![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হিল্লা বিয়ে সম্পর্কে আগে মাঝেমধ্যে শুনতাম, কিন্তু তেমন বুঝতাম না। চিন্তা করতাম এ আবার কেমন বিয়ে! একজনের স্ত্রী অন্যজনের সাথে বিয়ে দেয়, কারন টা কি! যাইহোক হিল্লা বিয়ে সম্পর্কে জানেন না এমন বাংলাদেশী হয়তো একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাংলায় এটা কোনকালেই ছিল না কিন্তু এখন গত পনেরো বিশ বছর ধরে এটা খবরের কাগজে প্রায়ই ওঠে। গ্রাম-গঞ্জের কাঠমোল্লা ও মাতুব্বররা মিলে ফতোয়ার তাৎক্ষণিক আদালতে বিভিন্ন মামলার শরিয়া-মাফিক বিচার করে রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রীয় বৈধতা না থাকলেও সে-রায় প্রচণ্ড সামাজিক শক্তিতে অপরাধীর ওপরে প্রয়োগ করা হয়।
হিল্লা হলো এরই একধরনের শরিয়া-মামলা যাতে কোন হিল্লা বিয়ের কারণে শরিয়া-আদালত কোন দম্পতির বিয়ে বাতিল ঘোষণা করেন। তারপর তাদের আবার বিয়ে দেবার শর্ত হিসেবে স্ত্রীকে অন্য লোকের সাথে বিয়ে ও সহবাসে বাধ্য করেন। দ্বিতীয় স্বামী স্বেচ্ছায় তালাক দিলে তবে সে আবার আগের স্বামীকে বিয়ে করতে পারে। এটা ঘটে প্রধানত স্বামী রাগের মাথায় স্ত্রীকে একসাথে তিনবার তালাক বলে ফেলেছে বলে, তার কথা শোনার সাক্ষী কখনো থাকে, কখনো থাকে না।
এই হিল্লা বিয়ে শুধু বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আর ভারতে নয়, পৃথিবীর সব মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই কম-বেশী প্রচলিত আছে। আরবে এই হিল্লা বিয়েকে হাল্লালা বলে।
অর্থ্যাৎ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হয়ে গেলে তারা আবার বিয়ে করতে চাইলে মধ্যবর্তীসময়ে স্ত্রীকে আরেকটি বিয়ে করতে হতো। এই দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাক্তি (স্বামী) স্ত্রীকে তালাক দিলে বা মারা গেলে স্ত্রী পুনরায় প্রথম স্বামীকে বিয়ে করতে পারতো। এই মধ্যবর্তীকালীন বিয়েকে ‘হিল্লা’ বিয়ে বলে।
হিল্লা বিয়ে হারাম এবং তা মূলত কোনো বিয়েই নয় বরং হিল্লা স্বামীর সাথে বিয়ে ও সহবাস হারাম। সে যাই হোক এখন প্রশ্ন হলো, তালাকের পরে আপন স্ত্রী যদি পর নারী হয়েই যায় তবে তাকে আবার বিয়ে করা বৈধ হওয়া উচিত। কেননা আপন ভগ্নী, খালা-ফুফু ইত্যাদি ছাড়া অন্য কাউকে বিবাহ করা জায়েজ। সে তো তখন ঐ গোত্রেই পরে।
হিল্লা বিয়ে নিয়ে যাদের কনফিউশন আছে, যারা মনে করেন এ বিয়ে ইসলাম স্বীকৃত বা বৈধ, তারা নিচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
হিল্লা বিয়ে ইসলাম বিরোধী ও নারীর প্রতি বৈষম্য - মুফতি কাযী ইব্রাহিম
★★★আইন অনুযায়ী হিল্লা বিয়ে---
এবার আসুন জেনে নিন আমাদের মুসলিম আইনে হিল্লা বিয়ে নিয়ে কি বলা আছে। আমাদের আইনে বর্তমানে এরকম হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ প্রথমবার তালাক দেওয়ার পর হিল্লা বিয়ে নিষিদ্ধ। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত ও গঠনগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। পূর্বে ইসলামিক আইন অনুযায়ী স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তিনবার তালাক উচ্চারণ করতো, অর্থ্যাৎ প্রথমবার তালাক দেওয়ার পরই হিল্লা বিয়ে দিতে হতো, কিন্তু বর্তমানে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবার তালাক দেওয়ার পর হিল্লা বিয়ের নিয়ম এখন আইনে স্বীকৃত নেই।
কিন্তু এখন কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে যদি তিনবার তালাক দেয় এবং স্ত্রীকে পুনরায় নিয়ে আসতে চায় তাহলে হিল্লা বিয়ে দিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অথচ আগে একবার তালাক দিলেই হিল্লা বিয়ে দিতে হতো। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ আইনের ধারা ৭ উপধারা ৬ অনুযায়ী হিল্লা বিয়ের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
(ছবিঃ ইন্টারনেট)
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০২
মার্কো পোলো বলেছেন:
অবশ্যই। হিল্লা বিয়ে নামক যে প্রথা সেটি নারীর উপর একপ্রকার মানসিক অত্যাচার। ইসলাম এটি সমর্থন করে না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৮
মার্কো পোলো বলেছেন:
আমি বলিনি হিল্লা বিয়ে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এটা নয়। কিন্তু এর যুক্তিসংগত ও গঠনমূলক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগে ইসলামিক আইনে হিল্লা বিয়ে পুরোপুরি বৈধ ছিল। অর্থ্যাৎ স্বামী যদি তার স্ত্রীকে তিনবার তালাক উচ্চারণ করতো বা প্রথমবার তালাক দেওয়ার পরই হিল্লা বিয়ে দিতে হতো।
কিন্তু এখন কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে যদি তিনবার তালাক দেয় এবং পুণরায় নিয়ে আসতে চায় তাহলে হিল্লা বিয়ে দিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অথচ আগে একবার তালাক দিলেই হিল্লা বিয়ে দিতে হতো। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ আইনের ধারা ৭ উপধারা ৬ অনুযায়ী হিল্লা বিয়ের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫৮
