![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ আমার বিয়ে।এইভাবে বিয়ে করার কোন ইচ্ছা ছিলো না।কিন্তু উপায়ও ছিলো না......
ছেলে অনেক ভালো, আমি যেমনটা বলেছিলাম, পরিবারের সবার পছন্দ, আর আমিওতো ঠিক করেছিলাম যে তাদের পছন্দেই বিয়ে করবো।তাই না বলার আর কোন উপায় ছিল না।
সবাই খুব ব্যস্ত।বরপক্ষ আসবে একটু পর।আমি পার্লার থেকে পুতুলের মত করে সেজে এসে চুপচাপ বসে আছি।কত যে মেকআপ করাইছে।আমি আমার সারাজীবনে বোধহয় মুখে এত কিছু দেই নাই, আজকে যত জিনিস আমার মুখে ঢালসে এরা।উফ এত কষ্ট বিয়েতে, অথচ আমি ওকে কতবার ফাজলামি করে বলেছি, পালিয়ে বিয়ে করব তাহলে অত ভারি মেকআপ মেরে বসে থাকতে হবেনা।অথচ সেই আমি আজ একগাদা মেকআপ করে অপেক্ষা করছি..... কতজন যে এসে এসে আমাকে দেখে যাচ্ছে।একের পর এক ছবি তোলা হচ্ছে।নিজেকে চিড়িয়া চিড়িয়া মনে হচ্ছে।যখন ভিডিও করতে আসছে এত গরম আলো আমার উপর ফেলতিছে অসহ্যলাগছে।এখনই তো ঘেমে শেষ হয়ে গেলাম।সারাদিনে কি হবে আমার আল্লাহ ভালো জানে......
আমার সব বন্ধু আসতে পারেনি।সেও আসেনি।আমিই মানা করেছি আসতে।সে আমার কথা রেখেছে।যারা এসেছে তারাও সবাই আশেপাশে নাই।কই এগুলা?ভালো লাগছে না বসে থাকতে।উঠে দাড়াতে পারলে ভালো লাগত।পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরে গেছে....
অনেক হইচই বাইরে, মনে হয় বরপক্ষ চলে আসছে।হায় হায় একটু পরই তো আমার বিয়ে হয়ে যাবে।আর আমি ঠিক করছি, বিয়ের পর আমি ওর কথা একটা বারের জন্যেও মনে করব না।আমার কোন অধিকার নাই আমার হাসবেন্ড কে ঠকানোর।এই শেষ মুহুর্তে কত কথা যে মনে পরে যাচ্ছে।খুব কষ্ট হচ্ছে।বুক ফেটে কান্না পাচ্ছে।কিন্তু কান্নাও তো করা যাবে না।বিদায়ের আগে কাঁদলে শুধুশুধুই সবাই প্রশ্ন করবে....
ও আমার খুব ভালো বন্ধু।একসাথে ভার্সিটি তে পড়তাম।আমি আর ও অবশ্য আলাদা ডিপার্টমেন্টে পড়তাম।তারপরও আমাদের মধ্যে একটা ভালো বন্ধুত্ত ছিল।প্রথম প্রথম ওকে ঠিকভাবে চিনতামও না।কিন্তু কেন জানি ওকে খুব ভালো লাগত।ভার্সিটির প্রায় দেড় বছর পর ওর সাথে এক নিউ ইয়ার এ হঠাৎ কথা হল।ফাজলামি টাইপ এর কথা বার্তা।তারপর আস্তে আস্তে কিভাবে যে আমার এত কাছের বন্ধু হয়ে গেলো আমি বুঝতেই পারিনি।এত বেশী ফাজলামি করছি আমরা।এত কিছু শেয়ার করছি ওর সাথে যে বলে শেষ করা যাবেনা।একটু একটু করে একসময় আমি দুর্বল হতে শুরু করলাম ওর প্রতি।ও হয়ত কখনও কখনও বুঝতেও পারত কিন্তু কিছু বলত না।আমিও ফাজলামি করতাম, সেও।ওর অনেক খারাপ অভ্যাশ ছিল।অনেক খারাপ ধরনের কাজ কারবার করত।তারপরও কেন জানিনা ওর প্রতি আগ্রহ এতটুকু কমাতে পারিনি।ওর অনেক বন্ধু ছিল।আমি হয়ত তেমন গুরুর্তপূর্ন ছিলাম না কিনবা হয়তবা আমাকে কখনও কিছু বুঝতে দেয়নি।আমি আজও জানিনা।আমি কখনই কিছু বলতে চাইনি ওকে।একদিন মুখ ফসকে একটা কথা বলে ফেলার পর ও চাপ দেয়া শুরু করল।পরীক্ষার আগের রাত ছিল, আমাকে ব্লাকমেইল শুরু করল, তুই পরীক্ষার আগে আমার সাথে এমন করতেছিস, কি বলতে চাইছিলি বল নইলে মনে করব তুই আমাকে বন্ধু মনে করিস না।সেইদিন অনেক চেষ্টা করেও কেন জানি নিজেকে থামাতে পারিনি।একটু ঘুরিয়ে বললাম কিন্তু বলে ফেললাম........
