নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- রঞ্জু ভাই ও রঞ্জু ভাই!
মেয়েলী কণ্ঠে ডাক শুনে থমকে দাঁড়ালো রঞ্জু। দীর্ঘদিন পর নিজের পরিচিত শহরে ফিরেছে সে। বেশ ভূষা পাল্টে গিয়েছে, বয়সের ছাপ পড়েছে। সহজে কেউ চিনে ফেলবে এমন হবার কথা নয়। শহরের অলিতে গলিতে, মোড়ে মোড়ে ফেলে যাওয়া ছাপ, স্মৃতিগুলো খুঁজতে বেড়িয়েছে সে সন্তর্পণে। বাসা থেকে বেরিয়ে নিউমার্কেট পর্যন্ত হেঁটে এসেছে। মহল্লার দোকান থেকে সিগারেট কিনেছে অথচ দোকানি তাকে চিনতে পারেনি।
মাথা ঘুরিয়ে পেছনে তাকালো কিন্তু ভীড়ের মধ্যে পরিচিত কাউকে চোখে পড়লো না। সম্ভবত ভুল শুনছে। হয়তো দীর্ঘদিন আগে এভাবেই কেউ ডেকেছিল, শব্দটা সময় পরিভ্রমণ করে আজ এসে পৌঁছালো। ধীর গতিতে কয়েক কদম এগিয়ে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা একটা স্থান দেখে দাঁড়ালো রঞ্জু। চারপাশে চোখ বুলালো সময় নিয়ে। ব্যস্ত মানুষেরা কেটাকাটা করছে। কেউ কেউ হয়তো নিতান্তই কালক্ষেপণ করার জন্য এসেছে। কপোত কপোতীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। একটি শিশু মায়ের হাত ধরে হাঁটছে। রঞ্জু লক্ষ্য করলো, শিশুটি ছলছল চোখ নিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে মায়ের পথ অনুসরণ করছে। এরকম একটা বয়স তো ওর নিজেরও ছিল। মায়ের হাত ধরে নিউমার্কেটে কত ঘুরেছে! এক সন্ধ্যার কথা মনে পড়লো, সেদিন মা’র সাথে এই নিউমার্কেটেই এসেছিল। মা কাপড় কিনবেন আর ওর জন্য মিমি চকলেট। কিন্তু মার্কেটে এসে জুতার দোকান দেখে স্যান্ডেল কেনার জন্য বায়না ধরে সে। বাধ্য হয়ে মা বলেছিলেন, আজ স্যান্ডেল পছন্দ করে যাবো, কিনবো না। আরেকদিন কিনে দিব। ঠিক আছে?
ছোট্ট রঞ্জু মা’র প্রস্তাবে রাজী হয়ে জুতার দোকানে ঢুকে। মা-ছেলেতে কয়েক জোড়া সান্ডেল পছন্দও করে, কিন্তু তারপর ছেলের বায়নায় মা’কে তাঁর পূর্ব-পরিকল্পিত কাপড় কেনা থেকে সিদ্ধান্ত ফেরাতে হয়। ছেলেকে কিনে দিতে হয় পছন্দ করা নতুন চামড়ার স্যান্ডেল।
পুরোনো স্মৃতি হাতড়াতে গিয়ে রঞ্জুর মন খারাপ হয়ে যায়। অর্থ কষ্টে বেড়ে ওঠা নি¤œ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর একটা পরিবারের কাছে নিউমার্কেটটা নিতান্তই বিলাসী ছিল তখন। তবুও বারবার এখানে এসেছে। সেবা প্রকাশনীর পুরোনা বই ভাড়া নেয়া কিংবা দিনের আলো কমতে থাকা সন্ধ্যার মুহূর্তগুলোতে বন্ধুদের সাথে লুকিয়ে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়ার দিনগুলো কিংবা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুব অল্প সময়ের জন্য প্রেমিকাকে দেখা! কী অস্থির ছিল দিনগুলো।
প্যাকেট বের করে একটা সিগারেট জ্বাললো রঞ্জু। পেছন থেকে সেই কণ্ঠটা বললো, আপনি রঞ্জু ভাই না?
ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে ফিরতেই হাত ভর্তি শপিং ব্যাগ নিয়ে দুইজন মহিলাকে দেখলো। চমকে উঠলো রঞ্জু। পরী! র্দীঘদিন পর পরীর মুখোমুখি। বয়সের ছাপ কি পড়েছে চেহারায়? না, ততোটা নয়। তবে রোগা হয়ে গেছে অনেক। পরীও ওর দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু কেমন যেন নির্লিপ্ত চাহনি! এই পরীকে কি সে চেনে? পাশের জন বললো, আপনি রঞ্জু ভাই না?
খানিকটা মাথা কাত করে হ্যাঁ সূচক একটা অভিব্যক্তি প্রকাশ করলো সে।
- কেমন আছো রঞ্জু ভাই?
কিছু একটা বলা দরকার। কিন্তু গলা ধরে এসেছে, মনে হচ্ছে কথা বলতে চাইলেও শব্দ বের হবে না। একটু সময় নিল নিজেকে সামলাতে। বললো, হ্যাঁ, ভালো।
- আমাকে চিনতে পারোনি?
রঞ্জু আসলে এতক্ষণ ওর দিকে মনোযোগই দেয়নি। তাই হঠাৎ তাকাতে চিনতে পারলো না।
- চিনবে কী করে? কতকাল পরে দেখা! সীমা।
লাজুক ভাবে একটু হাসলো রঞ্জু। আসলেই তো পরীর সাথে তো ওর বান্ধবীরাই থাকবে। সীমা তো ওর খুব কাছের বান্ধবী। বললো, কেমন আছো সীমা?
- খুব ভালো আছি। এতোদিন পরে তোমাকে দেখে খুবই ভালো লাগছে।
রঞ্জু পরীর দিকে তাকাচ্ছে না। পরীর সাথে ওর কোনো কথা নেই। কোনো কালেও ছিল বলে ভাবতে ইচ্ছা করছে না। আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেটটা পুড়ছে দেখে ঠোঁটে ছুঁইয়ে একটা টান দিয়ে ফেলে দিল।
- সেই যে গেলে, তারপর কত কিছু ঘটে গেলো আর ফিরলে না! আমাদের কথা, বাড়ির কথা মনে পড়ে না?
আবারো লাজুক ভাবে হাসলো রঞ্জু। বললো, থাক না সেসব কথা!
- ঠিক আছে, থাক। আচ্ছা ওর সাথে তো পরিচয় করানো হলো না। ও হলো পরীর ছোট বোন- জরী! আর উনি হচ্ছেন, আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র, কলেজের সবমেয়ের ক্রাশ- রঞ্জু ভাই!
রঞ্জু একটা বড়ো ধরনের ধাক্কা খেলো মনে মনে। এতক্ষণ যাকে পরী বলে ভাবছিল সে আসলে পরী নয়? জরী! পরীর ছোট বোন জরীর কথা মনে করার চেষ্টা করলো। কিন্তু মনে করতে পারলো না। দুই বোনের চেহারায় এতো মিল হয়? অবিকল পরীর মতো দেখতে! যে কেউ ভুল করতে বাধ্য! অথচ রঞ্জুর তো এই ভুল হবার কথা নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা কলেজ ক্যান্টিনে মুখোমুখি বসে কাটিয়েছে ওরা দু’জন, রেললাইন ধরে হেঁটেছে মাইলের পর মাইল! সমান্তরাল পথ, তাই হয়তো কেউ কারো সাথে মিলতে পারলো না।
জরীও তাকালো রঞ্জুর দিকে। এক সময়ের কলেজের সব মেয়েদের ক্রাশ রঞ্জু ভাই, যাকে এখন দেখলে খুব সাধারণ আটপৌড়ে মাঝবয়েসী মানুষের বেশি কিছু ভাবা যায় না। হাটু অবধী ঝোলা পাঞ্জাবী, গাল ভর্তি কাঁচা পাকা দাঁড়ি! জরী মিষ্টি হেসে হাত নাড়লো সামান্য।
রঞ্জু ভাবতে চাইলো পরীর কথা! পরী কেমন আছে? হাসলে কি এখনো গালে টোল পড়ে? এখনো কি আগের মতো অভিমানী রয়ে গেছে? মুূষলধারে বৃষ্টির সময় যাত্রী ছাউনীতে বসা পরীর কথা মনে পড়ে ওর, যে কি না সামান্য দুষ্টুমিতে অভিমানে গাল ফুলিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে একা বাড়ির পথ ধরেছিল।