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: হিল্লা বিয়ের ধারণা হুজুরদের মাঝে প্রকট।ধর্মের নামে এসব কাজ করা সমাজ থেকে দূরীভূত করা প্রয়োজন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
এটি প্রথা ছাড়া কিছুই নয়। মহিলা বা তার স্বামীকে শাস্তিস্বরূপ এরকম করা হতো। কেউ দেখাতে পারবে না ইসলামে এমন বিয়ের অনুমতি আছে কিনা।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: জানা ছিলনা।
ধন্যবাদ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
মার্কো পোলো বলেছেন:
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তালাকের পরে আপন স্ত্রী যদি পর নারী হয়েই যায় তবে তাকে আবার বিয়ে করা বৈধ হওয়া উচিত।
এইটা কী লিখলেন? আপনার আগের পোস্টগুলো পড়ে আর এই পোস্ট পড়ে আপনাকে মেলাতে পারছি না। ইসলামিক রুলস তো আপনার মন মত করা যাবে না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
আমি কোন ইসলামিক রুলস এর বাইরে যাইনি ভাই। আমার সাহস নাই ইসলামিক রুলস এর বাইরে যাওয়ার। কারণ আমি একজন মুসলিম।
হিল্লা বিয়ে যে ইসলাম সমর্থন করে না সেটি হয়তো অনেকেরই জানা নেই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
লিঙ্কটি দেখুন। পড়ার অনুরোধ রইলো।
view this link
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সমাজ সচেতনমুলক পোস্টটি দিয়ে আলোচনার সুত্রপাত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ । সঠিক বিষয়টা বিজ্ঞ পাঠকদের আলোচনায় ফুটে উঠবে সকলের কাছে যুক্তিগ্রাহ্যভাবে । সমাজের সকল মুসলিম উপকৃত হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ। সবাই যেন জানতে পারে সেটিই কাম্য।
শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫
মেহেদী রবিন বলেছেন: হিল্লা বিয়ে নিয়ে একটা সময় অনেক ঝামেলা পোহাতে মানুষ। তখন মুখের কথায় তালাক হয়ে যেত । রেজিস্ট্রির প্রয়োজন হত না। রাগের মাথায় তালাক দিয়ে স্বামী যখন স্ত্রীকে আবার ফিরে পেতে চাইত তখন মহল্লার হুজুররা এই হিল্লা বিয়ের ফতোয়া নিয়ে হাজির হতো। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। এটা যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জানতাম না
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
হুম। হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে বলা যায় একপ্রকার মানসিক যন্ত্রণা।
এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়নি ভাই। আমি উপরের লেখাগুলোর সাথে মিল রেখে বলেছি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মানে আগে প্রথমবার তালাক দেওয়ার পরই হিল্লা বিয়ে দিতে হতো, কিন্তু এখন সেটি নেই, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন তিনবার তালাক দিলে তারপর হিল্লা বিয়ে দিতে হবে। যাইহোক অনেকের হয়তো বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। এডিট করে দিচ্ছি।
৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এটা আসলেই কোন নিয়ম নাকি নিজেদের ইচ্ছামত বানানো কোন ফতোয়া?
পুরাই উদ্ভট।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
ফতোয়া কিনা জানি না। তবে হিল্লা বিয়ে নিয়ে একটুপর কোরআন, হাদিসের রেফারেন্স দিব।
৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: হিল্লা বিয়ে কেবল আইনে নয়, ইসলামী শরিয়তেও নিষিদ্ধ। নিচের লিঙ্কে গিয়ে বিস্তারিত পড়লেই সব ক্লিয়ার হবে।
হিল্লা বিয়ে কি শরিয়ত সম্মত?
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ। লিঙ্কটা গুরুত্বপূর্ণ। কাজে দিবে।
৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
সাহসী সন্তান বলেছেন: এই ব্যাপারটা জেনে রাখা খুব জরুরী! কারণ আমাদের আশে পাশেই অনেকেই আছেন, যারা জেনে বুঝে অথবা অজানায় এই পাপ করে চলেছেন! নির্ঝরের_স্বপ্ন যে লিংকটা দিয়েছেন ঐটাতে ঢুকতে পারলাম না! টাইম আউট দেখাইতেছে! তবে লেখক, চাইলে আপনি আর একটু কষ্ট করে পোস্টটাকে তথ্য সমৃদ্ধ করতে পারতেন!
যেমন হিল্লা বিয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ কোন (?) তার কিছু রেফারেন্স উল্লেখ করতে পারতেন! এবং হাদিস কোরআন অনুযায়ী সেটা ব্যাখ্যা করেও দিতে পারতেন! অথবা ইসলামী আইনে ১৯৬১ সালে কেন এই বিয়েকে নিষিদ্ধ করা হলো (?) এবং পূর্বেই বা চালু ছিল কেন (?) এগুলোও উল্লেখ করতে পারতেন?
তবে হিল্লা বিয়ের ব্যাপারে আমাদের এলাকায় যে নীতিমালা গুলো প্রচলিত আছে, তাতে সহবাসে বাধ্য করানোটা জরুরি নয়। ঐ বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে! অবশ্য স্বামী যদি চান তার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করতে, তাহলে তখন তো আর তাকে কেউ আটকাতে পারবে না? বা আইনও তার বিরুদ্ধে যাবে না!
