নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাধ্যম ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের পাঠশালা

সঙ্গে সাহিত্যের সুবাস ...

ফাহমিদুল হক

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াই। ফিকশন ও নন-ফিকশন দুই ধরনের লেখাই লিখি। গল্প লিখি, প্রবন্ধ লিখি, অনুবাদ করি। 'যোগাযোগ' নামের একটি একাডেমিক পত্রিকা সম্পাদনা করি। আপাতত চলচ্চিত্র-অধ্যয়ন এলাকায় উচ্চতর গবেষণা করছি।

ফাহমিদুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালি মুসলমানরাই সবচেয়ে লিবারেল?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১১

মালয়েশিয়ায় এসে আমি মালয় মুসলমান, আরব মুসলমান, আফ্রিকান মুসলমান, ভারতীয় মুসলমান, পাকিস্তানী মুসলমান, ইন্দোনেশীয় মুসলমান -- এরকম হরেক জাতের মুসলমানকে কাছে থেকে দেখলাম। বলা দরকার এসব নানান জাতের মুসলমানকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে একটি মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণার সুবাদে। সব জগতের মুসলমানকে পর্যবেক্ষণ করে আমার উপলব্ধি হলো, বাংলাদেশী মুসলমান হলো সবচেয়ে লিবারেল। অন্য অর্থে ধর্মীয় আচার পালনে ও ধর্মীয় চিন্তা লালনে বাংলাদেশীরা হলো সবচেয়ে 'ফাঁকিবাজ'। আরেকভাবেও বলা যায়, পৃথিবীর সব মুসলমান একরকম, আর বাংলাদেশী মুসলমান অন্যরকম। পাকিস্তানীরা যে বাঙালিদের 'সাচ্চা মুসলমান নয়' বলতো, তা তারা ঠিকই বলতো।



নামাজ-রোজার প্রসঙ্গেই তুলনাটা প্রথমে করা যাক। আরবসহ পৃথিবীর সব মুসলমানই নামাজটা পাঁচ ওয়াক্ত কায়েম করার চেষ্টা করে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদটা মূল গেটের পরপরই এবং তা সবসময় বিদেশী মুসল্লি ছাত্রদের পদচারণায় মুখরিত। রোজার দিনে কোনো মুসলমানের প্রকাশ্যে খাওয়া সরকারীভাবে নিষিদ্ধ, সরকারী মাওলানা বাহিনী ঘুরে ঘুরে তা নিশ্চিত করে। পুলিশ তো আছেই। আমি যে ফ্যামিলি কোয়ার্টারে থাকি, সেখানে আরব আর আফ্রিকান মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কোনো গানবাজনার আওয়াজ আশপাশ থেকে শোনা যাবেনা, কেবলই কোরান তেলওয়াতের অডিও বাজে। এখানকার বিদেশী ছাত্ররা এপয়েন্টমেন্ট দেন ও নেন মসজিদে।



মালয়েশিয়ার শতকরা ৪০ ভাগ মানুষই অমুসলিম, কিন্তু মুসলিম পরিমণ্ডলে পরম মুসলিম আবহাওয়া পাওয়া যাবে। মালয় মেয়েরা পর্দা করে মাথায় স্কার্ফ বেধে, যদিও তাদের অনেকেই সঙ্গে জিন্স-টিশার্ট পরে। রাষ্ট্রীয়ভাবে মালয়েশিয়া সরকারের 'ইসলাম হাদারি' প্রকল্প রয়েছে। ইসলাম হাদারি হলো ইসলামনির্ভর উন্নয়নপরিকল্পনা। আমাদের দেশে এমনটা ভাবা যাবেনা, তা যতই সংবিধানের মুসলমানি দেয়া হোকনা কেন।



চীনা মেয়েদের স্বল্পপোশাক আপনাকে (যদি আপনি পুরুষ হন) যতই ভিস্যুয়াল প্লেজার দিক না কেন, মুসলমান হয়ে মালয়েশিয়ায় বাস করা মানে আপনাকে ইসলামী পরিমণ্ডলে বাস করতে হবে। টুরিস্ট হিসেবে যদি আপনি আসেন তবে মডার্ন মালয়েশিয়াকে পাবেন। আর বাস করতে আসলে মুসলিম মালয়েশিয়াকে পাবেন।



গড়পড়তা বাংলাদেশী মুসলমান হিসেবে আমি এই ইসলামী চাপে চ্যাপ্টা হয়ে আছি। আমি জানি আমাদের দেশের অনেক মানুষই ধর্মপ্রাণ। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই নিয়মিত আচার পালন করেনা। একটা উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়মিত নামাজ পড়ে, কিন্তু তার চাইতে বড়ো অংশ নামাজ পড়েনা। সেই বৃহত্তর অংশের একজন হয়ে এখানে এসে মুশকিলে পড়েছি। এতটা ইসলামী পরিবেশে আমি কখনোই বসবাস করিনি -- পরিবার, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মজীবন -- কখনোই না।



সত্যি বলতে কি, আমি এই লিবারেল বাঙালি-মুসলমান পরিচয়ে গর্বিত। পূর্ববঙ্গের ইসলামের ইতিহাস অন্য যেকোনো অঞ্চল থেকে ভিন্ন। এখানে তুর্কিদের অস্ত্রের কিংবা আরবদের কড়া অনুশাসনের চাইতে ইরানীয় সুফি ধারা বেশি প্রভাব রেখেছে ইসলামপ্রসারে। সুফি-দরবেশদের শান্তির বাণী অবিকৃতও থাকেনি, স্থানীয় বৈষ্ণব ও বৌদ্ধ তান্ত্রিকতার মিশেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ইসলামের জন্ম হয়েছে। আমাদের মুসলমানিত্ব তাই নামাজসর্বস্ব নয়, আমাদের মেয়েরা তাই পর্দায় বন্দী নয়।



তবে রাজনৈতিক অসততার অবসরে ইসলাম বাংলাদেশে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে, দ্রুত মানুষের মনোযোগ পাবার জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনও কেবলই মুসলমান নয়, বাঙালিও।



মন্তব্য ১১৩ টি রেটিং +১৯/-৩

মন্তব্য (১১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪

স্নোবল বলেছেন: ভিন্নমত। টার্কিশ মুসলিমরা সবচাইতে লিবারেল। আর বক ধার্মিক/ভন্ড মুসলিম হল পাকিরা। পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্স।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: টার্কিশ মুসলমানদের দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তথ্যের জন্য ধন্যবাদ। পাকিস্তানীদের বিষয়ে অনেকেই সেরকম বলেন। তবে আমি সিদ্ধান্ত টানতে পারছি না। আরও পর্যবেক্ষণ দরকার।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৪

