নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদম (আ.)/ বিবর্তীত মানব

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৪




পাঁচশত কোটির বেশী মানুষ বিশ্বাস করে দু’জন মনব-মানবী থেকে মানবজাতি বিস্তৃত। কিছু সংখ্যক বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ মনে করে এক দল বিবর্তীত প্রাণী থেকে মানবজাতি বিস্তৃত।

দু’জন মনব-মানবীর নাম কেউ বলে, মনু-শতরূপা, কেউ বলে এডাম-ইভ, কেউ বলে আদম-হাওয়া। এদের দাবীর স্বপক্ষে আছে ঐশি বাণী এবং বিপরীত পক্ষে আছে জীববিজ্ঞান। একপক্ষ বলছে, ঐশিবাণী বলতে কিছু নেই, এগুলো মানুষের মনগড়া কথা এবং অপর পক্ষ বলছে, বৈজ্ঞানিক তথ্যেও ভুল থাকে। কারণ এসব মানুষের আবিষ্কার। আর মানুষ মাত্রই ভুল থাকায় মানুষের আবিষ্কৃত তথ্যেও ভুল থাকে।

ঐশিবাণী কোরআন যিনি প্রচার করেছেন তিনি সত্যবাদী খেতাব প্রাপ্ত। সত্যবাদী হওয়া কিছু মানুষের খাচিয়ত। কথায় বলে খাচিয়ত যায় না মরলে। সেজন্য সত্যবাদী খেতাব প্রাপ্ত মোহাম্মদের (সা.) প্রচারিত কোরআনকে ঐশিবাণী হিসাবে বিশ্বাস করে প্রায় দুইশত কোটি মানুষ। কোরআন বলে, আদম (আ.) খলিফা বা স্থলাভিষিক্ত। স্থলাভিষিক্ত সাধারণত তাঁর মত কারো স্থলাভিষিক্ত হন। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এটা মৃত্যু জনিত কারণে হয়। কোরআনের ভাষ্য মতে মহাজগতের নিয়ন্ত্রক আল্লাহ বিশৃঙ্খলা জনিত কারণে আদম (আ.) যাদের স্থলাভিষিক্ত হন তাদেরকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে ফেলেন। তারপর পৃথিবীর বাইরে থেকে আদমকে (আ.) পৃথিবীতে এনে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেন।বিদ্যমাণ মানব জাতি সেই আদমের বংশধর।

আদম (আ.) যাদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তারা পৃথিবীতে কিভাবে বিদ্যমাণ ছিল সেই বিষয়ে কোরআনে কোন বক্তব্য নেই। তারা যদি মানুষের মত দেখতে কোন বিবর্তীত প্রাণী হয়ে থাকে তাতে কোরআনের সাথে এর কোন বিরোধ নেই। কারণ তাদের উদ্ভবের বিষয়ে কোরআনে কোন বিবরণ নেই। আর পৃথিবীর বাইরে থেকে কেউ পৃথিবীতে আসেনি এবং মানুষের মত দেখতে যারা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়েছে তারা বিলুপ্ত হয়নি এমন কথা বিজ্ঞান বলেনি। সুতরাং আদম (আ.) তথ্যের সাথে বিবর্তীত মানব তথ্যের মূলত কোন সংঘাত নেই।

বিশৃঙ্খলার স্থলে শৃঙ্খলা ফিরাতে আল্লাহ পৃথিবীর বাইরে থেকে আদমকে (আ.) পৃথিবীতে আনলেন এবং বিশৃঙ্খলার স্থলে শৃঙ্খলা ফিরাতে আল্লাহ তাঁর বিধান দিলেন। আল্লাহ/ঈশ্বর/ভগবানের বিধান সম্বলিত বাণীকে ঐশিবাণী বলে। কোরআন এমন একটি ঐশিবাণীর সংকলন। কোরআনে মানুষের চিরস্থায়ী জীবন কাল হিসাবে মানুষের একটা পরকালের কথা বলা আছে। কোরআনের বিধান মানলে মানুষ পরকালে সুখে থাকবে এবং কোরআনের বিধান না মানলে মানুষ পরকালে দুঃখে থাকবে বলে কোরআনে বলা আছে। কোরআনের ঘোষণা মতে যারা পরকালে সুখে থাকতে চায় তারা কোরআনের কোন কথা বেঠিক বলে না। বিজ্ঞানের দোহাই দিয়েও তাদের এ বিশ্বাস বদলানো যায় না। সুতরাং আদম (আ.) ও হাওয়ার মাধ্যমে মানব জাতি বিস্তৃত এটাই কোরআন বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করবে। বিবর্তীত মাবব সম্পর্কে তাদের মত হলো তারা এখন বিলুপ্ত।

বিবর্তীত মানবের ক্ষেত্রে লক্ষ-কোটি বছরের হিসাব রয়েছে, আর আদমের (আ.) হিসাব মাত্র দশ হাজার বছরের হিসাব। আদমকে (আ.) যারা অস্বীকার করে তারা প্রমাণ করুক দশ হাজার বছর পূর্বে বিবর্তীত মানুষ বিলুপ্ত হয়নি এবং তখন আদম (আ.) নামে কেউ আসেনি। বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তারা এমন প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারলে আদম (আ.) বিশ্বাসীরা তাদের কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য নয়।

আদম (আ.) যাদের স্থলাভিষিক্ত তাদের জন্য কোন বিধান না থাকায় তাদের পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের হিসাব নেই।মানুষের মত দেখতে হুর ও গেলমান রয়েছে জান্নাতে। যারা পৃথিবীতে আসেনি। আদম (আ.) যাদের স্খলাভিষিক্ত তারা এবং হুর ও গেলমান মানুষের মত দেখতে তবে তারা আদম (আ.) সন্তান নয়। আদম (আ.) যাদের স্খলাভিষিক্ত তাদের ইহকাল ছিল পরকাল নেই। হুর ও গেলমান ইহকালে আসেনি। আদম (আ.) ও তাঁর সন্তানদের ইহকাল ও পরকাল উভয় আছে। বিজ্ঞান তার কাজ করে করুক। তবে মানুষের মত দেখতে সব প্রাণীকে যেন তারা একত্রে গুলিয়ে না ফেলে। বিড়াল জাতীয় বহুপ্রাণী আছে, তাদের সবাইকে বিড়াল নামে অভিহিত করা হয় না। বিড়াল জাতীয় প্রাণীদে রমধ্যে শুধু মাত্র একটা প্রাণী বিড়াল নামে অভিহিত। বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের প্রত্যেকের মাঝে আলাদা বৈশিষ্ঠ রয়েছে। অনুরূপ মানব জাতীয় প্রাণীদের মাঝেও রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট। এরমধ্যে আদম (আ.) সন্তান মানুষ বেশী উন্নতমানের। কারণ এদেরকে উন্নতমানের করেই পৃথিবীর বাইরে থেকে এখানে আনা হয়েছে।

কোরআন মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রকের বাণী। মহাবিশ্বের অবস্থা দৃষ্টে এর একজন নিয়ন্ত্রক থাকাই প্রতিয়েমেয়। কেমন গাঁজাখুরী কথা! সবকিছুই নাকি এমনি এমনি হয়েছে, শুধু এ নিয়ন্ত্রক নাকি এমনি এমননি হননি। সবকিছু এমনি এমনি হতে পারলে নিয়ন্ত্রক কেন এমনি এমনি হতে পারবেন না? নিয়ন্ত্রক বলেছেন, তিনি প্রথম। তারমানে একদা তিনি দেখেছেন তিনি ছাড়া আর কিছু নাই এবং তিনি ছাড়া আর কিছু এমনি এমনি হচ্ছে না। সুতরাং তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। লোকেরা বলছে তিনি নাকি সবকিছু সৃষ্টিকরেন নাই। তো তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেন নাই, লোকেরা এটা দেখেছে কি? অহেতুক কারো কথা অস্বীকার করার কি দরকার? তাঁর কথা স্বীকার করব কেন? তাঁর কথা স্বীকার করব কারণ তাঁর কথা স্বীকার না করলে তিনি শাস্তি দিবেন বলেছেন। তাঁর যদি শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা থাকে তবে তাঁর কথা বিশ্বাস না করে বিপদে পড়তে যাব কোন কারণে? মহাজগত দেখে এর নিয়ন্ত্রকের বিশ্বাস সহজবোধ্য বিষয়। আমরা সহজ পথে থাকতে চাই। অহেতুক কঠিন শাস্তির ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চাই না। এ বিষয়ে আমরা রাজীব নুরের কথা শুনতেও চাই না এবং মানতেও চাইনা। তার কথার জবাবে আমরা শুধু ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ বলতে চাই।

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে । দেখি অন্যরা কি বলে । তবে রাজীব নুরের যুক্তিও আপনাকে শুনতে হবে । উচ্চ স্তরের মানব বলে যদি নিজেকে বিশ্বাস করতে চান তাহলে সকল ধরনের যুক্তি আপনাকে শুনতে হবে । এর ভেতর থেকে আপনি আপনার যুক্তি খুজে নেবেন ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পছন্দ হয়েছে। সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১২

বিটপি বলেছেন: রাজীব নুরের কথার আসলে কোন যুক্তি নাই। দুই পাতা বিজ্ঞান পড়ে কিছু একটা শিখেছে আর তেতেই মনে করছে ঈশ্বর বলে কিছু নেই, ঈশ্বর মানুষের সৃষ্টি ব্লা ব্লা ব্লা।

