নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কিছু মানুষ ভারত বিরোধী কেন?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৩



‘বাংলা বিহার উড়িষ্যা’ নামক যে রাষ্ট্র ছিল তা’ ১৭৫৭ সালে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী গিলে খেয়েছে। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত ছাড়ার সময় বিহার উড়িষ্যা এবং বাংলার একাংশ পশ্চিম বঙ্গ ভারতের ভাগে পড়ে। তখন পূর্ববঙ্গ এবং আসাম ও ত্রিপুরার কিছু অংশ পকিস্তানের ভাগে পড়ে। পাকিস্তানের ভাগে যা পড়েছিল তা’ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামে স্বাধীন দেশে পরিণত হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকায় ভারত বাংলাদেশের কিছু সংখ্যক নাগরিকের পরম বন্ধু হয়ে পড়ে। আর কিছু সংখ্যক লোক মনে করে ভারত বাংলাদেশ কেড়ে নেবে। তখন ভারতের সাথে আমাদেরকে স্বাধীণতার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। তখন তারা আমাদের শত্রু হবে। তো ভবিষ্যতে শত্রু হবে এ চিন্তায় তারা এখনই ভারতকে শত্রু ভেবে বসে আছে। আর একাত্তরে পাকিস্তান বাংলাদেশের শত্রু থাকলেও ভারতের সাথে আমাদের যুদ্ধ হলে পাকিস্তান আমাদের বন্ধু হবে এ ভাবনায় কিছু লোক এখনই পাকিস্তানকে আমাদের বন্ধু ভাবছে।

যদি কখনো ভারতের সাথে আমাদের যুদ্ধ হয় তখন ভারতকে শত্রু মনে করলেই চলবে। আপাতত পারস্পরিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে উভয় পক্ষের উপকৃত হওয়াকে আমি সংগত মনে করি। আর ভারত বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করলে ভারতের বাংলাদেশ পাওয়ার চেয়ে ভারতের দখলে থাকা কিছু অংশ বাংলাদেশের দখলে চলে আসার সম্ভাবনা আছে। কারণ অতীতেও যুদ্ধে বহুবার দিল্লী বাংলার সাথে পরাজিত হয়েছে। সুতরাং যুদ্ধে বাংলার সাফল্যের ইতিহাস একেবারে মন্দ নয়। আমার মনে হয় নিজ যোগ্যতায় স্বাধীন থাকার যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে। কেউ বাংলাদেশকে গিলে খাওয়ার জন্য যুদ্ধ করলে অহেতুক দু’পক্ষের অনেক ক্ষতি হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন পরাজিত হলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানী অহেতুক হবে। আমাদের যোগ্যতা আমাদের বড় প্রবিবেশীদের অজানা থাকার কথা নয়। বাংলাদেশ কেউ গিলে খেলেও এটা তাদের বদ হজম হবে। কারণ এজাতি কারো দাসত্ব নয়, বরং স্বাধীন থাকতে পছন্দ করে। বাংলাদেশ দখল করে এদেশ শাসন করার ক্ষমতা সম্ভবত অন্য জাতির থাকবে না। তো যদি শাসন করার ক্ষমতাই না থাকে তাহলে আর তাদের বাংলাদেশ দখল করার দরকার কি? সবচেয়ে ভালো হয় বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারত আপন ভাইয়ের মত অবস্থান করা। এটা তিন দেশের সরকার ও জনগণের বুঝা উচিত। প্রতিবেশির উপকার করলে আমরা তাদের দ্বারা উপকৃতও হতে পারি। তিন দেশের নাগরিকদেরকে আমি বিরোধীতা নয় বরং বন্ধুত্বের উপদেশ দিচ্ছি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিরোধী, বিরোধিতা করার মতো কিছু লোক থাকবেই। সব দেশেই এরকম কিছু লোক আছে। ভারত আমাদের বন্ধু। আমাদের দেশের বিরোধী দলের চেয়ে ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। সারা বিশ্বের মধ্যে আমাদের জন্য টান সবচেয়ে বেশি ভারতের।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভারতকে কাল্পনিক শত্রু না ভেবে বন্ধুত্বের মাধ্যমে তাদের থেকে অনেক বেশী উপকৃত হওয়া যায়। জাতীয় ঐক্যের জন্য সব মানুষকে একমতে আনা দরকার। সেজন্য অবুঝদেরকে বুঝাতে হবে তাদের ভাবনা ঠিক নয়। নতুবা জাতির মধ্যে বিভাজন থাকলে অনেক সময় গৃহযুদ্ধে জাতি ধ্বংস হয়ে যায়।

