![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে খুঁজতে তুমি কোথায় যেতে চাও? আমি বৃষ্টির মাঠে নগ্ন একা ভিজি....
গত এক মাসের ঘটনা প্রবাহে আমার উপলব্ধি, বাংলাদেশে কয়েক ধরনের মানুষ বাস করে। একটা মাত্র মতবাদ থেকে এদেরকে আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়।
ধরা যাক, মতবাদটা হচ্ছে, "ষাঁড়ের দুধ দোয়ানো যায়।"
ধরন ১- এই ধরনের মানুষ মতবাদটা শুনেই ষাঁড়ের দুধ দোয়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গুঁতো খাওয়ার পর তারা ভুল বুঝতে পারে। ব্যর্থ চেষ্টা করা বাদ দেয়। উদাহরনঃ আমজনতা।
ধরন ২- এই ধরনের মানুষ ভাবে, "ষাঁড়ের দুধ দোয়ানো গেলেও যেতে পারে, কে জানে! There are more things in heaven and earth..." এরা কিন্তু কখনও জানার চেষ্টা করবে না আদৌ ষাঁড়ের দুধ দোয়ানো যায় কিনা। এরা কোন আন্দোলন করে না। কারন এরা জন্মগত ভাবে confused (খাঁটি বঙ্গভাষায় এদেরকে বেকুব বলা যেতে পারে।) এদের থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়।
ধরন ৩- এই ধরনের মানুষের Common Sense আছে। এরা এমনিতেই বুঝতে পারে ষাঁড়ের দুধ দোয়ানো কখনই সম্ভব না, বরং গুঁতো খেয়ে আহত হওার সম্ভাবনা আছে। সমস্যা হচ্ছে, এদের সংখ্যা খুবই কম।
ধরন ৪- এই ধরনের মানুষ মনে প্রাণে বিশ্বাস করে যে ষাঁড়ের দুধ দোয়ানো সম্ভব। এদের পীর বাবা মেশিনম্যান পিরোজপুরী এদেরকে বলেছেন ষাঁড়ের দুধ দোয়ানো সম্ভব তাই এটা কিছুতেই ভুল হতে পারে না। এরা ষাঁড়ের দুধ দোয়ানোর চেষ্টা করবে, গুঁতো খেলে আবার চেষ্টা করবে, আবার গুঁতো খেলে ষাঁড়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এবং এক পর্যায়ে গোয়াল ঘর জ্বালিয়ে দিয়ে আত্মতৃপ্তি নিয়ে চিন্তা করবে, যাক বেশ একটা জিহাদ করা হল।
উদাহরনঃ বলে দিতে হবে হবে কি? যদি বলে দিতে না হয় তাহলে আপনি ধরন- ৩ এর অন্তর্গত। আর এরপরেও না বুঝলে আপনি ধরন- ২ বা সহজ কথায় বেকুব।
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
ফয়সাল হিমু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজন ভাই। ধরন ৪ নিয়ে আমিও শংকিত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৭
রাজন আল মাসুদ বলেছেন: ব্লগিং এর জগতে স্বাগতম হিমু। ধরন ৪ এর লোকজন আচমকা খুবই বাইরা গেছে
। লেখা কন্টিনিউ রাখা চাই কিন্তু।