![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৭ সাল থেকে বোর্ড পরীক্ষায় ১০ নাম্বার বেশি হবে সৃজনশীল অংশে। অর্থাৎ, যেসব পরীক্ষায় নৈর্বক্তিক ছিল ৪০, সেখানে হবে ৩০ এবং যেসমস্ত ক্ষেত্রে নৈর্বক্তিক ছিল ৩৫ তা হয়ে যাবে ২৫।
যেখানে খোদ সৃজনশীল পদ্ধতি-ই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যুগোপযোগি না, সেখানে নতুন নতুন নিয়ম ই বা কি করে সামঞ্জস্যপূর্ন হবে।
সৃজনশীল মানে নিজের প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্র হবার কথা। যে যেরকম লিখবে, যার যে চিন্তাধারণা সে অনুযায়ী সে নম্বর পাবে, এমন টা হবার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে, স্যাররা ক্লাসে আসেন, বই এর ছকে বাধা পড়া বুঝিয়ে চলে যান এবং খাতায় লিখতেও হয় ঐ বই এর লেখা গুলোই, এর বাইরে কেউ লিখতে গেলে সে নম্বর পাবে না এটা বলাই বাহুল্য।
আমাদের দেশের কোন এক শিক্ষার্থী যদি ইউটিউব/গুগল থেকে কোন একটা বিষয়ে একটু বেশি পড়াশোনা করে তা খাতায় লিখে, সে নম্বর পাবে না অথবা তার প্রকৃত সৃজনশীলতার কোন মূল্যায়ন হবে না।
আর এক কোচিং বানিজ্য তো আছেই, এই জিনিষ যতদিন না পর্যন্ত দেশ থেকে দূর হবে ততদিন যত রকমের পদ্ধতি-ই আবিষ্কার হোউক না কেন, কোন লাভ নাই।
বাংলা বিষয়ের সৃজনশীল এর ক্ষেত্রে আসা যাক, ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ২ ঘন্টা ১০ মিনিটে ৬টা সৃজনশীল উত্তর করতে হয়। বাংলা এমনিতেও লেখা বেশি, এখন নতুন পদ্ধতিতে আরো একটা সৃজনশীল এর চাপ যোগ করে দেয়া হল!
আপনারা বলছেন, স্যার রা নৈর্বক্তিক প্রশ্ন ফাস করে তাই এই পদ্ধতি! আপনারা সেইসমস্ত স্যারদের ধরতে পারেন না? সব চাপ কেন শিক্ষার্থীদের বইতে হবে?
আবার বলছেন, সৃজনশীল অংশে এ নম্বর যত বাড়বে মেধার যাচাই তত বেশি হবে! ব্যাপারটা ১০০% সত্য। কিন্তু আপনি আগে কোচিং বানিজ্য বন্ধ করেন, একটা শিক্ষার্থীর মেধার মূল্যায়ন এর ক্ষেত্র তৈরী করুন। তখন ১০০ নাম্বার পরীক্ষা নেন সৃজনশীল এ! তখন যদি কেউ গোল্ডেন এর জন্য পড়াশোনা না করে, ঐটাই হবে আসল সৃজনশিলতা।
©somewhere in net ltd.