নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈশ্বর পটল তুলছে - নীৎসে/নীশে/নিৎচা

উদাসী স্বপ্ন

রক্তের নেশা খুব খারাপ জিনিস, রক্তের পাপ ছাড়ে না কাউকে, এমনকি অনাগত শিশুর রক্তের হিসাবও দিতে হয় এক সময়। গালাগাল,থ্রেট বা রিদ্দা করতে চাইলে এখানে যোগাযোগ করতে পারেন: [email protected]

উদাসী স্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেটা-স্ট্যাবল ইউনিভার্স এবং হিগস কনিকা: কেয়ামত কি সত্যি হবে?

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৬

ঈশ্বরের বিশ্বাস আদিকাল থেকেই মানুষের মনে দু প্রকারের প্রশ্ন জাগায়। যখন মানুষ অনেকটা অস হায় হয়ে যায় তখনই সে ঈশ্বরকে খুজে বেড়ায়, যখন মানুষ প্রচন্ড প্রতাপ অর্জন করে তখন ঈশ্বর হয়ে যায় হাইপোথিসিস। তাই দেখা যায় এই ধর্ম হয়ে যায় কখনো রাজনীতির অংশ কখনো সমাজ বদলাবার মূল মন্ত্র।

বিজ্ঞান একসময় দর্শনের মাধ্যমে উৎপত্তী লাভ করে অনেকটা এসব বিশ্বাস দ্বারা চালিত ছিলো। যখন গণিত স হ অন্যান্য শাখার প্রসার লাভ করলো তখন বিজ্ঞান অনেকটা গাণিতিক ভাবে পরিচালিত হবার শুরু করে। আর তাই তো এখন গণিত হয়ে গেছে সবকিছুর মূল হাতিয়ার।মানুষ এই গণিত দিয়েই বলে দিচ্ছে কালকে দেশের অর্থনীতি কোথায় যাবে অথবা সামনের মাসে শীতের প্রচন্ডতা কতটা কমবে।

মহাবিশ্ব সৃষ্টির গোড়ার দিকে খুজলে দেখা যাবে অসীম ঘনত্ব এবং চাপে এক বিন্দুকে কেন্দ্র করে বিপুল বিস্ফোরনের ফলে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি। ঐ বিস্ফোরন কি কারনে ঘটলো সেটা নিয়েও আছে কিছু ব্যাখ্যা। নানা পরীক্ষায় এর প্রমান চলছে। সবার কাছে মহাবিশ্বের অতীত ব্যাপারটাই বেশী গুরুত্বপূর্ন। বোসন কনিকা সমূহের ভরপ্রাপ্তির পেছনে দায়ী হিগস কনিকার খোজ পাওয়া গিয়েছিলো ২০১১ সালে কিন্তু গণিতের মাধ্যমে এর অস্তিত্বের কথা জানান দেয়া হয়েছিলো ৭০ এর দশকের মাঝামাঝি। ২০১১ সালে এর অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিৎ হওয়া গেলেও কয়েকমাসে আগে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিৎ ভাবে বলা যাচ্ছে সে হিগস ম্যাকানিজমের ফলেই কিন্তু আমাদের এই ভরপ্রাপ্তি।

হুমায়ুন আহমেদ তার বেশ কিছু উপন্যাসে কেন্দ্রিয় চরিত্র দিয়ে এক উপ হাস করাতেন। সেটা হলো মহাবিশ্বের সৃষ্টি এনার্জীর প্যাকেট দিয়ে। এনার্জীর যেহেতু ওজন বা ভর নেই সেহেতু মহাবিশ্বেরও ভর নেই। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি ভর আছে, জনসংখ্যার ওজনের ভারে বাংলাদেশের কাধ নুয়ে পড়ছে। যাই হোক, হুমায়ুন আহমেদ বেচে থাকলে এখন তার এই রসিকতাটা পাল্টে যেতো নিশ্চয়ই।

আপনি যদি রেসলিং দেখে থাকেন তাহলে টীম হেল নো কে অবশ্যই চিনবেন যার একজন হলো বিশালাকৃতির কেন আরেকজন হলো ড্যানিয়েল ব্রায়েন।কেন উচ্চতায় ৭ ফুট সেখানে ড্যানিয়েল ব্রাউন মাত্র ৫'১০"। তারা এখন ট্যাগ টীম চ্যাম্পিয়ন। ধরা যাক তারা মধ্যম সারির কোনো টীমের সাথে রেসলিং করতে আসলে অবশ্যই জিতে যাবে। কিন্তু যখন তিনটা ম্যাচ খেলবার পর যখন আরো শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয় তখন কি হবে? তাদের জন্য টিকে থাকাটা দুস্কর এবং হেরে যাবে নিশ্চয়ই। কিন্তু যদি ড্যানিয়েল ব্রাউন আরো একটু শক্তিশালী বা উচ্চতায় আর বড় হতো তাহলে সে খেলে যেতে পারতো।

কিছুদিন আগে এক বিজ্ঞানী এক ক্যালকুলেশন শুরু করলেন। বললেন হিগসের ভর আমরা পেলাম ১২৬ GeV যেটা মূলত প্রত্যাশিত মানের রেন্জ্ঞের সবার নীচের দিকে।



এর ফলে দেখা যাচ্ছে যদি এই কনিকার কারনেই সকল বস্তু ভরপ্রাপ্ত হয় এবং আমাদের এই মহাবিশ্ব তিল তিল করে ইটের পর ইট রেখে এরকম মহীরুহ হয়েছে তাহলে সকল বস্তু একসময় তাদের বাধন আলগা করে ফেলবে। চলনশক্তি হারিয়ে শীতল হতে শুরু করবে এবং তারা আবারও ভরহীন হয়ে আরও একটা বিগ ব্যাং এর রূপ নিতে পারে।

তবে ভয় নেই, হিসাব অনুযায়ী হিগসের এই ভরের জন্য আমাদের এই মহাবিশ্ব আগামী ১০^১০০ (১০ এর পর ১০০ টা শূন্য) বছর চিন্তামুক্ত যার মধ্যে আমরা কেবল ১৩৭০ কোটি বছর পার করেছি।

আসলে ব্যাপারটা অনেকটা এমন ১২৬ GeV ভরের হিগস যখন ১৭৩ ± ১ GeV টপ কোয়ার্কের সাথে কাপলিং বা জোড় বাধে তখন পুরো মহাবিশ্বের চরিত্রটা মেটা স্ট্যাবল হয়ে যায়।মেটা স্ট্যাবল হলো এই মহাবিশ্বকে ভবিষ্যতে বর্তমান অবস্হা থেকে বিবর্তন হতে হতে এর ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।

আসলে টপ কোয়া্র্কের সাথে দুর্বল তড়িৎশক্তির মাধ্যমে হিগসীর যুক্ত হবার মান পুরোটাই নির্ভর করে বিগ ব্যাং এর ইনফ্লেশন শুরু হবার আগে যে ভ্যাকুয়াম পরিবেশ পরিস্হিতি বিরাজ করছিলো ঠিক সেই সময়ে হিগসীর ভর আর ইকোয়েশনটা হলো λ(µ) = M2H/2v2+∆λ(µ)।

