নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* যাতে ধরে না রাখলে সব কিছু বিলিন হয়, যাতে আল্লাহ ছাড়া আর কিছু বাকী থাকে না, তাতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু এমনে এমনে ক্যামনে হয়? যারা বিলিন হয় তাদের বিলিন হওয়ার কারণ তারা সসীম। যিনি বাকী থাকেন তাঁর বাকী থাকার কারণ তিনি অসীম। অসীমের ফুরিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বিধায় অসীম ফুরিয়ে যায় না।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* হানাফীদের আল্লাহ এবং সালাফীদের আল্লাহ একরকম নয়। কারণ হানাফীদের আল্লাহ নিরাকার, কিন্তু সালাফীদের আল্লাহর আকার আছে। হানাফীদের আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলেও সালাফীদের আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান নয়। আর হিন্দু, খ্রিস্টান ও ইহুদীরা যাকে আল্লাহর স্থানে বসায় তার আবার স্ত্রী-সন্তান আছে।কিন্তু হানাফীদের আল্লাহর স্ত্রী সন্তান নেই।সেই আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? এ প্রশ্ন তুলে কিছু সংখ্যক লোক আল্লাহর সবকিছু সৃষ্টিকরার দাবী অস্বীকার করছে। তাদের কথা হলো কেউ সৃষ্টি করা ছাড়া আল্লাহ হতে পারলে অন্য সব কিছু সৃষ্টি হতে আল্লাহকে লাগবে কেন? একই প্রশ্ন তাদেরকেও করা যায়, সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহর এমনি এমনি হতে সমস্যা কোথায়? তো আল্লাহ এমনি এমনি হয়ে সব কিছু বিলুপ্ত করে নতুনভাবে সব কিছু সৃষ্টি করতেই পারেন। তাহলে আল্লাহ নেই এ কথা এরা কিভাবে বলে? সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে আল্লাহকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* সব কিছু বিলিন করার যোগ্যতা থাকায়, আল্লাহ সব কিছু বিলিন করে আবার সব কিছু নতুনভাবে সৃষ্টি করতেই পারেন।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* তবে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তার কিছুই পূর্বে ছিল না। নতুন সব কিছু আল্লাহ নতুনভাবে সৃষ্টি করেছেন।সুতরাং এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতিতে আল্লাহকে অস্বীকার করা যায় না।
এমনি এমনি সসীম হবে না অসীম হবে? সসীমকে সীমা দিতে হয় অসীমকে সীমা দিতে হয় না। সসীম সীমা দাতার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকে কিন্তু অসীম সীমাদাতার অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকে না। সুতরাং এমনি এমনি শুধু অসীম হবে। কোন সসীম এমনি এমনি হবে না। কোন বস্তু অসীম হতে পারে না। কিন্তু শক্তি অসীম হতে পারে। সুতরাং এমনি এমনি অসীম সর্বশক্তিমাণ হয়েছেন।
কোন কিছু হতে কর্মশক্তি লাগে। সুতরাং শক্তি আগে, ‘হওয়া’ পরে।সুতরাং শক্তি আগে হয়ে পরে অন্যসব হয়েছে। শক্তির সংযোগ ছাড়া কিছু হয় না। সুতরাং শক্তির সংযোগ ছাড়া কিছু হয়নি। শক্তির গতি বেশী, বস্তুর গতি কম। সুতরাং শক্তি আগে হয়েছে এবং বস্তুর আগেই শক্তি বিবর্তন ধারায় সংযুক্ত হয়ে ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বির্তিত হয়ে বৃহৎ শক্তি হয়ে অসীম সর্বশক্তিমাণ হয়েছেন অন্য কোন কিছু হওয়ার আগেই। সসীম তখন সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ ছিল। এরপর অসীম সর্বশক্তিমাণ সীমা দিয়ে সসীম বস্তু ও শক্তিকে সৃষ্টি করেছেন।
অসীম সর্বশক্তিমাণ দেখলেন তিনি ছাড়া আর কিছু হয় না। না হওয়ার কারণ তাদের সীমা ছিল না। সর্বশক্তিমাণ তাদের সীমা দিলেন, তথাপি তিনি দেখলেন কিছুই হয় না। তারপর তিনি ‘হও’ বলার পর তিনি দেখলেন হয়। আমরা হও বলার পর সব কিছু কেন হয় না? কারণ হও বলার পর অনেক কিছু হতে অসীম সর্বশক্তিমাণ লাগে, আমরা তা’ নই। কিন্তু প্রোগ্রাম রচনায় প্রয়োজনীয় লিমিট দিযে ডান কমান্ড দিলে প্রোগ্রাম হয় এবং আমাদের দ্বারা এটা হচ্ছে। সুতরাং যার জন্য যা লাগে তা’ ছাড়া তা’ হয় না। আল্লাহ হতে কিচ্ছু লাগেনি, কিন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু হয় না, এতে কার কি করার আছে? ডাক্তার পেট সেলাই করতে পারে, মুচি জুতা সেলাই করতে পারে। ডাক্তার জুতা সেলাই করতে পারে না, মুচি পেট সেলাই করতে পারে না। যার যেমন যোগ্যতা। তবে ডাক্তার মুচি বিদ্যা রপ্ত করলে জুতা সেলাই করতে পারবে এবং মুচি ডাক্তারি বিদ্যা রপ্ত করলে পেট সেলাই করতে পারবে। সুতরাং কাজের ক্ষেত্রে যোগ্যতাই আসল বিষয়। আমরা আল্লাহ হতে পারব কি? সহজ উত্তর ‘না’। কারণ আল্লাহ হতে আগে আমাদেরকে অসীম হতে হবে। আর অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে এর সীমা দিতে হবে, আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। সেজন্য যত অসীম হবে জ্যামিতির সমপাতন সূত্রে এক অসীম অন্য অসীমে সমপতিত হবে এবং সকল অসীম একটা আরেকটায় সমপতিত হয়ে সাকুল্যে অসীম একটাই অবশিষ্ট থাকবে।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* আল্লাহর অসীমত্তে সকল অসীম বিলিন হয়ে অসীম আল্লাহ অবশিষ্ট থাকেন। সুতরাং কেউ অসীম হলে সে আল্লাহর অসীমত্ত্বে বিলিন হয়ে যায়। সে আর আলাদা কিছু হতে পারে না। সুতরাং অসীম আল্লাহ একজনই হয়, একের বেশী অসীম আল্লাহ হয় না।সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন পদ্ধতিতেও আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু এমনি এমনি হওয়া সম্ভব নয়। আর বীগ ব্যাং এর আগে অন্য কিছু যে ছিল তা’ তো স্পষ্ট বুঝা যায়। নতুবা বীগ ব্যাং হলো কিসে?
