিশ্বাস করে থাকি তাহলে বলা যায় নাস্তিকের ধর্মকথাই চুরি করেছেন টনটনে নীতিজ্ঞান সম্পন্ন ত্রিকালদর্শী আসিফ মহিউদ্দীনের মৌলিক লেখাটির।



ওয়েট, এখানেও কয়েকটা জোকস আছে- নরমাল আর পাশবিক মিলিয়ে।

নরম্যালটা হলো-



পাশবিকটা হলো-



নাস্তিকের ধর্মকথার পোস্ট ঘুরে আসুন, তাহলে জোকস দুটোর মাহাত্ম্য বুঝতে পারবেন।

বিটিডব্লিউ, লাশ নামে আসিফ ভাইয়ের আরেকটা পোস্ট ছিলো সেখানেও জোকসের সামু ভার্সন আছে। সেটা পরেই দেই।



চে'র মৃত্যু, আমাদের অপরাধ এবং পুঁজিবাদের ব্রান্ডিং



এই লেখাটা প্রথম ছাপা হয় আমার দেশ পত্রিকায়। লিখেছেন হা মীম কেফায়াত। তিনি এই লেখাটা দিয়েছিলেন ১১ই অক্টোবর, ২০১০ এ। আমার দেশ অনলাইনhttp://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/10/11/48174। বলা বাহুল্য আমাদের নবী আসিফের এই লেখাটাও চুরি করেছে আমার দেশের সেই কলাম লেখক। শালা চোরা রিপোর্টার!

প্রসঙ্গক্রমে একটু বলে রাখি- আসিফ ভাইকে চে গুয়েভারা গেঞ্জি পড়তে দেখে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নাকি দিনকয়েক আগে জিজ্ঞেস করেছিলো, এই ছাগুটা কে? আসিফ মহিউদ্দীন একটা বড়সড় বাল-বিপ্লব ফেলার চিন্তা করেও পড়ে বলে ফেলেন- ত্রিভূজের ছুটু বাই, বেদম পোন্দাইছি এরে এককালে ব্লগে। ছাগুটার মুখোশ উন্মোচন করার জন্য গেঞ্জিত ফটুক বানায়া পড়তাসি।



-আর আসিফ ভাই এই স্ট্যাটাসটা দিয়ে গুণে গুণে তিনশ লাইক পেয়েছেন, হুঁ হুঁ বাবা!!

আসিফের লেখা- পিডিএফhttp://www.mediafire.com/?u8whq0ybfalkdb9।

প্রসঙ্গ নাস্তিকতা আর নাস্তিকদের কথা- পর্ব ১



'প্রসঙ্গ নাস্তিকতা আর নাস্তিকদের কথা' নামে আসিফ মহিউদ্দীন একটা লেখা দিয়েছিলেন ২০০৯ সালের পনেরই এপ্রিল। লেখাটা চমৎকার- ম্যালা হাততালি জুটেছিলো। জেজে ব্লগে লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরে সেঁকিঁ বাঁদ্যিঁ বাঁজঁলোঁ রেঁ বাঁবাঁ!

কি লিখেছিলেন আসিফ সেখানে? কিছুই না- বিভিন্ন মনিষীর বাণী এনে জুড়েছিলেন। এক কথায় বলা যায় অনুবাদ।



নির্মলেন্দু গুণের একটা কবিতা দিয়ে শুরু করে লেখার শুরু করার প্রথম লাইনেই লিখেন-



"সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ: প্রবল ধর্মবিশ্বাসীরা এই লেখা পড়বেন না...। আপনার ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগলেও লাগতে পারে...।। বলা তো যায় না, তাই আগে থেকেই সাবধান করে দিলাম...(ইদানিং আমি কারো সাথে কুশল বিনিময় করলেও কারও কারও ধর্মানুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হয়, তার ধর্মানুভূতি ডুকরে কেঁদে উঠে, তাই সতর্কতা... খেকয॥"





রিপিট আসিফ মহিউদ্দীন লিখেছেন ২০০৯ সালের এপ্রিলের ১৫ তারিখ।

ঠিক সেই লেখাটাই বাঁই বাঁই করে আসিফের বাকি সব লেখার মতো চুরি হয়ে গেল। আর হল তো হল- য়্যাকদম গুণে গুণে পাক্কা এক মাস আগে।

লেখাগুলো প্রকাশিত হলো যথাক্রমে ১৮ই মার্চ, ১৯ই মার্চ, ২৫ই মার্চ, ২রা এপ্রিল-২০০৯।



http://prothom-aloblog.com/posts/16/24384

http://prothom-aloblog.com/posts/16/27129

http://prothom-aloblog.com/posts/16/25722

http://prothom-aloblog.com/posts/16/24577



আসিফ ভাইয়ের পোস্ট- পিডিএফhttp://www.mediafire.com/?s5l33j8zcc5l3e7।



এইখানেও জোকস।







সিনেমা রিভিউ চুরি:



আসিফ দুর্দান্ত সিনেমা রিভিউ চুরি করতে পারেন। লে রে বাবা, নাহয় বুঝলাম দু-চার খানা নাস্তিকতাই চুরি করেছিস, কিন্তু সিনেমা রিভিউও!!