মহাবিশ্বের আসলে ভবিষ্যত কি এই প্রশ্নের উত্তরের ব্যাপারে তিনটা অপশন আসে।নীচের ছবি অনুসারে লাল দাগান্কিত জায়গাটা হলো সবচেয়ে আনস্ট্যাবল জায়গা যার মানে হলো বিগ ব্যাং এর পর সবকিছু এতটাই আনস্ট্যাবল হবার কথা যে একটা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে না। অনেকটা এমনকিছু সুপার নোভা যার ফলে নতুন তারকারাজী সৃষ্টি হবার বদলে হয়তবা সেটা কৃষ্ঞগ হ্বর বা নিউট্রন স্টারে পরিণত হবে অথবা হোয়াইট ডোয়ার্ফে পরিণত হয়ে অন্য একটা তারার সাথে মিশে থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরন ঘটায়। খুব কম সুপারনোভা থেকেই নতুন নক্ষত্রের যাত্রা শুরু হতে পারে।

সবুজ অংশটা পুরোপুরি স্হির মহাবিশ্ব নির্দেশ করে। মানে চিরকাল যেমন আছে তেমনি থাকবে। হলুদ স্হানটা হলো মেটা স্ট্যাবল ইউনিভার্স যার মানে হলো হিগস ক্ষেত্রের মানের পরিবর্তনের ফলে পুরো মহাবিশ্বের সকল অনু একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে।




চুম্বকের যেমন চৌম্বকত্ব একটা গুন হিগস কনার হিগস ক্ষেত্রও সেরকম একটা গুনাবলী। আর হিগস কনিকা হলো এই হিগস ক্ষেত্রে সাগরের ঢেউ এর মতো উত্তেজিত হওয়া কনিকা। পানি যেমন গরম করলে তরল অবস্হা বাস্পায়িত হতে শুরু করে তেমনি মহাবিশ্বের এই শান্ত স্হির রূপটিও পরিবর্তন হয়ে যাবে।পানিতে বুদবুদ হয়ে যেমন একসময় বাতাসে মিলিয়ে তেমনি হিগস কনিকা একসময় ইলেক্ট্রন আর কোয়ার্কের ভরের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে এবং পুরো অনু সমূহের গঠন ধ্বংসের মুখে ফেলে দেবে।

এখন প্রশ্ন হলো কেন আমাদের মহাবিশ্বের এই হিগসের মান এরকম ভাবে ১২৬ গিগাইলেক্ট্রন ভোল্ট হলোই বা কেন এবং এরকম স্ট্যাবল আর মেটা স্ট্যাবলের মধ্যে পড়লামই বা কেন?

এমনকি হতে পারে যে এরকম হিগসের অন্যান্য মানের জন্য এরকম আরও অসংখ্য ইউনিভার্সের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব? যদি থেকেই থাকে তাহলে তাদের চেহারাটা কি রকম হবে?

পেটে ভাত থাকলে অনেক চিন্তাই আসে মাথায় তাই না?

দ্রষ্টব্য: এটা সামান্য একটা ব্রেন স্টর্মিং আর্টিক্যল কনসেপ্ট। এই কনসেপ্ট টা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এছাড়া এখনও নিশ্চিৎ হওয়া যায়নি যে হিগস বোসন পাওয়া গেছে সেটা আসলে কোন ধরনের হিগস বোসন। স্ট্রিং, সুপার সিমেট্রির জন্য বেশ কিছু হিগস বোসন আছে এগুলো সবকিছুই নির্ভর করে তারা কিভাবে মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহন নেয় এবং কিভাবে ভর প্রদান করে।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

জননেতা বলেছেন: কেয়ামত অবশ্যই হবে। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ইসলামী বিশ্বাসী সবাইকেই এটা বিশ্বাস করতে হবে। কিন্তু যদি পার্টিক্যল ফিজিক্সের আলোকে ভাবি তাহলে সমূহ কেয়ামত আমরা দেখে যেতে পারবো না। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানে একটা ব্যাপার এখনও আমরা খুব নিশ্চিত হতে পারিনি সেটা হলো যেকোনোপ্রকারের দৈব দুর্ঘটনা।

তবে কোরানে যেভাবে লেখা আছে সেটা পার্টিক্যাল ফিজিক্সের এই দৈবকেই নির্দেশ করে কারন আল্লাহ বোধ হয় আমাদের পর আর কোনো বান্দা তৈরী করবেন না বা কোনো প্লান নাই। তার সমূহ সৃষ্টি ধ্বংস করবেন। একটা ম্যাসিভ ব্লাক হোল দিয়ে এটা করা সম্ভব না, এটা সম্ভব একটা বিগ ক্রান্ঞ্চের মাধ্যমেই যেটা হতে হলেও প্রচুর সময়ের দরকার যে সময়ের জন্য এই মানবজাতীর জন্য দুনিয়া বসবাস যোগ্য নাও থাকতে পারে

তাই এখানে একটা কন্ট্রাডিকশন থেকেই যায় অবজার্ভেশনাল এবং এক্সপেরিমেন্টেড ফিজিক্স আর ইসলামের ভবিষ্যদ্বানীর সাথে

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০২

পোসেইডন বলেছেন: তো ব্যাপার হইছে যে গিয়া বিগ ব্যাং থিওরীর যে "স্মোলার দেন এন এটম" থেকে শুরু হইছে বলা হয়, আমার কথা হল এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণুতে কিভাবে এত ভর আর এত অসীম উনিভার্স সীমাবদ্ধ থাকতে পারে?

মাগার এই প্রশ্নের উত্তর পাইলাম
শক্তি ক্যান বি কনভার্টেট টু মেস
মেস ক্যান বি কনভার্টেট টু এনার্জি
তাইলে কথা যেটা দাড়াইল, ঐ বাচ্ছা পরমাণু বা ঈশ্বর কণা যাই হোক ঐ আন্ডাবাচ্চার ভিতর হিউজ পরিমাণ এনার্জি সঞ্চিত ছিল যা বিগ ব্যাঙ্গের পর মেস এ কনভার্টেট হয়।

এখন লেটেস্ট থিওরী বলে ম্যাটিরিয়ালের স্মলেস্ট কণিকা হল স্ট্রিং বা সুতা।

আর এই সুতারে ভাঙলে পাওয়া যায় এনার্জি।
সো পুরা উনিভার্সের যা কিছুই ভৌত-রাসায়নিক, ৃশ্য-অদৃশ্য মূলত সব কিছুই এ্নার্জি।

বহুত সাইন্সের কথা বইলা ফেলাম এইবার আসী হাদীস কোরানের কথায়।
জানি আজকের দুনিয়ার ধর্মের লগে সাইন্সের মিলান জোকিং। তয় আমার মতে এইডা খ্রিচ্চিয়ানিটি পর্যন্তই জোকিং, ইসলাম ইজ সামথিং ডিফরেন্ট।

