![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াই। ফিকশন ও নন-ফিকশন দুই ধরনের লেখাই লিখি। গল্প লিখি, প্রবন্ধ লিখি, অনুবাদ করি। 'যোগাযোগ' নামের একটি একাডেমিক পত্রিকা সম্পাদনা করি। আপাতত চলচ্চিত্র-অধ্যয়ন এলাকায় উচ্চতর গবেষণা করছি।
ব্রাত্য রাইসুর সাম্প্রতিক একটি পোস্টকে (অধিকার বিষয়ে ব্লগের বুদ্ধিজীবীরা কী বলেন?) ঘিরে যূথবদ্ধ ব্লগারকূলের সঙ্গে বিতর্ক করলেন মানস চৌধুরী। এর পরিস্কার দুইটা অংশ আছে, রাইসুর উত্থাপিত প্রশ্ন ও মানসের মন্তব্যপরবর্তী ব্লগারকূলের আক্রমণ। কিন্তু এসবের কেন্দ্রে রয়েছে সামহোয়ারইন-এর চিরাচরিত আগুনইস্যু (একমাত্র চলমানও) মুক্তিযুদ্ধ বনাম জামাত-শিবির চক্র। আমার বিশ্লেষণ মোটা দাগে পুরো বিষয়টায় আলো ফেলার চেষ্টা করবে, কিন্তু সবকূল রক্ষা করতে পারবে, এমনটা আগাম দাবি করছে না। মানসকে আক্রমণের একপর্যায়ে আলম ভাই নামক ব্লগার 'মনে হয় ভুল হচ্ছে, মানস আসলে ওরকম নয়, ফাহমিদুল ভাইয়ের মতো বলা যায়' -- এরকম একটা মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন। তবে আমার নাম চলে আসাটাই এই পোস্টের পয়দার পেছনের অন্যতম কারণ নয়, বলা দরকার।
প্রথমে ব্রাত্য রাইসুর পোস্ট সম্পর্কে বলি। একাত্তরের রাজাকার জামাত নেতা কামরুজ্জামানের পুত্র ওয়ামীকে ব্যান করা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সভায় উপস্থিত কয়েকজনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন, এই সংবাদের রেশ ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের 'সিংহের (নাকি বাঘের?) মুখোস পরা কুকুর'-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। রাইসু প্রশ্ন তুলেছেন যে ওয়ামীকে কোন নীতিমালায় ব্যান করা হয়েছে? তার দৃষ্টিতে এখানে কর্তৃপক্ষের আচরণ পক্ষপাতমূলক হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দিলে যদি ব্যান করা যায়, তাহলে অ-মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দিলেও ব্যান করা উচিত। অধিকার সমানভাবে বরাদ্দ থাকা উচিত। তবে তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যান-এর পক্ষে, যদি কর্তৃপক্ষ তা ন্যায্য মনে করে।
এই পোস্টের বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা আবেগাক্রান্ত এবং জামাতীদের ঘৃণা করেন, তারা রাইসু সাহেবকে আক্রমণ করেছেন, আর মানস চৌধুরী কিছু সমর্থনবাচক মন্তব্য করায় পরবর্তী যাবতীয় আক্রমণ তার দিকে গিয়েছে। মানস চৌধুরী সেই সম্মিলিত আক্রমণ একাই মোকাবেলা করেছেন, রাইসুর সাহায্য ছাড়াই। বলাবাহুল্য আক্রমণটা বরাবরের মতোই পয়েন্টে থাকেনি এবং অশালীন অনেক গালির ময়লা তার প্রতি নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক হোক বা না হোক, রাজাকারসমর্থনকারী কয়েকজন সু শীলের তালিকা তৈরী হয়েছে
১. ব্রাত্য রাইসু
২. মাহবুব মোর্শেদ
৩. মিরাজ
৪. মানস চৌধুরী
প্রেক্ষাপট বর্ণনাটা দীর্ঘ হয়ে গেল। এসব আপনাদের বেশিরভাগেরই জানা। তবু গুছিয়ে বলার চেষ্টা করলাম, নিজের জন্য ও পাঠকের জন্য (যারা জানেন এবং জানেননা)।
ব্রাত্য রাইসু একসময়ের নিয়মিত ব্লগার, আমি যখন রেজিস্ট্রেশন করি, ২০০৭ সালের অক্টোবরে, তার নাম সর্বোচ্চ ব্লগারের লিস্টে শোভা পেত। সেই ফিচারটি এখন নেই। আর আমি ব্লগে নিয়মিত হবার পরেই লক্ষ করি তিনি এখানে অনিয়মিত। নিশ্চয় কোনো কারণ আছে: বিডিনিউজ আর্টসের ব্যস্ততা হতে পারে, ব্লগিং বস্তুটা তার কাছে পানসে হয়ে যেতে পারে বা অন্য কিছুও হতে পারে। গত কয়েক মাসে তার পোস্টের সংখ্যা ৪, ১, ১, ২ ...। এই মার্চ মাসে তিনি ৩টি পোস্ট দিয়েছেন, বিষয় একটাই। তার অধুনাদুর্লভ পোস্টসমূহের মধ্য থেকে যখন তিনটিই থাকে 'মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেবার কারণে রাজাকারপুত্রের ব্যান'-এর যৌক্তিকতাসম্পর্কিত, তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবসেসড ব্লগাররা যে তাকে সন্দেহ করবেন, সেটা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়। সন্দেহটা তৈরী হয়েছে আগেই, তার অতি বিখ্যাত ও বিতর্কিত পোস্ট 'রাজাকারপুত্রদের ঘৃণা'সংক্রান্ত একটি পোস্টের কারণে। তাদের দিক থেকে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তাকে তো ইদানীং দেখাই যায়না, ওয়ামীর ব্যান নিয়ে সরব হবার কারণ কী? তিনি কি রাজাকার বা তার পুত্রদের বিষয়ে দরদী? এই জামাতী লোকজনের উস্কানির ফাঁদে পা দিয়ে গালিগালাজ করতে গিয়ে কিছু দিন আগে যখন কিছু ভালো ব্লগার ব্যান হন, তখনই বা তিনি কোথায় ছিলেন?
তবে আমি ব্রাত্য রাইসুকে যেভাবে পাঠ করি, তিনি জাতীয়তাবাদ অপছন্দ করেন। (বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের চাইতে অনেক বেশি জাতীয়তাবাদী দল হলো আওয়ামী লীগ, কারণ তাদের নেতৃত্বে যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন হয়েছিল ষাটের দশকে ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধ হয়েছিল, তার ফলেই একটি জাতির [বাঙালি-মুসলমান] জন্ম হয়েছিল। বিএনপির জাতীয়তাবাদ তাত্ত্বিকভাবে খুব সবল নয়)। সেহিসেবে মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক আবেগ জাতীয়তাবাদী, (আওয়ামী লীগার না হয়েও এই আবেগের বশবর্তী হতে পারেন কেউ) তার উগ্ররূপ সামহোয়ারে প্রকটিত। যেকউ এখানে ঢুকলে এরকম ধারণা পাবেন, ইহা এমন একটি পাবলিক ব্লগ যেখানে ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা সর্বদা ছাগু তাড়ানোর নাম করে জামাতিদের গালমন্দ করেন। আর (হাতে গোনা) জামাতীরা ঠাণ্ডা মাথায় তাদের অতি রক্ষণশীল মতবাদ প্রচার করতে থাকেন। আমি মোটামুটি নিশ্চিত জনাব রাইসু এই উগ্র জাতীয়তাবাদবিরোধী, যার সাইড ইফেক্ট হিসেবে তাকে জামাতীদের প্রতি দরদী বলে প্রতিভাত হয়। আর বাকি যা ইমেজ, তা ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠিত।
এই বলপ্রয়োগ সমানভাবে লক্ষ করা গেছে মাহবুব মোর্শেদের ক্ষেত্রে, মিরাজের ক্ষেত্রে এবং সম্প্রতি মানস চৌধুরীর ক্ষেত্রে। ব্রাত্য রাইসুকে আমি সামান্য চিনি, মাহবুব মোর্শেদকে কখনও চোখে দেখিনি কিন্তু লেখার মাধ্যমে চিনতাম, মিরাজ ঢাবির সহকর্মী হয়েও চিনেছি সামহোয়ারে এসে। কেবল মানস চৌধুরীকে আমি 'ভালমতো' চিনি -- মানে যেরকম পরিচয় থাকলে এরকম দাবি করা যায় সেরকম। তিনি আমাদের 'যোগাযোগ' পত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। এদের প্রত্যেকের সু শীল ও জামাতী খেতাব জুটেছে। আমি জানি এরা কেউই জামাতী নন, এদের একমাত্র অপরাধ এরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবসেসড নন। ব্রাত্য রাইসু তো বলেইছেন তিনি জাতীয়তাবাদ অপছন্দ করেন, উগ্র জাতীয়তাবাদ যুগে যুগে দেশে দেশে অনেক রক্তপাত, জাতিঘৃণা সৃজন করেছে। সামগ্রিক মানবতাবাদকে করেছে খণ্ডবিখণ্ড।
যেপ্রক্রিয়ায় সামহোয়ারে জামাত/ছাগু খেদানো হয় কাঁঠালপাতার ছবি দিয়ে, তাতে জামাতকে খর্ব করা যায় কিনা তাতে আমার সন্দেহ আছে। জামাতীরা মুক্তিযুদ্ধ, প্রগতিশীলতা, বাঙালিত্বকে অবমাননা করে একের পর এক পোস্ট দেন, আর মুক্তিযোদ্ধারা দেন গালি। আমি খুব কম ব্লগারকে দেখেছি জামাতীদের উদ্ভট আদর্শিক কথাবার্তাকে যুক্তি-তথ্য-ব্যাখ্যা দিয়ে খণ্ডন করতে। এস্কিমো, অমি রহমান পিয়াল, রাশেদ এরকম হাতে গোনা কয়েকজনকে দেখা যায় এই পরিশ্রম করতে। বাকিরা আছেন গালিগালাজের জন্য। এই গালিগালাজের বিরোধিতা করেই মিরাজ হয়েছেন কোপের শিকার (গালিগালাজ সম্পর্কিত মিরাজের পোস্টে আমার কিছু দ্বিমত ছিল, তা আমি তাকে জানিয়েছি)। অথচ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত পরিশ্রমী লেখা মিরাজের মতো করে কেবল পিয়ালই লেখতে পারেন। মাহবুব মোর্শেদও কর্তৃপক্ষীয় ভাষায় তাদের 'ইরিটেটিং গুণ্ডা' বলে 'শীর্ষ সু শীল' হয়েছেন। অথচ মাহবুবের ব্লগিং-এর যে ডাইভার্সিটি, যেকোনো ইস্যুকে বিশ্লেষণের যে ক্ষমতা, তা কয়জন ব্লগারের আছে?
আমি বিস্মিত হলাম মানস চৌধুরীকে যেভাবে হেনস্তা করা হলো তা দেখে। তার অপরাধ তিনি ব্রাত্য রাইসুকে ডিফেন্ড করে মন্তব্য করা শুরু করেন। অতএব তিনিও জামাত। তিনিও সুশীল। এবং দ্রুত লিস্টি করা হলো। তার ভাগ্যে নাম্বার ৪। তবে তিনি যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাল্টা জবাব দিয়েছেন, তাতেও আমি বিস্মিত। তার ভাষায় 'বিষম তর্কের পাটাতন', তার চুলদাড়ি নিয়ে কমেন্ট করা যাচ্ছে, কিন্তু যারা করছেন তাদের টিকিটি বোঝার উপায় নেই নিকের কারণে (এক হাসিব বা রাশেদ ছাড়া)। আমি বলছি মানস চৌধুরী মোটেই জামাতসংবেদনশীল নন, (তার হিন্দু পরিচয় ভুলে গেলেও), তিনি যদি ব্রাত্যর কোনো কথা সমর্থন করেন তবে, তার পেছনে একটা কারণ না খুঁজে ভিন্ন কোনো কারণ খোঁজার অবকাশ রাখা উচিত ছিল।
ব্রাত্যর ওয়ামীকেন্দ্রিক আপত্তি সন্দেহের জায়গা তৈরি করে (কিন্তু বিশ্বাস করি তিনি মগবাজারপুষ্ট নন)। তবে তার উগ্র জাতীয়তাবাদবিরোধিতা আমি সমর্থন করি। আর সমর্থন করি জামাতীদের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যানের দাবি (সেহিসেবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকেও)। যদিও এই দাবিটির প্রতি কারও কোনো সমর্থন দেখা গেলনা। ব্যক্তিগতভাবে আমিও আমার আদর্শিক ভাবনা মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে আটকে রাখতে চাইনা। আমি ৪৭-এর দেশবিভাগ, বঙ্গভঙ্গ, ব্রিটিশ শাসন, মুসলমানদের আগমন হয়ে সর্বভারত থেকে সর্ববিশ্বের ঘটনাবলী বুঝতে চাই। আমি এই সময়ে বুঝতে চাই এদেশে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের তৎপরতার হেতু কী? এই কারণেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অন্ধ থাকতেও চাইনা আমি। পাকিস্তানীরা বাঙালি নিধন করেছে, রাজাকাররা মিলিটারিদের সহযোগিতা করেছে এটা যেমন সত্যি, আবার বাঙালিরা বিহারী মেরেছে এই সত্যিও বেমালুম ভুলে যেতে চাইনা। তাহলে তো আমাকে পাহাড়িদের কথাও ভুলতে হবে, নারীর অবমাননায় নিশ্চুপ থাকতে হবে, নিম্নবর্গের মানুষকে তাচ্ছিল্য করতে হবে।
আমার মনে হয় সামহোয়ারের ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত করা দরকার। আমার পর্যবেক্ষণে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও সংকীর্ণ রয়েছে, যে সংকীর্ণতা দাড়ি-টুপি মানেই রাজাকার, মোল্লা এই ভাবনার জন্ম দেয়। অথচ আমি ফরেন প্রেসের মুক্তিযুদ্ধের কাভারেজ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে রাজাকার হিসেবে ঐ সময়ে যাদের ছবি ছাপা হয়েছে তাদের অনেকেরই কোনো দাড়ি ছিলনা। পাড়ার মাস্তান টাইপ, বখাটে চেহারা। এধরনের সরলীকরণে ধর্মভীরু সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে জামাতের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। আমি 'মাটির ময়না' ছবির কাজী চরিত্রটির কথা এক্ষেত্রে স্মরণ করতে চাই। কাজীরা ব্রিটিশ-হিন্দুদের সম্মিলিত বঞ্চনা এড়াতে পাকিস্তান আন্দোলন করেছিল। তার মধ্যে গলদ ছিল দ্রুত প্রমাণ হয়েছে, কিন্তু সেই পাকিস্তান ছিল তাদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন খান খান হয়ে যেতে দেখে তিনি হতাশ হয়েছেন, জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে মানতে পারেননি, কিন্তু তিনি তো রাজাকারদের মতো মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতা করেননি। তিনি গোঁড়া ছিলেন, ছেলেকে মাদ্রাসা পাঠিয়েছেন হিন্দুয়ানি প্রভাবমুক্ত রাখতে, কিন্তু তিনি শেষপর্যন্ত রাজাকারি করেননি। মুক্তিযুদ্ধের সময় টুপিওয়ালা এরকম অনেক লোক ছিলেন, কিন্তু আপনি যদি তাকে রাজাকার বলেন, তবে আপনার শত্রুসংখ্যা আরও বাড়লো।
এই পোস্টের পর আমার প্রিয় অনেক ব্লগার যেমন এস্কিমো, রাশেদ, জেনারেল, হাসিব, মুকুলসব আরও অনেকে আমাকে আর আগের মতো দেখবেননা, ভাববেননা জানি; তাদের নির্বাচিত পোস্ট বা লিঙ্ক থেকে আমাকে সরিয়েও ফেলতে পারেন, আমার ভাগ্যে অনেক গালাগালি ও নাম্বার ৫-ও জুটতে পারে। কিন্তু একথাগুলো আমি বলেছি বিশ্বাস করে।
জামাতী মতবাদে যারা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, অকুণ্ঠ সমর্থন বা বাহবা দেবেন না।
২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আমিই স্রোত বলেছেন: জামাতী মতবাদে যারা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, অকুণ্ঠ সমর্থন বা বাহবা দেবেন না।
===========
আমরা ইসলামি মতবাদে বিশ্বাস করি।
সামথিং ইজ বেটার দ্যান নাথিং।
চমতকার লেখাটার জন্য ধইন্যবাদ
৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০২
হাসিব মাহমুদ বলেছেন:
বিশাল আলোচনার ইচ্ছা রাখি এই পোস্টে । তবে বটমলাইন হলো বিশ্লেষণ ব্যক্তিগত পরিচয় (অথবা ব্যক্তিপাঠ, যেটাই বলেন) ছাপিয়া উঠতে পারেনি ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
স্ট্যানলি কুবরিক বলেছেন: "আমি জানি এরা কেউই জামাতী নন, এদের একমাত্র অপরাধ এরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবসেসড নন। "
আপনিও তো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবসেসড না, কিন্তু আপনাকে তো কেউ কখনো জামাতী বলে নি।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: কাউকে দ্রুত জামাতী বলাটায় আপত্তি আছে আমার। একটা রায় দেবার আগে তো সাদাকালে বিচার করলে হবেনা। ধূসর জায়গাগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
দস্যু বনহুর বলেছেন: খুবই গোছানো অকপট লেখার জন্য ++
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
সাগর নীল বলেছেন: Thanks for a nice post. Everybody should respect the 'Freedom of expression' and that is the beauty of the democracy.
৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১১
মানস চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় ফাহমিদ, আপনার সময় দিয়ে এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। একটা ছোট টীকা ছাড়া আমার আলাদা কিছু বলবার নেই। "মরিয়া" শব্দটা নাছোড়বান্দা অর্থে ব্যবহৃত যেমন হতে পারে তেমনি হতাশ-অনন্যোপায় অর্থেও পারে। দ্বিতীয় অর্থে আপনি করেছেন কিনা আমি নিশ্চিত নই। ক্লিনিক্যাল সংশয় নিয়ে স্পষ্ট করছি। ভার্চুয়াল পরিসর ভার্চুয়ালই। লগ অফ করবার স্বাধীনতা সকলেরই আছে। আমারও ছিল। আমি করিনি। যে ভাষা/প্রত্যয়/লেক্সিক্যাল-মালার মধ্যে সবাই কাজ করছিলেন সেখানে আমার কিছু জায়গা ছিল। যদি জানতে চান সারারাতের পর আমার পরিতাপ আছে কিনা -- নেই। তেমনি কেউ কেউ থাকতে পারেন "পাছামারা"র প্রস্তাব দেবার অধিকারটাও (অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ থাকবার সুবিধা নিয়ে, এবং নিকাবধারী থেকে) তাঁদের রয়েছে বলে মনে করেন। আমি করি না। কেন ব্লগের এসব মুক্তিযোদ্ধাদের ব্লগিং অথরিটির দরকার মিডিয়া বিশ্লেষক হিসেবে আপনি তা অনুভব করেন। আমি কেবল এসব পরিসরের আগামী ব্যবহার নিয়ে অধিকতর আগ্রহী/সংশয়ী।
ধন্যবাদ জানবেন।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: পরিস্কার করেই বলছি, দ্বিতীয় অর্থে 'মরীয়া' ব্যবহার করেছি।
আমিও এসব পরিসরের আগামী ব্যবহার নিয়ে অধিকতর আগ্রহী/সংশয়ী।
আমি ব্যাপকভাবে আশাবাদী ছিলাম, থাকতে চাই।
৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
ক্যাচাল বলেছেন: রাজাকারসমর্থনকারী কয়েকজন সু শীলের তালিকা তৈরী হয়েছে :
১. ব্রাত্য রাইসু
২. মাহবুব মোর্শেদ
৩. মিরাজ
৪. মানস চৌধুরী
ঠিকই আছে। তবে মানস এখনো পুরোপুরি সুশিল হতে পারে নি। তাকে ব্রাত্য রাইসুর চামচামি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪১
নাভদ বলেছেন:
আপনার লিস্টের চারজনের সবাইকেই ব্লগে চিনি। বাস্তব জীবনে নয়।
মিরাজ ভাই সুলেখক- একথা নি:সন্দেহে বলা যায়।
আবার যখন একের পর এক নোংরা মানুষগুলো এসে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজেবাজে কথা বলে- (আমি ডিটেইলস এ গেলাম না আপনি জানেন এরা কি গা ঘিনঘিন করা ভাষায় আমাদের এই মহান অর্জন নিয়ে লেখে) তখন তো অনেকেই প্রতিবাদ করেন না। যারা করেন না তারা হতে পারে পাত্তা দিতে চান না বা অন্য কোন কারনেও নিশ্চুপ থাকেন। পিয়াল ভাই, এস্কিমো ভাই সহ অনেকে তাদের অপপ্রচারের জবাব দিয়েছেন আর দিয়ে যাচ্ছেন।
তাতে কোন লাভ হয়েছে কি?
যারা জেনে বা না জেনে রাজাকার পুত্রদের হাটার জন্য নরম কার্পেট বিছিয়ে দিচ্ছেন- তারা জন্য কি আর বলার থাকে।
দু:খিত, আপনার পোস্টের সাথে একমত নই।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
মাহবুব সুমন বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে ব্রাত্য রাইসুর সাথে পরিচয় না থাকাতে উনার স্পস্ট অবস্থান সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হতে না পারলেও ব্লগে উনার মতামতের ভিত্তিতে উনার অবস্থান সব সময়ই ধোঁয়াটে বলে মনে হয়।
ওয়ামী সম্পর্কে উনার দুটো পোস্টেই উনার অবস্থান উনি স্পস্ট না করে কথার মার প্যাঁচে বরাবারই উনি সেটাকে ধোঁয়াটে করেছেন,যার ফলশ্রুতিতে সাধারন আবেগপ্রবন ব্লগারদের ব্যক্তিগত আক্রমনের শিকার উনাকে হতে হয়েছে বরাবর যার প্রতিউত্তর উনিও ব্যক্তিগতভাবেই দিয়েছেন ভাষার মারপ্যাঁচে। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আবেগপ্রবন ও স্পর্শকাতর ব্লগারদের আক্রমন উনার প্রতি সবমসয়ই। উনার ভাষার মার প্যাঁচে ওয়ামীর প্রতি উনার বন্ধুভাব প্রকাশিত হয়েছে যার মাধ্যমে উনি ওয়ামীর ব্যানের কারন জানতে চেয়েছেন, কিন্তু কারনটি উনার মতো মানুষের বোধোগম্য হওয়াটি কি স্বাভাবিক নয় ?
ব্লগে জামাতিরা বাহিরের জামাতিদের মতোই ইসলামকে তাদের প্রয়োজনে অতীতের মতোই ব্যবহার করছে, জামাতকে আক্রমন করতে গিয়ে অনেক ব্লগারই ইসলামকে আক্রমন করছে বাহিরের মতোই। এ বিষয়ে আপনার ব্যাক্ষার সাথে আমি একমত।
গালাগালী ও যুক্তির কথা আপনি বলেছেন। অতীতে অনেকবারই যুক্তি দেয়া হয়েছে। কাজে আসেনি। এ বিষয়ে কি করা যায় বলে আপনি মনে করেন ?
আলোচনা আগাতে থাকুক, চেস্টা করবো অংশগ্রহন করতে।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: হ্যাঁ ওয়ামীকে ব্যান করার পেছনে নীতিমালার সমর্থন আছে। আবার বিজ্ঞ বিচারকরা সবসময় আইনের ধারায় সীমিত থাকেন না। ওয়ামীকে ব্যান করায় আমিও অভিনন্দন জানিয়েছিলাম।
জামাতীরা যদি ঠাণ্ডা মাথায় আপনাকে উত্যক্ত করে, তবে আপনিও উত্তেজিত হবেন কিনা। ইগনোর করাই কি শ্রেয় নয়, যখন যুক্তি কাজে আসেনা?
সামহোয়ারের সব আলোচনা/পোস্ট যদি এখানেই আটকে থাকে তবে এর অস্তিত্ব বা ভবিষ্যত কী দাঁড়াবে?
১১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
ডাক্যাইত বলেছেন: আপনেরে ধন্যবাদ দেওন ছাড়া কিচ্ছু করার নাই। এইটা আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপার। এতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়া অবসেসড ইরিটেটিং গুন্ডারা আপনেরে সুশীল বা রাজাকার বললেও আমার কিছু করার নাই। তাই আবারো বলতেছি ... ধন্যবাদ ... অকুন্ঠ সমর্থন করছি আপনার বক্তব্যকে।
১২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
মানস চৌধুরী বলেছেন: ক্যাচাল, এই একই আপনাদের প্যাচাল! আপনার পূর্বসূরীরা এইরকম একাধিক তালিকা তৈরি করেছিল। তবে তালিকা তৈরিতে জামাতীরা এখনো আপনাদের থেকে দক্ষ। তাদের তালিকাতে থাকার কৃতিত্ব/অভিজ্ঞতাও আমার আছে। এবং একাধিকবার। ১৯৮৯ থেকে শুরু। আমার ধারণা তখন আপনার জন্ম হয়েছিল। আপনার চামচামি যে করব সেইরকম তো কিছু পাওয়া যায় না আপনার মাথায় .. কী করি আমি! ;-)
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
বিগব্যাং বলেছেন: ডক্টর মিরাজ স্যার কলেজ জীবনে ছাত্র শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন...
তিনি ঢাবি তে থাকাকালে অনেকের কাছেই এসব আলাপ / নিজে থেকেই সীকার করেছিলেন...এবং পরবরতীতে ওসব ছেড়ে দেন...রাজাকারকবলিতো আজকের বাংলাদেশে শুশীল আর জামাতীরাই সদম্ভে ঘোরে...আমি কারো নাম বল্বো না...তবে ডক্টর মিরাজ স্যার যদি এড়িয়ে যান বা অসীকার করেন ...তাহলে মানণীয় ব্লগবাসীদের কাছ থেকে অগ্রিম ক্ষমাপ্রারথণা/মাপ চাওয়া/ ভুল সিকার করা/জুতাপেটা কবুল করে নিচ্ছি...
বাকি তিনজনের বাপারটা অন্যরকম...বিশদ আলোচনা...
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মিরাজের মন্তব্য এখানে দরকার। তবে তার বর্তমান অবস্থানকেও বিবেচনায় আনা দরকার।
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি দেখে লগ ইন করলাম ! অনেক আলোচণার উপকরণ আছে ।
তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে চেয়ে যারা এখানে লড়ে যাচ্ছেন, তাদের সেই লড়াকু স্টাইলটা,সবার স্টাইলটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে । কিন্তু সবাইকে গড়পড়তা গালিবাজ হিসাবে চিহ্নিত করাটাতে আমার আপত্তি আছে । চরম আপত্তি । বিষয়টির এতো সরলীকরণ করা হয়তো সম্ভব না ।
ভার্চুয়াল রাজাকারদের অপমতকে যুক্তি দিয়ে খন্ডনের চেষ্টা হয়নি, এটাও ঠিক না । অসংখ্য ব্লগার এ-কাজটা করেছেন এবং বিফল হয়েছেন । রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের নিমিত্তি যারা আসে, তাদেরকে বুঝানোতে আপনি অক্ষম হবেন, কারণ সবকিছু বুঝেও তারা অবুঝ । তাদের কাজ তারা চালিয়ে যাবে । সেজন্য হয়তো তারা দলীয় অফিস থেকে 'পুরস্কার'ও পেয়ে থাকে ।
এমন সব উস্কানীমূলক পোস্ট আর কমেন্ট এরা প্রচার করে, যা দেখলে অনেকেরই প্রথমেই গালিটাই মনে আসে । আপনাদের মতো ব্যতিক্রম দু'একজন ছাড়া ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার অবদান এক্ষেত্রে আমার ভুলে যাওয়া ঠিক হয়নি। এরকম আরও কয়েকজন থাকতে পারেন।
যাদের যুক্তি দিয়ে বোঝানো যায়না, তাদের ইগনোর করাই কি ভালো না? কিংবা একযোগে মাইনাস দেয়া?
১৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ক্যাচাল বলেছেন: প্রিয় মানস।
আমার বয়স ধরতে পারেন নি। আমার জন্ম ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী মাসের ২ তারিখ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়েকটা ডিগ্রী আমার আশা করি সেগুলির ধারে কাছে আসতে পারবেন না।
বুঝতে পারছেন?
১৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
মাহবুব সুমন বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আমি ব্রাত্য রাইসুর অবস্থানের কথা বলতে চাইছি, আপনার নয়। আপনার অবস্থান সম্পরকে কোন রকম সন্দেহ কেউ প্রকাশ করতে পারবে না। ব্রাত্য রাইসু কোন সময়ই উনার অবস্থান পরিস্কার করেন না।
জামাতিদের বই পত্র পড়ার দূর্ভাগ্য হয়েছে যদিও বইগুলো মন দিয়েই পড়েছি। ব্লগে উস্কানী ও অপ্রচারগুলো ওগুলোর সারসংক্ষেপ। এসব ক্ষেত্রে যুক্তি-প্রমান দিয়ে হাজারবার চেস্টা চালিয়েও লাভ হয়নি, হবেও না। সব সময় আবেগ নিয়য়ন্ত্রন করা আসলে সম্ভব হয় না, এজন্য গালী দিতে না চাইলেও চলে আসে।
হাঁ, এদের ইগনোর করা যায় এবং আজ কাল তা করিও। বিগত কিছুদিন এদের উস্কানীমুলক লেখাগুলো কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতে পেলেও ইগনোর করেছি।
সামহোয়্যারইনের সবকিছুই এখানে থেমে থাকতে পারে না। এজন্যই মনে হয় ব্লগে তথ্যবহুল ও বিচিত্রধর্মী লেখা কদাচিত চোখে পরে। অন্য সব ব্লগ দেখলে হিংসেই হয়।
তবে ব্লগে এখন যা চলছে তা দূর না করতে পারলে আশার কিছু দেখছি না।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: রাইসুর বিষয়টা আমি কীভাবে বুঝি, এই পোস্টে বলেছি।
বিচিত্র লেখা চাই। ছাগুতাড়ানি লেখা দেখে ক্লান্ত হয়ে যাই।
১৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মুকুল বলেছেন: এই পোস্টের পর আমার প্রিয় অনেক ব্লগার যেমন এস্কিমো, রাশেদ, জেনারেল, হাসিব, মুকুলসব আরও অনেকে আমাকে আর আগের মতো দেখবেননা, ভাববেননা জানি; তাদের নির্বাচিত পোস্ট বা লিঙ্ক থেকে আমাকে সরিয়েও ফেলতে পারেন, আমার ভাগ্যে অনেক গালাগালি ও নাম্বার ৫-ও জুটতে পারে।
ফাহমিদ ভাই, লিস্টে আমার নাম দেইখাই অবাক হইছি।
অবশ্য আমার নাম নেয়াতে বুঝলাম আপনি আমারে কাছের মানুষ মনে করেন। আমি কিন্তু আপনাকে দূরের মানুষ মনে করি না।
আপনার অবস্থানও আমার কাছে ধোঁয়াটে না।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার কাছেও পাস করলাম। কী আনন্দ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: কাছের মানুষ কিনা তা পরের বিষয়। বিষয়টা ছিল আপনারা আপনারা আমার পছন্দের ব্লগার যারা ছাগু খেদাও কর্মসূচিতে সক্রিয় আছেন। এই পোস্ট এই দুই পরিচয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে বলে আমার সন্দেহ ছিল।
১৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মানস চৌধুরী বলেছেন: ফাহমিদ, আমি ভেবে দেখলাম "নাছোড়বান্দা"টাই বরং বেশি সম্মানজনক। ...হুম্। ক্যাম্পাস কালচারে "চামবাজি" বলে একটা শব্দের সঙ্গে পরিচিত। এখন এই "চামবাজি" সংস্কৃতি যেটাকে ধরবে সেটার কপালেই দুঃখ আছে। আল্লাহ না করুন, সেটা মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরেও অতীতে ঘটেছে। ফলে বিস্ময়ের না যে ব্লগাব্লগিতেও ঘটছে। কিছু নারী অংশগ্রহণকারীদের ব্লগে কী অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমি একটু ঘুরে ঘুরে দেখলাম। পরিস্থিতি সেই অর্থে বাইরের চলমান "চামবাজি" থেকে ভিন্ন কিছু না। নাছোড়বান্দাই ছিলাম আসলে ... :-)
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি ভেবেছি নিরুপায় ছিলেন আপনি।
১৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন: আমি খুব নাদান মানুষ। আমি বুদ্ধিজীবীদের পুঁছিও না।
তাও আমি এই পোস্ট একটা কমেন্ট করবার ঔদ্ধত্য দেখাবো।
Click This Link
"কৌশিক বলেছেন: বিষয়টা হচ্ছে এমন, যেখানে রাজাকারদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত সেখানে রাইসু বা আরো অনেকে এমন দার্শনিক পোস্ট কেন দেবে যা দেখে রাজাকাররা একটা সুযোগ পেয়ে যাবে বা মনে করবে যে কেউ কেউ সহানুভূতিশীল রয়েছে এন্টি রাজাকার জোটের মধ্যেও। আন্দোলনকারীদের ধারণা এমন সব পজিশন যা অনেক বেশী লিবারেলিজমের পৃষ্ঠপোষক (উত্তরআধুনিকীও কেউ কেউ বলে) - এর মাধ্যমেই রাজাকাররা রেহাই পেয়ে এসেছে অতীতে, এখনও পাচ্ছে। যদিও ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোর্শেদ, মানস চৌধুরী, অন্যমনস্ক শরৎ, মিরাজ, ... আযহার, (অবিশ্বাস্য সন্দেহজনক অবস্থিতিতে আমি) কেউই রাজাকারদের-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি নয় - কিন্তু এদের কোন কোন লেখায় এমন একধরণের ওপেননেস থাকে যা রাজাকারদের বাকস্বাধীণতার দিকে ইংগিত করে। সামগ্রিকভাবে দৃশ্যপট এমন মনে হওয়াতে এদের এ জাতীয় লেখাগুলো রাজাকারপৃষ্ঠপোষকতামূলক বলে চিন্থিত হয় এবং হতে থাকবে। এর প্রভাব তাদের এই-বিতর্কনিরপেক্ষ অন্যান্য লেখাতে, ব্যক্তিগত জীবনাচারেও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। "
আমার বক্তব্য-
কৌশিকের এই উপলব্ধিটুকু কৌশিকের কমেন্টে যাদের নাম এসেছে, তাদের আসে নি বোধহয়।
মানস চৌধুরির ব্যাপারে-
মানস চৌ ব্যক্তিগত জীবনে কোথাকার কে, অন্য পরিচিতেরা সেইটা খেয়াল করলেও আমার কিছু যায় আসে না। আমি তাকে চিনি না, আমরা সাধারণ মানুষ তাকে চিনি না। তিনি কাল আসলেন, আজ বললেন, তোদের এইখানে ছিদ্র, ওইখানে ছিদ্র। ছিদ্র ঢাক তোরা।
সেই যোগ্যতা তিনি রাখেন না, বলেই আমি মনে করি।
তাকে আমার একটা অ্যারোগ্যান্ট চরিত্র ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নাই।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এই ওপেননেসটায় এত আপত্তি কেন? আপনাদের/আমাদের ভিত্তি তো এত দূর্বল না।
কৌশিকের উপলব্ধিটা 'ওপেন' লোকদের ঠিকই জানা আছে, আমার তাই মনে হয়।
জামাত সুবিধা পাবে বলে আমার মুক্তিযুদ্ধকে আমি সমালোচনা করতে পারবো না? আমি কি একে ধর্মগ্রন্থের মতো রেহেলে তুলে রাখবো?
মুক্তিযুদ্ধের ফল কেন আমরা স্বাধীন দেশে ভোগ করতে পারিনা? কেন স্বাধীনতার পর থেকেই কেবল স্বাধীনতাকে অবমাননা করে এসেছি আমরা? (মানে শাসককূল) এই সুবিধে তারা কীভাবে পেল? আমাদের (পরের জেনারেশন বা পরের দেশ-পরিচালকদের) নিশ্চয় ব্যর্থতা ছিল। এই আলোচনা হলেই তো জামাত খুশি হবে। কিন্তু এই আত্মসমালোচনা চিরতরে বাদ দিয়ে দেব?
২০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রাশেদ বলেছেন: পড়লাম।
যেই চারজনের কথা বলছেন তাদের থেকে আপনাকে অনেক বেশি সন্মান করি, আপনার লেখা ভালো লাগে, আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা কমার কোন কারন নাই।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: একজনের কাছ থেকে পাস করলাম। হা হা হা
২১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
রাতুল" বলেছেন: হায়রে ডিগ্রি টুমার কয়টা আচে, আমরে একডা দাও না, টেকা চাই না, পয়সা চাইনা, শুধু ডিগ্রি চাই।
হায়রে কপাল ! ক্যাচলের অনেক ডিগ্রি, উনাকে অভিনন্দন জানান সবাই। হাততালি।
২২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ইয়র্কার বলেছেন: বস, মিরাজকে আমি জামাতি বুদ্ধিজীবী বলেছি, অ্যান্ড আই স্টিল মেইনটেইন দ্যাট। পরের মন্তব্যে আমি কারণ ব্যাখ্যা করছি, আপনার সাথে আলোচনা করা যাবে আমার ব্যাখ্যায় ভুল থাকলে।
তার আগে আপনার পোষ্টের দুইটা টার্ম একটু বুঝিয়ে বলেন, ১) মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবসেসড, ২) ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা।
ধন্যবাদ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: অবসেসড বলতে বোঝাতে চেয়েছি, যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ থাকেন।
ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা মানে এই ভার্চুয়াল ব্লগে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেন। মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জামাতীদের সঙ্গে লড়াই করেন।
২৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
আসম বলেছেন: মাষ্টার,
আমি তো নতুন মাল, জানিসই। ব্লগে দেখি সবার মাথা গরম। যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন বাদ দিয়ে, সেই পূরনো কাদা ছোড়াছোড়ি, সাকা চৌ এর মত অশ্লীল উপস্থাপনা। তোর দীর্ঘ পোস্ট প্রশংসার দাবি রাখে তবে আমি সহমত,
"জামাতী মতবাদে যারা বিশ্বাস করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, অকুণ্ঠ সমর্থন বা বাহবা দেবেন না। " বরং রাজাকারদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হউন।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মানস চৌধুরী বলেছেন: কী কাণ্ড! আপনার ডিগ্রি জানতে চাইল কে ক্যাচাল। আপনার বুদ্ধির কারণে বয়সটা আরও নবীন ভেবেছিলাম। তো, এখন তো ভুল ভেঙে গেলে। রাইসুর তো কোনো ডিগ্রিই নাই। তাঁর চামচামি করতে কি আমার বাধছে? আপনার টা নিয়ে ভাবব কেন? নেহায়েৎ অন্যান্য লক্ষণ আর কি ...!!!
২৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
রাশেদ বলেছেন: ইচ্ছে আছে কিছু বলার। দেখি সময় করে বলব। ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা শব্দটায় আপত্তি জানাইলাম।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপত্তিটা জানলাম।
২৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
ক্যাচাল বলেছেন: এইসব নি-বিগ্গান মারকা সাবজেক্ট কে আমরা লিপস্টিক ডিপাটমেন্ট বলেই ডাকতাম। আপনে যে রাইসু+ ওয়ামী এর পক্ষ সাপাই গাইছেন এইডা সবাই দেখছে।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার কথাবার্তা কেমন অপ্রকৃতস্থের মতো শোনাচ্ছে। অকারণ অশালীন কথা থাকায় আপনার নিচের একটি কমেন্ট ডিলিট করতে বাধ্য হচ্ছি।
২৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
জেনারেল বলেছেন:
প্রথমতঃ জামাতিদের ব্যান করলেই মাহবুব মোর্শেদ আর রাইসুর গায়ে ফোঁসকা পরে। আর এই ফোঁসকার পানি গলাতে ব্লগে পোষ্ট ছাড়েন। অন্য কোন বিষয়ে এদের কখনও হারিকেন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। একটা কথা বলেছেন, "অথচ মাহবুবের ব্লগিং-এর যে ডাইভার্সিটি, যেকোনো ইস্যুকে বিশ্লেষণের যে ক্ষমতা, তা কয়জন ব্লগারের আছে? " আপনার হয়ত মনে নাই যে দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিতাজ্য। মামোর জন্য এর থেকে আর অন্যকিছু বলা যায় না। রাইসুর একই অবস্থা।
আর ছ্যার মানস, ব্লগে আইসাই রাইসুর পক্ষে ঝাপাইয়া পরল কোন কারন ছাড়াই। হুদাই টাইনা নিয়া আসল ধর্মকে। কঠিন কিছু শব্দে এমন কিছু বাক্য লিখলেন যার কোন মানে নাই। বোধকরি, উনিও পরে বুঝতে পারে নাই ঘোরের মধ্যে কি লিখতে কি লিখেছেন। ছ্যার মানস প্রগতিশীল নয়, অতিপ্রগতিশীল। আর শীল নিয়ে উনার আলোচনা থেকে যা বুঝলাম যে উনি বহুত সমোঝদার। এই বেশী সমোঝদারীতেই সমস্যা ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: রাইসুর বিষয়টা আমি কীভাবে বুঝি, এই পোস্টে বলেছি। মামোরটা আমার কাছে প্রমাণিত না। আমি যে-ধূসর এলাকার কথা বলেছি, মামো সেইখানে অবস্থান করেন বলে বিশ্বাস করি।
২৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৫
মিরাজ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই. আপনার বিশ্লেষণ ও পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ । ভেবেছিলাম আরো পরে আলোচনায় অংশ নেবো, অন্তত: আরো কিছু ব্লগারের প্রতিক্রিয়া দেখার পর । কিন্তু মানস চৌধুরীর প্রতি "ক্যাচাল" এর আগ্রহদ্দীপক ঔদ্ধত্যমুলক মন্তব্য দেখে মনে হলো দু-একটা কথা বলা দরকার ।
একটি ব্যাপার আপনি মিস করে গিয়েছেন পোষ্টে আর সেটি হলো কিছু ব্লগারের নিকের আড়ালে সীমাহীন ঔদ্ধত্য । তারা মনে করেন তাদের ধারণাটি এবং তাদের অবস্থানটিই কেবলমাত্র সঠিক এবং এর বাইরে যারা চিন্তা করছে তারা সবাই ভুল । আর এই ধারণার কারণে তারা যে কাউকে একটি ট্যাগ দিয়ে (আমাদের ক্ষেত্রে সুশীল ট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে) যে কোন ভাষায় যা ইচ্ছা বলার অধিকার রাখেন । এবং যেহেতু তারা তাদের চিন্তা ভাবনাকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ চিন্তা হিসাবে ট্যাগিং করেন তাই তারা যাই বলবেন সেটি মুক্তিযুদ্ধকে উর্ধে তুলে ধরার জন্যই বলবেন ।
এই যে আউট অব দি বক্স চিন্তা করতে পারার অক্ষমতা এটিও ব্লগের বর্তমান কালচারের একটি বড় কারণ । তারা অবশ্য একে অক্ষমতা বা চিন্তার সীমাবদ্ধতা হিসাবে দেখতে নারাজ (এবং আমি নিশ্চিত এই শব্দ ব্যবহার তাদের পছন্দনীয় হবেনা ), এটিকে তারা সংগ্রামী বা আদর্শিক অবস্থান হিসাবে গর্বভরে ঘোষণা দিয়ে থাকেন ।
এই আদর্শিক ক্ষমতাবলে (এই ক্ষমতা অনেকটা ঐশ্বরিক ক্ষমতার কাছাকাছি বোধ হয়) তারা যে কোন সময় আপনাকে যে কোন প্রশ্নে জরা করবে, আপনার করা যে কোন মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইবে, এককভাবে নয়, দলগতভাবে । আপনি যদি কোন কারণে সেই জেরায় অংশগ্রহণে আগ্রহী না হন বা আপনার উত্তর যদি তাদের মন:পুত না হয় তাহলে তারা আপনাকে যে কোন ডেরোগেটরী উপাধিতে এবং গালিগালাজের পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ করেন । রাইসুর সাম্প্রতিক পোষ্টটিতে মানস চৌধুরীর কথোপকথন এবং সেখানে আমার কিছু কথোপকথনের চেষ্টায় আপনি এই রূপটি কিছুটা হলেও দেখতে পাবেন ।
আলোচনা চলতে থাকুক । আমার কিছু পর্যবেক্ষণ আছে আশা করি সময় করে সেগুলি নিয়ে লিখবো ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: নিক আমার জন্যও অস্বস্তিকর। আসল পরিচয়ের ব্লগার আমার জন্য অধিক স্বস্তিদায়ক। তবে ভার্চুয়াল জগতে নিকও একটা বাস্তবতা।
২৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
নেমেসিস বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম
৩০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫০
রাতুল" বলেছেন: ক্যাচলের সাবজুক্ট কি ? আত্মরতি ?