দুই বছর ধরে চুরি চামারি করে কিছুটা শুভবুদ্ধি এসেছে এই বেলায়- সেকারণেই কথ্য লেখাটাকে চলিত রূপ দেওয়ার একটু চেষ্টা করলেন। বলা বাহুল্য মৌলিক লেখাভক্ত আসিফ মহিউদ্দীন এই লেখাটাতেও একটা মৌলিক ছাঁচ টেনে দিলেন- উপরে আর শেষ দিকটায় নিজের দুটো আধভাঙ্গা অন্য কোন খান থেকে কপি করে আনা লেখা দিয়ে।

বন্যা আহমেদের ২০০৮ সালের জুনের ১০ তারিখে লেখা 'দেখেছেন নাকি কেউ বিল মারের নয়া মুভি -'রিলিজুলাস'?'http://www.sachalayatan.com/bonna_ahmed/18783 দেখে প্রবল উৎসাহী-উদ্যমী আসিফ মহিউদ্দীন সোৎসাহে সেটিকে চলিত রূপ দিয়ে লিখেছেন- এলোমেলো ভাবনাগুলো। আসিফ ভাইয়ের লেখার লিঙ্কটা নিয়ে ইন্টারেস্টিং আলাপ আছে- লিঙ্ক পরে দিবোনে, হয়তো মন্তব্যে।

মুক্তিযোদ্ধার কি শহীদ:



সামহোয়্যারের লিখা পোস্টটা লিঙ্কে পিডিএফ- ফরম্যাটে পাওয়া যাবে। জেজে ব্লগের কুয়ার ব্যাঙ আসিফ মহিউদ্দীন যা ছাইপাশ চুরি দারি করতেন- সামহোয়্যার একটা বড় ব্লগিং প্লাটফর্ম হওয়ার কারনে সেই নর্মাল গতানুগতিক চুরিদারির চেয়ে তাকে একটু বাড়তি শ্রম দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর তাই তিনি হাইব্রিড চুরিদারি শুরু করলেন। কতগুলো পোস্ট একত্রে করে একসাথে চুরি করা- এখানে এও বলে রাখা ভালো যে এই সু-অভ্যাসটা তিনি এখনো চালু রেখেছেন। তবে সম্ভবত তাকে এখন আরো একটু বেশী পরিশ্রম করতে হয় তার জন্য। হয়তো ধরুন- কোলের উপর ফেলে রাখা দুটো বই+তিনটা ফেসবুক স্ট্যাটাস+চারটা ব্লগ পোস্ট+নিজের কিছু ছাগলামো= ডিবি নবীর পোস্ট।

পোস্টের শুরুতেই বলে নিলেন-





লেখাটা পুরোটা চুরি লেখাজোকা শামীমের এই পোস্ট থেকেhttp://www.somewhereinblog.net/blog/amishamimblog/28832479। এটা অবশ্য যে সে নকল নয়- একেবারে হাইব্রিড নকল। এই লেখা নিয়ে কথা বলবো পড়ে।

ধর্ম প্রসঙ্গে:



আসিফ মহিউদ্দীন লিখেছেন ধর্ম প্রসঙ্গে। যাও কিনা খাস চুরি দারি। মুক্তমনার এলিয়েন নামে এক ব্লগার লেখাটি পাঠিয়েছেন ১০ই মার্চ, ২০০৯- লেখার শিরোনাম পারিবারিক শিক্ষা ও শিশুর বিকাশhttp://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=1212। সেই লেখাটির ক-ঁ পর্যন্ত নকল করে আসিফ মহিউদ্দীন কেবল শিরোনাম বদলে চুরি করে চালিয়ে দিলেন ৫ই মে, ২০০৯ এ- ধর্ম প্রসঙ্গে Click This Link জেজেতে।



প্যাথেটিক জোকস্:



লুলরে লুল।

বাকিটুকু কমেন্টে >

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৭

সপ্নছুরা বলেছেন: রিচার্ড ডকিন্স:

রিচার্ড ডকিন্স নিয়ে সেরাম এক্ষান বাড়ি দিয়েছিলেন জনগনের মাথায় আসিব্বাই। একদম নাড়ি নক্ষত্র এক করে বুঝিয়ে ছেড়েছিলেন রিচার্ড ডকিন্স যে পাড় মাতাল- চোরার চোরা।

মে মাসের ২১ তারিখে আসিফ মহিউদ্দীন পোস্টান রিচার্ড ডকিন্সরে নিয়ে। বুকে হাত রাইখ্যা চুরি যারে বলে- সেরাম চুরি একেবারে। ডিসক্যাপেবল মি'র চাঁদ চুরির চেয়েও লোমহর্ষক চুরি- একেবারে রিচার্ড ডকিন্সকে চুরি। অরিজিনাল লেখাটার অনুবাদ করেছেন- অজয় রায়, ঈশ্বর বিভ্রান্তি ও প্রবঞ্চনা। লেখাটা পাওয়া যাবে এই লিঙ্কেhttp://mukto-mona.net/project/muktanwesa/1st_issue/iswar_bibhranti_dawkins.htm।

পিডিএফ এক লিঙ্কে দুটি।http://www.mediafire.com/?j4eqq2v01yk1t9o
নাস্তিকতা কি:

নাস্তিকতা জিনিসটা যে আসলে যে কি তা প্রথম জানতে পারি আসিফ মহিউদ্দীনের পোস্ট পড়েই। যেমনটা তিনি বলেছেন- বিরাট বড় বড় কুখ্যাত বিখ্যাত নাস্তিক তৈরীতে উনার ভূমিকা আছে। যদিও আমার ইদানিংকার উপলব্ধি ভিন্নরকম। তবুও আসিফ মহিউদ্দীনের সেই বিখ্যাত 'আমি আমি আমি স্ট্যাটাসের গান' মতে ধরে নিলাম সব নাস্তিকের বাপ উনি। তয় বাপ রে- নাস্তিকতাই শিখাবি যদি অন্যরে তাইলে চুরি দারি শিখাস ক্যা? তুই নিজে করস চুরি দারি মাইনষেরে কস সৎ হ- ভালা হ????