তো কোরানে আছে যে, আকাশ সমূহ আর জমিনসমূহ ওতপ্রোতভাবে( ওতপ্রোতের মানে বুইঝা লন) মিশীয়া ছিল। আমি এদেরকপৃথক করিলাম, অতঃপর প্রাণবন্ত সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হইতে।
ভালা কথা, বিগ ব্যাঙ্গ আর জীবনের উৎপত্তি যে পানি থেকে এটার সাথে ইসলামের কোন বিরোধ নাই
আবার সেই কোরানেই আছে, আমি আকাশকে গুটিয়ে নিব দুমড়ানো কাগজের মত, তখন আকাশ হবে যাবে রক্তিমাভাভ গোলাপের মত। অতঃপর আমি পূনরায় উহা সৃষ্টি করিব যেরূপ করিয়াছিলাম পূর্বে। নিশ্চয় ইহা আমার অংগীকার।

তো এইখানে দেখা যায় সৃষ্টি জগতের এন্ডিং নিয়ে একটু হিন্টস আছে, আর এইটা হইল বিগ ব্যাং ২ এর আগের চিত্র আর পরের চিত্র যা বিজ্ঞানের লেটেস্ট একটা থিওরী। নিউ থিওরী বলে হাবলের নীতিতে মহাবিশ্ব যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে এভাবে উনিভার্সের দুইটা এন্দিং থাকতে পারে
ওয়ান ইজ, উনিভার্সের সব কনিকা (মানে বুইঝা লন গ্রহ নক্ষত্র) দূরে সরতে সরতে এমন অবস্থায় আসবে যে কণিকা সমূহের মাঝে আকর্ষণ শূণ্যে পরিণত হবে আর সব কিছু সেপারেট হয়ে উনিভার্সে বিচ্চিন্ন হয়ে যাবে
এনাদার ওয়ান ইজ, সব কিছু দূরে সরে যেতে যেতে আবার কেন্দ্রীয় শক্তির কারণের একটা বিন্দুতে একত্রিত হবে ( কোরনে এইটারে কইছে সব কিছু ধেয়ে চলছে একটা মঞ্জীলের দিকে), মাগার ব্যাপার হইছে গিয়া এই কেন্দ্রীয় শক্তি কোনখানে এইটা এখনো আধুনিক বিজ্ঞান নির্ণয় করতে পারে নাই।

অতঃপর সব কিছু একটা বিন্দুতে পরিণত হলে সেই অসীম ভরের (মানে উনিভার্সের সব গ্রহ উপগ্রহের টোটাল ভর) গোলকের আকর্ষণ শক্তি এতই প্রকট হবে এগুলা সঙ্কুচিত হতে হতে আবার একটা অসীম ভর আর ঘণত্বের পরমাণুতে পরিণত হবে। (বোঝ মামা দুমড়ানো কাগজের মিনিং কিতা হইতে পারে)।

সো ব্যাপার এইডা না, আসল ঘটনা হইল ঐ পরমাণু থেকে আবার বিগ ব্যাং হবে (আধুনিক বিজ্ঞানের কথা আমার না) আর সেইম থিঙ্ক আছে কোরানে (আমি পূণরায় সৃষ্টি করব যেমন করিছিলাম প্রথমবার, ইহা আমার অংগীকার, আমার কথা না কোরানের)।

সো ব্যাপার কিন্তু এখনো আসে নাই, ব্যাপার যেটা হইল সেটা হল, সেকেন্ড টাইম বিগ ব্যাং হইয়া কি হবে?

হবে যে..........................................(গেস ডিউড গেস ঃড)

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার কমেন্টে অনেক কিছু ভাবনার উপাদান আছে তবে এখানে কথা কিছু থেকেই যায়।
"তাইলে কথা যেটা দাড়াইল, ঐ বাচ্ছা পরমাণু বা ঈশ্বর কণা যাই হোক ঐ আন্ডাবাচ্চার ভিতর হিউজ পরিমাণ এনার্জি সঞ্চিত ছিল যা বিগ ব্যাঙ্গের পর মেস এ কনভার্টেট হয়।

এখন লেটেস্ট থিওরী বলে ম্যাটিরিয়ালের স্মলেস্ট কণিকা হল স্ট্রিং বা সুতা।"

ওটাকে আপনি ঈশ্বর কনা বলতে পারেন না যেকোনো ভাবেই হোক। যদি ধার্মিক হিসেবেও বলেন সেটা হবে আদি ডিম্বক, যেটাকে আল্লাহ বলেছিলেন "হও" আর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। যদি পার্টিক্যাল ফিজিক্সের ভাষায় বলি তাহলে হিগসী হলো ঈশ্বর কনা কারন E=mc^2 শক্তি হতেই সকল কিছুর সৃষ্টি আর যেহেতু শক্তির ভর নেই সেহেতু যেকোনো ভাবেই হোক ভর জিনিসটার সৃস্টি হয়েছে। তার মানে এমন একটা ম্যাডিয়েটরের দরকার ছিলো যার মাধ্যমে শক্তির এই প্যাকেট সমূহ ঐ কনিকার সাথে এমনভাবে যুক্ত হয় যার ফলে মোমেন্টাম অব ইনার্শিয়ার তৈরী করে। ফলে ভর পেতে শুরু করি। যদি এটা না হতো তাহলে এই মহাবিশ্বের কোনো কিছুই দৃশ্যমান হতো না এবং আমরা যেরকম পৃথিবী দেখছি সেটা হতো না। তাই লীডারম্যান বলেছেন"হিগসীই ঈশ্বরকনিকা"

আর শক্তির তন্তু কোনো কনিকা না। স্ট্রিং থিওরী অনুসারে আমরা হিলবার্ট স্পেসে আছি যেটা কনিকা সিদ্ধ না। কনিকার জন্মের আগে যেখানে চারটি আদি বল একীভুত সেটা নিয়ে কথা বলছি।

"তো কোরানে আছে যে, আকাশ সমূহ আর জমিনসমূহ ওতপ্রোতভাবে( ওতপ্রোতের মানে বুইঝা লন) মিশীয়া ছিল। আমি এদেরকপৃথক করিলাম, অতঃপর প্রাণবন্ত সব কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হইতে।
ভালা কথা, বিগ ব্যাঙ্গ আর জীবনের উৎপত্তি যে পানি থেকে এটার সাথে ইসলামের কোন বিরোধ নাই"

আসলে কোরানে কি লেখা আছে সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। কারন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে ১৩৭০ কোটি বছর আগে এবং পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে ৪৫৪ কোটি বছর আগে। তো এখানে কার কথা বলেছেন?
কোরানে আছে:

নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। 7) সূরা আল আ’রাফ (মক্কায় অবতীর্ণ), আয়াত ৫৪

মিলছে না। আকাশ ভূমি মিলিত ছিলো এটা কোরান অবতীর্ন হবার ব হু আগে ডেমোক্রিটাস স হ বেশ কয়েকজন দার্শনিল বলে গেছেন এবং বেশ কিছু গ্রন্হও রচনা করেছেন।