আমরা যারা কুরআনে বিশ্বাস করি, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। বিবর্তনবাদ আমরা অস্বীকার করিনা। বিবর্তনবাদের সব সূত্রই আমরা ই ইক্যুয়ালস এম সি স্কয়ারের মত সত্য বলে মানি, কিন্তু এইসব সূত্র আমাদের মানব জাতির ক্ষেত্রে ১০০% সত্যি নয়। মানবজাতির জিনগত, আকৃতিগত এবং আচরণগত দিক থেকে অন্য যে কোন প্রাণী থেকেও অনেক অনেক পার্থক্য বিদ্যমান। অন্য কোন প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়ে আর যাই হোক, মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। মানুষ যে প্রাণী থেকে বিবর্তিত হয়েছিল বলে দাবি করা হয়, তারা মানুষই ছিল, তা গুহাবাসী হোক, আর নিয়ান্ডারথালই হোক - মানুষ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাজীব নুরের অনেক বক্তব্য সঠিক মনে না করায় আমি সেসব বিষয়ে তাকে এভোয়েট করি। তবে সেও এক শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধি এবং সে চায় তার শ্রেণী আরো বড় হোক। তবে ধর্ম বা ধর্মহীনতা কোনটাই জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ুন আজাদের রক্ত বৃথা যায় নি। তার "নারী" বইটির পাঠক সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

আলেমরা বেগম রোকেয়ার কবর দিতে বাধা দিয়েছিল৷ তাই তাকে অনেক দূরে দাফন করা হয়েছিল। আজ প্রায় প্রতিটি জেলায় বেগম রোকেয়ার কোন না কোন প্রতিষ্ঠান আছে। তার নামে রংপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হয়েছে। তাকে বাঙ্গালি নারী জাগরনের অগ্রদূত বলা হয়।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হুমায়ুনের রক্ত ঝরানোর দরকার ছিল না। সে এক শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধি। তার বিপরীত মতের লোকেরা তাকে এভোয়েট করলেই হয়ে যেত। বেগম রোকেয়ার সাথে যারা শত্রুতা করেছে তাদেরকে আমি সঠিক মনে করি না। তালেবানের নারী শিক্ষার বিরোধীতারও আমি চরমভাবে বিরোধী। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোকের ভুল কাজের জন্য আদমমকে (আ) অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: একজন হিন্দু তার ধর্ম ছেড়ে মুসলিম হওয়ার পরিকল্পনা করছিল। যখন সে জানতে পারলো কুরআনে সম্পত্তি বন্টনের আয়াতে গানিতিক ভুল আছে। তখন সে পিছ পা হলো।

প্রচারনা ধীরে হলেও এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। অভিজিৎ রায় দুনিয়াত নেই। তাই বলে কি তার প্রতিষ্ঠিত মক্তমনা ব্লগে ভিজিটরের সংখ্যা কমে গেছে?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুক্তমনা ব্লগ আমিও প্রায় ভিজিট করি। তাই বলে আমি তাদের সব কথায় একমত নই। সেই ব্লগে আগে আমি মন্তব্য করতাম। কিন্তু পরে তারা আমার মন্তব্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দেয়। তাতে আমি বুঝলাম, তারা নামে মুক্তমনা হলেও তারা আসলে কাজে মুক্তমনা নয়। তারাও আসলে একটা শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে। আর জান্নাতে যাবে ১% মানুষ। সুতরাং কে কোথায় যাচ্ছে বা না যাচ্ছে এসব আসলে তেমন হিসাবযোগ্য বিষয় নয়।

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: রানার ব্লগ শুনেছেন নিশ্চ্যই- সম্প্রতি সৌদি আরবের যুবরাজ সলমন তাঁর দেশে রামায়ণ,মহাভারত,বৌদ্ধদর্শন,আয়ুর্বেদ ও যোগাসন পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করেছেন। এটা একদিকে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল উপমহাদেশের মানুষের খুশি হওয়ার কথা।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সৌদি আরব কি করছে এটা তাদের বিষয়। ইসলাম কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। জান্নাতে যাবে ১% মানুষ। তাদের সবাই নিশ্চয়ই সৌদি আরবের মানুষ নয়। জান্নাতে যারা যেতে চায় তারা কোরআনকে গুরুত্ব দিবেই। তাদেরকে সাধারণত কোরআনের পথ থেকে ফিরানো যায় না। রাজীব নুর স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর জান্নাতের কোন প্রয়োজন নেই। সুতরাং রাজীব নুরের কোরআনের কথা মানার তেমন কোন প্রয়োজন নেই।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



এসব হারজিত মানুষ বুঝতে আরও দেরী হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ সঠিক পথে চলতে চাইলে তাতে সঠিকটা দ্রুতই বুঝতে হবে।

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: বিটপি-
আপনে এক একটা ধর্মের গুরুদের কাছে যান , এরপর সে ধর্ম সম্পর্কে শুনুন, এর পর আপনার ব্রেন দিয়ে গভীর চিন্তা করলেই বেড়িয়ে আসবে! যে কোন টি সঠিক ধর্ম !

খারাপ লোকের কোন সময় ধর্মের বিপক্ষে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ধর্মের বিপক্ষে যায় যুক্তিবাদী লোক, কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও আলোকিত মানুষ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি যাদেরকে আলোকিত মানুষ মনে করছেন অনেকে তাকে অন্ধকার জগতের বাসিন্দাও মনে করতে পারে। আলো-আঁধারের বোধ একেক জনের নিকট একেক রকম।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ বিশ্বজুড়ে না বুঝে এ ধর্মে এসেছে। তার এ ধর্মের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে এতো মারামারি, কাটাকাটি, খুনাখুনি। কোন জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা নেই। শুধু দল ভারী করার চিন্তা। বিশ্ব এর খেসারত দিচ্ছে।

ইসলাম ধর্মকে আপাত সত্য বলে মনে হলেও গভীর বিশ্লেষনে বুঝা যায়। ইহা একজন মানব রচিত আবেগ মিশ্রিত সৃষ্টিকর্তার গুনগান সম্পর্কিত একটি কবিতার বই ছাড়া কিছুই না।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন যে ভাবে তেলাওয়াত করা হয় আপনি সেভাবে আমাকে একটা কবিতার বই তেলাওয়াত করে শুনাবেন। তারপর আমি আপনার মন্তব্য বিষয়ে কিঞ্চিত চিন্তা করব। আমি তো এ যাবৎ কোরআনের সাথে কোন কিছুর মিল পাইনি। সেজন্য আমি আপনার কথায় একমত হতে পারছি না বলে দুঃখিত। আর অভিজিৎ এখন নেই। আপনি কি তার রেখে যাওয়া কাজের প্রতিনিধিত্ব করছেন? সেটা অবশ্য আপনার ইচ্ছা। আর যারা আপনার কথা গ্রহণ করবে সেটা তাদের ইচ্ছা। আমি যা করছি সেটা আমার ইচ্ছা। আর আমাদেও একটা শ্রেণী আছে। আমরা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাইনি। তবে মুমিনরা বিলুপ্ত হলে নাকি পৃথিবীও বিলুপ্ত হবে।

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১

নতুন বলেছেন: তাহলে আপনি এলিয়ান তত্বে বিশ্বাসী। ইসলামী কাহিনি তেমনই বলে যে প্রথম মানব বেহেস্তে সৃস্টি করা হয়েছিলো তারপরে পৃথিবিতে বনবাসে দেওয়া হয়েছিলো।

কিন্তু সমস্যা হয় যখন পৃথিবির অন্য প্রানী আর মানুষের মাঝে অনেক বেশি মিল পাওয়া যায়, যেটা মানুষও একই বিবর্তনের অংশ সেটার দিকের প্রমানই ভারী হয়।



অহেতুক কারো কথা অস্বীকার করার কি দরকার? তাঁর কথা স্বীকার করব কেন? তাঁর কথা স্বীকার করব কারণ তাঁর কথা স্বীকার না করলে তিনি শাস্তি দিবেন বলেছেন। তাঁর যদি শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা থাকে তবে তাঁর কথা বিশ্বাস না করে বিপদে পড়তে যাব কোন কারণে?

আর এইটা তো পুরাই সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ হইয়া গেলো। B-))

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: স্থলাভিষিক্ত হলে মিল তো পাওয়া যাবেই।

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: "গীতার মতো ধর্মগ্রন্থ পৃথিবীতে বিরল। তার প্রধান কারণ গীতা, সর্ব যুগের সর্ব মানুষকে সব সময়েই কিছু না কিছু দিতে পারে। অধ্যাত্বলোকে চরম সম্পদ পেতে হলে গীতাই অত্যুত্তম পথ প্রদর্শক, আর ঠিক তেমনি ইহলোকের পরম সম্পদ পেতে হলে গীতা যে রকম প্রয়োজনীয় চরিত্র গড়ে দিতে পারে, অন্য কম গ্রন্থরই সে শক্তি আছে। ঘোর নাস্তিকও গীতা পাঠে উপকৃত হয়।"

গীতা-রহস্য, গ্রন্থ- ময়ূরকণ্ঠী। সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা- ১৬০

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নব্বই কোটি মানুষ গঅতাকে শ্রেষ্ঠ মনে করে মান্য করে থাকে। কিন্তু আপনি গীতাকে শ্রেষ্ঠ মনে করলেও গীতাকে মানেন না। সুতরাং আপনার গীতাকে শ্রেষ্ঠ মনে করায় অসংগাতি আছে।

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি আপনার লিখায় উল্লেখ করেছেন যে আদম আঃ মাত্র ১০ হাজার বছর আগের । এই তথ্য তো কুরআনে নেই । এই তথ্য নিয়ে কথা বলাটা কী সঠিক ?