এম.এ.হামিদ বলেছেন: এর কারনটা হইলো গিয়া আমরা জাতি আর সংস্কৃতি চর্চার সাথে ধর্ম চর্চা আলাদা রাখতে পারসি। নবান্নের গানও হয় আবার হামদ ও নাত হয়

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মন্দ না।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৭

হাসিব বলেছেন:
উদ্ধৃতি

পাকিস্তানীরা যে বাংঙালিদের 'সাচ্চা মুসলমান নয়' বলতো তা তারা ঠিকই বলতো।

এখনও তাই মনে করে ওরা । আমরা হালাল হারাম এতো দেখি না, ৫ ওয়াক্ত নামাজে যাই না - এগুলোই কারন । ওরা এগুলো করে, আবার সেইসাথে অফিস ইউনিতে জিনিসপত্রের মিসইউজ, যাবতীয় দুই নাম্বারির খবর, সেগুলোতেও ওরা এক নাম্বার ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ওরা যাই মনে করুক, আমরা আমাদেরটাকে এন্ডোর্স করি।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৯

হাসিব বলেছেন:
এম.এ. হামিদ একটা গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট বলেছেন । শতভাগ একমত ।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:১৯

িদদারুল আলম বাননা বলেছেন:

কুয়েতি মুসলমানদের দেখছেন ?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: নাতো। বাহরাইন, কুয়েত, মিশর এরা খানিকটা আলাদা শুনেছি। এমনকি ইরাকও।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: পাকিস্তানীদের আরেকটু পর্যবেক্ষণ করে নিই। এরকম অভিযোগ আরও শোনা যায়। তবে সবচেয়ে দুই নম্বর, ভণ্ড বলতে আরও একটু পর্যবেক্ষণ দরকার আমার।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৩

রহমান মাসুদ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই আমার পাশের ইঊনিয়নের নাম চন্দ্রদিঘলিয়া। সারা বাংলাদেশের কথা না জানলেও আমি এটা জানি পুরো গোপালগঞ্জ জেলায় এটাই একমাত্র ইঊনিয়ন যেখানের নারীরা আজও পরদা প্রথার কারণে ভোট দিতে পারেননা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ব্যতিক্রম নয়কি? আপনার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছতে আমাদের আরও অনেক অনেক দূর যেতে হবে। কিন্তু আমি তুলনামূলক একটা গড় আলোচনা করছিলাম।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫

রাশেদ বলেছেন: ভালো লাগছে পোস্ট। পাকিদের কথা আর কি বলবো! দেখতেছি তো বাইরে তাদের অবস্থা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদ।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৪

হাসিব বলেছেন:
স্নোবল, তুর্কাই মুসলিমদের মধ্যে পরিস্কার দুটো ভাগ আছে । একদল বিশাল ধার্মিক । আরেকদল পুরোপুরি উল্টো ।

একটা উদাহরন দেই । তুর্কিরাই জার্মানির সবচেয়ে জাকজমকপূর্ন ব্রথেল চালায় আবার এদের মসজিদও সবচেয়ে বেশী জার্মানিতে । অতএব, বুঝে নেন অবস্থা ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ইন্টারেস্টিং!

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৮

এস্কিমো বলেছেন: দারুন পর্যবেক্ষন!

পাকিস্থানীদের বিষয়ে বলা যায় - ওরা ধর্মের থিয়োলজীক্যাল দিকের চেয়ে রিচুয়াল দিকটাকেই বেশী মানে। একদিকে ট্যাক্স ফাঁকি দেয় সমানে - অন্যদিকে হালাল মাংস ছাড়া খায় না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ। পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে দেখছি অভিযোগের অন্ত নাই। ভ্যালু ফ্রি তো কমেন্টগুলো? ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে, ওরা আমাদের অত্যাচার করেছে, এজন্য নয়তো?

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৯

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: ফাউ, আমি কানাডাতে দেখছি অনেক আরব রাত্রিতে বারে যায়, আবার নামাজ-রোযা ও করে।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৯

িদদারুল আলম বাননা বলেছেন:

বিশ্বের মধ্যে শ্রমিকদের উপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করে এই আরব জাতি রাই।

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:২৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: মালয়েশিয়ায় আবার গে পার্কও আছে। মাল্টিন্যাশনাল অন্তঃত দুটি বিখ্যাত মদ কোম্পানির দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্লান্ট এখানে। এখানকার প্রশাসন মুসলমানদের জন্য একরকম, অমুসলিমদের জন্য আরেকরকম। সব জাতকে ঠাণ্ডা রাখতে ও টুরিজমকে হাইলাইট করতে চাইলে যা হয়।

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩২

মেন্টাল বলেছেন: ভালো পোস্ট

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ মেন্টাল।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৩

শামীম রিয়াজ বলেছেন: পাকিস্থানীদের বিষয়ে বলা যায় - ওরা ধর্মের থিয়োলজীক্যাল দিকের চেয়ে রিচুয়াল দিকটাকেই বেশী মানে। একদিকে ট্যাক্স ফাঁকি দেয় সমানে - অন্যদিকে হালাল মাংস ছাড়া খায় না।
এস্কিমো সম্পূর্ণ একমত, আমার পর্যবেক্ষণও তাই বলে।
@ফাঃহঃ লেখার জন্য ধন্যবাদ

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭

এস্কিমো বলেছেন: মোটেও না।

আমরা মাঝে মধ্যে ভীষন বিব্রত হই। অফিসের পার্টিতে হয়তো কোন খাবারের অর্ডার দেওয়া হলো। কোন পাকিস্থানী থাকলেই শুরু করবে হালাল হালাল চিৎকার।

বিকল্প হিসাবে হয়তো ভেজিটেরিয়ান খাবার আছে। কিন্তু পাকিস্থানীরা সেটা মানবে না।

পরের দিন দেখা যাবে সেই পাকিভাই আরেকজনের সাথে গুজুর গুজুর করছে - কিভাবে ট্যাক্স ফাকি দেওয়া যায়। এই রকমের অনেক লোক দেখেছি।

ট্যাক্স ফাকি দিয়ে সরকারকে ঠকানোতে ওদের জুড়ি নেই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কনভিন্সড

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৬

হাসিব বলেছেন:
ফাহমিদুল হক,


মালয়েশিয়ান/ইন্দোনেশিয়ানদের সংস্কৃতি নিয়ে খুব ভালো ধারনা রাখি না । এশিয়াতে মনে হয় একমাত্র রোমান হরফে তাদের ভাষা লেখে ।

এটা করলে তারা তাদের পুরনো সাহিত্য কিভাবে পড়ে ? নাকি সেগুলো নেই তাদের ?