সীমাকে কি জিজ্ঞেস করবে ওর কথা? নিজের চারপাশে এতোদিন যে দেয়াল তুলে রেখেছে, যে দেয়ালের আটকে দিয়েছে অতীতকে, পরীকে; আজ কি সেই দেয়াল ভেঙ্গে ফেলবে? অথচ শুরুটা তো এমন ছিল না। কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সেই যে নীল শাড়িতে পরীকে দেখা, তারপর থেকেই সব গণ্ডগোলের শুরু। পড়াশোনার প্রতি অনীহা আসতে লাগলো। একবার দেখার জন্য পড়ে থাকতো ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাশরুমগুলোর আশে পাশে। অথচ তখনো পরীর সাথে কথাই বলা হয়নি। ক্লাশরুমে বসে অন্যরা যখন ক্লাশ লেকচার তুলছে তখন সে খাতা ভড়তে থাকে কবিতায়। এভাবে চলতে চলতে প্রি-টেস্ট পরীক্ষায় দুই সাবজেক্টে পাশ করতে পারলো না। তখন সবাই ধরেই নিয়েছিল যে এই ছেলের ভবিষ্যত বলে আর কিছু থাকলো না।
একদিন ঘটে যায় অঘটন। কবিতার খাতাটা হারিয়ে যায়। বেশ কিছুদিন পরে জানতে পারে কবিতাগুলো পরীর কাছে অতি যত্নে সংরক্ষিত আছে। অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়। একদিন কথা হয়, তারপর আবার আরেকদিন কথা হয় দু’জনের। তারপর বারবার কথা হয়। রঞ্জু কবিতা লেখে আর পরী আবৃত্তি করে। এক নতুন সম্পর্কের জন্ম নেয়।
- কবে এসেছো? কয়দিন থাকবে?
সীমার ডাকে বাস্তবে ফিরে এলো। বললো, দেখি যতদিন ভালো লাগে, থাকবো।
- পুরোনো দিনের কত কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
- হুম, মনে পড়াটাই তো স্বাভাবিক।
- কবিতা লেখো না আর?
- কবিতাটাই লিখি।
- কেন প্রাকটিস করো না? চাকরি বাকরি?
- না, ভালো লাগে না।
- বিয়ে করেছো? ছেলে মেয়ে ক’টা?
উত্তর না দিয়ে মৃদু হাসলো। এ প্রশ্নের উত্তর সে দিতে চায় না, কারণ এর পরের প্রশ্নটাই হলো- কেন বিয়ে করোনি?
- এখনো আগের মতোই আছো।
- হয়তো তাই। কিন্তু সব কি আগের মতো আছে?
জরী সঙ্গে থাকায় সীমা খানিকটা অস্বস্তিবোধ করে। বললো, চলি।
- হুম।
- সময় পেলে বাসায় এসো, আমরা আগের বাসাতেই থাকি।
রঞ্জু মাথাটা সামান্য কাত করে মৃদু হাসি ধরে রাখলো মুখে। অদৃশ্য দেয়াল ভেঙ্গে জিজ্ঞেস করতে পারলো না পরীর কথা। নীরবে ওদের প্রস্থান দেখলো। এভাবে চলে যাওয়া দেখে সে অভ্যস্থ। শেষবার পরী যখন চলে যায় তখনও সে কেবল চেয়ে থেকেছে। যাবার আগে পরী বলে গিয়েছিলো, এভাবে এক তরফা সম্পর্ক টিকে না। তুমি আমার প্রতি যে অবহেলা দেখিয়েছো তাতে স্পষ্ট যে, তুমি আমাকে ভালোবাসো না।
পরীর প্রতি ওর কোনো অবহেলা ছিল না। অন্তত নিজে এমনটাই বিশ্বাস করে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা ছেলে যখন প্রি-টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করার পরও মূল পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে সরকারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়, তখন নিজ শহর ছেড়ে দূরের অন্য এক শহরে যেতে বাধ্য হয়। সফলতার পেছনে যে পরীর ভূমিকা ছিল- তা না মেনে উপায় নেই। কিন্তু এই সফলতাই ওর জন্য বয়ে আনে নতুন অসুখ। পরীকে হারানো অসুখ। লং ডিসটেন্স রিলেশনশীপ বিষয়টা পরী মানতে পারেনি। পড়াশোনায় ডুবে যাওয়া রঞ্জু আলাদাভাবে সময় বের করতে না পারলেও প্রতি সপ্তাহে চিঠি লিখতো। পরীও নিয়মিত লিখতো। তবে পরীর শেষ যে চিঠিটা সে পেয়েছিল, সেটাতে কিছু লেখা ছিল না, ধবধবে