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: খুব দুঃখিত, আপনার পরের একটি কমেন্ট মুছতে চাচ্ছি। এর জন্য আপনি না ক্যাচাল দায়ী। ঐ শব্দটা বেখাপ্পা লাগছে এই আলোচনায়। আশা করি কিছু মনে করবেননা।
৩১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
ক্যাচাল বলেছেন: রাতুল" বলেছেন: ক্যাচলের সাবজুক্ট কি ? আত্মরতি ?
হ।
৩২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
রাশেদ বলেছেন: এক্টা কথা বলে নেই আগে, আপনার কিছু কথার ব্যাখ্যা চাব, কিন্তু সেইটাকে বেয়াদপি বা অভদ্রতা বলে দেখবেন না প্লিজ।
আপনার পোস্ট আমি সব সময় পড়ি এবং পড়ব।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আল্লা, কী যে বলেন! আমি তো আপনার গুরুজন না। বেয়াদবীর প্রশ্ন আসছে কেন?
৩৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন: তাও আমি এই পোস্ট একটা কমেন্ট করবার ঔদ্ধত্য দেখাবো।
>>
তাও আমি এই পোস্টে একটা কমেন্ট করবার ঔদ্ধত্য দেখাবো।
৩৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: *নিমিত্তে...
৩৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রাশেদ বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধের সময় টুপিওয়ালা এরকম অনেক লোক ছিলেন, কিন্তু আপনি যদি তাকে রাজাকার বলেন, তবে আপনার শত্রুসংখ্যা আরও বাড়লো। "
কাকে কাকে ধর্মের কারনে জামাতি রাজাকার বলা হইছে এই ব্লগে?
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সেই প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমি ইঙ্গিত করতে চাচ্ছি যে আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে একরৈখিক অবস্থান নিয়ে থাকেন, তবে এধরনের বিপত্তি তৈরী হয়।
আমাদের থিয়েটার সিনেমায় কিন্তু এরকম স্টেরিওটাইপ দেখানো হয়ে থাকে।
৩৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ডাক্যাইত বলেছেন: ক্যাচাল বলেছে: "বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়েকটা ডিগ্রী আমার। আশা করি সেগুলির ধারে কাছে আসতে পারবেন না।"
ক্যাচাল মনে করছে ডিগ্রীর ফিরিস্তি দিলেই মানস হের চামচামি শুরু করবো
৩৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আমিই স্রোত বলেছেন: এইগুলাইন হওয়ার আন্দোলন করতেছেন ভা. মুক্তিযুড্ডারা...
--জিম্বাবুয়ের জানুপিএফ পার্টির মতোন সব সম্পত্তি আমগো লেইখ্যা দিতে অবে।
[সম্পত্তি! বহুত খাইছস।
জমি-জমা এইত্যা দিয়া তোরা করবি কীরে রাজাকার!
তোরা তো বাংলাদেশেরই নাগরিক না।]
--তোগো মা-বোইনগো চাহিবা মাত্র পাইবার "ন্যায্য" অধিকার পাইতে দিতে অইবো।
[এইডা হইলো প্রতিশোধ।
৭১ এর প্রতিশুধ!
নাইলে আয় তোগোরেই ...!!
নাহঃ তোগোরে আমগো নেড়ি কুত্তা দিয়া...!!]
--আমাদের বাড়ির সামনে দিয়া যাওয়া হইবো নিসেদ!!
[শালা রাজাকার।
গেলে জুতা হাতে লইয়া, ছাতা নামাইয়া যাইতে অইবো!!]
--তোগোরে শ্যাষ কইরা দিতে অইবো রাজাকারের ছানাপোনারা।
[জিনেটিক এটম বুম আনুম। ইসরেল নাইলে ইনডিয়ার থিকা।
বাইছা বাইছা রাজাকারগো শেষ কইরা দিবো এই বুম্ব!
এক মিনিটের বেপার! ]
--সার্তিফিকেটি মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতির লাইগা বিসিএসে ১০০% কোটা করিতে হইবে।
[যোগ্যতা! বাকি সবই রাজাকার।
রাজাকাররাতো বাংলাদেশেরই নাগরিক না।]
--আমগো অইলো ণীল রক্ত। দেশ স্বাধীন করছি।
[তোগো রাজাকারগো শইল্যের রক্ত অইলো পাইন্যা।
কুনো দাম নাই।
ধরমু। পিটাইমু। জবাই করমু।
গালি দিমু। নো পরবলেম!
কিসের পরবলেম! হাহঃ!!
এই দ্যাশের ২য় শ্রেণির নাগরিক নামের কলংক হইলি তোরা!
বাংলাদেশের নাম উচ্চারণের যোগ্যতাইতো নাই তোগো...
আবার কথা কস....!!
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এধরনের মন্তব্য এই আলোচনায় অনাকাঙ্ক্ষিত।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি কখনও কাউকে ব্লক করিনি। চাইও না। এধরনের মন্তব্য না করার অনুরোধ পোস্টে একরকম করেছি। এবার স্পষ্ট করলাম।
৩৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: মিরাজ ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। উনি যখন পড়েছেন আমিও সেই সময়কার, আমি জুনিয়র হলেও। কখনো শুনি নাই উনি শিবির করেছেন !! ইয়র্কার যেভাবে উনাকে জামাতি বলছেন সেভাবে সাক্ষ্য প্রমান উনি দাঁড়া করাতে পারছেন না, যুক্তিপ্রমান ছাড়া কাউকে শিবির বানিয়ে দেয়া সমর্থন করতে পারী না।
আর এ আলোচনায় ব্যাক্তিগত আক্রমন করে কমেন্টগুলো মডারেট করার অনুরোধ করছি।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ব্যক্তিগত আক্রমণ তো সামহোয়ারে স্বাভাবিক প্রপঞ্চ। কী আর করা। আপনার মন্তব্য মিরাজকে আমাকে এবং অন্যদেরও হয়তো, স্বস্তি দিচ্ছে।
৩৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
রাশেদ বলেছেন: আমার সময় লাগবে, কারন ব্যস্ত আছি। হয়ত আপনার উত্তর দিয়ে দেরি করবো। রাতে আছি।
৪০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৫
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: নিজের মতের সঙ্গে না মিললেই, বা আমার মতো করে প্রতিবাদ করতে না পারলেই আমি কাউকে রাজাকার ট্যাগ লাগিয়ে দেবার পক্ষপাতী না। যে জিনিষটা এই ব্লগে আছে অতিমাত্রায় । এই ব্যাপারে সবসময়ই বলেছি, এটা সমর্থনযৌগ্য না । যেমন মিরাজ ভাইয়ের ব্যাপারটি ।
ওনাকে রাজাকার গোত্রীয় বা জামাতী গোত্রীয় ট্যাগ লাগানোটাতে কাজের কাজ এতুটুকুই হয়, জামাতীরা উপকৃত হয়ে বগল বাজায় । আর আমরা যারা আমাদের চেতনাকে সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে সোচ্চার তাদের মাঝে সুপষ্ট রেখা টেনে দেয়া হয় । তাদেরকে ভাগ করে দেয়া হয় । কাজটা আমরা করছি । ক্ষতিটাও আমাদের । লাভটা জামাতীদের ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সহমত।
৪১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
ফাহিমদ ভাই আপনার পোস্টে যথেষ্ট সারগর্ভ বক্তব্য আছে।
এখন আমাকে লগ আউট করতে হচ্ছে। কয়েক ঘন্ঠা পরে এসে আলোচনায় অংশ নেব আশা করি।
৪২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০০
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
সরি আপনার নামটা ভুল টাইপ হয়েছে।
ফাহিমদ=ফাহমিদ
৪৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০০
সু-শান্ত বলেছেন: সেদিন যখন মানস দা ধর্মীয় দাংগা বাধাতে চাইছিলেন আমি কিন্তু প্রতিবাদ করেছিলাম। সবাইরে মনে করিয়ে দিলাম। বাকি আলাপ পরে হবে।
৪৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০২
মানস চৌধুরী বলেছেন: ক্যাচাল ভাই, বাজারে লিপস্টিকের দাম বাড়লোও তো এভাবেই। আমরা সবাই মেখে মেখে বিভাগে যেতাম কিনা! :-)
ফাহমিদ, একাধিক মন্তব্যকার গালিবাজ ও অগালিবাজ মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা করার দায়িত্ব দিয়েছেন আপনাকে। এদিকে ৪জনের থেকে আপনি যে স্বতন্ত্র সেটাও স্পষ্ট করেছেন। ফলে এই আলাপে আপনাকে আর অপবিত্র না করি। আপাততঃ বিদায়। পরে কোনো এক সময় আপনার সঙ্গে আলাপ করে নেয়া যাবে। শুভেচ্ছা।
৪৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৪
ইয়র্কার বলেছেন: মাহবুব সুমন, মিরাজকে জামাতি বুদ্ধিজীবী বলতে আমার যুক্তিগুলো রাইসুর পোষ্টে বলেছি, এখানেও বলবো। আগের মন্তব্যে ফাহমিদ ভাইয়ের জবাব পেয়ে নি।
আমার যুক্তি ভুল না সঠিক তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মিরাজ কিন্তু আলোচনায় এগোয় নি।
অপপ্রচারণা বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছে। সাথে থাকুন। কেঁচো দুর্লভ হলে কেঁচোর গর্ত থেকে সাপ বেরোতে পারে।
৪৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:০৬
জেনারেল বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
আপাতত স্রোতকে ব্লক করার অনুরোধ রইল।
পরে না হয়, মুক্তি দিয়েন।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি কাউকে ব্লক করতে চাইনা। একটা সাবধানী বাণী দিয়েছি। দেখা যাক।
আবার এরকম কমেন্ট পেলে আপনার অনুরোধ রক্ষিত হবে।
৪৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১০
ইয়র্কার বলেছেন: লেখক বলেছেন: অবসেসড বলতে বোঝাতে চেয়েছি, যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ থাকেন।
ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা মানে এই ভার্চুয়াল ব্লগে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেন। মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জামাতীদের সঙ্গে লড়াই করেন।
------
অনেক ধন্যবাদ, বস। তার মানে,
মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড = যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ থাকেন।
ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা = যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জামাতীদের সঙ্গে (ব্লগে) লড়াই করেন
ওকে, নেক্সট কোয়েশ্চেন, উপরিউক্ত অর্থে আপনি 'মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড' এবং 'ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা'দের অবস্থানকে কেমন মনে করেন?
ক) সঠিক
খ) বেঠিক
উত্তর ব্যাখ্যা করুন প্লিজ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সঠিক এবং বেঠিকও। অবসেশন চিন্তাকে সংকীর্ণ করে দেয়, যার ফলাফল মাঝেমাঝে উল্টো হয়। পোস্টে ইঙ্গিত আছে।
তবে জামাতবিরোধিতা ঠিক আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমিও আন্তরিকভাবে চাই।
তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ কেন এগুতে পারছে না, সেই ভাবনাটা নিয়ে আমি বেশি ভাবিত। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, সাম্রাজ্যবাদ, জঙ্গিবাদ, বিশ্বায়ন, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ নিয়ে বেশি চিন্তিত। চালের দামের মাইক্রো অর্থনীতিতে আমাকে ততটা পাবেননা (যদিও তার ফল জীবন দিয়েই বুঝি), কিন্তু কিছু ম্যাক্রো ইস্যুতে আমার কিছু ভাবনা আছে।
আরেকটা বিষয়, বাংলাদেশে দেখি সব বিষয় নিয়ে সবাইকে কথা বলতে। পত্রিকার বাধা কলামিস্টরা যেমন। টক শোর চেনা মুখগুলো যেমন। কিন্তু আমি মিডিয়া-সাংবাদিকতার ছাত্র, আমি আমার লেখালেখি সেসব বিষয়েই সীমিত রাখতে চাই। মিডিয়াকে বুঝতে আমাকে বিশ্বায়ন বুঝতে হয়। এভাবেই পরিসর বাড়ে, নয়তো খুব বেশি বিষয়ে আমার মতামত নাই।
তবে এই পোস্টটি কমিউনিটির সদস্য হিসেবে করেছি। ঐ চারজন আমার এমন পেয়ারের কেউ না যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের দায় এখানে আছে।
ব্যাখ্যাটা বিস্তৃত ও বিক্ষিপ্ত হলো। নিচের কারও কারও প্রশ্নের উত্তরও কিছুটা দেয়া হলো তো।
৪৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:২৩
মিরাজ বলেছেন: হা হা হা ... বিগ ব্যাং নতুন তথ্য এবং প্রমাণ নিয়ে হাজির হয়েছেন । যাক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবীদার কিছু লোকের একটি বড় প্যাটার্ণ এ থেকেও বোঝা যাবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেকার কলেজ জীবন নিয়ে তিনি আমার রাজনৈতিক অবস্থান শুনেছেন এবং কারো কারো কাছে নাকি আমি এই ব্যাপারটি স্বীকার করেছি । মজা পেলাম । তো বিগ ব্যাং এই থিওরীর পেছনে যথেষ্ট প্রমাণাদি যোগাড় করেছেনতো!!
মিরাজ কলেজ জীবনে সক্রিয় রাজনীতি করেছে এটি সত্য কথা । মিরাজকে যারা চেনে বা জানে তারাও এটি কম-বেশী জানে । ঢাকা কলেজে ১৯৯১-৯৩ সময়কালীন যদি কেউ থাকে তাহলে অবশ্য আমার ব্যাখ্যার দরকার হতোনা । তারা সবাই আকাশ থেকে পড়তেন তবে এই ব্লগে কিছুদিন থাকলে অবাক হতেননা ।
মিরাজ ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের সাউথ হল শাখার ক্রীড়া সম্পাদক ছিলো । সেই সময়ে অনেক বেশী সক্রিয় থাকায় ছাত্র-দলের অনেক নেতা-নেত্রীর সাথে পরিচয়ের সুযোগ হয়েছিলো... বিনিময়ে এইচ এস সি পরীক্ষা না দিতে পারার মতো অবস্থায়ও সৃষ্টি হয়েছিলো । যা হোক শেষ পর্যন্ত সেই অবস্থা হয়নি ।
মিরাজ ঢাকা কলেজে থাকতে খুব ভালো ছেলে হিসাবে পরিচিত ছিলোনা । মিরাজের রুমে অস্ত্র থাকতো, সারাদিন তাসের আড্ডা বসতো, উচ্চস্বরে গান বাজতো, সিগারেট এর ধোয়ায় আচ্ছন্ন থাকতো । বর্তমান ধারার ছাত্র-রাজনীতির নেতাদের টিপিক্যাল রুম ।
যা হোক পুরনো কথা মনে করিয়ে দিলেন । বড়ই স্বর্ণসময় ছিলো । ছাত্র-রাজনীতির খোলসের বাইরের চেহারাটা দেখার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য দুটোই হয়েছিলো ।
আপনার এই ছাত্র-শিবির থিওরীটি আমার রাজনৈতিক বন্ধুরা কেউ দেখলে খুব মজা পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মিরাজ শিবির করতেন না, এটা প্রমাণ হলো।
৪৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১১
আকাশচুরি বলেছেন: আমিই স্রোত বলেছেন: এইগুলাইন হওয়ার আন্দোলন করতেছেন ভা. মুক্তিযুড্ডারা...
--জিম্বাবুয়ের জানুপিএফ পার্টির মতোন সব সম্পত্তি আমগো লেইখ্যা দিতে অবে।
[সম্পত্তি! বহুত খাইছস।
জমি-জমা এইত্যা দিয়া তোরা করবি কীরে রাজাকার!
তোরা তো বাংলাদেশেরই নাগরিক না।]
--তোগো মা-বোইনগো চাহিবা মাত্র পাইবার "ন্যায্য" অধিকার পাইতে দিতে অইবো।
[এইডা হইলো প্রতিশোধ।
৭১ এর প্রতিশুধ!
নাইলে আয় তোগোরেই ...!!
নাহঃ তোগোরে আমগো নেড়ি কুত্তা দিয়া...!!]
--আমাদের বাড়ির সামনে দিয়া যাওয়া হইবো নিসেদ!!
[শালা রাজাকার।
গেলে জুতা হাতে লইয়া, ছাতা নামাইয়া যাইতে অইবো!!]
--তোগোরে শ্যাষ কইরা দিতে অইবো রাজাকারের ছানাপোনারা।
[জিনেটিক এটম বুম আনুম। ইসরেল নাইলে ইনডিয়ার থিকা।
বাইছা বাইছা রাজাকারগো শেষ কইরা দিবো এই বুম্ব!
এক মিনিটের বেপার! ]
--সার্তিফিকেটি মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতির লাইগা বিসিএসে ১০০% কোটা করিতে হইবে।
[যোগ্যতা! বাকি সবই রাজাকার।
রাজাকাররাতো বাংলাদেশেরই নাগরিক না।]
--আমগো অইলো ণীল রক্ত। দেশ স্বাধীন করছি।
[তোগো রাজাকারগো শইল্যের রক্ত অইলো পাইন্যা।
কুনো দাম নাই।
ধরমু। পিটাইমু। জবাই করমু।
গালি দিমু। নো পরবলেম!
কিসের পরবলেম! হাহঃ!!
এই দ্যাশের ২য় শ্রেণির নাগরিক নামের কলংক হইলি তোরা!
বাংলাদেশের নাম উচ্চারণের যোগ্যতাইতো নাই তোগো...
আবার কথা কস....!!
এই কমেন্ট দেখে আপনার কি মনে হয় ফাহমিদ ভাই??
৫০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১২
বিগব্যাং বলেছেন: ডক্টর মিরাজ স্যার কলেজ জীবনে ছাত্র শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন...
তিনি ঢাবি তে থাকাকালে অনেকের কাছেই এসব আলাপ / নিজে থেকেই সীকার করেছিলেন...এবং পরবরতীতে ওসব ছেড়ে দেন...রাজাকারকবলিতো আজকের বাংলাদেশে শুশীল আর জামাতীরাই সদম্ভে ঘোরে...আমি কারো নাম বল্বো না...তবে ডক্টর মিরাজ স্যার যদি এড়িয়ে যান বা অসীকার করেন ...তাহলে মানণীয় ব্লগবাসীদের কাছ থেকে অগ্রিম ক্ষমাপ্রারথণা/মাপ চাওয়া/ ভুল সিকার করা/জুতাপেটা কবুল করে নিচ্ছি...
ঢাবি তে না...কলেজ জীবনে @মাহবুব সুমন ভাই
বাকি তিনজনের বাপারটা অন্যরকম...বিশদ আলোচনা...
৫১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১২
মেহেরুল হাসান সুজন বলেছেন: স্যার, ভালো লেখা। +
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৭
আকাশচুরি বলেছেন: আমি মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড(আপনার ভাষায়) না হয়ে উপায় নেই, কারন আমাদের পরিবার সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ, বাংলাদেশের কোন পরিবারটি আছে যার গায়ে সেই ভয়াবহতার আঁচ পড়েনি?
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সেই ক্ষতির কথা আমিও ভুলছি না।
৫৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:১৫
সু-শান্ত বলেছেন: আসলে আমাদের আলোচনার গেইনিং পয়েন্ট টা কি?
এটা কিন্তু সেদিন ও বুঝা যায় নি, আজকে ও না।
আমরা আসলে কোন পয়েন্ট এর উপর আলোচনা করতেছি সেটা বুঝা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
আমি যা বুঝতেছি:
১- রাইসু এর ওয়ামী এর পক্ষপাতিত্ব ঠিক না বেঠিক।
২- মানস দা এর রাইসু ও ওয়ামীর পক্ষপাতিত্ব ঠিক না বেঠিক।
৩- এ-টিম দ্বারা রাইসু ও মানস দা'কে সুশিল তকমা লাগানো ঠিক না বেঠিক।
এই তিনটার উপরে কি আলোচনা নাকি অন্য কিছু?
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনি তো মডারেটরের কাজ করলেন। বিক্ষিপ্ত আলোচনাকে লাইনে আনছেন।
তিনটাই।
অন্য কিছুও আছে।
আমি ছাগু তাড়ান যারা, তাদের কার্যকৌশল পুনর্বিবেচনার আহ্বান/অনুরোধ জানাচ্ছি।
অন্য কারও কাছে আরও ডাইমেনশন ধরা পড়তে পারে।
৫৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪১
আরিফ জেবতিক বলেছেন: ফাহমিদ , আপনার পোস্টটি পড়লাম ।
পোস্টের বক্তব্য আমি যা বুঝতে পারলাম সেটা হচ্ছে :
ব্রাত্য , মানস , মিরাজ , মাহবুব মোর্শেদ এরা রাজাকার সমর্থক গোষ্ঠী নন কিন্তু তাদেরকে রাজাকার সমর্থকদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে যেটা আপনার পছন্দ না ।
ব্যক্তিগত পরিচয়ের জায়গা থেকে আপনি তাদের হয়ে স্বাক্ষ্য দিতে এসেছেন ( দূ:খিত স্বাক্ষ্য শব্দটা ব্যবহার করা জন্য , আমার পাঠটা এমনই হলো ) । যদিও উল্লেখিত চারজন নিশ্চিতভাবেই এই স্বাক্ষ্যের পরোয়া করেন না এবং এটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত , এই বিষয়ে আমার সন্দেহ পোষনের কোন কারন দেখছি না ।
যদি আমার পাঠে কোন ভুল থাকে তাহলে বলতেই হয় লেখক হিসেবে আপনার ব্যর্থতা কিংবা পাঠক হিসেবে আমার ব্যর্থতা আমাকে এই দীর্ঘ রচনাটি আত্মস্থ করতে অক্ষম করেছে । সেক্ষেত্রে আপনি যদি একটি সংশোধনী দেন ,তাহলে আলোচনার ক্ষেত্রে সুবিধা হয় ।
যাক , এবার মূল প্রসঙ্গে আসি ।
আপনি পোস্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে গেছেন যেটি হচ্ছে -সময় । প্রত্যেকটি লেখা বিচার করার ক্ষেত্রে তার সময়টিকেও বিবেচনায় নেয়া উচিত ।
ব্রাত্য এবং মাহবুব মোরশেদের সাথে আমার ব্যক্তিপরিচয় আছে এবং সেই পরিচয় বন্ধুত্বপূর্ণ । মিরাজ বা মানসের সাথে সেই পরিচয়ের সুযোগ হয়ে উঠে নি । এই ব্যক্তি পরিচয়ের সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে নিয়েই আমার মনে হয় তাদের কারো কারো বক্তব্য সময়ের বিচারে সঠিক ছিল না ।
একটা উদাহরন দেই ।
একদিন সকালে উঠে আমি দেখতে পেলাম যে মানুষ , বিষাক্ত মানুষ , আবদুর রাজ্জাক শিপন , মুকুল এদের মতো নিয়মিত ব্লগারদেরকে ব্যান করে দেয়া হয়েছে কারন তারা ফ্লাডিং করছিলেন ।
বিষয়টি নিয়ে আমি একটু ব্যাকট্র্যাক করে যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে যে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে একটি বা একাধিক লেখাকে দৃষ্টির আড়ালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা চেষ্টা করছিলেন এবং এই পরিস্থিতে ব্লগের তখনকার ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই এই কাজে ব্যস্ত ছিলেন ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে যাদের ব্যান করা হলো তাদেরকে একটা সময় উষ্কে দেয়া হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সেই উষ্কানির ফাদে পা দিয়ে তারা ব্যান হয়েছেন । বিষয়টির সাথে আমি একমত হলাম না , এবং এটা নতুন কিছু নয় যে সামহোয়্যারের মডারেটরদের যোগ্যতা প্রায় সময়ই প্রশ্নের সামনে পড়ে তাই এটা নিয়ে উচ্চবাচ্যও করলাম না ।
কিন্তু বেশ কিছু ব্লগার ঘোষনা দিলেন যে তারা এই ব্লগারদেরকে ব্যান রেখে লেখালেখি করবেন না এবং তারা কলম বিরতি ( এটা হওয়া উচিত কীবোর্ড বিরতি ) ডেকে বসলেন ।
দূ:খজনক বিষয় হচ্ছে মাহবুব মোরশেদ তখন একটি পোস্ট দিলেন যাতে তিনি এই ব্যানের বিষয়টিকে সমর্থন করলেন এবং ব্লগ পরিষ্কার করার এরকম সুযোগ , ব্যান হওয়া এবং বিরতিতে থাকা ব্লগারদের মাঝে ভার্চুয়াল গুন্ডা এসব ট্যাগিং শুরু করলেন । কর্তৃপক্ষও সেই পোস্টকে নির্বাচিত পোস্ট করে দেখাতে চাইলেন যে সিনিয়ার ও জনপ্রিয় ব্লগার মাহবুব মোরশেদ উনাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন ।
এই জায়গায় মাহবুব মোরশেদের ভুমিকা আমার পছন্দ হয় নি ।
যারা ব্যান খেয়েছিলেন তাদের মাঝে নেকাবধারী নিক খুব বেশি নয় ( যদ্দুর মনে পড়ে ) এবং তারা গালাগালিতে অভ্যস্ত কোন ব্লগার নন কিংবা গালাগালির কারনে তাদেরকে ব্যান করা হয় নি ।
এই অবস্থায় একজন রেগুলার ব্লগার মাহবুব মোরশেদ যখন এদেরকে ভুল পাঠ করেন , তখন বিরতিতে থাকা ব্লগাররা( যারা মাহবুব মোরশেদকে আমার বা আপনার মতো করে চিনেন না ) বিভ্রান্তিতে পড়ার অবকাশ থাকে যে এই প্রচারনা ইচ্ছাকৃত , এই প্রচারনা সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা ,এবং এই প্রচারনায় সিচুয়েশন তৈরীর মূল হোতাদেরকে আড়াল করার প্রয়াস আছে ।
ফলশ্রুতিতে মাহবুব মোরশেদের বিশ্বাসযোগ্যতা কারো কারো কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হয় এবং যেহেতু তিনি কিছু ব্লগারকে ভার্চুয়াল গুন্ডা লেবেল লাগিয়ে দেন , সুতরাং স্বাভাবিক ভাবেই তিনি একটি প্রতিপক্ষ তৈরী করে ফেলেন যারা তাকেও একটা লেবেল লাগিয়ে দিতে উৎসাহিত হয়ে পড়েন ।
আমার বক্তব্য হচ্ছে , এই যে লেবেল বা ট্যাগিং করা , সেই সুযোগটি কোন না কোন ভাবে সংশ্লিষ্ঠ ব্লগারেরই তৈরী কি না সেটা আপনার রচনায় আমি বিশদ ভাবে পাই নি ।
( চলবে )
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "ব্যক্তিগত পরিচয়ের জায়গা থেকে আপনি তাদের হয়ে স্বাক্ষ্য দিতে এসেছেন"
এক মানস ছাড়া কারও সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নাই। তবে এদের লেখালেখির সূত্রে চিনি। মামোর সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ হয়েছে, সামহোয়ারের সুবাদে।
এইতো।
মামোর তখনকার অবস্থান নিয়ে আমিও প্রশ্ন করেছি। বলেছি যে আপনার অবস্থান কেমন যেন কর্তৃপক্ষীয়সুলভ। কিন্তু এজন্য গোটা মাহবুবকে আমি বাদ দিব?
"আমার বক্তব্য হচ্ছে , এই যে লেবেল বা ট্যাগিং করা , সেই সুযোগটি কোন না কোন ভাবে সংশ্লিষ্ঠ ব্লগারেরই তৈরী কি না সেটা আপনার রচনায় আমি বিশদ ভাবে পাই নি ।"
এই অংশটা পরিস্কার হলো না।
৫৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:২৬
প্রণব আচার্য্য বলেছেন: আমি খুব কম ব্লগারকে দেখেছি জামাতীদের উদ্ভট আদর্শিক কথাবার্তাকে যুক্তি-তথ্য-ব্যাখ্যা দিয়ে খণ্ডন করতে...
আমারও একই পর্যক্ষেণ;
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রয়োজন আমাদের যৌক্তিক ব্যাখ্যা
৫৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:২৭
মিরাজ বলেছেন: আগের মন্তব্যে "ছাত্র-রাজনীতির খোলসের ভিতরের চেহারাটা দেখার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য দুটোই হয়েছিলো" হবে ।
বাইরের = ভিতরের ।
৫৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩০
জেনারেল বলেছেন:
আরে মিরাজ সাহেব দেখি আমার কলেজের (আমি ৯৭)......!!!!!!!!!!
শুধু এইসবই করছেন?? সাথে মোহনচাঁন আর যাদবের মিষ্টির দোকানে যান নাই?
যাই হোক, জাভেদ রে চিনতেন??
ছাত্রদলের জিএস ছিল।
৫৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩৭
ইয়র্কার বলেছেন: বস, আপনি বিজি থাকলে পরেও আলোচনা আগানো যাবে। আমি আর ঘন্টা দুয়েক আছি নেটে। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, আপনার সাথে আলোচনা করে জমানো যাবে। আপনি সময় দিলে কৃতার্থ হবো।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত আছি। আমি যেখানে আছি তখন দেড়টা বাজবে।
৫৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩৮
মিরাজ বলেছেন: @ জেনারেল
মোহনচান, যাদব ঘোষ আর সেই সাথে আলাউদ্দিনের মিষ্টি, যখন যতটা প্রয়োজন ছিলো । আর সেই সাথে (আপনারা বোধ হয় এটি পাননি) বলাকা, বিনাকা আর মল্লিকায় (মল্লিকা কেন বন্ধ হলো সেটা অনেকের আফসোস ) বিনাটিকেটে সিনেমা । কোন কিছুই বাদ যায়নি । আরো অনেক ব্যাপার আছে । নৈতিক দিক থেকে এখন কোনটিকেই সমর্থস করিনা কিন্তু তখন মনে হতো এর চাইতে সঠিক ও মজার কাজ দ্বিতীয়টি নেই ।
৬০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩৯
ভার্চুয়াল বলেছেন:
ফাহমিদ ভাই @ উল্টাপাল্টা নিকগুলোকে আপাতত খোঁয়াড়ে ভরে ফেলুন। পরে নাহয় মুক্তি দিয়েন। আলোচনাটা সুন্দর দিকে যাক।
তবে একটা কথা, আপনি বলেছেন, ''মাহবুবের ব্লগিং-এর যে ডাইভার্সিটি, যেকোনো ইস্যুকে বিশ্লেষণের যে ক্ষমতা, তা কয়জন ব্লগারের আছে?''
একটু ফিক করে হেসে ফেলেছি পড়ার পর। কারণ আপনি লিখেছেন যে ...
যাইহোক, পরে বিশদ আলাপ করব, পোস্টের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে।
৬১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪০
মিরাজ বলেছেন: আর হ্যা জাভেদ, জাভেদের গুরু পরে প্রতিপক্ষ হারুন এদের সবাইকেই চিনি । এদেরও আমাকে নাম ধরে চেনার কথা , অবশ্য এতদিন পরে যদি মনে থাকে ।
আমরা ছিলাম থকনকার জি এস পরে সভাপতি মিন্টু গ্রুপের (গোপালগন্জ বাড়ী)
@ জেনারেল ।
৬২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪০
ডাক্যাইত বলেছেন: @ সু-শান্ত
তোমার অপচেষ্টাটা দেখছি। তোমার ধর্মীয় মূল্যবোধ এত শার্প হৈল কবেত্থন? কৌশিকের মতো হেদায়েত ঘটছে নাকি তুমার?
৬৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪৩
বিগব্যাং বলেছেন:
...ধন্যাবাদ...
অতএব, আমি ভুল/মিথ্যা বলেছি (যেহেতু আমি প্রমাণ করতে পারবো না)...
...ক্ষমাপ্রারথণা করছি/মাপ চাচ্ছি/ ভুল সিকার করছি...
৬৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪৬
হ্যারি সেলডন বলেছেন: বিগব্যাং কে ক্ষমা করা হোক। প্রমাণ ছাড়া কথা বলা ঠিক না।
৬৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৫৭
বাফড়া বলেছেন: সুন্দর লিখা। আমি পিচ্চি পোলা। এইসব বড় লেখায় মন্তব্য করতে নেই জেনেও করে ফেলছি। মিরাজ ভাইয়ের ব্যাপারে আমার বক্তব্য রাইসুর পোস্টে করা আমার কমেন্ট থেকে কপি করছি-
''আর আমি মিরাজ ভাইয়ের অবস্হানে কোন ঘোলাটে কিছু দেখিনা। এত কিছুর পরও ( আামদের ইতিহাস নিয়ে এত দারুন দারুন পোস্ট লিখার পরও) মিরাজ ভাইয়ের কথায় ঘোলাভাব পেলে কিছু করার দেখিনা।
আপনি যদি নীতই বা তত্ব ঠিক রেখ চলতে যাই তবে অবশ্যই আপনাকে র্যাডিকেল/এক্সট্রিম পথ এভয়েড করতে হবে যেটা মিরাজ ভাই করছেন। আপনি নীতি মানলে আপনাকে একটা প্রসেসের মাঝ দিয়ে এগুতে হবে যেটা আামকে করতে হয়না।
আমি আমার হ্রদয়কে গুরুত্ব দিচ্ছি তাই আমাকে ঝট করে বলতে গিয়ে বাধা পেতে হয়না আর জামাতীরাও আমাকে থ্যান্কু দেয়না। কিন্তু মিরাজ ভাইআকে তার প্রসেস / নীতি ফলো করতে হয় তাই তার পক্ষে আসলেই সম্ভব না আামর মত আবেগপ্রবণ হওয়া। এইসবের ফাকে তার অবস্হান ঘোলাটে হয়ে যায় বলে আামর মনে হয় না।
আর মনে হয়না একজন শিক্ষকের উচিত হবে আমাদের মত আচরন করা। উনি যা করছেন তা ঠিকই করছেন ''।
কথা ঠিক যে মামো'র লেখায় ডাইভারসিটি আছে, কিন্তু তার লেখা আজকাল আর পড়িনা; তার ব্যাপারে কোন অভিমত বা কমেন্ট জানাইনা কোথাও।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০৩
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: আসলে এই ব্লগে একটা বিরাট ক্রিটিকাল সময় গেছে জুন ২০০৭ এ ... যুক্তিঞ্চ নামক এক ব্লগারের নবীকে গালমন্দ করা একপোষ্ট ব্যান করা নিয়ে ঘটা সমস্যার পর থেকে এই ব্লগের প্রেক্ষাপটই পাল্টে গেছে ... সে সময়টায় যদি আপনি ব্লগে না থাকেন, তাহলে পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করা আপনার জন্য বেশ কঠিন হয়ে যাবে ... ঠিক যে ইস্যুতে রাইসু বা মাহবুব মোর্শেদ আজ এটিমের প্রতিপক্ষ ... একই ইস্যুতে কিন্তু মিরাজ ভাই প্রতিপক্ষ না ... আবার মানস চৌধুরীর প্রতিপক্ষ হয়ে যাওয়াটাও ভিন্ন কারণ ... এবং আমার অবজারভেশন হলো মানস চৌধুরীর মতো যারা ব্লগে আসবেন এরপরও, তারাও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন ... ব্লগের রাজনীতিটা বেশ জটিল হয়ে গেছে ... নানান প্ল্যাটফর্ম থেকে একে অন্যের মাথায় হাতুড়ি মেরে মারছে, আবার কাঠাল ভেঙেও খাচ্ছে
তবে সামহোয়ারের এখনকার যেই স্ট্যান্স, এটা বেশ অপটিমাইজড ... এই স্ট্যান্সে তারা যত আগে আসত, ব্লগের এই রেষারেষি/ ব্যাক্তিকেন্দ্রিক কোন্দল এসব তত কম হতও ...
ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ব্লগটা এখন নিজের মতপ্রকাশের চেয়েও একটা হালকা বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে
যাই হোক, হ্যাপি ব্লগিং
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে কিছু জানলাম, শিখলাম। পছন্দ হলো।
৬৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০১
মিরাজ বলেছেন: বিগ ব্যাং, এভাবে হুটহাট করে নানান থিওরী হাজির না করলে কি হয়না?? বিশ্ববিদ্যালয়ের পর কলেজ, এরপর কি স্কুল? অবশ্য স্কুল জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে একটু হোমওয়ার্ক করে নিয়েন । যা ইচ্ছা তাই বলে তারপর প্রমাণ করতে পারবোনা বলে ক্ষমা চাওয়াটা খুব ভালো দেখায়না ।
ভালো থাকেন আর গোয়েন্দাগিরি করতে চাইলে একটু ঠিকমতো করেন ।
৬৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২১
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহমিদুল হক। আপনি আমার খুবই পছন্দের একজন লেখক। তবে এই পোস্টে আমি সেই মুগ্ধতা সরিয়ে রেখে আলাপ করার ইচ্ছে রাখি।
আপনি চারজন রাজাকারসমর্থক সুশীল ব্লগারের তালিকা তুলে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত সেই পোস্টটিতে মানস চৌধুরীকে অনেকেই দেখলাম সামহোয়ারের পাঠ দিয়েছেন। তবে সেই কুরুক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় এধরনের শ্লোক আত্মস্থ করাটা কঠিন বৈকি। তালিকার চারজন সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত পাঠটাও তুলে দিতে চাই।
ব্রাত্য রাইসু আমার বন্ধু মানুষ। খুব কম মানুষেরই সম্ভবত রাইসুর সঙ্গে তার আনা দুপুরের খাবার ভাগাভাগি করে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, আমি তাদের একজন। আমার কম্পিউটার সম্পর্কে যা কিছু জ্ঞান রাইসুর সুবাদে। আমার সামহোয়ারে নিবন্ধন রাইসুর সুবাদে। দীর্ঘদিন আমরা সহকর্মী। প্রথম আলোর মতো যায়যায়দিন এবং এখন বিডিনিউজেও আমাদের ডেস্কের ব্যবধান তিনফুটই রয়ে গেছে। সামহোয়ারে রাইসুর অবস্থান যথেষ্টই ঘোলাটে। শুরুতে একদল ব্লগার তাকে নিয়ে বেশ মজা করেছেন। রাইসুর রাইসু স্টাইলেই সেগুলি অবজ্ঞা করে নিজের মতো লিখে গেছে। আজ খানিক আগে যখন তারে সেদিনের পোস্টের মর্ম জিজ্ঞেস করলাম, বললো মদ খেয়ে আসছি, ঘুমাইয়া গেছিলাম। পরে দেখি মানস ওখানে তর্ক করে গেছে সকাল পর্যন্ত। কথাটার অর্থ এই নয় যে মাতলামীর সুবাদে রাইসু তার সবচেয়ে হিট পোস্টটি দিয়েছে যাতে তার কোনো অংশগ্রহন নেই। বাস্তবতা হচ্ছে রাইসুর ওই সময়ে ওই পোস্টটি দেয়ার উদ্দেশ্যই ছিলো নজরকাড়া। ওয়ামী তার ভালো বন্ধু, সেজন্য এই সুপারিশ পোস্ট- এই কথা আমি সেখানে লিখেছি। পাশাপাশি এটাও যোগ করতে চাই এই ধরনের ছেলেমানুষী জানতে চাওয়া রাইসুকে মানায় না। রাইসু নিজে ফোরাম চালান। বিডি নিউজে আর্টস সম্পাদনায় আছেন। সামহোয়ারে বড় ধরনের নীতিনির্ধারনী অনুষ্ঠানে ডাক পান। তার খুব ভালো করেই জানা আছে এই প্রশ্নটা জানতে চাইলে কার কাছে তাকে জানতে হবে। ধরে নিচ্ছি ইট ওয়াজ পিউর ফান। উপজাত হিসেবে আমরা বেশ কিছু জবাবদিহিতা চাওয়া পোস্ট পাচ্ছি। রাইসু প্রসঙ্গে এর বাইরে এটুকুই বলবো যে সামহোয়ারে ব্যক্তিগত কারণেই তার ঘনিষ্ঠতা এমনদের সঙ্গে যারা এই ব্লগে স্বাধীনতার বিরোধী পক্ষ, জামাতের কর্মী সমর্থক হিসেবে পরিচিত। সেই ঘনিষ্ঠতা রাখতে রাইসুকে মাঝে মাঝেই এ ধরনের সুপারিশের পোস্ট দিতে হয়। তাই তালিকায় তার থাকাটা অন্যায় ঠেকছে না। (চলবে)
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ব্যক্তিগত কারণেই তার ঘনিষ্ঠতা এমনদের সঙ্গে যারা এই ব্লগে স্বাধীনতার বিরোধী পক্ষ, জামাতের কর্মী সমর্থক হিসেবে পরিচিত। সেই ঘনিষ্ঠতা রাখতে রাইসুকে মাঝে মাঝেই এ ধরনের সুপারিশের পোস্ট দিতে হয়।"
মারাত্মক তথ্য।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: পাশাপাশি এটাও যোগ করতে চাই এই ধরনের ছেলেমানুষী জানতে চাওয়া রাইসুকে মানায় না।"
ইন্টারেস্টিং।
অনেক কিছু জানা গেল। ধন্যবাদ।
৬৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০৩
তীরন্দাজ বলেছেন: ভাচুয়াল মুক্তিযোদ্ধা শব্দটায় আমারও চরম আপত্তি রয়েছে। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা এই ব্লগে কই, বয়েসের কারণেই বলছি। এরাই হয়তো সে সময় হলে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তেন। এ শব্দটি জামাতীরা ব্যবহার করে তাদেরকে নির্দেশ করে, যারা মুক্তিযুদ্ধকে নিজের যুদ্ধ হিসেবে দেখে এ দেশের স্বাধীনতাকে সন্মান করে। তাদের চোখে আপনিও ভাচুয়াল মুক্তিযোদ্ধা। পোষ্টের অনেক বিষয়ের সাথে একমত। তবে বক্তব্য বেশ কিছুটা একপেশে মনে হয়েছে।
আমি নিজেও জাতীয়তবাদী উন্মাদনায় বিশ্বাসী নই। কিন্তু যেখানে একটি দেশের আজন্ম লালিত স্বাধীনতার উপর কালি ছিটানো চলে অবিরত, যখন তা বিপন্ন, সেখানে ঐ মুহুর্তে আমি নিজেও জাতীয়তাবাদী। সে যুদ্ধ শেষ হলে অবশ্যই তখন জাতীয়তাবাদী চিন্তা বাদ দিয়ে চোখ মেলে সারা বিশ্বের দিকে তাকাবো। ব্রাত্য রাইসুর জাতীয়তাবাদীহীন চিন্তায় আমি শ্রদ্ধাশীল হলেও বলবে এটা সময়োপযোগী ছিল না ও ওয়ামিদের শক্তিশালী করেছে।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ব্রাত্য রাইসুর জাতীয়তাবাদীহীন চিন্তায় আমি শ্রদ্ধাশীল হলেও বলবে এটা সময়োপযোগী ছিল না ও ওয়ামিদের শক্তিশালী করেছে।
এই কথাটা ঠিকই।
৭০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০৩
মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন যেভাবে কিছু অসহনশীল মাস্তানের হাতে ফ্যাসিস্ট রূপ পেতে যাচ্ছে তার প্রাথমিক প্রকাশটা ব্লগেই দেখতে পাচ্ছি। আমার অনুমান, এটি আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সাহায্যে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে আগাবে ভবিষ্যতে। এই সংঘর্ষের জন্য এই সুবিধাবাদীরা প্রস্তুত বলে মনে হয় না। কিন্তু এর ফল তুলতে তারা সদাই প্রস্তুত। তারা একের পর একটা সুযোগ মোল্লাদের হাতেই তুলে দিচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বা ব্লগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পবিত্রতাকে অক্ষুণ্ণ রাখায় আমি সমস্য বোধ করি না। আমি এ দাবিগুলোকে সাপোর্ট করি। কিন্তু, কিছু ব্যক্তি যখন নিজেদের সকল অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে তখনই সমস্যা বাধে। আমাদের রাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের যে মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা, এবং তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে ফ্যাসিজম তারই ব্লগীয় রূপ হলো : এ টীম, ভার্চুয়াল গুণ্ডাদের চক্র, ব্লগীয় হুমকি-ধামকি ও মাস্তানীর চক্র। এই আন্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলা খুব জরুরি।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি আপনার মতো বিরুদ্ধঅবস্থানে নেই। আমি এখনও আলোচনার পক্ষপাতী। আমি কিছু আহ্বান জানিয়েছি।
৭১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০৮
মানস চৌধুরী বলেছেন: মিরাজ, আপনার ধীরে ধীরে ছাত্রদলীয় অতীত নিয়ে তলোয়ার চালানো দেখে আমি যারপরনাই পুলক অনুভব করছি। তুবড়িবাজদের একজন আপাততঃ ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু যদি, আল্লাহ না করুন যদি সত্যি সত্যি একজন শিবির/জামাত করতেন তাহলে আর সারাজীবন সেই অবস্থান বদলানো সম্ভব নয়? এটা তো ভাল গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়।
যাহোক, ৯৩'র দিকে আপনার সঙ্গে পরিচয় ঘটলে, আমি নিশ্চিত, ওটা বাজে একটা মুলাকাত হতো। :-) ..আল্লাহ যা করেন ভালর জন্যই।
আমি ৩ দিনে যত গালি খেলাম তাতে মনে হচ্ছে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারটা আগে বলে দিলে ভাল হতো। নাকি এতেই ভাল হলো? অন্ততঃ কিছু নিক-নামা পরিচয় হলো। নতুন ব্লগার হিসেবে এটা ভাল অর্জন।
আমার মেইলের উত্তর করেন। (হুকুম না, অনুরোধ)
৭২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:১১
তীরন্দাজ বলেছেন: আরো কিছু কথাবলতে চেয়েছিলাম। জেবতিক বলে দিয়েছেন সব। তার সাথে পুরো সহমত!