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৩০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। যারা কুফুরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশেছিল ওতপ্রতভাবে। অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিয়েছি। আর প্রাণবান সব কিছু সৃষ্টি করেছি পানি হতে। তথাপি কি তারা ঈমান আনবে না?
* সুতরাং বীগ ব্যাং হয়ে থাকলে সেটা আল্লাহর কাজ। কারণ আমরা জানি ব্যাং হতে শক্তি লাগে। সুতরাং বীগ ব্যাং হতে মহাশক্তি তো লাগবেই। সুতরাং আপনি যে দিকেই যাবেন সেদিকেই আল্লাহর উপস্থিতি দেখতে পাবেন। সুতরাং কোন ক্ষেত্রেই আল্লাহকে নেই বা অনুপস্থিত ভাবা সম্ভব নয়। কিন্তু সীমা নেই তো সসীম নেই। কারণ সসীম সীমাবদ্ধ। সুতরাং সীমা ছাড়া সসীম থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সীমা নেই তো অসীম নেই এমন কথা কি কেউ বলতে পারবে? এমন কেউ বলতে পারবে না। কারণ সীমা না থাকলেই অসীম থাকে। সীমা নেই সসীম নেই সীমা নেই অসীম আছে, এ সূত্রেই একদা অসীম আল্লাহ ছিলেন এবং তিনি ছাড়া অন্য কোন কিছু ছিল না।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* সীমা না থাকলেও অসীম থাকেন এ সূত্রে অসীম আল্লাহ আছেন চিরকাল। আর তাঁর সত্ত্বায় অসীম প্রাণশক্তি থাকায় তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ। তন্দ্রা অথবা নিদ্রা অসীম নয় বিধায় এরা তাঁকে কাবু করতে পারে না। কিন্তু সসীমে এরা সহজে ছড়াতে পারে বলে সসীম সহজে তন্দ্রা অথবা নিদ্রার কোলে ঢলে পড়ে।
কোন সসীম এমনি এমনি হলো কেমন করে? এর সীমা তবে দিল কে? আর অসীমকে কে সৃষ্টি করলো? কেউ তাঁর সীমা দেওয়ার দরকার ছিল কি? অসীমকে সসীম কি সৃষ্টি করতে পারে? তাই যদি কেউ পারে তবে সে নিজে কেন সসীম রয়ে গেল? আর অসীমকে যদি অসীম সৃষ্টি করে তাহলে সে অসীমে সমপতিত হবে এবং সৃষ্টি ও শ্রষ্টা মিলেমিশে একাকার হয়ে একজনই রয়ে যাবে। কারণ অসীম একাধীক হয় না এবং সকল অসীম মিলে একজন হয়। সুতরাং সব কিছু এমনি এমনি হতে না পারলেও আল্লাহ তেমনটা হতে পারবেন না ঘটনা এমন নয়। সুতরাং এমনি এমনি ও বিবর্তন পদ্ধতিতে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু হওয়া সম্ভব নয়। বাস্তব বিষয় হলো ক্ষুদ্র শক্তি হয়ে বিবর্তন ধারায় বৃহৎ শক্তি হয়ে অসীম সর্বশক্তিমাণ হয়েছেন। অন্য কোন কিছু হওয়ার আগেই। সসীম তখন সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিল। অসীম আল্লাহ সকল সসীমকে সীমা দিয়ে হও বলার পর সকল সসীম হয়েছে। এটাই মহাজাগতিক একমাত্র সত্য। এর অন্যথা হওয়া সম্ভব নয়।
আল্লাহ অসীম হলে তিনি সর্বত্র বিরাজমান। তাহলে তিনি এক আকাশ থেকে অন্য আকাশে নামেন কেমন করে? আল্লাহর সৃষ্টি পানি জলীয় বাস্প রূপে পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমান। এটা বাস্তব সত্য। কিন্তু বরফ অবস্থায় পানি মেরে কারো মাথা ফাটিয়ে দেওয়া যায়। আর তরল পানি মেরে কারো কাপড় ভিজিয়ে দেওয়া যায়। সুতরাং একরূপে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলেও অন্য রূপে তিনি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই পারেন।তার জন্য তাঁর আকার থাকাও জরূরী নয়।
সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং থেকে ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
১৮। মারইয়াম বলল, আল্লাহকে ভয় কর যদি তুমি মুত্তাকী হও। আমি তোমা হতে দয়াময়ের আশ্রয় চাই।
১৯। সে বলল, আমি তো তোমার প্রতি পালক প্রেরিত, তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করার জন্য।
২০। মারইয়াম বলল, কেমন করে আমার পুত্র হবে, যখন আমাকে কোন পুরুষ স্পর্শ করেনি।আর আমি ব্যভিচারিণীও নই।
২১। সে বলল, এমনটাই হবে।তোমার প্রতিপালক বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজসাধ্য এবং আমি তাকে এ জন্য সৃষ্টি করব যেন সে মানুষের জন্য এক নিদর্শন হয়। আর আমার নিকট হতে এক অনুগ্রহ হয়।এটা তো এক স্থিরকৃত ব্যাপার।
২২। অত:পর সে তাকে গর্ভে ধারণ করলো। অত:পর সে তাকেসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেল।
২৩। প্রসব বেদনা তাকে এক খেজুর গাছের নীচে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলো। সে বলল হায় এর পূর্বে আমি যদি মরে যেতাম ও লোকের স্মৃতি হতে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হতাম!