১০-৯-২০০৯ এ আসিফ মহিউদ্দীন পোস্টান 'নাস্তিকতা কি', দুঃখের বিষয় এই একই বিষয়টাও আকাশ মালিক চুরি করে লিখে ফেলেছেন আসিফ ভাইয়ের আগেই ১৫ই জানুয়ারি, ২০০৯ এ। চোরা আকাশ মালিক কি একবারও আসিফ ভাইয়ের কাছে অনুমতি চেয়েছেন?
জবাব দ্যাও আকাশ মালিক।

পিডিএফ লিঙ্কhttp://www.mediafire.com/?od71u7qeh39t04y। আকাশ মালিকের বইয়ের নির্বাচিত অংশ পড়া যায় মুক্তমনা থেকে।

২| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৮

সপ্নছুরা বলেছেন: চোর মুখফোড়:

মুখফোড়েও চুরি করে আসিব্বাইয়ের লেখা। দুনিয়ায় স্বর্গ থেকে ঠাডা বোধহয় এই কারনেই পড়ে। পৃথিবীর একটাও কি সৎ লুক নাই, যে কিনা নিজের মাথাটা একটু খাটিয়ে দু'কলম মৌলিক লেখা পয়দা করতে পারে? আসিফ ভাইয়ের পশ্চাদ্দেশ দিয়ে টাইটানিক, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা, বিআরটিসি বাস কতকিছুই তো বের হয়- আর কারো কিছু দিয়ে কি কিছু বের হতে পারে না? চোরা মুখা- জবাব চাই, ক্যান আসিব্বাইয়ের লাউগাছের গোড়ায় তুমি গোবর ফেলছ!!!

আসিফ ভাইয়ের নিষিদ্ধ গু আর মুখফোড়ের নিষিদ্ধ গন্ধম- এখন থেকে এক টিকিটে দুই ছবিhttp://www.mediafire.com/?l2d85qllzh8lbj0।

জোকস্ ইনকামিং....... সব্বাই মাথা সামালকে....

এগেইন...

ইজম নিয়ে আলুচ্যানা:
আসিব্বাই যে কতই আলুচ্যানা করেন রে বাই!!!!
আসিব্বাই একবার আলুচ্যানায় বসলে গরুতে পর্যন্ত চ্যানায়া দেয়, আই মিন মুতে দেয়। সারা দিন রাতে আলু আর চ্যানা চলতে থাকে। আসিব্বাই দশ-বারো ঘন্টা চ্যানান। গরুরা বিশ-ত্রিশ ঘন্টা চ্যানায়। যখন ডাইপার ভিজে চুপচুপা- সকাল বেলা তারে টাঙ্গিয়ে দিলে রাতের মধ্যে শুকিয়ে যাবার সম্ভবনা আছে- তখন আবার রাতের বেলা সেই ডাইপার পড়ে আসিব্বাই চ্যানাতে থাকেন।

আসিব্বাইয়ের চ্যানা সেই সুদূর সচলায়তন থেকে ধার করে আনা। দুইন্যার সব পাপিষ্ঠ আসিব্বাইয়ের চ্যানার ভক্ত- এতই ভক্ত যে আসিব্বাইয়ের পোস্ট কপি করে হিট কামানোর শখ থামাতেই পারে না আর।

আসিফ ভাই ইজম-চ্যানা ছাড়েন জুনের চব্বিশ তারিখ, মানে ২৪-৬-২০০৯ এ। সেই চ্যানা কোথা থেকে ধার করে আনা দেখুন- এই পিডিএফেhttp://www.mediafire.com/?v1ej6tjok81elfi।

জোকস এগেইন-

এরকম অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র অজস্র চুরি। কতগুলোর লিঙ্ক দিবো আর?????????????????????????????????????????

৩| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৮

অ তে আজগর বলেছেন: তাই বলে এভাবে লেংটা করা কি ঠিক? :(

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:১৩

সপ্নছুরা বলেছেন: এরকম চুরামির করে এসেছে যে তার তো সত্য তো প্রকাশিত হওয়া উচিত তাই না ?

৪| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৪৯

সপ্নছুরা বলেছেন: তারপর আসলো সামু সফর।

সফর সামু

আসিফ মহিউদ্দীন, আই মিন ডিবি নবী কোন প্রমাণ রাখেন না। যা হাগেন তা নিজেই মুছে ফেলেন। সামুতে রেজিঃস্ট্রেশনের পর প্রথম পোস্টই ছিলো 'মুক্তিযোদ্ধা নাকি শহীদ' এই শিরোনামে। অ্যাটেনশনসিকার সিক ডিবি নবী সামুতে প্রথম লেখাই শুরু করেছেন চুরি করে। নিজের ঘটে থেকে হিট কামানোর এলেমও কামিয়ে আসতে পারেন নি জেজে থেকে। বিসমিল্লাহে গলদ- খাস বাংলায় যাকে বলে একেবারে। বেচারা!!