আদম আঃ এর পূর্বে যারা ছিল তাঁদের পরকাল নেই এমন কথা বলাটাও ভিত্তিহীন যেহেতু কিছুই বলা নেই সেহেতু কোন একটি অনুমান করলে সেটা সত্য হয়ে যায় না ।

আপনি যে মানব প্রজাতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কিন্তু মানব নয় এমন প্রাণীর কথা যে বলেছেন , সেক্ষেত্রে আপনি আমি কিন্তু এখনও এমন কোন নিদর্শন উপস্থাপন করতে পারিনি যে সেই সব মানবসাদৃশ্যপূর্ণ প্রাণী মানুষের পূর্ব পুরুষ নয় । তাই এইভাবে জের টানা ঠিক নয় । আপনি লিখেছেন , চেষ্টা করেছেন তবে মনে হচ্ছে না এর ভিত্তি খুব শক্ত !!

তবুও এই যে রাজীব ভাইয়ের কথার বিপরীতে আপনি এভাবে পোস্ট দিয়েছেন এর জন্য ধন্যবাদ । গালাগালি নয় তর্ক হোক !!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আদমের (আ) দশ হাজার বছরের বিসয়টি আমি তাফসিরে জালালািইনে পেয়েছি। আদম (আ) কৃষিকাজ করতেন, মা হাওয়া তাঁতে কাপড় বুনতেন। সুতরাং তাদেরকে আদিম নয় বরং আধুনিক মানুস বলা যায়।

যাদের প্রতি বিধান নাযিল হয়নি তাদের পরকালের হিসাব কেমন করে হবে? তারা আধুনিক মানুষের পূর্ব পুরুষ নয় সেটা কোরআনের বিবরনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে। আর কোরআনকে কেন সঠিক মানা হয় তার কারণ পোষ্টে বলা আছে। আমার বক্তব্যের ভিত্তি মুজবুত না হলেও যারা এর বিপরীত বক্তব্য প্রদান করে তাদের বক্তব্যের ভিত্তিও মজবুত নয়। তাদের বক্তব্যের ভিত্তি মজবুত হলে এতদিনে বেশী মানুষ ধর্মছেড়ে খর্মহীন হয়ে যেত। কিন্তু এখনও ধর্ম স্বীকারকারীর সংখ্যাই বেশী। সুতরাং তাদের বক্তব্যের ভিত্তি মজবুত না হওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য মানুষ গ্রহণ করছে না।

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ধন্যবাদ । তাফসিরের এই অভিমতগুলো আসলে সঠিক নয় । কারণ এর পেছনে কোন ধর্মীয় সূত্র নেই । একেক আলেম একেক অভিমত দিয়ে এসব গল্প ফেঁদেছেন । কোরানে স্পষ্ট বলা না থাকলে সেটাকে গুরুত্ব দেয় না আধুনিক ধর্মতাত্ত্বিকগণ ।

বিধান নাজিল হয়নি এটাও বলা যায় কী করে ? আমরা তো মানুষের মধ্যে প্রথম নবী পেলাম আদম আঃ কে কিন্তু প্রথমে যারা ছিল তারা মানব সদৃশ যেহেতু তাদেরও বোধ থাকা অস্বাভাবিক নয় তো তাঁদের যে বিধান আসেনি তার কী সূত্র ?

আর মানব সদৃশ প্রাণীর ব্যাপারে আপনি খোলাসা করেননি !!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যেহেতু আদমকে (আ) স্থলাভিসিক্ত হিসাবে পাঠানো হয়েছে। সেহেতু এটা পরিস্কার যে তার স্থলে তার মত কেউ ছিল। তবে তারা মন-মানসিকতায় উন্নতমানের ছিল না বিধায় তারা ফাসাদ সৃষ্টি করতো এবং মারামারি করে রক্তপাত ঘটাতো। সেজন্য আল্লাহ তাদের স্থলাভিসিক্ত পাঠানোর কথা বললে ফেরেশতাগণ প্রতিবাদ করে ছিল। তারা মনে করেছে স্থলাভিসিক্তগণ আগের মতই ফাসাদ সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে। তখন আল্লাহ ফেরেশতাগণকে বুঝালেন যে তারা তাদের মত হবে না, বরং উন্নতমানের কেউ হবে। তারপর আল্লাহ আদমকে (আ) বানাতে বিভিন্ন রকম মাটি ব্যবহার করলেন। আদম (আ) শুরুতেই কৃষিকাজ দিয়ে জীবন শুরু করলেন এবং তাঁর স্ত্রী তখনই তাঁতে বস্ত্র বানাতেন। তারপর আল্লাহ তাদের জন্য বিধান তৈরী করলেন। এর পুরস্কার সরূপ জান্নাত ও বিধান নামানার শাস্তি সরূপ জাহান্নাম বানালেন। তো বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে এটাই স্পষ্ট যে আদম (আ) যাদের স্থলাভিসিক্ত হলেন। তাদের জন্য বিধান ছিল না। তাহলে আর তাদের পরকাল কেমন করে থাকে। আর তারা তেমন উন্নতও ছিল না। তাদের কাজ ছিল পশু শিকার। তাদের পোশাক ছিল পশুর চামড়া। লক্ষ কোটি বছরে তারা কি উন্নতি করলো? অথচ আদম সন্তান মাত্র দশ হাজার বছরে সভ্যতাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেল? দশ হাজার বছর মানুষ জানবে না কেন? আদম থেকে মহানবি পর্যন্ত নসব নামা মানুষ বলে দিচ্ছে। আবার একালের একজন সৈযদ বংশের লোক মহানবি (সা) পর্যন্ত নসব নামা বলে দিচ্ছে। আদম (আ) থেকেই মানুষ তথ্য সংরক্ষণে তৎপর ছিল। আর এখন তো তথ্য সংরক্ষণের বিষয়টি পাকাপোক্ত হয়ে গেছে। বিজ্ঞান তের কোটি বছর আগের ঘটনার কথা বলে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষকি তবে দশ হাজার বছরের হিসাব রাখতে পারবে না। আর জ্ঞান চর্চা আদম (আ) থেকেই শুরু হয়েছে। আল্লাহ তো তাঁকে নিজেই জ্ঞান শিক্ষা দিলেন। সুতরাং তাঁর বংশে চিরকাল জ্ঞান চর্চা ছিল। অনেক বিষয় ছিল লোক কথা হিসাবে। লোক কথার সব কিছু ষোলআনা বেঠিক নয়। শক্ত প্রমাণ খুঁজতে গেলে অবশেষে নিজের বাপকেও বাপ প্রমাণ করতে ডিএনএ টেস্টের জন্য দৌড়াতে হবে। সেজন্য বিষয়কে সহজ করতে অনেক ক্ষেত্রে অনুমাণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আপনি যেটাকে উচিত নয় বলছেন, অনেকেই বলবে না এতে সমস্যা নেই। মনে করুন লেখাটি আপনার জন্য লেখা হয়নি। যারা তথ্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরিকে গ্রহণ করে লেখাটি তাদের জন্য লেখা হয়েছে। বিস্তারিত জ্ঞানের জন্য অনেকেই বলেন, তো এতে লোক কথা কি আছে, তো বাইবেলে কি আছে, তোরাহতে কিআছে। এভাবে বিভিন্ন তথ্যা মিলিয়ে সে কোন কিছু বুঝার চেষ্টা করে। আমিও এভাবেই বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করেছি। পাক্কা প্রমাণ খুঁজতে গেলে ঠক বাচতে গাঁ উজাড় হবার দশা ঘটবে। তখন বলতে হবে কিজানি বাপু আদম (আ) সঠিক নাকি বিবর্তীত মানুষ সঠিক বলতে পারি না। তখন এভাবে সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগতে হবে। কিন্তু আমাকে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। তো যেভাবে সিদ্ধান্তে পৌছা যায় আমি সেভাবে আমার সিদ্ধান্তে পৌঁচেছি। রাজীব নুর আবার অন্যভাবে তার সিদ্ধান্তে পৌঁচেছে। সে তার কথা অন্যদেরকে তার কথা বুঝানোর চেষ্টা করেছে বিধায় আমি আমার কথা বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তো সমাজে তার শ্রেণী যেমন আছে তেমন রাজীবের শ্রেণীও আছে। মাঝখানে আপনি কোন শ্রেণী সেটা বুঝতে পারলাম না।

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৫

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: ধর্মের অপব্যাবহারে ধর্ম প্রশ্নের সমুখীন হয়। ধর্মের দোহায় দিয়ে অন্যায়, অবিচার হয়েছে যুগে যুগে। ঐতিহাসিকভাবে ইসলাম ও খ্রিষ্টান অনুসারীর লোকজন এ কাজ বেশি করেছে। রাজীব ভাইয়ের কমেন্টে তাই দেখলাম। উনার বিভিন্ন লেখায় দেখেছি উনি দিন শুরু করেছেন ফজরের নামাজ পড়ে। বিভিন্ন কারণে বিশ্বাস ও উপলদ্ধি বিবর্তিত হয়, উনি এখন বিবর্তনের মাঝে আছেন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাজীব নুরের ইবাদত করার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি তাকে একজন ধর্মহীন হিসাবে জানি এবং অন্যদেরকে ধর্মহীন করার বিষয়ে তার তৎপরতা চোখে পড়ার মত। ধর্মের মধ্যেও তার নিকট সবচেয়ে অগ্রহণযোগ্য হলো ইসলাম। এ বিষয় সে বিভিন্ন পোষ্টে বুঝানোর চেষ্টা করে। তবে তার কথা আমার কখনই সঠিক মনে হয়নি।