আমার ধারনা সংস্কৃতির ভীত দুর্বল হলে অন্য সংস্কৃতিতে মেশাটা সোজা হয় । ওদের ওখানে কি এটাই কাজ করে ?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার অনুমান নির্ভুল। মালয়দের যা কিছু অর্জন তা সাম্প্রতিক। ওদের উল্লেখ করার মতো অতীত নেই। তবে ইন্দোনেশীয়দের কথা খানিকটা আলাদা। ওদের সাহিত্য চলচ্চিত্র সবই রিচ। তবে ওরা মালয়দের মতো ধনী নয়। এই দুই দেশই রোমান হরফে লেখে। ওদের আদি স্ক্রিপ্ট ছিল আরবি।

আরকেটা জিনিস পোস্টে উল্লেখ করতে ভুলে গেছি। মালয়েশিয়া বোধহয় একমাত্র অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ যেখানে আরবরা কদর পায়। মালয়রা তাদের মনে করে সাহাবার সন্তান। তুলনায় দক্ষিণ এশীয় মুসলমানদের ওরা তুচ্ছ জ্ঞান করে। ভারতের কথা অবশ্য খানিকটা আলাদা। ওদের মধ্যে ইঙ্গমার্কিন প্রীতিও প্রবল। ইংলিশ ফুটবল লিগ ওদের সবচেয়ে ক্রেজি স্পোর্টস।

মালয়েশিয়ার দালানকোঠা, ব্রিজ, সুপারমার্কেট, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। কিন্তু তাদের আত্মমর্যাদাবোধ এখনও শক্ত নয়। যেজন্য সাহিত্য সংস্কৃতি এমনকি লেখাপড়ায় ভালো করতে অনেক অনেক সময় লাগবে। একজন রবীন্দ্রনাথ, মানিক, অমর্ত্য, নজরুল পেতে তাদের অনেক অপেক্ষা করতে হবে।

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭

জেনারেল বলেছেন: ২০০৪ সালে এই বিদেশে পরিচিত এক বড় ভাই কোরবানী দিবে। তার সাথে গেলাম মিট শপে। কোরবানীর সব কথা ও নিয়ম কানুন বলার পরে এক সাদা ধরে নিয়ে আসল এক পাকি কে। বলল, আমাদের এইখানে এই লোকই সব করে।

একটা ছাগলের জন্য আমরা সব ঠিকঠাক করলাম। ঈদের দিন গিয়ে টাকা দিয়া আসলাম পাকির কাছে। ঈদের পরের দিন মাংস নিয়ে আসলাম। ৭/৮ দিন পরে ঐ মিট শপ থেকে ফোনে কয় তুমার টাকা দিবা না ছাগলের, না তুমার ক্রেডিট কার্ডে চার্জ করুম? পুরা তাজ্জব বনে গেলাম। পরে অবশ্য পাকিটা টাকা দিছে।
আবার এই লোকই যেখানেই দেখা হোক, নামাজ আর মুসলমান লইয়া সবার আগে বেশি কথা বলত।

এখন অন্য শহরে। গত কোরবানীর ঈদে অন্য একজন লোকের একই ঘ্টনা। আর একজনের সাথে ফার্মের পাকি দুই দুইনম্বরি করার জন্য সে
লোক কুরবানিই দিল না।

এই হল কুরবানি নিয়ে পাকির ঘটনা, ছাত্র হিসাবে অন্যান্য ঘটনা পরে একসময় লিখুম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কনভিন্সড

১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪০

আবাবিল বলেছেন: ভালো লাগলো। জানতে পারলাম কিছু্।


তবে

নিজের সম্পর্কে বলা " আমি এই লিবারেল বাঙালি-মুসলমান পরিচয়ে গর্বিত" লাইনটি কেমন যেন হল। বঙালী মুসলমান সাধারণত রিচুয়াল দিকটা না করার জন্য লজ্জিত থাকেন। সোজা বাংলায় বলেন- ভাই করা তো দরকার কিন্তু করা হয়ে ওঠেনা।

কিন্তু এই অবস্থানে গর্বিত- বিষয়টা খটকা লাগলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ভালো জায়গায় ধরছেন। আমি রিচুয়ালনির্ভর ধর্মে বিশ্বাসী না। তবে ধর্মে আমার ব্যাপক আগ্রহ আছে।

২০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৩

হাসিব বলেছেন:
উদ্ধৃতি

ভ্যালু ফ্রি তো কমেন্টগুলো? ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে, ওরা আমাদের অত্যাচার করেছে, এজন্য নয়তো?

একবার আমার একদল পাকির সাথে তর্ক হয়েছিলো । সবকটা এঞ্জিনিয়ার । মানে সমাজের উচুতলার প্রতিনিধি ।

তারা আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো যে, তাদের ভাষাই বেটার কারন তাদের ভাষাটা ঐশী ভাষা থেকে উদ্ভুত । আমি স্বপ্নেও এই জাতীয় লো লেভেল আর্গুমেন্ট কোন উচ্চশিক্ষিত বাঙ্গালির দেখিনা । ডাম্বস এক্সিস্ট ইন আওয়ার সোসাইটি অলসো । কিন্তু তাও ভালো কিছু চিন্তা করার ক্ষমতাসম্পন্ন লোক পাওয়া যায় । ওখানে সেটাও আছে কিনা সন্দেহ । পাকিস্তানের গত কুড়ি বছরের রাজনীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা দেখলেই ব্যাপারটা পরিস্কার হবে । একটা জাতিতে কাউকে না কাউকে যে বিবেকের ভূমিকা নিতেই হয় সেটা পাকিস্তানকে দেখে কেউ বুঝবে না । ওখানে বিবেকের ভূমিকায় কেউ নেই । বিবেক থাকার দরকারও মনে হয় তাদের নেই । মাথার তাগদের থেকে পেশীর শক্তির তাগদের প্রতি বশ্যতা এদের শিক্ষিত সমাজের মধ্যে বেশ ভালোভাবেই দেখেছি । উর্দিপরিহিতদের অবিচ্ছিন্ন দাপট একারনেই হয়তো সম্ভব ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কনভিন্সড।
তবে কয়েকটা কথা। ওদের ভেতরের অবস্থা অনুমান করি খারাপ। কিন্তু বাইরে তো অনেকে ভালো করছেন। তারিক আলি আমার পছন্দের লেখক। আরও দুয়েকজন রাইটারের নাম শোনা যায়। ওদের মিউজিক ভালো। ক্রিকেট ভালো। ইকোনমি আমাদের চেয়ে ভালো।

২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৪

এস্কিমো বলেছেন: সময় নেই।
না হলে পাকিদের বিষয়ে বেশ কিছু উদাহরন দিতাম।

জেনারেল একটা দিয়েছে।

একটা কথা শুধু বলি - যারা উত্তর আমেরিকায় থাকেন - তারা পাকি বন্ধুদের থেকে সাবধানে থাকবেন। খুচড়া খাচড়া অপরাধে শুরু সেখান থেকেই হয়, যেমন সরকারী সুবিধা নেবার জন্যে মিথ্যাচার, ট্যাক্স ফাকি, ইস্সুরেন্স জালিয়াতি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি...ইত্যাদি।

২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৪

মদনবাবু বলেছেন: আসলেই কি আমরা ততটা লিবারেল??