আর মহাবিশ্ব ধ্বংস হবার কথা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান স্বীকার করে না কারন এই মহাবিশ্বের কনসেপ্ট এখন বাবল ইউনিভার্স কনসেপ্টের মাধ্যমে বিবর্তিত হচ্ছে যেখানে বলা হয়েছে আমরা বোধ হয় ২ বিলিয়ন তম ইউনিভার্সে আছে। ২ বছর আগের সিএমবি ম্যাপীং সেটার কথাই জানান দেয়।

কেয়ামত সম্পর্কে আপনি যেটা বললেন কোরানে বোধ হয় এরকম লেখা নেই। ওখানে যা লেখা আছে তা এখানে বর্ননা করলাম:

That Day We will fold up heaven like folding up the pages of a book. As We originated the first creation so We will regenerate it. It is a promise binding on Us. That is what We will do. (Qur'an, 21:104)
They do not measure Allah with His true measure. The whole earth will be a mere handful for Him on the Day of Rising the heavens folded up in His right hand. Glory be to Him! He is exalted above the partners they ascribe! (Qur'an, 39:67)

এটা বিগ ক্রান্ঞ্চের যে থিওরীর কথা বলা আছে যেটা শুরু হতে হলেও ১০^১০০ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

আর বিগ ব্যাং যে এখনও হচ্ছে না এটা কে বললো? তাই আমার মনে হয় কোরানকে কোরানের জায়গায় রেখে দিন। ওখানে যা লেখা আছে তা মিথ্যে নয়, কি লিখেছেন সেটা আল্লাহই জানেন কারন কোরান আমাদের কাছে আল্লাহর এক নিদর্শন স্বরূপ

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালো কথা, আপনার প্রোফাইলে এক বাস্টার্ডের ছবি দেখছি। বাস্টার্ডটাকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম তাই একে এর চেয়ে ভালো বিশেষন দিতে আগ্রহী নই আমি।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: পোষ্ট ভাল লাগল, বই পত্রে ব্যবহৃত গতানুগতিক ভাষা ব্যবহার করার জন্য ধন্যবাদ ।

যদিও প্রত্যহিক জীবনে, এমন কি অফিসেও, আমি কথ্য ভাষা ব্যবহার করি, কিন্তু কথ্য ভাষায় আপনার লেখগুলো পড়তে কষ্ট হয়।

এনিয়েও একটা গবেষণা মুলক লেখা দিবেন, আশা করি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি কথ্য ভাষাতেই লিখতে পছন্দ করি। এটা নিয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষন আছে। আমি মনে করি পরচর্চা করা বাঙ্গালীর একটা বিনোদন। বাঙ্গালীর আরেকটা বিনোদন পরচর্চা করে মানুষকে জ্ঞান দেয়া। আমি এই ট্রেন্ড ভাংতে চাইলেও নিজেও অনেক সময় করে ফেলি তাদেরি বিরুদ্ধে যারা আমার বিরুদ্ধে করে।

তাই এসব থেকে রক্ষা পাবার জন্য বিজ্ঞানের এসব নিয়ে লেখালেখি করি এছাড়া আমি নিজেও এর সাথে কম বেশী জুড়ে থাকি। যখন ক্লাসে এরকম শান্তিপুরী ভাষায় পড়ান কোনো শিক্ষক তাহলে অনেকেই ঘুমিয়ে যায়। খুব কম ছাত্র জেগে জেগে ক্লাস শুনে। কারন বিজ্ঞান শিক্ষা অন্যান্য হুতুমভুতুম নন টেকনিক্যাল বুলশীট পড়ালেখার চাইতে অনেক বেশি ব্রেন স্টর্মিং করতে হয়। তাই এটা মনের মধ্যে গ্রোথীত করবার জন্য হিউমার মেশাতে হয়, দুষ্টুমী করতে হয়। জার্মানীর এক প্রফেসর তার ক্লাসে ভায়োলীন অর্কেষ্ট্রা এমনকি জোকার সেজেও ক্লাস করান এবং সে এখন জার্মানীর সেরা প্রতীক।

বুঝাতে পারি না সেটা আমার সীমাবদ্ধতা। আমি নিজেও মেধাবী কোনো ছাত্র নই। আমি শিখছি চেষ্টা করছি আরো ভালো করে বুঝতে

ধন্যবাদ

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৪

হাছন রাধা করিম বলেছেন: উদাসী ভাই আপনাকে বোধহয় আগেও একবার বলেছিলাম যে কোরআনের ভাষা এমনভাবে এসেছে যে লেখাপড়া না জানা মানুষের কাছে যেনো সহজে বোধগম্য হতে পারে। তাই অনেক সময় আপনাদের মতো বিজ্ঞানীরা দ্বিধায় পড়ে যান। আর উপরে যে দুটা আয়াতের উল্লেখ করেছেন সেগুলো কিন্তু অন্য অনেক অনুবাদে ভিন্ন রকম এসেছে। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।

আরেকটা বিষয় হলো ছয় দিনের ব্যাপার। এটা কিন্তু বর্তমানকালের প্রায় সব অনুবাদকারীরাই ব্যবহার করা বর্জন করে দিয়েছেন। কারন হিসাবে বলা হয় যে আগেকার দিনের তাফসীরবিদরা ওল্ড টেষ্টামেন্ট আর নিউ টেষ্টামেন্টের বিপরীতে গিয়ে এই ছয় দিবস তত্বের জায়গায় ছয়টি কালের কথা উল্লেখ করতে চাননি। আর তাই ছয় দিবসের কথা এখনো অনেক তাফসীর আর অনুবাদে রয়ে গিয়েছে। এটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় উদাসী ভাই।


২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরে ভাইসু, কেমুন আছেন? ম্যালাদিন পর।

আপনে মনে হয় আমার স্টান্ট বুঝবার পারেন নাই।

আমি কিন্তু কখনোই ধর্মবিরোধী ছিলাম না বা কোনো বক্তব্য দেই নাই। কোরান সম্পর্কে আমার ধারনা হলো কোরান যেই আরবী ভাষায় নাজিল হইছে সেটা বিশ্বের কোথাও চালু নাই। শেষ কবে এই ভাষায় কথা বলা হইছে সেটা যদি চিন্তা করেন তাহলে দেখা যাবে ৭-৮০০ বছর আগের দিকে চলে যেতে হবে। এখন ধরেন সেই সময়ে বিজ্ঞানের যে স্ট্যান্ডার্ড ছিলো সেই স্ট্যান্ডার্ডে যদি কেউ এভাবে কোরানকে সম্বল করেই তার জীবন আটকে রাখলো এবং অবজার্ভেশনাল আর এক্সপেরিমেন্টাল ব্যাপারগুলোকে ইগনোর করা শুরু করলো তাহলে দেখেন মানুষ কতটা ভুল পথে চালিত হইতো।

কারন কোরানে যতটুকু বিজ্ঞানই থাকুক সেগুলো এমনভাবে লেখা আপনি সরাসরি কিছু পাবেন না। আপনি নিজেই বললেন এই ষষ্ট দিবস বা ছয় দিন এটা নিয়ে। তার উপর এই কথাটা কোরান নাযিল হবার ৬০০ বছর আগেই ইন্জ্ঞিলে বলা হয়ে গেছে।

