নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সে এক বিরাট ইতিহাস.....

ফজলুভাই

আমি বাংলার ফজলু ভাই... আমি ভাই চিকিৎসার অতীত.।

ফজলুভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঘেদের হুঙ্কারময় একটি বছর : ২০১৫

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

বাংলাদেশের বাঘেদের পৃথিবী যবে থেকে চিনতে শুরু করে তারপরের হিসাবে ২০১৪ সাল ছিল তাদের জন্য ভয়াবহতম! নানা কারণে পুরোটা বছর বাঘ-বাহিনী কাটায় ধুকতে ধুকতে! বছর শেষের সিরিজে জিম্বাবুয়ে কে ৮-০ তে ধোলাই করে আত্নবিশ্বাসের কিছুটা হলেও ফিরে পায় বাঘেরা। সেই পর্যায় থেকেই তাদের যেতে হয় অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে। এর আগের একটা বছর যেমনই কাটুক না কেন, সমর্থকদের আশা ছিল অনেক বড়! যাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশের মানুষ তাদের দলপতি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখিয়ে যান।



বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় আফগানিস্তান কে দিয়ে। ছোট দলের ক্ষেত্রে যে কথা ব্যাবহার করা হয়, "পচা শামুকে পা কাটার ভয়", এই কথা আফগানিস্তানের বিপক্ষে খাটে না! তাদের কাছে এর আগের বছরেই হারতে হয়েছিল দেশের মাটিতে এশিয়া কাপে। এবারো আফগানিস্তান ভয়ংকর দলই ছিল, কিন্তু কোন কিছুকে কোন রকম পাত্তাই দিলেন না যেন রুবেল-মুশফিক'রা! ১০৫ রানে হারতে হল অতিরিক্ত দম্ভ দেখানো নবি"র আফগানিস্তান কে।

শ্রিলঙ্কার কাছে বিশাল ব্যাবধানে হেরে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে থেকে প্রকৃতির দরূনে ১টি পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশে মুখোমুখি হয় অপরিচিত স্কটল্যান্ডের।



কাইল কোয়েটজারের দেরশ' রানের উপর ভর করে স্কটল্যান্ডের তিনশতাধিক রান টা রাত জাগা বাংলাদেশিদের কাছে যেন মনে হচ্ছিল পাহাড়-সম! কিন্তু তামিম-সৌম্য মাঠে নামতেই বুকের বোঝা হালকা হতে শুরু করে তাদের। কিন্তু সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ-তামিমের এক হালি ফিফটি তে স্কটল্যান্ড কে একরকম পাত্তা না দিয়েই জয় পায় বাঘেরা!

এরপরের ম্যাচেই সামনে আসে ইংল্যান্ড! কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচ জেতা ছিল "ফরজ"!



রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার সেই ম্যাচে রুবেলের করা ৪৯তম ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে সেই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৌছে যায় স্বপনের কোয়ার্টার ফাইনালে।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড! মাহমুদুল্লাহ'র টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির উপর ভর করে সেই ম্যাচেও জিততে জিততে হেরে যায় বাংলাদেশ। ক্ষতি তেমন কিছুই বলতে গেলে হয়নি এতে, কিন্তু ঐ ম্যাচ জিতলে ভারতের সাথে খেলা এড়ানো যেত, কে জানে? আমরা কতদূর যেতাম বলা যায় না।



সবার মনেই ছিল সংশয়, জাতি হিসেবে কাপুরুষ ইন্ডিয়ান রা যে কোন কিছু করতে পারে তা সবার জানা ছিল! কিন্ত কোন দেশ যে ক্ষমতার এতটা নিকৃষ্ট ব্যাবহার করতে পারে তা ছিল অকল্পনীয়! সেই চোরামির ইতিহাস কারো অজানা নয়! অবৈধ ক্ষমতার অপব্যাবহার করে বাংলাদেশ কে বিদায় করে দেয় বিশ্বকাপ থেকে! ১৬ কোটি জনগনের সেদিনের অভিষাপ ইন্ডিয়া কে বয়ে বেড়াতে হবে বহুদিন, সেইদিন গুলো দেখার অপেক্ষায় সবাই।


বিশ্বকাপ থেকে ফিরে দেশের মাটিতে প্রথম সিরিজ টি ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে।