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: অন্যদের তুলনায়।

২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৭

হাসিব বলেছেন:

মদনবাবু, দেশে থাকতে দেশের প্রায় সবকিছু খারাপ লাগতো । বিদেশ দেখে এখন বুঝি সবকিছুতেই আমরা সবচেয়ে খারাপ না । আমাদের থেকে খারাপ অনেকেই ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এমনকি আমাদের মেয়েরাও দেখতে সুন্দর। মালয় মেয়েদের গড় চেহারা ভালো না।

২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৪

স্নোবল বলেছেন: লেখক বলেছেন: কনভিন্সড।
তবে কয়েকটা কথা। ওদের ভেতরের অবস্থা অনুমান করি খারাপ। কিন্তু বাইরে তো অনেকে ভালো করছেন। তারিক আলি আমার পছন্দের লেখক। আরও দুয়েকজন রাইটারের নাম শোনা যায়। ওদের মিউজিক ভালো। ক্রিকেট ভালো। ইকোনমি আমাদের চেয়ে ভালো।
-------------------------------------------------------------------------------
পাকিস্তানের রিসেন্ট ইকনোমি ভালো হওয়ার পিছনে আমেরিকার বিলিয়নস অফ ডলারের মদদ আছে। আমাদের ইকোনমির সাথে তাদেরটা তুলনা করা উচিত না এই কারনে যে, আমাদের ২৪ বছর আগে তারা সাধিনতা পায়, এবং মূলতঃ ২৪ বছরে পুর্ব পাকিস্তানের সম্পদেই পাকিস্তান অনেকটা এগিয়ে গেসে। তবে বর্তমানের রাজনৈতিক, ধর্মীয় আর সোস্যাল অবস্থা বিবেচনায় পাকিস্তানকে আমার পুরোপুরি ব্যর্থ রাস্ট্র মনে হয়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: কনভিন্সড

২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯

হাসিব বলেছেন:
ফাহমিদুল হক,

তারিক আলিদের থেকে আসলে লাভ নেই যদি না তারা জনগণের মননে জায়গা না নিতে পারেন ।

আমি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উল্লেখ করি । ঢাবি, রাবির শিক্ষক ছাত্রদের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যে আন্দোলন হয়েছে সেটা তার চরিত্রগুনে দেশের প্রগতিশীলদের মনে বহুদিন বিরাজ করবে । যেমনটা এখন আমরা আমাদের সময়ের যৌন নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনকে স্মরণ করি । দু'টো ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের তারিক আলীরা সামনের সারিতেই ছিলেন ও তারা তাদের প্রভাব আমাদের মধ্যে স্থায়ীভাবে গেড়ে দিতে পেরেছেন । পাকিস্তানের তারিক আলীদের সাথে আমাদের এখানের তারিক আলীদের এখানেই পার্থক্য ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:১১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ব্যাখ্যা ভালো হয়েছে। জাতিগত অগ্রগতি ভেতর থেকে হতে হবে।

২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৩

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সংখ্যা গরিষ্ট্ বাঙালীই লিবারেল

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: হক কথা।

২৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৪

আবাবিল বলেছেন: প্রত্যেকটি বিষয়ের একটা বাহ্যিক প্রকাশ ও অনুশীলন আছে। ধর্মে ব্যাপক আগ্রহ আছে অথচ রিচুয়ালে সমান অনাগ্রহী- পরস্পর বিরোধী হলনা? তাহলে কি আগ্রহের বস্তুটি ত্রুটি অনুসন্ধান?

ভুল বুঝবেননা, জানার জন্য।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: তাহলে কি আগ্রহের বস্তুটি ত্রুটি অনুসন্ধান?

পরিস্কার উত্তর, না।

ধর্মের ত্রুটি আমি খুঁজে বেড়াই না। তবে কেউ ধর্ম চাপাতে আসলে ভিন্ন কথা।

ধর্মের দার্শনিক দিকটা আমাকে আকৃষ্ট করে। তবে তা কেবলই ইসলামকেন্দ্রিক নয়।

আমার অবস্থানে পরস্পরবিরোধিতাও নেই। মুসলমানদের স্বর্ণযুগে, যখন ইউরোপ অন্ধকারে, তখন কৃতী মুসলমানদের কর্মকাণ্ড কেবলই রিচুয়ালনির্ভর ছিলনা। এখনকার মুসলমানরা বেশি রিচুয়ালনির্ভর।

২৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২২

আমি বাঙ্গালি বলেছেন: ভীষণ আকর্ষনীয় আলোচনা। মালয়েশিয়ায় ছিলাম এস সপ্তাহের মতো। ফলে অভিজ্ঞতাটা টুরিস্টের মতো। আপনার মতো ভেতর থেকে দেখিনি। তুলনামূলকভাবে ভারতীয় মুসলমানদের কিছুটা দেখেছি। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশে মুসলমানদের আমার কাছে বাংলাদেশের মতো লিবারাল মনে হয়েছে। আসলে আমাদের লিবারালিজমের গোড়ায় ভারতীয় সংস্কৃতির একটা বড় প্রভাব আছে। সুফিবাদ ভারতে কিন্তু প্রবল।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের ভবিষ্যত আমি খুব একটা সুবিধার দেখি না। অনেকে একমত না হতে পারেন, এটা আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:২৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ মনে হয় ঠিকই আছে। ভারতে হিন্দুত্ববাদের কথাও যদি বলেন, বাঙালিরা সবচেয়ে লিবারেল। বাঙালিত্বের মধ্যে লিবারেল ভাবটা আছে, উভয় বঙ্গেই।

২৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩২

মাজুল হাসান বলেছেন: ধর্ম পুরোপুরি না মানলে লিবারেল--- লেখাটা থেকে এমন একটা সরলীকরণ সিদ্ধান্তে যাবার প্রবণতা পেয়েছে বেশ কিছু পাঠক। আমার ধারণা আপনার ইন্টেনশন তা ছিল না।
আর বাঙালি এমন এক জাতি যারা আসলে জোগাখিচুড়ী আদর্শ ভাবধারা বহন করে। আমার বাবার কথাই ধরুন-- তিনি এমনিতে বেশ লিবারেল। নামাজ অনিয়মিত পড়েন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন না। কিন্তু প্রথম আলোর কার্টুন বিতর্কে তার অবস্থান ধর্মের কান্ডারির মতো। আসলে এই দ্বৈতবাদিতা, আমি বলব এই বহুবাদিতা'র শিকার পুরো বাঙালি মুসলমান সমাজ। এই অবস্থানহীনতা'র মানে আর যাই হোক লিবারালিজম না।

