নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সে এক বিরাট ইতিহাস.....

ফজলুভাই

আমি বাংলার ফজলু ভাই... আমি ভাই চিকিৎসার অতীত.।

ফজলুভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক জিম্বাবুয়ে ছাড়া কেউ নাই?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

গত বছর এই সময়টায় আমরা জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ খেলছিলাম অথবা সিরিজ শুরুর ঠিক প্রাক মূহুর্ত হবে! এর আগের প্রায় এক-দেড় বছর আমাদের যা ইচ্ছা তা খারাপ দিন গিয়েছে! এমনকি আমরা এশিয়া কাপে আফগানদের কাছে হারি এবং টি-২০ বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইয়ার এ হংকং এর কাছেও হারি! অনেকে ভেবেই নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের কাছ থেকেও সিরিজ টা খোয়াতে হবে হয়ত, কিন্তু অতটা হতাশ আমাদের বাঘেরা করেনি! জিম্বাবুয়ে কে হোয়াইটওয়াশ করে ছন্দে ফিরে বাঘেরা। সেই সিরিজটা ছিল আত্নবিশ্বাস ফিরে পাবার জন্য অতি উত্তম সিরিজ। তার মাধ্যমেই ক্রিকেটাররা তাদের জেতার অভ্যাস টা তৈরি শুরু করে।

সন্নিকট অতীতে অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে আমাদের সাথে সিরিজ খেলতে অপারগতা প্রকাশ করে। এই ক্ষরি পূরন আসলেই সম্ভব না! কিন্তু নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল, তাই ডাকা হইসে কাকে? জিম্বাবুয়ে! কেন ভাই, আর কেউ নাই? একটা দলের সাথে কত খেলা যায়? এদের সাথে জয়ের রেকর্ড আমাদের সবচেয়ে ভাল। আমি জিম্বাবুয়ে কে ছোট করে কিছু বলছি না। একদা তাদের সাহায্য না পেলে আমরা হয়ত আজকের জায়গায় আসতে পারতাম না। কিন্তু তাদের বর্তমান ক্রিকেটিয় অবকাঠামো সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়, এর দায় সম্পূর্ন রবার্ট মুগাবের।
এটা আমার কথা নয়, আমার কথা হচ্ছে, আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ড বা স্কটল্যান্ড এর মত ইউরোপিয় দলগুলোর সাথেও তো খেলা যায়। কারণ পরবর্তী বিশ্বকাপ ইংল্যান্ড এ। এ ছাড়াও এসমস্ত দলগুলোর সাথে আমাদের খেলার অভ্যাস খুবই কম, তাই বিশ্বকাপের মত বড় আসরে পচা শামুকে পা কাটার ভয়টা থেকে যায়। আফগানিস্তান খুবই ভাল ফর্মে আছে, কিছুদিন আগেই জিম্বাবুয়ে কে তারা সিরিজে হারিয়েছে। তারাও তো এখন অবসরে আছে, তাদের ডেকে ৩টা ওয়ানডে খেললে ঢের লাভ হত বলে আমি মনে করি! অথবা যে কোন ২টি দল কে ডেকে ত্রিজাতি সিরিজ আয়োজন করার মত সামর্থ্য বিসিবির আছে বলে আমি মনে করি এবং বাংলাদেশ বোর্ড আমন্ত্রন জানালে এসমস্ত দলগুলো অগ্রাহ্য করার প্রশ্নই আসেনা!

এখন আসি এই সিরিজ নিয়ে। জিম্বাবুয়ে কে হারিয়ে দিব, খেয়ে দিব এই টাইপ কথা আমি বুঝাতে চাইনি! আমার কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে কে হোয়াইটওয়াস করলেই বা আমাদের খুব একটা লাভ টা কোথায়? আর আমরা ওদের কাছে হারলে তো ক্ষতি টা আমাদের!
আমরা যেরকম ছন্দে আছি জিম্বাবুয়ে আমাদের সামনে দাঁড়ানোর-ই কথা না। কিন্তু খেলাটা যেহেতু ক্রিকেট, কিচ্ছু বলা যায় না!
কথা শুধু একটাই, বাঘগুলার উপর সবচেয়ে বেশি আস্থা আছে!

আমাদের দেশের জন্য ঐ বাঘগুলা ছাড়া কেউ নাই, যে আমাদের হাসাতে পারে :)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কিরমানী লিটন বলেছেন: চমৎকার মুগ্ধতার পোষ্ট ধন্যবাদ-অনেক ...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

ফজলুভাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ভাই :)

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

র‍্যাফসন বলেছেন: আমাদের দেশের জন্য ঐ বাঘগুলা ছাড়া কেউ নাই, যে আমাদের হাসাতে পারে :)

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড বা জিম্বাবুয়ে - এই তিনদলের যে কোনটার সাথে সিরিজ খেলাটাই এখন আমাদের জন্য রিস্কের সেইটা জানেন?

সিরিজে রেটিং পয়েন্ট বাড়বে মাত্র ১ - এই তিনদলের সবাইকেই বাংলাওয়াশ করলেও ১ ই বাড়বে, ২-১ এ সিরিজ জিতলেও একই বাড়বে...