২৪। ফিরিশতা তার নিকট পার্শ্ব হতে আহবান করে তাকে বলল, তুমি দু:খ করবে না, তোমার পাদদেশে তোমার প্রতিপালক এক নহর সৃষ্টি করেছেন।
২৫। তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কান্ড নাড়া দাও! তা’ তোমাকে সুপক্ক তাজা খেজুর দান করবে।
২৬। সুতরাং আহার কর, পান কর ও চক্ষু জুড়াও।মানুষের মধ্যে কাউকে যদি দেখ তখন বলবে, আমি দয়াময়ের উদ্দেশ্যে মৌনতার মান্নত করেছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কথা বলব না।
২৭। অত:পর সে সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো, তারা বলল হে মরিয়ম! তুমি তো এক অদ্ভুত কান্ড করে বসেছ!
২৮। হে হারূণের বোন! তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিল না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিণী।
২৯। অত:পর মরিয়ম সন্তানের প্রতি ইঙ্গিত করল, তারা বলল, কোলের শিশু, তার সহিত আমরা কেমন করে কথা বলব।
৩০। সে বলল, আমি তো আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন, আমাকে নবি করেছেন।
৩১। যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেনআমি যত দিন জীবিত থাকি তত দিন সালাত ও যাকাত আদায় করতে।
৩২। আর আমাকে আমার মাতার প্রতি অনুগত করেছেন। তিনি আমাকে করেননি উদ্ধত ও হতভাগ্য।
৩৩। আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি, যেদিন আমার মৃত্যু হবে এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব।
৩৪। এই মরিয়ম পুত্র ঈসা। আমি সত্য কথা বললাম, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করে।
৩৫। সন্তান গ্রহণ করা আল্লাহর কাজ নহে। তিনি পবিত্র মহিমাময়। তিনি যখন কিছু স্থির করেন তখন বলেন হও এবং তা’ হযে যায়।
* পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করার পর মরিয়ম (আ.) তাঁকে দেখেছেন। তার আগে তিনি তাকে দেখেননি। আল্লাহও কোন আকারে আত্মপ্রকাশ করার পর কেউ তাঁকে দেখবে। আকার ধারণ করলেও আল্লাহর অসীমত্ব হারাবে না। যেমন বরফ হওয়ার পরেও পানির পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমানতা নষ্ট হয় না। আর জলীয়বাস্প পানি টয়লেটে থাকলেও তাতে নাপাক লাগে না। তেমনি নিরাকার আল্লাহর সত্ত্বায়ও কোথাও থেকে কোন নাপাক লাগে না।
শক্তির মধ্যেও সসীম শক্তি এমনে এমনে হতে পারবে না। কারণ হওয়ার জন্য তা’ সীমার অপেক্ষায় থাকবে। অসীম শক্তি তাকে সীমা দিয়ে হও বললে তারপর তা’ হবে।
কলার মোছার এক খোলের ভিতর আরেক খোল থাকে। অসীম নিরাকার আল্লাহর সত্ত্বায় তাঁর সসীম নিরাকার সত্ত্বা থাকতেই পারে। তাঁর তেমন অবস্থা তাঁর কাজের প্রয়োজনে।আর প্রয়োজনে তিনি আকারও ধারণ করতে পারেন। সেটাও তাঁর কাজের প্রয়োজনে। সর্ব শক্তিমাণের পক্ষে সব কিছুই করা সম্ভব।তবে প্রকৃত তিনি হলেন অসীম নিরাকার সর্বত্র বিরাজমান আল্লাহ। কোন অযুহাতে যাঁকে অস্বীকার করা যায় না।
আল্লাহ তাঁর নিজের ইচ্ছায় চলেন। কারো ভরন-পোষণ, শান্তি-সুখ না থাকা আর তাঁর নাথাকা এক কথা নয়। কারো বাসায় বাজার না থাকা আর সে না থাকা এক কথা নয়।
আল্লাহ বঞ্চিত করেন সঞ্চিত করার জন্য। যে বুঝে সে লাভবান হয়। আর যে বুঝে না সে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আল্লাহ বলেছেন, তিনি বঞ্চিতকে এক এত পুরস্কার দিবেন যে সে তখন আরো বেশী বঞ্চনা না পাওয়ার জন্য আফসুস করবে। সুতরাং আল্লাহ কোন লোককে ঠকান তাকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য। এটা সে বুঝতে পারলে সে তার বঞ্চনার জন্য আফসুস করবে না।
# অবশেষে সেফ করার জন্য মডুর প্রতি অনেক দোয়া কামনা করিছ।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সামু যখন সুযোগ দিয়েছে তবে হয়ত লিখব -ইনশাআল্লাহ। তবে প্রথম পোষ্টটা নিকের স্বপক্ষে লিখলাম। কারণ এ নিয়ে আমি অনেক চিন্তা করি। আপনার প্রথম মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৮
জটিল ভাই বলেছেন:
সুবহানাল্লাহ্।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
যাক, অবশেষে ১ম পাতায় আপনার লেখা দেখছি।
লিখুন, ৪৬টি মুসলিম দেশ কেন পছনে পড়ে আছে, উহা ব্যাখ্যা করেন।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।
* তারা যা করছে তাতে তাদেরকে বিলুপ্ত করে দেওয়া দরকার।তাদেরকে নিজেদের মধ্যে বিবাদে লিপ্ত হওয়ার এ অকাজ করতে বলেছে কে? জ্ঞান বিজ্ঞানে তাদের নেতৃত্বে থাকা উচিৎ ছিল, অখচ সেই ক্ষেত্রেই তারা বিমুখ হয়ে থাকলে আল্লাহ তাদেরকে কত আর এগিয়ে দিবেন? সুতরাং যারা উন্নতি করতে চেয়েছে তারাই উন্নত হচ্ছে, এটাই আল্লাহর ন্যায় বিচার। কারণ তিনি পক্ষপাতিত্ব করেন না। উন্নতিন নেশায় ছুটে চলবে একদল আর উন্নতি করবে আরেক দল, এটা আল্লাহর বিবেচনায় এটা নেই। সুতরাং মুসলিমদের পিছিয়ে পড়া নেহায়েত স্বভাবিক ব্যাপার। একদা জ্ঞান-বিজ্ঞানে তারা উন্নত ছিল, তখন তারা অন্যদের চেয়ে উন্নত ছিল। আবার তারা যদি জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করার চেষ্টা করে তখন আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে বঞ্চিত করবেন না। মুসলিমরা চেষ্টা করেই দেখুক না তারা উন্নতি করতে পারে কিনা?