৭৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:১৪
এস্কিমো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনে একটা ভুল করলেন। সেইটা হলো - মানুষ চেনার মতো যথেষ্ঠ অভিজ্ঞতা (জ্ঞান বলছিনা) হয়েছে বলেই বিশ্বাস। আর আপনার সোজা সরল ভাষায় লেখাটার জন্যে আপনার উপর থেকে শ্রদ্ধা হারাবো এমন কল্পনাও করিনা। আপনাকে চিনতে ভুল করিনি।
একজন মানুষের কাছে অন্যের একটা মাত্রায় চাহিদা থাকে। একজন মুক্তমনা শিক্ষক হিসাবে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর নির্যাতনের বিপক্ষে আপনার সুস্পষ্ট কন্ঠ শুনেছি - তখন থেকেই আপনার উপর শ্রদ্ধা এসে গেছে। আমি বাংলাদেশের মানুষ। কর্মক্ষেত্রের নোংরা দলাদলী আর পেশাগত ভবিষ্যত বিবেচনায় এই ধরনের সুস্পষ্ঠ অবস্থান গ্রহন কত্র কঠিন সেইটা আমার কাজে বোধগম্য।
ঠিক একই দৃস্টিভঙ্গীতে যদি মিরাজের অবস্তান দেখি ( যিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ঘোষনা দিয়ে ব্লগিং করেন) - তিনি ব্যক্তিগত জীবনের সীমা অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে। যা প্রকারান্তরে সুবিধাবাদী।
একটা কথা বলা জরুরী - আমরা যতটা আবেগ নিয়ে কথা বলি - শিবিরের কর্মীরা তার উল্টোটা। কারন তাদের টিকে থাকার প্রশ্ন। সামাজিক ভাবেই বলুন আর ব্লগেই বলুন। তারা কিন্তু মিরাজকে চিনতে ভুল করেনি। বা মিরাজ জামাত/শিবিরকে গুড বুকে রেখেছে - সেইটা যেভাবেই হোক। মিরাজ আক্রান্ত হয়েছে (আমিও আংশিক দায় নিচ্ছি) মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্লগারদের দ্বারা - যদিও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ব্লগিং এ উনি অন্যতম। কোন একজন শিবির তাকে একটা কটু কথা বলেনি। কারন কি?
সেইটা গবেষনার জন্যে কোন উচ্চতর ডিগ্রী দরকার নেই - উনার প্রথম দিকের পোস্গুলো দেখলেই পরিষ্কার হবে। যেখানে উনি যতটা ব্লগের গালি ( যার ভিকটিম শিবিরের কর্মীরা) নিয়ে সোচ্চার - যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে ততটাই নমনীয়। যা সম্ভবত শিবিরের কাছে উনাকে "বাবুরামের সাপ" হিসাবে উপস্থাপিত করেছে।
অন্যদিকে - আমি প্রতিদিন শতশত গালি মুছে বিরক্ত হয়ে প্রায় শতাধিক নিককে ব্লক করে রেখেছি। আমি নিজে কোন দিন গালি দেইনি - কিন্তু গালির ভিক্টিম।
একই যাত্রায় দুই ফল দেখতে পাচ্ছেন কি?
মাহবুব মোর্শেদ সস্পর্কে তেম কিছু বলার নেই - শুধু একটা বিষয় বলবো - উনার ব্লটা আবার দেখেন - দেখবেন উনার নিজের পোস্টগুলোই উনা প্রিয় পোস্টে ঝুলানো আছে। এতে যদি কিছু বুঝায় - উনি সেটাই। আর একটা ঘটনা লক্ষ্য করছিলাম - উনি একটা গান ভুল ভাবে ব্লগের শিরোনাম করায় আপনি উনাকে সেইটা ঠিক করতে বলেছিলেন, উনি কি ঠিক করেছিলেন? ( ইগোর বিষয়টা কিনতু মারাত্বক)।
ব্রাত্য রাইসু ছিলেন আমার প্রিয় লেখকদের একজন। কিন্তু উনার উলঙ্গ রাজাকার প্রীতি আমাকে হতাশ করেছে। এউ লাইনে হাটার মানুষ উনি প্রথ না - আগেও অনেকে হেটেছেন। সুতরাং বিদ্যান দুর্জন হলে পরিত্যাজ্য - সেই মতবাদের উপর আছি।
শেষ কথা হলো - রাজাকারদের চেনা যায় - লড়াই করা যায় - কিন্তু মুখোশধারী সুশীলদের নিয়ে বিরাট ঝামেলা। আর সুশীলদের হিপোক্রেসী সহ্য করা সত্যই কষ্টকর।
অনেক লম্বা কমেন্ট করলাম। আশা করি ক্ষমা পাবো।
বি:দ্র: "মুক্তিযোদ্ধাদের 'সিংহের (নাকি বাঘের?) মুখোস পরা কুকুর'-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।"
আপনি একটু ভুল করেছেন এখানে। সে প্রথম সরাসরি "কুকুরের কাজ কুকুর করেছে" শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলো। যথারীতি গালির নহর বইতে শুরু করে - কিন্তু কমেন্ট মডারেশনের সুবাদে আমরা দেখিনি সেগুলো। রাগিব কঠিন প্রতিবাদ করলে - সে তার অব্স্থানকে আরো আরো ষ্পষ্ট করে এবং মুক্তিযুদ্ধাদের শাররিক ও মৌখিক ভাবে লাচ্ছিত করার হুমকী দেয় এবং শিরোনাম পরিবর্তন করে ভিতরে এই কথাগুলো লেখে। অবশ্য শিবিরের কর্মীদের বদৌলতে এখন সত্যের অনেক ভার্সঅন তৈরী হয়েছে।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনিও আমাকে পাস করিয়ে দিলেন। প্রিয় মানুষদের হারাতে কে চায়? সেই আশঙ্কা থেকেই ওভাবে বলা।
মিরাজ, মামো বা রাইসুর ব্যাপারে আপনার এসেসমেন্টের সঙ্গে আমার খানিক পার্থক্য আছে।
সেটা থাকুক।
আর ওয়ামীর পোস্টটির প্রেক্ষাপট এতটা আমার জানা ছিলনা। আমি রাগিব ভাইয়ের ওখান থেকেই জানি। ধন্যবাদ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব সেই শিরোনাম ঠিক করেছেন।
প্রিয়তে নিজের সব লিঙ্ক রাখার একটা মানে তো দাঁড়ায়। সেটা আমি দেখেছি এবং ওভারলুক করেছি।
৭৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২৬
আরিফ জেবতিক বলেছেন:
(পূর্ববর্তী কমেন্টের দ্বিতীয় অংশ )
আমি আগেই বলেছি যে ব্যক্তি যখন তার নিজের ভাষা দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অক্ষম হোন , তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার দায়ভার তাকেই নিতে হয় , সেই দায়ভার পাঠকের নয় ।
সুতরাং মাহবুব মোরশেদকে রাজাকারি চেতনা ধারী বলার জন্য আপনি যাদেরকে অভিযুক্ত করেন , আমি তাদেরকে সমভাবে ও সম গভীরতায় অভিযুক্ত করতে পারি না । ভুল পঠনের দায়ভার শুধু পাঠকের উপর বর্তায় না , সেই দায়ভার লেখকেরই থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ।
এবার আসা যাক মানস চৌধুরীর বিষয়ে ।
ব্রাত্যের পোস্টে উনার প্রথম কমেন্টটি যথেষ্ঠ পীড়াদায়ক । উনার সাথে তর্কে প্রবৃত্ত হতে আগ্রহী ছিলাম না এবং সময়ের অভাবে সেটাকে এড়িয়ে গেছি ।
তার লেখা পঠনে আমার মুগ্ধতা রয়েছে কিন্তু উনার যুক্তিবোধ আমাকে মুগ্ধ করে নি । তিনি যেটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা হচ্ছে যে
ব্লগাররা ব্যক্তি জীবনে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না , শুধু কম্পিউটারকে হাতের মুঠোয় পেয়ে এইখানে রাজাকার নিধনে নেমেছেন । এই ধরনের সার্টিফিকেট বিতরনকারী জ্ঞান আদতে খুব একটা উপকারে লাগে না । রাসেল ( ........) এই প্রসঙ্গে বলেছেন সেখানে , তাই আর কথা বাড়াই না ।
তবে এখানের যেসব ব্লগারদের সাথে আমার যোগাযোগ আছে , তাদের অনেকেই যে ছাত্র জীবনে শিবির তাড়ানোতে , ব্যক্তিজীবনে জামাতকে প্রতিহত করতে বেশ কামিয়াব ছিলেন , তার প্রত্যক্ষদর্শী আমি নিজে ।
আমার নিজের জীবন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষাবছর হারিয়ে গেছে কারন পরীক্ষার দিন শিবিরের কারনে আমি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারি নি ।
আর যারা রাজপথে সেই অংশগ্রহনে ছিলেনও না , তারাও যে ইন্টারনেট মিডিয়ায় জামাত এর মতবাদকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসতে পারবেন না , সেটাও মনে করি না ।
এই প্রেক্ষিতে মানস চৌধুরীর সাথে দ্বিমতে যাওয়া এবং তর্কে যাওয়া ব্লগারদের সংখ্যা কম নয় । ( আমি তাদের ভাষার ও রুচির বিষয়ে সন্দেহ পোষন করতে পারি , কিন্তু তাদেরকে এক তরফা দোষ দিতে পারি না )
মিরাজ প্রসঙ্গে আমার কোন বক্তব্য নেই , কারন আমি তার লেখা খুব একটা পড়ে দেখি নি তাই মন্তব্য করা উচিত হবে না । তবে উনাকে রাজাকার ট্যাগ যারা লাগিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই এই পোস্টে বা অন্য কোথাও সেটাকে বিশ্লেষন করে দেখাবেন , তাহলে আমাদের সবার পক্ষে ( মিরাজেরও ) বুঝতে সুবিধা হবে ।
যাক , শেষ কথায় বলতে হয় , ফাহমিদ , আপনার এই পোস্টের
ধরন ও বক্তব্য আমার কাছে একতরফা , একপেশে মনে হয়েছে ।
তাছাড়া ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা বা অবসেসড জাতীয় যে শব্দগুলো আপনি ব্যবহার করেছেন সেগুলোও তর্কের জন্য কোন সুবিধাজনক বিষয় নয় এবং আপনার পর্যবেক্ষনে প্রাক পক্ষপাতিত্বকেই পরিষ্ফূট করেছে বলে আমার ধারনা ।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে। আপনার পছন্দ হয় নাই, সেটা স্পষ্ট করে বলার জন্য ধন্যবাদ।
তবে প্রাক পক্ষপাতিত্ব ঠিক কী বোঝায় জানিনা। চারজনের কেউই তো আমার পেয়ারের কেউ না। মানসের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক। বাকিদের সঙ্গে তাও না।
২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপাতত বিদায় নিচ্ছি। কালকে আলাপ হবে।
৭৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:১৭
বিগব্যাং বলেছেন: তার মানে আপনি (ঢাবিতে) কখনো কারো কাছে আপনার কলেজজীবনে শিবিরসংশিলিশটও থাকার কথা সীকার করেননি?@ডক্টর মিরাজ স্যার
৭৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২৮
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: তালিকার দুই নম্বর জায়গায় থাকা মাহবুব মোর্শেদকে আমি একজন পা-চাটা দালাল বলেই মনে করি। এই দালালী আর পা চাটা আমি নিজে দেখেছি বলেই আমাকে কথাটা বিশ্বাস করার জন্য কারো ধার ধারতে হয়নি। যায়যায়দিনে রাইসুকে দিনের পর দিন তেল মেরেছেন এই মাহবুব মোর্শেদ। সেই তেল এখনো তার শুরুর দিকে পোস্ট বেয়ে বেয়ে পড়ছে। রাইসু তাকে চাকুরি দিয়েছেন সহকারীর। পরে রাইসু যখন চাকুরী হারালো মোর্শেদ তার জায়গা নিয়েছেন। এরপর তার ভিন্ন রূপটাও দেখা হলো। তো পেটেভাতে টিকে থাকতে এ ধরনের দালালীতে আমি আসলেই অন্যায় দেখি না। অনেক দেখেছি। একটু ভালো থাকার জন্য এ ধরনের দালালীতে আমি নিজেও হয়তো না করবো না। কি জানি অবস্থা তেমন হয়নি বলেই হয়তো করিনি।
মাহবুব মোর্শেদের এই চরিত্র আমার জন্য বাস্তব জীবনে কোনো সমস্যার সৃষ্টি করেনি। কিন্তু ব্লগে তার এই চরিত্রের প্রভাব রেখে উনি এই স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটির হাতকে শক্তিশালী করার ব্রত নিয়েছেন। তিনি ঢালাওভাবে এখানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করাদের আওয়ামী লিগ বলেন, ভার্চুয়াল গুন্ডা নামের একটা বিশেষণও আবিষ্কার করেছেন। তবে মোর্শেদ এমন কোনো চ্যাটের বাল এখনও হয়ে উঠতে পারেননি সামহোয়ারে। তাই তাকে নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না আমরা। কিছু দুষ্টু পোলাপান তারে নিয়া মজা করে, এটুকুই। তার যে দালালীর কারনে তিনি সামহোয়ারে সাধারন ব্লগারদের শ্রদ্ধা হারিয়েছেন সেটার কথা জেবতিক আরিফ বলেছেন তাই পুনরাবৃত্তিতে গেলাম না। (চলবে)
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:০৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মাহবুব মোর্শেদের পেশাগত জীবন, ব্যক্তিচরিত্র সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নাই।
তার লেখার ভিত্তিতেই তাকে মূল্যায়ন করি। মামোকে নিয়ে আপনি মাথা না ঘামালেও আমি মূল্য দিই। তার গল্পসহ অনেকগুলো পোস্ট আমার খুব ভালো লেগেছে: যেমন তসলিমাকে নিয়ে, প্রত্নসম্পদ প্রদর্শনী নিয়ে, এবং বর্তমান আর্মি ব্যাকড সরকারের নানা ইস্যু নিয়ে।
সাধারণ ব্লগারদের শ্রদ্ধা হারানোর বিষয়টি আমি জানি। এটা আমার খারাপ লেগেছে, তার কী কী পদক্ষেপের কারণে এমনটা হয়েছে, তার পোস্টে আমি বলার চেষ্টা করেছি।
আমি বিশ্বাস করি,
তিনি জামাতী না (জামাততোষণকারী বলতে যা বোঝায় তাও না)
তিনি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী না
তার পোস্ট পড়ে আমার এটা মনে হয়েছে।
কেবল আপনার বা আরাশি বা অন্যদের ব্যানের সময় তার তৎপরতা আমারও পছন্দ হয়নি। এখান থেকে আপনাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক বিদ্বেষমূলক হয়েছে, এটা বেড়েছে।
তার আগে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার ছিলেন বলে জানি। তার পুরনো পোস্টে তার প্রমাণ আছে।
৭৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২৫
মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এস্কিমো,
দেইখা কথা বইলেন।
৭৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২৬
এস্কিমো বলেছেন: ধমক দিলেন নাকি? @মামো
৭৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৯
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: মিরাজকে শুরুতে আমি জামাত-শিবিরের একটা নিক মনে করতাম। সে কারনে তাকে শুরুতে পিএইচডি মিরাজ বলে ডাকতাম। পরে আমি আমার ভুল সংশোধন করে ক্ষমা চেয়েছি তার কাছে। তার সঙ্গে আমার সেই অর্থে কোনো সংঘাত নেই। অনেকের অভিযোগ বিতর্কিত ইস্যুগুলোতে মিরাজ কোনো মতামত রাখেন না। হালের ওয়ামীর ব্যান নিয়ে বা ঘটনার পর জামাতিদের ঢালাও বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই (এমনকি তাকে গালি দিয়েও লিখেছে)। আরেকটা ঘটনা যাতে এস্কিমো নামে একজন ব্লগারের একটা পোস্টে ভুল থাকায় সেটা আলাদা পোস্ট দিয়ে ভুল লিখেছেন বলে পোস্ট করেছেন মিরাজ। প্র্যাকটিসটা দৃষ্টিকটু। মিরাজ এস্কিমোর পোস্টের মন্তব্যে গিয়ে সংশোধনটা করে দিতে পারতেন। তা করেননি। সুবাদে যেটি হলো এস্কিমো ভুল ইতিহাসের পাঠ দেন বলে মিলাদের মিষ্টির মতো পোস্ট ছাড়লো জামাতিরা। তবে তাকে জামাতিঘেষা সুশীল মানতে আমার আপত্তি আছে। ইনফ্যাক্ট মিরাজ সম্ভবত বিতর্ক এড়িয়ে থাকতে পছন্দ করেন। এই অবস্থানটাই অনেকে অনেকরকমভাবে ব্যাখ্যা করে তাকে বিতর্কিত করেন।
মানস চৌধুরীর সঙ্গে আমার খুব বেশী ইন্টার অ্যাকশন হয়নি। তার প্রতি যথেষ্টই শ্রদ্ধা আছে। সেদিন মানস সম্ভবত তার পরিচিতদের পক্ষ নিতে গিয়ে ওই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। তালিকা থেকে তিনিও বাদ।
এরপর বলবো এই ব্লগের বিবর্তন নিয়ে যা এই ধারাগুলির জন্ম দিয়েছে (চলবে)
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকই তো।
৮০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৩
মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: পিয়াল,
তিন টাকার শোধ আর কত নিবেন। আইসেন একদিন টাকা তিনটা নিয়া যাইয়েন।
৮১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৪
মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন: এস্কিমো,
আপনেরে ধমক দিবো?
আপনের কথার গুরুত্ব দিলাম।
৮২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪৭
মাহবুব সুমন বলেছেন: আপনার পোস্টে আপনি ৪ জনের নাম উল্লেখ করেছেন, যাদের রাজাকার তোষনকারী সুশীল বলা হয়েছে। তবে ব্লগে এ ধরনের ব্রান্ডিং হুট করে করা হয় না, যদিও এ ধরনের একতরফা ব্রান্ডিং করাটাকে আমি সমর্থন করতে পারছি না।
ব্লগে ব্রাত্য রাইসু ও মাহবুব মোরশেদের ভুমিকা জামাতি রাজাকারদের পক্ষে গিয়েছে এবং উনারা সেটা উপভোগ করেছেন, এই উনারাই দেখা যাবে মুক্তবুদ্ধি/মুক্তচেতনা বা মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে জ্বালাময়ী লেখা ব্লগে দিয়েছেন। মুলত ব্লগীয় আচরনে এদের দুজনকে আমার সুবিধাবাদী চরিত্র বলেই মনে হয়।
ব্রাত্য রাইসুর অবশ্য শো অফ টেন্ডিন্সি কাজ করে অনেক সময়ই। হয়তো উনি সিডরের সময় রিলিফ না দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মুলক লেখা দিয়ে একটা দৃস্টিআকর্ষন মুলক লেখা দিয়ে বিতর্ক স্মৃস্টি করে মনিটরের সামনে বসে মিটি মিটি হাসবেন। মামোর ব্যাপরাটাও একই রকম, সুবিধাবাদী আচরন। উনার উপর ব্যক্তিগত আক্রমনটাকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে জামাতিদের কোলে বসতেও আপত্তি করেন নাই, এ বিষয়ে উনার ব্যাক্তিগত সমস্যাই বেশী করে দেখেছেন।
মিরাজের ক্ষেত্রে যা বলা হয়েছে সেটা উনার প্রকাশ ভংগি ও স্পস্টবচনে সমস্যা। এটা উনার লেখার প্রথম অংশে প্রকাশিত হয়েছে যা উনাকে বিতর্কিত করেছে। অবশ্য হৈমন্তি মরিয়া প্রমান করিল সে মরিয়াছের মতো উনাকেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দারুন সব লেখা দিয়ে প্রমান করতে হয়েছে উনি জামাতি না।
মানস চৌধুরি সম্পর্কে বলতে পারছি না, উনাকে ব্লগে নতুন হিসেবে পেয়েছি।
তবে উপরের ৪ জনের কাউকেও আমি জামাতি বলতে পারছি না। প্রথোমক্ত ২ জন সুবিধাবাদী চরিত্রে, ঠিক পানির মতো। যে গ্লাসে ঢালবেন সেই গ্লাসের আকার ধারন করবেন।
প্রত্যেকরই নিজস্ব চিন্তা-চেতন বা কার্যধারা থাকে। কেউবা আলোচনায়, কেউবা যুদ্ধে আবার কেউবা আপোষে। আপোষে নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দেবার গ্রুপ ছাড়া অন্য দুদলকে জামাতি বা রাজাকারতোষনকারী বলতে পারছি না। হয়তো মিরাজ আলোচনা-যুক্তিতে বিশ্বাষ করেন , হয়তো আমি যুদ্ধে বিশ্বাষ করি। এ পন্থার পার্থক্যের জন্য আমরা একে আরেকজনকে ভুল পথের সৈনিক বলতে পারি না। তবে ভবিষ্যতই বলে দেয় কে ভুল পথে আছে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:০৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "তবে ব্লগে এ ধরনের ব্রান্ডিং হুট করে করা হয় না"
মানস চৌধুরীকে তাই করা হয়েছে।
৮৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৬
বোঘদাদি হেকিম বলেছেন: মামো কাম ব্যাক উইক
৮৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৭
এস্কিমো বলেছেন: দেখলাম - @মা.মো
আমার প্রিয় পোস্ট
পাকিস্তান, পারভেজ মোশাররফ, গণতন্ত্র ও প্রগতিশীল আর্মি - মাহবুব মোর্শেদ
ছোটদের অর্থনীতি অথবা কয়দিন ধরে যা কিছু কথা ভাবতেছি - মাহবুব মোর্শেদ
একটি চিঠি... ভাস্করদা ও সুমন ভাইকে - মাহবুব মোর্শেদ
এখানেও আমরা ব্যর্থ হবো? - মাহবুব মোর্শেদ
একটি বাসি বিজ্ঞাপন - মাহবুব মোর্শেদ
একটি গল্পের পরীক্ষামূলক উতক্ষেপন : জিসম # মাহবুব মোর্শেদ - মাহবুব মোর্শেদ
বুনুয়েলের বুর্জোয়া - মাহবুব মোর্শেদ
এই ছবি আমি তুলেছি - মাহবুব মোর্শেদ
প্রেমেক্কার শ্বশুর বাড়ি - মাহবুব মোর্শেদ
তুই ...রে ব...সন্ত সমী...রণ - মাহবুব মোর্শেদ
ফাদার গাস্তঁ রোবের্জের সাক্ষাৎকার - মাহবুব মোর্শেদ
তারেক মাসুদের সাক্ষাতকার - মাহবুব মোর্শেদ
টেগোর ইন দ্য টাইম অব এমার্জেন্সি - মাহবুব মোর্শেদ
বহুদিন পর আবার হরিদাস পাল - মাহবুব মোর্শেদ
কবি আল মাহমুদের সাক্ষাতকার - মাহবুব মোর্শেদ
ব্লগে পোস্টিংয়ের স্লথগতি - মাহবুব মোর্শেদ
সামহোয়ার, ইলেকট্রনিক মোল্লা, ভার্চুয়াল মুক্তিযুদ্ধ ও লেখক যশোপ্রার্থীদের তড়পানি - মাহবুব মোর্শেদ
আমার সচলায়তন অভিজ্ঞতা : সে এক কাহিনি বটে! - মাহবুব মোর্শেদ
ফাহমিদ
মাহবুব মোর্শেদকে নতুন একটা পদবী দিতে চাই। উনি সুশীল হিসাবে "কনস্পিরেসী থিয়োরী এক্সপার্ট" বলা যায় -
আজও একটা থিয়োরী দিলেন : তাদে যথারীতি আওয়ামীলীগ, ভার্চুয়াল গুন্ডারা আছে।
শেষ লাইটা খেয়াল করেন - "এই আন্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলা খুব জরুরি।"
আন্ধা দের উনি হেদায়েত করতে এসেছেন। হাররে নির্বোধ সুশীল।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:০৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: পিয়ালদের ব্যানের ঐ ঘটনার পর থেকেই তিনি এরকম ট্যাগিং করে আসছেন বলে বুঝি।
এর জন্য তার পাশাপাশি তাকে গালিবর্ষণকারীরাও কম দায়ী নয়। তার ছবি নিয়ে ক্যারিকেচার থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করা হয়েছে।
৮৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৮
মিরাজ বলেছেন: @ বিগব্যাং
আবারও ফালতু কথা নিয়ে আসছেন । অফ যানরে ভাই । কেন শুধু শুধু কথা বাড়ান ।
ক্ষমা চাইলেন, মনে হলো ভুল বুঝতে পেরেছেন । এখন দেখি যেই লাউ সেই কদু । আবারও মিথ্যা কথা বলছেন, আপনার ভাই জুড়ি মেলা ভার ।
এইসব গল্প ফাদতে লজ্জাও লাগেনা?
৮৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪০
হ্যারি সেলডন বলেছেন: বিগব্যাং না জেনে মিরাজভাইকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলার প্রতিবাদ জানায়।
৮৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪২
মিরাজ বলেছেন: মানস চৌধুরী । সারারাত জেগে খেলা দেখে একটু জিরিয়ে নিতে চেয়েছিলাম । তা আর আর পারলাম কই? ৯৩ তে পরিচয় না হোয়াটা মনে হয় ভালো হয়েছে । অবশ্য তখন যাদের সাথে পরিচয় হয়েছিলো.. তাদের সাথে এখনো ভালো যোগাযোগ আছে ।
পরিস্থিতি এবং সময় একটা বড় ব্যাপার ।
মেইল করেছেন জেনে ভালো লাগলো । শীঘ্রই মেইল চেক কইরেন ।
৮৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২০
কৌশিক বলেছেন: রাজাকার (যেমন ওয়ামী এবং সমগোত্রীও) ও তথাকথিত সুশীল (রাইসু এবং বাকী যাদের আন্দাজে/বেআন্দাজে/ভুলক্রমে ফেলা যায়) দের সাথে একই রকম ভঙ্গিতে কথা বলার রেওয়াজটা দৃষ্টিকটু মনে হয় আমার। রাজাকারকে যতটা প্রানঘাতী গালি দেওয়া যায় বা উচিত মনে করি, এই ট্যাগড সুশীলদের তেমন দেয়া অনুচিত। এটা অনেক মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির মধ্যে ভুল মেসেজ বা পক্ষাপক্ষি বা বিভেদ তৈরীতে সাহায্য করেছে/করবে। যদিও মৌলিক বিভক্তিটা অমোচনীয় - একটা আন্দোলনের জায়গা, অন্যটা একাডেমিক ঘরানা। একাডেমিক বক্তব্যকে আন্দোলনে আমল নেয়ার কোন দরকার দেখি না, আবার একাডেমিক বিশ্লেষকদের আন্দোলনের গতিপদ্ধতি নিয়ে উৎকণ্ঠিত হবারও কিছু দেখি না। কারণ সুফলটা এই তথাকথিত সুশীলরা বেশী ভোগ করবে নিঃসন্দেহে। আবার ব্যর্থতায় এরাই হবে সবচেয়ে বেশী আরেকটা চোদ্দই ডিসেম্বরের বলী। নিজেদের দূর্বল করে ফেলার একটা আত্মঘাতী পদ্ধতি তারপরেও আন্দোলনকারীরা গ্রহণ করে ফেলে - অসৌজন্যমূলক আচরণের মাধ্যমে। আমি ব্যক্তিগভাবে এটাকে এড়ানোর পক্ষে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সহমত। সংজ্ঞায়নটা কেমন হলো জানিনা, তবে পুরো ব্যাপারটা আপনার মন্তব্যে তাত্ত্বিক ভিত্তি পেয়েছে।
তবে একটা কথায় দ্বিমত: "একাডেমিক বিশ্লেষকদের আন্দোলনের গতিপদ্ধতি নিয়ে উৎকণ্ঠিত হবারও কিছু দেখি না।"
উৎকণ্ঠিত হবার কারণ আছে। আপনি তাদের একাডেমিক দায়িত্ব দেবেন, কিন্তু তাদের অ-উৎকণ্ঠিত থাকতে বলছেন।
৮৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৫৮
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: সামহোয়ারের শুরুর দিকের যারা এখনও টিকে আছেন তাদের একজন আমি। এই ব্লগের শুরুতে অসাধারণ সব লেখালেখি হতো, সেগুলোতে ভাবনার খোড়াক থাকতো। মূলধারার সাংস্কৃতিক চর্চা ও পশ্চিমার সঙ্গে ফিওশন আর ব্যাপক ইন্টারএকশন। সেগুলোতে অংশ নেয়ার মতো মেধার অভাব ছিলো একদল ব্লগারের। এরা বন্ধু হতে চাই মার্কা ছবি দিয়ে ফোন নম্বর দিয়ে স্টুডিওতে তোলা ছবি দিয়ে দিতো, নয়তো দৈনিক সংগ্রামে কি লিখেছে তার কাটপেস্ট। আস্তে আস্তে তারা ঠিক করলো নিজেরা যেহেতু লিখতে পারে না, অন্যদের লেখালেখিতে ব্যাঘাত ঘটাবে। শুরু হলো বিতর্কিত কথাবার্তা। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা কতো, শেখ মুজিব ৭ মার্চ জয় পাকিস্তান বলেছেন, জহির রায়হানকে মেরেছে রক্ষীবাহিনী এমনতরো উদ্ভট আর সেনসিটিভ পোস্ট। শুরুতে আমরা সেগুলো তথ্য ও যুক্তি দিয়েই বোঝাতে চাইতাম। কিন্তু বুঝতে হবে তো! সেসব তর্কের কোনো শেষ হতো না। উল্টো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আরো পড়াশোনা করে আসেন বলে উপদেশ দেয়া হতো। আমাকে স্বাধীনতার ইতিহাস জানতে হবে তিরিশ লাখের তেলেসামাতি পড়ে! আমাকে আমার ফাসি চাই পড়ে জানতে হবে শেখ হাসিনার বেডরুমের গল্প। এই ব্লগে একক ব্লগারদের বিপক্ষে সংগঠিত একটি শক্তি অবস্থান নিলো। এরা জামাতে ইসলামীর প্রচারনা চালায়, মুক্তিযুদ্ধকে অবজ্ঞা করে পোস্ট দেয়, তাদের প্রতিপক্ষ সবাই আওয়ামী লিগ করে বলে ঢালাও ট্যাগিং করে (লক্ষনীয় মাহবুব মোর্শেদ এই ঘরানায় হাতে খড়ি নিয়েছেন)।
ঘটনা এরপর অনেককিছুই ঘটলো। কর্তৃপক্ষের সমর্থন নিয়ে এই গ্রুপটা শক্তিশালী হলো। ভালো লেখকদের অনেকে চলে গেলো। আর আমরা রয়ে গেলাম তাদের নির্মূল করে সেই ভালো সময়টা ফিরিয়ে আনার যুদ্ধে নামতে। সেই যুদ্ধই চলছে যাতে দুর্ভাগ্যক্রমে খুব শ্লীল অস্ত্র ব্যবহার আমরা করি না। মানস, ফাহমিদ কিংবা অন্য আরো নতুন অতিথিদের কাছে তাই আমাদের বিরক্তিকর এলিমেন্ট ঠেকতেই পারে। সেটা নিয়ে আসলে আর ভাবি না। এর আগে একদিন গালিবাজী প্রসঙ্গে মিরাজকে বলেছিলাম, আপনি যদি ম্যাচের অনেকখানি গড়িয়ে যাওয়ার পর হঠাত খেলতে নেমে এত ফাউল হচ্ছে কেনো বলে অভিযোগ করেন, তাহলে দোষ দেবো কাকে? বাকিদের উদ্দেশ্যেও আমার একই কথা। এই সিচুয়েশনটা এমনিতে হয়নি। আর দয়া করে আপনাদের কাছে অনুরোধ ডিগ্রী, পড়াশোনা বা এ জাতীয় ব্যক্তিগত অর্জনের দোহাই দিয়ে আমাদের মেধার যাচাই, যোগ্যতার মূল্যায়ন করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাবেন না। সেটা একটু ভুল হয়ে যাবে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:১৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "আর দয়া করে আপনাদের কাছে অনুরোধ ডিগ্রী, পড়াশোনা বা এ জাতীয় ব্যক্তিগত অর্জনের দোহাই দিয়ে আমাদের মেধার যাচাই, যোগ্যতার মূল্যায়ন করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাবেন না।"
এই দুঃসাহস আমার অন্তঃত নাই। ভেতরের মানুষিক সীমাবদ্ধতার কারণে গর্বভাব থাকলেও বাইরে আনুষ্ঠানিক প্রকাশটা কাণ্ডজ্ঞানের মধ্যে পড়েনা। নিজের অর্জনের দোহাইয়ের প্রশ্নই আসেনা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আপনার বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট পড়ে মুগ্ধতা চলে আসে অবলীলায়। আর আপনি যে কথাগুলো বললেন তা আপনার সাজে বটে। কিন্তু বাকি অনেকের ক্ষেত্রে তা সাজে না।
আপনি সামহোয়ারের যে-ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বললেন তা জানলাম। নতুনদের জন্য তা ভাল তথ্য।
৯০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০২
ইয়র্কার বলেছেন: ওভারঅল বিষয়গুলো পিয়াল, জেবতিক, এস্কিমো, তীরন্দাজরা বলে গেছেন। মিরাজকে জামাতি বুদ্ধিজীবী বলার দায়বদ্ধতা আমি নিলাম। ফাহমিদ ভাই ব্লগে এলে ওটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
৯১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১০
বাফড়া বলেছেন: সহমত @ এস্কিমো।
''সেইটা গবেষনার জন্যে কোন উচ্চতর ডিগ্রী দরকার নেই - উনার প্রথম দিকের পোস্গুলো দেখলেই পরিষ্কার হবে। যেখানে উনি যতটা ব্লগের গালি ( যার ভিকটিম শিবিরের কর্মীরা) নিয়ে সোচ্চার - যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়ে ততটাই নমনীয়।''
ব্লগে জামাতীদের ব্যাপারে মিরাজভাই শুরুতে না বলে গালিবাজ হটানোর ব্যাপারে আগে বলেছিলেন পোস্টে যেটা াসলেই ৮ জানুয়ারীর পুরো ব্যাপারটার ফোকাস দুরে নিয়ে গিয়েছিল।
৯২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৫
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: শেষ কথা : ব্যক্তি জীবনে কে কি করে, ব্লগে সেটা খুব বেশী প্রভাব ফেলে না খুব বেশী সেলিব্রিটি না হলে। তেমন সেলিব্রিটি এখানে নেই কোনো (সম্প্রতি নকিব খান দেখি যোগ দিয়েছেন, তার আগে আবদুন নুর তুষার)। তাই এই ভার্চুয়াল জগতে লেখালিখিটাই আসল। সেই লেখালিখির এক পর্যায়েই পক্ষ বিপক্ষ চলে আসে, একটা পর্যায়ে বেঞ্চমার্ক হয়ে যায় ৭১। গ্রসলি আপনি পক্ষে না বিপক্ষে। আর এখানে যারা লড়ছেন তার বেসিক ব্যাপারগুলো নিয়ে লড়ছেন। একদম মুল কথাগুলি নিয়ে। তাই ব্লগে একজন ব্রাত্য রাইসু, একজন মামো, একজন মানস বা একজন ফাহমিদুল মূল্যায়িত হন ওই অবস্থানটার বিচারেই। অগাধ জ্ঞান বা গ্রে মেটারের আধিক্য বা উচিত বুদ্ধিজীবিতা কোনো কিছুই তেমন বিবেচ্য নয়। সেই ষোল আনা মিছের মতোই।
এই ব্লগে সবচেয়ে কুখ্যাত গুন্ডাটির কিছু কথা তুলে দিচ্ছি :
আমি গুন্ডা, আমি রবিনহুড। আমাকে ব্যান করা হয়েছে দেড় শত বার, ব্যান হবো হাজার বার, তবু আমি গুন্ডামি করবো। যেমন কুকুর তেমন মুগুর হওয়া উচিত। আপনার সুশীল থাকেন, ব্লগের একই পাতায় শুকুরের বিষ্টার সাথে আপনাদের জ্ঞান গর্ভ আলোচনা, সাহিত্য চালান, আমি সেই বিষ্টা পরিষ্কার করব। আপনি আমাকে ইরিটেটিং গুন্ডা বলুন কোন আপত্তি নেই, আমি বরং জানব যে শুকুরের বিষ্টার সাথে মানুষের খাদ্যের পার্থক্য আপনি ভুলে গেছেন, আর আপনাকে মনে করিয়ে দিয়ে আমি আপনার উপকার করছি। আপনার কৃতজ্ঞতা আমার দরকার নেই, বরং আপনাকে যে আমি শুকুরের বিষ্ঠা থেকে পরিষ্কার করেছি সেই আমার আত্মপ্রসাদ।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "সেই লেখালিখির এক পর্যায়েই পক্ষ বিপক্ষ চলে আসে, একটা পর্যায়ে বেঞ্চমার্ক হয়ে যায় ৭১। গ্রসলি আপনি পক্ষে না বিপক্ষে। আর এখানে যারা লড়ছেন তার বেসিক ব্যাপারগুলো নিয়ে লড়ছেন। একদম মুল কথাগুলি নিয়ে। তাই ব্লগে একজন ব্রাত্য রাইসু, একজন মামো, একজন মানস বা একজন ফাহমিদুল মূল্যায়িত হন ওই অবস্থানটার বিচারেই। অগাধ জ্ঞান বা গ্রে মেটারের আধিক্য বা উচিত বুদ্ধিজীবিতা কোনো কিছুই তেমন বিবেচ্য নয়। সেই ষোল আনা মিছের মতোই।"
----------
আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক।
কিন্তু জামাতবিরোধিতায় যারা সক্রিয়, তাদের কিছু মন্তব্যের/কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে দ্বিমত জানাতে চাই ...
এইভাবে কি আলোচনা করা যায়? রাইসুর পোস্টে মানসকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা ঐ একরৈিখকতার জন্যই হিয়েছে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সাদাকালো বিভাজনের বাইরে যদি গ্রে এরিয়ার কোনো সুযোগ না থাকে, তবে এই ব্লগের ভবিষ্যত নিয়ে সন্দিহান না হওয়ার কোনো উপায় নাই।
৯৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১২
বাফড়া বলেছেন: হয়তো উনি নিজেও গালির ভিকটিম ছিলেন তাই এরকম করেছিলেন। কিন্তু এটা আসলেই ফোকাসটা নস্ট কইরা দিছিল।
৯৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২৬
রাশেদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সেই প্রমাণ আমার কাছে নেই। আমি ইঙ্গিত করতে চাচ্ছি যে আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে একরৈখিক অবস্থান নিয়ে থাকেন, তবে এধরনের বিপত্তি তৈরী হয়।
আমাদের থিয়েটার সিনেমায় কিন্তু এরকম স্টেরিওটাইপ দেখানো হয়ে থাকে।
--------------------------------------------------
ওকে। কিন্তু এই ধরনের ব্যাপারগুলোই কিন্তু জামাতিরা হাইলাইট করে যে ব্লগে ইসলাম নিয়ে লিখলেই তাকে জামাতি বলা হয়। আমি তো দেখি ইসলাম নিয়ে যারা লিখতেছে বেশিরভাগই জামাতি নিক। যেমন আশরাফ রহমান, ফজলে এলাহির কথা। তারা লেখে। কিন্তু তারা কট্টর জামাতি। আশরাফ রহমান সাম্প্রদায়িকতার দায়ে সা.ইন থেকে ব্যান খাইছিল। ফজলে এলাহি চিহ্নিত জামাতি। সে এখন আরেকটা নিক নিয়েছে দৃষ্টির ছায়া। এই নিকে সে খালি ধর্ম কথা বলে। তাই বলে কি তার জামাতি মনোভাব কমে যাবে? শুধু ধর্মের কথা বলে এই নিকে সে, তাই বলে এই নিককেও তো ছেড়ে দেয়া যায় না। তাই সে জামাতি উপাধি পায় এই নিকেও।
আবার ধরেন আল বেরুনির কথা। এই লোক ইসলাম গ্রুপে ছিল। তার সব পোস্ট ধর্ম নিয়ে। জামাতি তোষনকারীরা ঐ গ্রুপের মাথায় আছে দেখে সে এই গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়। তারপর দেখছি নিজের মত করে কিছু পোস্ট দিতে। তাকে তো কেউ জামাতি বলে নাই। সে তার মত করে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে। ভালো লাগ্লে পড়ি, না লাগলে পড়ি না।
ধর্ম নিয়ে পোস্ট দিলেই তো জামাতিরা হালাল হয়ে যাবে না। ধর্মকে অস্বীকার করি না, কিন্তু তাই বলে এখন পর্যন্ত আমি নমুনা পাই নাই যে দল বেঁধে কাউকে অ্যাটাক করা হয়েছে, বেটা ধর্মের পোস্ট দেস, তুই জামাতি। শুধু জামাতিরাই এই গালি খালি খাইছে ইভেন তাদের ধর্মের পোস্টেও।
তাই ধর্মের ভালো কথা লেখলেও তাদের পোস্টে মাইনাস দেই, কারন জামাতিদের কাছ থেকে ধর্ম শিখতে চাই না। বাকি যে মাইনাসগুলো আসে আমি মনে করি সেইম কারনেই আসে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৩৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: জামাতির কাছ থেকে ধর্মের শিক্ষা নেবার তো আসলেই কোনো কারণ নাই।
আমি এটা মনে করিনা যে সামহোয়ার ধর্মশিক্ষার জায়গা। তবে ধর্ম নিয়ে দার্শনিক আলোচনা হলে ভিন্ন কথা।
ব্লগের অতি গণতান্ত্রিক একটা চেহারা থাকায় ধর্মব্যবসায়ীরা একে হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আমি বলেছিলাম উগ্র জাতীয়তাবাদের কথা। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও আমাদের বহুমুখী হতে হবে। নাহলে ব্লগের বৈচিত্র্য, প্রাণ থাকেনা। জামাতিদের উস্কানিমূলক বক্তব্যকে আমি ইগনোর করার পক্ষপাতি।
মানে এইসব ক্যাচালে আপনি কতদিন নিজেকে নিযুক্ত রাখবেন? ধরেন, তারা কেউ লিখলো শহীদ ৩০ লাখ না, ৩ লাখ। জাহানারা ইমামকে বললেন জাহান্নামের ইমাম। মুজিব স্বাধীনতা চাননি। ইত্যাদি। এইসব খুব কমন ইস্যু জামাতি উস্কানির। এইসব নিয়ে আপনারা অনেক বলেছেন, প্রথমে তথ্যপ্রমাণযুক্তি দিয়ে, পরে গালি দিয়ে। কিন্তু তারা বেহায়ার মতো অন্য নামে একই কথা বলবে।
বাস্তব জগতে আপনি না হয় মেরে দিবেন। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে আপনি গালির মাত্রা কেবল চড়াতেই পারবেন। মাঝখান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট, আরও কত কি!
