![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়েন লালা অমরনাথ। তার হাত থেকে দায়িত্ব পরে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গর্ডন গ্রিনিজ এর হাতে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলতে নামে।
গর্ডন গ্রিনিজঃ
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন তিনি। তার পরিশ্রমের ফসল পায় বাংলাদেশ প্রথম ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ের মাধ্যমে। সেই বছরেই বাংলাদেশ পায় ওয়ানডে স্ট্যাটাস। ১৯৯৮ সালে তার কোচিংয়ে বাংলাদেশ পায় প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে জয়ের স্বাদ, প্রতিপক্ষ ছিল কেনিয়া। বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পায় ১৯৯৯ সালে, এবং গ্রুপ ম্যাচ এ পাকিস্তান কে হারিয়ে দেয়। কোচ হিসেবে তখনো ছিলেন গ্রিনিজ। তার হাত ধরেই আসে ক্রিকেটের সবচেয়ে গর্বের মূহুর্ত, ২০০০ বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে নামে তার কোচিং এর হাত ধরেই। ২০০১ সালে এই সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ ছেড়ে যান।
২০০১-২০০৩ সাল পর্যন্ত বেশ কজন কোচ এর অধীনে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। কিন্তু কেউই বেশিদিন থাকতে পারেননি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন অস্ট্রেলিয়ান ডেভ হোয়াটমোর।
ডেভ হোয়াটমোরঃ
এই ভদ্রলোককে বলা হয় ক্রিকেটিয় মেধাবীদের মধ্যে অন্যতম। ২০০৩ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আসে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বসে ভারত। তারপরের বছর ২০০৫ সালে কার্ডিফে হয় অস্ট্রেলিয়ান বধ কাব্য। সেইবছরেই অবশ্য বাংলাদেশ পায় প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ। আড়ালের কৃতিত্ব টা শুধুই ডেভ হোয়াটমোরের। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ পুরো জাতির চোখে স্বপ্ন দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যায় নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপে অংশ নিতে। প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়ে দিয়ে অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে সুপার-এইট। এবং পরে বারমুডা কে হারিয়ে পৌছে যায় স্বপ্নের সুপার-এইট এ। সেখানেই শেষ নয়, সুপার-এইট থেকে খালি হাতে ফিরে আসেনি বাঘেরা। পলক-এনটিনি-গিবস দের দক্ষিণ আফ্রিকা কে মাটিতে নামিয়ে তবেই দেশে ফিরে বাঘেরা।
২০০৭ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন ডেভ হোয়াটমোর এবং দায়িত্ব দেয়া হয় তার-ই স্বদেশী জেমি সিডন্স কে।
জেমি সিডন্সঃ
দায়িত্ব নেয়ার কদিন বাদেই তাকে বেশ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হয়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেশ কজন ক্রিকেটার আইসিএল এ খেলার উদ্দেশ্যে জাতীয় দল থেকে অবসর নেন। কিন্তু তিনি সেই ভাংগাচোড়া দল নিয়েই বন্ধুর পথ পাড়ি দেন। এবং ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে তাদের মাটিতে ওয়ানডে এবং টেস্ট উভয়ে হোয়াইটওয়াশ করে, তাদের জাতীয় দলের কেউ সেই দলে ছিলনা এটা উল্লেখ করার প্রয়োজন আমি মনে করিনা কারন তখনো আমরা সে পর্যায়ের দলে পরিনত ছিলাম না এবং আমাদের অনেক খেলোয়ার আইসিএল এ চলে গিয়েছিল তাই অনেক ক্ষেত্রে আমাদের এবং তাদের অবস্থা সমান ছিল। পরের বছর বাংলাদেশে আসে নিউজিল্যান্ড, তাদের কে বাংলার বাঘেরা ৪-০ তে সিরিজ হারিয়ে দেয় এবং ক্রিকেট ডিকশনারিতে নতুন শব্দ যোগ করে "বাংলাওয়াশ"! পেছনের কৃতিত্ব অনেকটাই জেমি'র। ২০১১ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত পায় সহযোগি হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ। অনুমিতভাবে আয়ারল্যান্ড এবং হল্যান্ড কে হারায়, সেইসাথে ইংল্যান্ড কে মাটিতে নামিয়ে আনে। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ৫৮ এবং দক্ষিন আফ্রিকার সাথে ৭৮ এর লজ্জা নিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম রাউণ্ড থেকেই দেশের মাটিতে দর্শক হয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে। সেই বিশ্বকাপে প্রথম রাউণ্ড থেকে বিদায়ের দায় দিয়েই অনেকটা জেমি সিডন্সকে সরিয়ে দেয়া হয়।