সাদা একটা কাগজ। দু’দিন পর মানিব্যাগে কাগজের ভাঁজে পেল ওরই লেখা পরীকে পাঠানো শেষ চিঠিটা! মুহূর্তেই নিজের ভুল বুঝতে পারলো। ভুল করে চিঠির পরিবর্তে অন্য একটা কাগজ পাঠিয়ে দিয়েছিল সে, হয়তো সেটাও সাদা কাগজ ছিল। পরী নিশ্চয় খুব অভিমান নিয়ে সাদা কাগজেই প্রতিউত্তর পাঠিয়েছে। আর এই অভিমান ভাঙ্গানোর একমাত্র উপায় হলো- মুখোমুখি কথা বলা। আরেকটা চিঠি না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল সে। ইচ্ছে ছিল- দিন দুয়েকের ভেতর বাড়ি যাবে কিন্তু পড়াশোনার চাপে সময়টা দীর্ঘায়িত হয়। ততদিন পরীর মন আরো ভারী হতে থাকে। দানা বাঁধতে থাকে অবহেলার অভিযোগ, যা রঞ্জু খণ্ডাতে পারেনি।
ভেবেছিল পরীর অভিমান একদিন ভেঙ্গে যাবে, আবার ফিরে আসবে। কিন্তু সেই পথও বন্ধ হয়ে যায় পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যে। আমেরিকা প্রবাসী ধনী এক সুপুরুষের সাথে পরীর বিয়ে সংবাদ পায় সে।
সীমা চলে গেল, অথচ কত কথা জমে আছে, বলা হলো না। অদৃশ্য দেয়ালটাও ভাঙ্গা গেল না, কেবল ভেতর থেকে উঁকি দিয়ে বের হয়ে চাইছে স্বপ্ন-ব্যর্থতা-কষ্ট-ভালোবাসাময় কিছু স্মৃতি।
এক ধরনের উত্তেজনা বোধ করে রঞ্জু।
ছবি: গুগল মামা।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল ভাই।
বেচারা রঞ্জু।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: রঞ্জু জরী ওম্পরীর গল্প ভালো লেগেছে।
আপনাকে অভিনন্দন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
ফয়সাল রকি বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
সম্পর্কটা হয়তো আর জোড়া লাগেনি কিন্তু পরীর প্রতি রঞ্জুর
ভালোবাসা বিস্মৃতির আড়ালে রয়ে গেলো ।
শততম পোস্টের জন্য আপনাকে অভিনন্দন ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ রামিসা রোজা।
সমান্তরাল রেললাইনের মতো একটা ঘটনা, মিলতে পারে না আবার ভুলতেও পারে না।
ভালো থাকবেন।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: বেশ আবেগী গল্প। কিছু কিছু গল্প থাকে যেগুলোর সাথে অধিকাংশ মানুষ নিজেকে রিলেট করতে পারে বা রিলেট করতে চায়, এ গল্পটা সে রকমই। নভোনীলে আপনার গল্পটা পড়েই বোঝা যাচ্ছিলো আপনার গল্প লেখার সক্ষমতা কত বেশি...
ভালো থাকবেন আর পরীকে হারাবেন না।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে যতটা বললেন ততটা হয়তো আমি নই, তবুও উৎসাহিত হই।
ভালো থাকবেন।
পরীকে রঞ্জু হারাবে না।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: সামুতে আমার লেখা প্রথম ছোটগল্প: বৃষ্টিস্নান সময় থাকলে একবার ঘুরে আসবেন। আমার খুব প্রিয় একটা লেখা।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: শহরে এরোকম রঞ্জু অনেক আছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০১
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেদি_হাসান।
শহরে এরকম রঞ্জু হয়তো অনেক আছে।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ আলি ভাই।
ভালো থাকবেন।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পর্ব হবে ? নাকি এটাই শেষ ?