৯৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩৮
আরিফ জেবতিক বলেছেন:
এই কমেন্টটির জন্য ধন্যবাদ রাশেদ ।বিষয়টি খেয়াল করিনি আগে ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ফাহমিদও সেই একই ঘরানার ব্যক্তি ছাড়া আর কিছু নন । একই পদ্ধতিতে উনিও ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা , অবসেসড এই সব ট্যাগিংয়ের পাশাপাশি উনিও মনে করেন ( এবং স্বাভাবিক ভাবেই প্রমান দেখাতে পারেন না ) যে ধর্ম নিয়ে লিখলে এই ব্লগে তাকে বা তাদেরকে রাজাকার আখ্যা দেয়া হয় ।
চিন্তার এই সীমাবদ্ধতার মাঝে দাড়ানো ব্যক্তির সাথে আলোচনা এগিয়ে নেয়ার স্কোপ নেই ।
ধন্যবাদ জানিয়ে বিরত হলাম ।
( লম্বা লম্বা দুটি কমেন্ট আগেই করে ফেলেছি বলে কিছুটা বিরক্ত বোধ করছি নিজের উপর )
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৪৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ফাহমিদও সেই একই ঘরানার ব্যক্তি ছাড়া আর কিছু নন । একই পদ্ধতিতে উনিও ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা , অবসেসড এই সব ট্যাগিংয়ের পাশাপাশি উনিও মনে করেন ( এবং স্বাভাবিক ভাবেই প্রমান দেখাতে পারেন না ) যে ধর্ম নিয়ে লিখলে এই ব্লগে তাকে বা তাদেরকে রাজাকার আখ্যা দেয়া হয় ।"
আমি পোস্টে বলিনি যে ব্লগে ধর্ম নিয়ে লিখলেই রাজাকার বলা হয়। আমি বলেছি এরকম:
"আমার পর্যবেক্ষণে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও সংকীর্ণ রয়েছে, যে সংকীর্ণতা দাড়ি-টুপি মানেই রাজাকার, মোল্লা এই ভাবনার জন্ম দেয়। অথচ আমি ফরেন প্রেসের মুক্তিযুদ্ধের কাভারেজ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে রাজাকার হিসেবে ঐ সময়ে যাদের ছবি ছাপা হয়েছে তাদের অনেকেরই কোনো দাড়ি ছিলনা। পাড়ার মাস্তান টাইপ, বখাটে চেহারা। এধরনের সরলীকরণে ধর্মভীরু সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে জামাতের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।"
পরে বলেছি সিনেমা-থিয়েটারে এই স্টেরিওটাইপের প্রমাণ আছে। অন্তঃত আমি আর্ট/বিকল্প/স্বাধীন চলচ্চিত্রের কোথায় কোথায় এমন হয়েছে তা মুখস্থ বলতে পারবো। আমি এখন কাজই করছি স্বাধীনছবি নিয়ে। আমি সেই পর্যবেক্ষণটা এখানে প্রয়োগ করতে চেয়েছি, ব্লগে যদি এরকম না হয়, তাহলে তো ভালো।
তবে এই বিষয়টা আমি ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণের ওপর তুলে রাখলাম।
ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা টার্মটা আপনার অপছন্দের কারণ হতে পারে। কিন্তু অবসেসড শব্দটায় এত আপত্তি কেন? এই শব্দটা বলতে আমি কী বুঝিয়েছি আগেই বলেছি:
অবসেসড বলতে বোঝাতে চেয়েছি, যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব আবেগপ্রবণ থাকেন।
ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা মানে এই ভার্চুয়াল ব্লগে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেন। মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে জামাতীদের সঙ্গে লড়াই করেন।
৯৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
মুকুল বলেছেন: ফাহমিদ ভাই,
শেষ পর্যন্ত আপনার এই পোস্টের রেজাল্ট কি দাঁড়ালো? যাদের কথা বললেন, তাদের ভাবমূর্তি কি উদ্ধার হয়েছে?
আসল কথা হলো, যার যার ভাবমূর্তি, তাকেই গড়তে হয়। পোস্টে, কমেন্টে, বিভিন্ন ঘটনায় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় ব্লগে যার যার অবস্থান গড়ে উঠে। সুতরাং যার যার অব্স্থান তাকেই স্পষ্ট করতে দেয়াই ভালো মনে করি। যাদের নামে পোস্ট দিলেন, তারা নিজেরা যথেষ্ট সামর্থ্যবান নিজেদের কথা বলতে। কেউ ব্যর্থ হওয়া মানে, সমস্যা তার মধ্যেই আছে।
আপনি মনে হয়, যথেষ্ট চিন্তা করে এই পোস্টটি দেন নি! আবেগ থেকেই দিয়েছেন।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ভুল বুঝলেন।
আমি চিন্তা করেই পোস্ট দিয়েছি, আবেগ একেবারে না থাকলে লেখালেখি হয়ই না।
চারজনের ভাবমূর্তি উদ্ধারের জন্য এই পোস্ট না।
কয়েকটা কারণে এই পোস্ট:
১. মানসকে না বুঝে হেনস্থা করা হয়েছে।
২. ব্রাত্যর পোস্টের মোটিভ যাই থাকুক, তার বক্তব্য আমি যেভাবে বুঝেছি তা শেয়ার করা।
৩. ছাগু খেদাও কর্মসূচির কর্মকৌশল বিষয়ে আপত্তি/দ্বিমতসহ পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা।
৯৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫১
বাতি বলেছেন:
পোস্ট থেকে কোট করছি -
"আমার পর্যবেক্ষণে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও সংকীর্ণ রয়েছে, যে সংকীর্ণতা দাড়ি-টুপি মানেই রাজাকার, মোল্লা এই ভাবনার জন্ম দেয়।"
উদাহরন দেখাতে পারবেন?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: রাশেদকে দেখাতে পারি নাই। আর আমি ব্লগকে মিন করি নাই, বিষয়টা ঘটে অন্যত্র, সেই ঝুঁকি থাকে, এই কথাটা বলতে চেয়েছি।
৯৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
ফেলুদা বলেছেন: সারওয়ার ভাই আসার আগে আমি কিছু কমুনা
৯৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
হ্যারি সেলডন বলেছেন: কাউকে এই ব্লগে ইসলাম নিয়ে লেখার জন্য রাজাকার বলা হয়নি।
এরকম একটা উদাহরনও দিতে পারবেননা।
জামাতিরা ইসলাম নিয়ে লিখলেও রাজাকার, না লিখলেও রাজাকার। তাই তাদেরকে রাজাকার বলা হবে সবসময়, ধর্ম নিয়ে হোক পোস্ট অথবা না হোক।
১০০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০০
ফেলুদা বলেছেন: একটা কথা একদম না বইলা পারতেছিনা, পেট ব্যাথা করতেছে বইলা কইয়া দিলাম :
লেখক কি যোগ্যতায় মানস চৌধুরী, ব্রাত্য রাইসু ও মিরাজুর রহমানের লগে এক পাল্লায় মাহবুব মোর্শদের রাখতেছেন! আমি তো বাকি তিনজনের বসার জন্য চেয়ার দিলে ওকে টুলে বসতে দিবো।
১০১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০২
ফেলুদা বলেছেন: নাহ, টুলও দিবো না। বলবো মাটি মুইচ্ছা নিচে ব' নাইলে খাড়ায় থাক
১০২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০২
হ্যারি সেলডন বলেছেন: ফেলুদার সাথে একমত। মামো একটা টুলেরও উপযুক্ত না। সুশীলদের সাথে তাকে মাপা ঠিক হচ্ছেনা।
১০৩| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৭
মানস চৌধুরী বলেছেন: @ ফেলুদাদা, চেয়ার টুল এসব অহেতু আলাপ। আমার মনে হয় অহেতু আলাপ নিয়ে আপনারা ভাবলে সমস্যা এত জটিল হয় না।
@ মুকুল বলেছেন যার ভাবমূর্তি তার গড়তে হয়। ফাহমিদকে ইঙ্গিত করেছেন যে তিনি এই ৪ সুশীলের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে বিশেষ উপকার করতে পারেননি। ফাহমিদের উদ্দেশ্যের মধ্যে আমার বা কারো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ছিল বলে মনে হয়নি। থাকলেও তার দায়দায়িত্ব ফাহমিদের একার। মুকুল যেটাকে আমার/আমাদের ব্যর্থতা বললেন সেটা তাঁকে আনন্দ দিলে ভিন্ন কথা। আমি সাফল্যকে ব্লগীয় প্লাস আর গালি দিয়ে মাপি না। ব্লগের বাইরেও না। আমি দুঃখিত।
@ পিয়াল, আপনি বলেছেন আমাকে আপনি "যথেষ্ট শ্রদ্ধা" করেন। আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না যে এই কথাটিও আমার কাছে বাহুল্য। আমি যোগাযোগের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধা ও অশ্রদ্ধার ভেদাভেদ করি না। যোগাযোগের নিষ্ঠা আমার জন্য একটা পদ্ধতিগত প্রশ্ন। আপনার মন্তব্যের অন্যত্র জানিয়েছেন যে অন্যরা আমাকে সামহোয়ার-এর বিষয়ে অবহিত করেছে। এবং কটাক্ষ করতে ছাড়েননি যে "শ্লোক" মুখস্ত করার মন আমার ছিল কিনা। আমার তো মনে হয় শ্রদ্ধা না করে এই ধরনের চর্চা পরিহার করতে পারা আরও কাজের।
রাইসুর সঙ্গে আপনার অফিসে কী কথা হয়েছে সেটা খুব কনটেক্সটচুয়াল মনে হয়নি আমার কাছে। আপনি আপনার সেলিব্রিটি প্রীতির বিষয়টা অবহিত করে উপকার করেছেন। কিন্তু এও আপনি বলেছেন যে ব্লগে প্রকাশিত "কনটেন্ট"ই কাউকে চেনা ও যোগাযোগের উপায়। পদ্ধতিগতভাবে, আমি, একমত। তাহলে রাইসু মদের ঘোরে ওর পোস্ট ছেড়েছে এটা বলার প্রাসঙ্গিতা কী। যাহোক, আমার মনে হয় আমাদের দেখার জমিনে গুরুতর প্রভেদ আছে। সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত সমস্যা না যতক্ষণ পর্যন্ত অবমাননার হাতুড়ে চেষ্টা কেউ না নেন।
১০৪| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:০৫
সু-শান্ত বলেছেন: রাশেদ যা বলার বলে দিয়েছে, কি আর বলি!
১০৫| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৩
মনিটর বলেছেন: দু:খিত জনাব ফাহমিদ/ মূল বক্তব্যটা যথাযথ মনে হলো না ।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে।
১০৬| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:১৩
অমিত বলেছেন: ফেলুদা যেই কথাটা বলল, সেটাই আমি সেদিন মানস চৌধুরিরে বলেছিলাম।
এই আলোচনাটার দরকার ছিল।
১০৭| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৮
মুকুল বলেছেন: মানস চৌধুরী বলেছেন:
@ মুকুল বলেছেন যার ভাবমূর্তি তার গড়তে হয়। ফাহমিদকে ইঙ্গিত করেছেন যে তিনি এই ৪ সুশীলের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে বিশেষ উপকার করতে পারেননি। ফাহমিদের উদ্দেশ্যের মধ্যে আমার বা কারো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার ছিল বলে মনে হয়নি। থাকলেও তার দায়দায়িত্ব ফাহমিদের একার। মুকুল যেটাকে আমার/আমাদের ব্যর্থতা বললেন সেটা তাঁকে আনন্দ দিলে ভিন্ন কথা। আমি সাফল্যকে ব্লগীয় প্লাস আর গালি দিয়ে মাপি না। ব্লগের বাইরেও না। আমি দুঃখিত।
--------------------------
@ মানস চৌধুরী
আমি বলেছি যার যার, নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে বলি নাই। এটা আমার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর আমি আপনাকে চিনিও না। আপনার কোন পোস্ট পড়েছি বলেও মনে পড়ে না। আপনি খামোখাই নিজের দিকে টেনে নিলেন। আর আমি "সুশীল" তকমাও লাগাই নাই। এটা আপনিই বললেন। আপনি অহেতুক আনন্দ পাওয়া, না পাওয়া; গালি'র প্রসঙ্গ আনলেন। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করলেন। এটা দূঃখজনক।
১০৮| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২৭
ফেলুদা বলেছেন: একটা জিনিস খেয়াল করছেন মানসদা? পিয়ালের কমেন্টে অনেক বানানও ভুল আছি। আপনি হুকুম দিলে আমি সেগুলি তালিকা কইরা দিতে পারি। তারপর আরেক রাউন্ড দেয়া যাবে
১০৯| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
ফেলুদা বলেছেন: আর ৫ বার পঠিত হইলেই হাজার পূর্ণ হয়, রাইসু ভাই কি জিনিস শিখাইলো। এখন ঘন ঘন এইসব আসবে
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: তলে তলে এটা হচ্ছে নাকি? উত্তর দিয়ে কূল পাচ্ছিনা ...
১১০| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
মানস চৌধুরী বলেছেন: @ মুকুল আপনার পোস্ট শুরু করেছিলেন এভাবে:
"ফাহমিদ ভাই,
শেষ পর্যন্ত আপনার এই পোস্টের রেজাল্ট কি দাঁড়ালো? যাদের কথা বললেন, তাদের ভাবমূর্তি কি উদ্ধার হয়েছে?..."
ফাহমিদ কাদের কথা বলছিলেন? আর আপনি এই "যাদের কথা"য়ই বা কাদের কথা বলছিলেন। ফাহমিদের পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার এই প্রশ্ন পাঠ করলে আমি আমাকে সমেত এই ৪ জনের দলের বাইরে ভাবব কেন?
আপনার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করার এখানে সুযোগ এখানে বিশেষ ছিল না। কিন্তু আপনি দুঃখ পেয়ে থাকলে আমিও দুঃখিত।
১১১| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৭
নাভদ বলেছেন: আগের লেখাতে:
যারা জেনে বা না জেনে রাজাকার পুত্রদের হাটার জন্য নরম কার্পেট বিছিয়ে দিচ্ছেন- তারা জন্য কি আর বলার থাকে।
------------------
তারা = তাদের
১১২| ২০ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: পিয়াল কইল, "আজ খানিক আগে যখন তারে সেদিনের পোস্টের মর্ম জিজ্ঞেস করলাম, বললো মদ খেয়ে আসছি, ঘুমাইয়া গেছিলাম। পরে দেখি মানস ওখানে তর্ক করে গেছে সকাল পর্যন্ত। কথাটার অর্থ এই নয় যে মাতলামীর সুবাদে রাইসু তার সবচেয়ে হিট পোস্টটি দিয়েছে যাতে তার কোনো অংশগ্রহন নেই। বাস্তবতা হচ্ছে রাইসুর ওই সময়ে ওই পোস্টটি দেয়ার উদ্দেশ্যই ছিলো নজরকাড়া। ওয়ামী তার ভালো বন্ধু, সেজন্য এই সুপারিশ পোস্ট- এই কথা আমি সেখানে লিখেছি। পাশাপাশি এটাও যোগ করতে চাই এই ধরনের ছেলেমানুষী জানতে চাওয়া রাইসুকে মানায় না।"
ঘটনা হইল পিয়াল জিগাইছিল, আমার পোস্টে কেন আমি পরে আর কথা বললাম না। মানস উত্তর দিতেছিল আমি কেন সইরা ছিলাম--এই ধরনের ছিল ওর জিজ্ঞাসা। তার উত্তরে আমি জানাই, আমি মদ খাইয়া বাসায় ফিরতে রাইত দেড়টা বাজছিল, ঘুমাইয়া গেছিলাম....সকালে যখন উঠছি তখন দেখি মানস কমেন্ট করতেছে।
এইখানে আমি মদ খাইয়া পোস্ট লিখছি কই বললাম? মদ খাইয়াও লেখন যায়, তাতে পোস্ট উলটাইয়া যায় না তা মানি। এইটা পিয়ালের মিথ্যা বচন। অথবা বুঝতে ভুল।
হাঃ হাঃ, এর পরে পিয়াল লেখছে, "বাস্তবতা হচ্ছে রাইসুর ওই সময়ে ওই পোস্টটি দেয়ার উদ্দেশ্যই ছিলো নজরকাড়া।" আমার উদ্দেশ্য নিয়া অবশ্যই ধারণা করা যায়। (যে নজর কাড়ার জন্যই আমি এমন করছি।) কিন্তু সেই ধারণারেই "বাস্তবতা" জ্ঞান করতেছে পিয়াল।
আর ওয়ামীরে আমি চিনিই না, বন্ধু হইব কেন? আমি ওনারে চিনিই না। ওয়ামী ওনার ফেসবুকে আমারে অ্যাড করছেন সেই নিয়া কে জানি আমারে জড়াইয়া রাজাকারগো লগে বন্ধুত্ব নিয়া ঘুস ঘুস ফিস ফিস শুরু করল তখন তো আমি লেখছিই যে রাজাকারগো ছেলেমেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা যাইতে পারে।
আমি যেইখানে স্পষ্ট অবস্থান মূলক মতামত ব্যক্ত করতেছি তারে সুপারিশ পোস্ট মনে করার কারণ নাই। পিয়ালের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব বা নৈকট্যের কারণে উনি আমার অনুভূতি উদ্দেশ্য সব বুঝতে পারবেন এইটা দাবি করতেই পারেন...তবে অনুভূতি না, বক্তব্য লইয়া কইতে অনুরোধ করি।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: প্রমাণ হইলো রাইসু ওয়ামীর বন্ধু না, বা ওয়ামী রাইসুর।
সুপারিশের পোস্ট বিষয়ক অভিযোগ তাহলে খণ্ডিত হয়ে যাচ্ছে।
১১৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৩২
সিন-লাম-মীম বলেছেন:
আপনার লেখা ভাল লাগে তাই পড়ি। কিন্তু এই পোষ্টের ব্যাপারে ভিন্নমত প্রকাশ করছি।
মাইনাস।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে।
১১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৫১
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: হাই ফাহমিদুল,
আমগো কয়েকজনের কার্যক্রম বিশদ করার মধ্য দিয়া আমরা যে আসলে রাজাকার না এই কথাটা বোঝানোর চেষ্টা করছেন দেখলাম। অথচ যারা রাষ্ট্রে বা ব্লগে রাজাকারগো (বা বিহারীগো) অধিকার লইয়া প্রশ্ন উত্থাপনকারী অ-রাজাকারদের "রাজাকার" তকমা বরাদ্দ দেয় তাগো সেই চাহিদার নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত অবস্থানরে প্রশ্ন করেন নাই। তা করলে আলাদা ভাবে সরলমনাদের বোঝাইতে হইত না যে আমরা কত ভালো। অর্থা আপনি তাদের ছাড় দিতেছেন। যেমন আপনি বলতেছেন, “আমার মনে হয় সামহোয়ারের ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের দৃষ্টিভঙ্গি আরও প্রসারিত করা দরকার।” এইটা হইল আপন দলের মানুষের কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা। এইখানে আপনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির অগ্রসর অংশের (যার দৃষ্টি এরই মধ্যে প্রসারিত) মত আলাপ করতেছেন। সচরাচর দলীয় ব্যক্তিরাও আলাপের সময় নৈর্ব্যক্তিকতার ভণিতা করে। আপনার সেই ভণিতা ছিল কি এই পোস্টটিতে? আপনি বললেন, “ব্রাত্যর ওয়ামীকেন্দ্রিক আপত্তি সন্দেহের জায়গা তৈরি করে (কিন্তু বিশ্বাস করি তিনি মগবাজারপুষ্ট নন)।” এইখানে আপনি আমার ওয়ামী কেন্দ্রিক বক্তব্যের পিছনে আসলে কী কার্যকর সেই রহস্য ব্যাপারে স্থির হইয়া গেছেন। আপনার বিশ্বাসই আপনাকে তা থেকে রক্ষা করবে, হয়তো। কিন্তু আমি বলতে চাইতেছি অ্যাজ এ বুদ্ধিজীবী, আপনি কি আমার বক্তব্যের মধ্যে আমার অবস্থান দেখতে পান নাই? আপনার সন্দেহ আপনাকে নিশ্চিতি দিলে তারপরে “রাজাকার” বলবেন আমাকে? তাইলে আর আমরা যে রাজাকার না তা কেন সম্প্রচার করেন সরলমনাদের কাছে।
যদি আপনি নিজে বিশ্বাস করেন, এই ফোরামে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের কথা কওয়ার অধিকার নাই তাইলে তো সব ঠিকই আছে। সচলায়তনও তেমন ধরনের নিখাদ একটা ব্লগ। রাজাকার নাই। রাজাকারের লগে খুনসুটিরও ব্যবস্থা নাই। কিন্তু যদি উল্টাটা হয়, অর্থাৎ আপনি মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের এই ফোরামে থাকতে দিবেন কিন্তু অ-রাজাকারদের মত সব কথা কইতে দিবেন না...তাইলে আপনি ইস্যুতে নাই। ফোরামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরত আছেন। আপনি এই বিষয়টা নিয়া কিছু বলছেন কি? কইয়া থাকলে কাট পেস্ট কইরেন। আমার নজর এড়াইয়া গেছে।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: রাইসু ভাই, আপনি বলছেন, "অথচ যারা রাষ্ট্রে বা ব্লগে রাজাকারগো (বা বিহারীগো) অধিকার লইয়া প্রশ্ন উত্থাপনকারী অ-রাজাকারদের "রাজাকার" তকমা বরাদ্দ দেয় তাগো সেই চাহিদার নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত অবস্থানরে প্রশ্ন করেন নাই। তা করলে আলাদা ভাবে সরলমনাদের বোঝাইতে হইত না যে আমরা কত ভালো। অর্থা আপনি তাদের ছাড় দিতেছেন।"
.............
আমি ওপরে রাশেদের মন্তব্যের বিপরীতে বলেছি
রাইসু তো একটা সমাধানের কথা বলেছেন। জামাতী মতাদর্শের পোস্ট যারা দেয় (আমি শিবির করি, আমি কেন জামাত ভালোবাসি ইত্যাদির মাধ্যমে চিহ্নিত করা সহজ) তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যান করার আন্দোলন করা যেতে পারে।
সেইখানটায় আপনারা সমর্থন দিচ্ছেন না কেন?
ব্লগে মানস কী আচরণ করেছেন, তা কিন্তু বিচার করছেন আপনার বুদ্ধি দিয়ে। তার বাইরেও তো ভাবনা থাকতে পারে। এই যেমন রাইসু জাতীয়তাবাদবিরোধী অবস্থান, এইটা কিন্তু বুদ্ধিচর্চার জগতে একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। এইটা আমি জানি, রাইসুর এই অবস্থানকে আমিও সমর্থন করি। পোস্টে বিস্তারিত বলেছি। কিন্তু আপনারা এই পয়েন্টটার ধারেকাছে যেতে চাইছেন না। মানস সেরকমই কিছু আবিষ্কার করেছেন হয়তো। এরপর তাকে জামাতী বলা হলো।
এটা কেন হলো? আমি এজন্য দৃষ্টিটাকে সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও আরও অনেক যুদ্ধ হয়েছে এই বঙ্গে, আজও নারীশ্রমিকরা শোষিত হচ্ছে গার্মেন্টসে, পশ্চিম পাকিস্তানিরা যেমন শোষণ করেছিল আমাদের। আজও পাহাড়িদের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের হাতে।
..........
এইখানে আমি রাশেদদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক অবস্থানরে প্রশ্ন করেছি বলে মনে করি।
............
আমি বলেছি, ব্রাত্যর ওয়ামীকেন্দ্রিক আপত্তি সন্দেহের জায়গা তৈরি করে। সেটা সত্যিই করে, কিছুদিন আগেই গালির কারণে 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের' লোকজন ব্যান হবারে ক্ষেত্রে আপনার নিরবতা সেই সুযোগ করে দেয়। কিন্তু সেই সন্দেহ 'আপনি রাজাকার কিনা' এই প্রশ্নের দিকে একেবারেই ধাবিত না। আপনার পোস্টে সেই সম্ভাব্য সন্দেহের কোনো উত্তর আমি পাইনি বলেই তা এখনও বলবৎ আছে।
আমি স্পষ্টভাবেই বলেছি যে মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বশবর্তী হবার কারণে ছাগু খেদানো আমার কর্মসূচির মধ্যে পড়েনা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আদর্শ আমারও আদর্শ, সেই আদর্শ কেবল মুক্তিযুদ্ধে আটকে থাকেনা (আমি হয়তো আপনার মতো পুরোপুরি জাতীয়তাবাদবিরোধী নই, তবে উগ্র জাতীয়তাবাদ আমার না-পছন্দ)। তাই যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে তাদের সঙ্গে আমি একটা নৈকট্য বোধ করি, কিন্তু তাদের সঙ্কীর্ণতা ধরিয়ে দেওয়াটাও দায়িত্ব মনে করি। এটা নিজদলের লোককে গাইড করার মতো বিষয় না, শেষপর্যন্ত।
........
আপনি বলছেন: যদি আপনি নিজে বিশ্বাস করেন, এই ফোরামে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের কথা কওয়ার অধিকার নাই তাইলে তো সব ঠিকই আছে। সচলায়তনও তেমন ধরনের নিখাদ একটা ব্লগ। রাজাকার নাই। রাজাকারের লগে খুনসুটিরও ব্যবস্থা নাই। কিন্তু যদি উল্টাটা হয়, অর্থাৎ আপনি মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধীদের এই ফোরামে থাকতে দিবেন কিন্তু অ-রাজাকারদের মত সব কথা কইতে দিবেন না...তাইলে আপনি ইস্যুতে নাই। ফোরামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরত আছেন। আপনি এই বিষয়টা নিয়া কিছু বলছেন কি?
আমি বলছি: হ্যাঁ বলেছি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমি ওপরে কোট করা রাশেদকে করা মন্তব্যে এই কথাটা বলেছি। কিন্তু ওদিক থেকে এই বিষয়ে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা।
১১৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:২১
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
অমি রহমান পিয়ালের কমেন্টগুলো থেকে ব্লগের অতীত সম্পর্কে অনেক তথ্য জানলাম যা আমার আগে জানা ছিলো না।
পিয়াল সাহেবের কমেন্ট ও ব্রাত্য রাইসুর কমেন্টের প্রেক্ষিতে বলছি, এখানে যে বিষয়টি তীব্র বেদনাদায়ক তা হলো, মিথ্যা অপবাদ দেয়া, এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে পোস্ট কমেন্ট করা। আমার বিরুদ্ধে অজস্র মিথ্যা প্রচারণা করা হয়েছে। অমুকের বন্ধু তমুকের হেনতেন ইত্যাদি। যেখানে আমার বন্ধু যাকে বলা হয়েছে তাকে আমি চিনিই না। তমুকের পোস্টের সাথে আমার লিঙ্ক রয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এই ব্লগে গত ৭ মাস ধরে নিয়মিত ব্লগিং করছি।
অনেক সময় দেখা গেছে, আমি যা বলেছি তার উল্টা ব্যাখ্যা দিয়ে পোস্ট কমেন্টের ঝড় তোলা হয়েছে। গালি দেয়া হয়েছে অজস্র। সাংঘাতিক বিরক্ত হয়ে আমি কদাচিৎ কটু ভাষায় জবাব দেয়াতে সেটা নিয়ে শতবার কপি পেস্ট করা হয়েছে। আমার জবাবটা কিসের ভিত্তিতে সেটার প্রতি সুবিবেচনা করতে ব্লগীয় নেতাদের কাউকে দেখা যায় নি।
আমার জন্য আরেকটি বিরক্তিকর বিষয় হলো, যার তার নিককে আমার নিক বলে প্রচার করা।
আমার ব্লগে অজস্র আউট অব কনটেক্সট মন্তব্য যারা করেছেন, তারা আমার সিরিয়াস লেখা খেলো করার জন্যই অপপ্রয়াস নিয়েছেন। মননশীল বিতর্ক করেন নি।
তবু আমাকে যারা উৎপীড়ন করেন, তাদের একটি ভালো পোস্ট দেখলে আমি সে পোস্টে গিয়ে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করি।
ফাহমিদ ভাইকে বলছি, দেশের রাজনীতির বাস্তবতা ব্লগে বিদ্যমান। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যেটুক বুঝেছি, রাজনীতির লড়াইয়ে মুলে 'হাঙ্গার ফর ডমিনেন্স' । আর একে ঘিরে পারসনালিটি কাল্ট আর মোসাহেবি চলে।
অনেকে অবসেশনটাকে গুরুত্ব দেন বেশি। উন্মুক্ত জ্ঞান চর্চাকে উড়িয়ে দেন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির দিয়ে। কেউ যদি কারো প্রতি বা কোনো নির্দিষ্ট কর্নারের প্রতি অবসেসড থাকেন, তার দ্বারা রাজনীতির ফায়দা উঠানো সম্ভব, কিন্তু মেন্টালিটির ডেভেলপ সম্ভব না।
দয়া করে আমার 'কবি'র অনুভূতি, মর্যাদা, কেরামতি..........' শীর্ষক পোস্টটি পড়ে দেখুন, সেখানে আমি বাস্তবানুগ কথা বলেছি। অথচ অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যে ভরে দেয়া হয়েছে। কুদরতি কায়দায় মায়নাস রেটিং বাড়িয়ে কমেন্ট করা হচ্ছে, এই পোস্ট এতো জনের ভালো লাগে নি, এতো জনের ভালো লেগেছে। এই ধরণের কমেন্টের মাধ্যমে রাজনীতিটাকেই মুখ্য দেখানো হচ্ছে।
১১৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৩
অমিত বলেছেন: সারোয়ার সাহেব, এই পোস্টে আপনের কথা তো কেউ জিগায়নায় ভাইডু। খামাখা এসে গরু হারানোর কান্না শুরু করার মানে কি ? কে আপনাকে কি রেটিং দিল, কে কি বলল সেটা একটা আলোচনার মাঝখানে হঠাৎ ভূতের মত এসে বলার কোন অর্থ খুঁজে পেলাম না। এখানে ৩ জন ব্লগারকে নিয়ে আলোচনা হৈতেছে। আপনার ৯ প্যারার বিশাল মন্তব্যে খুব বেশি হলে ১ টা লাইন রিলেট করা যায় এই পোস্টের সাথে..."ফাহমিদ ভাইকে বলছি, দেশের রাজনীতির বাস্তবতা ব্লগে বিদ্যমান। " বাকি কথাগুলা হচ্ছে, আপনার ভাষায়, আউট অফ কনটেক্সট।আপনি কি প্রলাপ বকে আলোচনাটা শেষ করে দিতে চাইতেছেন ?
(আপনার মটস্যকন্যার বাকি পর্বগুলা কৈ ?)
১১৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৮
মুক্তি বলেছেন: "তাদের নির্বাচিত পোস্ট বা লিঙ্ক থেকে আমাকে সরিয়েও ফেলতে পারেন"
পড়লাম, কিন্তু এই "তাদের নির্বাচিত পোষ্ট" বলতে কি বুঝাইতে চাইলেন?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: কারও কারও প্রিয় পোস্টে আমার লেখা আছে, কারও কারও লিঙ্কে আমার নাম (ব্লগ লিঙ্ক) আছে।
১১৮| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৯
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
@অমিত
এখানে বিভিন্ন কমেন্টে অনেক বিষয় এসেছে। ব্লগ বাস্তবতা সম্পর্কে কিছু বলাটা অপ্রাসঙ্গিক নয় মনে করি।
আমি মন্তব্য করেছি উপরের বিভিন্ন মন্তব্য ও পোস্টের প্রেক্ষিতেই।
১১৯| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৯
পথিক!!!!!!! বলেছেন: এইডা ফালতু ক্যাচাল
১২০| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪০
ইয়র্কার বলেছেন: লেখক বলেছেন: সঠিক এবং বেঠিকও। অবসেশন চিন্তাকে সংকীর্ণ করে দেয়, যার ফলাফল মাঝেমাঝে উল্টো হয়। পোস্টে ইঙ্গিত আছে।
------
ইঙ্গিত থাকলে তো হবে না, বস। সহজবোধ্য ভাষায় বলাই ভাল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবস্থানে থাকাটা তো ভয়ঙ্কর ব্যাপার। মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে কোনো মাঝামাঝি কিছু সম্ভব নয়। আমরা আইদার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করি, অর তার উলটোটা।
আপনি যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, তাতে সঙ্কীর্ণতা জিনিসটা কিন্তু একেবারেই অসম্ভব। একদল মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করা ছাগলদের লাথি দিচ্ছে, আপনি সেই লাথিতে দুঃখ পেলে তো প্রবলেম। আপনি নিজে দালাল হোন, আমি দালাল হই, কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু যারা দালালের সাথে আপোষ করে না, সেই মানুষগুলোর আবেগকে অপমান করে 'মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড', 'ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা' বলার আমি-আপনি কে?
আচ্ছা, যান, আমরা সবাই ভদ্র হয়া গেলাম। আমাদের মায়েদেরকে যারা রেপ করেছে, আমরা অবসেসড হয়ে তাদেরকে গালি দিবো না, আমাদের বোনদেরকে যারা ধর্ষণ করেছে, তাদেরকে লাথি দেবো না, আমাদের ভাইদেরকে যারা লাইন দিয়ে গুলি করে মেরেছে, তাদেরকেও আমরা আবেগে অবসেসড হয়ে কিছু বলবো না।
সেই হত্যাকান্ডের ৩৭ বছর পরেও তারা আমাদের চোখের সামনে এসে আমাদেরকে কলা দেখিয়ে নাচবে, আমরা কিছুই বলবো না। তাদেরকে যুক্তি দিয়ে বুঝাবো। আচ্ছা, আপনি বলেন কোন যুক্তি দেখাবো? আপনিই বলে দিন, কোন যুক্তি দেখানো উচিত এই হত্যাকারীদের?
তবে জামাতবিরোধিতা ঠিক আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমিও আন্তরিকভাবে চাই।
------
জামাত বিরোধিতা যদি ঠিক থাকে, তাহলে আপনি যাদের কথা বলছেন, তাদের সেই অশুশীলদের আচরন বেঠিক হওয়ার সম্ভাবনা জিরো। জামাতের কাজে না প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে সাহায্য না করলে কোন সুশীলকেই *** হয় না।
তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ কেন এগুতে পারছে না, সেই ভাবনাটা নিয়ে আমি বেশি ভাবিত।
-----
এইটা হলো মূল পয়েন্ট। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ কেন এগুতে পারছে না। অতএব, যুদ্ধাপরাধী জামাত নিয়ে বেশি কথা বলা যাবে না?
আপনার কি ধারণা, যারা সামহোয়্যারইন ব্লগে ছাগু তাড়ায়, তারা দেশের আর কোনো সমস্যা নিয়ে ভাবে না? এত নিশ্চিত হোন কিভাবে?
কিভাবে নিশ্চিত হোন, বাংলাদেশের অন্য সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে গেলে জামাতকে গালি দেয়া যাবে না?
কিভাবে নিশ্চিত হোন, এই তথাকথিত গালিবাজেরা (ইনফ্যাক্ট, গালি = ব্যক্তি আক্রমন হলে জামাতিরা দূরে থাক, আপনার লিস্টেড সুশীলরা ছুপা রুস্তম) আপনার মত সুশীলদের চেয়ে দেশকে নিয়ে কম ভাবে? দেশকে তারা কম কিছু দেয়?
আপনি কিভাবে নিশ্চিত হোন, বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করা কু্ত্তাগুলোই বাংলাদেশের সমস্যার মূল নয়?
আপনাকে এই বিষয়ে বেশি কিছু বলার নাই। আপনিও জানার কথা, এটা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থেকে মানুষের মনোযোগ সরাতে জামাতি কৌশল। যারা জামাতকে পোন্দায়, জামাত পোন্দানিই তাদের একমাত্র কাজ না। ব্যক্তিগত জীবনেও তারা আপনার আমার চেয়ে অনেক বেশি কোয়ালিফাইড, অনেক বেশি স্বচ্ছ্ব চিন্তার মানুষ হতে পারে।
সুশীল/জ্ঞানী/বুদ্ধিজীবী এইসব ট্যাগ লাগিয়ে যেসব কুপমন্ডুক ঘুরে বেড়ায়, আপনিও তাদের চিন্তায় সহযাত্রী হলে কিছু করার নেই। এই পোস্ট প্রমাণ করে ঘটনা সেদিকেই যাচ্ছে। কি আর করা!
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এইখান থেকে আলোচনা আবার চাঙ্গা হবে বলে মনে হয়। আপাতত বিদায় নিতে হচ্ছে। ফিরে আসবো।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:২৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "আমরা আইদার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করি, অর তার উলটোটা।"
সঙ্কীর্ণতাটা এইখানে। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করি, আমি একুশের চেতনা ধারণ করি, আমি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী চেতনা ধারণা করি, আমি সংখ্যাগুরুর নিপীড়নের বিরুদ্ধচেতনা ধারণ করি, আমি সর্বমানবতাবাদের চেতনা ধারণ করি, আমি বিশ্বায়নবিরোধিতায় বিশ্বাস করি ইত্যাদি ...। আপনি আইদার আর অর নিয়ে আছেন। এজন্য সামহোয়ারটা আইদার অর মুক্তিযুদ্ধ হতে যাচ্ছে। আমি ইঙ্গিত বললেও এসব কথা স্পষ্ট করেই পোস্টে বলার চেষ্টা করেছি। আমার লেখায় যে আপনাদের ভাষায় 'রাইসু ট্যুইস্ট' নাই, সেটা অনেকেই বলেছেন।
"সেই মানুষগুলোর আবেগকে অপমান করে 'মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড', 'ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা' বলার আমি-আপনি কে?"
অবসেসনজনিত আবেগ একজন ব্লগারের পটেনশিয়ালিটি নষ্ট করে বলে মনে করি। তিনি হয়তো অন্য একটা শক্তিমান পোস্ট লিখতে পারতেন।
"আচ্ছা, যান, আমরা সবাই ভদ্র হয়া গেলাম। আমাদের মায়েদেরকে যারা রেপ করেছে, আমরা অবসেসড হয়ে তাদেরকে গালি দিবো না, আমাদের বোনদেরকে যারা ধর্ষণ করেছে, তাদেরকে লাথি দেবো না, আমাদের ভাইদেরকে যারা লাইন দিয়ে গুলি করে মেরেছে, তাদেরকেও আমরা আবেগে অবসেসড হয়ে কিছু বলবো না।"
ভদ্র হবার কথা বলিনি। মানসকে হেনস্থা করাটা কি ঠিক হয়েছে কিনা বলেন। যদি হ্যাঁ বলেন তাহলে কথা আগায় না।
মুক্তিযুদ্ধ হলো পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম একটি মানবিক বিপর্যয়, হত্যাযজ্ঞ এবং প্রতিরোধের ঘটনা। তার তাৎপর্য আমি ভুলে গেছি বলে মনে হয়?
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগের নীতিগত শিফট ও ভুল পদক্ষেপ, মিলিটারি ও জামাতীদের গুপ্তঘাতকী তৎপরতা এইসব সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্থানে স্থানে বিসর্জিত হবার কারণ। অধুনা যুক্ত হয়েছে বিশ্বায়ন, বহুজাতিক শোষণ, জঙ্গিবাদেরূপে নয়া মৌলবাদ, সবমিলিয়ে জটিল সময় পার করছে বাংলাদেশ।
এখন মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত ঘটনা নিয়ে অবসেশনজনিত গালাগাল আপনার আমার শক্তির অপচয় করে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "কিভাবে নিশ্চিত হোন, এই তথাকথিত গালিবাজেরা (ইনফ্যাক্ট, গালি = ব্যক্তি আক্রমন হলে জামাতিরা দূরে থাক, আপনার লিস্টেড সুশীলরা ছুপা রুস্তম) আপনার মত সুশীলদের চেয়ে দেশকে নিয়ে কম ভাবে? দেশকে তারা কম কিছু দেয়?"
'আপনার মতো সুশীল' বলার মাধ্যমে সেই একই অস্ত্র প্রয়োগ করা হচ্ছে, আপনার সঙ্গে যার ভিন্নমত আছে তার বিরুদ্ধে।
দেশকে নিয়ে আপনাদের ভাবনা আমার চেয়ে নিশ্চয় বেশিই, যেঘটনা বার্থ অব এ নেশনের জন্য দায়ী, আপনারা আছেন সেই ঘটনা নিয়ে, সবসময়। আমরা হয়তো পথভ্রষ্ট।
১২১| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪৯
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন:
লক্ষনীয় যে দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারাও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। অতীতেও নানান ট্রাজিক ঘটনার সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। দলীয় লড়াই মুখ্য হলে প্রতিপক্ষে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মেজর জলিলকেও রাজাকার আখ্যা দেয়া হয়েছে।
এই বাস্তবতায় আধিপত্যের তৃষ্ণা যেখানে প্রকট সেখানে সততা কোন গহবরে লুকিয়ে থাকে মনে হয় সবাই জানেন।
১২২| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৩
ইয়র্কার বলেছেন: যাক, আমার আগের মন্তব্য থেকে আপনার বুঝতে পারা উচিত, 'মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অবসেসড', 'ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা' কথাগুলো যে বলে, তার কুপমন্ডুকতাই প্রকাশ পায় শুধু। উপর দিকে থুথু দিলে থুথু নিজের গালে এসে পড়ে, অনেকটা সেই ফর্মূলায়ই ব্যাপারটা ঘটে। সুশীল ন্যাপকিন খুব তৎপর; কিন্তু থুথুর প্রতিক্রিয়াটা চোখেমুখে থাকবেই।
এনিওয়ে, (আপনি চাইলে) ওই আলোচনা ওখানে থাক।
মিরাজকে কেন জামাতি বলেছি, তা স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা আগানো যাক। আপনার বক্তব্য গোছানো ও টু দ্য পয়েন্ট হলে কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে, নাহলে আলোচনাই হবে শুধু, ফলাফল জিরো। সো, টু দ্য পয়েন্ট থাকবেন আশা করি
শুরুতেই একটা প্রশ্ন করি, ৭১এ মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা কি জামাত দলগতভাবে করেছে?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এতক্ষণে শুরু!
বুদ্ধিতে কুলাচ্ছে না, এই প্রশ্নের মানে কী?
একাত্তরে বিরোধিতা জামাত দলগতভাবেই তো করেছে।
১২৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫০
অমিত বলেছেন: আপনি ব্লগ বাস্তবতা বলতে খালি বইলা গেলেন কে আপনেরে কি বলেছে, কে আপনার পোস্টে কি রেটিং দিল আর আপনার কোন পোস্ট পড়া উচিত। এটা ই ব্লগিয় বাস্তবতা ? রসিকতা করেন স্যার ??
আবার এক জায়গায় এসে বললেন "মেন্টালিটির ডেভেলপ" ?? যে দাবী করে যে উঠতে বসতে ব্রিটিশ অ্যাকসেন্টে কথা বলে, তার মুখে এরকম শুনলে কেমন লাগে ? সাধে আপনাকে লোকজন জটায়ু বলে !!!
১২৪| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫১
ভার্চুয়াল বলেছেন:
ধুর শালা। কতো কিছু লিখব বলে আবার মন্তব্যগুলো পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু সবাই বলে দিয়েছে।
ইয়র্কার শেষপর্যন্ত মারাত্মক ইয়র্কার দিয়া আসলে আলোচনাটাই খতম করে দিয়েছে।
যাইগা ..
১২৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৮
অমিত বলেছেন: সারোয়ার, আপনে কি বলতে চাইলেন ?
১.মুক্তিযোদ্ধা মনেই ভাল না।
২.রাজাকার যাদের বলা হয়, তারা সবাই রাজাকার না ?