এখন যেহেতু মানবজাতী শুধু কোরানকেই সম্বল করে নাই বিজ্ঞানের জন্য সেহেতু অবশ্যই বলতে কোরানে বিজ্ঞান না খুজে কোরানে যেটা খুজতে বলা হয়েছে সেটাই খুজুক। যেসব আয়াত আছে যেগুলোর পাঠোদ্ধার আদৌ সম্ভব কি না জানি না সেগুলোকে নিদর্শনস্বরূপই রাখা উচিত এবং শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বিশ্বাস করা উচিত।

উপরের কমেন্টকারী যেভাবে বর্ননা করলেন মনে হলো কোরানে যা লেখা নাই তাও উনি বলে দিলেন, বিজ্ঞানে যেটা বলা নাই সেটাও উনি বলে দিলেন কিন্তু কতটা ঠিক সেগুলো নিয়েও উনার মাথা ব্যাথা নাই বরংচ উনি গর্বিত কারন উনি এই কমেন্ট নিয়ে একটা পোস্টও দিয়ে ফেলেছেন।

বিজ্ঞান আসলে কোনো ধর্ম বিশ্বাস না, আমার ভয়টা এখানেই। নাস্তিকেরা এটাকে ধর্ম মনে করে আর আস্তিকেরা প্রতিদ্বন্ধি মনে করে এরকম করে সবকিছু আদি গ্রন্হ দিয়ে নিজের মন মতো যুক্তি দেয়। এরকম যদি সবাই করা শুরু করে তাহলে বলতে হয় সামাজিক প্রযুক্তি এবং অর্থনীতি স হ সব দিক দিয়ে আমরা এরকম ছ্যাচড়া বাঙ্গালীই রয়ে যাবো। যেখানে ইন্ডিয়া চাঁদে রকেট পাঠায় সেখানে আমরা ভাবি হরতালে কাল অফিসে যাবো কিনা অথবা হলমার্ক চুরি করছে সেই টাকা উঠানোর জন্য হলমার্ক কে আরো ঋণ দাও।

অদ্ভূত চোর চোট্টা রাজাকার আর নষ্টা নারীর দেশ হয়ে গেছে এই বাংলাদেশ.. কারন এরাই আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

পোসেইডন বলেছেন: আমি জানি আপনার বিজ্ঞানের জ্ঞান আমার থেকে অনেক বেশী, আমি প্রতিনিয়তই জানার মধ্যে আছি। এই জানায় অনেক কিছুই হয়ত ভুল অথবা ঠিক। তবে যা জানি তা ওপেন মাইন্ডেড ভাবেই জানতে চেষ্টা করি। আর বিজ্ঞানের কিছুতেই আমি ধর্মকে টানি না নি্তান্তই বাধ্য না হলে। কারন যখনই আপনি ধর্মের কনসেপ্ট বিজ্ঞানে আনবেন তার মানে বিজ্ঞানের "কি, কেন, কিভাবে" এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানার আগেই গলা টিপে প্রশ্ন গুলোকে খুন করলেন।
বিশ্ব কিভাবে ৃষ্টি হইছে,
আল্লাহ ৃষতি করছে। এই কন্সেপ্টে চললে যাবতীয় বিজ্ঞানের সমাধী রচনা করা।
হ্যা আমি বিশ্বাস করি দেয়ার ইজ সামোয়ান। বাট এই সিস্টেম টা বুঝতে হলে সামওয়ানটাকে আওট অভ বাউন্ডারিতে রাখতে হবে এটাই বিজ্ঞান।
এটা না করলে বিজ্ঞানের প্রশ্ন থেকে হাইপোথেসিসেই যাওয়াই পসিবল না।

আমি এখানে কোরান টানলাম এটা দেখাতে যে ধর্ম মানেই যে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বার্তা এটা যে ঠিক না তা দেখাইতে অন্তত ইসলাম ধর্মে তা বলে নাহ।

ওয়াটেভার আমি কি বলতে চাইছি বুঝছেন আশা করি।

এবার আসি পরের কথায়, আমি আমার উপরের কমে্নটে কোন রেফারেন্স দি নাই কারন আমি আয়াত গুলো যখন বলছি তখন যতদূর মাথায় আছে(রেগুলার কোরান পড়ার অভ্যাস টা আছে) তা থেকেই নিজের ভাষায় বলেছি, তাই কোট করি নাই কিছু। এখানে আমার ভুল থাকতে পারে বা হয়ত বুঝার ভুল থাকতে পারে।

আর আপনি একটা আয়াত কোট করলেন যে ৬ "দিনে" বিশ্ব ৃষ্টি করা হয়েছে। মূলত কোরানে এই ক্ষেত্রে যে ওয়ার্ড টা ইউস করছে তা হল "ইয়াওম"। "ইয়াম" এর অর্থ দিন কিন্তু "ইয়াওম" শব্দের অর্থ ধাপ, দিন নয়। কোরানের বিভিন্ন অনুবাদে যে দিন বা ডে এর উল্লেখ পাবেন তা মূলত বাইবেল থেকে আসছে। বাইবেলেই ৭ দিনের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু কোরানের কোঁথাও বলা নেই ৬ দিনে ৃষটি করার কথা, বলা আছে ৬ টি ্ধাপে বা ৃহৎ কালের পরিক্রমায় ৃষটি করা হয়েছে। আর আমরা যেহেতূ ধরণীর বাসিন্দা আর কোরান এই ধরনীর জন্যেই তাই সব ক্ষে্ত্রে জমিন বলতে ধরণিকেই টেনে আনা হয়েছে।


দিন দিন বিজ্ঞানের এসব জট খুলবে, আরো পরিষ্কার হবে সব।

প্রো পিকে তো পার্থের পিক দেয়া, উনারে ভালা পাই অন্তত আন্ধা রাজনৌতিক না এই কারণে। আপনার পারসোনাল অপিনিয়ন থাকতেই পারে, হে মিয়াও ফেরেসতা না। আপনার দিক থেকে 6 আমার দিক থেকে 9.