চমৎকার, লেখায় ভালোলাগা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: না, আপু পর্ব হবে না। আগের লেখাটার কয়েকটা পর্ব এখনো বাকি আছে, শেষ করতে পারিনি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে। তবে ভুল বুঝাবুঝির কারনে যদি কোন প্রেম ভেঙ্গে যায়, আমি মানতে পারি না। বেসিক্যালি আমি কচ্ছপের কামড় দেয়া মানুষ। কাউকে একবার ধরলে কোন সরাসরি বড় কারন না থাকলে ছেড়ে দেয়া আমার স্বভাবে নাই। সেজন্যেই আমার গল্পেও কোন হেয়ালীগত কারনে ছাড়াছাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
সাদা কাগজ পাঠানোর ব্যাপারটা বোঝার পরেই উচিত হতো যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুল ভাঙ্গানোর উদ্যোগ নেয়া। দেরী করার ব্যাপারটার মধ্যে সিরিয়াসনেসের অভাব লক্ষ্য করা যায়। আর প্রেম যদি সিরিয়াসলী না-ই করা যায়, তাহলে প্রেম করাটা গাধামীর পর্যায়ে পড়ে।
যাইহোক, শেষবার পরী যখন চলে যায় তখনও সে কেবল চেয়ে থেকেছে। যাবার আগে পরী বলে গিয়েছিলো, এভাবে এক তরফা সম্পর্ক টিকে না। তুমি আমার প্রতি যে অবহেলা দেখিয়েছো তাতে স্পষ্ট যে, তুমি আমাকে ভালোবাসো না। এই লাইনের সাথে আপনার গল্পের সমাপ্তি মিলে না। আশাকরি গড়মিলটা আপনি ধরতে পেরেছেন।
শততম পোষ্টের জন্য অভিনন্দন!!!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রমাণ সাইজের মন্তব্যের ধন্যবাদ ভুয়া ভাই।
সাদা কাগজের ব্যাপারটা আমার পরিচিত একজনের সাথে ঘটেছে। সে আসলে ধারণাই করতে পারেনি শুধুমাত্র একটা সাদা কাগজের জন্য জীবন বদলে যেতে পারে! আর সেসময় মোবাইল ফোনও ছিল না। তবে তার আরেকটু সিরিয়াস হওয়া উচিত ছিল।
আর গড়মিলের যে বিষয়টা বলছেন সেটার জন্য তো রঞ্জু নিজেই দায়ী যদিও সে বিশ্বাস করে যে, সে কোনো অবহেলা দেখায়নি, নেহাত পরিস্থিতির শিকার।
ভালো থাকবেন।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
জুন বলেছেন: এন্ডিংটা অনেক দুক্ষের ফয়সাল রকি। মনটা খারাপ হয়ে গেল । রঞ্জুর নিউ মার্কেটে যাওয়া নিয়ে আমিও স্মৃতি বিজড়িত হয়ে পড়লাম, সেই জিনাত বুক স্টল। তার মালিক ভদ্রলোককে দেখতাম কোন এক বইতে মুখ ডুবিয়েই আছে। তখন এত ভীড় ছিল না । রঞ্জুর চিঠি নিয়ে ঘটনা পড়ে মনে পরলো আমার এক বান্ধবীর চাচাতো ভাই এর জীবনে চিঠি নিয়ে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল । ঈদের ছুটিতে বাড়ি থেকে প্রেমিকার কাছে লেখা চিঠিটা পাঠিয়েছিল আমার বান্ধবীর ভাইকে আর বড় ভাইকে লেখা চিঠি প্রেমিকার কাছে তাদেরও বিয়েও হয় নি
আর আমাদের ঢাকা ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীর নীচ তালায় আমরা তিন বান্ধবী বসেছি জীবনে একদিনই । সেদিন দেখলাম এক মেয়ে হাটুর মাঝে মাথা গুজে আছে আর ছেলেটা একটা খাতা থেকে তার স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনাচ্ছে । সেই দৃশ্য দেখে আমরা হাসতে হাসতে শেষ । তাদেরও বিয়ে হয় নাই যদ্দুর ধারনা ।
সেইটা আপনে নন তো
অনেক হাসলাম যদি আপনি রঞ্জু হন তো আপনার কষ্টটা যেন কেটে যায় । অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
ফয়সাল রকি বলেছেন: প্রায় সব শহরেই নিউমার্কেট নামক একটা মার্কেট আছে। আমি যে শহরের কথা বলছিলাম সেখানেও আছে, তবে সম্ভবত সেখানে জিনাত বুক স্টল নেই। তবুও স্মৃতিময়। সেসময়ের ছেলেমেয়েগুলো তো গল্পের বই, বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি, খেলাধুলা করেই দিন কাটাতো।
চিঠি অদল বদলের গল্পটা ভালো্ই মজার! বেচারা না জানি কী একটা বেকায়দা অবস্থায় পড়েছিল!