আসিফ মহিউদ্দীন নিকে একদম প্রথম পোস্টটা ছিলো তার 'মুক্তিযোদ্ধারা কি শহীদ?'।

লেখাজোকা শামীম হত্যা নাকি শাহাদাৎ এই শিরোনামে একটা লেখা দেন- ১৯শে আগস্ট, ২০০৮ সালে। লেখাটা এখনো তার ব্লগে রয়ে গেছে- চাইলে দেখতে পারেন এই লিঙ্কেhttp://www.somewhereinblog.net/blog/amishamimblog/28832479।
শুধু পোস্টটা দেখুন- স্ক্রিনশটhttp://2.bp.blogspot.com/-B-bA79odN2o/T9JwX1lauNI/AAAAAAAABh8/YW19PxwzlB8/s1600/lekhajoaka.png।


আমাদের পেয়ারা ডিজিটাল বলদ, আই মিন ডিবি নবী সেই লেখাটা হুবুহু নকল করে লিখে ফেললেন- মুক্তিযোদ্ধারা কি শহীদ?http://3.bp.blogspot.com/-it6WOk7syGc/T9Jx6ZeR7HI/AAAAAAAABiE/xg8_ybfYFjY/s1600/chor.png [পিডিএফ]http://www.mediafire.com/?vh9k1lo7om06feo

লেখার শুরুতেই আসিফ বললেন-

আমার অমুক আত্মীয় অমুক এলাকার মাতবর, গতকাল অমুক ন্যাতার সাথে বইসা বিড়ি খাইসি, অমুক নায়িকা আমার আত্মীয়া- এইগুলা গ্রাম্য আড্ডায় ফুটানি মারা মফঃস্বলীয় আধুনিকতায় আধুনিক যুবকের কথাবার্তা। আসিফও এভাবেই শুরু করেন তার- বিশাল বিশাল পন্ডিত মাওলানা-আলেমে কিতাবী-ক্বেরাতীর সাথে আমার ভালো যুগাযুগ আছে, আমরা একসাথে জ্ঞানভাজি করি, জামাতি নেতার সাথে বইসা মিটিং কইরা আসলাম- তারা আমারে সালাম দিসে, ছাত্রলীগ-ছাত্রদল এরা আমার দুই বগল!!

তবে এইটুকু না বললে যে অবিচার হয়ে যাবে সেটা ঠিক- আসিফ মহিউদ্দীন ত্রিভুজের চেয়ে মেধাবী। উনি তিন চারটা পোস্ট একত্রে করে তারপর চুরি করেন। অন্তত সামুতে এসে। যেমন 'মুক্তিযোদ্ধারা কি শহীদ?' পোস্টের নিচের অংশের তিন লাইন ফিরোজ কামালেরhttp://storyofbangladesh.com/ebooks/historyof71/74-section-15.html এই লেখা থেকে তুলে নেওয়া-

মিলিয়ে দেখুন নিজেই-

আবার তার পরেই-

আর মন্তব্যগুলোর প্রতিমন্তব্যগুলো বলা বাহুল্য একই রকমভাবে হয়তো দুই কি তিন বা তারচেয়েও বেশী লেখা থেকে মেরে কেটে দেওয়া। কিংবা কোলের উপর একটা বই ফেলে বসে বসে দেখে লিখে ফেলা। কে জানে? চুরি করাই যার স্বভাব- ব্লগ ক্ল্যাপটোম্যানিয়াক যাকে বলে, সে কোন আক্কেলে নিজে থেকে লিখে মাথা ঘামাতে যাবে?

এরপরও সামুতে তিনি লিখেছেন যৌনতা, যৌবনযাত্রা এবং আমরা-১ নামে একটি পোস্ট। এটি জেজে ব্লগের জন্য ফরমায়েশী একটা লেখা। যেহেতু যৌবনযাত্রাতেই উনার আত্মীয়-স্বজন ভাই-বেরাদরhttp://2.bp.blogspot.com/-tFgQ69g5y1I/T9TbUzYIR7I/AAAAAAAABj4/Yxjq9Ld0SWQ/s1600/asifer+id.png সব তাই জনকন্ঠে জেজে ব্লগ নিয়ে খবরটা ছাপা হওয়ার পরhttp://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2010-02-20&ni=9117 তিনি বাধ্য হয়েই তাড়াহুড়োর করে বই-পত্তর ঘেটে কপি পেস্ট সেরে দেন। সামুতে লেখা যৌনতা, যৌবনযাত্রা এবং আমরা-১ পোস্টটি পাওয়া যাবে এই লিঙ্কে।

এছাড়া পোস্টটা জেজে ব্লগেও ছিলো- কিন্তু যেহেতু জেজে ছেড়েই এসেছেন, তাই সামুতে স্থায়ী হওয়া মাত্রই আসিফ নিজের হাগু পরিষ্কার করে ফেললেন- অর্থাৎ ডিলিট করে দিলেন।

আর খবরদার উপরের লিঙ্কের পিডিএফ ধরে ডাউনলোড করে নামিয়ে পড়তে যাবেন না যেন। হাসতে হাসতে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারেন- ফর গডস্ সেক। আসিফ ভাইয়ের সেই কুখ্যাত প্রতিমন্তব্য- মানে প্রাকটিক্যাল মন্তব্যগুলো....ওহ্ ভুলতে পারছি না। ড্যাম!!! শিট!!!!