জেমি সিডন্স দায়িত্ব ছাড়ার পর কিছুটা পালাবদল চলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। স্টুয়ার্ট ল এবং রিচার্ড পাইবাস দায়িত্ব পালন করেন ২০১১-২০১২ সময়কালীন।
স্টুয়ার্ট ল এর আবিষ্কার ছিল সোহাগ গাজি। সেই সোহাগ গাজি অভিষেকেই নিজের জাত চিনান। অভিষেকেই সেঞ্চুরি এবং হ্যাটট্রিক করেন।
স্টুয়ার্ট ল এর সময়কালীন বাংলাদেশের বোলিং কোচ ছিলেন শেন জার্গেনসন। স্টুয়ার্ট ল এর পরিবারগত সমস্যার কারনে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার দরুন দায়িত্ব দেয়া হয় শেন জার্গেনসন কে।
শেন জার্গেনসনঃ
তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরই বাংলাদেশ দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে সিরিজে হারিয়ে দেয়। পরের বছর আবার দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড কে বাংলাওয়াশ করে দেশের মাটিতে। কিন্তু ব্যার্থতা ও ছিল। জিম্বাবুয়ের মাটিতে গিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরতে হয় তাকে। কিন্তু তার অধীনে বাংলাদেশের সাফল্য ও কম ছিল না।
২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড টি-২০ তে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসলে তিনি ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় ততকালিন নিউ সাউথ ওয়েলস এর কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কে।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহেঃ
তিনি রাজ্যদল নিউ সাউথ ওয়েলস ছাড়ার পর সেই দলের অনেক ভক্ত কে খুশি হতে দেখা যায়। শুরু দিকে তিনি বেশ সমালোচিত সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশে এসেও। এর মধ্যে শামসুর রহমানের মত জেনুইন ওপেনার কে চার নম্বরে খেলিয়ে দেখার মত প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত ও ছিল। সেইসাথে বাংলাদেশ দলের চলমান ব্যর্থতা চলতেই থাকে।
কিন্তু দলের চরিত্র পালটে দেয়ার মূল কারিগর ও সেই হাথুরু! দলের জন্য মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নেয়ার দাবি প্রথম জানান তিনি-ই। এবং তার চলমান "এক্সপেরিমেন্ট" এর সুফল পেতে শুরু করে বাংলাদেশ ২০১৪ সালের শেষের দিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে। জিম্বাবুয়ে কে ৮-০ তে ধবলধোলাই করে ছাড়ে দেশের মাটিতে। সেই ছিল শুরু। তারপর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড কে মাটিতে নামিয়ে, নিউজিল্যান্ড কে প্রায় উড়িয়ে দিতে গিয়েও না পেরে, স্কটল্যান্ড এবং আফগানিস্তান কে হারিয়ে জায়গা করে কোয়ার্টারফাইনালে। সেখানে ভারত এর সর্বকালের অন্যতম জোচ্চুরীর গ্যাড়াকলে পরে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশ কে। কিন্তু সাফল্য আমাদের ছেড়ে যায়নি। দেশের মাটিতে পাকিস্তান কে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে ভারত ও দক্ষিন আফ্রিকা কে ওয়ানডে সিরিজ হারায় বাংলার বাঘেরা। সেই সাফল্য টিকে আছে জিম্বাবুয়ের সাথে চলমান সিরিজে পাচ-এ ৫ করার মাধ্যমে।
সেই গর্ডন গ্রিনিজের বাংলাদেশ এবং বর্তমান হাথুরুসিংহের বাংলাদেশের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য। এখনের বাংলাদেশ কাউকে ভয় পায়না, বরং বাংলাদেশ নামটা শুনলে যে কেউ ঢোক গিলতে বাধ্য। কিন্তু এরমাঝে যতজন কোচ আমাদের দেশ ঘুরে গেছেন প্রত্যেকের বিন্দু বিন্দু পরিশ্রমের ফলেই আজকের এই বাংলাদেশের বাঘেরা। প্রত্যেকের কাছেই আমরা জাতি হিসেবে কৃতজ্ঞ।
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: দারুন পোস্ট
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোষ্ট +
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন শেয়ার ফজলু ভাই।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সবাই ভাল কোচ ছিলেন। এদের মধ্যে হাতুড়ে সিংহ কে আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভালো পোস্ট +১