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: "কারন যখনই আপনি ধর্মের কনসেপ্ট বিজ্ঞানে আনবেন তার মানে বিজ্ঞানের "কি, কেন, কিভাবে" এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানার আগেই গলা টিপে প্রশ্ন গুলোকে খুন করলেন।"

একটা সত্যি কথা বলি, ভাই আমি সেটাই করতে চাই। ল্যাবরেটরী নামাজ বা পূজা অচ্চনা করার জায়গা না। দিনের বেলা গবেষনার সময় আপনাকে এক ঘন্টা ব্রেক দেয়া হবে যোহরের নামাজ পড়বেন বিকালে ১০ মিনিটে আছর। ৫ টার অফিস বন্ধ তখন আপনি বাড়ি গিয়া পরের নামাজ পড়বেন। কোরান শরীফ তেলাওয়াত বাড়ি গিয়া। ল্যাবে আসছেন ধর্মটা বাড়ি রাইখা আসবেন। যদি এইটা না করেন, তাইলে এই প্রাকটিস সবাই শুরু করলে গবেষনার ফল আন্ডা হবে। কারন আপনে কখনোই আয়াতুল কুরসী পড়ে ইলেক্ট্রন এন্টি ইলেক্ট্রন সংঘর্ষ করাইতে পারবেন না। তাই বলে ধর্ম বা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়া ভুলে যাবে সেটাও একে বারেই নিমক হারামী।

"হ্যা আমি বিশ্বাস করি দেয়ার ইজ সামোয়ান। বাট এই সিস্টেম টা বুঝতে হলে সামওয়ানটাকে আওট অভ বাউন্ডারিতে রাখতে হবে এটাই বিজ্ঞান।
এটা না করলে বিজ্ঞানের প্রশ্ন থেকে হাইপোথেসিসেই যাওয়াই পসিবল না।"

এইটা যদি করেন তাইলে ঠিক আছে। কারন বিজ্ঞানটা তৈরী হয়েছে মানবিক শক্তিকে বৈরী পৃথিবীতে স্হায়ী এবং উন্নত রূপ যেখানে ধর্ম স হ নানা আচার এই অনিশ্চিৎ এবং মৃত্যুময় জরা-ব্যাধী-দৈব দুর্বিপাক পেতে মুক্তি দিতে অক্ষম ছিলো। যদি এটা করেন তাহলে আমি খুশি হবো।


"আমি এখানে কোরান টানলাম এটা দেখাতে যে ধর্ম মানেই যে বিজ্ঞান বিরোধী কথা বার্তা এটা যে ঠিক না তা দেখাইতে অন্তত ইসলাম ধর্মে তা বলে নাহ।"

এজন্যই আমি পোস্টে লিখে রেখেছি এটা একটা ব্রেন স্টর্মিং পোস্ট। কারন এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ডাটা এবং উপাত্ত থেকে বোঝা যায় আমরা মাল্টিভার্সের একটা অংশ এবং আমাদের শুরু কিভাবে সেটা আমরা জানলেও শেষ নেই। এটা চলমান। মাল্টিভার্স তত্ব যদি বাজারে প্রতিষ্ঠাও পায় তাহলে ধরে নিন এক হিন্দু ধর্ম ছাড়া আর কোনো ধর্মই মাল্টিভার্স ধর্ম সাপোর্ট করে না। আরেকটা ঈশ্বর ছাড়াই যে আমাদের মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে সেটা ২০১০ এ একটা ল্যাব এক্সপেরিমেন্টে প্রমান হয়ে গেছে। তাই এটা বলাই যায় পার্টিক্যাল ফিজিক্সের কাছে ঈশ্বর তত্ব একটা ফাকা বুলি।

"আর আপনি একটা আয়াত কোট করলেন যে ৬ "দিনে" বিশ্ব ৃষ্টি করা হয়েছে। মূলত কোরানে এই ক্ষেত্রে যে ওয়ার্ড টা ইউস করছে তা হল "ইয়াওম"। "ইয়াম" এর অর্থ দিন কিন্তু "ইয়াওম" শব্দের অর্থ ধাপ, দিন নয়। কোরানের বিভিন্ন অনুবাদে যে দিন বা ডে এর উল্লেখ পাবেন তা মূলত বাইবেল থেকে আসছে। বাইবেলেই ৭ দিনের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু কোরানের কোঁথাও বলা নেই ৬ দিনে ৃষটি করার কথা, বলা আছে ৬ টি ্ধাপে বা ৃহৎ কালের পরিক্রমায় ৃষটি করা হয়েছে। আর আমরা যেহেতূ ধরণীর বাসিন্দা আর কোরান এই ধরনীর জন্যেই তাই সব ক্ষে্ত্রে জমিন বলতে ধরণিকেই টেনে আনা হয়েছে। "

এখানেও ভুল হয়েছে। আমার রুম মেট খ্রিশ্চিয়ান। একবার দাওয়াতে গিয়া বাইবেল নিয়া আসছিলো। আশ্চর্য্যজনকভাবে সত্য হইলেও তাগো কাছে বাংলা বাইবেলও আছে। ঐখানে Genesis 1:1–2:3 পইড়া নীচের পয়েনট আউট করলাম:

Day 1: The heavens, the earth, light and darkness.

Day 2: Heaven

Day 3: Dry land, the seas, and vegetation.

Day 4: The sun, the moon and the stars.

Day 5: Living creatures in the water, birds in the air.

Day 6: Land animals and people.

Day 7: God "rested".

ঈশ্বর ৬ দিনেই বানাইছে। আর ৭ দিনের দিন সে ছুটি নিছে। এইজন্য এরা রবিবার ছুটি পালন করে। ইসলাম এইটারে ৬ দিনে আনছে।

"প্রো পিকে তো পার্থের পিক দেয়া, উনারে ভালা পাই অন্তত আন্ধা রাজনৌতিক না এই কারণে। আপনার পারসোনাল অপিনিয়ন থাকতেই পারে, হে মিয়াও ফেরেসতা না। আপনার দিক থেকে 6 আমার দিক থেকে 9."

সেইটা অবশ্য ঠিক কইছেন, সার্টিফিকেট বিক্রির পয়সা দিয়ে বিকেল বেলা ফু ওয়াং থিকা ড্রাই জীন আর বীয়ার নিয়া গুলশানের রেস্ট হাউজে রাত ভইরা ইয়াবা আর তিন চারটা মাইয়া নিয়া পার্টি করা। তার পর ইংল্যান্ডে গিয়া থিসিস প্রেজেন্টেশন পোলাপানের হাতে দিয়া সেইখানেও সেম। পরে আর যোগাযোগ ছিলো না। লাস্ট যখন টিভিতে দেখলাম তখন জামাতের গেলমান সাইজা তার পক্ষে কথা বলা।
মাফ চাই এমন ধান্ধাবাজ বাস্টার্ডদের আপনাদের ভালো লাগতে পারে। নিজের বিবেক বুদ্ধি কিছুটা হলেও আছে, জামিনটা মরে নাই। জামাতকে যেখানে হত্যা করার বাসনা রাখি কোনো কথা ছাড়াই, বিএনপি-লীগের কুকুরগুলারে সেরকম ঘৃনা করি এবং তাদের অনুসারীদের অভিশাপ দেই

ভালো থাকুন। আমার কথা ভালো না লাগলে করনের কিছু নাই

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

কালোপরী বলেছেন: হুম

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ঘুমমমম

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০১

এম হুসাইন বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধের মতো পরে গেলাম।

এত বড় বিজ্ঞানীর লেখায় মন্তব্য করার সাহস নেই।


নিরবে প্লাসায়িত করলাম। :P ;)

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনে যদি মৌলবাদী গোড়া, জামাত শিবির, আওয়ামী-বিএনপির পাচাটা অন্ধ কুকুর, তীব্র গালিবাজ না হন, তাইলে ভয়ের কোনো কারন নাই।