বাই-দা-বাই আমার ব্লগে ২টা গল্প আছে। পড়ে একটু মন্তব্য করবেন প্লিজ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৩৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনি বিষয়টাকে একটু জটিল জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন। যদিও লিবারেলিজম কোনো সরল বিষয় নয়, মানি। কিন্তু আমি আলোচনাটাকে একটু অজটিল রাখতে চেয়েছি। হয়তো সঠিক হতো যদি বলতাম 'অপেক্ষাকৃত লিবারেল'।

গল্প পড়বো। তবে আজ নয়। এখন লগ আউট করবো।

৩০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪০

মদনবাবু বলেছেন: চলুক আলোচনা ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এনজয় করছিলাম। রাত প্রায় তিনটা বাজে এখানে। ঘুমাবো।

৩১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

আমি বাঙ্গালি বলেছেন: মাজুল হাসান, লিবারালিজমকে বলতে পারেন গোড়ামির বিপরীত।

৩২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১:০৮

মৈথুনানন্দ বলেছেন: লেব্যারেল কথাটি কি মডারেট মোস্লেমের সেননেম হিসাবে কনশাস্লিই ব্যবহার করেছেন - এ ব্যাপারে কিছুটা অস্বচ্ছতা রয়ে গেল কিন্তু আমার কাছে। :(

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এখানে লিবারেল মুসলিম=মডারেট মুসলিম ধরা যেতে পারে। মূল ব্যাপারটা হলো 'অপেক্ষাকৃত লিবারেল'

৩৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৩:৩৯

অরুনাভ বলেছেন: মালয়েশিয়া তে যত পাকি দেখেছি মোটামুটি ৯০ ভাগের ধরন এক.....কে কয়জন মেয়ের সাথে শুয়েছে.....কি ভাবে কি করলে তার জিনিস বড় করা যাবে.....কোথায় "আইস"..গাঙ্জা পাওয়া যাবে.....কোন ব্রোথেলে চার্জ কম.....জুম্মার সময়ে নামাজের ১ম কাতারে....রোজা করা.....বাটপারী তাদের খুব সাধারন পেশা......

মালয় মেয়েরা মাথায় স্কার্ফ দেয় ঠিকই সাথে স্কীন টাইট জিন্স আর টি শার্ট পরটে ভুলে না......৮০ ভাগ ( শহরের ) মালয় ছেলে মেয়ে দের ( ১৫ থেকে ৩৫ বছর ) দুই বা তার বেশী গার্ল ফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ড আছে......

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:২৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: পাকিস্তানিদের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেল আপনার কাছে।

মালয়েশীয় মেয়েদের পোশাক সম্পর্কিত একটি পোস্ট আছে আমার। সেখানে বিস্তারিত আলাপ করেছি: Click This Link

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আর রিলেশনশিপের ব্যাপারে তারা ততটা অনেস্ট নয়, একথা ঠিক।

৩৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৩৭

জেনারেল বলেছেন: আপনার পোষ্টে এই কমেন্টের পরে একটা প্রোগামে এটেন্ড করেছিলাম। বের হবার পরে একজন নতুন লোকের সাথে পরিচয় হল, নাম জাভেদ পাকিস্থানী।

বেচারা কাজ করে এপোটেক্স ফার্মায়। এই ফার্মার নাম শুনেই আমি বললাম ঐখানে তো আমার পরিচিত ১০/১২ জন কাজ করে সবাই এইখানে আমার সাথে ছিল আগে। আমাকে জিজ্ঞাসা করল তাদের নাম, আমি বলতে শুরু করলাম, এ্যালেন ( ম্যানেজার), রাইয়ান (কিউসি), লরা (চিফ কেমিষ্ট) ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐ পাকিটা নামগুলো শুনার সাথে সাথেই নোট করা শুরু করল, আমি বললাম কেন তুমি নাম লিখে রাখছ?
তুমার নাম লিখার দরকার নাই, গিয়া জিজ্ঞাসা কর এই ডিপার্টমেন্ট থেকে কতজন ঐখানে আছে। তাহলে সংখ্যাটা দেখবা ১০ থেকে ৪০০ জন হয়ে যাবে।

বেচারা আমার কথা শুনে মনটা খারাপই করল। আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল আমার বলা নামগুলো থেকে সে কোন বিশেষ সুবিধা নিবে, তাই
তাকে নিষেধ করলাম। হতে পারে আমি ভুল।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: হুম!

৩৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:৫৪

বাঙাল যুবক বলেছেন: লিবারেল। আসলেই ঠিক।

৩৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:০২

শমশের - ২৬ বলেছেন: আমার নিজের অভিজ্ঞতা হইতাছে মালেশিয়া ইন্দুনেশিয়ান মুসলিমরা বেটার৷ পাকি ইরানি এগুলা বেশির ভাগ নানা রকম দুই নাম্বারির লগে জড়িত থাকে৷ কমন হইতাছে ক্রেডিট কার্ড ফ্রড৷ কতগুলা যে ধরা পড়লো আমগো শহরে কমতি নাই৷ এগো দোকানে গেলে এখন ক্যাশে টাকা দেই৷ বাঙ্গালিরা এইখানে দুইএগ্জন মোল্লা বাদে হিন্দুমুস্লিম পুর্ব পশ্চিম একত্রেই সামাজিক উনুষ্ঠান কর্তে দেকছি৷ আমগো দেশে বেশিরভাগ লুকেরই ধর্মটা আত্মা খাইয়া ফেলে নাই, এল্লিগাই ত ৮০ বচ্ছর চিষ্টা কইরাও জামাতের ভুট ৪%

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ইরানিরাও কি পাকিস্তানিদের মতো? আপনি কোন দেশের পারস্পেক্টিভে বলছেন?