অপর দিকে একটা ম্যাচ হারলে পয়েন্ট কমবে ৪... সিরিজ হারলে ৮... হোয়াইটওয়াশ হলে ১০...

যে কোন দলই বিপদজনক এখন।

সেই হিসাবে জিম্বাবুয়েই ঠিক আছে। চেনা প্রতিপক্ষ। সাইকোলোজিক্যাল ভাবে এগিয়ে থাকতে পারব আমরা। অপর দিকে আফগানিস্তান মাত্রই সিরিজ জিতলো দুইটা - সেই ক্ষেত্রে আমাদের ভয়টা থেকেই যায়। আর তারা এশিয়ারই দল। আবহাওয়া কোন ব্যপার না তাদের জন্য।

আয়ারল্যান্ডও একই। এই সময়ে গরম বা শীত কোনটাই বেশি নেই। আইরিশদের অতটা কন্ডিশনে সমস্যা হবে না। পেস-স্পিন দুটোই ভাল খেলে ওরা। ভয় একটা আছেই। সাথে ওদের সাথে আমাদের খেলা হয় না অনেক দিন ধরে।

সবমিলে এখন জিম্বাবুয়েই ঠিক ছিল - যেহেতু বাকি সবগুলো দলই ব্যস্ত। এলিট দল হিসেবে স্থান করতে এখন খেলা ছাড়া বিকল্প নেই। সেটা সারাবছর জিম্বাবুয়ের সাথে খেলেই হোক না কেন।

গত বছর কিন্তু বাজে অবস্থায় আমরা জিম্বাবুয়েকে দিয়েই উপরে উঠেছি। এখন তো অন্যতম শক্তিই আমরা। অন্তত আমাদের দেশে যে দলই আসুক - খুব স্বছন্দে বা ফেভারিট হিসেবে আসবে না। এটার ক্রেডিট জিম্বাবুয়েকেও দেওয়া উচিৎ তাদের সাথে খেলে তাদের বাঘের থাবা দিয়ে হারিয়েই।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

ফজলুভাই বলেছেন: হাসাইলেন ভাই!
আমার কথার মূল বক্তব্য ছিল না যে আমরা জিম্বাবুয়ে কে ভয় পাচ্ছি! ঐসমস্ত দলগুলার সাথে খেলার অভ্যাস তৈরি করা উচিৎ! হারা সবার সাথেই সমান।
রেটিং পয়েন্ট এর জন্য ভয় পেয়ে আমরা ছোট দলের সাথে খেলবো না ঐ দিন আর নাই।

আর শেষের দিকে যা বললেন তার সাথে সহমত, আমাদের সাথে এখন কেউই ফেবারিট না। কিন্তু এর আগের কথার সাথে শেষের কথাগুলা গেল না :প

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান কিন্তু ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ভাই, ২০১৯ বিশ্বকাপের মূল জিনিসই রেটিং পয়েন্ট। ছোট দলগুলোর খেলে যে জিতবে সেটার গ্যারান্টিও নাই। অভ্যাস করতে গিয়ে হেরে বসলে তো ক্ষতি আরো বেশি। এখন পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সাথে খেলে ভাল একটা অবস্থানে যেতে হবে।

তারপর, অন্যদলগুলোর সাথে খেলা। জিম্বাবুয়েকে ভয় না পেয়েও উপায় নেই। গতকাল আমাদের দেশে এসে ম্যাশ, মুশফিক, সাব্বির, ইমরুল সমৃদ্ধ দলকে হারিয়ে দিয়েছে। ম্যাশের ক্যাপ্টেন্সী থাকা কালীন হাশিম আমলা, ধোনীও জিতার সাহস পায় নাই - সেখানে চিগাম্বুরার দল প্রথম ম্যাচেই জিতে গেল?

অনেক মাঠের বাইরে থাকার ফল এটা। মাঠের খেলার মাঝে থাকলে এই অঘটন ঘটতো না। সেই ক্ষেত্রে মাঠে পুনরায় ফিরে আসার জন্য জিম্বাবুয়েই পারফেক্ট। কারণ তাদেরকে হাতের উলটো পিঠের মতই চেনা আমাদের। একবার মাঠে ফিরলে তারপর অন্য কোন দল তো সমস্যা না।
আর এখন রেটিং পয়েন্ট-এর কথা ভেবেই সিরিজ আয়োজন করতে হবে। রেটিং খুব বেশি বাড়বে এমন সিরিজ খেলে ক্লান্ত বা ইনজুরিতে পড়ার তো দরকার নেই।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

ফজলুভাই বলেছেন: এভাবে সুন্দর করে বুঝানর জন্য ধন্যবাদ রক্তিম ভাই! আমি কিন্তু আমার লিখায় জিম্বাবুয়ে কে একদম উড়িয়ে দেই নাই, কারন খেলাটা ক্রিকেট। আর ওদের সাথে জিতলেও বড়জোর ১পয়েণ্ট পাব আমরা, যতদূর জানি।
এরচেয়ে অন্য দলগুলার সাথে একটু ট্রাই মারার কথাই বলতে চাচ্ছিলাম।
আর আমার মূল বক্তব্য ছিল কিছু হইতেই জিম্বাবুয়ে কে ডাকার ব্যাপারটা থেকে বের হয়ে আসা উচিত ঃ)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.