আমি চাই যখন আমার বিজ্ঞানের কোনো পোস্ট দেয়া হবে সেখানে শুধু বিজ্ঞানের আলাপ হবে, আমি ভুল করতেই পারি। আমার অনেক মিসকনসেপশন আছে। আমারও গোড়ামী আছে। সেগুলো ধরিয়ে দিলে আমি খুশিই হই। আমার অনেক পোস্টই আছে যেখানে অনেকেই আমার ভুল ধরায় দিছে আমার মিসকনসেপশন নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে। আমি সেসব লোকজনের কাছেই কৃতজ্ঞ।

আর কেউ যদি একটা ব্যাপার আমার কাছে জানতে চায় সেটা বলবো না কেন? বরংচ আমি তো এসব বিষয়ে কথা বলার জন্যই ব্লগে আসি এমন ব্লগ এখনও খুজে বেড়াই যেখানে এসব বিষয়ের খুব গভীরে কথা বলা যায়। আর তাই এখন বেশীর ভাগ সময়ে বিদেশী টেকনিক্যাল ফোরামেই আমার দিন কাটে।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: উদাসী ভাই, আপনে একটা পোস্ট দিবেন, এই আশায় কীভাবে তাকিয়ে থাকি জানেন?

ভাই পোস্ট পুরাটা পড়লাম। চার পাঁচটা কমেন্ট পড়লাম। বাকীগুলাও পড়ছি।

এখন কথা হল,
আমার একটা আব্দার রাখেন,

স্ট্রিং থিওরি সহ এবং প্রয়োজনে স্ট্রিং থিওরি ছাড়া পু-রোপুরি বিশ্লেষণ করে একটা বা একাধিক পোস্ট দেন যেটার মাধ্যমে আমরা সবগুলো ডাইমেনশন সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার কনসেপ্ট পেতে পারি এবং ডাইমেনশনের সাথে কণার ইন্টারাক্টিভিটি বিষয়েও (অবশ্যই পদার্থ ও গণিত বিজ্ঞান এখনো যা জানে অথবা এখনো যা থিওরিতে রেখে দিয়েছে সেই আলোকে)

আর এ নিয়ে ডিটেলস লিখে থাকলে প্লিজ ভাই একটু কষ্ট করে লিংক টা যদি দিতেন, কারণ খুজতে গেলে টাইটেল পড়ে বুঝতে নাও পারি (বাট আপনার টাইটেল স্টাইল পুরোপুরি ঠিক আছে আমাদের জন্য, সেটা বিষয় না)

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছিলাম অনেক আগে থেকেই। প্রথম পর্বে লেখার পর মনে হলো আমি একটা মেগাসিরিজ বানাবো। বেশ কয়েকপর্ব চালানোর পর মনে হলো কিছু ব্যাপার ক্লিয়ার হওয়া দরকার। সেরকম কিছু স হযোগী পোস্ট লিখেছি এবং এখনও লিখছি যাতে করে কোনো সমস্যা হলে উইকির লিংক না দিতে হয়। ৭ পর্বের পর আর লিখি নাই কারন নিজস্ব ব্যাস্ততা আর পড়া লেখা আর মন মানসিকতা সবকিছু নিয়েই একটা বিশ্রী অবস্হায় আছি। তবে আরো ডিটেলস এবং পলিশড রূপে লেখবো। এতদিন ভরে ব্লগ যখন করছি তখন সামনে যদি অন্যকোথাও ব্লগ লিখি এসব বিষয় নিয়ে আমি আমার ব্লগ ভরাবোই।

৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

চলতি নিয়ম বলেছেন: অনুসরণ থেকে আসলাম। পরে পড়ব। আছেন কেমন?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আছি কেমন সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ন নয়, গুরুত্বপূর্ন হলো আমরা কেমন রাখছি সবাইকে।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাছন রাধা করিম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই বুজিয়ে লেখার জন্য। তবে আমার মনে হয় আপনি আমার কথা একটু ভুল বুঝেছেন। আমি এটাই বলতে চেয়েছি যে যখনই কোরআনের আয়াত নিয়ে কথা বলা দরকার হয় তখন কয়েকটি অনুবাদ সামনে নিয়ে করলেই ভালো।

আপনিও জানেন আমিও জানি যে কোরআন হলো একটা গাইডলাইন।এখানে কোনকিছুই সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়নি। আপনি তো কোরআন পড়েছেন, সৃষ্টিতত্বের ব্যাপারে যখনই কোন আয়াত এসেছে তারপরই কিন্তু উল্লেখ হয়েছে যে এতে নিদর্শন রয়েছে আমার সেইসব বান্দাদের জন্য যারা চিন্তাশীল।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের শুধু ইন্গিত দিয়েছেন। আপনারা সায়েন্টিষ্টরা সেটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা এবং গবেষনা করছেন এবং করবেন। এতে তো আমি কোন সমস্যা দেখিনা।

১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

হাছন রাধা করিম বলেছেন: আরেকটা কথা, এই যে মাল্টিভার্সের থিয়োরি নিয়ে সায়েন্টিষ্টরা মাথা ঘামাচ্ছেন এটা কি আমরা সাত আসমান এবং সাত জমিনের যে ইন্গিত সেটার কাছাকাছি যাচ্ছিনা?
আবার ধরুন যে বাইরের একটি ইউনিভার্সের সংগে আমাদের ইউনিভার্স সম্পৃক্তের যে বিষয় নিয়ে আপনারা গবেষনা করছেন এটা কি আমাদেরকে কোরআনে যে বলা হয়েছে আল্লাহর আরশ সমস্ত কিছু পরিব্যাপ্ত করে রয়েছে সেই বিষয়ের প্রতি ইন্গিত দেয়না?

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আরেকটা কথা, এই যে মাল্টিভার্সের থিয়োরি নিয়ে সায়েন্টিষ্টরা মাথা ঘামাচ্ছেন এটা কি আমরা সাত আসমান এবং সাত জমিনের যে ইন্গিত সেটার কাছাকাছি যাচ্ছিনা?

না সেটা না। কনসেপ্টটা ভুল। ধরুন আপনি আপনার কন্যা শিশুটিকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে গেলেন। চকলেটের দোকানে এসে আপনার কন্যা ললিপপ খেতে চাইলো। আপনি তাকে লাল ললিপপটা ধরিয়ে দিলেন। সে ললিপপটায় মুখে নিয়ে স্বাদ নিলো এবং বলে উঠলো এটা না, হলুদটা। আপনাকে হলুদটাও কিনতে হলো। এরকম করে নীল, গোলাপী, সবুজ মিলিয়ে সব রং এর একটি করে ললিপপ কিনে নিতে হলো। ললিপপের দাম খুবই কম। তাই আপনার ২০-৩০টা কিনেও গায়ে লাগছে না। আপনার মেয়ের দু হাতে কাঠিতে রাকাহ অনেকগুলো ললিপপ। আমাদের মাল্টিভার্স তত্বতে ইউনিভার্স গুলো এভাবে পাশাপাশি। আমরা অনেকে মনে করি এগুলো অনেকটা পেয়াজের খোসার মতো। আসলে ডি ব্রেন থিওরীর সাথে ওটা গুলিয়ে ফেলি। পাশাপাশি কয়েক বিলিয়ন ইউনিভার্সের মধ্যে আমাদের একটা ললিপপের পাশাপাশি। এখন আপনি মেলাতে বসেন কোথায় মেলে। হয় কোরানের আক্ষরিক অর্থে ভুল অথবা বিজ্ঞান যেকোনো একটা। বাকিটা আপনার বিশ্বাস।

আবার ধরুন যে বাইরের একটি ইউনিভার্সের সংগে আমাদের ইউনিভার্স সম্পৃক্তের যে বিষয় নিয়ে আপনারা গবেষনা করছেন এটা কি আমাদেরকে কোরআনে যে বলা হয়েছে আল্লাহর আরশ সমস্ত কিছু পরিব্যাপ্ত করে রয়েছে সেই বিষয়ের প্রতি ইন্গিত দেয়না?