১ নিয়া তো তর্কের কোন অবকাশ নাই। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা যদি ৭৫ এ এসে খুন করে, তাহলে সে খুনীই থেকে যায়। ৭১ এর পরিচয় দিয়া তার পরের অপরাধ ঢাকার কোন উপায় নাই, ৭১ এর ভূমিকার জন্য প্রশংসিত হলেও।
২ নম্বর নিয়ে আপানর কি মত ? আপনার পো্স্টে কে কবে কি রেটিং দিল, সেই ঘ্যানঘ্যান করা ছাড়া যদি বলতে পারেন, তাহলে বলেন।
১২৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৬
ফেলুদা বলেছেন: সারওয়ার ভাই, একটা আত্মঘাতী কাম করলেন। পুলাপাইনের পুংটামী এক জিনিস, তারা আপনার লগে মজা নিলেও অপছন্দ করে না। কিন্তু আপনি যদি এদের আপনার পোস্টে দাওয়াত দেন, তাইলে পুরা ল্যাংটা কইরা ছাইড়া দিবে কৈলাম। দাওয়াত ফিরাইয়া নেন, যা কই শুনেন, দেরী কইরেন না। তারপরও শখ থাকলে আপনার পুস্টের লিংক দিয়া দুয়েকজনরে বলেন মূল্যায়ন করতে। তারপর এই ফেলুরেই স্মরণ করবেন।
১২৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৪৪
আজহার ফরহাদ বলেছেন: পিয়াল রাইসু সম্বন্ধে কী বললেন আর রাইসুই বা পিয়াল সম্বন্ধে কি বললেন তার বিচার করতে হলে সম্ভবত আরেকটি ব্লগীং কুরুক্ষেত্র জাহির হয়ে যাবে। যদিও মানস দা এই সব ব্যাক্তিগত সম্পর্কের পরিসংখ্যানে কনটেক্সটচুয়াল সমস্যার কথা বললেন। এখন আমাদের নতুন ব্লগারদের যারা মানুষের মুখের কথাকে সবিশেষ মর্যাদা দেন তাদের আস্বস্ত হতে আর কী কী মচ্ছবের অপেক্ষা করতে হবে? ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে- ঢোঁড়া সাপে কামড়েছে তাই গোবর বাঁচিয়ে চলা।
ধন্যবাদ ফাহমিদুল হক। আপনার খুব কাজের একটি লেখা পড়ে ভালো লাগলো। আপনি আপনার লেখায় পুরো ব্যাপরটিকে যে সরলীকরণের মধ্যে ব্যাখ্যা করলেন, তা মেনে নেবার পক্ষে নেই অনেকেই। যদিও আপনার লেখাটি সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য। তবে ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোর্শেদ এই দু'জনকে নিয়ে যে পরিমাণ উত্তেজিত ব্লগাররা সে উত্তেজনায় তাদের নিজেদেরও হাত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি বিভিন্ন আলোচনা থেকে অবগত হতে কষ্ট হয় না। কিন্তু অভিযোগগুলি উত্তেজনার আকারে প্রকাশ হয় বলে বিপত্তি বাঁধে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২৮| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৩৭
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: যাদের যুক্তি দিয়ে বোঝানো যায়না, তাদের ইগনোর করাই কি ভালো না? কিংবা একযোগে মাইনাস দেয়া?
ইগনোর করা যায় হয়তো ! কিন্তু কোন পর্যন্ত আপনি ইগনোর করবেন, কদ্দুর পর্যন্ত ইগনোর করা যায়, সে সীমারেখাটা কে নির্ধারণ করবে ?
আপনার বাবাকে কেউ গালি দিলে সন্তান হিসেবে নিশ্চয়ই আপনি তার প্রতিবাদ করবেন । মা'কে কেউ অশ্লীল ইঙ্গিত দিলে আপনার প্রতিবাদের ভাষা হয়তো অনেক বেশী আক্রমণাত্মক হবে । আপনার ঘরে আগুন লাগলে,নিশ্চয় আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন না,- দেখা যাক কতদূর জ্বলে ?!
ইগনোর করা যাই, কিন্তু সবসময় নয় ।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ইগনোর করা যায়, সবসময় হয়তো না।
১২৯| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৪২
রাশেদ বলেছেন: আওরংগজেব নামের জামাতি ব্লগার একবার পোস্ট দিলো যে - যুদ্ধের সময়ে কুকুর কামড়ে কাচ্ছে যে বাচ্চাটাকে - এই ছবিটা ফটোশপে এডিট করা। এই সময়ে কি করা উচিত? কোন যুক্তিতে তাকে বুঝাতে পারবো?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে তো।
কিন্তু মানসের সঙ্গে যা করা হলো তাতে আমার আপত্তি।
কেন এরকম মাঝে মাঝে হয়, তার বিশ্লেষণটাই করতে চেয়েছি পোস্টে।
১৩০| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৪৬
রাশেদ বলেছেন: কিছুদিন এগেই একজন পোস্ট দিলো শেখ মুজিব জাতির পিতা আর জাহানারা ইমাম জাতির মা! এইসব কুরুচি ইঙ্গিতপূর্ন পোস্টের এগেইন্সটে কি যুক্তি দেয়া যায়?
১৩১| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৫২
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন: এ-জাতীয় মন্তব্যের বদলে কোন যু্ক্তি না..যুক্তির বদলে জাষ্ট জু..নো উচিত @রাশেদ
১৩২| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:০৬
রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই পোষ্টের অসংখ্য মন্তব্যগুলো এখনও পড়িনা, কিন্তু পোষ্টটা পড়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে- এটি আমারও মনের কথা।
বিশেষকরে রাইসু প্রসঙ্গে যা হল তাতে মনে হতেই পারে, এব্লগে কোন স্বাধীন মতামত করা যাবে না, যা করার তা সংখ্যাগরিষ্টের মত অনুযায়ী করতে হবে। তাই যদি হয় তবে কিন্তু ব্লগ তার বৈচিত্রতা হারাবে। তার মানে এই না যে আমি রাজাকারী পোষ্টের পক্ষে বলছি। কিন্তু আমাদের আরও বেশী ধৈর্য্যধারন করা উচিত।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সহমত।
১৩৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:৩৫
মারিয়া তাবাসসুম বলেছেন: একমত
১৩৪| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:৪১
ডাক্যাইত বলেছেন: ফাহমিদুল তো পুরা ধরা খেয়ে গেলেন! এখন আপনার উচিৎ হবে মিরাজের মতো কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ৪/৫ টা পোস্ট দিয়ে (পারলে জামাতকে গালাগালি করে আরো ৪/৫ টা পোস্টসহ) ব্লগের মুক্তিযোদ্ধাদের মন মাতানো। আপনার এই চিয়ারলিডিং দেখে যদি তাদের দয়া হয় তাহলে হয়তো কপাল থেকে সুশীল খেতাব মুছতে পারে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: না, সেরকম কোনো সম্ভাবনা নাই।
আমার ইমেজ নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
আমি আমার অবস্থান সহজসরলভাবে সব জায়গায় বলি, সবসময় বলি।
১৩৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:২০
ডাক্যাইত বলেছেন: আমার কাছে মনে হইছে রাইসু, মামো, মিরাজ এবং মানস নিজেদের অবস্থানে যথেষ্ট শক্ত। কারুর কথার তারা কেয়ার করেনা। তারা নিজেরা যেটা সঠিক ও সত্য মনে করে সেটাই তারা বলে কোন রাখ ঢাক না রেখে। তাদেরকে ব্লগের মুক্তিযোদ্ধাদের মন যুগিয়ে চলতে হবে এমন কোন ওহী নাযিল হয় নাই।
পিয়াল রাইসু সম্পর্কে যে মিথ্যাচার করলেন এটা তার মজ্জাগত। প্যাথলজিকাল লায়ারদের করুণা করা যায় কেবল।
১৩৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:১৮
সেলিম তাহের বলেছেন: ইয়র্কারের মন্তব্যটা অসাধারণ। সেল্যুট এন্ড হ্যাটস অফ্!
১৩৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:৪৮
অমিত বলেছেন: ছাগু তোর লেজ দেখা যায় রে...
১৩৮| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:০৮
অমিত বলেছেন: মেহরাব শাহরিয়ার,
"আর ইসলাম বিদ্বেষের প্রতিবাদ করলেই রাজাকার ট্যাগিং করে ফেলা "
এই ব্যাপারটা কখন হয়েছে একটু বলবেন কি ?
১৩৯| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:২২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার এই পোষ্টের কারণে অনেক কিছুই জানতে পারলাম তাই আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতগ্গতা।
মিরাজ ভাইকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। তাই ওনার সম্পর্কে যেটা বলব সেটা হচ্ছে ওনি অসাধারন একজন মানুষ। ওনার মতের সাথে আমার বলা যায় পুরোপুরি মিলে। ওনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কি বিপক্ষে সেটা ওনার ব্লগে গেলেই যে কেউ বুঝতে পারবে। আমার তো মনে হয় এইখানে ওনার মত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক লেখা কিংবা দলিল (দু একটি ছাড়া)কেউ লিখতেও পারেনি কিংবা দেখাতেও পারে নি। এইখানে যারা আমার প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় লেখক তার মধ্যে মিরাজ ভাই অন্যতম। উনি যুক্তি দিয়ে তর্ক করেন তাই অনেক পোষ্টে কমেন্ট করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন।
অন্য তিনজনের সম্পর্কে খুব একটা জানি না।
আমার মনে হয় এখানে ধর্মীয় পোষ্টগুলো না দিলেই বিতর্ক অনেকাংশে কমে যাবে। আমার যুক্তি হল এই ব্লগ যেহেতু বাংলা এবং বাঙ্গালীদের তাই এখানে নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে পোষ্ট এখানে সম্পূর্ণরুপে নিষেধ করা উচিত। যারা করবে তাদের ব্যানড করা উচিত। তাই ওয়ামীর ব্যানড যতার্থ। গালাগালি কিংবা অকথ্য ভাষায় কথা বলা আমার রুচিতে বাধে। আমি এখন পর্যন্ত কখনো কারো পোষ্টে গিয়ে অরুচিপূরণ কথা বলি নি। তবে অনেকে করেন। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় উনারা offense is the best defence হিসেবে নেন।
ধর্মীয় পোষ্ট এখানে না দেবার যুক্তি হল....এটা কোন ইসলামিক ওয়েবসাইট কিংবা ইসলামিক এজেন্ট না। আর এখানের ৯৫% ব্লগার ই ম্যাচুউরড। সবাই ধর্ম সম্পর্কে কম বেশী গ্গান রাখেন। আমি আমার ধর্ম নিজের ভেতরে রাখি। এটা তো দেখানোর কিছু না।
বাই দ্যা ওয়ে আপনার লেখার সাথে একমত। আলোচনা চলুক।
ভালো থাকুন।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪০| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:১০
চিরচেনা বলেছেন: পিয়াল যেভাবে রাইসুর নামে মিথ্যা বলে গেল বা ভুল বলে গেল, তা নিয়ে কিন্ত আমাদের ব্লগের বুদ্ধজীবিরা কিন্তু কিছু বললেন না। মামো যদি রাইসুর চামচামী করার জন্য ঘৃণিত হয় পিয়ালের কাছে, তাহলে পিয়াল রাইসু আর তার নিজের মাঝের মধ্যকার কথাকে পরিবর্তন করে বলে তার চেয়ে বেশী ঘৃণার কাজ করেছে।
কিন্ত আজব ব্যাপার সব বুদ্ধজীবিরা গেল কই। বিবেক তাদের গেল কই ??
১৪১| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:৫৮
ডাক্যাইত বলেছেন: শফিউল আলম ইমন বলেছেন: "এটা কোন ইসলামিক ওয়েবসাইট কিংবা ইসলামিক এজেন্ট না। আর এখানের ৯৫% ব্লগার ই ম্যাচুউরড। সবাই ধর্ম সম্পর্কে কম বেশী গ্গান রাখেন। আমি আমার ধর্ম নিজের ভেতরে রাখি। এটা তো দেখানোর কিছু না।"
একমত। ধর্মীয় পোস্ট নিষিদ্ধ করা হোক। কর্তৃপক্ষ নজর দিন।
১৪২| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৪০
বিগব্যাং বলেছেন: আমি বলেছিলাম
তার মানে আপনি (ঢাবিতে) কখনো কারো কাছে আপনার কলেজজীবনে শিবিরসংশিলিশটও থাকার কথা সীকার করেননি?@ডক্টর মিরাজ স্যার
উত্তরে ডক্টর মিরাজ স্যার বলেছেন
@ বিগব্যাং
আবারও ফালতু কথা নিয়ে আসছেন । অফ যানরে ভাই । কেন শুধু শুধু কথা বাড়ান ।
ক্ষমা চাইলেন, মনে হলো ভুল বুঝতে পেরেছেন । এখন দেখি যেই লাউ সেই কদু । আবারও মিথ্যা কথা বলছেন, আপনার ভাই জুড়ি মেলা ভার ।
এইসব গল্প ফাদতে লজ্জাও লাগেনা?
১৪৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৩
কৌশিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মনে হচ্ছে পারস্পরিক উৎকণ্ঠা থেকেই তো উদ্ভুত পরিস্থিতি।
১৪৪| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫৪
কালপুরুষ বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আপনার যুক্তি, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ ভাল লাগলো।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৬
কাজ করে খাই বলেছেন: আমাদের ড়াজাকাড়ের পক্ষ থেকে দাবী
========
আমাগো লিগা একটা বধ্যভুমি বানান। ব্রাশফায়ার কইরা মারেন আমাগো
রেডি হও আর না হও - জনতা আসছে সহসাই - বানান লাগবো না - তোদের তৈরী বধ্যভুমিতো আছেই!
১৪৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৭
রাশেদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রমাণ হইলো রাইসু ওয়ামীর বন্ধু না, বা ওয়ামী রাইসুর।
সুপারিশের পোস্ট বিষয়ক অভিযোগ তাহলে খণ্ডিত হয়ে যাচ্ছে।
----------------------------
তাহলে রাইসুর পোস্টদুইটাকে কি হিসেবে দেখেন? সে যেইভাবে পোস্টগুলো করলো তা কার পক্ষে গেছে?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ওয়ামীর প্রতি সংবেদনশীল পোস্ট।
কিন্তু তার পুরা কথাটা বাতিলযোগ্য নয় আমার কাছে।
কেন নয়, পোস্টের বিষয়বস্তুই তো সেটা।
১৪৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:০৯
রাশেদ বলেছেন: মানে এইসব ক্যাচালে আপনি কতদিন নিজেকে নিযুক্ত রাখবেন? ধরেন, তারা কেউ লিখলো শহীদ ৩০ লাখ না, ৩ লাখ। জাহানারা ইমামকে বললেন জাহান্নামের ইমাম। মুজিব স্বাধীনতা চাননি। ইত্যাদি। এইসব খুব কমন ইস্যু জামাতি উস্কানির। এইসব নিয়ে আপনারা অনেক বলেছেন, প্রথমে তথ্যপ্রমাণযুক্তি দিয়ে, পরে গালি দিয়ে। কিন্তু তারা বেহায়ার মতো অন্য নামে একই কথা বলবে।
বাস্তব জগতে আপনি না হয় মেরে দিবেন। কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে আপনি গালির মাত্রা কেবল চড়াতেই পারবেন। মাঝখান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট, আরও কত কি!
---------------------------
তাহলে কি করা উচিত? চুপচাপ দেখে যাওয়া এইস কাজ? ব্লগে এখন যে অনেক সুস্থ অবস্থা দেখছেন তার পিছনে এই গালি আর কাঠালপাতার ভালো অবদান আছে। এইগুলোর কারনেই তারা বাড়তে পারে নাই। প্রতিবাদ না করা হলে এইরকম পোস্ট যে তারা আর দিবে না তার গ্যারান্টি কোথায়?
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: হনুমানের মতো পুরা পাহাড় তুলতে চাইলে মানস হেনস্থা হবে। আপনাকে মেরিট বুঝে প্রতিবাদ, গালি, ট্যাগিং করতে হবে।
কাঁঠালপাতা দীর্ঘজীবী হোক।
মিরাজের গালিবাজির পোস্টে বলেছিলাম, বিরোধিতার বচনে যদি কেবল গালি থাকে তবে তার মূল্য খড়কুটো নেই আমার কাছে। তবে গালির দরকার আছে।
১৪৮| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৩৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সবগুলো কমেন্ট পড়লাম । এক সপ্তাহ ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম বলতে গেলে , এ পোস্টটা পড়ে সবকিছু পরিস্কার হলো । আপনার সাথে আমিও সহমত ।কয়েকটা ব্যাপারে একটু পরিস্কার করি । মাহবুব মোর্শেদের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে , তিনি জানুয়ারীর ঘটনার সময় ভার্চুয়াল গুন্ডা থিওরি উপস্থাপন করেছিলেন । কিন্তু স্পষ্ট মনে আছে , মাহবুব মোর্শেদের একটি পোস্টে লেখা একটা কথাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধবাদীরা ২ দিন একটানা তাকে হেনস্থা করে ।মাহবুব ভাই তখন একটা পোস্ট দেন। সেই ঘটনার রেশ না কাটতেই বেশ কয়েকজন ভালো ব্লগার ব্যান হয়ে যান । তখন দু'টো ঘটনা একসাথে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিশিয়ে ফেলা হয় । প্রচন্ড অবাক হয়েছিলাম এমন ম্যানিপুলেশন দেখে , তাই সেটা আজ জানিয়ে গেলাম।
ব্লগে একটা মারাত্মক খারাপ ট্রেন্ড আছে । সেটার পেছনে ব্লগের পরিবেশটাও কম দায়ী নয় । ব্লগে এসে বেশির ভাগ মানুষই স্বাধীন চিন্তা করার ক্ষমতা কিছুটা হলেও হারিয়ে ফেলেন । দলবদ্ধ হয়ে পড়েন , নিজের চিন্তার গন্ডিতে আটকে গিয়ে চরমপন্থী হয়ে উঠেন ।
প্রত্যেকের একটা ভিশন আছেন । মুক্তিযুদ্ধ আর ইসলাম , এ দু'টো বিষয় ব্লগে সবচেয়ে বেশি সময়জুড়ে থাকে । মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বললেই তাকে আওয়ামি লীগ , আর ইসলাম বিদ্বেষের প্রতিবাদ করলেই রাজাকার ট্যাগিং করে ফেলা , এটা খুব কমন একটা ব্যাপার । যদিও যারা এমন ট্যাগিং করেন , তারা বিষয়টিকে অস্বীকার করেন , কিন্তু ব্যাপারটি সত্যির চাইতেও বেশি কিছু । খুবই দুর্ভাগ্যের কথা হল , এ দু'টো বিষয়কে অনেকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন । আমরা বাক স্বাধীনতার কথা বলি ।কিন্তু তার মানে এটা মনে করি না মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করার অধিকার আমার থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের মত এমন বিশাল ব্যপ্তিময় ঘটনার মাঝে খুঁত খুঁজতে যান যারা , তাদের নিয়ে সন্দেহ হওয়াটাই উচিৎ।আবার কারও ধর্মবিশ্বাসের মূলে অবিরাম কুঠারাঘাত করা খুবই অন্যায় , বাকস্বাধীনতার সংজ্ঞা আমাদের এমন অধিকার দেয় না । ঠিক এমন করে চিন্তা করলে আজকাল অনেকেই যে নতুন ট্যাগটা পান সেটা হলো "সুশীল" । সুশীল ট্যাগিং , মুক্তচিন্তার পরিধিকে থামিয়ে দেয়ার একটা প্রয়াস বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে ।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "সুশীল ট্যাগিং , মুক্তচিন্তার পরিধিকে থামিয়ে দেয়ার একটা প্রয়াস বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে ।"
চিন্তার কথা।
১৪৯| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:১৭
ধুসর গোধূলি বলেছেন:
খুব সাধারণভাবে এরকম পোস্টে আমি ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাটা শ্রেয় মনে করি। কিন্তু তারপরও করছি কারণ আপনি ধারাপাত অধ্যয়ন ছাড়াই উচ্চতর পাটীগণিতের শিক্ষা দিচ্ছেন বলে।
আপনার ভাষার ব্যবহার অবশ্যই প্রসংশার দাবীদার। দ্বিমত নঈ।
কিন্তু একটা জিনিষ ভেবে দেখেন তো যদি আমাদের মধ্যে অবসেশন না থাকতো তাহলে কী দাঁড়াতো পরিস্থিতি! আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়, স্বাধীকার আন্দোলনের ইতিকথা কয়টা প্রজন্ম ধরে লালন করতে পারতেন! আজকে আপনি, কাল আপনার পরের প্রজন্ম, তারপর? একটা সময় হয়তো ১৯৪৮এর পর ইতিহাস সাঁই করে চলে যেতো বর্তমানে। সেটা হোক, এমনটাই কি চাচ্ছেন আপনি?
ধরেন এমনটাই হলো কোনো একদিন। জামাত রাস্ট্রক্ষমতায় চলে এলো। তখন ব্রাত্য রাইসুর অবস্থান কী হবে আপনি জানেন? সরকারী মুখপত্র সংগ্রামের সাহিত্য পাতার উজ্জল মুখ হিসেবে দেখবেন তাকে। মাহবুব মোর্শেদ তখন তেল দেবেন জামাত কিংবা শিবিরের কোনো তাগড়া নেতৃত্বকে, মিরাজ সাহেব হয়তো তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন, এবং যথারীতি সরকারের তোষন করবেন।
এতে তাদেরকে দোষ আপনি দিতে পারবেন না। রাইসু তার নিজের পেশায় থাকবেন, এতে দোষের কিছু নেই। তিনি পেশা বদলাতে পারবেন না, পারবেন না অন্যকিছু করতে। এই একটা জিনিষই পারেন তিনি। সেটা হলো কোনো সাহিত্য পাতার সম্পাদনা। তারপক্ষে এর বাইরে যাওয়ার উপায় নেই।
মাহবুব মোর্শেদ এক্ষেত্রে দুধভাত। তাকে নিয়ে বলার কিছু নাই। কিন্তু তার বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য।
মিরাজ সাহেব হয়তো দেশে কিছু না করে বিদেশে কিছু একটা করবেন, কিন্তু দেশে থাকলে? পারবেন তিনি ভিন্ন ধারায় যেতে?
এবার ধরেন ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের কথা। তাদের অবস্থান কী হবে? তারা কি তখন সরকারের তালে তাল দেবে নাকি এছাড়াও তাদের সামনে অন্যপথ খোলা থাকবে? একটু ভেবে দেখেন!
পলিটিক্যাল স্টান্টবাজী আপাততঃ সাইডলাইনের বাইরে পাঠায়ে দেন। দেশ এবং দেশের স্বার্থ নিয়া কথা বলেন।
ব্রাত্য রাইসু, মানস চৌধুরী- যে কথাগুলো বলতে চান তাকে ননপলিটিক্যাল ব্র্যান্ড লাগিয়েও কি দেশের স্বার্থে বলা যায়? যে অবসেশন না থাকলে গোটা গৌরবের ইতিহাসটাই নাই হয়ে যায় সেখানে দেশের প্রতি মমতা আনবেন কোন উৎস থেকে?
আপনি নিজের ব্লগ টাইটেলেই লিখে রেখেছেন "মাধ্যম ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের পাঠশালা"- দেশের স্বার্থের, সম্মানের এই অধ্যয়নটা করলে কি তাহলে সেটা অবসেশন হয়ে যায় আপনার কাছে? মুক্তিযুদ্ধ তো কেবল ইতিহাসের একটা অধ্যায় না আমাদের জন্য। এটা আমাদের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি নিয়ে বুদ্ধিজীবিতা, সুশীলতা মানায় নারে ভাই! আর মানায় না বলেই ব্রাত্য রাইসু'র নিজেই নিজেকে বুদ্ধিজীবি বলে চালান দেওয়া কথাবার্তায় অনেকের বিরক্তি জন্মে, সেই বিরক্তির আগুনে ঘি ঢালে তার প্রতি মানস চৌধুরীর অকপট সাপোর্ট।
আপনি আপনার সুবিশাল পোস্টটি লিখতে গিয়ে অনেক খেঁটেছেন। আরিফ জেবতিক যেমন উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন আমার কাছেও এটা একটা মাকাল ফলের মতোই মনে হয়েছে, বেহুদা। কিন্তু আপনার কষ্টের প্রতি সম্মান রেখেই মন্তব্যটা করা। এবং যথারীতি এটাও বেহুদা।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "ধারাপাত অধ্যয়ন ছাড়াই উচ্চতর পাটীগণিতের শিক্ষা দিচ্ছেন বলে।"
শিক্ষাপ্রদান যদি আমার অত প্রিয় বিষয় হতো তাহলে কলাভবনের বাইরে বেরুতাম না। এখানে আমি আপনি সমান -- ব্লগার।
"কিন্তু একটা জিনিষ ভেবে দেখেন তো যদি আমাদের মধ্যে অবসেশন না থাকতো তাহলে কী দাঁড়াতো পরিস্থিতি! আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়, স্বাধীকার আন্দোলনের ইতিকথা কয়টা প্রজন্ম ধরে লালন করতে পারতেন! আজকে আপনি, কাল আপনার পরের প্রজন্ম, তারপর? একটা সময় হয়তো ১৯৪৮এর পর ইতিহাস সাঁই করে চলে যেতো বর্তমানে। সেটা হোক, এমনটাই কি চাচ্ছেন আপনি?"
সেরকম যে আমি চাইনা তার প্রমাণ কি আমাকে দিতে হবে? তবে মুক্তিযুদ্ধ বলি বা যেকোনা ঐতিহাসিক ঘটনাই বলি, তাকে নির্মোহভাবে অনুভব করার প্রয়োজন আছে।
১৫০| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৫০
রাগিব বলেছেন: মনে হচ্ছে সুদীর্ঘ কমেন্টের হিসাবে রাইসু ভাইয়ের ঐ পোস্টের রেকর্ডটি এই পোস্ট ভেঙে ফেলবে
১৫১| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:১১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অমিত ভাই ,
হম বলবো , এখন সবগুলো উদাহরণ মনে নাই । তবে আমার নিজের বেলায় যেটা হয়েছে সেটা দেখাবো , এরপর যখনই চোখে পড়বে জানিয়ে দেবো ।
mehrab012 at yahoo.com
১৫২| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:২২
অমিত বলেছেন: মেহরাব শুনেন, আপনি আর এই পোস্টের লেখক বারবার এই একটা কাল্পনিক অভিযোগ করে গেলেন, যেটার পক্ষে কোন প্রমাণ আপনেরা দেখাইতে পারলেন না। এই ব্লগে "রাজাকার" মনোভাবাপন্ন ব্লগার বলা হয় কয়েকজনকে এবং ঐতিহাসিক নিয়ম অনুসারে তারা একেকজন যথারীতি ইসলাম ছাড়া এক পাও আগান না টাইপের। একজন তো দিনে দুইবার সোনার মদিনার ছবি পয়দা কইরা চলেন, আর অন্যদিকে মওদুদির জীবনীর লিন্ক দিয়া বেড়ান। তো তাদেরকে যখন রাজাকার বলা হয়, তখন তারা দক্ষতার সাথে এইটা বইলা বেড়ান যে তাদের সুফি পরিচয়ের জন্য এটা করা হইতেছে।
এসব হচ্ছে বলা যায় কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষা। আপনেরা যদি এসব স্টেরিওটাইপ ধরতে না পারেন, তাইলে তো বড়ই আশাহত হইতে হয়।
১৫৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৪০
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: আসলেই ৩৭ বছর অনেকটা সময়; চরিত্রস্খলন, পদস্খলন আর বিস্মৃতির জন্য।
সময় পার হইয়া যায়, হিজরা আর ক্লিবে একাকার চারিদিক।
১৫৪| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৫২
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অমিত ভাই , প্রমাণ দেয়ার জন্য আমার আইডি তো দিলাম
।
জামায়াতের অনেকে মনে করে তাদের বিরোধিতা করা মানেই ইসলামের বিরোধিতা করা, তাদের জন্য করুণা হয় । আবার আমরাও অনেকে ইসলামের পক্ষে কথা বলতে দেখলে তাদের জামাত মনে করে বসি , এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন ?ব্যক্তি আক্রমণ এ ব্লগে নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার , সেটাও তো চোখে পড়েছে আপনার বা আমার ।
যাই হোক , পোস্টের বিষয়বস্তু থেকে দূরে সরে যাচ্ছে , এই বিষয়টা এখানে বাদ দিলাম । অন্য কোথাও কথা হবে ।
১৫৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৫
ফেলুদা বলেছেন: রাজাকারের ছেলে মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দিছে
সামহোয়ার রাজাকােরর ছেলের ব্যান করছে
রাইসু জিগাইছে ক্যান ব্যান করলো?
ভা.গুরা কয় তুই রাজাকার
মানস কয়, রাইসু তোমার খবর আছে তুমি নাকি রাজাকার
ভা.গুরা কয়, তুইও রাজাকার
তারপর খালি হিট পোস্ট আর হিট পোস্ট
১৫৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৯
দেশপ্রেমিক বলেছেন: ইয়র্কারে মন্তব্যের উত্তরে ফাহমিদুল বলেছেন: "এখন মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত ঘটনা নিয়ে অবসেশনজনিত গালাগাল আপনার আমার শক্তির অপচয় করে।"
মীমাংসিত! আপনার স্বরূপ উন্মোচিত হচ্ছে।
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: কী পাইলেন আল্লা জানে।
একাত্তর তো বিতর্কিত কিছু নয়। জামাত সেখানে পরাজিত। বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্ম হয়েছে। সেহিসেবে মীমাংসিত।
১৫৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৭
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আলোচনা উদ্দীপক পোষ্ট। তাহলে চলুক আলোচনা।
১৫৮| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৫
মুক্তি বলেছেন: "এস্কিমো, রাশেদ, জেনারেল, হাসিব, মুকুলদের মতো মুক্তিযোদ্ধারা সামহোয়ার ইন ব্লগে নির্বাচিত পোষ্ট কি হবে তা নির্নয় করে। এখন কথা ঘুড়াতে চেষ্টা করছেন না তো? প্রিয় পোস্ট এবং নির্বাচিত পোষ্টের আলাদা সংজ্ঞা থাকার পরেও এখানে নির্বাচিত পোষ্ট হাইলাইটেড!
২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: একটু বোঝার চেষ্টা করেন। আমি ফ্রন্টপেজের নির্বাচিত পোস্টের কথা বলছি না। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্লগে প্রিয় পোস্ট থাকে আর লিঙ্কের জায়গা থাকে ডানে। আমি ঐ দুইটা জায়গার কথা বলছি।
১৫৯| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মুকুল বলেছেন: কেউ কেউ বলছেন, মুক্তি না কি সম্প্রতি ব্যান হওয়া একজনের নিক!
যাই হোক, নির্বাচিত পোস্ট নির্ধারণ করি আমি! - তার এই কমেন্টে নিজেকে খুব ক্ষমতাবান মনে হচ্ছে।
১৬০| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩৪
ইয়র্কার বলেছেন: ফা. হ. > অবসেসনজনিত আবেগ একজন ব্লগারের পটেনশিয়ালিটি নষ্ট করে বলে মনে করি। তিনি হয়তো অন্য একটা শক্তিমান পোস্ট লিখতে পারতেন।
.........
তার মানে স্বাধীনতাবিরোধিদের ঠ্যাংগালে অসুশীলদের পোটেনশিয়ালিয়াটি নষ্ট হচ্ছে বলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধের আবেগের অবসেশন থেকে সবাইকে মুক্ত করতে চান? মুক্তিযুদ্ধের আবেগ তো দেখছি বিরাট ক্ষতিকর জিনিস, তাইতো বস?
=============
আমি বলেছিলাম: আচ্ছা, যান, আমরা সবাই ভদ্র হয়া গেলাম। আমাদের মায়েদেরকে যারা রেপ করেছে, আমরা অবসেসড হয়ে তাদেরকে গালি দিবো না, আমাদের বোনদেরকে যারা ধর্ষণ করেছে, তাদেরকে লাথি দেবো না, আমাদের ভাইদেরকে যারা লাইন দিয়ে গুলি করে মেরেছে, তাদেরকেও আমরা আবেগে অবসেসড হয়ে কিছু বলবো না।
আপনি বলেছেন: ভদ্র হবার কথা বলিনি। মানসকে হেনস্থা করাটা কি ঠিক হয়েছে কিনা বলেন।
-------
আমার প্রশ্নে একজন মানস চৌধুরী কোন ব্যাপার নয়। আলোচনা হচ্ছে সার্বিকভাবে। আপনি উত্তরটি আবার দিন প্লিজ।
================
ফা. হ. : মুক্তিযুদ্ধের মতো মীমাংসিত ঘটনা নিয়ে অবসেশনজনিত গালাগাল আপনার আমার শক্তির অপচয় করে।
------
মুক্তিযুদ্ধের মত মীমাংসিত বিষয় ডিফাইন করে আরেক ব্লগারকে দেয়া আপনার মন্তব্য পড়লাম।
আপনি এখানে কার্যের পিছনের কারণকে লক্ষ্য করতে পারেন নি। হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান-জামাত-দেশদ্রোহীরা পরাজিত হয়েছে। কাহিনী খতম। এখন কথা হলো, সেই খতম হওয়া কাহিনীর পরাজিত পক্ষ যখন তাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে ভূলুন্ঠিত করতে এই ব্লগেই একের পর এক 'মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে' অপপ্রচার চালাবে, তখন আপনি কি সাজেস্ট করেন?
ক) আমরা তখন একেবারে চোখ বন্ধ করে ইগনোর করে যাবো?
খ) আমরা তখন 'মীমাংসিত বিষয়' নিয়ে তাদেরকে আবার যুক্তি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করবো? মীমাংসিত বিষয় নিয়ে তাদের কু-তর্কের সাথে যুক্তির লড়াই আবারও চালাতে হবে?
গ) 'মীমাংসিত মুক্তিযুদ্ধ' নিয়ে অপপ্রচারকারীদেরকে বাক-স্বাধীনতার বেনিফিট দিবো?
ঘ) নাকি আমরা সেই অপপ্রচারকারীদের কন্ঠরোধ করবো?
টু দ্য পয়েন্ট বলেন পিলিজ।
============
আপনার সাথে পারসোনাল কোনো সমস্যা আমার নেই। আমার কোনো মন্তব্যেই পারসোনাল কোনো ব্যাপার নিয়ে কটাক্ষ নেই। ভুল বুঝার অবকাশ থাকলে আমার প্রকাশ ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ভাববেন। ভুল না বুঝলে খুশী হবো।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৪৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "তার মানে স্বাধীনতাবিরোধিদের ঠ্যাংগালে অসুশীলদের পোটেনশিয়ালিয়াটি নষ্ট হচ্ছে বলেই আপনি মুক্তিযুদ্ধের আবেগের অবসেশন থেকে সবাইকে মুক্ত করতে চান? মুক্তিযুদ্ধের আবেগ তো দেখছি বিরাট ক্ষতিকর জিনিস, তাইতো বস?"
এতো কথার পিঠে কথা হচ্ছে কেবল। মুক্তিযুদ্ধের আবেগ ক্ষতিকর আমি কখন বললাম। এবার একটু কঠিন করে বলি: আপনি বোধহয় মুক্তিযুদ্ধে আটকে থাকতে চাচ্ছেন। আমি ছাড়িয়ে যেতে চাই। আমি ঐতিহাসিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় এনে সাম্প্রতিক ইস্যুগুলোকে বুঝতে চাই।
গালি বাদ দিয়ে ভদ্র হবার প্রসঙ্গে বলি। আপনাকে আমি তেল দিয়ে চুল আঁচড়ে পাঞ্জাবী ফতুয়া পরে লালবাবুটা সাজতে বলিনি। আমি বলেছি চিন্তাটা ডাইভার্সিফাএয়ড হওয়া দরকার। সামহোয়ার কেবল ছাগুতাড়ানির মাঠ বলে মনে হয়।
মানসের প্রতি অবিচারটা এজন্যই হয়েছে। এককেন্দ্রিক চিন্তার কারণেই রাইসুর প্রত্যেকটা অক্ষর আপনি বাতিল করতে চান গালাগালসমেত। কিন্তু তার কথায় কিছু একটা আবিষ্কার করেছিলেন মানস, আমি করেছি আমার মতো।
বোল্ড এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরে আমি চার ঘরেই গোল্লা ভরাট করবো। আপনি খাতা দেখে কেটে দেবেন জানার পরও।
আমি প্রশ্নকর্তা হলে ঙ)-তে লিখতাম "কেবল গালাগাল করবো" এবং সেই গোল্লাটা ভরাট করতাম না।
১৬১| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৩৯
ইয়র্কার বলেছেন: মিরাজ নিয়ে -
আমি বলেছিলাম: ৭১এ মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা কি জামাত দলগতভাবে করেছে?
আপনার উত্তর: একাত্তরে বিরোধিতা জামাত দলগতভাবেই তো করেছে।
-------
অনেক ধন্যবাদ।
এখন প্রশ্ন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায় তাহলে জামাত দল হিসেবে বিয়ার করবে, নাকি জামাতের নেতা-কর্মীরা ইনডিভিজুয়ালি বিয়ার করবে?
(উত্তর দেয়ার সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম (?৭২) সংবিধান মাথায় রাখলে ভালো হবে।)
১৬২| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:২২
রাশেদ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হনুমানের মতো পুরা পাহাড় তুলতে চাইলে মানস হেনস্থা হবে। আপনাকে মেরিট বুঝে প্রতিবাদ, গালি, ট্যাগিং করতে হবে।
কাঁঠালপাতা দীর্ঘজীবী হোক।
মিরাজের গালিবাজির পোস্টে বলেছিলাম, বিরোধিতার বচনে যদি কেবল গালি থাকে তবে তার মূল্য খড়কুটো নেই আমার কাছে। তবে গালির দরকার আছে।
-----------------------------------
ব্যক্তিগত জীবনে কে কি করছে তার থেকে আমার তো মনে হয় ব্লগে তার আচরন কি সেইটাই মুখ্য। আমি যদি দেখি কেউ একজন ওয়ামির ব্যান হইলে মায়াকান্না করে তাহলে তাকে প্রতিবাদ করাটাই উত্তম। ঠিক না? আমি দেখতেছি তার ব্লগ লাইফ। আমার কাছে তার ব্লগ লাইফে সে কি সেইটাই ইম্পর্টেন্ট। এইখানে সে কোন পক্ষে কথা বলছে সেইটাই ফোকাস করা হয়। কেউ যদি মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হয়েও জামাতের পক্ষে কথা বলে তাকে সেই গোত্রেই ফেলা হবে। তাই তো হওয়া উচিত?
যেখানে যুক্তি দিয়ে বোঝালে কাজ হয় সেখানে বোঝানো হয়। কিন্তু ধৈর্যের সীমা বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। কতবার একই জিনিস সহ্য করা যায়। মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে তো আর কম কথা হয় নি। তাই এখন গালি খায় ডাইরেক্ট। কারন তাদের বোঝানোর পরেও তারা আবার সেইম পোস্ট দেয়। গালিকে তাইলে সাপোর্ট দিলেন?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: রাইসু তো একটা সমাধানের কথা বলেছেন। জামাতী মতাদর্শের পোস্ট যারা দেয় (আমি শিবির করি, আমি কেন জামাত ভালোবাসি ইত্যাদির মাধ্যমে চিহ্নিত করা সহজ) তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যান করার আন্দোলন করা যেতে পারে।
সেইখানটায় আপনারা সমর্থন দিচ্ছেন না কেন?
ব্লগে মানস কী আচরণ করেছেন, তা কিন্তু বিচার করছেন আপনার বুদ্ধি দিয়ে। তার বাইরেও তো ভাবনা থাকতে পারে। এই যেমন রাইসু জাতীয়তাবাদবিরোধী অবস্থান, এইটা কিন্তু বুদ্ধিচর্চার জগতে একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। এইটা আমি জানি, রাইসুর এই অবস্থানকে আমিও সমর্থন করি। পোস্টে বিস্তারিত বলেছি। কিন্তু আপনারা এই পয়েন্টটার ধারেকাছে যেতে চাইছেন না। মানস সেরকমই কিছু আবিষ্কার করেছেন হয়তো। এরপর তাকে জামাতী বলা হলো। অথচ ছাত্রজীবনে তিনি বামপন্থী আন্দোলন করেছেন। এখনও প্রগতীশীল মতাদর্শ ধারণ করেন। জামাতী হবার কোনো চান্সই নেই। ধর্ষণপ্রিয় ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেছেন জাবিতে। এখন ছাত্রলীগের নাম মুখে নেয়ায় আবার তিনি সন্দেহভাজন হয়ে পড়েছেন। ধর্ষক তো ধর্ষকই তা মাদ্রাসার হুজুর হোক বা জাবির ছাত্রলীগ হোক।
এটা কেন হলো? আমি এজন্য দৃষ্টিটাকে সম্প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ ছাড়াও আরও অনেক যুদ্ধ হয়েছে এই বঙ্গে, আজও নারীশ্রমিকরা শোষিত হচ্ছে গার্মেন্টসে, পশ্চিম পাকিস্তানিরা যেমন শোষণ করেছিল আমাদের। আজও পাহাড়িদের জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের হাতে।
১৬৩| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩১
রাগিব বলেছেন: আগামী অপর বাস্তব প্রকাশ করাটা সহজ হয়ে যাচ্ছে ... কমেন্টসমেত এই পোস্ট ও রাইসুর ঐ পোস্টটা একসাথে ছাপালেই হবে।
১৬৪| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৬
কৌশিক বলেছেন: রাগিব ভাই, মাত্র আজকে সন্ধ্যায় বাকীবিল্লাহ বলছিলো ফাহমিদ ভাই ও রাইসু ভাইয়ের এই দুটো পোস্ট নিয়ে একটা পুস্তিকা বের করার কথা। আপনার মন্তব্যে উৎসাহ পেলাম। আমি মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। যদি ফাহমিদ ভাই ও রাইসু ভাই অনুমতি দেয় তবে এক/দুই মাসের মধ্যেই পুস্তিকাটা বের করে ফেলতে চাই।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:২২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: বিগত বিতর্কের পরেও অপরবাস্তব নিয়ে উৎসাহ বলবৎ আছে দেখে ভালো লাগলো।
অনুমতি দেয়া হলো।
১৬৫| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪২
এস্কিমো বলেছেন: রাগিব পাগলে সাকো নাড়ানোর কথা মনে করাইলো মনে হয়।
১৬৬| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: কৌশিক: হ ২য় বার চোর হওনের ঝুকি নিয়াও কাজটা করণ যায়।
আরন্যক যাযাবর।
আমার বক্তব্য-
কৌশিকের এই উপলব্ধিটুকু কৌশিকের কমেন্টে যাদের নাম এসেছে, তাদের আসে নি বোধহয়।
একটু এগিয়ে চিন্তা করে ভুল সিদ্ধান্তে গেলেন বোধহয়। আমার ক্ষেত্রে নিশ্চিত করেই বলতে পারি, রাজনৈতিক ইসলাম নিয়া প্রস্তুত হওনের সময় বোধহয় আইসা গেছে।...
১৬৭| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
এস্কিমো বলেছেন: ফাহমিদ
আপনার পোস্টে ব্যবহূত কিছু শব্দের বিষয়ে সবিনয় আপত্তি দিয়ে রাখলাম। কারনও এগুলো রাজাকাররা গালি হিসাবে ব্লগে ব্যভহার শুরু করেছে -
যেমন _ ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা।
বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:২৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি জামাতীদের পোস্ট খুব একটা পড়িনা। তাই এটা তেমন জানা ছিলনা। জানলে হয়তো এভাবে নাও লিখতে পারতাম। আমি এটা ব্যঙ্গার্থে লিখি নাই।
তবে অবসেশন শব্দটা আমি বুঝেই লিখেছি।
১৬৮| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৮
মানস চৌধুরী বলেছেন: বারে! অনুমতি রাইসু এবং ফাহমিদের নিলেই চলবে কৌশিক? এখন পর্যন্ত এই দুই থ্রেড-এ আমি সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র [আমি মীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দুশ্চরিত্র]। রাইসু তো নিজেই পুস্টকার। অনুমতি আমার নিবেন না কেন? আমার অনুমতি আছে। তবে নিকপালদের গালিগুলো সমেত। তাহলে আগামী বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিতে আমার নাম যেতে পারে। হাজার হলেও এই অঞ্চলে পুরস্কার আসা শুরু হয়েছে। ইউনূস ভাইয়ের একটা সুপারিশ সঙ্গে স্বপক্ষীয়রা যদি একটু বলে দেন, প্লিজ!
জনাব রাগিবের দুই পোস্টেই অংশগ্রহণ বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। তিনি এসে শুধু পোস্টের দৈর্ঘ্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। খুব আহ্লাদিত হতাম যদি তিনি মুক্তিযুদ্ধের অজুহাতে গালাগাল করার চর্চার বিষয়ে তার অভিমত রাখতেন।
১৬৯| ২১ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৫৩
এস্কিমো বলেছেন: [আমি মীন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দুশ্চরিত্র -
নিজেকে এভাবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে আপনি কি পেতে চাচ্ছে?