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি মনে হয় একটি তাফসিরকে কেন্দ্র করে এতসব বলছেন । প্রথমত খলিফা শব্দের অর্থ কেবল স্থলাভিষিক্ত নয় , এর প্রধানতম অর্থ হলো প্রতিনিধি । এবং আয়াতে বলা নেই যে ফেরেশতারা বলেছিল আদমের সন্তানেরা স্থলাভিষিক্তের মত আচরণ করবে এমনটা বলা হয়নি । আমি বলব এটা আপনার মনগড়া কথা ! এমনকি আল্লাহ এমন কোন কথা বলেননি যে তারা আগের জন থেকে উন্নত হবে । এসব মনগড়া কথা বলে আপনি বরং উল্টো একটা মিথ্যা ভিত্তি তৈরী করছেন ।

আদম আঃ কৃষিকাজ করেছিল আর হাওয়া আঃ বস্ত্র বয়নে নিয়োজিত ছিল এইসবে কোন সূত্র নেই কোন ভিত্তি নেই । তারা যে ১০ হাজার বছর আগের এরও কোন ভিত্তি নেই । আর আদম আঃ যদি বেহেশত থেকে বিতাড়িত হন তো আবার বেহেশত পরে তৈরী হয় কী করে ? আপনার কথাতে যে একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে বুঝতে পারছেন ?

যাকগে , আদমের জন্য বিধান তৈরীর মানে এই না যে আগেরদের জন্য কোন বিধান ছিল না কারণ আপনার বর্ণিত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই । না আপনার কথা কোরাণের আভিধানিক বক্তব্যের সাথে মেলে না আক্ষরিক বক্তব্যের সাথে সুতরাং আপনার মনগড়া কথাকে ভিত্তি করে এসব মেনে নেয়া যাবে না ।

অনুমানের জন্য যুক্তি ও সূত্রের শক্ত ভিত্তি দরকার না হলে সেটা আর অনুমান থাকে না হয়ে যায় কল্পনা । প্রত্যক্ষ প্রমাণের কথা বাদ দিন আপনি তো পরোক্ষ প্রমাণই আনতে পারছেন না । আপনি রাজীব নূরকে বিরোধী যুক্তি দিতে গিয়ে উল্টো আপনার প্রস্তাবকে হুকির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন । তাতে বরং রাজীব নূরের বক্তব্যকেই শক্তিশালী করবে । আর সেটাই হচ্ছে !!! ধন্যবাদ !!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আদম সৃষ্টির পূর্বেই আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির বিষয়ে ফেরেশতাগণের সাথে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেছেন। সংগত কারণে এ সংক্রান্ত ব্যবস্থাও আগে থেকে শুরু হয়েছে। আর সে ব্যবস্থার অংশ হিসাবেই জান্নাত-জহাহান্নাম আগে থেকে তৈরী করে রাখা হয়েছে। আর সেটা করা হয়েছে আল্লাহর বিধান না মানার পরিণতি হিসাবে।

আর খলিফা মানে প্রতিনিধি এবং খলিফা মানে স্থলাভিসিক্ত। দু’টোই যদি আদম (আ) হন তাতে সমস্যা কি? আর মানুষ হিসাবে আমারও ভুল থাকতে পারে। আপনার কথাগুলো আমি বিবেচনায় রাখছি। কারণ আমাকে বুঝতে হবে আমি আসলেই ভুল করেছি কিনা। যদি বাস্তবিক আমার ভুল হয়ে থাকে তবে ভবিষ্যতে আমি সেসব ভুল শোধরে পোষ্ট দেব। আমি যে বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছি এর আলোচনা দীর্ঘ দিন থেকে চলছে। এসংক্রান্ত আলোচনার মাধ্যমে ধর্মহীনরা চাচ্ছে পৃথিবীর সব মানুষ ধর্মহীন হয়ে যাক এবং ধর্মের কাজে ব্যয় করা সম্পদ মানবতার কল্যাণে ব্যয় করুক। আর তারা আরো চাচ্ছে মানুষ ধর্মের কাজে ব্যয় করা সময় আরো বেশী সম্পদ অর্জনে ব্যয় করুক। কিন্তু ধার্মিকেরা ধর্মহীন হচ্ছে না। কারণ তাদের এত দিনের লালিত বিশ্বাস ভাংছে না। ধার্মিক হিসাবে আমার বিশ্বাস কেন ভাংছে না তার কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য আমি অত্রপোষ্ট উপস্থাপন করেছি। তাতে আমার ভুল হয়ে থাকলে আমি তা’ পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেন বুঝার চেষ্টা করব। আমার একটা বিষয় হলো আমি ভালো ভাবে না বুঝে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না। এ পোষ্টের বিষয়টি আমি নিজে বুঝলেও হয়ত তা’ আপনার বুঝার জন্য যথেষ্ট নয়।

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
আপনাকেতো একটু লজিকাল ব্লগার মনে হতো আপনিও দেখি রাজীব নূরের মতো পুরোপুরি না বুঝেই কথা বলা শুরু করেছেন ! ঘটনাটা কি? সূরা ইনফিতারের ৭ নং আয়াতে তো আল্লাহ পরিষ্কার করেই বলেছেন মানুষকে তিনি নিখুঁত (perfect) ভাবে সৃষ্টি করেছেন।আরবি আয়াতের ইংরেজি ট্রান্সলেশন করেছেন স্কলাররা এরকম : "Who created you, fashioned you, and perfected your design" (৮২:৭)। এখন যে প্রাণীকে সৃষ্টি করা হলো নিখুঁতভাবে সে তো তার বসবাসের জন্য নির্ধারিত এনভায়রোনমেন্টে টিকে থাকার মতো উপযোগীই হবে । সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট হিসেবে আদমের (আঃ)আবির্ভাবের সময় বিবর্তনে টিকে থাকা যে প্রাণীরা পৃথিবীতে ছিল তাদের সাথেইতো মানুষের তাহলে মিল থাকার কথা, কোটি বছর আগে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া প্রাণীর চেয়ে তাই না ? আপনার মন্তব্য তাই খুব অর্থবহ বা যৌক্তিক না বুঝতে পারছেন নিশ্চই ? আর কেন মনে হলো কুরআনের মানব সৃষ্টির বর্ণনা আর বিজ্ঞানের মানে বিবর্তনের মধ্যে বিশাল ঝামেলা আছে ? আপনার (আপনাদের) যুক্তিগুলো ঠিক কি কষ্ট করে একটু বলুনতো তো আবার ।

ফরিদ সাহেব, মানুষের সৃষ্টির কুরআনিক বর্ণনার সাথে বিবর্তনের কোনো সংঘর্ষ নেই । খুব বৈজ্ঞানিক ভাবেই সেটা ব্যাখ্যা করা যায় । আপনি যে ভাবে বলছেন বা মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন তাতে সমস্যাটা শুধু বাড়ছেই ।কমছে না ।সেটা তো নিশ্চই বুঝতে পারছেন তাই না ? নো অফেন্স, আপনার ইদানিংকার লেখাগুলো আগের সনেটের মতো জম্পেশ হচ্ছে না । আগের সনেটেই ফিরে যান সসীম অসীম, রাজনীতি, সমাজনীতি বা ইসলামের এই সব ইম্পরট্যান্ট ইস্যুগুলো নিয়ে না লিখে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব মানুষ বিজ্ঞান বুঝে না। সেজন্য আমি সে দিকে না গিয়ে অন্যভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। বক্তব্য বিষয় উপস্থাপন করতে গিয়ে আমি কি কি ভুল করেছি সেটা বুঝার চেষ্টা করছি। রূপক বিধৌত বলেছেন, তিনি আমার সনেটকে ভয় পান। সেজন্য আমার সনেট লেখায় এখন আগ্রহ কম।

আমি ভাবছি সাধারণের বুঝার উপযুগি করে বিবর্তন বুঝানো যায় কিনা। আমি বুঝতে পারছি এ বিষয়ে আমার ভাবনাকে আরো ধারালো করতে হবে।আপনার সুমন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার বংশের লোকদের জেনারেশন হিসেব করে বলুন, পেছনের দিকের ১০ম জেনারেশনের লোকদের নাম আপনি জানেন কিনা?