না সেটা কিছুতেই নয়। বরংচ আপনি কোরানের আয়াতটা ভালো করে বুঝে যদি এসব থিওরী গুলো বুঝতে বসেন হয়তো আপনার কাছে মনে হবে এগুলো অর্থহীন রূপকথা (আস্তাগফিরুল্লাহ)।

আসলে আপনি কেন মিলাতে যাবেন? যদি এটা মেলাতে যান তাহলে আপনি চরম বোকা - এটা আমার অভিমত। কারন বিজ্ঞানের সৃষ্টি কি জন্যে হয়েছে? প্রকৃতির শক্তিগুলোকে আয়ত্বে করে নিজেদের কাজে লাগানো। সেখানে আপনি কোরান, বাইবেলের সাথে তুলনা করতে যাবেন কেন? এটা তো বিজ্ঞানের অংশ নয়। ধর্মবিদ্বেষীদের রুখবার জন্য আপনারা বিজ্ঞান আর কোরানের মেলবন্ধন করাতে যাবেন এটা নিতান্তই হাস্যকর এবং অসীমতম ভুদাইবৃত্তির অনুসিদ্ধান্ত মাত্র।

তাই পশ্চিমা রাজনীতিকরা প্রায়ই বলেন, বিজ্ঞান সবার জন্য নয়।


আসলেই ধর্মান্ধদের জন্য বিজ্ঞান নয়, তাদের জন্য শুধুমাত্র অন্ধকারাচ্ছন্ন অভিশাপ। পুড়ে মরুক তারা

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫১

রিজভি মাহমুদ বলেছেন: কোন কিছুর শুরু থাকলে এর অবশ্যই শেষ রয়েছে, বাস্তবে অনন্তকাল/ infinity বলে কোন কিছু নেই ...।

০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: এটা একটা ভুল ধারনা। প্রথমত আপনি কি বলছেন সেটা আপনি নিজেই জানেন না। অসীমের সংজ্ঞা সম্পর্কে অজ্ঞ লোকেরাই শুধুমাত্র এরকম কথা বলে।

অনেক উদাহরন দিতে ইচ্ছে করছে কিন্তু ঐ যে


বিজ্ঞান সবার জন্য নয়

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন সাহেব Click This Link এই লিংক ঘুড়ে আসেন, আপনি যুক্তি খন্ডন পাবেন । তবে চিন্তা করতেছি আমিও... (অফটপিক)


অনটপিক: পরে পড়ব, আপাতত দৌড়ের উপর আছি । =p~

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্টের লিংকে হুদাই ত্যানপেচানোর ব্যার্থ চেষ্টা। হুজুরগো এখন দেখি পিটানি না, হত্যা করা উচিত। কোরানের কোনো আয়াতেই হত্যার কথা বলা হয় নাই। হাদিসে যেগুলার কথা বলা আছে সবগুলা ঘুরাইয়া ফিরাইয়া ঐ জায়গাতেই আসে।

আপনেরা কেনো বুঝতাছেন না জামাতের টাকার মিস্টি স্বয়ং হাসিনাও ভুলতে পারে না সেইখানে কোথাকার কোন শফীর চামচা?

হয়তো শফি মিয়া যেইটা করছে নিজ তাগিদে কিন্তু ব্যাকিং যে জামাত দিছে এইটা নিয়া কুনো সন্দেহ নাই। টাকা দিয়া আনছে বইলাই এক দিন আন্দোলন শেষ। আর ঢাকার রাস্তায় বাইর হইছেন?
কুনজায়গার কুন মাদ্রাসার বাস্টার্ড গুলার সাহস হয় কেমনে রাস্তায় খাড়াইয়া বিয়ার কাগজ চাইতে?

দেশে থাকলে দুই ঠ্যাং ধইরা ছিড়া ফেলতাম যতসব বাস্টার্ডগো!

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

নতুন বলেছেন: ভালই লাগলো...+

এলএইচসি নিয়া Brian Cox এর কিছু ভিডিও দেখছিলাম... জটিল জিনিস বানাইছে...

বড় কথা হইলো কেয়ামত দেইখা জাইতে পারুমনা... ( যদি আমাগাডন এর মতন কিছু না হয়)

ধম`নিয়া চিন্তা বেশি করলে কেন জানি মেলা প্রশ্ন আসে মাথায়...

সেই প্রশ্নের উত্তর কেউই দিতে চায়না... শুধু বিশ্বাস করতে কয়...

তাই ঠিক করছি... মরার পরে সরাসরি বস রে রিকুয়েস্ট করুম... দুনিয়ার শুরু থিকা শেষ পযন্ত ভিডিওর জান্নাতটিউবের লিংকটার এক্সেস দিতে... বইসা বইসা দেইখাই সব উত্তর মিলামু.. :)

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৪

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: সমস্যা হইলো আমরা সঠিক প্রশ্ন করতে পারি না।


ধরেন আপনার ক্ষুধা লাগছে। ক্ষুধা কারন চিন্তা করতে গিয়া আপনে ভাবলেন আজকা আপনি কতডু খাইছেন, কত কাজ করছেন, কতক্ষন ঘুমাইছেন।

দেখা যাইবো হিসাব মিলে নাই। কিন্তু একজন ডাক্তার জানে আপনের হিসাব কেমনে মিলাইতে হবে। আপনার মেটাবোলিক স্ট্যামিনা কি করম, পাকস্হলীতে এসিডের নিঃসরনের হার ইত্যাদীর উপর একটা নীরিক্ষা করে সে সুন্দর একটা ডায়েট করে দিতে পারবে।

আপনি ধর্ম বা ঈশ্বর নিয়ে সঠিক পথে ভাবছেন না। যখন ভাববেন তখন দেখবেন আসলেই এগুলো কতটা সিম্পল ছিলো। আমি যখনই এই বিষয়ে ব্লগ লিখি আমি শুধু এই ধারনাটা দিতেই চেষ্টা করি সমস্যা হলো খুব কম মানুষই সেটা বুঝে অথবা আমার বুঝানোর অসমর্থ।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

নতুন বলেছেন: :| :| হইতেও পারে..

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: যেখানে দেখিবে ছাই
বাতাস মাইরা দেখো তাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.