- মুক্তিযুদ্ধের অজুহাতে গালাগাল করার চর্চা
- এইটা বলে কি বুঝাতে চাইছেন? মুক্তিযুদ্ধে কথা লিখে আমি সবচেয়ে বেশী গালি খেয়েছি। খাচ্ছি। ১০০ + ব্লগারকে ব্লক করে রেখেছি। সেই বিষয়ে আপনার মত কি? কেউ গালি দিলে তাকে কি করতে হবে?
@মানস।
১৭০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০২
রাগিব বলেছেন: মানস চৌধুরী বলেছেন:
"জনাব রাগিবের দুই পোস্টেই অংশগ্রহণ বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। তিনি এসে শুধু পোস্টের দৈর্ঘ্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। খুব আহ্লাদিত হতাম যদি তিনি মুক্তিযুদ্ধের অজুহাতে গালাগাল করার চর্চার বিষয়ে তার অভিমত রাখতেন।"
--
নাহ মানস ভাই, দুই পোস্টেই সবার বিশাল বিশাল কমেন্ট পড়তে এখনো ব্যস্ত আছি। কমেন্ট পড়া শেষ হলে "অংশগ্রহন" এর সদিচ্ছা ছিলো, কিন্তু একটা লম্বা কমেন্ট পড়তে পড়তেই আরো দুই/তিনটা কমেন্ট এসে যাচ্ছে, কাজেই সেই আশার গুড়ে বালি । কৌশিক ভাই বই আকারে ছাপলে তা পড়ে আপনাকে "অভিমত" জানাবার আশা রাখছি।
১৭১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০৩
মানস চৌধুরী বলেছেন: @ এস্কিমো: ১। আমি নতুন কিছু পেতে চাচ্ছি না। আলাপলব্ধ গালিবাজির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছি মাত্র। আমাকে আমি আর চিহ্নিত করার সুযোগ পাচ্ছি কই জনাব? :-(
২। গালিবাজির বিষয়ে একটা সাধারণ অভিমত তো নিশ্চয়ই এতক্ষণ পরিষ্কার হয়েছে। আমি মনে করি এটা আলাপের পথ রুদ্ধ করে। এবং বড়জোর একজন ব্লগারের উদ্যম খাট করতে পারে (কারো কারো)। কিন্তু আপনার প্রশ্নের ধরনের মধ্যেই আছে যে আপনি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের কথা লিখে গালি খেয়েছেন, ফলে আমার আলাপের জন্য আমার গালি খাওয়া ন্যায্য। তাহলে কথা নাই। চলুক। তবে হ্যা, এস্কিমো নিক থেকে ক্রোধ আসলেও গালির কথা স্মরণ পড়ছে না। সত্যি না বললে আল্লাহতায়ালা আমাকে গজব দেবেন। :-)
১৭২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:১৩
ফেলুদা বলেছেন: এদের ইনকাম (অর্জন অর্থে) এতই কম যে গুয়ের থাইকাও পয়সা টোকাইতে চায়। কই যামু
ফাহমিদুল স্যার কি এখনও মালয়েশিয়া, নাকি ঢাকা আইছেন?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৩০
ফাহমিদুল হক বলেছেন:
ঢাকায় আসিনি।
ইনকামবিষয়ক কথা কার উদ্দেশে বললেন?
১৭৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৬
কৌশিক বলেছেন: মানস ভাই, ভুল হয়েছে নির্ঘাত। স্বীকার করছি আনন্দে। তবে আপনার অনুমতি পাবার পরে মনে হচ্ছে নোবেল সম্ভাবনা জাগ্রতকারী এমন পুস্তিকা বের করায় ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস (দীর্ঘ উ কার লেখেন) এর ভাবমূর্তির ক্ষুদ্র ঋণ পরিশোধ হয়ে না যায়!
১৭৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৯
মানস চৌধুরী বলেছেন: কৌশিক, আমি তো দীর্ঘ উ-ই দিয়েছি। দেখেন আবার। আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা যে আমি তার (চন্দ্রবিন্দুটা এখন আসছে না চাবিতে) নাম ভুল করব! এমনিতেই ফেলুদাদাদের ছড়ানো বিষ্ঠা টোকাতে জান বেরিয়ে যাচ্ছে (আমাদের আবার বংশীয় পেশা কিনা)। তার মধ্যে আপনি আবার ভাবমূর্তি নিয়ে ঝামেলা করেন। ওকে বোঝাতে হবে যে এই শান্তি পুরস্কার হলো দুর্নীতি দমনেরই একটা এক্সটেনশন। কেবল একদিন চায়না মৈত্রী হলে বসে "গালি কেন দুর্নীতি" এই বিষয়ে একটা প্রবন্ধ পাঠ করতে হবে। এটা হয়তো টিআইবি করতে রাজি হতে পারে। সাথে সামরিক সরকারের প্রধানকে নিয়ে আসতে হবে প্রধান অতিথি করে, ইইউ প্রতিনিধি হবেন প্রদীপ উজ্জালক। (স্যরি সামরিক সরকারটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পড়তে হবে)।
১৭৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৬
ফেলুদা বলেছেন: কথাবার্তার এই তরিকাটাই শিখতে পারলাম না এখনো। কৌশিকদা, ভালো হইছে
১৭৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:২৩
বোঘদাদি হেকিম বলেছেন: মানস ভাই মাহবুব মোরশেদের মত নীল সার্ট নাই আপনার, থাকলে একটা ফটুক দেন। ন্যাংটা ছবিটা কেমুন কেমুন লাগে। আমার গা+ল ফেরেনড আবার আপনারে পসন্দ কইরা চইলা যাইতে পারে,।
১৭৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩১
মানস চৌধুরী বলেছেন: হেকিম সাব, ফোটোশপে শুনলাম চেতনাধারীদের হাত পাকা হয়েছে। বানায়া দেন না একটা। গার্লফ্রেন্ড নিয়ে অযথা ভয় পাচ্ছেন। শুধু বলে দেবেন যে চেতনাধারীরা সেদিন ইয়ে মেরে দিয়েছে আমার। তিনি আর চেতনাপরিপন্থী কিছু করতে চাইবেন বলে মনে হয় না। তবে হ্যা, কনসার্নড হবার মতো। ...তবে প্লিজ এই বিষয়ে জামাতের আগেই আপনারা ফতোয়া দিয়েন না। লোকে খারাপ বলবে (আপনাদের)। খালি গায়ে থাকা এখনো, যদ্দুর জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লঙ্ঘন নয়।
১৭৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৪
জেনারেল বলেছেন:
ছ্যাঁর মানস, আপনে তো জাবির মাষ্টর, নাকি??
আপনি কি ক্লাসেও এমন কঠিন করে কথা কন? তাইলে আমার মত স্টুডেন্ট রা কেমতে বুঝে?
আর আপনে কারও বুঝাইতে না পারলে ছ্যাঁর হিসাবে কেমুন হল?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মানস চৌধুরীর মুখের কথা ও লেখার কথা প্রায় একই রকম।
১৭৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৬
অমিত বলেছেন: আমার ধারণা তিনকোণার বুদ্ধিশুদ্ধি আরেকটু বেশি হইলে আর আর বানান কইরা বই পড়ার অভ্যাসটা বাদ দিয়ে আরেকটু বেশি পড়াশোনা করলে মানস চৌধুরির কাছাকাছি চইলা যাইতে পারবে। চিন্তাভাবনার টেকনিকটা দুইজনের একইরকম।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এই তুলনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
১৮০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৭
লাবণ্য প্রভা বলেছেন: ভেরী ইন্টারেস্টিং।
মানস বাবু একাকী 'মরীয়া' ফাইট চালায়ে যাচ্ছে। দেখা যাক কি হয়? রাজাকার ছানাদের জন্যে এর চাইতে মজার বিষয় কি হতে পারে। বুদ্ধিবৃত্তিক সুশীল অবস্হান হতে তাদের জন্যে সম্মানিত রাইসু, মোরশেদ, চৌধুরী এনারা ভার্চুয়াল তর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন।
আচ্ছা প্রতিষ্ঠিত ড়াজাকারদের কেউ মন্তব্য করে নাই কেন? তারা কি দূর হতে মজা লুটছে?
আরেকটা সম্ভাবনা রাইসু'র নিক হ্যাক হতে পারে।
১৮১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৩৮
জেনারেল বলেছেন:
এই সব আঁতেল মার্কা কিছু লোকের ইউনিতে মাষ্টারি দেওয়াতেই আমাগো এই অবস্থা।
আর অমিতের কমেন্টে ঝাজা
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে বড়োসড়ো দ্বিমত।
১৮২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪১
ফেলুদা বলেছেন: কোৎ দিলুম ইয়েতে
চোট খেলো দিলেতে
সেই থেকে প্রলাপ বকতেই আছে বকতেই আছে থামাথামি নাই
ওরে ছাড়ান দাও হেকিম,ও চিকিচ্ছের বাইরে চলি গেছে
১৮৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪৬
মানস চৌধুরী বলেছেন: লাবণ্যপ্রভা, বাবুটা কি আমার জন্য ইস্পেশাল? কেন? মানে কোনো হয়তো অন্তর্গত চেতনা আছে? জানি না তো!
জেনারেল (মইন ইউ'র প্রতি শ্রদ্ধাবশত) আপনার মতো স্টুডেন্ট বেশি নাই। থাকলে কি আর চাকরিতে থাকতে দিত এদ্দিন? তবে, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বলে যে সংগঠনের নাম শুনেছেন তারা চেষ্টা করেছিল। তবে সেটা আমার ভাষার কারণে নয়। ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবার কারণে। যাহোক, একেবারেই তথ্য আকারে জানালাম।
অমিত আপনার দুইমুখো থেকে একমুখো হতে পারাতে আরাম বোধ করছি :-) :-)
১৮৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪৯
মানস চৌধুরী বলেছেন: বাহ জেনারেল একেবারে শিবিরীয় কথাবার্তা। শুনে অভ্যস্ত। :-)
ফেলুদারটা অবশ্য সাহিত্যমনস্ক। ও হ্যা আপনার সাহিত্যকর্ম কিছু পড়ে এসেছি। মন্তব্য করার সাহস পাইনি। আপনারা আবার গণধোলাইপন্থী কিনা! ডর লাগে।
১৮৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৪৯
অমিত বলেছেন: মানস চৌধুরী , আমি কবে আপনার সংগে দুইমুখো আচরণ করেছি একটু বলবেন কি ?
১৮৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৪
মানস চৌধুরী বলেছেন: অমিত একটা রাস্তা হলো একাধিক থ্রেডে আপনার কমেন্টগুলো একত্রে পেস্ট করে আনা। সেই কাজটা করা বাহুল্য। কারণ, আপনি নিজেই জানেন। যাহোক, আমার সঙ্গে করলে অত সমস্যার না। করছেন যখন নিজের সামর্থ্যের সঙ্গে তখন বেদনাদায়ক। এটুকুই।
১৮৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৩
জেনারেল বলেছেন:
তা ছাত্র থাকা অবস্থায় কোন হলে ছিলেন স্যার মানস??
আর আপনে কত তম ব্যাচের?
১৮৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৩
হোসেইন বলেছেন: এইটা ইন্টারেস্টিং হইতেছে কয়দিন ধইরা । পুরানা ধাড়ি ছাগু ,নেংটি ছাগু কেউ এই পোস্টগুলাতে আসে না । বানান কইরা কইরা শেষ করতে পারে না । শেষ করলেও বুঝতারে না । খালি চিন্তা করে , বাপ্রে এরা দেখি বড়ো শক্ত শক্ত কথা কয় ।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:২৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ভালো কইছেন।
১৮৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৮
লাবণ্য প্রভা বলেছেন: কি যে বলেন চৌধুরী সাহেব। আমরা সবাই ভাববিলাসী 'বাবু', কোন হিডেন মীনিং নেই। দেখেন না , কি সুন্দর তর্ক-বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছি।
১৯০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৭
এস্কিমো বলেছেন: মানস চৌধুরী বলেছেন: @ এস্কিমো: ১। আমি নতুন কিছু পেতে চাচ্ছি না। আলাপলব্ধ গালিবাজির কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইছি মাত্র। আমাকে আমি আর চিহ্নিত করার সুযোগ পাচ্ছি কই জনাব? :-(
২। গালিবাজির বিষয়ে একটা সাধারণ অভিমত তো নিশ্চয়ই এতক্ষণ পরিষ্কার হয়েছে। আমি মনে করি এটা আলাপের পথ রুদ্ধ করে। এবং বড়জোর একজন ব্লগারের উদ্যম খাট করতে পারে (কারো কারো)। কিন্তু আপনার প্রশ্নের ধরনের মধ্যেই আছে যে আপনি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের কথা লিখে গালি খেয়েছেন, ফলে আমার আলাপের জন্য আমার গালি খাওয়া ন্যায্য। তাহলে কথা নাই। চলুক। তবে হ্যা, এস্কিমো নিক থেকে ক্রোধ আসলেও গালির কথা স্মরণ পড়ছে না। সত্যি না বললে আল্লাহতায়ালা আমাকে গজব দেবেন। :-)
- বিশ্বাস করুন চারবার পরলাম। আপনার জন্যে মায়া হচ্ছে। কিছু মানুষ আছে সরাসরি মুখে ভাত না দিয়ে মাথার পিছন দিয়ে হাত ঘুরিয়ে ভাত খেতে পছন্দ করে। আমার যদি ভুর না হয় আপনে সেই কিসিমের মানুষ।
আমি কি বলেছি গালি জায়েজ। আমি নিজে গালি দেই না। কিন্তু গালি নিয়ে সমস্যঅ নেই। বিশেষ করে আমার বিরোধী পক্ষ - মানে রাজাকারগুষ্ঠি যেদিন আমাকে গালি দেওয়া বন্ধ করে দেবে সেদিন আমি লেখা ছেড়ে দেব। কারন ব্লগার হিসাবে এস্কিমোর মৃত্যু হবে সেইটা।
যাই হোক - আপনে সোজা ভাষা "রং টাইমে রং প্লেসে" এসে তর্ক শুরু করছেন। আপনার তর্কের স্থানের পিছনের ব্যানারে একজন যুদ্ধাপরাধীর ও তার সমর্থক ছেলের ছবি দেখে আমজনতা (আমিও একজন) গালি দিলে কি দোষ দেওয়া যাবে। ব্যার বদলান। নিজের পায়ে দাড়ান।
ফাহমিদওতো কথাই কথা বলছে - কই কেউ তাকে গালি দিয়েছে বলে মনে করথে পারছি না। দয়া করে ব্যানার বদলান। যারা গালি দিয়েছে তাদেরকে বুঝার সুযোগ দিন।
আর যদি আপনার পছন্দের ব্যানার এইটাই হয়। তাহলে ....চলুক।
১৯১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৭
মানস চৌধুরী বলেছেন: জেনারেল জানতে চান কেন? শিবিরে সত্যি সত্যি আপনার লোক আছে নাকি? কী হবে জেনে? ৯৮ তে আমি ছাত্র নাই।
১৯২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০১
ফেলুদা বলেছেন: যাক মাকুবাবু এতক্ষনে লাইনে আইছেন। এ-টিমে আওয়ামী লিগের যে জুজু তারে দেখানো হৈছে সেখানে তিনি আসলে আরো ছুটু আকারে ছাত্রলীগের অস্তিত্ব আবিষ্কার করছেন। ছাগুদের সঙ্গে মৌলিক পাঠে বিশেষ বিভেদ নাই তাইলে
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ছাত্রলীগের নাম নিলেই একজন শিবিরসম হয় কীভাবে? ছাত্রলীগের পোলাপান কি ধর্ষক হতে পারেনা? নাকি এরকম কিছু হলে ওভারলুক করতে হবে?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আফগানিস্তান বা ইরাকে বুশের হামলা হলে আপত্তি জানায় হুজুররা আর কমিউনিস্টরা। জাতীয়তাবাদী দুই দল চুপ থাকে। হুজুরদের মধ্যে জামাত ছিল একেবারে নিশ্চুপ।
এখন কি হুজুররা আর কমিউনিস্টরা এক হয়ে গেল?
১৯৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:৫৮
এস্কিমো বলেছেন: ব্যার = ব্যানার।
১৯৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৫
অমিত বলেছেন: না রে ভাই, আমি কমেন্ট করি কনটেন্ট অনুসারে। আপনার এখানকার কমেন্ট নিয়ে কিছু বলতে গেলে যদি আপনার অন্য কোথাও পড়া কোন গল্পের কথা মাথায় রাখতে হয় , তাহলে সমস্যা। যেখানকারটা সেখানে। আর একাধিক থ্রেডে করা কমেন্ট এনে কিছু প্রমাণ করতে গেলে সেটা ক্ষেত্রবিশেষে সঠিক পন্থা হতে পারে। যেমন আমি যদি একজায়গায় যেয়ে কারও বাবা মা তুলে গালাগালি দেয়ার পর, আরেক থ্রেডে গালাগালির নিন্দা করি, সেটা হবে দুমুখো নীতি।কিন্তু কনটেন্ট অনুসারে আমার মন্তব্য দিয়ে জেনারেলাইজেশন সঠিক বা উচিত পন্থা না।
আমি উপরে যেটাকে দুমুখো বললাম,আমার ক্ষেত্রে এরকম কিছু হয়েছে কিনা জানালে খুবই কৃতজ্ঞ থাকব এবং সুধরানোর চেষ্টা করব।
১৯৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৫
জামাল ভাস্কর বলেছেন: আমার ধারণা তিনকোণার বুদ্ধিশুদ্ধি আরেকটু বেশি হইলে আর আর বানান কইরা বই পড়ার অভ্যাসটা বাদ দিয়ে আরেকটু বেশি পড়াশোনা করলে মানস চৌধুরির কাছাকাছি চইলা যাইতে পারবে। চিন্তাভাবনার টেকনিকটা দুইজনের একইরকম
পোস্ট আর সবগুলি কমেন্ট পইড়া শেষ করতে গিয়া অমিতের এই কমেন্ট চোখে পড়লো...মানসদার ভাষা লইয়া আমি মাঝে মাঝে খেই হারাইতাম ছাত্রাবস্থায়...কিন্তু তার চিন্তার টেকনিক জটিলতায় পরি নাই কোনদিন। রাজনৈতিক মতাদর্শিক অবস্থানের কারনে ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু কোনদিন তারে মনে হয় নাই তর্কমূলকতার বাইরে গিয়া কথা কইতেছেন...অমিতের এই কমেন্ট বরং তার নিজের স্বরে কওয়া কথা মনে হইলো না আমার...
১৯৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০১
মানস চৌধুরী বলেছেন: এস্কিমো, আমার জন্য মায়া করবার দরকার নেই ভাই। ওটা, ঘটনাচক্রে, আমার নিজেরই অনেক হয়। নিজের জন্যও, আপনাদের জন্যও।
১৯৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৭
অমিত বলেছেন: সুধ..=শো..
১৯৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৭
মানস চৌধুরী বলেছেন: থ্যাংকু ফেলুদা আপনার তদন্ত-সাফল্যের জন্য। ব্রিলিয়ান্ট মাইরি! ভাগ্যিস সত্য বাবু নাই। আরেকটা ফিল্সের ব্যবস্থা করে ফেলত। :-)
১৯৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৮
পাগলা ঘাতক বলেছেন: আসলে এতো তেনা পেচানো হইতাছে কেন?
মানস কি কোনদিন কোন ছাগু পিটাইছেন বাস্তবে?
২০০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১১
অমিত বলেছেন: ভাস্কর ভাই, উপরের একটা মন্তব্যে মানস চৌধুরি বলেছেন..
"এমনিতেই ফেলুদাদাদের ছড়ানো বিষ্ঠা টোকাতে জান বেরিয়ে যাচ্ছে(আমাদের আবার বংশীয় পেশা কিনা)।"
আরেকজায়গায় বলেছেন...
"লাবণ্যপ্রভা, বাবুটা কি আমার জন্য ইস্পেশাল? কেন? মানে কোনো হয়তো অন্তর্গত চেতনা আছে? "
এ দুটা মন্তব্যের মধ্যে আপনি কি দেখতে পেলেন ?
২০১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৬
মানস চৌধুরী বলেছেন: অমিত আপনার স্বরকে সিরিয়াস ধরে নিচ্ছি (যদিও সেটার বৌদ্ধিক কারণ নাই)। ১। আপনি কি নিশ্চিত ত্রিভূজ এবং আমার তুলনাটা আমাকে অবমাননা ছাড়া আর কোনো কারণে করেছেন? কেন?
২। ফেলুদা এবং এইরকম মিচকে পোস্টারদের সঙ্গে গিয়ে অন্য থ্রেডে গিয়ে গলা না মেলালে কি রাজাকার হঠানো আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যেত?
আপনি ভিন্ন ছন্দে চিন্তার সামর্থ্য রাখেন সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু ওখানে গিয়ে এই তাল দেয়াটা আপনার এই বর্গে জনপ্রিয় থাকবার অধিক আমি দেখি না। আপনি আমার দেখাতে সমস্যা আবিষ্কার করতে পারেন। কিন্তু এভাবে দেখার কারণ পাই আমি।
যাহোক আপনি হয়তো মেরিট বলতে বোঝান আইনী পদ্ধতিতে হ্যা কিংবা না-এর পক্ষে যাওয়া। মহামতি বুশ বলেছেন: হয় তোমরা আমাদের পক্ষে, নাহলে টেররিস্টদের পক্ষে।
২০২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৮
জামাল ভাস্কর বলেছেন: আমাগো দেশে হিন্দু নাম দেখলে বাবু কওনের সংস্কৃতি কিন্তু চালু আছে মুসলমানগো মধ্যে...আর দেশের একটা ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর ভেতরে যেই অনিশ্চয়তাবোধ চালু করছি আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠরা(?)...আর সেইটা দেইখা যদি এইরম যথেচ্ছা গালাগালি'র মধ্যে কারো কাছে সিগনিফিকেন্ট লাগে সেইটারে অ্যাভয়েড/ইগনোর করন যায় কি আসলেই?
একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী যে ছোট থেইকা মালু ডাক শুনতে শুনতে বড় হয় সেইটার বাস্তবতা নিশ্চিত অস্বীকার করতে পারবেন না...আর এই অভিজ্ঞতা যার নাই সে এইরম সম্বোধনের জ্বালাটা বুঝনের ক্ষমতা রাখে না...
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৩৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সহমত।
ধর্মীয় পরিচয় সামনে আনার অভিযোগ মানসের বিরুদ্ধে উভয় পোস্টেই করা হয়েছে। সেটার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেল।
মানসেরও ব্যাখ্যা আছে নিশ্চয়। সেটার কথা উনি কিছুটা ইঙ্গিতে বলেছেন, আবার আওয়াজ দিলে খারাপ হয়না।
অভিযোগটা গুরুতর।
২০৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৩৩
এস্কিমো বলেছেন: মানস চৌধুরী বলেছেন: এস্কিমো, আমার জন্য মায়া করবার দরকার নেই ভাই। ওটা, ঘটনাচক্রে, আমার নিজেরই অনেক হয়। নিজের জন্যও, আপনাদের জন্যও।
- মায়া কি আর আর কাউরে জিজ্ঞাসা করে আসে। অবলাপ্রানীর প্রতি মায়ার কারনে সমিতি হয় - আরো কতো কি।
আমার জন্যে আপনার মায়া লাগে শুনে খুবই প্রীত হইলাম। কমপক্ষে একজন বংগ সন্তান মায়ার জন্যে মায়অ বোধ করে।
২০৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৩৪
ফেলুদা বলেছেন: ঠিকাছে জামাল ভাস্করের প্রতি সম্মান দেখাইয়া আমি বিদায় নিলাম এই বালফালাইন্যা পুস্ট থাইক্যা
২০৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৩৭
বোঘদাদি হেকিম বলেছেন: মাচৌরে জিগাইলাম নীল সার্ট আর হে কইল চেতনা, বেদনা কি সব?
২০৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৪৮
অমিত বলেছেন: তাইলে জামাল ভাস্করের কথা শুনে আমাকে বিশ্বাস করতে হয় যে এক প্রসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার পর নিজের ধর্মটাকে সামনে এনে সেটাকে বহুমাত্রিক রূপ দেয়াটা আসলে একটা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার বহিঃপ্রকাশ মাত্র, অন্য কিছু না।
মানস চৌধুরি, ছাগুরামের কয়েকটা পদ্ধতি আছে। সেটা হইল জামাত/ তারে কিছু কইলে ইসলামীবিদ্বেষী ট্যাগ লাগানো (ধর্মকে সামনে আনা), রাজাকার/জামাতের বিরুদ্ধে কিছু কইলে আওয়ামী ট্যাগ লাগানো (এই রাজনৈতিক মেরুকরণটা আপনেও করছেন, বুঝে বা না বুঝে। আরে ভাই রাজাকার নিয়ে কিছু কইতে গেলে বা রাজাকারদের গালাগালি করলে আওয়ামী হইতে হয় ?), গালাগালি করলেই যুক্তির কথা বলা ( আপনেও এটা করছেন। তবে আপনার ব্যাপারটা অন্য। আপনে ব্লগে বেশিদিন না। এই গালগালি বিষয়টা রাতারাতি হয় নাই। প্রথমে যুক্তিই ছিল, অনেকদিন ধরেই ছিল। কিন্তু গালাগালি কি করে যুক্তিকে সরায় সামনে আসল, সেই ঘটনা আপনে একটু কষ্ট কইরা ভাস্কর ভাইয়ের কাছ থেইকা শুনে নিয়েন। উনি আছেন অনেক আগে থেকেই।), আর নিজেরে প্রচুর ইমপরটেন্স দেয়া বা আমিত্ববোধটাকে আসমানে উঠায় রাখা ( আপনেরে বিভিন্ন থ্রেডে গিয়ে কৈতে দেখা গেছে কিভাবে আপনি ব্লগে আওয়ামি গুন্ডা দ্বারা আক্রান্ত হইলেন)
এই কয়টা বিষয় মাথায় রেখেই, আপনাদের দুজনের মধ্যেকার প্যাটার্নটা আবিষ্কার করি।
আর কোনও মন্তব্যে তাল দেয়াটাকে জনপ্রিয় হবার বাসনা যদি কারও মনে হয়, তারে আমার আইডেনটিটি ক্রাইসিসে ভোগা সব ব্যাপারে ভিন্নমতপোষণ করে এরম একজন স্বমেহনকারী লোক বলেই মনে হয়।
মেরিট বলতে "হ্যাঁ অথবা না" যে কোন পন্থা না, বুশের হোম স্টেটে পাক্কা দুই বছর থাকার পরও এই ধারণা আমার যায় নাই। তবে সময় সময় যাদের মধ্যে ভিন্নমতের মেরিট দেখা যায়, তাদের থেকে একটু সাবধানে চলতে হয়। আর দয়া করে ভাববেন না শেষ মন্তব্যটা আপনাকে করা। আপনি দেখা যাচ্ছে আওয়ামী গুন্ডা দ্বারা যথেষ্ট আক্রান্ত।
২০৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:০৭
মানস চৌধুরী বলেছেন: অমিত, স্বমেহন নিয়ে আপনার বিদ্বেষ জানা গেল। আর আপনার তাল দেয়াকে আমি দুমুখো বলছিলাম। আমি কয়টা থ্রেডে কী বলেছি আমার মনে আছে। যাহোক আপনার বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ। আমি আওয়ামী গুণ্ডাভীতির এক দশক উদযাপন করছি। অবশ্য তাতে কিছু বোঝায় না। শিবিরভীতিপ্রদর্শনের দুই দশকও চলছে। কিন্তু আমিত্বকে যে আপনি তেমন গুরুত্ব দেন না সেটা আমি শেখার চেষ্টা করব। আবারো ধন্যবাদ।
২০৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:১১
মানস চৌধুরী বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে অমিত, আমার নামের বানান আমি চৌধুরী লিখি ... সেটা অবশ্য থ্রেডের পাশেই আছে। আর প্লিজ এটাকেও আসমান সমান আমিত্ব ভাববেন না। আপনি ভুলবশত করছেন বলেই বলা। শুভরাত্রি।
২০৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:২৪
অমিত বলেছেন: মানস চৌধরি, স্বমেহন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটা বিদ্বেষ হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপার না। তবে সর্বাবস্থায় স্বমেহনকারী ব্যক্তি বাস্তবদর্শনে কতখানি পারঙ্গম, সেটা একটু ভেবে দেখার দরকার আছে বলেই মনে করি।
আর আমিত্ব ব্যাপারটার দরকার আছে। স্বাধীন মানুষ মাত্রই সেটা ধারণ করার যোগ্যতা রাখেন। তবে ডিসফাংশনাল ইন্টারডিপেন্ডেন্ট গ্রুপ মেন্টালিটি যেমন ভাল না, অতিরিক্ত আমিত্ববোধও হয়ত ভাল না।
ভাল থাকবেন।
২১০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:২১
সাগর নীল বলেছেন: সক্রেটিস বলেছিলেন, তুমি আমার শত্রু হতে পারো বা ভিন্নমতের হতে পারো কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য আমি জীবন দিতে পারি।
আমাদের দেশের গনতন্ত্রের পতাকাধারীরা যদি এই কথাটি মানতো তাহলেতো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। এত হানাহানি থাকতো না।
২১১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:২৫
অমিত বলেছেন: ওটা আমার অসাবধানতাবশত ভুল। দুঃখিত।
২১২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:৪২
ভার্চুয়াল বলেছেন:
মানস
ব্লগে অনেকে বিভিন্নভাবে বাংলায় লেখে। অভ্র দিয়া লেখতে গেলে অনেকসময় জানা বানানও ভুল হয়ে যায়। এছাড়া মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োর কারণেও বানান ভুল হয়ে যায়। তাই ব্লগে বানান ভুলকে গোণায় ধরা হয় না। যদি না কোনো ইমেজ, প্রতিষ্ঠিত ব্যানার এগুলোর ছবি না দেয়া থাকে।
আপনার 'চৌধুরী' নামের বানান 'চৌধুরি' হয়ে যাওয়াতে আপনি যে রিঅ্যাকশন দেখালেন তাতে আপনার 'আমিত্ব' আরো প্রকট হলো।
এই মন্তব্যটিকে হুদাই নাক গলানো মনে করতে পারেন। আপনার এ রিঅ্যাকশনটা ভালো লাগল না বলে মন্তব্যটা করলাম।
অফটপিক @ আপনার লেখাটা পড়লাম। সত্যি বলতে কি আমার জন্য বেশি কষ্টদায়ক হয়ে গেছে। আরো কয়েকবার পড়তে হবে।
২১৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৩৭
কৌশিক বলেছেন: মানস চৌধুরী সন্বন্ধে অমিতের বক্তব্যে হতাশ।
২১৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:৪৯
মাহবুব সুমন বলেছেন:
এই পোস্ট রাইসুর টাকেও হার মানাবে মনে হচ্ছে !! সেই রকম গরম ( হিট )
ব্যক্তিগত জীবনে কারো অবদান যে খাটো হয়ে যেতে পারে ব্লগে এসে সেটা বুঝতে পারলাম।
জামাতিদের সাথে সারাটা জীবন যুদ্ধ করে, মুক্ত চেতনার ধারক হয়ে আজ অনেককেই মনে হয় ব্লগীয় জামাতি হতে হবে ।
ভালো, ভালো।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:১৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ভালো, ভালো।
২১৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:০০
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ওফ!!! দেশে এত বুঝদার মানুষ। যদিও ব্যক্তি আক্রমণ এবং রাজাকার/সুশীল/অন্ধ-জাতীয়তাবাদী/তর্ক অনিচ্ছুক এইসব পূর্ব ধারণা নিয়া অতি সতর্ক থাকনের ফলাফল হিসেবে কাহিনী লম্বাই হইতাছে। কিন্তু এই কাহিনী লম্বা হইয়া কি ফলটা দেয় সেইটা দেখনের বিষয়।
পোষ্টের উদ্দেশ্যের প্রতি আস্থাশীল।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:২১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
ফল বিশেষ নাই।
একটা ভিন্নমত হয়তো ভার্চুয়াল জগতে থাকলো।
আকার যা দাঁড়িয়েছে, ভোলা সহজ হবেনা।
২১৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:২৫
থার্ড পণ্ডিত বলেছেন: সব মন্তব্য পড়ি নাই তবে পোস্ট ভাল্লাগছে
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:২২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৩৯
অমিত বলেছেন: কৌশিক ভাই, এখানে হতাশ হওয়ার কি দেখলেন ? আমি আরেকবার বলি, ব্যক্তিগত জীবনে কে কি, সেই ব্যাপারটা ব্লগ জীবনে সবার পক্ষে গ্র্যাসপ করা সম্ভব না। মানস চৌধুরীর সংগে আপনারা পূর্বপরিচিত, আর আমি চিনি ওনাকে টার পোস্ট + কমেন্টের মাধ্যমে খুব বেশি হলে ৭ দিন। ভুল বোঝার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায় এবং সেটার দায় দুই পক্ষের উপর পড়লেও, যদি সেটা আসলেই ভুল বোঝাবোঝি হয়, আমি আমার সংগে ওনারটাও বহন করতে রাজি আছি। এখানে জয় পরাজয়ের কোন ব্যাপার নাই।
২১৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৩৯
কৌশিক বলেছেন: অমিত ভাই, "এইসব" টিকা-টিপ্পনী পর্যায়ভূক্তই ধরে নিলাম। অনেক সময় স্রেফ বলে ফেলা কিছু অ-বিচার - অবশ্যই সেগুলো "বহন" যোগ্য বলে আমিও মনে করি। একটা "জাজমেন্টাল স্টেটমেন্ট" অবশ্য বক্তাকে "ইভালুয়েট" করতে প্ররোচিত করে অন্যদের - যা তার পরবর্তী জাজমেন্টে প্রভাব ফেলে। ভুল শোধরানোরও অবশ্য সুযোগ থাকে, আবারও ভুল করাও স্বাভাবিক - বরঞ্চ আপনার অবস্থানটাকে আমি বিকাশমান ভেবে নিচ্ছি।
২১৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৪৩
কৌশিক বলেছেন: ফাহমিদ ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে। অপরবাস্তব নিয়ে বিতর্ক অবশ্যম্ভাবী ছিল, সময় না পেলে কিছু রিস্ক মাথায় রেখেই কাজ করতে হয়। আসলে অনুমতি নিতে গেলে বইমেলায় বের করা যেত না। তারপরেও যা ঘাড়ে ধরটা আছে এ দেখেই পুনঃউৎসাহ বোধ করছি। এরপর সেফসাইডে খেলবো। অনুমতি আগেভাগে লিখিতপড়িত নিয়ে নেব। সচলায়তন যেভাবে করেছে - সেটাকে আদর্শ ধরে নিয়েছি।
২২০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:৫৮
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: অমিত প্রসঙ্গে কৌশিকের সাথে একমত।
২২১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০৭
লাল দরজা বলেছেন:
বাবারে বাবা, আজ কাল কোন ব্লগে ঢুকতে ও পারি না এ্যাত্তো এ্যাত্তো জ্ঞ্যান লইতে ও পারি না! ভুল কইরা ঢুইকা যাই পড়তে পারি না। আমি ফক্কিন্নির পুতের এ ব্লগ ছাড়নের সময় বুঝি আইসা পরছে!
ফাহমিদুল ভাই, আপনেরে ভালো পাই কিন্তু এ্যাত্তো বিশাল বিশাল জ্ঞ্যানের লেখা পড়তেও পারি না। মনে বড়ো দুষ্ক, কি পড়তে কি পড়ব তা বুঝতেও পারি না! হালার মূর্খ আমি আর আমার পোড়া কপাল
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সব কমেন্ট সময় করে পইড়েন। আমার পোস্টবিষয়ে আপনার বক্তব্য কী? আমি সহজ করেই লিখেছি। অনেকেই বলেছে। আপনি এড়াতে চাইলেও ছাড়া হবেনা।
২২২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:০০
ইয়র্কার বলেছেন: অনুমতির ব্যাপারটা কৌশিককে আগেই বলে রাখি। আমার কোন পোস্ট বা মন্তব্য প্রকাশের অনুমতি দেয়া হলো না। কারনটা ব্যক্তিগত সিকিউরিটির সাথে সম্পর্কিত।
২২৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:২০
ইয়র্কার বলেছেন: ফা. হ. : এবার একটু কঠিন করে বলি: আপনি বোধহয় মুক্তিযুদ্ধে আটকে থাকতে চাচ্ছেন। আমি ছাড়িয়ে যেতে চাই। ... আপনাকে আমি তেল দিয়ে চুল আঁচড়ে পাঞ্জাবী ফতুয়া পরে লালবাবুটা সাজতে বলিনি। আমি বলেছি চিন্তাটা ডাইভার্সিফাএয়ড হওয়া দরকার। সামহোয়ার কেবল ছাগুতাড়ানির মাঠ বলে মনে হয়।
------
তার মানে বলতে চান, সামহোয়্যারে এই 'মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড' এবং 'ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধারা' ছাগু তাড়ালে কোন সমস্যা নেই, সাথে অন্য সব বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে। ভেরি গুড। এই লোকগুলো তো তা-ই করে! (এদের ব্লগগুলো ঘুরে দেখেছেন কি, এদের লেখার শক্তি কেমন? এদের লেখার বিষয়বস্তু কেমন? তাহলেই আমার কথার প্রমাণ পাবেন।) তার অর্থ, আপনি যা আশা করছেন (ছাগু তাড়ানি প্লাস অন্যান্য বিষয়ে ভাবা) তা তো এরা করছেই। তাহলে এদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ তো থাকার কথা নয়!
============
ফা. হ. : বোল্ড এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরে আমি চার ঘরেই গোল্লা ভরাট করবো। আপনি খাতা দেখে কেটে দেবেন জানার পরও।
আমি প্রশ্নকর্তা হলে ঙ)-তে লিখতাম "কেবল গালাগাল করবো" এবং সেই গোল্লাটা ভরাট করতাম না।
------
তার মানে, আপনি বলতে চাইছেন, 'মিমাংসিত বিষয়' নিয়েও এখন আমাদেরকে পরাজিত পক্ষের সাথে কথা বলে যেতে হবে, তারা অপপ্রচার চালালে ইগনোরও করে যেতে হবে, তাদের কন্ঠরোধও করতে হবে, এবং অবশ্যই গালাগালি করা যাবে না।
আপনার উত্তর শুনে হাসলাম অনেকক্ষণ। এই বিষয়গুলোর মিউচুয়াল ডিপেন্ডেন্সি বা মিউচুয়াল এক্সক্লুসিভনেস ইগনোর করে যাচ্ছেন বস। আচ্ছা, আমি আরেকটু ব্যাখ্যা করি।
* মুক্তিযুদ্ধ মিমাংসিত বিষয় হলে তা নিয়ে আর পরাজিত পক্ষের সমালোচনার কোন কথা শোনা হবে কেন?
* তারা মিমাংসিত বিষয় নিয়ে হল্লাচিল্লা করে যাবে চোখের ওপর, সেটা ইগনোর করা হবে কেন?
* মিমাংসিত বিষয় নিয়ে পরাজিত পক্ষের সাথে এখন কু-তর্ক চালিয়ে যেতে হবে কেন?
* উপরের গুলোই যদি করা হয়, তাহলে তাদের কন্ঠরোধ করা হলো কোথায়?
এবার আসল জিনিস, আপনি যদি এখনও পরাজিত পক্ষের যুক্তি(?) শুনতে চান, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ আর মিমাংসিত বিষয় থাকে কোথায়?
বস, ৩০ লাখ মানুষের জীবন, কয়েক লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত এগুলা নিয়া ভাসাভাসা অবস্থানে থাকা যায় না। এগুলো নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট হতে হয়। ভাসাভাসা অবস্থানে একমাত্র পরাজিত পক্ষের পক্ষেই থাকা সম্ভব। কারণ, তারা সুপ্ত অবস্থায় থেকে আবার ছোবল মারার অপেক্ষায় থাকে। এমন কিছু যদি আমরা বলি বা করি, যাতে সেই মিমাংসিত বিষয়ের পরাজিত পক্ষকে ছোবল মারার ফিলড প্রস্তুত করতে সাহায্য হয়, তাহলে বুঝে হোক, না বুঝে হোক, সেই পরাজিত পক্ষের পক্ষেই কাজ করা হয়। একমত, না দ্বিমত?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার উদ্দেশ্য নিয়ে এবার সন্দেহ হচ্ছে।
আমি দিচ্ছি ব্যাখ্যা আর আপনি চাচ্ছেন হ্যাঁ/না। আমি এই সাদাকালো বিভাজনের আলাপে অধিক আগ্রহী নই। গ্রে এরিয়ার অস্তিত্ব যদি স্বীকার করেন, আলাপ আগাবে। নয়তো নয়।
তবে আগের কমেন্টে অসমাপ্ত বিষয়টা শেষ করি:
আপনি বলছেন: তার মানে, আপনি বলতে চাইছেন, 'মিমাংসিত বিষয়' নিয়েও এখন আমাদেরকে পরাজিত পক্ষের সাথে কথা বলে যেতে হবে, তারা অপপ্রচার চালালে ইগনোরও করে যেতে হবে, তাদের কন্ঠরোধও করতে হবে, এবং অবশ্যই গালাগালি করা যাবে না।
আমি বলছি: কথা মাঝে মাঝে বলতে হবে কারণ আপনি তাদের বিচার না করে গণতন্ত্রের আওতায় রেখে দিয়েছেন।
ইগনোর করতে হবে তখনই যখন তারা বেহায়ার মতো একই কথা বলবে।
সে যদি আপনার রগ কাটে তবে কণ্ঠরোধ ছোটশাস্তি হবে।
এবং 'কেবলই' গালিগালাজ কোনো ফল আনে বলে মনে করিনা। পিয়ালের মতো, মিরাজোর মতো (আপত্তি আছে তাইনা!) খাটতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে স্বমহিমায় রাখবেন কেবল গালি দিয়ে?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনি বলেছেন: এদের ব্লগগুলো ঘুরে দেখেছেন কি, এদের লেখার শক্তি কেমন?
আমি: এদের বলতে আপনি কয়জনকে বোঝাচ্ছেন? আমি ব্লগ পড়ি, কমেন্টও করি। নিজের লেখা নিয়ে পড়ে থাকিনা। সবাই কি ছাগুতাড়ানি ছাড়া আরও জরুরি কিছু করে?
২২৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৩
কৌশিক বলেছেন: ইয়র্কার ভাই, আপাতত কমেন্টপ্রদায়কদের অনুমতি গ্রহণ বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। নৈতিক দায়িত্ববোধ ছাড়া আর কোন আইনগত সীমাবদ্ধতা আছে কিনা সেটা নিয়ে আমি নিশ্চিতও নই।
২২৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩১
অমিত বলেছেন: ফাহমিদুল হক, প্রতিবাদ জানইলেন , খুবই ভাল কথা। এখন আমার ব্যাখ্যা দিয়া করা মন্তব্য নিয়ে কিছু বলেন।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে করিনা। কারণ ত্রিভূজ এবং মানসের আদর্শিক অবস্থান সম্পর্কে আমি নিশ্চিতভাবে জানি। ত্রিভূজকে চিনি ব্লগ থেকে আর মানসকে ব্লগের বাইরে থেকে।
২২৬| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৫
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: মানস চৌধুরীর জন্য একটা গিফ্টঃ
Click This Link
২২৭| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
ইয়র্কার বলেছেন: কৌশিক, আইনের কথা না। ব্যক্তিগত সিকুরিটির জন্য বললাম। হাই কোর্টে গিয়ে লড়ার ইচ্ছা নাই।
২২৮| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪২
ইয়র্কার বলেছেন: (ফাহমিদুল হক ভাই, পারসোনাল ব্যাপরে না যাই। কার কতোটা গ্রে এরিয়া আছে, সেইটা বিজ্ঞানিদের ওপরে, নিদেন পক্ষে ব্লগারদের ওপরে ছেড়ে দেই। কি বলেন?