আপনাকে পেছনের দিকে গণনার জন্য, প্রথমে গুণতে হবে নিজকে, তারপর আপনার বাবাকে, দাদাকে, এভাবে পেছনের দিকে যাবেন।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আদম (আ) পর্যন্ত নাম সহ বংশধারা অনেকে উপস্থাপন করেন। সব কাজ আমাকেই পারতে হবে এটা জরুরী নয়।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: দার্শনিকেরা দেখেন, বাকি লোক সব অন্ধ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু যাদেরকে দার্শনিক বলা হয় তারা সবকিছু সঠিক দেখে জনগণ এটা স্বীকার করে না। সুতরাং দার্শনিক তার পথে চলেন এবং জনগণ তাদের নিজেদের পথে চলেন, এটাই হলো পরম বাস্তবতা।

১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: আদম (আ) পর্যন্ত নাম সহ বংশধারা অনেকে উপস্থাপন করেন। সব কাজ আমাকেই পারতে হবে এটা জরুরী নয়।

কেহ আদম পর্যন্ত জানার কথা নয়, এটা একটা লজিক্যাল অনুমান যে, আমাদের পুর্ব-পুরুষ ছিলো, তাদের কেহ একজনকে আদম হিসেব ধরে নেয়া হয়েছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তের কোটি বছর আগে কি হয়েছে সেটা মানুষ অবলিলায় বলে দিচ্ছে, আর আদম (আ) তো খুব বেশীদিন আগের কেউ নয়। আমি আমার সাত পুরুষের হিসাব জানি। এদেশের মুসলিমরা অধিকাংশ হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে। তো মুসলিমরা তাদের হিন্দু পূর্ব পুরুষের হিসাব রাখার দরকার মনে করেনি বিধায় হয়ত তারা সে হিসাব জানে না। আদম (আ) সুশিক্ষিত ছিলেন। তাঁর থেকে শিক্ষা বিস্তারের অংশ হিসাবে তাঁর বংশের কোন না কোন লোকের মাধ্যমে তাঁর বংশধারা রক্ষিত হওয়ার বিষয়টি অবাস্তব নাও হতে পারে।

১৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: পৃথীবির সব মানুষ হীজার হাজার বছর বিশ্বাস করতো সূর্য পৃথীবির চার পাশে ঘুরে।তাই বলে এটা সত্য হয়ে যায় নাই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বার সব কথা সত্য হওয়া এবং সবার সব কথা মিথ্যা হওয়া জরুরী নয়। কারণ অনেকে সত্য কথা বলে এবং অনেকে মিথ্যা কথা বলে।

২০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৬

ভবিষ্যত বলেছেন: আদম - হাওয়া নিয়ে যে তত্ব প্রচলিত আছে, তারা পুরাটাই হাদিস নির্ভর..

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁদের কথা কোরআনেও আছে।

২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি কী নিজ ধর্মে অগাধ বিশ্বাসী

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি কোরআনে ১০০% বিশ্বাসী। তবে কোরআনের সাথে গরমিল হাদিসে বিশ্বাসী নই। কারণ রাসূলের (সা) নামে অনেক মিথ্যা হাদিস প্রচার করা হয়েছে।

২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

সোনাগাজী বলেছেন:


@ঈশ্বরকণা ,

সনেট কবিসাহেব একটি লজিক্যাল ব্যাখা দিয়েছেন, যেখানে রূপকথা নেই; উনার ভাবনাটা ধর্মীয় কাহিনীকে ঘনিষ্টভাবে সাপোর্ট করছে। আপনার মত লোকদের সবার আলাদা আলাদা রূপকথা আছে, লজিক নেই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আশাকরি ঈশ্বরকণা আপনার মন্তব্য দেখলে উত্তর প্রদান করবেন।

২৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩১

নতুন বলেছেন: ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
আপনাকেতো একটু লজিকাল ব্লগার মনে হতো আপনিও দেখি রাজীব নূরের মতো পুরোপুরি না বুঝেই কথা বলা শুরু করেছেন ! ঘটনাটা কি? সূরা ইনফিতারের ৭ নং আয়াতে তো আল্লাহ পরিষ্কার করেই বলেছেন মানুষকে তিনি নিখুঁত (perfect) ভাবে সৃষ্টি করেছেন।আরবি আয়াতের ইংরেজি ট্রান্সলেশন করেছেন স্কলাররা এরকম : "Who created you, fashioned you, and perfected your design" (৮২:৭)। এখন যে প্রাণীকে সৃষ্টি করা হলো নিখুঁতভাবে সে তো তার বসবাসের জন্য নির্ধারিত এনভায়রোনমেন্টে টিকে থাকার মতো উপযোগীই হবে ।


আপনি আয়াত দেখেই বিশ্বাস করে বসে আছেন যে মানুষ নিখুত সৃস্টি?
মানুষ অন্য ১০টা প্রানীর মতনই নানান রকমের ত্রুটিতে ভোগে সারা জীবন। জন্মের শুরু থেকেই। বিশ্বে যত নারী সন্তান ধারন করে তার ১০-২০% নারীর miscarriage হয়।

১-৫% শিশুর জেনেটিক্যার সমস্যা থাকে।
https://www.cdc.gov/ncbddd/birthdefects/data.html এখানে দেখতে পারেন। মানুষ নিখুত না। intelligent design নিয়ে অনেক আলোচনা আছে সেখানে দেখতে পাবেন যে সৃস্টিকর্তার সৃস্টি বলেই সব নিখত হবে না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাতিগতভাবে মানুষের সৃষ্টি নিখুঁত। কিছু সংখ্যকের সমস্যা জাতীয় সমস্যা নয়। আল্লাহ কথাটা মানব জাতির ক্ষেত্রে বলেছেন।

২৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

কালো যাদুকর বলেছেন: সন্ধ্যা থেকে কয়েকটি উৎস থেকে এই বিষয়ে পড়লাম।
যেটা বুঝলাম সেটা হল-মুসলিমদের কেচালে ফেলার জন্য আজকাল এই বিষয়ে বির্তকে জরানো হয়।
এই ভিডিওটি দেখুন ( কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসের)
https://www.youtube.com/watch?v=etP_YJ5jWsY

ধন্যবাদ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনরা তাদের শ্রেনী সদস্য সংখ্যা বাড়াতে মুসলিম উৎসকে বেশী উপযুক্ত মনে করে বিধায় তারা বিভিন্ন বিষয়ে মুসলিমদের সাথে ক্যাচালে জড়িয়ে পড়ে।

২৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: এমন একটা টপিক নিয়ে লেখার আগে বেশ ভাবনা চিন্তা করতে হয়- কঠিন কঠিন মন্তব্যের উত্তরগুলো ঠিক ঠাক দিতে পারব কি না? আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে নাজেহাল হতে হবে না।
আপনি কিছু রেফারেন্স দিয়ে নিজের মত করে বেশ সাবলীল সুন্দরভাবে বয়ান করার চেস্টা করেছেন সেজন্য সাধুবাদ।
আপনি ব্লগার ঈশ্বরকণার উত্তরে যেটা বলেছেন;
আমি ভাবছি সাধারণের বুঝার উপযুগি করে বিবর্তন বুঝানো যায় কিনা। আমি বুঝতে পারছি এ বিষয়ে আমার ভাবনাকে আরো ধারালো করতে হবে।আপনার সুমন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
~আপনার এই বিনয়ের জন্য ধন্যবাদ।
ঈশ্বরকণা বলেছেন; মানুষের সৃষ্টির কুরআনিক বর্ণনার সাথে বিবর্তনের কোনো সংঘর্ষ নেই । খুব বৈজ্ঞানিক ভাবেই সেটা ব্যাখ্যা করা যায় ।
~ এমন একটা লেখার জন্য সুদীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছি। আপনার কাছে সবিশেষ অনুরোধ থাকবে লেখার জন্য। তাহলে অনেক ঝামেলা ক্যাচাশ্ল মিটে যাবে নিশ্চিত।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঈশ্বরকণা অথবা অন্য কেউ এমনটা করতে পারলে তা’ অবশ্যই চমৎকার হবে। আমি ভাবছি সাধারণকে বুঝানোর জন্য সাধারণভাবে সাদামাটা কি লেখা যায় সেটা। কারণ আমাদের দেশে অধিকাংশ লোক ভালো লেখাপড়া জানে না।

২৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
হা হা হা ---মনে হচ্ছে আপনিতো নিখুঁত ব্যাপারটার অর্থ বুঝতে পারেননি ভালো করে। আপনি মানুষকে নিয়ে কথা বলছেন ঈশ্বরের নিখুঁততা নিয়ে না, তাই না ? মৃত্যুঞ্জয়ী শুধু আল্লাহ। তাই প্রাণী হলেই তার মারা যেতে হবে সেটা রোগ ব্যাধি দিয়েই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক। কুরআন সেই কথাটা অনেকবারই বলেছে মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে। রোগব্যাধি যার কথা বললেন সেটা হলো মানুষের মারা যাবার অসংখ্য উপলক্ষ্যের একটা। মানুষ রোগ ব্যাধিতে ভুগবে, অসুস্থ্য হবে, মারা যাবে কিন্তু এগুলোর সাথেতো মানুষ নিখুঁত কিনা তার সম্পর্ক নেই। মানুষের নিখুঁত হবার ব্যাপারটা তার রোগব্যাধিতে কতটা কাবু হলো বা মরে গেলো কিনা সেটার সাথে মিলিয়ে দেখলে আপনি ভুল করবেন। বায়োলোজিস্টদের ধারণা অনুযায়ী একটা প্রাণী কত নিখুঁত সেটা নির্ভর করে সে টিকে থাকার জন্য পরিবেশের সাথে কতটা মানিয়ে চলতে বা সাফল্যজনকভাবে কতটা এডজাস্টমেন্ট করতে পারে তার ওপর (কে বল্লো একথা তার রেফারেন্স লাগলে বলবেন দেয়া যাবে সাথে সাথেই)। আদমের (সাঃ) থেকে শুরু যে হোমোসেপিয়েন্সের তারা সেটা ভালোই পারে তাই না ? কি বলেন মানুষ প্রাণী হিসেবে নিখুঁত কিনা সাইন্সের এই ধারণার সাথে কুরআনের মানুষকে 'নিখুঁত' বলাটা তাহলে ঠিক আছে,তাই না? এছাড়াও কুরআন আরো কতগুলো বিষয় বলেছে মানুষের নিখুঁত আর ভারসাম্যপূর্ণ সৃষ্টি হিসেবে যার ফলে মানুষ 'তাকওয়া' অর্জন করতে পারে যেটা আসলে আল্টিমেট সাফল্য মানুষের জন্য। অন্য যে কোনো প্রাণীর চেয়েই মানুষের তাকওয়া অর্জনের বিষয়গুলোও হাই লেভেল ফিজিওলজিক্যাল অর্গানের উপস্থিতির কারণেই সম্ভব হচ্ছে। আর এই হাই লেভেল ফিজিওলজিক্যাল অর্গানের উপস্থিতিই মানুষকে সৃষ্টির অন্য যে কোনো প্রাণীর চেয়ে বেশি নিখুঁত করেছে পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে। কুরআনের মানুষের নিখুঁত দাবি আমি এই অর্থেই বলেছি। আর সেই অর্থটা আমার কাছে খুবই ঠিক মনে হয়েছে। ভালো থাকুন ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জনাব নতুনের কথার খুব সুন্দর প্রতি উত্তর প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১২