আর সেজন্য সেখানে বিয়ে দেওয়া হয় পাত্রের বিশ্বস্থ কারো সাথে! এই যেমন, ভাইয়ের ছেলে অথবা বোনের ছেলে ইত্যাদী! কিন্তু কথা হলো, পোস্ট পড়ার পরে এখনও তো কনফিউশন সেই রয়েই গেল! আর একটা কথা, ১৯৬১ সালে আইন করে যদি এই বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়, তাহলে এখনো কেন আমাদের আশে-পাশে এগুলো দেখতে পাওয়া যায়?
যাহোক, তবে এব্যাপারে ব্লগের কোন বিশেষজ্ঞ (যারা ব্যাপারটা সম্পর্কে ভাল জানেন আরকি) ব্যক্তির একটা সুন্দর মন্তব্য আশা করছি!
আপনাকে ধন্যবাদ পোস্টের জন্য!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। এলাকায় যেটি দেখা যায় প্রথমবার তালাক দেওয়ার পর পুনরায় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাইলে হিল্লা বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এটি আইনত নিষিদ্ধ।
আইন অনুযায়ী তিনবার তালাক দেওয়ার পর হিল্লা বিয়ে দেওয়া যাবে, প্রথমবার নয়।
আরেকটা বিষয় যেটি বলেছেন এলাকায় হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে সহবাসে বাধ্য করানো জরুরি নয়। কিন্তু হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে সহবাস বাধ্যতামূলক।
১৯৬১ সালের আইনে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়নি। প্রথমবার তালাক দেওয়ার পর হিল্লা বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পোস্ট এডিট করে এ আইন সম্পর্কে লিখে দিয়েছি।
আমি হিল্লা বিয়ের আদ্যপান্ত দিচ্ছি। কেন বিয়ে আসলো, ইসলাম কতটুকু সমর্থন করে, কোরআন, হাদিসে এ সম্পর্কে কি বলা আছে সব খুঁজে পপেয়েছি। একটু পর দিয়ে দিব।
ধন্যবাদ ভাই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২০
মার্কো পোলো বলেছেন:
ভাই, লিঙ্কটাতে বিস্তারিত আছে দেখুন।
view this link
১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে এই হিল্লা বিয়ের পদ্ধতি প্রচলন ছিল
পুরুষেরই লজ্জা দেওয়ার পদ্ধতি। যে সব
পুরুষ বেলজ্জিত কথার কথায় স্ত্রীকে তালাক
দেয়। এপদ্ধতিতে কি বেলজ্জিত পুরুষের লজ্জা হয়? আর এপ্রোহসন অসহায় নারীর
উপর দিয়েই যায়। ইসলামিক আইনে এর
কোনও বাধ্যবাদকতা নাই। ধন্যবাদ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: হিল্লা বিয়ে শরিয়ত বিরোধী তা কিন্তু নয়। অনেকেই এককথায় বলে ফেলেন হিল্লা বিয়ে হারাম! এভাবে আসলে সঠিক ব্যাপারটির অপব্যাখ্যা হয়। কোরআনে (সূরা বাকারায়) হিল্লা বিয়ের কথা আছে। তবে সেটিকে ভুল ব্যাখ্যা করে যে প্রচলিত হিল্লা বিয়ে সেটি অনৈতিক এবং হারাম। কোরআনে যে হিল্লা বিয়ের কথা আছে তার সঠিক অনুধাবন কখনই কাউকে হতাশ করবে না। আমিও এতদিন জানতাম প্রথমবার তালাকেই হিল্লা বিয়ে জায়েজ হয়, এবং ব্যাপারটা আসলেই একটু কেমন কেমন লাগত। আজ এই পোস্টের উপর ভিত্তি করে আরো কিছু লিংক দেখে আসল ব্যাপারটা পরিষ্কার হল যে তিনবার তালাক এর পর হিল্লা জায়েজ। লেখককে ধন্যবাদ। কিন্তু আপনার বক্তব্যের আরো বিশদ বিবরণ দরকার ছিলো। এখনও অনেকেই হয়ত ভাবছেন হিল্লা বিয়ে বলতে আসলে কিছুই নেই।
পুনঃশ্চ: আপনার লিংকটিতে কিছুই দেখালো না।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনি বলেছেন হিল্লা বিয়ে সম্পর্কে সূরা বাকারা'র ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। আমি কিছু রেফারেন্স তুলে ধরছি, আশাকরি বুঝতে পারবেন।
কিভাবে হিল্লা বিয়ের প্রথা শুরু হলো?