৩৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১৮

পিক্সেল বলেছেন: ভাল পোস্ট। ভালো আলোচনা। আমার ছোটমুখে বড় কথা বলে আবার কারো শত্রু হতে চাইনা। কেবল + দিয়া গেলাম।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১১:১৯

জ্বিনের বাদশা বলেছেন: খুব ভালো অবজারভেশন ...
তবে আমার মনে হয় যে বাঙালী শ্রেনীর (লিবারেল) কথা বললেন, সেটা সম্ভবতঃ মধ্যবিত্ত /উচ্চশিক্ষিত বাঙালী ... কেন বলছি, যখন গ্রামে যাই, দেখি প্রতি এক কিলোমিটারে একটা পুকুর আর একটা মসজিদ ... মানউষের দৈনন্দিন রুটিন নির্দিষ্ট হয় নামাজের ওয়াক্তকে কেন্দ্র করে ... জানিনা বাংলাদেশের সব জায়গায় এমন কিনা

তবে এটা ঠিক ধর্মীয় উগ্রবাদ বাঙালীর সাথে তেমন যায়না ... বাঙালী সাংস্কৃতিকভাবে শান্তিপ্রিয়

আমার কাছে ইজিপশিয়ান মুসলিমদের বিশেষভাবে ভালো লেগেছে ... খুব নিরীহ টাইপের ... সবসময় হাসিমুখ ... খুব অতিথিপরায়ন ... আর কোন সাহায্য চাইলে জান দিয়ে ফেলে

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৪০

ফাহমিদুল হক বলেছেন: সব গ্রাম বোধহয় এরকম নয়। আমাদের রাজশাহী অঞ্চলে এমনটা দেখা যায়না। শুক্রবারের নামাজ সবাই এটেন্ড করে, কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত পড়েনা। কিছু লোক আছে তো নিয়মিত নামাজ পড়েই, কিন্তু তাদের শতকরা হার বেশি না। পুরো উত্তরবঙ্গেই এরকম দেখা যাবে।

বাংলা ভাই তো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি, রাবিতে শিবিরের শক্ত উপস্থিতিও তাই। কিন্তু আমি বলছি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথা।

তবে এটা ঠিক, নাইন ইলেভেনের ব্যাকল্যাশে কিংবা বিগত জোট সরকারের ইসলাম-অনুকূল কার্যক্রমে ধর্মভাব, সাম্প্রতিক সময়ে, কিছুটা বাড়তে পারে।

৩৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৬

মুকুল বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদ ভাই। ভালো লাগলো। এ ধরনের ভ্রমণের অভিজ্ঞতাভিত্তিক পোস্টগুলো খুব উপভোগ করি। নিজে তো যেতে পারি না! :)

*****

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমারও যাবার অভিজ্ঞতা বেশি না। এর মধ্যেই যতটা পারা যায় ... সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।

৪০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৫

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: হুমমমম......আমি চিনের শেনজেনে ছিলাম ১মাসের একটা ট্রেনিংয়ে। ওখানে দেখলাম প্রতি শুক্রবারেই অন্যান্য দেশের সকল মুসলমান ইন্জিনিয়ারই জুমআ পড়তে মসজিদে গেল....কিন্তু আমাদের দেশের বেশীরভাগই থেকে গেল...এই দিক থেকে আপনি ঠিকই বলেছেন...আমাদের দেশের মানুষেরা ধর্মীয় কর্মে কিছুটা ফাকিবাজ

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এইটা আপনি সর্বত্র পাবেন।

৪১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:০৯

সামী মিয়াদাদ বলেছেন: আফ্রিকার কিছু দেশের মুসলমান ছিলো, মিডলইষ্টেরও কিছু মুসলমান ছিলো ওখানে....তবে আমাদের দেশেও তো পর্দা প্রথা অনেক দিন থেকেই প্রচলিত....আমিতো রাস্তায় বেরুলেই বোরখা আর বোরখা দেখি

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:১১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমাদের দেশে বোরখা দেখলে চোখে লাগে। কিন্তু অন্য মুসলিম দেশে বোরখা না দেখলে চোখে লাগে।

৪২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২২

মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার ক্ষেত্রে আমাদেরকে লিবারেল না বলে আমি ফাকিবাজ বা অলস বলব বেশি। যারা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা করিনা ঠিকমতো, তারা কিন্তু স্বীকার করি, করা দরকার। অলসতাটা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তবে মালয়েশিয়ান মালয়দের ক্ষেত্রে মনে হয় বলা যায়না, এরা ধর্ম পালন করে বলেই কর্মঠ, বরং উলটা। তবে এটাও ঠিক ধর্মীয় ব্যাপারে আমাদের চিন্তাভাবনা অন্য অনেকের তুলনায় মডারেট। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। মালয়দের খাবার দাবার কিন্তু দারুন।

৪৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২১

দিনমজুর বলেছেন:
ভালো......

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৪

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:২৪

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে

৪৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৩

কেএসআমীন বলেছেন: মডারেট মুসলিম কান্ট্রির উপর লেখা। ভাল। দুঃখ লাগে মালয়েশিয়া থেকে আমরা কিছুই শিখতে পারছি না...

আপনার ভ্রমন কাহিনী চাই ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: এটাকেই তো ভ্রমণকাহিনী ধরা যায়।

৪৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

মানুষ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

এটা ঠিক ধর্মীয় আচার আচরণ পালনে আমরা শিথীল।

পাকিস্থানিরা ধর্মীয় রিতি নীতি, যেমন নামায, রোযা বেশ কঠোর ভাবেই মেনে চলে। তবে ওদের মাঝে উগ্র মানসিকতা খুব বেশী। তাছাড়া ড্রাগ ডিলিং সহ নানা প্রকার বে-আঈনি কাজেও পাকিস্থানিরা জড়িত থাকে অনেক যেটা ইসলাম সমর্থন করে না।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: হুমম!

৪৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

দিগন্ত বলেছেন: লেখা আর আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানলাম - ভাল লাগল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৬

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

বিকেলবেলার সপ্ন বলেছেন: ইদানিং ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারনে ব্লগে আসা হয়না, চাইনিজ নিউ ইয়ারের ছুটি পেলেও অন্য আরেকটি কাজে খুব ব্যস্ত

আমিও একমত মালেশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ধর্মীয় আচার খুব মানেন, টুরিস্ট হিসেবে এখানে আসলে এটা বুঝা যায়না

আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লেগেছে, সবার আলোচনাটাও চমৎকার লেগেছে

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি কি পড়াশুনা করেন না চাকরি?

৪৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:০৫

মৈথুনানন্দ বলেছেন: গণযোগাযোগ কথাটা এই প্রথম বার শুনছি। তাই ঘুরে জানতে এলাম। ম্যাস্কমের বাংলা মানে করেছেন বোধ করি? :-*

৫০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:২১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ম্যাস কমিউনিকেশনের বাংলা আমাদের দেশে গণযোগাযোগই ব্যবহৃত হয়। কলকাতার দুয়েকটা বইয়ে দেখেছি গণজ্ঞাপন, যা আমার কাছে একটু দুর্বল অনুবাদ মনে হয়। কমিউনিকেশন হলো টু ওয়ে, জ্ঞাপন শব্দটা মধ্যে 'জানিয়েই খালাস' এরকম একটা অর্থ আসে, যেটা যোগাযোগ শব্দটাই এসেনশিয়ালি নাই। গণজ্ঞাপন ছাড়া আর কোনো বাংলা কি ওখানে আছে?

