নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর বর্ণনায় আল্লাহর বিবরণ (শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য)

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪




সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তাতে সব বিলিন হয়
২৭। আর বাকী থাকে তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।

সূরাঃ ১১২ ইখলাসের অনুবাদ-
১। বল, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
২। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
৩। তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন।
৪। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। তিনি আসমান ও জমিনের দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা, তাঁর সন্তান হবে কিরূপে? তাঁর তো কোন স্ত্রী নেই। তিনিতো সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি জানেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।

* আল্লাহ দেখেছেন সব কিছু বিলিন হয় তিনি বাকী থাকেন। সেজন্য তিনি ছিলেন এক ও একমাত্র। তিনি ছাড়া আর কিছু না থাকায় তাঁর অন্য কারো মুথাপেক্ষি হওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি ছাড়া আর কিছু না থাকায় তাঁর স্ত্রী ছিল না। সুতরাং তাঁর সন্তান হওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি ছাড়া আর কিছু না থাকায় তাঁর পিতা-মাতা ছিল না। তিনি ছাড়া আর কিছু না থাকায় তাঁর সমতুল্য কেউ ছিল না। তিনি সব কিছু সৃষ্টি করায় এবং তিনি কাউকে তাঁর সমতুল্য করে সৃষ্টি না করায় তাঁর সৃষ্টি থাকার পরেও কেউ তাঁর সমতুল্য নয়। কোনভাবে আল্লাহ বিলিন না হওয়ায় এবং তাঁর প্রাণ থাকায় তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তিনি ছাড়া আর কিছু না থাকায় তাঁর প্রাথমিক অবস্থার কোন সাক্ষি ছিল না। সেজন্য সাক্ষি দ্বারা তাঁকে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। সেজন্য তিনি তাঁকে বিশ্বাস করতে বলেছেন। তবে আলামত দ্বারা তাঁকে প্রমাণ করা যায়।

আল্লাহর বিদ্যমাণতার কারণ বিলিন না হয়ে বাকী থাকা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু এমনি এমনি না হওয়ার কারণ বিলিন হওয়া।

আল্লাহ বিলিন না হয়ে বাকী থাকায় তিনি অসীম। কারণ অসীম হলো অফুরন্ত। সেজন্য অসীম বিলিন হয় না। সসীম বিলিন হওয়ার কারণ সসীম অফুরন্ত নয় সেজন্য সসীম ফুরিয়ে গিয়ে বিলিন হয়। সসীম এমনি এমনি হয়নি কারণ তার পূর্বে তার সীমা দাতা থাকার দরকার ছিল। অসীম এমনি এমনি হতে পেরেছেন কারণ তাঁর পূর্বে তাঁর সীমা দাতা থাকার দরকার ছিল না। সুতরাং কোন কিছু এমনি এমনি হয়নি। সবকিছু আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।

সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।

* আল্লাহ ছাড়া আর সব কিছু সসীম। সসীমদের সৃষ্টি করতে আল্লাহ সীমা দিলেন। সেজন্য তারা বিলিন হওয়া থেকে রক্ষা পেল। তারপর সসীমদেরকে আল্লাহ ‘হও’ বলায় তারা হয়ে গেল।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভাইসাহেব আমি কি মুমিন?

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনে নিজেই বলেন আপনে মুমিন নন।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যারা বিশ্বাস করে "আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই" তাদের কোন প্রমাণের দরকার নেই। আর যারা তা বিশ্বাস করতে চায়না তাদের শত প্রমাণ ও যুক্তি দিলেও বিশ্বাস করবেনা।
আমরা যারা সাধারণ বিশ্বাসী তাদের বক্তব্য হলো আল্লাহ থাকলে আমাদের লাভ না থাকলে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু যারা বলে আল্লাহ নাই তাদের ক্ষেত্রে উল্টো। যদি আল্লাহ থাকেন তবে হিসাব দিতে হবে। আর না থাকলে তো বেঁচেই গেল।

আমার বক্তব্য হলো যে মহান অদৃশ্য শক্তি ১৫ থেকে ২১ ঘণ্টা রোজাদার দের পানি পিপাসা ছাড়া পরিচালিত করেন সেই সুমহান শক্তিই আমার মহান রব। আমি একমাত্র তার ইবাদত করি আর তার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর একনিষ্ঠ বান্দা হওয়ার তাওফিক দিন -আমিন।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

জটিল ভাই বলেছেন:
১০১। তিনি আসমান ও জমিনের দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা।
উল্লেখিত অংশের "নতুন স্রষ্টা" শব্দ দ্বয়ের তাফসীর যদি কষ্ট করে বুঝিয়ে দিতেন প্রিয় ভাই।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ আয়াতের তাফসীর তাফসীরে ইবনে কাছির থেকে দেখে নিন।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৭

এভো বলেছেন: আল্লাহর আকৃতি
ইসলামের মূল আকীদা অনুসারে, আল্লাহ তালাহ হযরত আদমকে নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাকের অবশ্যই আকৃতি রয়েছে। নইলে নিজ আকৃতিতে কীভাবে সৃষ্টি করলেন?