নবী (সাঃ) এর ওফাতের পর মানুষ ধীরে ধীরে ধর্ম থেকে দূরে সরে আসার কারণে এই মুসলিম সমাজে তালাকের প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে এর সমাধানের জন্য এক শ্রেণীর মোল্লাদের দ্বারা হিল্লা বিয়ের মত কু-প্রথা সমাজে চালু হয়ে পড়ে। আর এর জন্য নিন্মের কুরআনের আয়াতকে অপব্যবহার করা হয়। মূলত যে সমস্ত আলেম বা কাঠমোল্লা হিল্লা বিয়ে জায়েজ করতে চায় তারা কুরআন-হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অপব্যাখ্যা করে। আর তারা তাদের স্বার্থে সূরা বাকারার ২৩০ নং আয়াতকে দলিল হিসাবে তুলে ধরে।
فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِنْ بَعْدُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَنْ يَتَرَاجَعَا إِنْ ظَنَّا أَنْ يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ “তারপর যদি সে স্ত্রীকে তালাক দেয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরষ্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই, যদি আল্লাহ হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।” [সূরা বাকারা-২৩০]
একশ্রেণীর মোল্লারা উপরের আয়াতের দোহাই দিয়ে হিল্লা বিবাহ জায়েজ করতে চায়। কিন্তু তারা গবেষণা করে না যে এই আয়াতটি কাদের জন্য প্রযোজ্য। তারা এটাও লক্ষ্য করে না যে, পরবর্তী ২৩২ নং আয়াতে আল্লাহ কি বলেছেন। এবার সূরা বাবাকার ২৩২ নং আয়াত লক্ষ্য করি। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন-
وَإِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَبَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا تَعْضُلُوهُنَّ أَنْ يَنْكِحْنَ أَزْوَاجَهُنَّ إِذَا تَرَاضَوْا بَيْنَهُمْ بِالْمَعْرُوفِ ذَلِكَ يُوعَظُ بِهِ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكُمْ أَزْكَى لَكُمْ وَأَطْهَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থাৎ “তোমরা যখন স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এবং তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করে তবে স্ত্রীগণ নিজেদের স্বামীদেরকে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বিয়ে করতে চাইলে তাদের বাঁধা দিও না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।” [সুরা বাকারা-২৩২]
উল্লেখিত আয়াতে দেখা যাচ্ছে যে, স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর যদি নির্ধারিত ইদ্দত শেষও হয়ে যায়, তখন স্বামীর সাথে পারস্পারিক সম্মতিক্রমে বিয়ে করা যাবে। এখানে মনে হতে পারে যে, সূরা বাকারার ২৩০নং আয়াত ২৩২ নং আয়াতের সাথে বিরোধপূর্ণ, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। উক্ত দুটি আয়াত ব্যাখ্যাগত দিক দিয়ে বিরোধপুর্ণ নয়। এ দুটি আয়াত বোঝার জন্য এখন হাদিস শরীফ অনুসন্ধন করতে হবে। দেখতে হবে নবীজি (সাঃ) কি করেছেন। তার আগে আমি সূরা বাকারার ২৩২ নং আয়াতে শানে নুজুল উল্লেখ করতে চাই। অর্থাৎ কোন প্রেক্ষাপটে সূরা বাকারার ২৩২ নং আয়াত নাজিল হযেছে। তাফসীরে ইবনে কাসীর-এ সূরা বাকারার ২৩২ নং আয়াতের শানে নুজুল সম্পর্কে উল্লেখ আছে-
“আয়াতটি হযরত মা’কাল বিন ইয়াসার (রা) এবং তাঁর বোনের সম্বন্ধে অবর্তীর্ণ হয়। হযরত মা’কাল বিন ইয়াসার (রা) বলেন, ‘আমার নিকট আমার বোনের বিয়ের প্রস্তাব আসলে আমি তার বিয়ে দেই। তার স্বামী কিছুদিন পর তাকে তালাক দেয়। ইদ্দত অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুনরায় সে আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব করে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। আমি শপথ করি যে, তার সাথে আমার বোনে বিবাহ দিব না। তখন এই আয়াতটি (সূরা বাকারার ২৩২ নং আয়াত) অবতীর্ণ হয়। এটা শুনে হযরত মা’কাল (রা) বলেন, শপথ করা সত্বেও আমি আল্লাহর নির্দেশ শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। অতঃপর তিনি তাঁর বোনকে ডেকে পাঠিয়ে পুনরায় তার সাথে তাঁর বোনের বিয়ে দিয়ে দেন এবং নিজের কসমের কাফ্ফারা আদায় করেন। তাঁর বোনের নাম ছিল জামীল বিনতে ইয়াসার (রা) এবং তাঁর স্বামীর নাম ছিল আবুল বাদাহ (রা)।”
আয়াতের শানে নুজুলে দেখা যাচ্ছে কোন হিল্লা বিয়ে ছাড়াই হযরত মা’কাল বিন ইয়াসার (রা) তার বোনকে পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ দিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ ৭ম খন্ড, ৪১৭৩ নং হাদিসেও উক্ত ঘটনা বর্ণিত আছে। তাই জোর দিয়ে বলা যায় সূরা বাকারার ২৩০ নং আয়াত দিয়ে হিল্লা বিবাহের যে অপব্যাখ্যা দেয়া হয় তা সম্পূর্ণ বানোয়াট। সূরা বাকারার ২৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা ভিন্ন হবে যা, পরে আলোচনা করছি। আসলে ঐ সব মোল্লারা এই আয়াতের শানে নজুল জানে না বা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই আয়াতের অপব্যাখ্যা করে থাকে। এবার আমি ২৩২ নং আয়াতের স্বপক্ষে কিছু হাদিস শরীফ পেশ করছি।
*আবু দাউদ শরীফের কিতাবুত তালাক অধ্যায়ে ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত*