নতুন বলেছেন: @ইশ্বরকণা ভাই:- আর এই হাই লেভেল ফিজিওলজিক্যাল অর্গানের উপস্থিতিই মানুষকে সৃষ্টির অন্য যে কোনো প্রাণীর চেয়ে বেশি নিখুঁত করেছে পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে। কুরআনের মানুষের নিখুঁত দাবি আমি এই অর্থেই বলেছি। আর সেই অর্থটা আমার কাছে খুবই ঠিক মনে হয়েছে।

মানুষের সবচেয়ে বড় জিনিস হইলো তার ব্রেন, এবং তার বিশ্লেষনী ক্ষমতা, নতুন জিনিস উদ্ভবনের ক্ষমতা। সেটা ছাড়া এই পৃথিবিতে মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল। মানুষ পৃথিবির পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। বরং পরিবেশ পাল্টে নিয়েছে বুদ্ধির জোড়ে। তাই মানুষ সৃস্টি নিখুঁত বলে মনে হয় না আমার কাছে। মানুষ এখনো এই পৃথিবির প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

Have a nice day ভাই।

আপনার কাছে নিখুঁত মনে হয়েছে কারন বইয়ে আছে, সেটা আপনার ব্যক্তি গত বিশ্বাস। সেটা আপনি করতেই পারেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বইয়ের কথাকে সঠিক প্রমাণ করাগেলে তা’ সঠিক মানাতে সমস্যা নেই।

২৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: সোনাগাজী,
প্লিজ এই নিয়ে আপনার কথা না বলাই ভালো । আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণেই আপনার পড়াশোনা আর জানাশোনার লিমিটটা আমি বুঝি ।আমিতো এই লেখা আর রাজীব নূরের 'সারভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট' লেখাটাতেও বলেছি ইসলামে (আর আপনার অন্য আব্রাহামিক ধর্মগুলোতে) হজরত আদমের (আঃ) সৃষ্টির যে বর্ণনা আছে আর বিবর্তনের মধ্যে কোনোই সংঘর্ষ নেই। বৈজ্ঞানিক যে প্রমাণগুলো এখন আমাদের কাছে আছে সেগুলো থেকেই এই দুটো বিষয় যে একইসাথে সত্যি হতে পারে সেটা ব্যাখ্যা করা যায়। আদমের (সাঃ) আবির্ভাব আর বিবর্তনেই মধ্যে কোনোই সাংঘর্ষিক ব্যাপার নেই। এখানে এই দুটো ধাৰণার মধ্যে সাংঘর্ষিক ব্যাপারটা আপনি ধর্মের কিছু বোঝেন না আর বিজ্ঞানের কিছু পড়াশোনা নেই দেখেই বলছে । আমার সেই পড়াশোনা আছে বলেই আমি জানি এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নেই। ডারউইনের থিওরিতে গত দেড়শো বছরে অনেক যোগ বিয়োগ হয়েছে। এখন নিও ডারউইনিজম বলে একটা নতুন আর অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ভার্সন আছে ডারউইনিজমের। তাই দেড়শো বছর আগের ডারউইনিজম নিয়ে শুধু জাবর কাটলেতো এই বিষয়ে নতুন বিষয়গুলো জানা হয় না ।পড়াশোনা করে তারপর এ নিয়ে কথা বলবেন।আপনার পড়াশোনা না করে অনর্থক অর্থহীন কথাবার্তা খুবই বিরক্তিকর ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জনাব সোনাগাজীর কথার চমৎকার প্রতিউত্তর প্রদানের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
আপনার কাছে নিখুঁত মনে হয়েছে কারন বইয়ে আছে, সেটা আপনার ব্যক্তি গত বিশ্বাস। আপনার এই কথাটা কি আমার মন্তব্যের থেকে বললে ঠিক বলা হবে ? আমিতো কুরআনে মানুষ নিখুঁত দাবি করেছে সেটাই শুধু বলিনি । আমি বিজ্ঞান মানুষের নিখুঁত হওয়া সম্পর্কে কি বলে সেটাইতো বেশি বললাম। আপনি মনে হয় আমি খুবই বিখ্যাত একজন ইভুলুয়েশন বায়োলোজিস্টের প্রাণীর নিখুঁত হওয়া সম্পর্কে যেই ডেফিনিশনটা দিয়েছি সেটা খেয়াল করেননি। মানুষের প্রাণী হিসেবে নিখুঁত কিনা সে সম্পর্কে তার ডেফিনিশনটাইতো যথেষ্ট হওয়া উচিত ছিল আপনার যেহেতু আপনি বিজ্ঞানের কথা বলছেন বলে দাবি করছেন ! আমি কুরআনের মানুষকে নিখুঁত বলার দাবি থেকে যা বুঝেছি সেটার সাথে এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যারতো কোনো পার্থক্য আছে সেটা তো মনে হয় না। যাক এই নিয়ে আর কথা বলতে ইচ্ছে করছে না । কারণ পরিষ্কার করে বিজ্ঞানের রেফারেন্স দেবার পরেও আপনি যদি সেটা না দেখেন তাহলে এগুলো নিয়ে আর না কথা বলাই ভালো । বেস্ট ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জনাব নতুনের কথার চমৎকার প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম একটা স্পেসিফিক অলৌকিকে ইলজিক্যাল বিশ্বাস।
আর কোনো কথা নয়। শেষ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মহীনদের বস্তা বস্তা লজিক থাকলে তা’ অবিকৃত থেকে যায় কোন কারণে? বরাবর দেখতে পাচ্ছি ধর্মহীনতা ধার্মিকদের ঘাড়ে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। ব্লগের মাধ্যমেই সে চেষ্টা বেশী হয়েছে। অত:পর তারা বিফল মনরথ হয়ে ব্লগ ছেড়ে পালিয়েছে। তারা দেখেছে তাদের প্যাঁচানো ত্যানা অবশেষে তাদের নিজেদের গলার ফাঁস হয়ে গেছে। সুতরাং তারা ব্লগছেড়ে মানে মানে কেটে পড়েছে। ঐ রকম এক ব্লগার আমাকে তাড়িয়ে সামুতে এনে নিজে সামু ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এখন রাজীব নুরের ধর্মহীনতার ময়লা ত্যানা ধুইতে ধুইতে আমার জান শেষ।

৩১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
মানুষের সবচেয়ে বড় জিনিস হইলো তার ব্রেন, এবং তার বিশ্লেষনী ক্ষমতা, নতুন জিনিস উদ্ভবনের ক্ষমতা। সেটা ছাড়া এই পৃথিবিতে মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল।মানুষ পৃথিবির পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। বরং পরিবেশ পাল্টে নিয়েছে বুদ্ধির জোড়ে। তাই মানুষ সৃস্টি নিখুঁত বলে মনে হয় না আমার কাছে। মানুষ এখনো এই পৃথিবির প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আপনি শুধু এভাবে ব্রেইনের আর তার বিশ্লেষণী ক্ষমতার কথা বললেতো পুরোটা বলা হলো না । প্রাণীদের মধ্যে পরিমানের দিক থেকে মানুষের ব্রেইন কিন্তু সবচেয়ে বড় বা বেশি না সেটা নিশ্চই জানেন ।স্পার্ম তিমির ব্রেইনের পরিমান মানুষের ব্রেইনের চেয়েও বেশি । ওজনের দিক থেকেও মানুষের ব্রেইন শরীরের মাত্র শতকরা আড়াই ভাগ যার অনুপাত ১:৪০ । অনেক পাখিই আছে যাদের ব্রেইন শরীরের ওজনের শতকরা আট ভাগ ! তাই ওজন আর পরিমান কোনো দিক থেকেই মানুষের ব্রেইন শ্রেষ্টত্বের দাবিদার না কিন্তু মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা অসীম । এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে বা স্টাটিস্টিক্যালি ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন বুঝতেই পারছেন ! তাই শরীরের শতকরা আড়াই ভাগ ব্রেইন যা ওজনেও অনেক না সেটা দিয়ে অসীম বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী হওয়াটাই কি মানুষকে নিখুঁত বলার একটা কারণ হতে পারে না ? ঠিক বলেছেন,মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল । অনেক বড় ডাইনোসর ধ্বংস হয়ে গেছে কিন্তু মানুষ টিকে আছে অনেকগুলো গ্লোবাল ক্যাটাস্ট্রফির পরেও । ঠিক -এ জন্যই তো মানুষ নিখুঁত । এটাইতো মানুষের নিখুঁত হবার কারণ । মানুষই শুধু এমন ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করতে পারে যা টিকে থাকার জন্য একটা নিখুঁত প্রাণীর করা দরকার।