১৯৯৯ বিশ্বকাপের পরে সব দলকেই থাবায় আনা গেলেও পাকিস্তান কে যেন কোনভাবেই আনা যাচ্ছিল না। এবার প্রেক্ষাপট ছিল আরো সুন্দর, অনেকটা বলে কয়েই পাকিস্তান কে হারানো গেল। কিন্তু ওয়ানডে হোয়াইটওয়াশ করেই পাকিস্তান কে দেশ ছাড়া করে বাংলার বাঘেরা। তামিম ইকবাল নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেন এই সিরিজেই, আবার তার নতুন সংগী সৌম্য দেখাতে থাকেন নিজের জাত। ওপেনিং এ একটি ভরষার জুটি পেয়ে যায় বাংলাদেশ অনেকদিন পর। আর পায় কে বাংলাদেশ কে? একরকম স্বপ্নের সিরিজ কাটায় তার। সেইসাথে ২০১২ এশিয়া কাপের প্রতিশোধ টাও কড়ায় গন্ডায় উশুল হয়ে যায়।


চলতি বছরের ২০১৫ সালের জুন মাসে আমাদের দেশের আসে ভারত। ১৬ কোটি স্বপ্ন-চুরির বেদনা তখনো তাজা!



প্রথম দুই ওয়ানডে জিতেই বাংলার বাঘেরা দেখিয়ে দেয় যে প্রতিশোধের বারুদ কতটা ভয়ানক হতে পারে। সিরিজ জয়ের মাধ্যমে আমাদের স্বপ্ন-চুরির বদলা দেখিয়ে দেয় নতুন আসা মুস্তাফিজ! মুস্তাফিজের কাটার বিষে বারংবার নীল হতে থাকে ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান রা। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্পিন খেলতে পারা ভারতিয় ব্যাটসম্যান রা এই সিরিজে স্পিনেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তা যেন মনে করিয়ে দেয় অভিষাপের আগুন কেই! কিন্তু এখানেই শেষ নয় বলে আমি মনে করি, আমাদের স্বপ্ন-চুরির জন্য ভারতকে অভিষাপ তাড়া করবে আরো বহুদিন :)


পরবর্তি পুর্নাংগ সিরিজ ছিল দক্ষিন আফ্রিকার সাথে।



সিরিজের প্রথম দুই টি-২০ এবং প্রথম ওয়ানডে হেরে গেলেও সিরিজে ফিরে আসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে। শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজটা নিজেদের করে নেয় বাঘেরা! তারপরের দুই টেস্ট ড্র করে পুরো বিশ্বকে আরেকবার স্মরন করিয়ে দেয় তাদের সামর্থ্যের কথা।
তারপরের সিরিজ টি হবার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সাথে দেশের মাটিতে। কিন্তু নিরাপত্তার কারন দেখিয়ে টেস্ট সিরিজ টি বাতিল করে তারা। আসল কারণ কি ছিল তা এখনো অনেক সংশয় আছে ;)

অনেকটা তারাহুরো করেই জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ আয়োজন করে বোর্ড!



জিম্বাবুয়ে কে জাতিয় প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা বাঘেরা এবারো ছেড়ে দেয়নি! ওয়ানডে তে হোয়াইটওয়াশ করে তবেই ছাড়ে, শেষ টি-২০ জিতে নিয়ে অবশ্য জিম্বাবুয়ে দেশে ফিরে কিছুটা হলেও সম্মান নিয়ে।


স্বপ্নের মত এক বছর পার করলো আমাদের বিরেরা। আশা করবো সামনে এই সাফল্য আরো অনেকদূর বয়ে নিয়ে যাবে তারা।
এত সাফল্যের পেছনের যেই নায়ক, ১৬ কোটির নায়ক, মাশরাফি বিন মোর্তজার প্রতি রইল অসীম ভালোবাসা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১

মেহেদী হাসান শীষ বলেছেন: ফজলু ভাই বাংলাদেশ পুরোপুরি বদলে গেছে তারা বিড়াল থেকে বাঘ হয়ে গেছে বর্তমানে তারা অসাধারন পারফরমেন্স করছে এবং সামনেও করবে ইনশা আল্লাহ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

ফজলুভাই বলেছেন: ঐটাই তো লিখলাম ঘুড়ায় প্যাচাইয়া ভাই ;)
অবশ্যই ভাল করবে ইনশাল্লাহ :)

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট...........++++++++++++++++++++++++++++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

ফজলুভাই বলেছেন: অনেক অনুপ্রেরনা দিচ্ছেন ভাই :)
কৃতজ্ঞ থাকবো আপনার কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.