তিনি বলেন, রুকানার পিতা আবদ ইয়াযীদ উম্মে রুকানাকে তালাক প্রদান করেন এবং যুযায়না গোত্রের জনৈক স্ত্রীলোককে বিবাহ করেন। সেই মহিলা নবী করীম (সা) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলে, সে সহবাসে অক্ষম, যেমন আমার মাথার চুল অন্য চুলের কোন উপকারে আসে না। কাজেই আপনি তার ও আমার মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিন। এতশ্রবণে নবী করীম (সা) রাগান্বিত হন এবং তিনি রুকানা ও তার ভাইদিগকে আহবান করেন। এরপর তিনি সেখানে উপস্থিত করে সাথীদের সম্বোধন করে বলেন, তোমারা লক্ষ্য করে দেখ যে, এদের মধ্যে অমুক অমুকের বিশেষ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তাদের পিতা আবদ ইয়াযীদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঙ্গে কি মিল খাচ্ছে না? তখন তারা বলেন, হ্যাঁ। নবী করীম (সাঃ) আবদ ইয়াযীদকে বলেন, তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও। তিনি তাকে তালাক দিলেন। এরপর তিনি তাকে নির্দেশ দেন যে, তুমি উম্মে রুকানাকে (পূর্ব স্ত্রী) পুনরায় গ্রহণ কর। তখন তিনি বলেন, আমি তো তাকে তিন তালাক প্রদান করেছি, ইয়া রাসূল্লাহ! তখন তিনি বলেন, আমি তোমার তালাক প্রদানের কথা অবগত আছি। তুমি তাকে পুনরায় গ্রহণ কর। এরপর তিনি কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করেন, ‘হে নবী! যখন তোমাদের স্ত্রীদের তালাক প্রদান করবে, তখন তাদেরকে ইদ্দত পালনের জন্য তালাক দিবে।”ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন, আবদ ইয়াযীদ তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করলে নবী করিম (সা) তাকে পুনরায় গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। [আবু দাউদ শরীফ, ৩য় খন্ড, ২১৯৩নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
উক্ত হাদিস শরীফে দেখা যাচ্ছে যে, উম্মে রুকানাকে নবী করীম (সাঃ)হিল্লা বিবাহ ছাড়াই তার স্বামী আবদ ইয়াযীদ এর সাথে পুনরায় বিবাহ দিলেন। অতএব নবীজি হিল্লা বিবাহকে হারাম জানতেন তা প্রমানিত হলো।
** ইবনে আব্বাস (রা) ও উমার (রা) হতে বর্ণিত **
‘নবী করীম (সাঃ) হযরত হাফসা (রা) কে তালাক প্রদান করেন। এরপর তিনি তাঁকে পুনরায় স্বীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন।” [আবু দাউদ শরীফ, ৩য় খন্ড, ২২৭৭ নং হাদিস এবং সুনানে নাসাই শরীফ, ৩য় খন্ড, ৩৫৬১নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
এ হাদিসেও হিল্লা বিবাহের কোন অস্তিত্ব নেই। হিল্লা বিবাহ ছাড়াই নবীজি (সাঃ) হযরত হাফসা (রাঃ) কে পুনরায় বিবাহ করলেন। তাই হিল্লা বিবাহ অবৈধ, ইহাতে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু সূরা বাকারার ২৩২ নং আয়াত সম্পর্কে হাদিস শরীফে প্রমান পাওয়া যায় যে, হিল্লা বিয়ে ছাড়াই তালাকের পর পুনরায় স্ত্রীকে গ্রহণ করা যায়, সেহেতু ২৩০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা ভুল। সূরা বাকারার ২৩০ নং আয়াত ঐ সমস্ত নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা তালাক প্রাপ্ত হয়ে যাবার পর স্বেচ্ছায় দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে আবার পুর্বের স্বামীর নিকট ফিরে যেতে চায়।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
► কুরআন কি বলে?
কিছু কাঠমোল্লারা না বুঝলেও আল্লাহ পাক ঠিকই বোঝেন। তাই মহান আল্লাহ পাক এরশাদ করেন-
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى
অর্থাৎ “একে অপরের কৃতকর্মের জন্য দায়ী হইবে না” (সূরা নজম ৩৮)।
এ কথা সবাই স্বীকার করবেন যে, অপরাধ হোক বা না-হোক, সেটা করেছে স্বামী। অথচ হঠাৎ তালাক দিলে নিরপরাধ স্ত্রীর জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। সে হারায় তার স্বামী-সংসার ও সন্তান। কিন্তু একজনের অপরাধে অন্যের শাস্তি হওয়া চরম অন্যায়। সে জন্যই কুরআন কি চমৎকার বলেছে –
وَلَا تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থাৎ “তাহাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে না” [সূরা বাকারা-১৪১]
তালাক এবং তাৎক্ষণিক-দ্বিতীয় বিয়ে (হিল্লা বিয়ে) সম্পূর্ণ কুরআন বিরোধী। কুরআন মোতাবেক কোন নারীকে বিয়েতে বাধ্য করার অধিকার কারো নেই। সেই সময়ে নারীকে এ অসাধারণ অধিকার দিয়েছে কুরআন। হিল্লা বিবাহ স্ত্রীকে দিয়ে জোরপূর্বক এক ধরণের বেশ্যাবৃত্তি, যা সম্পূর্ণ হারাম। এই হারাম কাজে যারা জড়িত থাকবে হোক সে মসজিদের ইমাম, অবশ্যই সে জাহান্নামী হবে।
► নাবী কারীম (সাঃ) কি বলেছেন?
এবার আসুন নবী করিম (সাঃ) হিল্লা বিয়ে সম্পর্কে কি বলেন। ইসলামের ইতিহাসে হিল্লা বিবাহের কোন ঠাই নাই। নবীজি (সাঃ) হিল্লা বিবাহকে শুধু ঘৃনাই করতেন না, হিল্লাকারীদের উপর লানত করতেন। জামে আত তিরমিজী ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: ” لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ “.قَالَ أَبُو عِيسَى: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
অর্থাৎ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হিল্লাকারী এবং যার জন্য হিল্লা করা হয় উভয়কে লানত করেছেন।*” ইমাম তিরমিজী বলেন (র), এই হাদিসটি হাসান সহিহ। (জামে আত তিরমিজী, ২য় খন্ড, হাদিস নং ১১২০, হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী)
ইবনে মাজাহ শরীফেও হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত আছে,
لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُحِلَّ وَالْمُحَلَّلَ لَهُ
অর্থাৎ “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হিল্লাকারী এবং যার জন্য হিল্লা করা হয় উভয়কে লানত ((অভিসম্পাত) করেছেন।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ১৯৩৫ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
* উল্লেখ্য যে, হিল্লাকারী হলো দ্বিতীয় স্বামী এবং যার জন্য হিল্লা করা হয় সে হলো প্রথম স্বামী।
হিল্লা সম্পর্কে সাহাবী উকবা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস:
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ: ” أَلا أُخْبِرُكُمْ بِالتَّيْسِ الْمُسْتَعَارِ؟ “، قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: ” هُوَ الْمُحِللُّ “، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّمَ: ” لَعَنَ اللَّهُ الْمُحِللَّ، وَالْمُحَلَّلَ لَهُ ” هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ، ووافقه الذهبي.