৫| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৩

রাহি বলেছেন: নাগরিক ব্লগে পোষ্টটা আগেই পড়েছি। কামাল সাবান দিয়া ধুয়া দিছেন রুবাইয়াত ভ্রাতা। B-)) B-))

নবীর ঈমান লইয়া প্রশ্ন। আশাকরি উত্তর দিয়া মুরিদগণের সংশয় দূর করবেন :>

৬| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৪

সপ্নছুরা বলেছেন: ব্লগার আমি রোদের ছেলে আসিফ মহিউদ্দীনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন 'আগুনের পরশমনিতে আসিফ মহিউদ্দীন' শিরোনামেhttp://www.somewhereinblog.net/blog/roderchela/29324701। সেখান থেকে একটা অংশ উল্লেখ করি শেষমেষ-

আসিফ মহিউদ্দীন মহামানব হয়ে উঠেন নি। সকলের নিজস্ব কাঠামোতে কিছু মহামানব বাস করে। আসিফ মহামানব হতে চান নি, তিনি চোর ছিলেন, আজ নবী হয়েছেন। পীর বংশের পোলা চুরি করেছে এটা বংশের মুখে চুনকালি- কিন্তু চুরির পর চুরি করেছে, চুরির পর চুরি করেছে, চুরির পর চুরি করেছে- সেটা পীর বংশের মুখে আলকাতরা। উনি সম্মানিত লোক তবুও এরপরও আমি উনাকে সম্মান জানিয়েই যাবে- উনি যাদের সাথেই যুক্তিতে যান, ডেকে ডেকে আলোচনা করতে চান, ধর্মের বিষ-বাষ্প, একটা ধর্মের কুৎসিত রুপটা যত জনকে দেখাতে গিয়ে ছাগু, গাধা, গর্দভ, ধর্মছাগু, আবাল, বোকচোদ বলে সবাইকে গণহারে ট্যাগ দিতে থাকেন- তারা দয়া করে ভুল বুঝবেন না আসিফ ভাইকে। উনি খ্যাতির আসমানে উঠতে চান না বলে আপনাদের সাথে এই ফানগুলো করেন।
তবে আসিফ মহিউদ্দীন মাঝে মাঝে আত্মোপলব্ধিও করেন -
সামুতে সেই কত্তো কাহিনী। ডিবি কাহিনী, হ্যান কাহিনী, ত্যান কাহিনী। কাহিনীর কি আর শেষ আছে। সামুর ব্লগাররাই ভলো বলতে পারবে। তবে উনি এক্ষান সেরাম জিনিস- এক কথায় এটাই বলতে পারি।

তৃতীয় কথা, এবং যে কারনে এতগুলো কথা বললাম:-

মানুষের বিবর্তন হয়, আসিফ মহিউদ্দীনেরও বিবর্তন হয়েছে। আসিফ মহিউদ্দীন এখন তার প্রচারিত তার নিজ মূর্তির মেরু বদল করে পুরো 'আমিত্বে' পাগল এক উন্মাদ। মেরুবদল পল্টিবাজ খুব বিপন্ন-বিলুপ্ত অদেখা কোন জিনিস না, আমরা বহু বহু উদাহরণ দেখেছি। আসিফ মহিউদ্দীন কবে কোথা থেকে চুরি দারি করে নিজের বাজার তৈরী করেছেন সেটা আমার কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ। তারচেয়েও আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হলো আসিফ মহিউদ্দীন এখন কি করছেন। চোর যদি নবী হতে না চাক, সাধু হয়ে যদি যেতে চায়- তাকে সে সুযোগ-পরিবেশ-সম্ভবনা-সহায়তা আমাদের করে দেওয়া উচিত। কিন্তু আমি কেবল বোকার মতো দেখে যেতে থাকি- পাহাড়-পর্বত ক্ষয় হয়, আসিফ মহিউদ্দীনের কোন পরিবর্তন হয় না। তিনি উন্মাদ থেকে মহাউন্মাদ হয়ে উঠতে থাকেন। আমার সাথে আসিফ মহিউদ্দীনের ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ নেই- এমনকি আন্তর্জালিক তর্ক-বিতর্কও কোন দিন হয়ে উঠেনি। বরঞ্চ তাকে একদিক থেকে দেখে বেশ উৎসাহিতই হতাম।

কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।

আমরা কেবল নিজেকে নিয়েই ভাবি- আমাদের প্রস্তাবিত প্রত্যাশা আমাদের প্রত্যেকের মহামানবের কাছে সীমিত, তবে আগ্রহ বিপুল। আমরা আমাদের আগ্রহ প্রকাশ করি, তাকে সমর্থন দেই, তার অনুগ্রহ কামনা করি, তার একটু দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য- তার মনোরঞ্জনের জন্য নিবেদিত হই। সমর্থন দেই অন্ধভাবে। কিন্তু আমাদের মহামানবদের প্রচেষ্টা তাদের সাধ্যের সীমানা ডিঙ্গিয়ে আকাশ ছুঁতে থাকে। তারা একের পর এক ক্যারিশমা দেখিয়ে যেতে চান, প্রত্যাশা করেন চিরস্থায়ী ভক্তের, তোষামোদী-চাটুকারীতা- ভক্তের প্রণতি পেতে কে না চায়! ভক্তের আগ্রহ বাঁধ বোঝে, মহামানব সীমানা বোঝে না। ভক্তের আগ্রহ মহামানবের প্রচেষ্টার সতীচ্ছেদ ঘটায়। মহামানব বিপুল বিক্রমে ধ্বংস করে যেতে থাকেন কি শুভ্র, কি কুৎসিত- ভালো কি মন্দ!