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভারত তার নিজেদের রাজ্যগুলো নিয়েই ঝামেলায়। বাংলাদেশ গিলতে এলে নিজেই বিপদে পড়বে। গেলার মোটামুটি সুযোগ ছিল স্বাধীনতার পরপরই, আবার সযোগ ছিল ৭৫ এ। তখনই যেহেতেু পারেনি, আর পাবে না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অথচ তাদেরকে কাল্পনিক শত্রু বানিয়ে অনেকে অহেতুক তাদের বিরোধীতা করছে। কিন্তু তাদেরকে বন্ধু বানিয়ে তাদের থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে এটা অনেকে বুঝতে চায় না। এমন লোকদেরকে আমার নেহায়েত বেকুব মনে হয়। যে সব দেশের বন্দর নেই ভারতের ভিতর দিয়ে তাদেরকে বন্দর সুবিধা দিয়ে আমরাতো আয় করতে পারি। আমাদের জনসংখ্যা অনেক। কাজেই আমাদের অনেক টাকার দরকার। সেটা পাওয়ার জন্য আমাদের চিন্তা শক্তিকে আরো উন্নত করতে হবে।

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভয়টা যারা লাগাচ্ছে তাদের রাজনীতি করার মতো রসদ নেই। এই করেই হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাই বলে আত্মঘাতি বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া যায় না। আমাদের দেশের লোক পাইকারী হারে ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়। তাদেরকেই শত্রু মনে করা মহা বেকুবী।

৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০১

কলাবাগান১ বলেছেন: এক শব্দ "হিন্দু"

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে বেশী মুসলিম ভারতে বাস করে। আর "হিন্দু" বাংলাদেশেও আছে। সুতরাং এটা কোন ইসু হতে পারে না। আর বাংলাদেশের কোন মুসলিম প্রতিবেশী নেই। অমুসলিম প্রতিবেশী নিয়েই যখন বাংলাদেশকে থাকতে হবে, তখন অমুসলিমকে শত্রু ভেবে বাংলাদেশের চলবে না। আর প্রবাসী হিসাবে বাংলাদেশী সব অমুসলিম দেশেই আছে। সুতরাং বাংলাদেশীরা কোন অমুসলিমকেই মন্দ ভাবতে পারে না। মুসলিমরা প্রথম মক্কার লোকদের তাড়া খেয়ে অমুসলিম ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। সে কথা মুসলিমদের ভুলে গেলে চলবে না। যে অমুসলিম দ্বারা তারা উপকৃত হয় তাদের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞ থাকা দরকার। তবে যারা তাদের ক্ষতি করে তাদেরকে তারা শত্রু ভাবলে সেটা অন্যায় হবে না।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

কাঁউটাল বলেছেন:

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ভারতের কিছু কিছু সংগঠন কাবা ঘরকে শিব মন্দির বলে। তাদের মনে সৌদি আরব দখল করে কাবা ঘরকে শিব মন্দির বানানোর বাসনা রয়েছে। ভারতের পেটের ভিতর বাংলাদেশের অস্তিত্ব অনেক ভারতীয় নাগরিকের অসহ্য। মুলিম শাসনেও দিল্লি কর্তৃক বাংলা আক্রমন ও দখলের বহু ইতিহাস রয়েছে। বহুবার গিলার পর বহু বার বাংলা ভারতের পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে। আবারো যদি ভারত বাংলাদেশ গিলে তবে এটা হৃষ্ট-পুষ্ট ও আরো বড় হয়ে ভারতের পেট থেকে বেরিয়ে আসবে। যেমন একদা এটা বাংলা বিহার ও উড়িষ্যা রূপে ভারতের পেটের বাইরে ছিলো। যেহেতু বাংলা কারো পেটে হজম হয় না সেহেতু আশাকরি কেউ এটা গিলে ফেলার মত ভুল করবে না।

৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



নিজেরা সমস্যা থাকলে অন্য জাতিকে ভালো লাগে না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিজেরা ভালো না থেকেও অন্য জাতির সাথে সখ্যতা গড়ে ভালো থাকার চেষ্টা দোষনীয় নয়। প্রবাসী থেকে প্রাপ্ত রেমিটেন্সে বাংলাদেশ বেশ উপকৃত হচ্ছে। সুতরাং গুতাগুতি করার চেয়ে বন্ধুত্ব অধীক কল্যাণকর।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: ভারত আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সংগত কারণে ভারতের সাথে সমঝোতা করে চলা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল জনক।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪২