অর্থাৎ উকবা ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লুাহ (সাঃ) বলেছেন আমি কি তোমাদেরকে ভাড়া করা পাঠা সম্পর্কে বলবো? তারা বললোঃ অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল, তিনি বললেন, হিল্লাকারী। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, আল্লাহ হিল্লাকারী ও যার জন্য হিল্লা করা হয় উভয়কে অভিসম্পাত করেছেন। ” [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ১৯৩৬ নং হাদিস, ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
হাদিস দুটিতে লক্ষ্য করুন। প্রথম হাদিসে স্বামী এবং হিল্লাকারী পুরুষকে লানত করা হয়েছে। অর্থাৎ অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, তারা আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত। দ্বিতীয় হাদিসে হিল্লাকারী পুরুষকে ভাড়া করা পাঠার সাথে তুলনা করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি বলে আমি অমুকের স্ত্রীকে হিল্লা বিয়ে করে আবার তালাক দিব যাতে সে তার স্ত্রীকে পুনরায় গ্রহণ করতে পারে। হাদিস অনুযায়ী সে ব্যক্তি হলো ভাড়া করা পাঠা। আর এ পাঠার দলে যারা থাকে তারাও পাঠার দল। অতএব যে সমস্ত কাঠমোল্লা বা মাতুব্বর হিল্লাকে বৈধ মনে করবে তারাও পাঠা। আমার জানা মতে এই পাঠাকে একমাত্র কালি পূজায় বলি দেওয়া হয়। দেখুন হযরত উমর (রা) কি বলেন।
“হযরত আসরাম (র) কাবিসাবিল জাবের (রা) হতে বর্ণনা করেন, একদিন হযরত উমর (রা) তাঁর খেলাফতকালে মসজিদের মিম্বরে উঠে বললেন, আমার নিকট যদি এমন মামলা আসে যাতে হিল্লাকারী (২য় স্বামী) এবং যার জন্য হিল্লা করা হয় (১ম স্বামী) এমন কাউকে আনা হয়, আমি দুজনকেই পাথর মেরে হত্যা করবো।” যারা পাপ করে তারা পাপী এবং যারা সেই পাপের সহযোগিতা করে তারাও পাপী। অতএব সাবধান যারা হিল্লা বিবাহকে সহযোগিতা করবে তারাও পাপের অংশীদার।
ধন্যবাদ ভাই। এখন বুঝে নিন। উপরের এসব আমার মতামত নয়। লিখেছেন - মুফতি কাযী ইব্রাহিম।
১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: হিল্লা বিয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পক্ষে শরিয়তের দলিল নিচের লিঙ্কে পাওয়া যাবে
https://eshoallahorpothe.wordpress.com/বিবাহ-বিষয়ক/হিল্লা-বিয়ে/
হিল্লা বিয়েকে রাসুল (সঃ) লানত দিয়েছেন
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। লিঙ্কটা উপরে দিয়ে দিয়েছি।
১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
অরুনি মায়া অনু বলেছেন: আমি বিষয়টিকে একটু অন্য ভাবে দেখি | যেখানে বারবার নিষেধ করা হয়েছে তালাক শব্দটি কথায় কথায় উচ্চারণ না করতে | স্বামী পুরুষটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে যেন তার ভাষা সংযত করে | বিয়েটা যে কোন ছেলে খেলা নয় সেটা নিয়ন্ত্রণ করতেই হয়ত হিল্লা বিয়ের প্রচলন করা হয়েছে | এটাকে আমি একপ্রকার শাস্তি মনে করি | নারীর সম্মান নষ্ট করার জন্য পুরুষের প্রতি শাস্তি | যদিও এর জন্য নারীকে সাফার করতে হয় | একটা পুরুষের উচিত নয় যখন তখন তার স্ত্রীকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা | তবে হিল্লার নিয়ম সম্পর্কে দুই রকম নিয়ম শুনেছি | আগে জানতাম দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হতেই হবে, কিন্তু পরে শুনেছি শুধু বিয়ে হলেই চলবে | সহবাস প্রয়োজন নেই | এই ব্যাপারে এর বেশি কিছু জানা নেই |
তবে আঈন যেটাই হোকনা কেন, বিষয়টি মেয়েদের জন্য বিব্রতকর, কষ্টকর, অপমানজনক |
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩১
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।
বিয়ে মানেই হচ্ছে দুটি আত্মার বন্ধন, যা কোরআন, ইসলাম কতৃক স্বীকৃত। বিয়ে এতটাই গুরুত্ববহন করে যা নতুন করে বলার কিছু নেই। অথচ অনেক পুরুষের কাছে এটি ছেলে খেলার মতো, ইচ্ছেমত তালাক দিবে আবার বিয়ে করবে। এ বিষয়ে কিন্তু ইসলামে কড়াকড়ি করা হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো শাস্তিস্বরূপ এ বিয়ের প্রচলন করা হয়েছিল। কিন্তু এটি একপ্রকার প্রথা হিসেবে চলে আসে, যা পরবর্তীতে অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।
হিল্লার যে নিয়ম সেটি হচ্ছে, দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস বাধ্যতামূলক। অনেকে বলে সহবাস বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু এটি ভুল ধারণা।
আমাদের আইন পরবর্তীতে তালাকের পরই যে হিল্লা বিয়ে দিতে হবে এটি নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু এ বিয়ে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়নি। এখন পরিবর্তন বলতে তিনবার তালাক দেওয়ার পর হিল্লা বিয়ে দিতে হবে।
নিয়ম যাই থাকুক এটি কিন্তু চরম বিব্রতকর, নারীর জন্য একপ্রকার মানসিক অত্যাচার, অপমানজনক।
১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আয়াতগুলোর উপর আপনার ব্যাখ্যার জন্য। আসলে বাংলা মিডিয়াম অথবা ইংলিশ ভার্সনে গতানুগতিক পড়াশুনা করে আমাদের খুব কম মানুষেরই ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানার্জনের ভাগ্য হয়। আমিও সেই হতভাগা মূর্খদেরই একজন। আরও হতভাগা একারণে যে যদি কিছু একটা সঠিকভাবে জানার চেষ্টাও করি সেটার পক্ষে বিপক্ষে এত্ত এত্ত রেফারেন্স পাওয়া শুরু করি যে শেষে কনফিউজড হয়ে যাই যে কোনটা সঠিক! আর শুধুমাত্র কোরআন পড়েই নিজে নিজে অর্থ উদ্ধার করার দুঃসাহস দেখানোর কথা তো কল্পনাও করতে পারিনা!