অবচেতন মনে দীর্ঘ সময়ে ভক্ত-অনুগত-তোষামোদী-চাটুকার-মামাবাহিনী-শাহাবাগ বাহিনী-তৈরী করে এক মহামানবের অবয়ব। আর সেই অবয়ব বাস্তব হয়ে তার সাধ্যের অতীত পাহাড় ঠেলে তুচ্ছ করার চেষ্টায় পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়ের বিরুদ্ধাচার শুরু করে। এই বিরুদ্ধাচার মহামানবের প্রচারিত পন্থায় হয় না, হয় ভক্তের চাহিদার পন্থায়। আর তাই ডিবি নবী দীর্ঘদিন যুঝতে থাকেন গণহারে সকলের বিরুদ্ধে লাগাতার ঘৃণার চাষাবাদ করে।

মহামানব আসিফ মহিউদ্দীনের ভক্তকূল একরাশ প্রবল মনোরঞ্জনের ডালি নিয়ে তার ফেসবুক দেয়াল রাঙাতে থাকে- আসিফ মহিউদ্দীন কাল-সীমা, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ, শুদ্ধ-শুভ্র সকল ভুলে পৃথিবীর প্রতিটি কণাকে অভিযুক্ত করতে থাকেন।

আসিফ মহিউদ্দীন ভার্চুয়াল জগতে এত বড় একজন নাস্তিক [তিনি যদি চুরি দারি করেই কেবন দিনপার করে থাকেন- তারপরও ধরে নেই উনি বিশাল বড় চোর নাস্তিক], তিনি ব্লগ থেকে বের হয়ে প্যান্ট গোড়ালি পর্যন্ত গুটিয়ে জামাতিদের সাথে আড্ডা দিতে চলে যান। জামাতের রাজনীতি বোঝার জন্য জামাতের সাথে গলাগলি করার প্রয়োজন আছে বৈকি! উনি জামাতের সাথে কি মিটিং-ফিটিং করেন- সেটা নিয়ে কেউ উনাকে কোনদিন ছাগু বলে গালি দিতে যাবে না আমি জানি। এটা অন্য কেউ হলে কথা ছিলো- কিন্তু আসিফ নয়।

আসিফ মহিউদ্দীন কোন পন্ডিতদের সাথে যুক্তি করে প্রথমে যুদ্ধপরাধীর বিচার বন্ধ করে আগে ধর্মীয় রাজনীতি বন্ধ করতে হবে এই বুদ্ধি মাথায় আমদানি করেছেন আমার জানতে শখ হয়। আজ শাহাবাগে গিয়ে দু'ঘন্টা মাইকবাজি করে-ছবি টবি তুলে ফেসুবকে দিয়ে ধর্ম-রাজনীতির পোঙ্গা মেরে আসবো বা দশটা বই আর তিনটা ব্লগ কপি করে ধর্ম রাজনীতির বিরুদ্ধে এটমবোমা টাইপ একটা পোস্ট মেরে ধর্ম রাজনীতির বিরুদ্ধে বিপ্লবের ডাক এনে দেব- এই টাইপ হাবামার্কামারা বুদ্ধি নিয়ে যারা বলেন যুদ্ধপরাধীর বিচার বন্ধ হোক আগে, ধর্ম রাজনীতি বন্ধ না করে যুদ্ধপরাধীর বিচার করা যাবে না- তাদের অভিপ্রায় নিয়ে ভাববার দরকার আছে। তারা কোন পাড়ার সেটা খতিয়ে দেখাটা জরুরী।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৫

সপ্নছুরা বলেছেন: ডিবি নবী ডিসেম্বর মাসের শুরুতে এসে বললেন-https://www.facebook.com/atheist.asif/posts/273461816034587 [স্ট্যটাস ডিলিট হে হে হে]
৭১ এ জামাত কি করেছে তার চাইতে গুরুত্ত্বপুর্ণ হচ্ছে, ভবিষ্যতে যেন ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি না হয়, বিভাজন না হয়, ধর্মের খোলসে শয়তান যেন ফেরেশতায় পরিণত না হয়, হাদিস কোরানের আয়াত দেখিয়ে গনিমতের মাল বলে ধর্ষনের মহাযজ্ঞ না হয়, সংখ্যালঘু নির্যাতন না হয়, নারী নির্যাতন না হয়। [স্ক্রিনশট]http://1.bp.blogspot.com/-8k0_L6F0_90/T9UaNg8pVEI/AAAAAAAABkU/qJAYCCfRYoE/s1600/jamaat.png

আতঙ্কে ইদানিং হিম হয়ে যাই যখন ডিবি নবীকে বলতে শুনি ৭১ এ জামাত যা করেছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়!!! উনার চিন্তা-ভাবনার বিবর্তনও মুগ্ধকর, আমি ভাবছিলাম ডিবি নবী এগুলো কোন বই থেকে কাটপেস্ট করে বলছে। উনার তথ্য-উপাত্তর সূত্র মিলল মাত্র এক মাস বাদেই। যখন জানুয়ারীর ১৬ তারিখhttps://www.facebook.com/atheist.asif/posts/295183107195791 জামাতি দুই নেতার সাথে মিটিং করে আসিফ সেই একই প্যাচাল নতুন করে বাতলালেন। যেহেতু স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন জামাতিদের সাথে বসে আড্ডা পিটিয়ে এসেছি- সেহেতু পোস্টে খুব করে বলতে ভুললেন না, 'জামাত নিষিদ্ধ হোক'। নিচে আবার কষ্ট করে একটু ডিসক্লেইমারও ছেড়ে আসলেন- যারা এই চান্সে আমাকে ছাগবান্ধব বলার পাঁয়তারা কষছেন তারা দূরে গিয়ে মুড়ি খান। তবে সবার আগে যেটা করতে হবে সেটা সেই আগের ভার্সনের কথাই রাখলেন- বিচার বন্ধ হোক।