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম কোনটি?
পর্যায় সারণিতের ১১৮ টা মৌলিক পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মই মনে হয় শ্রেষ্ঠ ধর্ম। করণ সমূহ-
মৌলিক পদার্থের হওয়ায় , উৎপত্তি নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
সব ধর্মই প্রমাণিত হওয়ায়, মানুষের আপত্তি থাকার কথা না। [ সামাজে প্রচলিত মানুষ যেমন , এক ধর্মের হয়ে অন্য ধর্মের ভুল ধরে । অন্য ধর্মের ওটা প্রমাণিত নয় ,এসব বলে বেড়ায়]
জড় পদার্থ বলে , গালিগালাজ করলেও রেগে যায় না । [ নিজের ধর্মের মানুষ হয় অন্য ধর্মের মানুষকে গালি তো দুরের কথা উপদেশ দিলেও, মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়, এমন একটা অবস্থা]
আপনার সাথে যুক্তিতর্কে জরিয়ে পরার সম্ভাবনা নেই ।
বন্ধু শত্রুর তকম পায় না ।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মের অনেক বিষয় থাকে। এখানে বিষয়টা আসলে আল্লাহ বিশ্বাস নিয়ে। সেই হিসাবে মনে হয় আপনার মন্তব্য প্রাসঙ্গিক নয়।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকে প্রথম পাতায় দেখে খুশি হলাম।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:১৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাকে আমি যখন পাই তখনই খুশী থাকি। কারণ আপনি একজন চমৎকার লেখক। আপনার লেখা পড়ে হয়ত পাঠকের সময়টা ভালোই কাটে।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আমাদের মাঝে বিশ্বাস জন্মায়, আমাদের নৈতিক করে তোলে। জ্ঞানের রাস্তা হাঁটতে শেখায় । বিজ্ঞান আমাদের নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে শেখায় । কি কেন কীভাবের উত্তর দেয় ।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পৃথিবীর কল্যাণে বিজ্ঞান চর্চা তারাই করবে যারা পৃথিবীর কল্যাণ চায়। মুসলিমরা ইসলাম চর্চা করে পরকালের কল্যাণের জন্য। তবে মুসলিমরা পৃথিবীর কল্যাণ চাইলে তাদেরকেও বিজ্ঞান মনস্ক হতে পারে। আর বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে মুসলিমরা পৃথিবীর কল্যাণ করলে তারা তাদেরকে সম্মান করবে মুসলিমদের এটা বুঝা উচিৎ।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার প্রতি মন্তব্য পড়ে কৃতজ্ঞতা জানাই। বড্ড কাজের চাপে আছি কবি ভাই। তার মধ্যে একটু সময় পেলে ব্লগে ঢুঁ মারি। অনেক দিন হয়ে গেছে কিন্তু পোস্ট দিতে পারছিনা।দেখি কবে সময় হয়.
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হয়ত আপনার পাঠকেরা আপনার লেখার অপেক্ষায় আছে। আশা করি সিগ্র তাদের অপেক্ষার অবশান হবে। আর আপনার লেখা থেকে নতুন লেখকদের অনেক কিছু শিখার আছে।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩১
ইসিয়াক বলেছেন: প্রথম পাতায় স্বাগতম। আশা করি আবার আপনার কবিতা পড়তে পারবো।
শুভকামনা রইলো।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সামু যখন লেখার সুযোগ দিয়েছে তখন সামুর ব্লগারগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে পারলে হয়ত আমারো ভাল লাগবে। সবার দোয়া কামনা করছি।
৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তাঁর হুকুম ও ইশারা ছাড়া কখনোই
কিছু হয়না। এ বিষয়ে কোন যুক্তির
অবকাশ নাই।
প্রথম পাতায় আসবার জন্য
মহান আল্লাহর দরবারে
শুকরিয়া।
২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এমনি এমনি তো আর কিছু সৃষ্টি হয়না। সব কিছুর একজন স্রষ্টা আছে।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর কোন সৃষ্টিকর্তা না থাকায় তারা মনে করেছে অন্য কোন কিছুরও কোন সৃষ্টিকর্তা নেই। কিন্তু আল্লাহ এবং অন্য কিছু যে এক রকম নয় সেটা তারা মোটেও খেয়াল করেনি। আর এটাই তাদের আল্লাহকে অবিশ্বাস করার প্রধান কারণ।
১১| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছেন এটার উত্তর কি মূলত?
৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ হলেন অসীম। সুতরাং কোন সসীম তাঁকে সৃষ্টি করতে পারবে না। আর অসীম একটার বেশী হয় না বিধায় আল্লাহর কোন সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব নয়।
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই যুক্তি কি তারা মানবেন? বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা আশা করছিলাম। যাই হোক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:৫৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে অসীমকে সৃষ্টি করতে পারে সে নিজে সসীম থাকবে কেন? সুতরাং অসীমের সৃষ্টিকর্তা অসীম হবে এবং সৃষ্টি সৃষ্টিকর্তায় সমপতিত হয়ে অভিন্ন থাকবে। তারা বিভিন্ন হতে পারবে না। এভাবে সকল অসীম একটা অন্যটার মাঝে বিলিন হয়ে একটাই থাকে, একাধিক হয় না। সেজন্য অসীমের সৃষ্টিকর্তা তার থেকে আলাদা কেউ নয়।
অসীমে সীমা দেওয়া যায় না। সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। সেজন্য অসীম একটার বেশী হওয়া সম্ভব নয়। আল্লাহ অসীম বলে আল্লাহ এক। সেজন্য তাঁর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।
বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান। ঈশ্বর সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। সেজন্য সাধারণ জ্ঞানেই ঈশ্বরকে বুঝা যায়। ঈশ্বরকে বুঝতে বিজ্ঞান লাগলে একজন গন্ড মূর্খ ঈশ্বরকে কেমন করে বুঝবে। সেজন্য আমরা সাধারণ জ্ঞানেই ঈশ্বরকে বুঝতে ও বুঝাতে চেষ্টা করি।
১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩৯
সোবুজ বলেছেন: আল্লাহ যদি এমনি এমনি হতে পারে অন্য কিছু হতে সমস্যা কোথায়।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সমস্যা অসীম ও সসীমে। সসীম হতে সীমার অপেক্ষায় থাকে। অসীমের সীমা নেই বিধায় হওয়ার জন্য কোন কিছুর অপেক্ষা করতে হয় না। তবে অনেক অসীম হলেও তারা আলাদা হতে পারে না। এক অসীমে সব অসীম বিলিন হয়ে একজন হয়ে থাকেন। সেটাই আল্লাহ বলেছেন যে, তাতে সব বিলিন হয়ে আল্লাহ বাকী থকেন। অতীতের সব আল্লাহতে বিলিন হয়ে আল্লাহ বাকী ছিলেন। বর্তমানের সব অসীম আল্লাহতে বিলিন হয়ে আল্লাহ বাকী আছেন। ভবিস্যতের সব অসীম আল্লাহতে বিলিন হয়ে আল্লাহ বাকী থাকবেন। জ্যামিতির সপ্তম উপপাদ্যে অসীমে অসীম সমপতিত হয়ে একটায় অন্যটা বিলিন হয়ে একটাই বাকী থাকে। সেজন্য সত্য প্রকাশে আল্লাহ নিজেকে ‘এক’ বলেছেন। আবার নিজের সম্পর্কে ‘আমরা’ বলেছেন। সেজন্য খ্রিস্টানরা মহনবিকে (সা) বলেছে, কোরআন অনুযায়ীই আল্লাহ একাধিক। আর তারা যীশু,ম্যারি ও গড। নিজেদের সত্যতা নিরুপনে অতঃপর খিস্টানদেরকে মহানবি মোবাহালার আবেদন জানালে তারা পিছিয়ে যায়। কারণ তারা বুঝতে পারে তাদের মিথ্যা কথার কারণে ঈশ্বর তাদেরকে শাস্তি দিবেন।
১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: সপ্তম শতাব্দিতে কোরআন নাযিল হয়। মানুষ তখন পযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে কুসংস্কার ও প্রাচীন উপকথায় বিশ্বাসী ছিল। তখন মানুষ মহাবিশ্ব, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, মানুষের সৃষ্টি, বায়ু মন্ডলের গঠন এবং জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় উপাদান ইত্যাদি সম্বন্ধে সঠিক কিছুই জানতো না।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এখন এসব কিছু জানার পরেও মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু ও ইহুদীর ঈশ্বর বিশ্বাস টলেনি। আপনি অনেক কথা বলেও আস্তিকদের ঈশ্বর বিশ্বাস টলাতে পারেননি। এ বিষয়ে মানুষ বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানাী গণায় ধরে না। কারণ বিজ্ঞান মানে বিশেষ জ্ঞান। আর ঈশ্বর সাধারণ জ্ঞানের বিষয়। সুতরাং ঈশ্বর জ্ঞানের জন্য বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী অপ্রয়োজনীয় বিষয়। ঈশ্বর বিষয়ে কেউ বিজ্ঞানীর তালাস করে না। আপনি অবোধ লোক। সেজন্য আপনার সব কিছুতে বিজ্ঞান লাগে।
১৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৫:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি ধর্ম মানি তাই ইসলাম যা বলেছে এইটা মানি
৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:২৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম কোন ক্ষেত্রে মুখস্ত কথা বলে না। ইসলাম যা বলে তার যথাযথ যুক্তি প্রমাণ থাকে। সেজন্য যারা যুক্তি-প্রমাণ মানে তারা ইসলামও মানে। আর যারা অন্ধ বিশ্বাস ও অন্ধ অবিশ্বাসে আক্রান্ত তারা ইসলাম মানে না। যেমন, রাজিব নূর। সে বিজ্ঞানী ভক্ত। বিজ্ঞানী বলেছে গড ইজ নাথিং, সেজন্য রাজিব নূরও বলে গড ইজ নাথিং। বিজ্ঞানী হাছা কইলো না মিছা কইলো রাজিব নূর সেটা আর তলাইয়া দেখে না। ঈশ্বর বিষয়ে বিজ্ঞানীর অকথার ঘেনর ঘেনর আর ভাল্লাগে না। আরে গায়ে বিজ্ঞানীর লেবেল লাগালেই কি মানুষ তার সব কথা বিশ্বাস করবে? হকিন্স তো বহুত বুঝাইলো, কিন্তু মানুষ তার এ সংক্রান্ত কথা শেষতক বুঝেনি। অবশেষে বেচারা অখুশী অবস্থায় মনে গেল। তার আর ধর্মহীন পৃথিবী দেখা হলো না। এখনো পৃথিবীকে ধর্মহীন করতে অনেকে মরিয়া। তারাও হকিন্সের মত আফসুস নিয়ে মরে যাবে। তাদের আর ধর্মহীন পৃথিবী দেখা হবে না।
১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৪৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: হনুমানও ফালদিয়ে সাগর পার হয়। মজা পেলাম।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এগুলো অর্থহীন মন্তব্য।
১৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৫৪
অগ্নিবেশ বলেছেন: যেটা লিখেছেন সেটা মানেন তো?? বলেছেন ইসলাম যা বলে তার যথাযথ যুক্তি প্রমাণ থাকে। মেরাজের ঘটনার প্রমান দ্যান।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৭:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মেরাজ হলো যানবাহনে চড়ে উপরে উঠা। এখন তো মানুষ সেটা হর হামেসা করছে। এর আবার কি প্রমাণ থাকতে হবে। আর এটা তো কোন অযুক্তিক বিষয় নয়। আর এখন অনেক গন্তব্যে যেতেই ভিসা লাগে। মেরাজের গন্তব্যের ভিসা মোহাম্মদ (সা) পেয়েছেন, অন্য কেউ সেই ভিসা পায়নি এটাও অযোক্তিক বিষয় নয়। অনেকেই অনেক গন্তব্যের ভিসা পায় না তাতেইবা কার কি করার থাকে?