আমি শুরুতেই বলেছি, আজ এই লেখাটা পড়েই আরো কিছু লিংক দেখে আমি যা বুঝেছি তাই বলেছি। তার মধ্যে দুটো লিংক হল-
https://www.amarblog.com/Ijjat-Ali/posts/178542
http://www.peaceinislam.com/najnin/7542/
যাই হোক, এখনও দুঃখের সাথেই জানাচ্ছি যে আমি আসলেই পুরোপুরি বুঝিনি :-(
২৩২ নং আয়াতের ব্যাখ্যা পরিষ্কার। কিন্তু সেগুলোর কোনো ঘটনাতেই তো তিনবার তালাকের কাহিনী ছিলো না। তাই হিল্লা বিয়েরও প্রশ্ন আসে না। আবার ২৩০ নং টা একদমই বুঝি নি। সেই আয়াত যদি শুধু মাত্র অইসব মহিলাদের জন্যে হয় যারা তালাকের পর দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করেছে তাইলে তো আয়াতের অনুবাদের সাথেও ঠিকমত মিলছে না। কই যাই? :-( আরেকটু বোঝানু যাবে কি?
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। আমি নিজেও কোরআন, হাদিস সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। আইনি বিষয়সমূহ নিয়ে ধারণা রাখি। আয়াতের ব্যাখ্যা বা শানে নূযুল দেওয়ার মতো দুঃসাহস আমার নাই।
উপরের আলোচনা সাপেক্ষে ক্লিয়ার হয়েছি এ বিয়ের বৈধতা কতটুকু।
১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৪
কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা তাহলে মা কালি এই পাঁঠা গুলকে বলি
দিয়ে দিয়ে গলায় ঝুলাত।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮
মার্কো পোলো বলেছেন:
১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
পবন সরকার বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
আশাবাদী অধম বলেছেন: মার্কো পোলো ভাই, এইবার কিন্তু সত্য সত্যই আপনাকে চিনে ফেলেছি।
যাহোক, আমি এখানে সামান্য কিছু বলতে চাই।
আগে আমাদের বুঝতে হবে তালাক কোন খেল তামাশার নাম নয়। তালাক তো দেয়া হয় এই উদ্দেশ্যে যে এই দম্পতি চিরস্থায়ী ভাবে পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যাবে। উঠতে বসতে তালাক দেয়া মূর্খতা। যে তালাক দিয়ে আবার সংসার করতে চায় সে কেন তালাক দেয়ার আগে বোঝেনা যে ভালোবাসার জিনিস ভেঙ্গে ফেলতে নেই!
তালাক দেয়ার পদ্ধতি তিনটি-
আহসান
হাসান
বিদআত
১. আহসান হল আপস মীমাংসার সব প্রচেষ্টা বিফল হলে স্বামী স্ত্রীকে (তালাকে তাফবীজে স্ত্রী স্বামীকে) তালাক দিবে। এক, দুই বা তিন কোন কিছু বলার প্রয়োজন নেই। ফলে ইদ্দাত শেষ হলে স্ত্রী স্থায়ীভাবে স্বাধীন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় উভয়ে যদি পুনরায় সংসার করতে চায় তবে হিল্লা-বিল্লা ছাড়াই যেদিন খুশী সেদিন পরস্পর বিবাহ করে সংসার শুরু করতে পারবে।
কিন্তু স্ত্রী যদি অন্য কোন পুরুষকে ইতোমধ্যে বেছে নেয় স্বেচ্ছায়, সেক্ষেত্রে এ সুযোগ থাকবেনা।
তালাক এভাবেই দেয়া উচিত।
২. হাসান হচ্ছে পর পর তিন পিরিয়ড পরবর্তী সুস্থ সময়ে তিন বারে তিন তালাক দেয়া। এক্ষেত্রে প্রথম দুইবারে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে। তৃতীয় বারে তালাক দিয়ে ফেললে আর ফিরিয়ে নিতে পারবে না।
৩. বিদআত হচ্ছে এক বৈঠকে তিন তালাক দেয়া। এভাবে তালাক দেয়া ইসলামে নিষেধ। কিন্তু দিলে কার্যকর হয়ে যাবে।
আহলে হাদীস মতে এক বারে তিন তালাক দিলেও এক তালাকই পড়বে।
MFLO ১৯৬১ তে মূলত এ মতের ভিত্তিতে হিলার প্রয়োজনীয়তা উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিন তালাকের পর ইসলামি আইন অনুযায়ী কোন দম্পতির সংসার করার সুযোগ থাকেনা যা প্রথম দুই বারে থাকে।
সেক্ষেত্রে একমাত্র উপায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ হবে। সেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তালাক হবে বা সেই স্বামী মারা যাবে। এর পর আগের স্বামীর সাথে বিবাহ বৈধ হবে। এটাকে হিলা বলেন আর যাই বলেন এটা ইসলামে আছে।
কিন্তু আমাদের দেশের সাজানো হিলা যেখানে বিবাহটি হচ্ছে প্রতারণা। আগেই কথা থাকে, একরাত পরে তালাক দিবে। এটা হারাম, ইসলামে এর কোন স্থান নেই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
মার্কো পোলো বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাই। আমাকে কি সত্যিই চিনেছেন নাকি ব্লগে নাম মাত্র?
