নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিকিৎসা টিপস

চিকিৎসা টিপস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এইডস কেন হয়? ও বিভাবে প্রতিরোধ করবেন? [বাঁচতে হলে অবশ্যই জানতে হবে]

০৩ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

প্রিয় পাঠক, সবাইকে সালাম ও সুভেচ্ছা:
বার্তমান বিশ্বে আধূনিক সভ্যতার জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ অভিশাপ হলো ’এইচ আই ভি’ বা এইডস। আজকে অাপনাদেরকে এইডস কিভাবে ছড়ায় ও এই রোগ থেকে বেঁচে থাকার কিছু উপায় উপহার দেবার চেষ্টা করবো। এটি একটি বিস্তৃত বিষয় বলে অল্প কথায় শেষ করা অসম্ভব। এখানে আপনাদেরকে সংক্ষেপে বলছি::
এইডস পরিচিতি:
‘এইডস’ কোন রোগ নয়। এটি বিভিন্ন রোগের একটি সামগ্রিক উপসর্গ মাত্র্।
‘এইচ অই ভি’ নামক এক প্রকার ভাইরাস দিয়ে এ রোগ হয়।
এই রোগে নিশ্চিত মৃত্যু হয়।
যেভাবে ছড়ায়:
1. শরীরের নিতটি তরল যেমন: রক্ত, বীর্য, ও মায়ের দুধ এর মাধ্যমে ছড়ায়।
2. নেশা কারীরা একই সিরিঞ্জ দিয়ে ড্রাগ নেয়ার সময় এই ভাইরাস ছড়ায়।
3. একাধিক যৌন সঙ্গী যাদের অাছে বিশেষ করে সমকামীদের মধ্যে এ রোগ বেশি ছড়ায়।
4. গর্ভবর্তী মায়ের এইডস থাকলে তাঁর সন্তানেরও এইডস হয়। (যেমনটি হয় হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসের ক্ষেত্রে যার কারণে লিভার ক্যান্সার হতে পারে।)
5. সেলুন দোকানে একই ব্লেড বা ক্ষুর দিয়ে একাধিক মানুষের দেহে কাজ করলে।
6. হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের রক্ত দেয়া নেয়ার সময়।
7. একই চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ালেও হতে পারে ।
আরো বিভিন্নভাবে এইডস ছড়াতে পারে।
অাক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসলে বা জামা কাপড় ও একই থালা -বাসন ব্যহার করলে এইডস ছড়ায় না।
রোগের লক্ষন: এই্ডস এর জীবানু দেহে কয়েক বছর পর্যন্ত কোন রোগ লক্ষণ নাও প্রকাশ করতে পারে।
1. এই রোগের প্রধান লক্ষণ হলো দেহের রোগ প্রাতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। ফলে সে মানুষটি
যেকোন ছোট ওসুখ যেমন (ডায়রিয়া, কাশি, নিয়োমোনিয়া, যক্ষা) ইত্যাদি রোগে মারা যায়।
2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব জনিত কারণে এইচ অাই ভি আক্রান্ত মানুষটি একই সাথে অনেকগুলো রোগে আ্ক্রান্ত হয়। কারণ একটি রোগ দ্বারা আক্রান্ত হলে সে রোগটি আর ভাল হয়না।
3. দেহের ওজন কমে যায়, দীর্ঘ দিন শুকনো কাশি সহ পাতলা পায়খানা থাকতে পারে।
4. দেহের লসিকা গ্রন্থিগুলো ফুলে যেতে পারে। ত্বকে বিভিন্ন স্টপ দেখা যেতে পারে। জ্বর থাকতে পারে।
5. এভাবে কয়েক মাস বা কায়েক বছরের মধ্যে রোগী মারা য়ায়।
চিকিৎসা: আজ পর্যন্ত এই রোগের কোন টিকা ও চিকিৎসা নাই।
প্রাতিরোধ:
যেহেতু এর কোন চিকিৎসা নাই তাই প্রতিরোধই একমাত্র প্রতিকার।
উপরোক্ত যেসব উপায়ে এইডস রোগের ভাইরাস এইচঅইভি ছড়ায় সেসব কাজ না করলে ও পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করলে প্রায় শতভাগ এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.