১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৩৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: বুঝলাম মহম্মদ রকেটে করে মহাকাশ ভ্রমন কররেছেন। যুক্তি কি বা প্রমান কাকে বলে এসব বিষয়ে আপনার কোনো ধারনা আছে বলে মনে হয় না। যাই হোক তালগাছ আপনার। ধন্যবাদ।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যুক্তি কা প্রমাণ বলতে আপনি কি বুঝেন? বিচারক কি বুঝেন?
১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ১ম পাতায় অভিনন্দন।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৩
নাজিম সৌরভ বলেছেন: প্রথম পাতায় আবার আপনার লেখা, অভিনন্দন!
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
২১| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অভিনন্দন ভাইয়া । আশাকরি সনেট দেখতে পাবো ইনশাআল্লাহ
আমি মুসলিম আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি, বিশ্বাস করি তিনি মহাপরাক্রমশালী।
জাজাকাল্লাহ খাইরা
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শ্রমসাধ্য হলেও আল্লাহকে তাঁর সকল গুণাবলীসহ প্রমাণ করা যায়। তবে অতি সাধারণের পক্ষে আল্লাহকে প্রমাণ করা সম্ভব নয় বিধায় তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করবে। আমার ‘আল্লাহর অকাট্য প্রমাণ’ নামে রকমারিতে একটা বই আছে। গুগুল সার্চ দিলে দেখতে পাবেন -ইনশাআল্লাহ।
২২| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আবার সনেট লেখা শুরু করেন।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৪৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বলেছেন যখন চেষ্টা করে দেখব- ইনশাআল্লাহ।
২৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখাটা ভালো লেগেছে। তবে "এই পোস্ট ধর্ম বিশ্বাসীদের জন্য"- কোট করে দিলে অবাঞ্চিত মন্তব্যগুলো এড়ানো যেতো।
শুভ কামনা।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি সঠিক হলে আমার বিপরীত বিশ্বাসী ভুল। আমার বিপরীত বিশ্বাসী সঠিক হলে আমি ভুল। সুতরাং আলোচনার দার উম্মুুক্ত থাকাটাই উচিৎ বলে আমি মনে করি। তাতে আলোচনায় বেরিয়ে আসবে কে আসলে সঠিক।
২৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
কাকে বুঝাবেন,বুঝে সবাই।
অতিআধুনিকতার প্রলেপ থেকে বের হতে চায় না কথিত বিজ্ঞরা
৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামকে যাঁরা নিষ্ঠার সাথে পালন করেন তাঁদের পরিশ্রমকে অনেকে পন্ড শ্রম বলে। তাঁদেরকে অনেকে অন্ধ বিশ্বাসী বলে। আমি চোখ খুলে দেখলাম তাদের বিরোধীরাই মূলত অন্ধ অবিশ্বাসী এবং তাদের জন্য অপেক্ষা করছে চিরস্থায়ী বিপদ। কারণ অসীম আল্লাহর অসীম ক্রোধ তাদেরকে অন্তহীন জাহান্নাম বাসী করে ফেলবে। তাদেরকে সাবধান করতেই আমার এ পরিশ্রম। তথাপি তারা আমার কথা না বুঝলে আমার আর কিছুই করার নাই।
২৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর প্রত্যেকটি সভ্যতার একটি বিশ্বাস আছে।
তারা সবথেকে প্রাচীন তারচেয়েও বেশী যে তারা সবথেকে বেশী সমৃদ্ধ। ধর্মের প্রবর্তন ও তার ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস যদি কেউ উদারবাদীতার সাথে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে তাকে হয়তো নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হবে। এই আখ্যা তাকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বি দিক, তা তার নিজের ধর্মের লোক, তার নিজের ধর্মীয় সমাজ দিক। তাই এই বিষয় নিয়ে সচরাচর ঘাটাঘাটি করা হয় না।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ২০% এর কম নাস্তিকের চেতনা নিয়ে ৮০% এর বেশী আস্তিক ভাবনায় অস্থির নয়। কিন্তু যখন এরা তাদেরকে ধর্মান্ধ বলে গালি দেয় তখন তারা একটু নড়ে চড়ে উঠে। আমার কথা হলো তোমার অবিশ্বাসকে তুমি মহান বলে প্রচার করো তাতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু তুমি আমার বিশ্বাসকে নোংরাভাবে আক্রমণ করলে আমি তোমাকে ছেড়ে কথা বলব না।
২৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম পাতায় ফিরে আসায় অভিনন্দন প্রিয় ফরিদ ভাই। মহাজাগতিক চিন্তা দ্বারা ব্লগকে সমৃদ্ধ করবেন, এই প্রত্যাশা রইল।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মডু আসলে আমার কিছুই পছন্দ করে না। কারণ আমার লেখা কখনো নির্বাচিত পাতায় যায় না। সেজন্য ব্লগে আমার আত্মবিশ্বাস তলানিতে অবস্থান করছে। সেফ হয়ে আমি আনন্দের সাথে আতংকেও আছি। সেজন্য ব্লগে এসে আমার চিন্তা চেতনা ভোঁতা হয়ে যায়। আর ব্লগাররাও যে আমার লেখা খুব একটা পছন্দ করে ঘটনা আসলে সেরকমও নয়। আমার সেফ না থাকাকালিন সময়ে আমি বিষয়টা খুব উপলব্ধি করেছি।
২৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:০৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: প্রথম পাতায় আপনাকে স্বাগতম। আপনি বলছেন অসীমের মাঝে অসীম বিলীন হচ্ছে। তাহলে কি প্রতিনিয়ত অসীম সৃষ্টি হচ্ছে আবার বিলীন হচ্ছে? তাহলে এত অসীম সৃষ্টি হওয়ার কারন কি?
৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এমনি এমনি অসীম সৃষ্টি হতে পারে। কারণ অসীমের সীমা দিতে হয় না। আর এমনি এমনি হওয়াতে কোন কারণ থাকে না। তবে যত অসীম হয়ে আল্লাহতে বিলিন হয় আল্লাহ তত আরো বেশী সমৃদ্ধ হন। আর সসীম এমনি এমনি হয় না। সসীম হওয়ার জন্য সীমার অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ থাকে। সসীমকে আল্লাহ সীমা দিয়ে হও বললে সসীম হয়। এটাই মহাজাগতিক বাস্তবতা।
২৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:১৭
সোবুজ বলেছেন: আপনি বলছেন আল্লাহ অসীম।কিন্তু আল্লহ তা বলে না।আল্লাহ বলছেন তার হাত আছে পা আছে।কুরসিতে আসিন হলেন।তার মানে তার দেহ আছে।নয়তো কুরসিতে বসবেন কি ভাবে।স্ব বিরোধী বক্তব্য।নিরাকার না আঁকার আছে কোনটা ঠিক।
৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর আকার থাকায় বিশ্বাস করা সুস্পষ্ট কুফুরী
সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং ও ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।
* রূহ পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করায় মরিয়ম (আ.) তাঁকে দেখেছেন। রূহ যখন আকার ধারণ করেননি তখন মরিয়ম তাঁকে দেখেননি। পানি যখন জলীয় বাস্প অবস্থায় থাকে তখন উহা আমরা দেখি না, যখন উহা বরপের আকার ধারণ করে তখন আমারা উহা খুব দেখতে পাই। সুতরাং আকার থাকা আর আকার ধারণ করা এক কথা নয়।
‘আল্লাহু আকবার-আল্লাহ অধিকতর বড়’ সব মুসলিমের আকিদা। এটা বলে তারা আযান ও নামাজ শুরুকরে।সুতরাং এটা কোন ভুল কথা নয়। যেহেতু অসীম < সসীম। সেহেতু আল্লাহ অসীম।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১১৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৫।আর আল্লাহর জন্য পূর্ব ও পশ্চিম। অতএব তোমরা যে দিকেই তোমাদের মুখ ফিরাও সে দিকেই আল্লাহর মুখ। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিস্তৃত, বিজ্ঞ।
# সূরাঃ ২ বাকারা, ১১৫ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
১১৫। ইমাম ইবনে জারির (র.) বলেছেন যে, এক দল তাফসির কারক বলেন, এ আয়াতটি কা’বা শরীফের দিকে মুখ করা ফরজ হওয়ার আগে নাযিল হযেছে। আল্লাহ তা’আলা নবি করিম (সা.) এবং সাহাবাদের একথা জানাবার জন্য নাযিল করেছেন যে, তাদের জন্য মাশরেক মাগরেব যে কোন দিকেই মুখ করার অনুমতি রয়েছে। তারা যে দিকেই মুখ করবেন সে দিকেই আল্লাহ আছেন।কেননা, মাশরেক মাগরেব সব দিকেরই মালিক আল্লাহ এবং এমন কোন স্থান নেই, যেখানে আল্লাহ নেই।
* আয়াত ও তাফসির অনুযায়ী আল্লাহ বিস্তৃত এবং এমন কোন স্থান নেই যেখানে আল্লাহ নেই।এটাও আল্লাহর অসীমত্ব প্রকাশক। কারণ সকল স্থানেই যদি আল্লাহ থাকেন তবে তিনি আর সসীম হন কেমন করে?