মজার ব্যাপার তার মাত্র দু'দিন আগেই আবার আসিফ বলেছেন-

আমি স্পষ্ট করে বলছি, গোলাম আজম থেকে শুরু করে সকল যুদ্ধাপরাধীদের আমি নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখতে চাই। এই বিচারে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতে হবে, বস্তুনিষ্ট ভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে তাদের অপরাধের মাত্রা বিচার করতে হবে।
[স্ক্রিনশট]http://i47.tinypic.com/vzvdhi.png

আসিফের কথা শুনে আরো মুগ্ধ হলাম এর পর- লিঙ্ক।https://www.facebook.com/atheist.asif/posts/294046753976093

পেটের মাল কতটুকু উপরে উঠলে এই কথা আসতে পারে মুখে?
বিচার নাই- বিচার নাই!! আজ এত্তো এত্তো বছর পর বিচার শুরু হলো- পত্রিকায় পত্রিকায় বুদ্ধিজীবি সুশীল, রিপোর্টার, কলাম লেখক, সোনা-ব্লগ এদের সকলের ঘুম হারাম হয়ে গেল। দিকে দিকে রব শোনা যেতে লাগলো বিচার প্রক্রিয়া এইটা, বিচার প্রক্রিয়া সেইটা। রবাহূত আসিফ গলা হাওয়ায় তুলে সেই স্রোতে ছেড়ে দিলেন- বিচার বন্ধ হোক। আসিফ মহিউদ্দীনের সমস্ত ইন্টেনশনে কেন্দ্রীভূত হলো 'বিচার বন্ধ হোক আগে', 'বিচার বন্ধ হোক আগে'- তে।

আসিফ মহিউদ্দীনের খুব বালখিল্য ভাবেই তিনি বলেন-https://www.facebook.com/atheist.asif/posts/338449432869158

"এখনকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে কাকে ভার্চুয়ালি রাজাকার খেতাব দিয়ে আক্রমন করে বসা যায়।তরুনরা অতি আবেগে কিছুক্ষণ পতাকা নিয়ে টানা হেচড়া করবে, জাতির পিতা জাতির ঘোষক নিয়ে হাস্যকর কাদাছোড়াছুড়ি করবে, কিছুক্ষণ ভার্চুয়ালী পাকি এবং জামাতিদের গালাগালি করে দেশপ্রেমিক সাজবে। যে যত গালি দিতে পারবে, যে যত ছাগু পোন্দাতে পারবে, সে ততবড় দেশপ্রেমিক, সে ততবড় ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা! কে স্মৃতি সৌধে কতবড় ফুলের তোড়া দিতে পারলো, কে অত্যাধিক আবেগ প্রবন হয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে পারলো, সেই শ্রেষ্ঠ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী।"

আসিফ মহিউদ্দীন ধর্মীয় রাজনীতির বন্ধ চান- কিন্তু তারও আগে চান বিচার বন্ধ হোক। আসিফ মহিউদ্দীন চান গণিমতের মালের মত নারীকে যেন ব্যবহার না করা হয়, ধর্মের খোলসে যেন ধর্মীয় রাজনীতি করা ব্যক্তিরা ফেরেশতায় পরিনত না হয়- কিন্তু তারও আগে চান বিচার বন্ধ হোক। একাত্তরে জামাত কি করেছে তা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ নয়। নারী নির্যাতন গুরুত্বপূর্ণ, সংখ্যালঘু নির্যাতন গুরুত্বপূর্ণ- কিন্তু একাত্তরে জামাত কি করেছে তা কখনোই গুরুত্বপূর্ণ নয়।

চট করে মনে পড়ে গেল আসিফের নিজের মুখে বলা আরেক কথা-
টাকা কথা বলে। কথা বলায়। কথা বলেছেন আসিফ নজরুল, কথা বলে নিকোলাস হকেরা, কথা বলে আইনজীবিরা, কথা বলে সোনা ব্লগের ব্লগারেরা। কে কোন দিকে কি সুরে কথা বলে কত টাকায় কে তার খবর রাখে।