সো, আলোচনা আগাক।)
আপনি বলেছেন: কথা মাঝে মাঝে বলতে হবে কারণ আপনি তাদের বিচার না করে গণতন্ত্রের আওতায় রেখে দিয়েছেন।
ইগনোর করতে হবে তখনই যখন তারা বেহায়ার মতো একই কথা বলবে।
--------
তার অর্থ, তারা এখনও তাদের সপক্ষ সমর্থ করতে পারবে? তারা আমার মাকে ধর্ষন করে বেহায়ার মতো সেই কথা নেঁচেকুঁদে আমার সামনে বললে, আমার উচিত হবে ইগনোর করা?
আচ্ছা, যদি তাদের এখনও সেই রাইট (গণতান্ত্রিক?) থাকে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ মিমাংসিত বিষয় হয় কি করে?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: কথার ট্যুইস্ট হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ আমার কাছে মীমাংসিত, আপনার কাছেও।
আর ওদের গণতন্ত্র চর্চা করার রাইট আমি বা আপনি দিইনি। দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে মঈন-ফখরুদ্দিন। তাই ব্যালটবাক্সে দাঁড়িপাল্লা থাকে নৌকা ধানের শীষের পাশাপাশি।
সমস্যাটা সেইখানে। আপনাকে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আমাকেও। কিন্তু আমার অন্য দায়িত্বও আছে।
২২৯| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫১
অমিত বলেছেন: দ্যাখেন, আমি আপনার নিশ্চিন্ত আদর্শিক অবস্থান বিচার করে কমেন্ট করি নাই। আমি আমার অবস্থান জানিয়েছি এবং সেটা বলেছি স্পষ্টভাবে।আপনি সেই কনটেন্ট এর কনটেক্সটরে প্রতিবাদ জানান এবং দয়া করে যুক্তি দিয়ে জানান। আমি উনারে বাস্তবে চিনি এবং সেই জন্য আমি আপনার যুক্তির জবাব দিব না, এটা কিন্তু একধরণের গালাগালি, যেটার বিপরীত অবস্থান আপনে শুরু থেকেই নিতে চাইতেছেন।
আর আপনার পাঠ নিতে ভুল হৈছে। আমি উনাদের আদর্শিক অবস্থান নিয়ে একটা শব্দও বলি নাই। বলার চেষ্টা করেছি চিন্তাপদ্ধতি নিয়ে, যেটা কোন এক আশ্চর্য কারণে ভাস্কর ভাই বাদে আর কেউ ধরতে পারল না।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: হতে পারে। আমি অনেকজনের সঙ্গে একসাথে কথা বলছি তো। একটু গোলমাল মাফ কইরেন।
তবে চিন্তাপদ্ধতির মিল হলে হতে পারে, আপনাকে উদ্দেশ্যটা বুঝতে হবে।
এর আগে কোথায় যেন লিখলাম, বুশ ইরাক আক্রমণ করলে প্রতিবাদ করে হুজুররা আর কমিউনিস্টরা। কিন্তু দুই দল তো আলাদা। তাদের চিন্তাপদ্ধতি নিশ্চয় অনেকদূর একইভাবে আগায়। কিন্তু শুরু আর শেষটা আলাদা।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এইবেলা বিদায় নিই। রাতে কথা হবে।
এই পোস্ট দিয়ে বিপদে পড়েছি। এতদূর যাবে, এতসময় নিবে বুঝি নাই।
২৩০| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
ইয়র্কার বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি বলেছেন: এদের ব্লগগুলো ঘুরে দেখেছেন কি, এদের লেখার শক্তি কেমন?
আমি: এদের বলতে আপনি কয়জনকে বোঝাচ্ছেন? আমি ব্লগ পড়ি, কমেন্টও করি। নিজের লেখা নিয়ে পড়ে থাকিনা। সবাই কি ছাগুতাড়ানি ছাড়া আরও জরুরি কিছু করে?
-------
আপনি তাহলে এ বিষয়টা না জেনেই এদেরকে ডাইভারসিটিহীন বলেছিলেন? অবাক হলাম।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আমি তো পোস্টে পিয়াল, এস্কিমো, রাশেদের কথা বলেছিই। আরাশিসহ আরও কারও নাম বাদ গেছে। কিন্তু ছাগুতাড়ানির রাখাল তো অনেক। সব মিলিয়ে সামহোয়ারে কাঁঠালপাতার ছড়াছড়ি।
২৩১| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৯
ইয়র্কার বলেছেন: বস, মিরাজ নিয়ে আলোচনাটাও আগাক। ওটা আর দুই-তিন স্টেপেই হয়ে যাবে আশা করি।
২২ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মিরাজ একসময়ের ছাত্রদলের ক্যাডার, এখন সুবোধ শিক্ষক-গবেষক। ক্রিকেট এক্সপার্ট। পরিশ্রমী, দেশপ্রেমিক ব্লগার এবং অবশ্যই জামাতি না। আমার কাছে পরিস্কার।
আপনি কী বলেন?
২৩২| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
অমিত বলেছেন: ভাইডু কনটেক্সট এ থাকেন। এই যে একবার বললেন আদর্শ, আর এরপর বললেন উদ্দেশ্য-বস্তুত একই জিনিস। এই দুইটার একটা নিয়েও আমি কিছু বলি নাই।
আমি বলেছি চিন্তাপদ্ধতি বা আগাইবার তরিকা। সেখানে আমার পাঠে ভুল যে হতে পারে, সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু আপনে সেই পাঠের আশেপাশে না যেয়ে, অন্য কনটেক্সটরে বিবেচ্য ধরে আমার প্রতিবাদ করলেন !!! এটা কি ঠিক ?
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিক না।
২৩৩| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০১
ইয়র্কার বলেছেন: ইয়র্কার বলেছেন: মিরাজ নিয়ে -
আমি বলেছিলাম: ৭১এ মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা কি জামাত দলগতভাবে করেছে?
আপনার উত্তর: একাত্তরে বিরোধিতা জামাত দলগতভাবেই তো করেছে।
-------
অনেক ধন্যবাদ।
এখন প্রশ্ন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায় তাহলে জামাত দল হিসেবে বিয়ার করবে, নাকি জামাতের নেতা-কর্মীরা ইনডিভিজুয়ালি বিয়ার করবে?
(উত্তর দেয়ার সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম (?৭২) সংবিধান মাথায় রাখলে ভালো হবে।)
২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মিরাজ বিষয়ে আপনার এসেসমেন্ট জানতে এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হবে কেন?
আপনি কী মনে করেন সরাসরি বললেই তো হলো।
২৩৪| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৯
ইয়র্কার বলেছেন: আমি বলেছি: আচ্ছা, যদি তাদের এখনও সেই রাইট (গণতান্ত্রিক?) থাকে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ মিমাংসিত বিষয় হয় কি করে?
লেখক বলেছেন: কথার ট্যুইস্ট হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ আমার কাছে মীমাংসিত, আপনার কাছেও।
আর ওদের গণতন্ত্র চর্চা করার রাইট আমি বা আপনি দিইনি। দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে মঈন-ফখরুদ্দিন। তাই ব্যালটবাক্সে দাঁড়িপাল্লা থাকে নৌকা ধানের শীষের পাশাপাশি।
সমস্যাটা সেইখানে। আপনাকে বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আমাকেও। কিন্তু আমার অন্য দায়িত্বও আছে।
----------
কথা তো পরিষ্কার, বস। মুক্তিযুদ্ধ মিমাংসিত বিষয় হয়ে গেলে পরাজিত পক্ষের টা নিয়ে কথা বলার রাইট থাকবে কেন? রাইট যদি মুজিব থেকে ফখর সবাই ও দেয়, তাহলেও তা হালাল হয়ে যাবে কেন? আর তা হালাল-ই যদি হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ তো আর মিমাংসিত বিষয় থাকে না।
বাড়তি দায়িত্বের কথা বললেন। হ্যাঁ, ঘটনা ওইটাই। এখানে ব্লগ লিখতে এসে লিখার সময় থেকে কাটছাট করে আমাকেও ছাগু তাড়াতে হয়। দালালরা মুক্তিযুদ্ধের মত মিমাংসিত বিষয় নিয়ে পরাজিতদের কথা বলার চান্স দেয়াতে আজ তাদের এই দম্ভ।
আপনারা নিজের নামে ব্লগান; আপনাদের সার্টিফিকেট ব্লগে প্রকাশ্য; কিন্তু এই বেনামী ইয়র্কারের মত যারা ছাগু তাড়ায়, তাদের সার্টিফিকেটের ওজনও খুব একটা কম হওয়ার কথা না। সার্টিফকেট দেখিয়ে এখানে সুশীল সাজা আর হয় না। একটা মৌলিক পোষ্ট দিলে ১০টা মন্তব্য দিতে হয় ছাগু তাড়াতে।
ছাগু দেখলেই গদাম লাথি। সেই সাথে ছাগুকে কেউ এইড করতে এলে তাকেও গদাম লাথি। আপনার কথা মেনেও যদি বলা যায়, মুজিব থেকে আজকের ফকরুদ্দিন সবাই মিমাংসিত মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে পরাজিত পক্ষকে কথা বলার 'গণতান্ত্রিক' অধিকার দিয়ে গেছে, তাহলেও তাদের সে দেয়া ভুল ছিলো, আজ দেখাতেই পাচ্ছেন।
সে ভুল আমাদেরকেই সংশোধন করতে হবে। কেউ এটাকে সময়ের অপচয় বলতে পারেন, বলে নিজে গা ঢাকা দিতে পারেন, কিন্তু যুদ্ধটা কাউকে না কাউকে করতেই হবে।
===========
লেখক বলেছেন: আমি তো পোস্টে পিয়াল, এস্কিমো, রাশেদের কথা বলেছিই। আরাশিসহ আরও কারও নাম বাদ গেছে।
------
অন্যদের কথা বাদ দিলাম। অন্যদের কথা না বললাম, পিয়ালও এই পোস্টেই তার অ্যাপ্রোচ বলে গেছেন।
তিনিও ছাগু তাড়ান এবং দরকার হলে লাথি দিয়েই। তার অ্যাপ্রোচ আপনার আকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ্রোচের সাথে মিলে না।
২৩৫| ২২ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সার্টিফিকেটের কথা আসছে কেন? নিকের আড়ালে থাকা আপনার চয়েস। সার্টিফিকেট মেধার পরিচায়ক, সবসময় প্রজ্ঞার না। লাস্ট বেঞ্চের বালক পরে বিরাট বিজ্ঞানী হবার কথা সবাই জানি।
এপ্রোচে যে গলদ আছে সেই কথাটাই বলতে চাচ্ছি। সেই গলদ একজন জ্বলজ্যান্ত প্রগতিশীল মানুষকে জামাতী উপাধি দিয়ে দেয়।
কখনও কখনও সেই গলদাক্রান্ত পিয়াল বা এস্কিমো বা আপনিও হতে পারেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আলাপে তাদের অবদান আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
২৩৬| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৫৮
ইয়র্কার বলেছেন: মিরাজ বিষয়ক -
ফাহমিদ ভাই, প্লিজ ওই উত্তরটা দেন। দুয়েকটা স্টেপের পরেই পুরোপুরি ক্লিয়ার হবে, মিরাজকে জামাতি বুদ্ধিজীবী বলার সাথে ওই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা সম্পর্কিত কেন।
এটার কারণ ব্যাখ্যা করি, পুরো যুক্তি প্রসেসটাকে আমি একটা চেইন বলে মনে করি। অতএব, চেইনের প্রত্যেকটা স্টেপ ওয়ান-বাই ওয়ান এগোলে বিষয়টা ফোকাসড হয় এবং এদিকে-ওদিকে ডাইভার্টেড হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এজন্যই আমি এরকম কিছু বেসিক প্রশ্নের মাধ্যমে এগুচ্ছি।
আমি বলেছি, আমার যুক্তির চেইনে ভুল থাকতে পারে। আপনার সাথে আলাপেই তা পরিষ্কার হবে। এ মুহূর্তে এ কথাই বলতে পারি, আপনাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে এসব প্রশ্ন করছি না। আরো নিশ্চয়তা দেই, আমি খুব বেশি সময় নেবো না। আর মাত্র দুয়েকটি স্টেপের পরেই বিষয়টা পুরোপুরি পরিষ্কার হবে।
আমি আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিপক্ষ ভাবছি না। আমরা দু'জন ব্লগার একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি মাত্র। আমার ভুল থাকলে আপনি দেখিয়ে দেবেন, আমি ভুল করলে সেটাকে মেনে নিতে পারি।
সো, উত্তরটা দিবেন পিলিজ।
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ঠিকাছে। জামাত দল হিসেবে বেয়ার করবে। তবে নেতা কর্মীদের আলাদা আলাদাভাবে বেয়ার করতে হবে। প্রথমত দল হিসেবে।
২৩৭| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৫
ইয়র্কার বলেছেন: ফাহমিদুল হক বলেছেন: সার্টিফিকেটের কথা আসছে কেন? নিকের আড়ালে থাকা আপনার চয়েস। সার্টিফিকেট মেধার পরিচায়ক, সবসময় প্রজ্ঞার না। লাস্ট বেঞ্চের বালক পরে বিরাট বিজ্ঞানী হবার কথা সবাই জানি।
এপ্রোচে যে গলদ আছে সেই কথাটাই বলতে চাচ্ছি। সেই গলদ একজন জ্বলজ্যান্ত প্রগতিশীল মানুষকে জামাতী উপাধি দিয়ে দেয়।
কখনও কখনও সেই গলদাক্রান্ত পিয়াল বা এস্কিমো বা আপনিও হতে পারেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আলাপে তাদের অবদান আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
----
অ্যাপ্রোচে গলদ থাকলে গলদটা আইডেন্টিফাই করতে হবে তো! একজন ফাহমিদুল হক, একজন মানস চৌধুরী, একজন মিরাজকে ব্লগাররা চিনে না। তাদের পরিচয় ব্লগে তাদের ইন্টার-অ্যাকশন।
তারা জামাতি উপাধি পেলে তার দায়িত্ব তাদের ওপরে বর্তায় কিনা? নাকি সব দোষ নন্দ ঘোষ 'মুক্তিযুদ্ধ অবসেসডদের'? মিরাজেরা ধোয়া তুলসী পাতা? মুক্তিযুদ্ধের দলিল নিয়ে পোস্টানো একজন ব্লগারকে জামাতি বলা হয় কেন, ভাবেন। তার সাথে আমার বা আমাদের তো কোনো পারসোনাল দ্বন্দ্ব নেই। নাকি আছে?
(ইনফ্যাক্ট, মিরাজ বিষয়ে আলোচনাটা এগুলে বুঝা যাবে ভুলটা আসলে কার।)
সার্টিফকেটের ব্যাপারে আমার সাথে একমত জেনে ভালো লাগলো।
২৩৮| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:৪২
চম্পা ভাবী চমত্কার বলেছেন: ইনহি লোগোনে লে লিয়া দো পাট্টা মেরা
২৩৯| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:৪৬
রাগিব বলেছেন: ৩৪৩টি কমেন্টের বন্যাতে এই পোস্টের পাতার সাইজ দাঁড়িয়েছে ৫৯২ কিলোবাইট!! দেশের ডায়াল আপ যাদের আছে, তারা এই পাতা দেখছে কীভাবে, তাই রহস্য!!
এই পোস্টটিকে সম্ভবত রেকর্ড আকারের সর্ববৃহৎ পোস্ট হিসাবে ঘোষণা দেয়া যেতে পারে। রাইসু ভাইয়ের আগের রেকর্ড ভাঙার জন্য সবাইকে অভিনন্দন।
@কৌশিক ভাই, যে পরিমাণ কমেন্ট পড়েছে, আপনার আর বুকলেট ছেপে কাজ হবে না। মাঝারি আকারের বই ছাপতে হবে।
২৪০| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:০১
কৌশিক বলেছেন: ৫৯২ কিলোবাইট! মাশাল্লাহ। ব্লগরেকর্ডের জন্য ফাহমিদ ভাইকে অভিনন্দন।
রাগিব ভাই, বিশ্ব ব্লগ রেকর্ড বলে কিছু আছে?
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৮:৪৬
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এই আকারের জন্য আমি এককভাবে দায়ী নই।
এছাড়া এটি আদৌ অভিনন্দনযোগ্য বিষয় কিনা সেবিষয়ে আমি সন্দিহান আছি। আর যদি দিতেই হয় মানস চৌধুরী, ইয়র্কারসহ সবাইকে দেন।
২৪১| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬
ইয়র্কার বলেছেন: মিরাজ বিষয়ে -
ইয়র্কার: ৭১এ মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা কি জামাত দলগতভাবে করেছে?
ফাহমিদুল হক: একাত্তরে বিরোধিতা জামাত দলগতভাবেই তো করেছে।
ইয়র্কার: একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায় তাহলে জামাত দল হিসেবে বিয়ার করবে, নাকি জামাতের নেতা-কর্মীরা ইনডিভিজুয়ালি বিয়ার করবে?
ফাহমিদুল হক: জামাত দল হিসেবে বেয়ার করবে। তবে নেতা কর্মীদের আলাদা আলাদাভাবে বেয়ার করতে হবে। প্রথমত দল হিসেবে।
---------
আপনার উত্তরে ফুল মার্কস। এবার আসা যাবে, মিরাজকে জামাতি বুদ্ধিজীবী বলা হয় কেন, তার কারণ ব্যাখ্যায়।
মিরাজ স্বাধীনতার দলিল নিয়ে ঘাটাঘাটি করা একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ। সে কি উপরের দুইটি প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে জানে না? সে কি জানে না, সংবিধানের পঞ্চম (ষষ্ঠ?) সংশোধনীর আগ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশে জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো?
ধর্মের কলা দেখিয়ে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা এবং হত্যার সহযোগিতা করা 'দল' জামাতকে তারপরও মিরাজ ছাড়পত্র দিতে চায়।
মিরাজ বলেন, "জামাত-শিবিরের মতাদর্শধারী আর যুদ্ধাপরাধী কিন্ত এক জিনিস নয়। "
মিরাজ আল-বদর সংগঠক কামারুজ্জামানের পুত্র ওয়ামিকে নরম ভাষায় উপদেশ দেন, তাদের দল (জামাত) থেকে যুদ্ধাপরাধী দূর করতে!
জামাতের ধর্মীয় রাজনীতি নিয়েও মিরাজের কোনো মতামত নেই, জনগণের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন, জনগণ জামাতকে গ্রহণ করলে করুক, বর্জন করলে করুক! এতে অবশ্য তার স্বাধীনতার চেতনায় কিছু যায় আসে না।
মোদ্দা কথা, তিনি মুক্তিযুদ্ধের দলিল নিয়ে পোস্টান; কিন্তু স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ বছর যাবত নিষিদ্ধ জামাতকে স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতি করার ছাড়পত্র দিতে চান।
আপনার উত্তরের "নেতা কর্মীদের আলাদা আলাদাভাবে বেয়ার করতে হবে" অংশের সাথে পুরোপুরি একমত। এজন্যই তখনকার যুদ্ধাপরাধী যারাই হোক, তারা আজ ভোল পালটে অন্য কোনো দলে থাকলে বা রাজনীতিবিরত থাকলেও তাদের বিচার হতে হবে। কিন্তু এটা ব্যক্তিক ক্ষেত্র। অন্যদিকে জামাত দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধী। দুটো জিনিসকে এক করে দেখার, খিঁচুড়ি পাকাবার কোনো অবকাশ নেই।
কিন্তু এই খিছুড়ি পাকাবার কাজ করে জামাতি বুদ্ধিজীবীরা। তারাও বলে, তারা স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নিয়েছে। (তাদের মেনে নেয়া না নেয়ায় কি আসে যায়, এটা অবশ্য বুঝি না।) তারা যুদ্ধাপরাধী প্রসঙ্গ আসলেই 'অন্যান্য দলেও যুদ্ধাপরাধী আছে' ফতোয়া নিয়ে হাজির হয়। তখন পাবলিককে কনফিউজড করে দেয়া যায়, তাই তো! শুধু জামাত কেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিতেও তো যুদ্ধাপরাধী আছে! এভাবে লীগ বিএনপির সাথে জামাতকে এক পাল্লায় তুলে দেয়া যায়।
কিন্তু এ তুলে দেয়ার সাথে যে ফাঁক থাকে, তা হলো, জামাতের ব্যক্তিবিসর্গের কথা পরে, আগে দলগতভাবেই তারা যুদ্ধাপরাধী। বাংলাদেশের সংবিধানে সামরিক আঁচড় পড়ার আগ পর্যন্ত তারা স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ দল।
মুক্তিযুদ্ধের দলিল নিয়ে পোস্টানো উচ্চশিক্ষিত মিরাজ যখন এই স্পষ্ট বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে একজন পুরোদস্তুর জামাতি বুদ্ধিজীবীর স্টাইলে ভাষণ দেন, তখন তাকে একজন জামাতির চেয়ে অন্যকিছু ভাবার অবকাশ আছে কি?
(বাই দ্য ওয়ে, তার উপরিউক্ত মহান বক্তব্যগুলো যে ভুল, ক্ষণিকের অসাবধানতা বা অজ্ঞানতা থেকে করা, সেরকম কিছুও তিনি স্বীকার করেন না; বরং এটাকে অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিতে চান।)
বস, আপনি কনভিন্সড না? আপনার কাছে বাস্তবের মিরাজ অন্যরকম? আমার কাছে তার পরিচয় শুধু এ ব্লগের, ব্লগে তার কথা দিয়েই তার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত টানি। বর্ণিট ঘটনা/কথা থেকে আমার টানা সিদ্ধান্ত ভুল? আপনিই তাহলে বলুন, তার ওই স্টেটমেন্টগুলোর ব্যাখ্যা কি? এগুলো থেকে কেন মিরাজকে জামাতি বলা হবে না?
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনার এই বিশ্লেষণটা ঠিক আছে। আপনি বলছেন যে সব দলে যদি যুদ্ধাপরাধী থেকেও থাকে, জামাত দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধ করেছে। তাই তাদের নিষ্কৃতি পাবার কোনো রাস্তাই আসলে নেই। আর আলাদা আলাদা বিচার সবারই হওয়া দরকার।
মিরাজ ওয়ামীকে যে-পরামর্শ দিয়েছেন, তা থেকে বোঝা যায়, তিনি আপনার মতো (আমার মতোও) উচ্চকিত জামাতবিরোধী নন, যেহেতু জামাত বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ছাতার নিচে আছে, এটা একটা বাস্তবতা, তাই দলটাকে ব্যান করার বিরাট দাবির চাইতে পরিশুদ্ধ জামাতকে দেখতে চান তিনি। একসময় দলটি নিষিদ্ধ থাকলেও তার চেয়ে অনেক বেশি সময় দলটি
এটা দ্বারা প্রমাণিত হয়না যে তিনি নিজে জামাতী।
আমিও মিরাজকে ব্লগেই চিনি, জেনেছি যে তিনি ঢাবির সহকর্মী। কিন্তু সেজন্য আলাদা করে কোনো সহানুভূতি, কমিউনিটি ঐক্য আমি বোধ করি না। তার পোস্ট পড়েই তার মূল্যায়ন করি। আমার এই পোস্টেই জানতে পারলাম যে তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করতেন। তার রাজিনিতক দর্শন যদি বিশেষ পরিবর্তন না হয়ে থাকে তবে অনুমান করি তিনি বিএনপির লিবারেল ধারায় অবস্থান করেন (এমন হতে পারে তিনি রাজনীতির সঙ্গে এখন আর একেবারেই যুক্ত নেই)। আর বিএনপির আরেকটি অংশ আছে যাদের সঙ্গে জামাতের তেমন কোনো পার্থক্য নেই, কেবল বড়ো দল বলে তারা বিএনপিতে আছেন। এখন আপনাকে দেখতে হবে বিএনপির সঙ্গে জামাতের ঘনিষ্ঠতা ঐতিহাসিক। সেই স্থান থেকে মিরাজের ঐ পরামর্শ আমার কাছে আশ্চর্যের কিছু না। পরিশুদ্ধ জামাত পেলে বিএনপির লিবারেল অংশ স্বস্তি বোধ করে। আবার তিনি যে জামাতের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের আলাদা করতে চাচ্ছেন, একজন খাঁটি জামাতীর এটা পারার কথা না। এটা আমি যেভাবে বুঝছি সেভাবেই বললাম, কিন্তু এর উত্তর মিরাজই সবচেয়ে ভালো দিতে পারবেন।
মিরাজকে জামাতী বলা অন্যায় হবে। মিরাজ উচ্চকিতভাবে জামাতবিরোধী না, এই অভিযোগ আপনি তুলতে পারেন। আমার এই মন্তব্য একেবারেই আপনার সঙ্গে আলাপচারিতা থেকে এল। অন্যরা (মিরাজসহ) এর অন্যরকম ব্যাখ্যাও দিতে পারেন।
২৪২| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৩৮
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
সারছে, ইয়র্কার দেখি পুরা ক্ষেপসে।
বস, স্যালুট।
২৪৩| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪১
ইয়র্কার বলেছেন: আরণ্যক, থ্যাক্স। কি খবর তোমার? অনেকদিন দেখা-সাক্ষাত নাই। আমিও চরম বিজি।
২৪৪| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪২
মাহবুব সুমন বলেছেন: ব্লগে মতের মিল না থাকার জন্য জামাতি বানানোটা একটা চরম ভুল।
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:০২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: এটা অতি বিপজ্জনক প্রবণতা।
২৪৫| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৪
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন: "কৌশিক বলেছেন: বিষয়টা হচ্ছে এমন, যেখানে রাজাকারদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত সেখানে রাইসু বা আরো অনেকে এমন দার্শনিক পোস্ট কেন দেবে যা দেখে রাজাকাররা একটা সুযোগ পেয়ে যাবে বা মনে করবে যে কেউ কেউ সহানুভূতিশীল রয়েছে এন্টি রাজাকার জোটের মধ্যেও। আন্দোলনকারীদের ধারণা এমন সব পজিশন যা অনেক বেশী লিবারেলিজমের পৃষ্ঠপোষক (উত্তরআধুনিকীও কেউ কেউ বলে) - এর মাধ্যমেই রাজাকাররা রেহাই পেয়ে এসেছে অতীতে, এখনও পাচ্ছে। যদিও ব্রাত্য রাইসু, মাহবুব মোর্শেদ, মানস চৌধুরী, অন্যমনস্ক শরৎ, মিরাজ, ... আযহার, (অবিশ্বাস্য সন্দেহজনক অবস্থিতিতে আমি) কেউই রাজাকারদের-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি নয় - কিন্তু এদের কোন কোন লেখায় এমন একধরণের ওপেননেস থাকে যা রাজাকারদের বাকস্বাধীণতার দিকে ইংগিত করে। সামগ্রিকভাবে দৃশ্যপট এমন মনে হওয়াতে এদের এ জাতীয় লেখাগুলো রাজাকারপৃষ্ঠপোষকতামূলক বলে চিন্থিত হয় এবং হতে থাকবে। এর প্রভাব তাদের এই-বিতর্কনিরপেক্ষ অন্যান্য লেখাতে, ব্যক্তিগত জীবনাচারেও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। "
সুমন ভাই, কৌশিকের এই উপলব্ধিটুকু আপনি কীভাবে দেখেন?
২৪৬| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৪৭
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
ওপেননেস গ্রহণ করবার মতোন মন-মানসিকতা আমাদের ছিলো একসময়।
আমি মনে করি, এই প্লাটফরম সেই ধাপ পার হয়ে এসেছে।
গত এক সপ্তার পোস্টগুলো খেয়াল করেন।
প্রতিনিয়ত ইতিহাস ধর্ষিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছি আমরা,
আমাদের লিবারেলিজম এর কারণেই নয় কি?
২৪৭| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ২:৫৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: কৌশিকের সাথে একমত।
তবে আশংকার কথা হচ্ছে আমাদের এ বিবাদের সুযোগ নিচ্ছে জামাতিরা, আমার বিবাদের লিপ্ত হয়ে আমাদের শক্তিনাশই করছি।
এর একটা সমাধান দরকার।
২৪৮| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০০
ইয়র্কার বলেছেন: এটা গেলো মিরাজ বিষয়ে। ইনফ্যাক্ট, আপনি যাদের কথা বলেছেন, যেমন রাইসু, মামো, মানস চৌধুরী এদের চেয়ে মিরাজকে আমার কাছে অনেক বেশি ইনটেলিজেন্ট এবং সাবধানী মনে হয়েছে। মনে হওয়ার কারণগুলা নিজের কাছে থাক। ওগুলো ব্যাখ্যা করতে গেলে আবার কুরুক্ষেত্র হয়ে যাবে। আমি বুদ্ধির প্রশংসা করি, সে বুদ্ধি বাজে খাতে খরচ হলেও। তবে কিছু কুপমন্ডুক আবাল যখন নিজেদের গায়ে বুদ্ধিজীবী ট্যাগ লাগিয়ে 'আমারো পোছো' বিজ্ঞাপন দিয়ে বেড়ায়, তখন এদের প্রতি করুণা হয়।
কিন্তু আবালের আবলামি সীমা ছাড়িয়ে গেলে তাকে গদাম লাথিই দিতে হয়। জানি, এদের রোগ আরোগ্যের বাইরে, তারপরও একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ রক্ষায় এছাড়া করার কিছু নেই। ইগনোর থেরাপি বড়জোর একটা সীমা পর্যন্ত আরোপ করা যায়। তার বাইরে নয়।
কোনো ছাগল যদি কাউয়ার কা কা রব খাতার পৃষ্ঠায় লিখে বলে, দেখো, কী সুন্দর কবিতা! আমি একটু বিরক্ত হলেও ভালো ভালো, চালিয়ে যাও বলে ইগনোর করি। হয়তো সবাই-ই তা করে। কিন্তু এতে যদি সেই ছাগল ভাবে, সে মহাকবি হয়ে গেছে, তাকে ভালো ভালো বলায় সে যদি ভাবে, সে যা বলে তা-ই রাইট, সে মহান বুদ্ধিজীবী, অতএব, মুক্তিযুদ্ধের মত 'মিমাংসিত বিষয়' নিয়ে তার তেনা প্যাচানোর অধিকার আছে, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত পক্ষকেও একই প্লাটফর্মে দাড় করিয়ে তাদের কথাও আমাকে এখন শুনতে হবে, বাক-স্বাধীনতার অর্থ না বুঝেই যদি বাক-স্বাধীনতার ধুয়া তুলে ৩০ লাখ মানুষের জীবন আর লাখ লাখ মাবোনের সম্ভ্রম নষ্টকারীদের পক্ষে যাওয়া ম্যাৎকার করে, তাহলে আর ইগনোর করা সম্ভব হয় না। ছাগলকে লাথি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়, যে সে ছাগল।
এ লাথি দেয়ার জন্য আপনি আমাকে 'মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড' বলতে চান, 'ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা' ট্যাগ লাগিয়ে বলতে চান বাস্তবে কোনো বাল ছিড়তে পারি না, এই নেটেই ফালাই? যদি বলেন, সো বি ইট! আমি ভার্চুয়াল মুক্তিযোদ্ধা, আমি মুক্তিযুদ্ধ অবসেসড এবং এজন্য আমি নিজেকে স্যালুট দেই!
২৩ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনাকে স্যালুট। আপনার আদর্শকে খর্ব করবে এমন কোনো শক্তি সম্ভবত নেই। তবে আমি কার্যকৌশল বিষয়ে পুনর্বিবচেনার আহ্বান জানিয়েছিলাম।
আর আবারও বলি ব্র্যাত্য রাইসুর পোস্টকে নিয় যেমন আপত্তি করার অনেক কিছু আছে, তেমনি একাউন্টে আনার মতো কিছু বিষয়ও ছিল।
২৪৯| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৪
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন: >এর একটা সমাধান দরকার।
হ্যা, এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণের কোন কারণ নাই।
আমার কথা হইলো, ওয়ামিরে মিরাজ ভাই যেমন কৈরা জামাত থেকে যুদ্ধাপরাধী বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিসিলো.. সেইরকম নরম নীতি আমাদের কেউ আর নেবো না।
মিরাজ ভাই যদি সেইরকম নীতি এখনো পছন্দ করেন, তাইলে তার জন্যে আমার কিছু বলার নাই।
খালি বলি, তাহলে অন্যদের কাজে বিরক্ত হইয়েন না।
২৫০| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০২
ইয়র্কার বলেছেন: মাহবুব সুমন বলেছেন: ব্লগে মতের মিল না থাকার জন্য জামাতি বানানোটা একটা চরম ভুল।
-----
মাহবুব সুমন, টু দ্য পয়েন্টে আসুন। ফাহমিদ ভাইকে যে প্রশ্ন করেছি, মিরাজ বিষয়ে তার উত্তর দেয়ার জন্য আপনিও স্বাগতম। মিরাজের সাথে আমার কোনো পারসোনাল প্রবলেম নাই।
২৫১| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮
আরণ্যক যাযাবর বলেছেন:
ইয়র্কার বসের মতো কৈরা বলতে পারবো না, তাও বলি।
"নরম বিরোধিতা" অনেক সময় "পোষণ" এর থাইকাও মারাত্মক হইয়া দাড়াইতে পারে।
জামাতী কুত্তারা ইন্টারনেট ইউজ কৈরা নতুন জেনারেশনের মগজ ধোলাই করার জন্যে একটা বিরাট প্লান হাতে নিসে, শুনসি। কাজেই সাধু সাবধান।
২৫২| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯
মাহবুব সুমন বলেছেন: ইয়র্কার আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছি না, সেহেতু টু দ্যা পয়েন্টে আসার দরকারও নেই।
আমি আমার মতামত বলেছি, এটাই আমার অভিমত।
ভাইটু, এভাবে ব্রান্ডিং করে দেয়া আমাদের দেশে সব সময়ই চলে এসেছে। যা অনেক সময়ই ক্ষতিকর।
বিপ্লবের সবচাইতে ক্ষতি করে কারা জানেনতো !
উত্তরঃ"প্রতিবিপ্লবি"
বাঘা সিদ্দিকীর কথাই ধরেন, নিজামীর সাথে উনার ছবি এসেছে। তাই বলে কে উনাকে জামাতি বা রাজাকার বলা যাবে ?
বা মেজর জিয়ার কথাই ধরেন !
এগুলো উদাহরন মাত্র।
আপনি আপনার মতো যুক্তি দিতে পারেন , তবে আমি আমার পর্যবেক্ষন থেকে মিরাজ ভাইকে জামাতি বলতে পারছি না একেবারেই।
আরেকটি কথা, ব্লগের প্রথম জীবনে আমাকেও কিছু ব্লগার জামাতি বলেছেন। কিন্তু আমি জামাতি না ; বুঝাতে পেরেছি ভাইটু?
ভালো থাকুন।
২৫৩| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৪
ইয়র্কার বলেছেন: মাহবুব সুমন, আপনি টু দ্য পয়েন্টে না আসলে এরকম অ্যাবস্ট্রাক্ট আলোচনায় যেতে আমিও উৎসাহী না। মতের মিল না থাকলেই কাউকে ব্লগে জামাতি উপাধি দেয়া হয় না। ইনফ্যাক্ট, এমনকি এ-টীমের মধ্যেও ব্যক্তিগতভাবে মত-দর্শনের শতকরা ১০০ ভাগ মিল নেই বলেই জানি। সো, এইসব ফাঁকা বুলি দিয়ে লাভ নেই।
আমি কাউকে ফাঁকা বুলি দিয়ে নির্বিচারে ব্রান্ডিং করছি না। আমার বক্তব্যের পক্ষে পর্যাপ্ত যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আপনি পারলে দেখান, আমার যুক্তিতে ভুলটা কোথায়। না পারলে অফ যাওয়াই ভালো।
২৫৪| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬
মাহবুব সুমন বলেছেন: যাযাবর,
দেশে থাকতে আমার একটা আগ্রহ ছিলো, সেটা কি জানেন ?
জামাতীদের বই পড়া ও গভীর মনোযোগ দিয়েই পড়া।
যত পড়েছি ততই শংকিত হয়েছি। এজন্য এদের উদ্দেশ্য ও কাজের ধারা সম্পর্কে আমি নিঃসন্দেহ। শুধু পড়েই ক্ষান্ত হইনি, এদের কাজের ধারা বোঝার জন্য যা যা করতে হয় সেটা করেছি। সেটা অনেক বড় বিষয়।
এদের প্রতিরোধ ও নির্মুলের জন্য অনেক কিছুই করতে হবে। এরা অনেক সংগঠিত ও পরিকল্পিত ভাবে কাজ করে। শুধু আবেগ দ্বারা এদের প্রতিরোধ করা যাবে না। এর জন্য বুদ্ধি, পরিকল্পনা দরকার, (এবং অস্ত্র) দরকার।
নরম পন্থার কথা বল্লেন। সেটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেই পাবেন। ৭ই মার্চের ঠিক আগের কথা ধরেন। আওয়ামী লিগের এক অংশ আলোচনায় বিশ্বাষী ছিলো, কিন্তু ছাত্ররা ছিলো না। এই ছাত্র- জনটার জন্য স্বাধীনতার প্রস্তূতি ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছিলো।
একেকজনের কার্যধারা ও কর্মপন্থা একেক রকম। এর জন্যই তাকে অন্য ভাবধারার কথা বলা যায় না।
২৫৫| ২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:২২
মাহবুব সুমন বলেছেন: ইয়র্কার,
আমি আপনার সাথে যুক্তিতে যেতে পারছি না ও আলোচনায় অংশগ্রহন করতে একদমই আগ্রহী না। ক্ষমা করবেন।
আপনি নিজেই নিজের পাতে ঝোল টেনে আমাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছিলেন যার উত্তর দিতে হয় বলেই দিয়েছি।
আমি আমার মতামত বলেছি, সেটা আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। আশা করি এটা বোঝার ক্ষমতা আছে আপনার।
আর না পারলে অফ যাওয়াই ভালো এটা কোনো যুক্তিবান মানুষ বলে না ভাইটু!
আর এটিমের সাথে আমার আদর্শগত কোনোই বিবাদ নেই, এখানে এ টিম না আনাই ভালো।
আমার উদ্দেশ্যে আর কোনো কমেন্ট না করলেই খুশি হবো।
আমি যাযাবরের সাথে আলোচনা করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি।
২৫৬| ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৩
মিরাজ বলেছেন: যাক মনে হয় মিরাজ কোন্দ্রিক আলোচনা শেষ হয়েছে এবং মিরাজকে জামাতি হিসাবে প্রমাণ করা গেছে । ইয়র্কার আপনাকে অভিনন্দন এবং ফাহমিদ ভাইকেও অভিনন্দন ইয়র্কারের গবেষণায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করার জন্য ।
তবে আমি আশাহত । ইয়র্কার তার পুরো গবেষণায় আমার একটি বক্তব্যের খন্ডিত অংশ ছাড়া (যেটি নিয়ে আগে বেশ কবার আলোচনা হয়েছে এবং এই প্রোপাগান্ডার স্বরূপ সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে, আমি এটা নিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম সেখানে... আগ্রহীরা পড়তে পারেন Click This Link) আর কিছু হাজির করতে পারলেননা । আফসোস... এইরকম বিশ্লেষণকে আবার বিভিন্নজন স্যালুটও দিচ্ছেন ।
ইয়র্কারের মুল অভিযোগ আমি বলেছি ""জামাত-শিবিরের মতাদর্শধারী আর যুদ্ধাপরাধী কিন্ত এক জিনিস নয়। "" । আসলে আমি কি তাই বলেছি?
দেখা যাক আমি কি বলেছিলাম । এই কথাগুলি দুই জায়গায় এসেছিল । একবার আমার একটি পোষ্টে আর একবার আইজুদ্দিন সাহেবের সাথে কথোপকথনে । দুইটি অংশই তুলে দিলাম ।
কথোপকথনে....
জামাতে ইসলামীর সদস্যদের একটা বড় অংশ গ্রামের সাধারণ মানুষ । যারা ইসলামী নাম থাকায়, ভ্রান্ত মায়ায় জামাতে ইসলামী সমর্থন করে । আমাদের দরকার তাদের ভ্রান্তি ভাংগানো এবং তাদেরকে প্রকৃত ইসলামের সাথে জামাতের ইসলামের পার্থক্য বোঝানো। এইটাই না মতাদর্শের প্রচার । বাতিল মতাদর্শ থেকে সঠিক মতাদর্শে আনা ।
নাকি তাকে কেউ ভুল বুঝিয়ে তাদের পথে নিতে পেরেছে বলেই তাকে "জামাতি যুদ্ধাপরাধি" বলবেন?
আওয়ামী লীগের সব লোক যেমন মুক্তিযোদ্ধা না তেমনি জামাতের সব লোকও নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধী না । আওয়ামী লীগের সব লোক মুক্তিযোদ্ধা হলে রাজাকার আওয়ামী মন্ত্রীসভায় স্থান পেতনা ।
জামাতের মধ্যেও সহজ সরল আমার বাংলার মানুষ আছে । আর যারা যুদ্ধাপরাধী তারা শত চিতকার করলেও যুদ্ধাপরাধী । দুইটার মধ্যে কিছুটা হলেও পার্থক্য আছে ।
পোষ্টে... Click This Link
এখানে একটি ব্যাপার পরিস্কার করে নেই। জামাত-শিবিরের মতাদর্শধারী আর যুদ্ধাপরাধী কিন্ত এক জিনিস নয়। ৭১ এ যারা হত্যা ধর্ষণ এর মত যুদ্ধাপরাধ করেছিল তারাই যুদ্ধাপরাধী। বর্তমানে তাদের সিংহভাগই জামাতের ছত্রছায়ায় রয়েছে, কিন্তু এ ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দলেও এদের অবস্থান আছে।
যুদ্ধাপরাধী জামাতে থাকলে তার বিচার চাই আর আওয়ামী লীগে/ বি এনপিতে থাকলে তার বিচার চাইনা এরকম সুবিধাবাদী রাজনৈতিক অবস্থান আমার নেই এবং এই সুবিধাবাদী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যায়নি ।
যেহেতু একটি বক্তব্যের খন্ডিত অংশ বক্তব্যকে বিকৃত করা ছাড়া আরো কোন কিছুকে তুলে ধরে বলে মনে করিনা তাই ইয়র্কারের এই প্রোপাগান্ডা নিয়ে আর চর্বিত চর্বন দরকার বলে মনে করিনা । আর ইয়র্কারের এই প্রোপাগান্ডাকে এখন আর ততটা কেয়ারও করিনা । ব্লগের সবার কাছে অবস্থান পরিস্কার করা প্রয়োজন ছিল বিধায় এ নিয়ে একটি দীর্ঘ আলোচনা আগে একটি পোষ্টে করেছি যেটির লিংক প্রথমেই দিয়েছি ।
যা হোক এই দীর্ঘ আলোচনার পরও আমি এই পোষ্টের শুরুতে যে মন্তব্য করেছিলাম তার চেয়ে ভিন্ন কিছু দেখলামনা । আর তাই সেই মন্তব্যেরই কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি
"ইয়র্কার এবং তার ধারণার অনুসারীগন মনে করেন, তাদের ধারণাটি এবং তাদের অবস্থানটিই কেবলমাত্র সঠিক এবং এর বাইরে যারা চিন্তা করছে তারা সবাই ভুল । আর এই ধারণার কারণে তারা যে কাউকে একটি ট্যাগ দিয়ে (আমাদের ক্ষেত্রে সুশীল ট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে) যে কোন ভাষায় যা ইচ্ছা বলার অধিকার রাখেন । যে কোন মিথ্যাচার, ডেরোগেটরী শব্দ বা প্রোপাগান্ডাও জায়েজ এবং যেহেতু তারা তাদের চিন্তা ভাবনাকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ চিন্তা হিসাবে ট্যাগিং করেন তাই তারা যাই বলবেন সেটি মুক্তিযুদ্ধকে উর্ধে তুলে ধরার জন্যই বলবেন ।
এই যে আউট অব দি বক্স চিন্তা করতে পারার অক্ষমতা এটিও ব্লগের বর্তমান কালচারের একটি বড় কারণ । তারা অবশ্য একে অক্ষমতা বা চিন্তার সীমাবদ্ধতা হিসাবে দেখতে নারাজ (এবং আমি নিশ্চিত এই শব্দ ব্যবহার তাদের পছন্দনীয় হবেনা ), এটিকে তারা সংগ্রামী বা আদর্শিক অবস্থান হিসাবে গর্বভরে ঘোষণা দিয়ে থাকেন ।"
নিকের আড়াল থেকে অনেক বড় বড় ডায়হলগ দেওয়া যায়, পল্টনের মতো ব্লগে জামাত শিবিরকে পিটিয়ে তক্তাও করা যায় কিন্তু সেই নিকধারী ব্যক্তিই যে বাস্তবে জামাত শিবিরের পা চাটেননা সেটি নিশ্চিত হই কিভাবে?