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।
* সবকিছু সসীম বলেই সব কিছু বিলিন হয়। আল্লাহ অসীম বলেই তিনি বিলিন না হয়ে বাঁকী থাকেন। কারণ অসীম ফুরিয়েগিয়ে বিলিন হওয়া সম্ভব নয়।
সকল আকারের সীমা আছে। সুতরাং কোন আকার অসীম নয়। যেহেতু আল্লাহ অসীম সেহেতু আল্লাহর আকার নেই।তবে সকল নিরাকার অসীম নয়। সেহেতু আল্লাহ অসীম নিরাকার।
আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি পানি জলীয় বাস্পরূপে নিরাকার অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তরল পানি ও কঠিন বরফ পানি থাতে স্থানের প্রয়োজন হয়। সুতরাং বরফ পানি ও তরল পানি প্রথম সৃষ্টি নয়। এগুলো স্থান সৃষ্টির পরে সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং একদা পানি শুধুই নিরাকার ছিল। এখন এ পানি একই সঙ্গে আকার ও নিরাকারে বিদ্যমাণ। আল্লাহ নিরাকার অবস্থাতেই বিদ্যমাণ থাকেন প্রয়জনে আকার ধারণ করেন। সুতরাং অনেক সময় তিনি শুধুই নিরাকার থাকেন। কোন কোন সময় তিনি আকার ও নিরাকার উভয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকেন। তারমানে আল্লাহ সব সময় নিরাকার অবস্থায় থাকেন। আর কোন কোন সময় আকার ধারণ করেন। সুতরাং আল্লাহর আকার আছে কথাটি সঠিক নয়। এটা নিতান্তই সাময়িক বিষয়। আল্লাহ যে সব কিছুই পারেন, তাঁর আকার ধারণ করার বিষয় সেজন্য। বাস্তবে তিনি নিরাকার।
তাঁকে চাঁদের মত দেখা যাবে মানে তাঁর সবটা একসঙ্গে দেখা যাবে না। কারণ চাঁদের সবটা দেখা গেলেও এর আলো সবটা দেখা যায় না। আকার ধারণ করলেও আল্লাহর সবটা দেখাগেলেও তাঁর নূরের সবটা দেখা যাবে না।
সূরাঃ ২৪ নূর, ৩৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৫। আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর নূর। তাঁর নূরের দৃষ্টন্ত যেন একটি দীপদানি, যার মধ্যে আছে একটি প্রদীপ।প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত। কাঁচের আবরণ উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত। এটা প্রজ্জ্বলিত হয পবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল দ্বারা।যা প্রাচ্যের নয় প্রতিচ্যেরও নয়। আগুন স্পর্শ না করলেও যেন এর তৈল আলো দেয়। নূরের উপর নূর।আল্লাহর যাকে ইচ্ছা তাঁর নূরের দিকে হেদায়াত প্রদান করেন। আল্লাহ মানুষের (বুঝার) জন্য দৃষ্টান্ত দিয়ে থাকেন। আর আল্লাহ সব কিছু জানেন।
* আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর নূর হলে তাঁর নূরের সবটা আমরা দেখব কেমন করে? আমরা তো আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর একটা অংশমাত্র দেখি।
আল্লাহ অসীম। যখণ তিনি নিরাকার থাকেন তখন তিনি অসীম থাকেন। যখন তিনি আকার ধারণ করেন তখনও তিনি নিরাকার + আকার = অসীম + সসীম = অসীম থাকেন। কিন্তু আকার সসীম। সুতরাং যারা বলে আল্লাহর আকার আছে তারা আল্লাহর অসীমত্বের বা ‘আল্লাহ আকবার’ কথাটার কুফুরী করে। সুতরাং যারা আল্লাহর আকার আছে বলে তারা কাফের হয়ে যায়।
রূহ মরিয়মের সাথে দেখা দিতে মানব আকার ধারণ করেছেন। তেমনি প্রয়জনে আল্লাহও আকার ধারণ করতেই পারেন। তাই বলে তাঁর আকার আছে বলে তাঁকে সসীম বানিয়ে ফেলতে হবে সেটা আবার কেমন কথা?
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* উম্মতের সর্ববৃহৎ দল হানাফীদের সর্ববৃহৎ দল আল্লাহর নিরাকারে বিশ্বাসী বিধায় যারা আল্লাহর আকার থাকায় বিশ্বাস করে তারা পথভ্রষ্ট।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী ১। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ফরজ ২। উম্মতের সর্ববৃহৎ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া হারাম ৩। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা হারাম।
সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।
* যারা উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করে আল্লাহর আকার সাব্যস্ত করে। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) অমান্য করে, তাঁদের সাথে অহংকার করে এবং কাফের হয়ে যায়। তাদের জন্য আফসুস!
২৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৪৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলছেন অনেক অসীম সৃষ্টি হয়ে আল্লাহর মধ্যে বিলীন হয়ে আল্লাহ আরো সমৃদ্ধ হন। যেটা অসীম সেটা যদি সময়ের সাথে সমৃদ্ধ হয় তাহলে সেটা অসীম থাকে কি করে?
৩১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর অনেক গুণ সবগুলোই অসীম। কিন্তু কোন অসীম কোন অসীম থেকে আলাদা নয়। সেজন্য সকল অসীম মিলে একটা অসীম। আল্লাহর অসীম প্রাণ শক্তি আছে বলে কি তাঁর অসীম ঘ্রাণ শক্তি নেই? তো আরো অসীম তাঁর সত্ত্বায় যোগ হতে সমস্যা কি? আপনি এক বালতি পানিতে প্রথমে লাল রং গুলে দিলেন, তারপর তাতে নীল রং গুলে দিলেন। তাতে পানির পরিমাণ কিন্তু বাড়লো না বাড়লো শুধু দ্রবন। তেমন অসীমে অসীম যোগ হলে অসীম বাড়ে না। তাতে শুধুমাত্র অসীমের সংখ্যা বাড়ে। সুতরাং আল্লাহ যতই সমৃদ্ধ হননা কেন তাতে তাঁর অসীমত্বের কোন ক্ষতি হয় না। আপনি কি বলতে চান আল্লাহ আরো বড় হয়ে সসীম হয়ে যায়? তাহলে তিনি অসীম থাকেন না কেমন করে? অসীম যতই বড় হোক তাতে অসীমের অসীমত্বের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫১
গরল বলেছেন: প্রথম পাতায় ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন, আপনার কোন সনেট দেখি না অনেক দিন।