আর আপনি যে বলেছেন মানুষ পৃথিবির পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। বরং পরিবেশটা পাল্টে নিয়েছে এ কথার মানেইতো মানুষ পরিবেশকে তার উপযোগী করে নিয়েছে মানে তার টিকে ওঝার মতো করে নিয়েছে তাই না ? এটা হোমোসেপিয়ান্সরাই শুধু করতে পেরেছে তাই না ? কুরআন এই হোমো সেপিয়ান্সদের সময়েই নাজিল হয়েছে, আর তাদেরই নিখুঁত বলেছে হোমোইরেক্টাস, ক্রো ম্যাগ্নোন বা নেয়ান্ডার্থালদের নয়। কুরআন মানুষকে এজন্যই হয়তো নিখুঁত বলেছে কারণ সে টিকে থাকার জন্য পরিবেশের সাথে এডজাস্ট করেছে। একটা পর্যায়ে পরিবেশকে পাল্টিয়ে তার টিকে থাকার মতো করে তৈরী করে নিয়েছে। আমার ভাবনার কথা না বলেও বলি, আপনার কথাগুলোই কুরআনের মানুষকে নিখুঁত বলার দাবিকে আরো বেশি স্টাব্লিশ করলো বলেই ভাবছি ।

যাহোক আমার বক্তব্য এখানেই শেষ । এ নিয়ে আর কথা বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না ।

৩২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: লেখকের লেখাটা খুব ভালো লাগলো। তবে বিবর্তন কিছুটা সংশয়ের। কারন ম্যাক্রো এভ্যুলেশন নিয়ে প্রবলেম আছে। ধরেন কারো জেনেটিক্যালি প্রবলেমের কারনে তার হাতে ৬ টি আঙ্গুল হলো। কিন্তু যখন তার সন্তান হলো তার হাতে আবার ৫ টি আঙ্গুল হলো। এখানে কারন কি? প্রোটিনগম প্রবলেম মিসটিক ঘটেছে। কিন্তু সেটি পার্মানেন্টলি নই। একটি নিছক দূঘটনা মাত্র। পার্মানেন্টলি জিন পরিবর্তন হয় নাই। পার্মানেন্টলি পরিবর্তন হতে হলে তার অভ্যন্তরস্থ পার্মানেন্টলি Developmental Gene Regulatory Network এ উল্লেখ হয়ে যেতে হবে। এই জন্য ম্যাক্রো এভ্যুলেশন সম্ভব নয়। তবে লেখকের বক্তব্যের সাথে আমি অনেকটা একমত। কারন হোমো সেপিয়েন্স আদমের পূর্বের সকল প্রানিই বিশেষ করে হোমো নিয়ানর্ডাথাল, হোমো ইরেকটাস বা অন্যান্যরা কেউই বর্তমান নেই। শুধু টিকে আছে হোমো সেপিয়েন্স। এদেরকে টিকিয়ে রাখার দরকার ছিলো।

প্রাণের আদিবিজ মহাবিশ্বের অন্য কোথা থেকে আসতে পারে। জাস্ট প্রানের উপজীব্য মূল বিষয়টি। পরবর্তীতের প্রানে দেহ সংযোজন ঘটেছে কাদামাটি থেকে। কাদাময় মাটির গঠন প্রানের গাঠনিক উপাদানগুলো কে একত্র করে একটি আকার দান করেছে। যেমন ডিএনএ আমাদের দেহ গঠনে অনু একের সাথে অন্যর গঠনের নির্দেশ দান করে। ডিএনর মূল কাজ হচ্ছে অনুগুলো কিভাবে বিন্যস্ত হবে তার তথ্য ধরে রাখা। যেমন প্রাচীন পৃথিবীর স্তরে স্তরে কাদামাটির ছাচ এ্যামাইনো এসিডগুলোকে ঐব্যবদ্ধ করেছে মাটির ছাচ গঠনের অনুরুপ পর্যায়ে। মাটির স্তর গঠন থেকেই শিক্ষা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীূ পর্যায়ে মাইক্রো এ্যভুলেশন। একপর্যায়ে ম্যাক্রো এ্যভুলেশন। এবং ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন বিভিন্ন পয়ায়ে ঘটিছে সরাসরি স্রষ্টার তত্বাবধনে। লক্ষ করুন আল কোরআনের একটি আয়াত “ তাহার আরশ ছিলো পানির উপর যেনো তিনে যাচাই করতে পারেন তোমাদের মধ্যে আচরনে কে শ্রেষ্ঠ” । আরশ শব্দের আরেকটি অর্থ সূচনা। যাচাই বাছাই করার প্রয়োজন ছিলো। শ্রেষ্ঠজনের কপালেই ম্যাক্রো এভ্যুলেশন জুটেছে। আসলে ম্যাক্রো এ্যাভিলুশন নির্দীষ্ট সময় অন্তর অন্তর ঘটে। স্রস্টার দান এবং প্রাকৃতিক নিয়ম একটি সুত্র তুলে ধরা হয়েছিলো। তবো নিদীষ্ট কিছু স্রষ্টা নিজে তদারকি করেন।

আরো একবার ঘটতে পারে প্রানি জগতের ভয়াবত বিবর্তন । আল কোরআনের র্পূব আয়াতে বলেছে। তোমাদের আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে আর তোমাদেরকে (নতুনভাবে) এমন এক আকৃতিতে সৃষ্টি করতে যা তোমরা জান না। আল কোরআন ৫৬ সুরা ওয়াক্কিয়াহ। প্রত্যেক প্রানীর রয়েছে আলাদা আলাদা বডি স্টাকচার আলাদা আলাদা কমান্ডিং সিস্টেম বা অপারেটিং সিস্টেম। এই সকল বডি স্টাকচারগুলো পাস অন এর মাধ্যমে আসতেই পারে কিন্তু এক একটা প্রানির আলাদা আলাদা উপলদ্ধি বোধ বা অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তন না করলে পরিবর্তি ত সমভব নয় Developmental Gene Regulatory Network এবং Epigenetic Information ঠিক তাই বলে। দেখেন আল কোরআন বলে “ হে মুহাম্মদ তোমাকে উহারা রুহ সমস্পর্কে প্রশ্ন করে তুমি তাদের বল রুহ হলো আদেশঘটিত ব্যাপার।” আপনি কি বুঝতে পারছেন রুহ হলো তথ্য বা ইনফরমেশন প্রবেশ করানো। ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন। অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্ম কেমন সৃষ্টি হবে তাদের আচরন কেমন হবে তাদের উপলাদ্ধি বোধ এক কথায় মানব দেহ নামের এই বডি স্টাকচারে অপারেটিং সিস্টেমের কমান্ডিং প্রক্রিয়া।

(আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমি আগামী কাল লিখবো)

৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিশেষ করে ঈশ্বরকনার কমেন্টগুলো ভালো লাগলো। তবে একটা বিষয় বুঝতে পারলাম না। সূরা ইনফিতারের ৭ নং আয়াতে তো আল্লাহ পরিষ্কার করেই বলেছেন মানুষকে তিনি নিখুঁত (perfect) ভাবে সৃষ্টি করেছেন। আরবি আয়াতের ইংরেজি ট্রান্সলেশন করেছেন স্কলাররা এরকম : "Who created you, fashioned you, and perfected your design" (৮২:৭)। আমি বুঝতে পারছিনা কেনো আল কোরআনের এই আয়াত নিয়ে সন্দেহ পোষন করে। এবং কেনোইবা মানুষের পারফেক্ট ডিজাইনরে বিষয়টি অস্বীকার করে। আমার মনে হয় নাস্তিক্যবাদী মানুষই একমাত্র এমন করতে পারে। কারন মানুষ তো নিখুত সৃষ্টিই। মানুষের দেহ অবয়ব বিশেষ করে হাত সৃষ্টি, মানুষের উন্নত মস্তিস্ক সহ সকল বিষয়ই মানুষের দীর্ঘ প্রজন্মের কারন। এই পৃথিবিতে মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল। মানুষ পৃথিবির পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। বরং পরিবেশ পাল্টে নিয়েছে বুদ্ধির জোড়ে। তাই মানুষ সৃস্টি নিখুঁত বলে মনে হয় না আমার কাছে। মানুষ এখনো এই পৃথিবির প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নতুনের এই কমেন্টটা আমার কাছে অসংলগ্ন প্যাচাল বলেই মনো হলো। আমি জানি না নতুন আমার উপর মাইন্ড করলো কিনা? এই পৃথিবিতে মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল। নতুন এর এই মন্তব্য আমার কাছে গোড়ামিগত কারনে সত্যকে অস্বীকার বলেই মনে হলো। অন্য প্রাণি থেকে মানুষ দূর্বল হলো কিভাবে? যদি তাই হতো তাহলে পৃথিবী জুড়ে মানুষের জয় জয়কার হলো কেনো? আবার নতুন বলছে মানুষ পৃথিবীর পরিবেশ খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। মানুষ এখনও পৃথিবীর প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ছে। মানুষ প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ছে বলে মানুষ নিখুত নয় এটা হাস্যকর যুক্তি হয়ে গেলো নয় কি?