আমি নই বলেছেন: ভারত বিরোধীতার অনেকগুলো কারন আছে যার অন্যতম কারন সীমান্তে হত্যা। যুদ্ধাবস্থা ছারাই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। পাচারকারি পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই আছে কিন্তু কোনো দেশের সীমান্তেই এত মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয় না। সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে মারধর করাতো মামুলি ব্যাপার। বন্ধু হলে বন্ধুর মত বসে সমস্যার সমাধার বের করত, গুলি করত না। উল্লেখ্য তারা মাদক ব্যবসায়ীদের গুলি করে না বা করলেও ১% ও হবেনা।

এছারাও ফারাক্কাসহ অনেক গুলো বাধ নির্মান করে আমাদের দেশের নদীগুলোকে শেষ করে দিচ্ছে আবার বর্ষাকালে পানি ছেরে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করতেছে। এব্যাপারে আমাদের সবগুলো সরকারই প্রতিবাদ জানায় কিন্তু ফলাফল শুন্য, বর্তমান সরকারো এই সমস্যার সমাধানের অনেক চেষ্টাই করে যাচ্ছে কিন্তু বন্ধুরা কোনো রেসপন্সই করেনা। বন্ধুকি বসে সমাধান করতে পারেনা??

বেশি বললে আবরার হওয়ার পসিবিলিটি আছে। আপনি বরং ভারতকে ঘৃনা না করার ২/৪ টি কারন বলেন, আমাদেরো ভারতপ্রিতি জেগে উঠুক।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মায়ানমার আমাদেরকে চৌদ্দ লক্ষ রহিঙ্গা উপহার দিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিশাল এলাকা গিলে বসে আছে। তদপুরি তারা দেশটা নরক বানিয়ে বসে আছে। এদিকে বেলারুশও ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। মায়ানমার ও ভারত বাংলাদেশকে একত্রে ধরলে, বাংলাদেশের অবস্থা কি হতে পারে ভাবা যায়? ইউক্রেনের মিত্রের অভাব নেই। তথাপি তারা প্রতিবেশীদেরকে সামলাতে পারছে না। আমাদের কে মিত্র আছে? সুতরাং আমাদেরকে প্রতিবেশীর সাথে যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে হবে। একাত্তরের যুদ্ধের ধাক্কা আমরা এখনো সামলাতে পারিনি। আরো একটা যুদ্ধে জড়ালে আমরা একশ বছরেও এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব না। সুতরাং ছোট খাট বিষয় নিয়ে ভারত বৈরীতা আমি সঠিক মনে করি না। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আমরা ভারত থেকে উপকৃত হতে পারলে সেটা ভালো হবে।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৫

বিটপি বলেছেন: ভারতকে ঘৃণা করার একটাই কারণ - আমাদের দেশে যে দল্টিকে মানুষ খুব একটা পছন্দ করেনা - তাদেরকে অনেকটা গায়ের জোরে তারা আমাদের দেশের ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে বসিয়ে রেখেছে এবং তাদের মাধ্যমে আমাদেরকে শুষে নিচ্ছে।

ভারতকে পছন্দ করার আমি তেমন কোন কারণ দেখিনা। তারপরেও অনেক কষ্ট করে কিছু কারণ বের করলামঃ
- আমাদের কৃষ্টি কালচার ও সংস্কৃতিতে কিছুটা মিল আছে।
- সেই দেশে অনেক বাংলা ভাষাভাষী আছে।
- মুক্তিযুদ্ধে আমাদেরকে অস্ত্রশস্ত্র ও ট্রেনিং দিয়ে এবং আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে সহায়তা করেছে (যদিও তার কয়েক গুণ পরবর্তীতে ফেরত নিয়েছে)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সে দলটিকে একুশ বছর ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আর সে দূরে রাখা সহিহ পন্থায় হয়নি। আর এদশে আওয়ামী বিরোধীরাই শুধু মানুষ ঘটনা এমন নয়। এদেশে সব দলের গায়ে কলংকের দাগ আছে। আর আওয়ামী লগের গায়ে আছে স্বাধীনতার সুনাম। সুতরাং আওয়ামী লীগ ঠেলে ফেলে দেওয়ার মত দল নয়। আর ঠেলে ফেলে দিলেও তারা আবার মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে, সেপ্রমাণ তারা এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছে। আর কেউ বিনে পয়সায় কিছু করে না। তো কাজ করে ভারত দাম নিলে নাখোশ হতে হবে কেন?

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এল্লাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি আবার দেখতে এসেছেন সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.