![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রহমান সাহেব। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাপারটা খেয়াল করছেন যে উনার স্ত্রী'র মাঝে বেশ পরিবর্তন লক্ষনীয়! কিন্তু স্বভাবতই তিনি সব ব্যাপারে চুপচাপ থেকে বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করেন।
তার স্ত্রী শম্পা রহমান। শপিং, পার্লার করে সময় কাটানই যার কাজ। এসবের ফাকে তিনি মাঝে মধ্যে সন্তানদের সময় দেয়ার সময়টুকুও ভালভাবে পান না। সে ব্যাপারে অবশ্য তার স্বামী বা সন্তানদের কারই আপত্তি নেই।
ইদানিং শম্পা ম্যাডাম কে খুব একটা শপিং এ যেতে দেখা যায় না। বাসার রান্নাবান্না নিয়ে কিছুটা সময় দেন এবং বেশিরভাগ সময় তাকে দেখা যায় বাসার ফুট-ফরমাশ খাটার জন্য আনা ছেলে রাসেল কে পড়ানোর পিছনে সময় ব্যয় করতে! রাসেল এর উপর থেকে কাজের চাপ কমাতে শম্পা ম্যডাম নতুন একজন মহিলা পর্যন্ত রেখে দিয়েছেন বাসায়।
স্ত্রী শম্পার এত বড় পরিবর্তন দেখে রহমান সাহেব বেশ অবাক! যে মহিলা পাশের বাসার ভাবীর চেয়ে দামি শাড়ি না পরলে রাতে ঘুম হত না, যার রোজ বান্ধবীদের সাথে ঘুড়তে না বেরোলে খাবার হজম হত না সেই মহিলা ঘরে! তাও আবার একটি অনাথ ছেলের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়ে! রহমান সাহেব বেশ খুশিও বটে। একটা অনাথ ছেলের তাও একটা গতি হবে।
এরকম চললো টানা কয়েক মাস।
শম্পা ম্যাডাম শেখান। রাসেল শিখে। শম্পা তার পরিক্ষা নেন, রাসেল ভাল করতে থাকে।
একদিনের কথা, রহমান সাহেব কি যেন একটা কাজে বাসায় এলেন হঠাত। দেখলেন তার স্ত্রী পাশের বাসার ভাবীর সাথে গল্প করছেন! সে গল্পের বিষয়বস্তু তার কান এড়াল না,
"আমার বাসার ছেলেটা তো ১-১০০ পর্যন্ত মূখস্ত পুরো"
"কি যে বলেন না ভাবী, আমার রাসেল তো ১০০ পর্যন্ত বানান ই করে লিখতে পারে" .......
গল্প আরো এগোচ্ছিল, কিন্তু রহমান সাহেব আর আগ্রহ পেলেন না। তার কাছে ব্যাপারটা স্পষ্ট হল কেন তার স্ত্রী রাসেল কে নিয়ে খেটেছেন এতদিন! পাশের বাসার ভাবীর কাছে তিনি হারতে রাজি নন, রাসেল ও তার স্ত্রী'র কাছে একটা শাড়ির মত মূল্যবান!
দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর করার কিছুই থাকলো না তার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
আজিজার বলেছেন: "কি যে বলেন না ভাবী, আমার রাসেল তো ১০০ পর্যন্ত বানান ই করে লিখতে পারে" .......