এরপরও আমাদের বন্ধুত্ত ছিল, অনেকদিন ছিল, কোন সমস্য হয়নি, এরপরও আমরা কতদিন এই সিরিয়াস বিষয়টা নিয়ে অবলিলায় ফাজলামি করে গেছি তার হিসেব নাই।কিন্তু একবার যখন প্রকাশ হয়ে গেছে তখন মাঝে মাঝেই আমার একটু বেশি খারাপ লাগতে শুরু করলো।ওর কিছু কিছু কথায় মাঝে মাঝে খুব কষ্ট পেতাম।একা একা কাঁদতাম।কিন্তু কিছুই করার ছিল না।আমি জানতাম এটা সম্ভব না।তারপরও ওকে ভালোবাসতাম।খুব ভালোবাসতাম।একদিন রাতে ওকে বলেছিলাম, "আমি যদি তোকে কোনদিন বলি, আমি তোকে অনেক অনেক ভালোবাসি, তাহলে কি তোর আমার সাথে কথা বলতে হেসিটেট ফিল হবে"।ও বলেছিল, "না একদম না"।তারপর বলল, "তাইলে বলে ফেল"।ও এই কথাটা কেন বলেছিল জানিনা।তখন খুব ভালো লাগছিলো।কিন্তু আমি কেন জানিনা কিছুই বলতে পারিনি......
ও আমাকে কতবার বলেছে, সিরিয়াসলি বলতেছি, আই লাভ ইউ।কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার বলত আমি ফাজলামি করছি।কিছু কিছু কথায় খুব কষ্ট পাইছি।তারপরও চুপ থাকতাম....
একদিন খুব খারাপ ব্যবহার করলাম, ফোন দেয়ার পর খারাপ ভাবে কথা বললাম, এটাও বললাম আর যোগাযোগ রাখব না।কিন্তু ধরে রাখতে পারলাম না।পরদিনই ভার্সিটিতে যেয়ে বললাম, বিকেলে আমার সাথে দেখা করবি।কোন কারন ছাড়াই দেখা করলাম।ঘুরে বেড়ালাম।কতদিন চিন্তা করছি আর ফোন দিব না।তারপরও ফোন দিতাম।এরকম করতে করতে একদিন কি হলো জানিনা, ও এভয়ড করা শুরু করল, আর আমারও ইগো এত বেশী ছিল যে আমি কয়েকবার ফোন দিলাম কিন্তু কিছু জিজ্ঞাস করলাম না।আস্তে আস্তে আগের মত যোগাযোগ হওয়া বন্ধ হয়ে গেলো।আমি যা শুরু করতে চাইছিলাম, ও সেটা শেষ করে দিল।খুব কাঁদলাম, খুব।কিন্তু কিছুই বলার ছিল না।করারও ছিল না।শুধু শুধু কষ্ট পেলাম।আল্লাহর কাছে কত দোয়া করছি।কতবার মনে হইছে, ও যদি একবার আমাকে জড়িয়ে ধরে বলত, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, কিন্তু তোমার সাথে থাকতে পারব না, আই আম সরি।আমার আর কিচ্ছু লাগতো না।আমি নিজের প্রতি নিজেই অবাক হয়ে যাই, আমি কিভাবে এমন একটা ছেলে এত প্রচন্ড ভালোবাসলাম.....
অনেক দিন যোগযোগ নাই, যেদিন বিয়ে ঠিক হল, সেদিন আমিই ফোন দিছিলাম, বললাম আমার বিয়েতে খবরদার আসবিনা, আমার জন্যে দোয়া করিস, কারন তোকে অনেক বেশী ভালোবাসি।
আজ ফাইনালি সব শেষ, একটুপর বিয়ে, আমি আর তোমাকে মনে করব না।একটা নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছি।আমার হাসবেন্ড অনেক ভালো।তাকে আমি যে কোন মুল্যে সুখি দেখতে চাই।।
গল্পটা পরে কেউ প্লিজ বিভ্রান্ত হবেন না...গল্পটা আমার লিখা কিন্তু আমার জীবনের কাহিনী না...তবে হ্যা গল্পটা সত্য মিথ্যা মিশিয়ে লিখা....
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৩৩
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: এই গল্পটা আমার লিখা....কিছু মনে করবেন না....গল্পটা সত্য মিথ্যা মিশিয়ে লিখা.....
২| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৩৩
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
তোমার হাসবেন্ড অনেক ভাল জানলে কি করে?? আজাইড়া
পরে দেখবে, ওই হাসব্যান্ড গলায় লোহার ব্যান্ড হয়া আটকে আছে, রাখতেও পারছোনা, খুলতেও পারছো না।।।
এসব ন্যাকা ন্যাকা কথা ছাড়ো.... যেখানে বসে আছো সেখান থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে মেকাপ টেকাপ ধুয়ে পেছনের গেট দিয়ে বেরিয়ে বাইরে ওয়েট করো। ও হ্যাঁ তার আগে দয়া করে ফোনটা অন করে তোমার ওই বন্ধুটাকে কল দাও সে যেন এসে বাসার পেছন থেকে তোমাকে নিয়ে যায়। যাই করো, নিজের সাথে প্রতারনা করো না, কখনও সুখ তো দুরে থাক, শান্তিতেও থাকতে পারবে না।।।
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৩৬
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: হা হা হা হা হা হা হা হা..........অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্টটা করার জন্যে.....অনেকদিন পর মন খুলে হাসলাম....ভাই বিয়া করতে দেরি আছে.....
৩| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৪৬
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
আমি গল্পের লেখিকাকে বলিনি, গল্পের ওই অপরিচিত একটা ভাল হাসবেন্ডের জন্য বউ সেজে বসে নিজের সাথে প্রতারনা করা মেয়েটাকে বলেছি।
ওহ, আপনার বিয়ের এখনো দেরি আছে? দাওয়াত পাবার এখনও সম্ভাবিলিটি আছে বলছেন?
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৫৪
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: হুম অবশ্যই....এই ব্লগ থেকে যদি হারিয়ে না যাই অবশ্যই দাওয়াত পাবেন....
৪| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০১
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
বিয়ের দাওয়াত দেন বা না দেন, ব্লগ থেকে যেন হারাবেন না, আমরা আপনার কছে আরো অনেক লেখা চাই।
শুভ কামনা রইল।
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৪
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: ধন্যবাদ...
৫| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ২:১২
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন: স্বাগতম। আপনি মনে হয় এখনও ওয়চ মোডে আছেন, সেইফ হননাই?
১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৪০
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: হুম.............
৬| ১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:৫৬
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
হুম বলে বাঘমামার গর্জন দিয়ে, মুখটা এমন হলো কেন??? মন খারাপের কিছুই নাই................ লেখা প্রথম পাতায় যাচ্ছেনা তো কি হয়েছে, আমরাই তো আপনাকে খুঁজে নিচ্ছি......... জানেন তো আগুন যেমন ছাই দিয়ে চেপে রাখা যায় না, প্রতিভাকেও লুকিয়ে রাখা যায় না, সামু যতই ষঢ়যন্ত্র করুক না কেন.......
১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ১১:২৭
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: হি হি হি....আমার আবার প্রতিভা....মজা পাইলাম কথাটা শুনে.....
তবে খুঁজে বের করার কষ্ট করার জন্যে ধন্যবাদ....
৭| ১৯ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৩৪
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
এইতো শুনে মজা পাওয়ার প্রতিভা তো আছে, আজকাল কেউ মজা পেতে জানে না, সবকিছুতেই বিরক্তি..........
১৯ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: আমারও সবকিছুতেই বিরক্তি.....মাঝে মাঝে মজা পাই একটু....
৮| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:২৭
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
ভাল জিনিস কম বলেই নাকি ভালটা এখনও ভাল আছে, না হলে ভাল ব্যাপারটাও সাধারন হয়ে যেত, আমার কথা না, রবি ঠাকুর এরকম একটা কিছু বলে এই ব্যাপারটাই বোঝাতে চেয়েছেন। তবে মজার ব্যাপারে যেন মজা পান, সেটা হলেই হবে, নাহলে নিজের কাছেই সবকিছু বিরক্তিকর লাগবে
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৪
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: যখন খারাপ সময় চলে তখন মজার বিসয়েও মজা পাওয়া যায় না।সব কিছুই বিরক্তিকর মনে হয়.....
৯| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:৩৯
অণুজীব বলেছেন:
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৫
ফারহানা নিশিতা বলেছেন:
১০| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৩
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
খারাপ সময়ে তো এমন হতেই পারে। দোয়া করি যেন আর খারাপ সময় না আসে।
২০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:২০
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: hope so....
১১| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৩
মরু প্রান্তর বলেছেন: জমে উঠেছে। আহা!
২০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: আহা হা হা হা..............................
১২| ২০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব্ বলেছেন:
আজ যে ওয়েদার তাতে তো জমে আইস হয়ে যাচ্ছি... আপনাদের কি খবর?
১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৮:১৬
ফারহানা নিশিতা বলেছেন: আপনার খবর কি??অনেকদিন আসা হয় না।কিছু লিখাও হচ্ছে না।ভালো আছেন??
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:২৯
সবুজ মহান বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়লাম
স্বামীকে নিয়ে সুখী হোন প্রত্যাশা রইলো
একটা সময় হয়তো আপনার প্রেমিক পুরুষটি তার ভুল বুজতে পেরে আপনাকে পেতে চাইবে ....তবে প্লিজ সেই পুরনো আবেগে ভেসে যাবেন না....আপনি একজন ভাল স্বামী পেয়েছেন...এটাই বা কয়জন পায়....তাকে নিয়েই ভাল থাকেন