৫১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪২

মৈথুনানন্দ বলেছেন: আসলে আমি নিজের জীবনেই এই কথাটা প্রথম বার শুনলাম - তাই আন্দাজটা সঠিক কি না জানার ইচ্ছে ছিল অনেকখানি। আমার কাছে শুধু ইংলিশ-টু-ইংলিশ থেসরস আছে, তাই আমাদের এখানে এর বাংলা কি চালু আছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই, আন্তরিকভাবে দু:খিত। এই যেমন প্রথম প্রথম এখানে এসে অনেকেরই প্রফ্যাইলে প্রকৌশলী কথাটা দেখে ঘাবড়ে গেছি, পরে বুঝেছি, ওহ -এঞ্জেনেয়্যার! নতুন শব্দগুলো শিখে খুউব মজা লেগেছে, সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে শেষ করছি।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৪৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: দুই বঙ্গে বাংলা পরিভাষায় কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

৫২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:০৭

মৈথুনানন্দ বলেছেন: হয়তো আলোচনাটা অফ-টপিক হয়ে যাচ্ছে, তবু আপনার কথা শুনে ইশকুলের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল, যখন এই সব নিয়ে নানা রকম চিন্তা মাথায় খেলতো। এখন এর থেকে একেবারেই দূরে সরে গেছি, তার কারণটা অতি সহজেই অনুমান করে ফেলা যায়, ইশকুলের পাঠ অনেক দিন আগেই চুকেবুকে গেছে ও পেশাগত ব্যস্ততা। যাই হোক, আমি যে ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে আগ্রহ বোধ করছি, তা হলো শ্রদ্ধেয় রাজ শেখর বসু মহাশয় এই সমস্ত পরিভাষাকে অপ্রযোজনীয় মনে করতেন - যা কিনা বহুল-ব্যবহৃত ও একেবারে সাধারণ লোকের দৈনন্দিন জীবনচর্যায় মিলেমিশে গেছে। যথা : আয়ডিন ( এতিন / নীলিন ), হায়ড্রজেন ( অম্লযান ), চেয়ার ( কেদারা ), এঞ্জেনেয়্যারিং...বলতে গেলে প্রায় সমস্ত বিজ্ঞান-বিষয়ক শব্দ। আমি স্মৃতি থেকে তুলে দিলাম পরশুরাম রচনাবলীতে যে প্রবন্ধ পড়েছিলাম - যতটা মনে পড়লো এখন। কারণটা আগেই আপনার এক লেখায় বলে গিয়েছিলাম, ভাষা যদি নিজেই ভাব প্রকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তো স্ববিরোধীতা হয়ে যাবে। রেটিনায় অসুখ হয়েছে শুনলে রোগী যতোটা না নিরুদ্বেগ থাকে, নেত্রবর্ত্মকলায় কিছু হয়েছে শুনলে ভিরমি খায়। রাজ শেখর বাবু অবশ্য, আজকে আমার ওয়াইফের টেম্পারটা বড়োই ফ্রেটফুল হয়েছে, এই ধরণের হাঁসজারু প্রয়োগের স্পষ্ট বিরোধীতা করেছেন। তো প্রকৌশলী...এই জাতীয় শব্দেরা কি একেবারে মূলস্রোতে মিশে গেছে আপনাদের ওখানে? নাকি শুধুমাত্র সীমিত প্রযোগ আর সিন্থেটিক ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ ( এস্প্যার‌্যান্টোর মতো অবস্থা )??

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১২:১৭

ফাহমিদুল হক বলেছেন: প্রকৌশলী চালু শব্দ বাংলাদেশে। তবে ইঞ্জিনিয়ার তার চাইতে চালু। রাজশেখর বসুর মতই আমার মত। তবে চালু বাংলা থাকতে অহেতুক ইংরেজি বলা আমার পছন্দ নয়। হাঁসজারু তো নয়ই। পরিভাষা তৈরীর চেষ্টা করাই ভালো তবে তা যোগাযোগের অন্তরায় না হলে। আজকের কম্পিউটার সেলফোনের যুগে পরিভাষা তৈরীর বিষয়ে সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছে। তবে আমাদের কবি নির্মলেন্দু গুন সেলফোন বা হ্যান্ডফোনের ভালো একটা বাংলা করেছেন -- মুঠোফোন। এটা অনেকে ব্যবহারও করছেন।

৫৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৩৭

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:


Click This Link

মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালার দাবি ও রাজাকারবিরোধি পোস্টের জন্য যাদের ব্যান করা হয়েছে- তাদের আনব্যানের দাবিতে আমাদের ক্রমাগত আন্দোলনের এক পর্যায়ে গতকাল ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩ তারিখে নোটিশবোর্ড "সকল ব্লগারের উদ্দেশ্যে - শুভ ব্লগিং" শীর্ষক পোস্ট ( Click This Link) দিয়ে জানান দেয় যে, তারা নীতিমালা সংযোজন করতে যাচ্ছে, এবং অবশেষে রাত ১০:০৩ টায় সেই প্রতীক্ষিত পোস্ট "ব্লগ নীতিমালায় সংযোজন..." ( Click This Link) দেয়।
সে পোস্টে সকলের দাবির প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা সংযোজনের বিষয়টি উল্লেখ করে। কিছু অস্পষ্টতা থাকলেও- প্রথম পোস্টে জানান দেয় "৫২’এর একুশে ফেব্রুয়ারী, '৬৯’এর গণ আন্দোলন আর '৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শতভাগ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়েই সামহোয়্যার ইন... ব্লগের জন্ম । যা কিছু এদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস বিরোধী অপচেষ্টা, তার সম্পূর্ণ বিপরীত দিকেই যে সামহোয়্যার ইন...’এর অবস্থান তা বিশেষভাবে বলার প্রয়োজন বোধহয় নেই...... " এবং নতুন নীতিমালায় "বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস" কথাকটি যুক্ত করা হয়।

ব্লগ কর্তৃপক্ষের এ অবস্থান আমাদের আন্দোলনেরই ফসল। অবশেষে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ায় অনেকেই কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দিত করলেও, সকলের শংকা পুরোপুরি কাটেনা। তারা আহবান জানিয়ে বলে- অনতিবিলম্বে নীতিমালা কার্যকর করুন- রাজাকারি পোস্ট মুছে ফেলুন এবং চিহ্নিত রাজাকারদের ব্যান করুন।

এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে তেমন কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
এবং সকলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পল্লব মুনতাকা শীর্ষ যুদ্ধাপরাধি গোআর জীবনী নিয়ে সিরিজের ৫ম খণ্ড পোস্ট করে ( Click This Link) ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ ভোর ৫:২৭ টায়। কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত সে পোস্ট মুছে ফেলা বা সেই ব্লগারকে ব্যান করার কোন প্রয়োজন মনে করেনি!!!!!!