তালাকের পদ্ধতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আবারো ধন্যবাদ।
১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: @আশাবাদী অধম ভাই যা বলেছেন আমিও নেটে পড়াশুনা করে সারমর্মটা অইরকমই বুঝেছি। এখন কোনটা ভুল, কোনটা সঠিক সেটা আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআনের সহীহ শুদ্ধ ব্যাখ্যা জানার তৌফিক দান করুক।
১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
আশাবাদী অধম বলেছেন: আপনি জিয়া হলের.......ভাই। এক সময়......আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলেন।
আমি আপনার ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাই।
বুঝাইতে পারলাম?
নামও বলতে পারি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
মার্কো পোলো বলেছেন:
না হয়নি। যার কথা বলেছেন সে ৪১৩ তে থাকতো এবং সে আমার ফ্রেন্ড। এখন সে আমার রুমমেট। সে হল ছেড়ে দেওয়ার পর আমরা একসাথে থাকি। তার সাথে কন্টাক্ট করে আমার নাম জেনে নিতে পারেন।
আপনি আমার ডিপার্টমেন্ট এর শুনে খুব ভাল লাগলো। তবে আপনার নামটা জানা দরকার। অথবা আমার বন্ধুর সাথে কন্টাক্ট করে পরিচয় টা দিবেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
মার্কো পোলো বলেছেন:
অথবা আমার আরেক ফ্রেন্ডকে হয়তো বুঝিয়েছেন, সে হল....শাখার সভাপতি ছিল। তাকেও আমার এলাকার নাম না বললে চিনতে পারে, অথবা এলাকার নাম বলার পর যদি চিনতে না পারে আমার নাম বললেই চিনবে। আমি ৩৬ তম ব্যাচের।
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টের লেখককে,যারা মন্তব্য করতে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এবং আবারো ধন্যবাদ লেখককে প্রতি মন্তব্য বিষদ ভাবে করার জন্য। তালাক এবং হিল্লা বিয়ে নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত নীতি নিয়ে আমি ভাবতাম আল্লাহ কেন এমন বিধান দিলেন যা নারীর জন্য মানসিক নির্যাতন এবং অপমানের কারণ হয়। এমনকি টিভির ইসলামি অনুষ্ঠানে, অন্তর্জালে সব আলোচকদের বলতে শুনেছি তালাক তালাক তালাক বলামাত্র কার্যকর হবে, জ্বরের প্রলাপে বল্লেও বা ঠাট্টা করে বল্লেও । ধন্যবাদ আরেকবার আশাবাদী অধম।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
ইসলামে হিল্লা বিয়ে আগে কখনো ছিল না, কালের বিবর্তনে এটি স্থান করে নিয়েছে। অনেকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এর সপক্ষে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এটি আসলে ইসলামে স্বীকৃত নয়। যদিও আইনে এখনো পুরোপুরি নিষিদ্ধ হয়নি।
আগে সমাজে নিয়ম ছিল তিনবার তালাক উচ্চারণ করলেই সাথে সাথেই তালাক কার্যকর হতো, কিন্তু এখন আইনে এটি নেই। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ আইনে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর আমার ডিপার্টমেন্টাল ভাই আশাবাদী অধমকেও আবারো ধন্যবাদ।
২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪০
কালীদাস বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। উত্তম জাঝা
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৪
সুমন কর বলেছেন: যত্তসব্ব আজগুমি নিয়ম !!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৯
মার্কো পোলো বলেছেন:
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩০
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪
মার্কো পোলো বলেছেন:
এটি কি আপনি লিখেছিলেন??
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:০০
মার্কো পোলো বলেছেন:
আপনার লিঙ্ক দেখলাম এবং এও দেখলাম লেখাটি আপনার না, কপি করেছেন। আমি যেই লিঙ্ক দিয়েছি উনার লেখা।
কপি করেছেন ভাল কথা, কিন্তু অন্তত লেখকের নাম দেওয়া উচিত ছিল।
এবার আপনার লেখা আর আসল লেখকের লেখার মিল দেখুন ১০০%।
নিচের লিঙ্কটাতে ক্লিক করলেই বুঝতে পারবেন।
হিল্লা বিয়ে ইসলাম বিরোধী ও নারীর প্রতি বৈষম্য - মুফতি কাযী ইব্রাহিম
২৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
আশাবাদী অধম বলেছেন: আমি ৩৮। আপনার সাথে যোগাযোগ করব ইনশাআল্লাহ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫
মার্কো পোলো বলেছেন:
কাফি অথবা শাওনকে বললে হবে। আপনার সাথে দ্রুত যোগাযোগ হোক।
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২
আশাবাদী অধম বলেছেন: আমি ৩৮। আপনার সাথে যোগাযোগ করব ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫০
শূন্যতার প্রাপ্তি বলেছেন: এতোদিন এই হিল্লা বিয়ে নামক ব্যাপার টা আমায় প্রচন্ড হতাশ করতো। মনে হতো যদি ক্ষমতা থাকতো এই আঈনটা কে নিষিদ্ধ করার, তবে কবেই করতাম। এই মুহুর্ত থেকে খুব ভালো লাগছে জেনে যে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে হিল্লা বিয়েকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতোদিন জানতাম না। হয়তো আমার মতো আরো অনেকেই এটা জানেনা। বিশেষ করে গ্রামের লোকজন তো নয়ই। আমাদের উচিৎ এ বিষয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয়া।