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
হাদিস নম্বরঃ (6900)
অধ্যায়ঃ ৫৪/ জান্নাত, জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীগনের বিবরণ
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
পরিচ্ছদঃ ১১. জান্নাতে এমন অনেক দল জান্নাতে যাবে যাদের হৃদয় পাখির হৃদয়ের ন্যায়
৬৯০০। মুহাম্মদ ইলূন রাফি’ (রহঃ) … হাম্মাম ইবন মুনাব্বি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এ হচ্ছে (সে সব হাদীস) যা আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমাদের শুনিয়েছেন। (এভাবে) তিনি কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেন। এর মধ্যে একটি হল এ ই যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে তার নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তার দৈর্ঘ্য হল ষাট হাত। তাকে সৃষ্টি করার পর তিনি তাকে বললেন, যাও, এ দলটিকে সালাম কর। তারা হচ্ছে ফিরিশতাদের উপবিষ্ট একটি দল। সালামের জবাবে তারা কি বলে তা খুব মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর। কেননা তোমার এবং তোমার বংশধরদের অভিবাদন এ-ই। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি গেলেন ও বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’। উত্তরে তারা বললেন, ‘আসসালামু আলাইকা ওয়ারাহমাতুল্লাহ’। তাঁরা ওয়া রামাতুল্লাহ বাড়িয়ে বলেছেন। এরপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে সে আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতিতে যাবে। তার দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেনঃ এরপর হতে সৃষ্টি (-র দেহের) দেহের পরিমাণ দিন দিন কমতে থাকে আজ পর্যন্ত।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ১৬ নং থেকে ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৬।বর্ণনা কর এ কিতাবে উল্লেখিত মারইয়ামের কথা, যখন সে তার পরিবার হতে পৃথক হয়ে নিরালায় পূর্ব দিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৭। অতঃপর তাদের থেকে সে পর্দা করলো। অতঃপর তার নিকট আমরা আমাদের রূহকে পাঠালাম, সে তার নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করলো।

# সাধারণত আল্লাহর আকার নেই। তবে বিশেষ কারণে তিনি আকার ধারণ করলে তখন তাঁর আকার থাকে। তিনি যে আকার ধারণ করেন সেই আকারে আদমকে (আ) সৃষ্টি করা হয়েছে।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

এভো বলেছেন: আল্লাহর ওজন
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ পাকের ওজন রয়েছে। যার প্রমাণ মেলে নিচের হাদিসটি থেকে। তাকে বহন করার জন্য বিরাট বিরাট ফেরেশতার দরকার হয়।

সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৩৫/ সুন্নাহ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় সম্পর্কে
৪৭২৭। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ যে সকল ফিরিশতা আরশ বহন করেন, তাদের একজনের সঙ্গে আলাপ করার জন্য আমাকে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তার কানের লতি থেকে কাঁধ পর্যন্ত স্থানের দূরত্ব হলো সাতশ বছরের দূরত্বের সমান।
সহীহ।
তাবারানী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: # আল্লাহ ওজন দার প্রণীর আকার ধারণ করলে তখন তাঁর ওজন থাকবে।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০০

এভো বলেছেন: আল্লাহর চেহারা
আল্লাহ আল কুরআনের অনেকগুলো আয়াতে তার চেহারার প্রমাণ দিয়েছেন। সুরা রহমানের ২৭ নম্বর আয়াতের ইংরেজি অনুবাদ এবং বাঙলা অনুবাদে পার্থক্য লক্ষ্য করুন।

আল্লাহ
সঠিক অনুবাদ হওয়ার কথা,

আপনার গাম্ভীর্যপূর্ণ ও সম্মানিত প্রতিপালকের চেহারা চিরকাল বাকী (স্থায়ী) থাকবে।
(সূরা আর-রহমান- ২৭ আয়াত)।
--------------------
আল্লাহর চোখ
আল্লাহ তা’আলা নিজের দেখার ব্যাপারে কুরআনের পঞ্চাশটি আয়াত প্রমাণ দিয়েছেন। কিন্তু আইন (চোখ) ও আইউন (চোখগুলাে) শব্দ পাঁচটি আয়াতে ব্যবহার করেছেন। [6] [7]

হে মুহাম্মাদ! তােমার প্রতিপালকের হুকুম মােতাবেক তুমি ধৈর্য ধর। কারণ, তুমি আমার চোখের সামনে আছ
(সূরা তুর ৪৮ আয়াত)।

গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (315)
অধ্যায়ঃ ১। ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৭৫. মারইয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) ও মাসীহিদ দাজ্জাল-এর বর্ণনা।
৩১৫-(২৭৪/…) মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক আল মুসাইয়্যাবী (রহঃ) ….. আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবাদের সম্মুখে দাজ্জালের কথা উল্লেখ করে বললেন, অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা টেরা চোখ বিশিষ্ট নন। জেনে রাখ দাজ্জালের ডান চোখ টেরা যেন ফোলা একটি আঙ্গুর। ইবনু উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, একবার আমি স্বপ্নে আমাকে কা’বার কাছে পেলাম। গোধূম বর্ণের এক ব্যক্তিকে দেখলাম। এ বর্ণের তোমরা যত লোক দেখেছ তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর। চুল তার কাঁধ পর্যন্ত বুলছিল। তার চুলগুলো ছিল সোজা। তা থেকে তখন পানি ঝরছিল। তিনি দু’ ব্যক্তির কাঁধে হাত রেখে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করছিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? বলা হল, ইনি মাসীহ ইবনু মারইয়াম। তারই পেছনে দেখলাম, আরেক ব্যক্তি, অধিক কোঁকড়ানো চুল। তার ডান চোখ ছিল টেরা। সে দেখতে ছিল ইবনু কাতান এর ন্যায়। সেও দু’ ব্যক্তির কাঁধে হাত রেখে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করছে। জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? বলা হল, মাসীহুদ দাজ্জাল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ৩৩৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: # আল্লাহ আকার ধারণ করলে তাঁর প্রয়োজনীয় সব অঙ্গই থাকবে।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৪

এভো বলেছেন: ১) সাধারণত আল্লাহর আকার নেই। তবে বিশেষ কারণে তিনি আকার ধারণ করলে তখন তাঁর আকার থাকে। তিনি যে আকার ধারণ করেন সেই আকারে আদমকে (আ) সৃষ্টি করা হয়েছে।
২)আল্লাহ ওজন দার প্রণীর আকার ধারণ করলে তখন তাঁর ওজন থাকবে
৩) আল্লাহ আকার ধারণ করলে তাঁর প্রয়োজনীয় সব অঙ্গই থাকবে।

তাহোলে তো পৈতলিকদের দাবি সাথে একমত হয়ে গেলেন যে --- ভগবান দূর্গা, শ্বরশতি, লক্ষী, কালি , শিব ইত্যাদির রুপ ধারন করে , তাদের ইবাদতে উপস্থিত হয় ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ তো আদমের (আ) আকারের কথা বলেছেন। তিনি তো দূর্গা, শ্বরশতি, লক্ষ্মী, কালি, শিব ইত্যাদির রূপ ধরার কথা বলেননি। আর আমরা তো আদম (আ) রূপের ইবাদত করি না। আমরা অদৃশ্য আল্লাহর ইবাদত করি। সুতরাং আমাদের সাথে তাদের সাথে গরমিল আছে।

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৯

এভো বলেছেন: মানুষের পাপ মোচন করার ক্ষমতা আল্লাহ তালা কাউকে দেয় নি ,, তাহোলে কাবা ঘরের ভিতরের কালো পাথরটা কি করে পাপ মোচন করার ক্ষমতা পেল -- হাদিস অনুসারে যার জন্য ঐ কালো পাথরটাকে চুমু খেয়ে পাপ মোচন করার জন্য সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয় ।
তাহোলে ঐ পাথরটাকে আল্লাহর শরিক করা হোল না ? আল্লাহর গুণা মাপ করার ক্ষমতা যদি পাথরের থাকে , তাহোলে সেটা কি শিরক করা নহে ?

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ যেটা শিরক বলবেন সেটা শিরক। আর তিনি যেটা শিরক নয় বলবেন, সেটা শিরক নয়। সুতরাং কাল পাথরে চুমু খাওয়া শিরক নয়। আর ফেরেশতাদের আদমে সিজদা করাও শিরক ছিল না। আর ইবলিশ আদমকে (আ) সিজদা না করে কাফের হয়েছে।

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

এভো বলেছেন: আল্লাহ যেটা শিরক বলবেন সেটা শিরক

আল্লাহ বলেছেন --- তার কোন গুণ বা ক্ষমতাকে অন্য কেহ বা কিছুর ভিতরে শরিক করাই শিরক । মানুষের গুণা একমাত্র আল্লাহ মাপ করতে পারে কোন পাথর পারে না । সুতরাং ঐ কালো পাথরকে আল্লাহর শরিক করা হয়েছে ।
আল্লাহ তো আদমের (আ) আকারের কথা বলেছেন। তিনি তো দূর্গা, শ্বরশতি, লক্ষ্মী, কালি, শিব ইত্যাদির রূপ ধরার কথা বলেননি
দূর্গা , শ্বরশতি এরা সবাই আদমের অবয়বে কি নহে ?

আর ফেরেশতাদের আদমে সিজদা করাও শিরক ছিল না।


আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা শিরক । ইবলিশ শিরক করতে চায় নি । আল্লাহ শুধু ফেরেশতাদের সেজদা করতে বলেছিল জীনদের নহে । ইবলিশ হোল জীন , ফেরেশতা নন ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাজ তন্ত্রে রাজা যেটাকে আইন বলে সেটােই আইন। আল্লাহ নিজেকে আল মালিক বলেছেন। আর মালিক মানে রাজা। সুতরাং আল্লাহর কথায় যুক্তি খোঁজার দরকার নেই। শয়তান তাঁর কথায় যুক্তি খুঁজতে গিয়েই বরবাদ হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.