ফাহমিদ ভাই, আপনার সাথে এ বিষয়ে আলোচনা চালাতে রাজি আছি, অমি রহমান পিয়াল বা জেবতিক আরিফ এর সাথেও আলোচনা চলতে পারে কিন্তু কিছু নিকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তির সাথে পুরনো আলোচনা আর চালাতে ইচ্ছুক নই ।
আর সবশেষে আপনার প্রিয় বিভিন্ন ব্লগারের কাছ থেকে আপনার পাস করার ব্যগ্রতা দেখে মজা পেলাম । আশা করি আপনি সবার কাছ থেকেই সসম্মানে পাস করবেন এবং কেউ আপনাকে ভুল বুঝবেননা ।
২৪ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:২৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: "আর সবশেষে আপনার প্রিয় বিভিন্ন ব্লগারের কাছ থেকে আপনার পাস করার ব্যগ্রতা দেখে মজা পেলাম । আশা করি আপনি সবার কাছ থেকেই সসম্মানে পাস করবেন এবং কেউ আপনাকে ভুল বুঝবেননা ।"
এই খোঁচার সুযোগ আমিই তৈরি করে দিয়েছি। কী আর করা।
আপনি জামাত কিনা তা প্রমাণে আমি ইয়র্কারকে সহযোগিতা করিনি। বরং তার উপস্থাপিত আপনার নানা কোটের একটা ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বোঝাতে চেয়েছি কী কী কারণ থাকতে পারে এর পেছনে।
এখন যেহেতু এই ব্যাকগ্রাউন্ডের পুরাটা আমার জানা ছিলনা, আপনার মন্তব্য ও দাবি অনুযায়ী মনে হচ্ছে, সেক্ষত্রে মিসকোটেড হয়েছেন, তাই এই আলাপের চক্রে আমি আর কিছু মন্তব্য করা নিরাপদ মনে করছি না।
ইয়র্কারকে আমি স্যালুট দিয়েছি কারণ তিনি নিজেই নিজেকে স্যালুট দেবার মতো গভীর আদর্শ ধারণ করেন।
আপনার সম্পর্কে আমার পূর্বধারণার কোনো পরিবর্তন হয়নি, পোস্টে যা বলেছি তা এখনও বিশ্বাস করি।
২৫৭| ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৫৫
ইয়র্কার বলেছেন: ফাহমিদুল হক ভাই, অনেক ধন্যবাদ। সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে সব আলোচনাই যে শেষ পর্যন্ত কু-তর্কে রূপান্তরিত হয় না, রেললাইনের মত সমান্তরালে থেকে যার যার তালগাছ নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে যায় না, আপনার সাথে কথোপকথনে তা-ই প্রমাণিত হল।
কার্যকৌশল বিষয়ে আপনার উপদেশ/পরামর্শ/দাবী/অনুরোধ মনে থাকবে। খামোখা শত্রু বাড়িয়ে যে লাভ নেই, এটা আমরাও বুঝি।
মূল্যবান সময় ব্যয় করে আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা।
২৫৮| ২৪ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মিরাজ বলেছেন: @ ফাহমিদ ভাই
একটি কৈফিয়ত ।
ঢাকা কলেজ জীবনের পর কখনোই সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলামনা ।
২৫ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:১৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যের জন্য।
২৫৯| ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৮
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ফাহমিদুল,
আপনি লিখছেন, "এইখানে আমি রাশেদদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক অবস্থানরে প্রশ্ন করেছি বলে মনে করি।" না আপনি প্রশ্ন করেন নাই। আপনি তাদের কী করা উচিত তার পরামর্শ দিছেন। অ-রাজাকারদের "রাজাকার" তকমা বরাদ্দ দিলে আলাপে কী সুবিধা আসে তা আমার ধারণা আপনি জানেন। সে ব্যাপারে কিছু বলেন নাই দেখতেছি। বলতে হবে তাও না।
আপনি লিখতেছেন, আমি বলেছি, ব্রাত্যর ওয়ামীকেন্দ্রিক আপত্তি সন্দেহের জায়গা তৈরি করে। সেটা সত্যিই করে, কিছুদিন আগেই গালির কারণে 'মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের' লোকজন ব্যান হবারে ক্ষেত্রে আপনার নিরবতা সেই সুযোগ করে দেয়।
আশ্চর্য। নিরবতা মানেই পক্ষপাত! বুশিয়ান স্টাইল? সামহোয়ার নিজের নিয়মে কারে ব্যান করলো তাতে আমার কী? গালি দিয়া থাকলে ব্যান করলে প্রতিষ্ঠানের আইন অনুসারে ঠিকই তো করছে। (আমি অবশ্য জানি না কী করছে।) পাবলিকের চাপে যখন কাউরে ব্যান করে সেইটা অন্য বিষয়। যেইখানে আমি পক্ষাপক্ষি নিয়া আলাপে রাজি না সেইখানে কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ব্যান হইল তাই আপত্তি করতে যাব? আমার তো আর্গুমেন্টটাই হইল আইন সকলের তরে সমান সিদ্ধ হবে। এবং এর অর্থই হইল সামহোয়ার যারে খুশি ব্যান করতে পারে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান যখন জনমতের কাছে হার মানে তখন সেই জনমতরে বিচার করতে বসছি আমি। একবারও 'ওয়ামীর ব্যান ফিরায়া নাও' ধ্বনি দেই নাই। বলতে পারেন সমাজ তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। "মাধ্যম ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের পাঠশালা"য় তা আরো অভিনিবেশ ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে হইলে ভালো লাগবে।
লিখছেন, "সঙ্কীর্ণতা ধরিয়ে দেওয়াটাও দায়িত্ব মনে করি। এটা নিজদলের লোককে গাইড করার মতো বিষয় না, শেষপর্যন্ত।" শেষ পর্যন্ত কেন তা না? সঙ্কীর্ণতা কি অন্য দলের লোক আইসা ধরাইতে পারে? যদি নিজের দলের লোকই করে ও পারে সেইটা গাইড করা হবে না কেন? নিজ দলের লোক ভুল করলে সেইটা হইল সঙ্কীর্ণতা, অন্যের দল ভুল করলে কী হবে...? কে ধরাবে তারে?
২৫ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: আপনি লিখেছেন: পাবলিকের চাপে যখন কাউরে ব্যান করে সেইটা অন্য বিষয়। যেইখানে আমি পক্ষাপক্ষি নিয়া আলাপে রাজি না সেইখানে কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ব্যান হইল তাই আপত্তি করতে যাব? আমার তো আর্গুমেন্টটাই হইল আইন সকলের তরে সমান সিদ্ধ হবে।
.....................
অর্থাৎ আপনি বলছেন পাবলিকের চাপে এই ব্যান হয়েছে। কিন্তু তা কি আইনের বাইরে এসে করা হয়েছে? নোটিশবোর্ডের একটি পোস্ট থেকে জানা যায় ফেব্রুয়ারি মাসে (ওয়ামীর পোস্টের আগে) ব্লগের নীতিমালায় নতুন সংযোজন হয়েছে:
নীতিমালায় সংযোজন: (৩.ঞ) :তিন নম্বর পয়েন্টের সাথে যুক্ত হবে...
৩.নিম্নলিখিত কারণে আমরা পোস্ট কিংবা ছবি মুছে দিতে পারি:
ঞ. বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচারণ করে, অসম্মান করে অথবা সত্যের অপলাপ বা অর্থহীন পোস্ট মুছে ফেলা হতে পারে এবং ব্লগারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে স্থগিত কিংবা বাতিল করা হতে পারে ।
..............
এখানে আপনি আইনের বিচারে পাবলিকের চাপ/ কর্তৃপক্লে পক্ষপাতের অভিযোগ করতে পারেন কি? 'অসম্মান করে' শব্দদ্বয় আপনার চোখে পড়ছে কি?
...............
"কিন্তু প্রতিষ্ঠান যখন জনমতের কাছে হার মানে তখন সেই জনমতরে বিচার করতে বসছি আমি।"
জনমতের কাছে হার মানার চর্চাটা গণতন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠান শিখেছে। এখন আপনাকে দেখতে হবে সেটা বেআইনী হয়েছে কিনা।
.........
আপনি বলছেন, সঙ্কীর্ণতা কি অন্য দলের লোক আইসা ধরাইতে পারে?
আমি মনে করি অবশ্যই পারে।
আপনি বলছেন, নিজ দলের লোক ভুল করলে সেইটা হইল সঙ্কীর্ণতা, অন্যের দল ভুল করলে কী হবে...? কে ধরাবে তারে?
নিজের হোক বা অন্যের দলের হোক সঙ্কীর্ণতা সঙ্কীর্ণতাই।
কে ধরাবে তারে? আপনি যেমন ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন।
২৬০| ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:২২
এস্কিমো বলেছেন: ৩৭১ টি মন্তব্য ২৫৫৩বার পঠিত
আবারো পড়লাম পুরোটা।
হতাশ হলাম মিরাজের কৌলন্য দেখে।
"নিকের আড়াল থেকে অনেক বড় বড় ডায়হলগ দেওয়া যায়, পল্টনের মতো ব্লগে জামাত শিবিরকে পিটিয়ে তক্তাও করা যায় কিন্তু সেই নিকধারী ব্যক্তিই যে বাস্তবে জামাত শিবিরের পা চাটেননা সেটি নিশ্চিত হই কিভাবে?"
চিন্তার দৈন্যতায় মজা পেলাম। পেয়েছেন কি কোন প্রমান, না অন্ধকারে ঢিল ছোড়া.........
"ফাহমিদ ভাই, আপনার সাথে এ বিষয়ে আলোচনা চালাতে রাজি আছি, অমি রহমান পিয়াল বা জেবতিক আরিফ এর সাথেও আলোচনা চলতে পারে কিন্তু কিছু নিকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তির সাথে পুরনো আলোচনা আর চালাতে ইচ্ছুক নই ।"
হতে পারে আপনি জীবনে কখনও সেকেন্ড হন নাই কিন্তু ব্লগে নিকের আড়ালে সবাই নমসূত্র এইটা ভাবা বোধ হয় অহংকারের পরিচায়ক।
একজন অহংকারী শিক্ষক ছাত্রদের কতটা বিনয়ী হতে শিক্ষা দিতে পারবে তা ভাবা মতোই।
হতাশ হলাম আমার শিক্ষক সাহেবেদের ডিম আগে না মুরগী আগে আলোচনায় আগ্রহ দেখে।
১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী নামের একটা সংগঠন দলগত ভাবে বাঙালী নিধনে কাজ করেছে। প্যারামিলিটারী গঠন করে গনগত্যা ধর্ষনের সহায়তা করেছে। এখন আমাদের আলোচনা করতে হবে জামাত দোষী না জামাতের নেতারা দোষী। বলিহারি যাই সুশীলতার।
সোজা কথা কলো জামাত নামে কোন সংগঠন বাংলাদেশে চালানোর অধিকার নেই। পিরিয়ড।
২৫ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধর্মভিত্তিক রাজনীতির মতো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক পোস্ট ব্লগে নিষিদ্ধ হোক।
২৬১| ২৫ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: অর্থাৎ সেই দাবির আওয়াজ তোলা হোক।
২৬২| ২৬ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৮
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ফাহমিদুল,
উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১.
আপনার জানবার (বা সন্দেহ করবার) বিষয় আছিল কেন আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যানকালীন চুপ থাকছিলাম। আমি তার উত্তরে বলছি: "যেইখানে আমি পক্ষাপক্ষি নিয়া আলাপে রাজি না সেইখানে কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ব্যান হইল তাই আপত্তি করতে যাব?"
এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য দেন নাই। (আশা করতেছি।)
না দিয়া আপনি আমারে অন্য ব্যাপারে জানান দিলেন: "অর্থাৎ আপনি বলছেন পাবলিকের চাপে এই ব্যান হয়েছে। কিন্তু তা কি আইনের বাইরে এসে করা হয়েছে?"
হয় নাই। আমি এই ব্যাপারে আরিফ জেবতিককে উত্তর দিছিলাম "কিন্তু ব্যান করাটা নীতিমালা মাফিক হইছে মানতে হবে।" আপনি এই চিঠি পড়ছেন যে তা আগেই স্বীকার করছেন, "বাপরে! পড়তে পড়তে রাত চারটা বাজলো। মন্তব্য আগামীদিনে।" এখন জানতে চাইতেছেন, "কিন্তু তা কি আইনের বাইরে এসে করা হয়েছে?" ওকে আমি আপনার কাছেও স্বীকার করতেছি যে আইনের ভিতরেই হইছে।
তো কী হইল? পাবলিকের চাপে আইনের ভিতরে থাইকা প্রতিষ্ঠানগুলা অসম আইনের প্রয়োগ চালাইয়া গেলে পরে তা নিয়া জিজ্ঞেস করা যাবে না?
২.
আমি লিখছি: "কিন্তু প্রতিষ্ঠান যখন জনমতের কাছে হার মানে তখন সেই জনমতরে বিচার করতে বসছি আমি।"
আপনি বলছেন: "জনমতের কাছে হার মানার চর্চাটা গণতন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠান শিখেছে। এখন আপনাকে দেখতে হবে সেটা বেআইনী হয়েছে কিনা।"
যখন নতুন আইনের প্রয়োজন দেখা দেয় তখনও জনমত পুরানো রীতি বা আইনের বশবর্তী থাকতে পারে। সতীদাহ রদ হওয়ার নতুন আইন তৈরীর আগে জনমত পুরোনো আইন বা রীতিরে রক্ষাই করতে চাইছে। তারা বেআইনী ছিল না। কিন্তু পরে নতুন আইন তৈরির মারফতে জনমতরে বেআইনী প্রতিপন্ন করা হইছে। সর্বদা জনমতরে/আইনরে সালাম জানানো কাজের কথা না।
৩.
আপনি লিখছেন, "নিজের হোক বা অন্যের দলের হোক সঙ্কীর্ণতা সঙ্কীর্ণতাই।" আমি ভিন্নমত বহাল রাখলাম। পরে সিদ্ধ মনে করলে মাইনা নিব। আপাতত আমার ধারণা, দলের মধ্যে যা সঙ্কীর্ণতা (বা কৃপণতা, বা ক্ষুদ্রতা, বা মীননেস) তা দলের অ-সঙ্কীর্ণতার বিপরীতেই সঙ্কীর্ণতা। সেক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণতা যারা ধরায় দেন তারা তো দলীয় গাইড বটেনই।
২৭ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ১. " যেইখানে আমি পক্ষাপক্ষি নিয়া আলাপে রাজি না সেইখানে কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ব্যান হইল তাই আপত্তি করতে যাব?"
তাহলে ওয়ামীর প্রতি কী প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্বেষ/অসমতা প্রদর্শিত হয়েছে, সেবিষয়ে আপনার পোস্ট কেন? ওইটার মতো এইটাও একটা ব্যান ধরে নিলেই চলতো।
আপনি বলছেন: "পাবলিকের চাপে আইনের ভিতরে থাইকা প্রতিষ্ঠানগুলা অসম আইনের প্রয়োগ চালাইয়া গেলে পরে তা নিয়া জিজ্ঞেস করা যাবে না?"
আমার মত: যাবে। আর সেজন্যই তো মুক্তিযুদ্ধর মতাদর্শধারীদের মতো আপনার পোস্ট নিয়ে আমি হৈ হৈ করে উঠি নাই, জামাতী মতাদর্শধারী বলে আপনাকে চিহ্নিত করি নাই।
আমি আপনার পোস্ট কী কী কারণে একেবারে নাকচ করা উচিত নয় সেই ব্যাখ্যা দিতে গেলাম আপত্তিউপস্থাপনকারীদের কাছে। এখন দেখছি সেই ব্যাখ্যা যথাযথ হই নাই, কিংবা সেই দায়িত্ব নেয়া একেবারেই উচিত হয় নাই।
২. সতীদাহের পক্ষের জনমত আর ওয়ামীর মন্তব্যের বিপক্ষের জনমতের তুলনাটা গ্রহণীয় হলো না আমার কাছে।
৩. আপনি যদি মনে করেন আমি সামহোয়ারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারীদের গাইড, আমি প্রকারান্তরে অস্বীকার করার পরও, তবে তা না হওয়ার আর কোনো উপায় থাকছে না।
২৬৩| ২৬ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:২০
ইরতেজা বলেছেন: ওরে বাবা... এত এত মন্তব্য। একদিন সময় করে পড়তে হবে
২৬৪| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
আলফ্রেড খোকন বলেছেন: ফাহমিদুল
আমি যখন তির্যক ভঙ্গিতে রাইসুর পোষ্টকে ইঙ্গিত করে লিখেছিলাম, তখন আমাকেও কিন্তু অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করা হয়েছিল। অবশ্য আপনি আমাকে স্বান্ত্বনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাউকেই স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ করতে দেখিনি- তো ব্লগারদের আচরণ দেখে আমার মনে হয়েছিল, তারা বেশ ভীত। যাকগে, আপনার পোষ্টটা পড়লাম, আমি আপনার সাথে একমত। উস্কানিমুলক আর চিন্তামুলক লেখা যে এক নয় তা না কেউ বুঝে কেউ না বুঝে ঝাপিয়ে পড়ে। এদের অনেকের হাতে লাঠি দিলে যা হত! ব্লগে অনেকেই আছে লাঠিতে বিশ্বাসী। কিন্তু তাদের আবার মেরুদন্ডটা লাঠি বহনে সক্ষম নয়। মগজটাতে তাই লাঠিটা বয়ে বেড়াছ্ছে।
আপনার খবর কি?
২৮ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৩:৫২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মজা পেলাম মন্তব্য পড়ে।
আমার খবর তো ভালোই।
২৬৫| ২৮ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:১০
মুজিব মেহদী বলেছেন: এই পোস্টের মূলসুরের প্রতি আমি শুরু থেকেই একমত ছিলাম। এখনো একমত। কিন্তু বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাই নি, এখনো চাই না।
ফাহমিদুল হক এ পোস্টে যে দায়িত্ব পালন করলেন, তা অনুসরণীয়। এ পোস্টের মূলসুর, যতদূর বুঝতে পারি, সংকীর্ণভাবে কোনো পক্ষ অবলম্বন করা নয়। এখানেই তিনি মহান।
মন্তব্যসহ পুরো পোস্টটি তিনবারের চেষ্টায় পড়ে শেষ করতে হয়েছে। দারুণ ইন্টারেকশন হলো পোস্টটিতে। এটা একটা রেকর্ড বটে।
২৯ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৪৪
ফাহমিদুল হক বলেছেন: সহমত প্রকাশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তিনদফায় পড়ার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।
২৬৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ বিকাল ৩:০৯
কৌশিক বলেছেন: আপনার জন্য আগুনের পরশমনি অপেক্ষায় আছে। কবে শুরু করলে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে?
২৬৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৯:২০
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ৮ তারিখের আগে না। ৯ তারিখ ঠিকাছে।
২৬৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:২৪
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: রাইসু (২৬/৩/৮) : আপনার জানবার (বা সন্দেহ করবার) বিষয় আছিল কেন আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যানকালীন চুপ থাকছিলাম। আমি তার উত্তরে বলছি: "যেইখানে আমি পক্ষাপক্ষি নিয়া আলাপে রাজি না সেইখানে কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন ব্যান হইল তাই আপত্তি করতে যাব?"
ফাহমিদুল (২৬/৩/৮) : তাহলে ওয়ামীর প্রতি কী প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্বেষ/অসমতা প্রদর্শিত হয়েছে, সেবিষয়ে আপনার পোস্ট কেন? ওইটার মতো এইটাও একটা ব্যান ধরে নিলেই চলতো।
আজিকার আলোচনা>>
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যান বিষয়ে কেন কথা বললাম না এই জিজ্ঞাসা যখন করেন তখন আমার ইস্যু অদৃশ্য কইরা কথাটা বলেন। আমি তো বলতেইছি যে যারা মুত্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি না তাদেরকেও কথা বলতে দিতে হবে। তাইলে আর আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়া কী বললাম না বললাম তা কেমনে আসে? সোজা বইলা দিলেই তো হয় যে না আমরা এমন পবিত্র জায়গায় অগোরে কথা কইতে দিব না। নাকি বলবেন, কথা কইতে দিব তবে আগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনের ব্যান দূর করার পক্ষে ভোট দিয়া নিতে হবে! যদি তেমন আবদার না করবেন তাইলে আমার ক্ষেত্রে সন্দেহ করার মত কূটচক্র কেন বিস্তার করেন? আপনের এই সন্দেহ আর আমারে যারা রাজাকার বইলা গালি দিতেছে উভয়ের একই স্থল। বরং আপনে আসলে ওয়ামীর ব্যান নিয়া কী কইলেন বলবেন কি? আপনেরে নিয়া আমার সন্দেহটা তাইলে দূর হয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৪২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দাবি জোরালো হচ্ছে, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কথা উঠছে, এবং আমি তা সমর্থন করছি ব্যক্তিগতভাবে, তখন ওয়ামীর ব্যান (যখন সে মুক্তিযোদ্ধাদের/সমর্থনকারীদের 'কুকুর' বলছেন এবং যখন জানি যে তিনি একজন যুদ্ধাপরাধীর পুত্র) আমি সমর্থন করি। আমি সম্ভবত কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলাম। এইক্ষেত্রে এখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আমি একমত পোষণ করি।
তবে আপনার প্রস্তাবিত প্রাতিষ্ঠানিক ব্যানকেও আমি সমর্থন করি।
আপনি বলছেন "আপনের এই সন্দেহ আর আমারে যারা রাজাকার বইলা গালি দিতেছে উভয়ের একই স্থল।"
আমার ব্যাখ্যা: হতে পারে একই স্থল হতে, কিন্তু আমি আপনাকে রাজাকার বলে গালি দেবার বিরুদ্ধে, এটা আমার কথাবার্তায় স্পষ্ট।
২৬৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২৭
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ঠিক আগের মন্তব্যে ফাহমিদুল (২৬/৩/৮) -এর বদলে ফাহমিদুল (২৭/৩/৮) পড়তে অনুরোধ করি।
২৭০| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ফাহমিদুল (২৭/৩/৮) : "আমি আপনার পোস্ট কী কী কারণে একেবারে নাকচ করা উচিত নয় সেই ব্যাখ্যা দিতে গেলাম আপত্তিউপস্থাপনকারীদের কাছে। এখন দেখছি সেই ব্যাখ্যা যথাযথ হই নাই, কিংবা সেই দায়িত্ব নেয়া একেবারেই উচিত হয় নাই।"
আজিকার আলোচনা>>
দায়িত্ব নিয়েছেন দেখা যাচ্ছে! তা একেবারে নাকচের বদলের কতখানি নাকচ করা যায় মনে করেন? সুবিধার জন্য নিম্নস্থলে আমার সে পোস্টের সবখানিই পেস্টিত করলাম:
"ফোরামে সদস্যদের অধিকার ক্ষুণ্ন হইলে সবারই তা নিয়া কথা কওয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধারে গালি দিলে কেউরে যদি ব্যান করা হয় এবং অ-মুক্তিযোদ্ধারে গালি দিলে ব্যান করা না হয় সেইটা স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব মূলক অবস্থান।
বুদ্ধি বিবেচনা আছে বইলা যাগো ভাবছিলাম হেরাও দেখি কর্তৃপক্ষপাতরে সাধুবাদ দিতেছে। হিটলারের দেশে জাতীয়তাবাদ কায়েম কেমনে হইছিল বোঝা যাইতেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়া এত ভীত থাকে তাগো দেশপ্রেম অনেক আছে বোঝা যাইতেছে, তবে সকল মানুষের এবং মতের সমান অধিকার নিয়া বোধ নাই।
পিটার গ্রিনওয়ের সিনেমায় দেখছিলাম, এক মাইয়া তার শিশু সন্তানরে খুন করায় তারে সকলে ধর্ষণ করবে এই রায় হয়। শহরের সব লোক ওই মাইয়ারে ধর্ষণের জন্য লাইনে খাড়ায়। জনমত এমনই।
আমার কথা খুবই স্পষ্ট। হয় সব মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের ব্লগ থিকা ব্যান করবেন, নাইলে তাদেরকেও সমান অধিকার দিতে হবে। গালাগালি ও কথা বলার ক্ষেত্রে।"
নাকচ অংশগুলা দেখাইয়া দিলে কৃতজ্ঞ থাকিব।
১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩
ফাহমিদুল হক বলেছেন: নাকচ অংশগুলো দেখানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না। আমি একেবারে নাকচ না করতে অনুরোধ করেছিলাম তাদের, যারা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে অবসেসড। আপনার পোস্ট আমি ব্যক্তিগতভাবে 'খানিক মেনে, খানিক নাকচ করছি' এই কথা একরারও বলিনি। আপনি উগ্র জাতীয়তাবাদের যেদিকটায় ইঙ্গিত করেছিলেন, সেই দিকটাকেই আমি সামনে এনে, আপনার ভাষায় 'গাইড'-এর কাজ করছিলাম।
এটা আমার জন্য বরাবরের একটা কার্যকৌশল যে আপনি যদি কাউকে একটি অন্তঃবিন্দুতে সঙ্গে নিয়ে যেতে চান তাহলে তার কিছু কথা আপনাকে শুনতে হবে, মানার মতো কিছু থাকলে মানতে হবে (এমনকি নিজের উদ্গ্র মতাদর্শ ক্ষণিকের জন্য বলি দিয়ে হলেও)। অনেক স্পষ্ট ধারণার/বিদ্রোহী চেতনার/ভিন্নমতাবলম্বীদের মূল্যবান মতবাদ বিফলে যেতে দেখেছি তাদের নন-ফ্লেক্সিবিলিটির কারণে।
জনমতকে গুরুত্ব দিতে হয় এজন্যই।
২৭১| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫৫
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ফাহমিদুল (২৭/৩/৮): "সতীদাহের পক্ষের জনমত আর ওয়ামীর মন্তব্যের বিপক্ষের জনমতের তুলনাটা গ্রহণীয় হলো না আমার কাছে।"
আজিকার আলোচনা>>
যেহেতু আপনি বলছিলেন, "জনমতের কাছে হার মানার চর্চাটা গণতন্ত্র থেকে প্রতিষ্ঠান শিখেছে। এখন আপনাকে দেখতে হবে সেটা বেআইনী হয়েছে কিনা।"
আমি আইনী বা বেআইনী জনমত যে গুরুত্ব বহন করে না তা বোঝাইতে গিয়া বলছিলাম, "যখন নতুন আইনের প্রয়োজন দেখা দেয় তখনও জনমত পুরানো রীতি বা আইনের বশবর্তী থাকতে পারে। সতীদাহ রদ হওয়ার নতুন আইন তৈরীর আগে জনমত পুরোনো আইন বা রীতিরে রক্ষাই করতে চাইছে। তারা বেআইনী ছিল না। কিন্তু পরে নতুন আইন তৈরির মারফতে জনমতরে বেআইনী প্রতিপন্ন করা হইছে। সর্বদা জনমতরে/আইনরে সালাম জানানো কাজের কথা না।"
এইখানে "সতীদাহের পক্ষের জনমত আর ওয়ামীর মন্তব্যের বিপক্ষের জনমতের তুলনা" কই করলাম!
১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩৯
ফাহমিদুল হক বলেছেন: তুলনা হয় নাই? মুক্তিযোদ্ধাদের জনমতের চাপের সূত্র ধরেই তো সতীহাদের জনমতের প্রসঙ্গ আনলেন আপনি।
২৭২| ১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫৯
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ফাহমিদুল (২৭/৩/৮): "আপনি যদি মনে করেন আমি সামহোয়ারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারীদের গাইড, আমি প্রকারান্তরে অস্বীকার করার পরও, তবে তা না হওয়ার আর কোনো উপায় থাকছে না।"
আজিকার আলোচনা>>
আমি যুক্তি দিতেছি, আপনি প্রতি-যুক্তি দিতেছেন, আবার আমি যুক্তি দিতেছি...। যুক্তি না দিয়া কেবলি "মনে" করছি বইলা তো মনে পড়তেছে না। বরং এই আপনি যুক্তি না দিয়া অভিমানাইলেন।
১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: যুক্তি-প্রতি যুক্তির পিঠে যখন নিস্ফলা নিয়তি ভর করে তখন অভিমান আসিয়া তাহাকে তাড়াইতে চাহে।
২৭৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:২৭
ব্রাত্য রাইসু বলেছেন: ফাহমিদুল, কিছু পয়েন্ট আপনি এড়াইয়া গেছেন, কিছু নিয়া আমার বলার আছে:
১.
ব্রাত্য রাইসু (০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১০:২৪): "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যান বিষয়ে কেন কথা বললাম না এই জিজ্ঞাসা যখন করেন তখন আমার ইস্যু অদৃশ্য কইরা কথাটা বলেন। আমি তো বলতেইছি যে যারা মুত্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি না তাদেরকেও কথা বলতে দিতে হবে। তাইলে আর আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়া কী বললাম না বললাম তা কেমনে আসে?"
এইটার উত্তর আপনে দেন নাই।
২.
ফাহমিদুল হক (২৭/৩/৮) : "আমি আপনার পোস্ট কী কী কারণে একেবারে নাকচ করা উচিত নয় সেই ব্যাখ্যা দিতে গেলাম আপত্তি উপস্থাপনকারীদের কাছে।"
ব্রাত্য রাইসু (১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৩৬): "তা একেবারে নাকচের বদলের কতখানি নাকচ করা যায় মনে করেন?"
ফাহমিদুল হক (১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩) : "নাকচ অংশগুলো দেখানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না।"
অর্থাৎ আপনি এখনো মনে করেন নাকচ করার কিছু আছে। কিন্তু কী নাকচ করার আছে তা দেখানো অপ্রয়োজনীয়। চমৎকার!
তাইলে আপত্তি উপস্থাপনকারীরা কেমনে বুঝবে কোনটুকু তারা নাকচ করবে কোনটুকু নয়? মানে একেবারে যদি নাকচ করতে তারা না চায় আপনার পরামর্শ শুনে তাদের কচ অংশটুকু নিয়া তো ধারণা বা ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার।
৩.
ফাহমিদুল হক: (১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩৯) "তুলনা হয় নাই? মুক্তিযোদ্ধাদের জনমতের চাপের সূত্র ধরেই তো সতীহাদের জনমতের প্রসঙ্গ আনলেন আপনি।"
আজিকার আলোচনা>>
বুঝলাম, "মুক্তিযোদ্ধাদের জনমতের চাপের সূত্র ধরেই" সতীদাহ রদের প্রসঙ্গ আনছি আমি। সবই ঐ সূত্রেই আসছে। কিন্তু সে কারণেই "সতীদাহের পক্ষের জনমত আর ওয়ামীর মন্তব্যের বিপক্ষের জনমতের তুলনা" হইয়া গেল তা? সূত্র ধরে কথা বলা মানে তুলনা করা...আমি এমন কথা আগে শুনি নাই। তাইলে বিরক্ত না হইলে তুলনাটা কী করছিলাম একটু উর্ধ্বকমা সহযোগে দেখাইয়া দিবেন কি?
৪.
ব্রাত্য রাইসু (২৬ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ২:১৮): "সেক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণতা যারা ধরায় দেন তারা তো দলীয় গাইড বটেনই।"
ফাহমিদুল হক (২৭ শে মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮) "আপনি যদি মনে করেন আমি সামহোয়ারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারীদের গাইড, আমি প্রকারান্তরে অস্বীকার করার পরও, তবে তা না হওয়ার আর কোনো উপায় থাকছে না।"
ব্রাত্য রাইসু (১০ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ১২:৫৯): "আমি যুক্তি দিতেছি, আপনি প্রতি-যুক্তি দিতেছেন, আবার আমি যুক্তি দিতেছি...। যুক্তি না দিয়া কেবলি "মনে" করছি বইলা তো মনে পড়তেছে না। বরং এই আপনি যুক্তি না দিয়া অভিমানাইলেন।"
ফাহমিদুল হক (১১ ই এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭): "যুক্তি-প্রতি যুক্তির পিঠে যখন নিস্ফলা নিয়তি ভর করে তখন অভিমান আসিয়া তাহাকে তাড়াইতে চাহে।"
আজিকার আলোচনা>
আপনার উপস্থাপনায় "সেক্ষেত্রে সঙ্কীর্ণতা যারা ধরায় দেন তারা তো দলীয় গাইড বটেনই" বক্তব্যটি একটি "নিস্ফলা নিয়তি"। আমার মতে এইটায় ভিন্নমত প্রকাশের জায়গা আপনার ছিল। তথাপি আমি আপনার কথা মাইনা নিতেই চাই, যে, দলের মধ্যে যারা সঙ্কীর্ণতা ধরায় দেন তারা আসলে দলের গাইড নন। তারা হইলেন দলের "নিস্ফলা নিয়তি"। কারণ দল তাদের কথা শোনে না। কারণ দলের কানে আল্লা মোহর মারিয়া দিয়াছেন। উহাকে গাইড করা যায় না।
২৭৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৮ সকাল ৮:৩১
ফাহমিদুল হক বলেছেন: দুঃখিত, অধিক বিলম্বের জন্য।
আসলে মাঝে আমি আলাপ চালিয়ে যাবার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছিলাম। কিন্তু আলোচনা অসমাপ্ত রাখাও পীড়াদায়ক।
১. "মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ব্যান বিষয়ে কেন কথা বললাম না এই জিজ্ঞাসা যখন করেন তখন আমার ইস্যু অদৃশ্য কইরা কথাটা বলেন। আমি তো বলতেইছি যে যারা মুত্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি না তাদেরকেও কথা বলতে দিতে হবে। তাইলে আর আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়া কী বললাম না বললাম তা কেমনে আসে?"
এইটার উত্তর:
মুক্তিযোদ্ধাদের বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের 'কুকুর'-এর সঙ্গে একজন রাজাকারপুত্র যখন তুলনা করে, তখন আপনি সেটাকে কীভাবে দেখেন? এইটার উত্তর এই আলোচনার প্রিটেক্সট। এরপরে দেখতে হবে এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে চেতনাধারীরা রাজাকারপুত্রকে কি বাপের মতোই জুতাপেটা করতে ছুটে যাচ্ছে কিনা (তার স্থলে এখানে গালিসমেত প্রতিবাদ হয়েছে, ব্যানের দাবি উঠেছে)। যদি যায়, সেটাকে আপনি কীভাবে দেখেন? এই উত্তরটাও একটা প্রিটেক্সট। এরপরে সামহোয়ার তাকে ব্যান করেছে। এইখান থেকে আপনি শুরু করেছেন।
ধরে নিচ্ছি, প্রিটেক্সটের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আপনাকে একেবারেই স্পর্শ করেনা বলেই কেবল আপনার দিক থেকে 'সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত'-এর মতো সর্বনিরপেক্ষ অধিকারসচেতনতা ও সেইসংশ্লিষ্ট দাবি/প্রশ্ন জাগ্রত হতে পারে।
ব্লগের একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে (আমি ধরে নিচ্ছি আপনি আমাকে তা মনে করছেন, কারণ আলাপ চলতেছে) আমি মনে করি, অধিকারের ইস্যু দেশ-কাল-পাত্রের বাইরে একেবারে নিরপেক্ষভাবে উত্থাপিত হইতে পারেনা।
সামহোয়ারে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের লোকজনরেও কথা বলতে দিতে হবে। তবে বিদ্যমান স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি ধারণার আলোকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিও সবকিছু বলতে পারেনা, না দেশে না ব্লগে। ঐতিহাসিক রক্তপাতের মধ্যে জন্ম নেয়া একটা রাষ্ট্রকাঠামোর অস্তিত্ব তাতে অর্থহীন হয়ে ওঠে। বা কাউকে সেরকম কিছু বলার পরে প্রতিবাদ, ব্যানের দাবি, ব্যানকরণকে এড়ানো যায়না।
এড়ানো যায়না এই প্রশ্নটিকেও যে একজন বিশিষ্ট ব্লগার কেন বিবিধ ব্যানের ঘটনার বিপরীতে কেবল একটি ঘটনাকেই বিবেচনায় এনে অধিকার বিষয়ে পোস্ট দেন।
২. নাকচকারীদের কী কী বিষয় নাকচ করা উচিত নয়, তা পোস্টে বিস্তারিত আলাপ করেছি। (যেমন আপনার উগ্র জাতীয়তাবিরোধী অবস্থান আমি সমর্থন করেছি। যেমন জামাতীদের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যানের দাবিটিকে সমর্থন করেছি।) আমি কখনোই ইঙ্গিত করি নাই যে আপনার ঐ পোস্টের কিছু নাকচযোগ্য অনেক কিছু আছে। আমার 'সন্দেহ' আপনার উক্ত পোস্টের যে-টেক্সট, তার বাইরের কিছু থেকে।
৩. নারীকে সতীর সঙ্গে আগুনে নিক্ষেপ করার ঘটনা এক জিনিস, আর জাতীয়তাবাদী আদর্শে থেকে উগ্রতা আরেক জিনিস। এই দুইটা এক সূত্রে (তুলনা নাইবা বললাম) আসে কীভাবে? একটি হল হত্যা, আরেকটি নীতিগত জঙ্গিপনা। বরং কাছাকাছি কিছু একটা (কোনো রাজনৈতিক ঘটনা বা কোনো দেশের জাতীয়তাবাদী চেতনার অভিজ্ঞতা) বললে ভালো হতো। আমাকও তুলনা বা সূত্রের বিভ্রান্তিতে পড়তে হতো না।
৪. নিস্ফলা নিয়তি বলতে আমি আপনার এবং আমার আলোচনাকে বোঝাতে চেয়েছি। তবে সার্বিকভাবে এই পোস্ট এবং বিশাল আলোচনা একেবারে নিস্ফলা হয়েছে তা মনে করিনা। ('গাইডেন্স' সম্ভবত অসফল হয়নি)
২৭৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৬
এরশাদ বাদশা বলেছেন: শুধু পোস্ট না, অনেকগুলো মন্তব্যও পড়লাম। দ্যাখেন, ব্লগে এই ঝড় যখন চলছে, তখন আমি ছিলাম না।
ফাহমিদ ভাই, পোস্টটা পড়ে বুঝতে পারলাম, আপনার অবস্থান খুব, খুবই স্পষ্ট। আপনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তুলে ধরেছেন আপনি কি চান। এবং বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার চিন্তায়, যুক্তিতে অবশ্যই আপনি সঠিক।
তবে খটকা থেকেই যাচ্ছে যে, এই পোস্টটা জামাতি ব্লগারদের অবস্থানকে মজবুত করবে না তো?
আমি গালাগালির পক্ষে নই। আপনি বলেছেন, হুট করে কাউকে জামাতি আখ্যা দেয়াটা ঠিক নয়। একমত। আপনি হয়তো জানেন না, কিছুদিন আগে বইপাগল নিকধারি ব্লগারকে অপমানের চূড়ান্ত করে ব্লগ থেকে তাড়ানো হয়েছিলো। অথচ তার ব্লগে কোরআনের আয়াতের বাংলা অনুবাদ ছাড়া আর কিছুই পাবেন না আপনি। তাকে জামাতি সন্দেহে একযোগে আক্রমন করা হলো। বেচারা ব্লগ ছেড়ে চলে গেলেন।
এ জন্য বলছি-হুট করে কাউকে জামাতি আখ্যা দেওয়াটা আমিও সমর্থন করি না। কিন্তু যাদের অবস্থান স্পষ্ট(জামাতি ব্লগার) তাদেরকে ভাগানোর জন্য যা করা দরকার তা করতে হবে।
যুক্তিতর্ক দিয়ে জামাতিদের যারা মোকাবেলার করেন, তাদের সংখ্যা খুবই অল্প। এটা ঠিক।
আমার কথাই বলি; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব একটা ব্যাপক নয়। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে যে কোন কিছুই আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ি। ব্লগার লোকালটক যে সংকলনটি বের করেছেন(ফিরে দেখা ৭১) আমি মুগ্ধ হয়ে এখনো সেটি পড়ে যাচ্ছি। এতো চমৎকার এই সংকলনটির জন্য ব্যক্তিগত ভাবে মেইলে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি।
আসলে সবার আগে আমাদের জানতে হবে। যুদ্ধে নামার আগে প্রতিপক্ষের আগ-পাশ-তলা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা বাঞ্চনীয়।
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে ৩৮ বছর আগে। চলে গেছে পাকিরা। তবে তাদের দোসর এ দেশীয় পাকিরা রয়ে গেছে। তাদের মোকাবেলার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকের জানা থাকা দরকার।
ফাহমিদ ভাই, হয়তো আমার বক্তব্যটা খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেলো। তবুও-আমার নিজস্ব মতামতটা আপনাকে জানালাম। ভালো থাকবেন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৫
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
যা বলেছেন সব ঠিকই আছে। তবে "তবে খটকা থেকেই যাচ্ছে যে, এই পোস্টটা জামাতি ব্লগারদের অবস্থানকে মজবুত করবে না তো?"
-- এই বিষয়টাই দৃষ্টিআকর্ষণীয়।
দেখেন, রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিবৃত্তির চর্চাকারীদের ভুলের কারণেই জামাত চক্র দিনদিন বেড়ে উঠেছে। ওদের হাত শক্তিশালী হবে এই ভয়ে যদি আমরা আত্মসমালোচনা থেকে বিরত থাকি তবে ওদের হাত দুর্বল হবার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। আমি এভাবেই ভাবি। ওদের শক্তিশালি হবার, অনুপ্রাণিত হবার নানা উৎস আছে, এটা ভুলে গেলেও চলে না।
২৭৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪০
এরশাদ বাদশা বলেছেন: আপনার ধারাবাহিকটি পড়ার ইচ্ছে রাখি।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৭
ফাহমিদুল হক বলেছেন: ইচ্ছা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
২৭৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০০
রিফাত হাসান বলেছেন: @ এরশাদ বাদশা- ফাহমিদুল হকের এই বহুল পঠিত পোস্ট এবং বিষয়টি নিয়ে আমার একটি পর্যবেক্ষণ আছে, দেখতে পারেন।- ফাহমিদুল হকের বহুলপঠিত একটি পোস্ট এবং ব্লগের লিখিয়েরা: একটি পর্যবেক্ষণ Click This Link
আর জামাত রাজনীতি নিয়ে একটি পর্যবেক্ষণ- একটি প্রাথমিক আলোচনার খসড়া: জামাত, জামাত বিরোধী রাজনীতির বিষয় আশয় ও যুদ্ধাপরাধ রাজনীতি Click This Link
২৭৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:৪১
জলপাই দেশি বলেছেন: আপনার পোস্ট ব্রাত্য রাইসুর, মরীয়া বিতর্ক মানস চৌধুরীর এবং আমাদের ব্লগারকূল লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম। খুব ভালো লাগলো। ভালো লাগলো এ জন্য যে আপনি আপনার বক্তব্য যুক্তি দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। আমি ব্লগে নতুন এসেছি। এ রকম পোষ্ট খুঁজে খুঁজে পড়ার চেষ্টা করিছ। ভালো থাকুন।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২২
ফাহমিদুল হক বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। নতুন ব্লগার হিসেবে পোস্টটি ব্লগ সম্পর্কে আপনাকে একটা ধারণা দেবে বলে মনে করছি।
২৭৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১৯
র হাসান বলেছেন: ভালো পোষ্ট! প্লাস+++++
Free Bangladesh travel guide
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
আমিই স্রোত বলেছেন: উপরের চারজনই যদি রাজাকার হয়।
তাইলে আমরা যে কী আল্লাহ মালুম...!!
আমাদের ড়াজাকাড়ের পক্ষ থেকে দাবী
========
আমাগো লিগা একটা বধ্যভুমি বানান।
ব্রাশফায়ার কইরা মারেন আমাগো।]
--আর খুন করতে না পারলে আর কী করবেন!
এক কাম করেন।
আমগো পড়াশুনা করতে দিয়েন না। আমগো আবার লেখাপড়া!!?? হাহঃ
চাকরি দিয়েন না। কোটা বানাইয়া রাখেন।
উঠতে বসতে লাথি-ঝাটা-বৈঠার বাড়ি-কিরিচের কোপ-গুলি কইরেন।
এইটাই আমগো প্রাপ্য।
আমগো জন্মেই ভুল আছে। জন্মগত রাজাকার না আমরা!!
আমরা রাজাকাররাতো বাংলাদেশেরই নাগরিক না!