![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে খুঁজতে তুমি কোথায় যেতে চাও? আমি বৃষ্টির মাঠে নগ্ন একা ভিজি....
আজ আমি নিজের ফেসবুক পেজ এ কভার ফটো আর প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করে আশরাফুল এর ছবি দিলাম। অন্য কারো ছবি আমি সচরাচর প্রোফাইলে দেই না। অনেকে মনে করতে পারেন এতটা ন্যাকামি না করলেও চলতো, একটা চোরের জন্য এত দরদ কিসের? তার উপর যদি খেলতে পারতো তাও একটা কথা ছিল।
কথা সত্যিই। কিন্তু ফ্যানের কথা বাদ দিলাম, বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন দর্শক হিসেবে আমি কিছুতেই এই চোরটাকে মন থেকে বাদ দিতে পারছি না। আজ আমার চোখে ভাসছে ২০০৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতের বিপক্ষে আশরাফুলের ১৯৪ বলে করা হার না মানা ১৫৮ রানের ইনিংস, যে ইনিংসকে ভারতের তখনকার ক্যাপ্টেন সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন তার দেখা সেরা ইনিংস গুলোর একটা। আমি ভুলতে পারছি না ২০০৫ সালে নটিংহ্যামে দাম্ভিক ইংল্যান্ডের পুরো শক্তির পেস অ্যাটাককে চূর্ণবিচূর্ণ করে মাত্র ৫২ বলে করা ৯৪ রান, কিংবা একই বছর কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ১০১ বলে করা ১০০ রানের অহংকারী ইনিংসটি। উইজডেনের ভাষায় যা কিনা ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আপসেট।
২০০৩ সালের কথা। বিশ্বকাপ চলাকালে বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসানকে প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদী একটি টক শোতে প্রশ্ন করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে রকিবুল হাসানের আশাবাদ কি। উত্তরে রকিবুল হাসান একটি চমৎকার কথা বলছিলেন। তিনি বলছিলেন-“বাংলাদেশ এখন চাবুক খাচ্ছে, কিছুদিন পর চাবুক ধরবে, ১০ বছর পর চাবুক মারবে।” বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ যেকোনো দলকে চাবুক মারতে সক্ষম। এই সক্ষমতার বিশ্বাস কি আশরাফুলের ব্যাট থেকে আসেনি? ম্যাথিউ হেইডেনের “ওয়াকিং হুক” এবং “ওয়াকিং পুল” শট দুটো কিন্তু আশরাফুল ছাড়া আর কাউকে খেলতে দেখা যায়নি।
আমাদের মধ্যে অনেকেই সলোমন আইল্যান্ডের নাম শুনেছি। সলোমন আইল্যান্ডের আদিবাসীরা গাছ কাটার দরকার হলে সবাই মিলে গাছের চারপাশে জড় হয়ে গাছটাকে গালিগালাজ করত। ধীরে ধীরে দেখা যেত গাছটি মারা যাচ্ছে। আশরাফুল নামের আশার গাছটাকে গালিগালাজ করে প্রায় মেরে ফেলার দায়ভার কি আমরা এড়াতে পারি? শতভাগ বিশুদ্ধ ক্রিকেটার বলে কিছু নেই। সেখানে আশরাফুলের স্ট্যান্স, শটের স্টাইল পরিবর্তন করার চেষ্টা করে আমরা কি ওর সক্ষমতার বারটা বাজাইনি?
এবার আশা যাক ফিক্সিং প্রসঙ্গে। আমাকে একবার প্রমাণ দিয়ে বলা হোক কোন দেশের ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফিক্সিং করেনা। এর সাথে এও জানানো হোক দক্ষিন আফ্রিকার হ্যান্সি ক্রনিয়ে আর আশরাফুল ছাড়া কে ফিক্সিং করে তা স্বীকার করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
যে উৎপল শুভ্র বাংলাদেশের খেলা কভার করে আজকের উৎপল শুভ্র, তার কি অতি উৎসাহিত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বাঁশ দেয়ার সময় একবারও বুক কাঁপেনি? যদি কোনদিন এই লোকটির সাথে দেখা হয় তাহলে আমি অবশ্যই এই প্রশ্নটি করব।
তো আশরাফুলের সমালোচকরা, যারা আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্লগ আর ফেসবুক আশরাফুলের নিন্দা করে কাঁপিয়েছেন, তাদের বলছি, আমার আজকের ন্যাকামিটাকে এড়িয়ে যাবেন। আমি বাঙ্গালী, আমার আবেগ এবং অতীত ভোলার ক্ষমতা কম। আমার অক্ষমতাকে ক্ষমা করবেন।
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১৫
ফয়সাল হিমু বলেছেন: ওদের শাস্তি হবে কিনা এই বিষয়ে সন্দেহ আছে। সহমত পোষণের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৫
অলসমস্তিষ্ক৭৭৭ বলেছেন: সহমত।আশ্রাফুল শাস্তি ভোগ করে ফিরে আসুক।তবে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস আর চিকিকে ছাড়া যাবে না।ওদেরকেও শাস্তি দিতে হবে/