একজন মানুষকে চিনতে আর কত সময় লাগবে হিপোক্রেট বাঙালীর? হিপোক্রেসি আমাদের পদে পদে। এই ভার্চুয়াল জগতে আমাদের সেই হিপোক্রেসীর সবটুকু উগড়ে দিতে থাকি সারা দিনরাত। একজন চোর হয়ে উঠেন নৈতিকতার আদর্শ, মুক্তমনার সার্টিফিকেটধারী, ভদকা গিলা হাজার টাকার বেনসন ফুঁকা সাম্যবাদী। আমরা হিপোক্রেটরা সেই নীতিবান নাস্তিক, মুক্তমনা, সাম্যবাদীর পাছায় লাইক বাটন লাগিয়ে বসে আছি। সবতেই আজ লাইক দিবো। গন্ডায় গন্ডায় রাজাকার-জামাতের কার্টুন বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে, রাজাকাররে জুতা মার বলে গেমস বানিয়ে- বসে বসে গুনব কতগুলো লাইক পড়লো, কতগুলো কমেন্ট পড়লো। মাঝে মাঝে এসবের ফাঁকে যদি সময় পাওয়া যায় বিডিনিউজে-প্রথম আলোতে ঢুকে দেখার চেষ্টা করবো- রাজাকারের বিচার কি হইলো না হইলো। লাম্বা লাম্বা দশ হাতা ব্লগ লিখে গালাগাল দিয়ে- তারপর আবার ফেসবুকে গিয়ে বিশাল সাইজের স্ট্যাটাস ছাড়বো- কার্টুন বানাইলাম, গেমস খেললাম- তারপরও যুদ্ধপরাধীর বিচার হইলো না??? যুদ্ধপরাধীর বিচারের মায়েরে বাপ!!

গন্ডায় গন্ডায় গাল দিবেন শিবিরকে, জামাতি কার্টুন শেয়ার দিবেন- এই না হলেন- আসিফ! আসিফ দ্য গ্রেট ত্রিভূজ পোন্দক!!!http://1.bp.blogspot.com/-NN3ZDoGny9g/T93731kxNgI/AAAAAAAABpo/EFu8DqmJJ3Y/s1600/facebook+status+08.png

হিপোক্রেটদের যুক্তির কি আর অভাব হবে রে পাগলা- আসিফ মহিউদ্দীন ভুল বলতেই পারেন না। আসিফ মহিউদ্দীন একদম হিসাব কষে বিশাল রদ্দির বাজার লিস্টের টাইপ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন তার যুক্তি- তিনি কত্তোবড় দ্যাশপ্রেমিক, ছাম্মোবাদী, মুক্তার মা!! তিনি নাস্তিক- উনি যুদ্ধপরাধীর বিচার বন্ধে কোন কথাই বলতে পারেন না, এটা ভুল বোঝাবুঝি। উনি চুরি করতেই পারেন না- উনি মুক্তমনা, নাস্তিক, নীতির গুডাউন। তিনি নারীর রজঃচক্র নিয়া সস্তা রসিকতা করতেই পারেন না- তিনি আওয়ামী লীগকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই কথা বলছেন!!!পৃথিবীর সবাই ভুল বুঝতেছে আসিফকে- একদা ভুল বুঝেছিলো ব্রুনোকে, গ্যালিলীওকে, ডারউইনকে, সক্রেটিসকে, কোপার্নিকাসকে, হুমায়ুন আজাদকে!!!!! আজ তারা ভুল বুঝছে আসিফ কে!!!!!

আসিফ মহিউদ্দীনের অবিশ্বাস জয় হোক। জয় হোক তার ভার্চুয়াল নাটিকার। জয় হোক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের। জয় হোক তার নবীত্বের।

শেষ কথা:
এত এত এত কথা বলা লাগলো- একটা ব্যক্তিকে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য। একটা খুব ছোট্ট, অল্প কয়েকটি শব্দে কিন্তু নির্মোহ যৌক্তিক বিশ্লেষন বলা বোধহয় কখনোই সম্ভব হবে না আমার পক্ষে- মহামান্য কহেন যেটা বলে দিয়েছেন-


৮| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৫

রিস্টার্ট রিফাত বলেছেন: সামু তে ও খানা শেষ?

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:১৭

সপ্নছুরা বলেছেন: আর কি কিছু লাগে? /:) /:)

৯| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৮:৫৬

সপ্নছুরা বলেছেন: সবশেষে নাগু ব্লগের সেই লিঙ্ক http://www.nagorikblog.com/node/8749

পোষ্টদাতার থেকে অনুমোদন পূর্বক সামুতে প্রকাশিত।

১০| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:০৬

সাইফুল আলী বলেছেন: এ কি করছেন ভাই :(
ব্যান খাইবেন তো

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:২০

সপ্নছুরা বলেছেন: সত্য প্রকাশে ব্যান খেলে কি আর করা , তাহলে বুঝতে হবে একটা বিশেষ মহল এখন ও চায় ডিবি নবী এখানে বিচরন করুক ।

১১| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৪১

যুদ্ধবাজ বলেছেন: অ তে আজগর বলেছেন: তাই বলে এভাবে লেংটা করা কি ঠিক?

১২| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৯

নাইটফল বলেছেন: জে জে ব্লগ কিতা ???

১৩| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৭

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: বিকালের দিকে পড়লাম।


আহারে নবী! :> :> :>

১৪| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:২৭

ভয়ংকর বোকা বলেছেন: @ নাইটফল,, JLo চেনেন, JJ চেনেন না?

১৫| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:২৮

ভয়ংকর বোকা বলেছেন: :-* :) B:-) :-B

১৬| ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:৩৭

বদরুল খান বলেছেন: 8-|


B:-)


=p~

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:১৫

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: সকালে নাগরিকব্লগে পড়েছিলাম... আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অন্তর্জালে টর্নেডো-সিডর-আইলা বয়ে যাবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ১০০ নং কেয়ামত সংকেত জারি করা হইল ;)

১৮| ১৯ শে জুন, ২০১২ ভোর ৬:২১

রফিকুল ইসলাম তনি বলেছেন: অর্ধশিক্ষিত মানুষটাকে নিয়ে এত লাফালাফি কেন!?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.