নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সে এক বিরাট ইতিহাস.....

ফজলুভাই

আমি বাংলার ফজলু ভাই... আমি ভাই চিকিৎসার অতীত.।

ফজলুভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবলিগের অভিজ্ঞতা

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

মুসলিম পরিবারে জন্ম আমার। আমাদের সমাজের অনেক মানুষ-ই তাবলিগ বা দ্বীনের পথের দাওয়াত দেয়া অথবা প্রচলিত ভাষায় "চিল্লা" লাগানো কে বাকা চোখে দেখে। আমার পরিবার ও এর ব্যাতিক্রম ছিল না!

প্রায় এক বছর আগে পাশের বাসায় আসেন এক আঙ্কেল। আমরা কোয়ার্টার এ থাকি, তাই উনি ছিল বাবার সহকর্মি। আসার পর থেকেই বাবা কে নানাভাবে মেহনতের লাইন এ টানার চেষ্টা করেন। শেষমেষ গত সপ্তাহে আমার ৩দিনের তাবলিগ জা'মাতে যাওয়ার সুযোগ হয়। কিছু না হোক, একটা নতুন অভিজ্ঞতার সাথে আল্লাহ তা'আলা পরিচিত হবার তৌফিক দান করেন।

আপনি যদি নিজেকে আল্লাহ তা'আলার রাস্তায় ফেরাতে চান, একটা রুটিন মাফিক জীবনের শুরু চান, তাহলে আপনার একবার হলেও অন্ততঃ ৩দিন গিয়ে তাবলিগে ঘুরে আসা উচিৎ। আল্লাহ'র অশেষ রহমতে আপনার জীবন একটা রুটিন পেয়ে যাবে। পরবর্তিতে তা ধরে রাখা আপনার দায়িত্ব :)
আপনাকে সময়মত ঘুমাতে যেতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর সংগীরা আপনাকে জাগিয়ে দিবে। আপনাকে নিয়ম মত ফজর নামাজ পড়ে রহমতের কথা শুনতে বসতে হবে। তারপর আপনাকে বের হতে হবে রাস্তায় দাওয়াত এর কাজে। পরবর্তিতে ফিরে এসে সকালের নাস্তা সেরে আপনি কিছুটা সময় পাবেন বিশ্রাম এর। তারপর বিশ্রাম সেরে আবার মেহনতের কথা শুনতে হবে। এভাবে প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর আপনাকে নিয়ম করে মেহনতের কথা শুনতে হবে এবং দাওয়াত এর কাজে বের হতে হবে।
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অথবা সময় সুযোগমত আমির সাহেব সবাইকে নিয়ে "মাশওয়ারা" তে বসবেন। এর বাংলা প্রতিশব্দ হল পরামর্শ। আমির সাহেব সবার মতামত নিয়ে পরবর্তি দিনের করণীয় এবং সবার কাছ থেকে খাওয়া বাবদ কত টাকা ওঠানো যায় তা ঠিক করেন।

তাবলিগের মাঠে কোটিপতি এবং সামান্য কেরানি, আমরা সবাই একসাথে ছিলাম। সেখানে বিন্দু পরিমাণ ভেদাভেদ বলতে কিছু ছিল না। এর নাম-ই ইসলাম :)
কিন্তু বিপত্তি বাধে তখনই, যখন দাওয়াত এর কাজে বের হওয়া হয়। অনেক মানুষ অনেক ব্যস্ততায় থাকেন, তাদের দলবধ্যভাবে গিয়ে বিরক্ত করার পর্যায়ে পরে যায় অনেক ক্ষেত্রে। অনেক সময় জোর-জবরদস্তি পর্যন্ত করা হয় তাকে ততক্ষনাত মসজিদে নিয়ে যাবার জন্য! কিন্তু ইসলাম জোর-জবরদস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর মেহনতের কথা শুনতে হবে, কিন্তু সত্যিকার অর্থে মেহনতের কথা বলার সারমর্ম থাকে তাবলিগের রাস্তায় বের হওয়া! সেখানে তখন যতজন উপস্থিত থাকে তাদের অনেকটা বাধ্য করেই নিয়ত করানো হয় এই রাস্তায় বের হবার জন্য।
তাবলিগের পথের যাত্রীরা ৬টি মূল নীতিতে বিশ্বাস করেন। যার মাঝে অন্তর্ভূক্ত আছে কালিমা এবং নামাজ, কিন্তু বাকি ৩টি রুকনের উল্লেখ নেই! ইসলামের মূল নীতি ৫টি রুকনের উপর নির্মিত, তাই আমার কাছে ব্যাক্তিগতভাবে এই ব্যাপারটা আংশিক হলেও সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে! ( বড় আলেম ওলামা রা ভাল বলতে পারবেন )