এই যেমন মানুষ কথা বলতে পারে। মস্তিষ্কের যে অংশ কথা নিয়ন্ত্রণ করে FOXP2 জিন যার জন্য আমরা মুখ মধ্যে প্রয়োজনীয় নড়াচড়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। FXP2 নামের এই জিনটি স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," মানুষের কথা বলার জন্য এই রুপান্তরিত জীনটি কৃতিত্ব বহন করছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো মানব দেহে এই জীনটি রুপান্তরিত হলো কি করে? কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।" আর যাদের মধ্যে রুপান্তরিত অবস্থায় থাকে তারাই কথা বলতে পারে। যেমন গরিলা ওরাং ওটাং এর এই জিনটি রুপান্তরিত অবস্থায় নেই। কোন না কোন ভাবে কোন মিউটিশন মানব দেহে এই জীনটিকে রুপান্তরিত অবস্থায় পরিবর্তন করেছিলো। আর যাই হোক দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়ায় মানব দেহটাও কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু এই পরিবর্তন অন্য কোন প্রাণির দেহে ঘটলো না ঘটলো আল্লাহর নির্ধারিত প্রানি মানুষকে যাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েচে তার মাঝে? নিয়ান্ডারথালদের মধ্যেও এই জিন ছিল, কিন্তু এতটা উন্নত ছিল না। আর এই কারনে জার্মান মনোবিজ্ঞানী উইলহেম উন্ড ভাষার উৎপত্তি নিয়ে যতো তত্ত্ব ও প্রস্তাবনা আলোচিত হয়েছে তা দেখে তিনি প্রশ্ন করেছেন মানব জগতে ভাষার আবির্ভাব ও ব্যবহারের সক্ষমতা কি কোন ‘ঐশ্বরিক দান’ নাকি? একবার নিজেকে প্রশ্ন করেনতো মানবদেহে এই জিনটি রুপান্তরিত হলো কি করে?


‘আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদের বললেন, আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুদ্ধ ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্ট একটি মানব জাতির পত্তন করব। অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফুঁক দেব। (হিজর ১৫/২৮-৩৩)। আল কোরআনের এই আয়াতটির দিকে লক্ষ্য করুন। সকল প্রাণ যে পোনি থেকে সৃষ্টি এটা আধুনিক বিজ্ঞান যেমন বলছে আল কোরআনও ঠিক একই কথা বলছে। এবার এই আয়াতটি বলছে পচাঁ কাদামাটি থেকে। আধুনিক বিজ্ঞানও ঠিক একই কথা বলছে। “ভাসেলডরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উইলিয়াম মার্টিন এবং গ্লাসগোতে স্কটিশ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ সেন্টারের প্রফেসর মাইকেল রাসেল এর মতে:- প্রাণ সৃষ্টির আগে কোষের জন্ম হয়। প্রথমে কোষ জীবন্ত ছিল না। এটি মৃত ছিল এবং এর সৃষ্টি হয় আয়রন সালফাইড হতে। তারা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, জীবনের সৃষ্টি হয়েছিল সমূদ্রের তলদেশে অন্ধকারে জলমগ্ন ক্ষুদ্র পাথুরে পরিবেশে অর্থাৎ আয়রন সালফাইড পাথরের তৈরি অতি ক্ষুদ্র প্রোকষ্ঠ ইনঅরগ্যানিক ইনকিউবেটরে। তাদের বর্ণনা অনুসারে সতন্ত্র ও সংরক্ষিত কোন স্থানে বা আধারে প্রথমে জীব কোষের গঠন সম্পন্ন হয়। প্রথমে কোষ মৃত ছিল। পরবর্তীতে তা প্রাণের মলিকিউলে পূর্ণ হয় অর্থাৎ কোষে প্রাণ সঞ্চার ঘটে। তবে কেমন কোরে প্রান সঞ্চার হলো তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। ” কোষে প্রাণ কি করে সৃষ্টি হলো এটি এখনও আমরা বুঝতে পারি নাই। অবশেষে জানা গেল জীবন্ত কোষ শুধুমাত্র কিছু রসায়নের জটিল যৌগ নয় জীবন হলো সূক্ষ্ম শিল্পিত যন্ত্রবিশেষ। হঠাৎ করে সম্পর্কহীন বস্তু থেকে নিজেকে সৃষ্টি করে নিজেই আবার বড় বাধা অতিক্রম করে ছুটে যায় নতুন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীদের বুঝে ওঠার আগেই। বিবর্তন প্রাণের অর্ন্তনিহিত বিষয়। একটি প্রাণ থেকেই অসংখ্য প্রাণ সৃষ্টি অসংখ্য বডি স্টাকচার অপারেটিং সিস্টেম। প্রাণের প্রথম উৎস জানতো তাকে কি কিভা্েব মানুষ পর্য়ন্ত পৌছাতে হবে। আল কোরআনে এভাবে বোঝাচ্ছে যখন তাকে ঠিক ঠাক করে নিবো। অর্থাৎ বিবর্তনের আকারে প্রানির বিভিন্ন গঠন কাঠামোর মাধ্যমে মানুষ পর্যন্ত সৃষ্টি।

৩৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নতুন বলেছেন: @ রাশিদুল ইসলাম লাবলু ভাই :- আমি হয় তো আমার কথা বোঝাতে পারিনাই।

এই পৃথিবিতে মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল। মানুষ পৃথিবির পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। বরং পরিবেশ পাল্টে নিয়েছে বুদ্ধির জোড়ে। তাই মানুষ সৃস্টি নিখুঁত বলে মনে হয় না আমার কাছে। মানুষ এখনো এই পৃথিবির প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। নতুনের এই কমেন্টটা আমার কাছে অসংলগ্ন প্যাচাল বলেই মনো হলো। আমি জানি না নতুন আমার উপর মাইন্ড করলো কিনা? এই পৃথিবিতে মানুষ অন্য অনেক প্রানীর চেয়েই দূবল। নতুন এর এই মন্তব্য আমার কাছে গোড়ামিগত কারনে সত্যকে অস্বীকার বলেই মনে হলো। অন্য প্রাণি থেকে মানুষ দূর্বল হলো কিভাবে? যদি তাই হতো তাহলে পৃথিবী জুড়ে মানুষের জয় জয়কার হলো কেনো? আবার নতুন বলছে মানুষ পৃথিবীর পরিবেশ খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি। মানুষ এখনও পৃথিবীর প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ছে। মানুষ প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়ছে বলে মানুষ নিখুত নয় এটা হাস্যকর যুক্তি হয়ে গেলো নয় কি?

মানুষ তার বুদ্ধির জোরে পরিবেশ বদল করে ( এই পৃথিবি ধংষ করে) নিজের বসবাসের যোগ্য করে চলেছে। পৃথিবিতে যেই ক্ষত মানুষ তৌরি করছে সেটা পৃথিবির প্রকৃিয়া সারিয়ে তুলতে পারছেনা।

বৃটিসরা ২০০ বছর ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করেছে তাই বলে ১৫০ বছর পরে যদি আপনি বলেন যে এরাই যোগ্য শাসক কারন এটা ১৫০ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে।

আর আমি অবশ্যই আপনার মতন সব কিছুর প্রমান কোরানে পেয়ে যাইনাই। তাই অনেক জিঙ্গাসা রয়েছে। :)

৩৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @নতুন, একজন মানুষ হয়ে মানুষের কর্মকান্ডের সমালোচন করছেন? মানুষ তার বুদ্ধির জোরে পরিবেশ বদল করে ( এই পৃথিবি ধংষ করে) নিজের বসবাসের যোগ্য করে চলেছে। পৃথিবিতে যেই ক্ষত মানুষ তৌরি করছে সেটা পৃথিবির প্রকৃিয়া সারিয়ে তুলতে পারছেনা। ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব বোধ হয় পড়েন নাই? মানুষ যে ভূল করে সে ভূলের খেসারত মানুষই দেবে। আসলে এই পৃথিবীর উপর কতজন মানুষ স্থায়ী হবে এটা প্রকৃতি নির্ধারন করে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা ধ্বংশলীলা মানুষের সঠিক পরিমান নির্ধারন করে। আর আপনি ১৫০ বছরের শাসন বলতে কি বোঝালেন সঠিক বুঝলাম না।

আর আমি অবশ্যই আপনার মতন সব কিছুর প্রমান কোরানে পেয়ে যাইনাই। তাই অনেক জিঙ্গাসা রয়েছে। কোরান হলো আমাদের গাইড লাইন। কোরান যেভাবে পথ দেখায় আমরা সেভাবেই দেখি। অন্তত আপনার মতো গোড়ামি করি না। আমরা আল কোরআনকে অনেক সময় সংশয়দৃষ্টিতে দেখি। অসংলগ্ন আমার চোখে এখনও পড়ে নাই। অসংলগ্নতা আমাকে দেখান। আমি নিরপেক্ষ। ভয় পাবেন না। তবে আল কোরআনকে বুঝতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.