নীতিমালাটিতে বলা হয়েছেঃ
নীতিমালায় সংযোজন: (৩.ঞ) :তিন নম্বর পয়েন্টের সাথে যুক্ত হবে...

৩.নিম্নলিখিত কারণে আমরা পোস্ট কিংবা ছবি মুছে দিতে পারি:

ঞ. বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচারণ করে, অসম্মান করে অথবা সত্যের অপলাপ বা অর্থহীন পোস্ট মুছে ফেলা হতে পারে এবং ব্লগারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে স্থগিত কিংবা বাতিল করা হতে পারে ।

এই নীতিমালার কিছু কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য পরামর্শসমূহ কানে তোলা তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত যা আছে- সেটারই প্রয়োগের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না!!!!!!

আসলে ব্লগ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য কি????
তারা কি চায়???????


কখন থেকে নতুন সংযোজিত নীতিমালা কার্যকর হবে???
আগের যেসব পোস্ট এই নীতিমালার পরিপন্থী- সেগুলোর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত কি হবে??? সেসব পোস্ট কখন মুছে ফেলা হবে?????




ব্যানকৃতদের ব্যানাজ্ঞা কখন তুলে নেয়া হবে??????????

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: সহমত

৫৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৫৪

মুকুল বলেছেন: ফাহমিদ ভাই, নতুন পোস্ট দেন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৩৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: বইয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

৫৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৩

দিনমজুর বলেছেন:
সম্পুর্ণ পোস্টঃ

Click This Link

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৩

ফাহমিদুল হক বলেছেন: পড়েছি তো। আপনার পোস্টটার ব্যাপক প্রচারের দরকার আছে। এই বিষয়গুলো আপনি নানাভাবে সামনে আনুন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৪

ফাহমিদুল হক বলেছেন: বঙ্গভঙ্গের লিঙ্কটা দেন। নাস্তিকের ধর্মকথার ব্লগে পেলাম না, আপনারটাতেও হয়তো ভেতরে আছে।

৫৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৪

আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ভালো লাগলো আলোচনা।ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৪১

বিহঙ্গ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ৯:৫৫

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:০৭

মাজুল হাসান বলেছেন: বাবুইয়ের প্রথম সংখ্যায় নাদির জুনায়েদের একটা লেখাও ছিল, ওটা হয়তো আপনার সংকলনে পরে স্থান পেয়েছিল।

আর বাবুই দ্বিতীয় সংখ্যা...ক্যাম্পাস গেলে আমি আপনার অফিসের এক কপি দিয়ে আসব।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:১৮

ফাহমিদুল হক বলেছেন: তাহলে তো আপনার সঙ্গে একবার দেখা হয়েছিল বোধহয়। কিন্তু বিভাগে এখন পাবেননা আমাকে। উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশে আসিয়াছি। তবে চেয়ারম্যানের রুমের বক্সে ড্রপ করতে পারেন। ফিরে গেলে পাবো। আর প্রথম সংখ্যাটাও দরকার, যে গল্পটা নিয়ে গোলমাল, পড়া দরকার।

৫৯| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩১

মাজুল হাসান বলেছেন: ঠিক আছে। চেয়ারম্যানের রুম। বাক্স....

ফিরবেন কবে?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ রাত ১০:৩৯

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ২০০৯ -এ ফেরার কথা

৬০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: হুমম....পড়লাম।ভালো পোষ্ট ।একটা তথ্য যোগ করি, শুধু মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া, দ:পুর্ব এশিয়ার ফিলিপিনস, ভিয়েতনাম এরাও রোমান হরফে লিখে।প্রান্তিক দেশ হিসেবে খুব কম দেশেরই নিজস্ব বর্ণমালা আছে। আমি এই গর্বের ব্যাপারটা কখনোই গোপন করিনা।

ফিলিপনোদের দিয়ে নিয়ে আমার অনেক অবজারভেশন আছে।
আমেরিকার এমন ধামাধরা জাত জগতেও আর একটিও নাই।যদিও কিছু মানুষকে দেখেই জাজ করা বোকামি, তবু আমার ধারণা, আমি খুব একটা ভুল না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:২২

ফাহমিদুল হক বলেছেন: প্রান্তিক দেশ হিসেবে খুব কম দেশেরই নিজস্ব বর্ণমালা আছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

৬১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

নুশেরা বলেছেন: পোস্ট আর মন্তব্যের আলোচনা দুই-ই উপভোগ্য।

"মুসলমান হয়ে মালয়েশিয়ায় বাস করা মানে আপনাকে ইসলামী পরিমণ্ডলে বাস করতে হবে। টুরিস্ট হিসেবে যদি আপনি আসেন তবে মডার্ন মালয়েশিয়াকে পাবেন। আর বাস করতে আসলে মুসলিম মালয়েশিয়াকে পাবেন।"-- এটা নিয়ে একটু বিস্তারিত জানার আগ্রহ হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় বাস করতে গেলে ধর্মাচরণের বাধ্যবাধকতার কোন বেড়াজাল কি আছে? সেখানকার আইন বা সরকারী নিয়মনীতি এটাকে সমর্থন করে?

২৭ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৩১

ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধর্মাচরণের বাধ্যবাধকতা খানিকটা আছে। রোজার মাসে এটা প্রকটিত হয়। সরকারের আলেম উইং আছে, এরা চৌকিদারি করে বেড়ায় কেউ রেস্টুরেন্টে খাচ্ছে কিনা (চীনা ও তামিল এই বাড়তি দুই রেস এবং টুরিস্টদের কারণে রেস্টুরেন্ট খোলা থাকে)। এরকম সংবাদও হয় যে পুলিশ রোজার মাসে বেরোজদার মুসলমানদের ধরে নিয়ে গেছে। আবার স্টেটভেদে এসবের মাত্রাভেদ আছে। উত্তরাঞ্চলের স্টেট কেলান্তন বা কেদাহ বেশ রক্ষণশীল। কেলান্তনে কিছুদিন আগে ফতোয়া জারি হয়েছে যে মেয়েরা হাইহিল ও লিপিস্টিক পরতে পারবে না। আর এখন চলছে যোগ ব্যায়াম নিষিদ্ধকরণ বিতর্ক (কারণ উহা হিন্দুয়ানি)।

অন্যদিকে এদের বৈবাহিক বা নারী-পুরুষের সম্পর্কের জায়গায় নৈতিকতা কম। এক্সট্রা-ম্যারিটাল এফেয়ার বা পলিগ্যামি আচরণ খুব সাধারণ একটা প্রবণতা।

সরকারের আছে 'ইসলাম হাদারি' প্রকল্প যা মূলত ইসলামের আলোকে উন্নয়নকর্মসূচি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.