আর ঢাবির লাইব্রেরীতে যাবার সৌভাগ্য আমার হয়নি! আর কবিতাটাও ঠিক আসে না! কাজেই আপনার আমায় গুঢ়ে বালি তবে হ্যাঁ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে থিয়েটারে যেতাম, সেখানে দুয়েকটা নাটকে কাজ করেছিলাম। তারই একটা দেখে উনি নাকি আমার প্রেমে পড়েছিলেন... এমনটাই বলেন মানুষকে যদিও আমার কাছে স্বীকার যান না। বিবাহের পর তো প্রায় এক যুগ হয়ে গেল! শুনেছি এক যুগ হবার পর স্বামী-স্ত্রী নাকি ভাই-বোন হয়ে যায়! আর মাত্র কটা দিন, অপেক্ষায় আছি।
আর হ্যাঁ রঞ্জুর মতো অতোটা শক্তপোক্ত ভালোবাসা কঠিন!
ধন্যবাদ জুনাপু। অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম আমার ব্লগে। ভালো থাকবেন।
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
ওমেরা বলেছেন: গল্প তো গল্পই পড়ার সময় একটু মন খারাপ লাগলে রন্জু আর পরীর কথা ভেবে তার পর মনে হল এটা একটা গল্প । তবে এটা সত্য ভালোবাসার মানুষের অবহেলা সহ্য করা যায় না , আর সে যদি মনে করে সে অবহেলা করছে না তাহলে সেটা তার প্রমান করা উচিত ।
গল্পে অনেক ভালো লাগা।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: রঞ্জু হয়তো ভেবেছিলো, পরী অভিমান ভেঙ্গে ফিরে আসবে। কিন্তু আসেনি। তবে ব্যাপারটা যে অবহেলাজনিত নয় এটা প্রমাণ করার জন্যই হয়তো সে বিয়ে শাদী করেনি কিংবা করতে পারেনি। যাইহোক, গল্প তো আসলেই গল্প। তবুও কিছু ঘটনা যা আমাদের জীবনে খুবই কষ্টকর। যেমন সাদা কাগজের বিষয়টা সত্য, আমার পরিচিত এক রঞ্জুর জীবনে ঘটেছিল।
ওমেরা ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ।
১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
ওমেরা বলেছেন: আরে ধুর ! আপনাকে তো অভিনন্দন ই জানানো হয়নি । অনেক অনেক অভিনন্দন শততম পোষ্টে ও শুভ কামনা রইলো ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
জুন বলেছেন: ওহ শততম পোষ্টের অভিনন্দন রইলো, লিখতেই ভুলে গিয়েছি । সুন্দর একটার গল্পের মাধ্যমে বার্ষিকী উদযাপনের জন্য ধন্যবাদ আরেকবার
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: ধন্যবাদ ধন্যবাদ ।
১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭
ঢুকিচেপা বলেছেন: শততম পোস্টে অভিনন্দন রইল।
পরীরা সব সময় চলেই যায়, অসুবিধা কি জরী তো আছেই...............
গল্পটা ভালো হয়েছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন- পরী নেই তো কী হয়েছে জরী তো আছে! রঞ্জুর ছোট ভাই আছে কি না খুঁজে দেখতে হবে!!! কী বলেন?
ধন্যবাদ ঢুকিচেপা, ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা রঞ্জু! পরীকে না পেয়ে জীবনটা সাদা কাগজ হয়ে গেছে।