কিন্তু ইসলামের দাওয়াত এর পথে মেহনত করার তাতপর্য কতটুকু তা আমি জানি না! তাই বেশি কিছু বলা উচিৎ না।
স্বল্প সময়ে সবকিছু জানা যায় না এবং অন্যান্য স্থানে কি বা কিভাবে হয় তা আমি অবগত নই, তাই কিছু না বলাই বাঞ্চনীয়।
কিন্তু তাবলিগ ওয়ালাদের জোর জবরদস্তি যে শরিয়াত বিরোধি তা স্পষ্ট!

আল্লাহ'র পথে থাকলে ঘর-ই যথেষ্ট বলে আমি মনে করি :)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। আল্লাহ আপনাকে দ্বীনের উপর চলার তোফিক দান করুন।
আপনার বোঝায় হয়তো কিছুটা ভূল আছে।তাবলীগের ৬টি মূলনীতি নয়।৬টি কাজ বলা হয়।
যেই কাজ করলে দ্বীনের উপর চলা সহজ হবে। আর রুকন যে ৫টার কথা বললেন,সেইটা না মানলেতো ঈমানই থাকবে না।তাবলীগ ওয়ালারাও ৫টি রুকন মানে।এতে কোনো সন্দেহ নাই।আর জোর করে কাউকে মসজিদে নেয়া যায় না।হয়তো অনেক সময় অনেককে একটু তোষামোদ -খোষামোদ বেশী করা হয়।এটা অনেকেই ভুল বুঝে।বেশী এরকম করাও মুরুব্বীদের নিষেধ আছে।
যাই হোক আরো বেশী সময় দিলে এসব ভুল ভেংগে যাবে।আর এই প্রশ্ন গুলো আপনার সেই আংকেল অথবা মসজিদের আমীর সাহেবকে করুন।উনি আরো ভালভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন।আল্লাহ সবাইকে দ্বীনের উপর চলা সহজ করে দিন।আমিন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

ফজলুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেশ করার জন্য ভাই :)
আমার অবশ্যই বুঝার ভূল কিছু থাকতেই পারে, একবার গিয়ে তো আর সব বুঝে ফেলা যাবে না!
৬টি কাজ এর ব্যাপারটা হয় বোঝার ভূল ছিল।
কিন্তু ভাই, আমি বলেছি যে অন্য কোথায় কি হয় তা আমি জানিনা কিন্তু জোর-জবরদস্তির ব্যাপার টা আমার কাছে দৃষ্টিকটূ লেগেছে!
এবং যে বললেন, প্রশ্নগুলোর কথা যে বললেন! সে ব্যাপারে আঙ্কেল এবং প্রতিজন সাথী বলেছেন তারা কোন মাসয়ালা-মাসায়েল এর ব্যাপারে কথা বলেন না!
ধন্যবাদ :)

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৮

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: মাসয়ালা-মাসায়েল হক্কানি আলেমদের থেকে জানতে হবে।কিন্তু আপনার প্রশ্নগুলোতো মাসয়ালা-মাসায়েল না।এগুলো তাবলীগের কর্মধারা নিয়ে প্রশ্ন।আপনি প্রশ্নগুলো করেন,আশা করি,ওনারা উত্তর দিবেন।আর নিজে আরো সময় নিয়ে বের হলে,সকল উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

নাজ_সাদাত বলেছেন: ইসলাম ধর্মের সঙ্গে তাবলীগের কোন যোগসূত্র নেই। ফলে নবীজির তরিকা মানার কোন দায় নেই ওনাদের। এটা শেষ জামানার একটা ফেরকা মাত্র।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

দার্শনিক বলেছেন: মেহনতের সত্যিকারের তাৎপর্য বুঝতে হলে আমার ব্লগে নিয়মিত নজর রাখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.