![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল আমাদের দেশের বড় বড় সাপুড়েরা কেঁচোর গর্তে সাপ খুঁজে বেড়ান। কারণ বলাই তো আছে কেঁচো খুড়তে সাপ বের হয়। আমাদের মহান সাপুড়েরা তাই সাপেদের কষ্ট করে বানানো গর্তে খোড়াখুড়ি করেন না। ফলে সাপ মহোদয়গন তাদের নিজ নিজ গর্তে বহাল তবিয়তেই অবস্থান করেন এবং আপন গর্তে বসে ফণা বিস্তার করে চলেন। অথচ দুনিয়ার যত ঝড়-ঝঞ্ঝা সব কেঁচোদের ঘাড়ে।
সাপুড়েদের এমন কেঁচো খুড়তে সাপ বের হওয়া নীতির কারণে দেশের কেঁচো সম্প্রদায়ের যেমন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে ঠিক তেমনিভাবে সাপকুল কোন বিপত্তি ছাড়াই তাদের ফণার জোর বৃদ্ধি করে চলেছে। যা মনুষ্যের জন্য ভীতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
উদ্ভুত সমস্যা সমাধানকল্পে সাপুড়ে সমাজের জনৈক সাপুড়ে সর্দার একটি বায়বীয় পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন। সাপেদের ফণা দমনে এর শতভাগ কার্যকারীতা তুলে ধরে নিজ ক্ষমতাবলে এই পদ্ধতিকে আইনে রুপদান করলেন।
দিন পাঁচেক পর কাগজে খবর ছাপল
- “বায়বিয় আইনের আবিষ্কারক ও প্রবর্তক সাপুড়ে সর্দারের উপর ফণাক্রমন”
-“সারাদেশে ফণা ব্যবহার করে ১১ খুন”
-“বায়বিয় পদ্ধতি প্রয়োগ সত্ত্বেও বেড়ে চলেছে ফণাকাণ্ড”
হরহামেশা হত্যাকাণ্ড এবং অরাজকতা বাড়তে থাকায় আশেপাশের শক্তিশালী দেশগুলোর সাপুড়েরা তাদের তাবিজ কবজ নিয়ে সাপ ধরবার অযুহাতে এদেশে প্রবেশ করার পায়তারা করল। সাপের গর্তে অন্য কিছু ফলাবার চেষ্টা আর কি ।
ফণাকাণ্ড আরো জটিলরুপ ধারন করল। দেশের সাপুড়ে রাজ বহিঃদেশীয় সাপুড়েদের চক্রান্ত নস্যাৎ করার জন্য নতুন এক বুদ্ধি বের করলেন। পরদিন সাপুড়েরাজের নির্দেশে সকল সরকারী এবং বেসরকারী টিভিতে প্রচার করা হল যে এক রুদ্ধশ্বাস খোঁড়াখুড়ির মধ্য দিয়ে ফণাকাণ্ডের মূলহোতাদের ধরে আনলেন দেশের বিখ্যাত সাপুড়েরা। অবশেষে অবসান হল ফণাকাণ্ডের। এই ঘটনায় একটি আন্তর্জাতিক সাপুড়ে মহলের মনঃক্ষুন্ন হল। অনেকে আবার সাপুড়েরাজের কৃত্বিত্বে তাকে বাহবা দিলেন। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় সাপুড়েদের কদর বৃদ্ধি পেল।
তবে এক কান দুই কান করে অনেকের মুখেই একটা কথা ঘুরতে লাগল। টিভিতে সাপের গর্ত বলে যা দেখানো হয়েছিল আদতে তা ছিল কিছু হত দরিদ্র, দুর্বল ও অতি সাধারণ মানের কেঁচোর গর্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: সবাড় আগে এই সড়কাড় সাপকে মাড়িতে হইবেক। টানাহলে টিপি ওয়ালারা কেবল কেঁচোর গর্ত'ই পাইবেক।