নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরমত সহিষ্ণুতা ব্লগে একটি দরকারী বিষয়

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৬




পৃথিবীতে চার হাজারের বেশী ধর্ম ও মত রয়েছে। ব্লগ পৃথিবীর জন্য। সব ধর্ম ও মতের মানুষ ব্লগে মিলে মিশে থাকতে হলে এখানে পরমত সহিষ্ণুতা জরুরী। এখানে পর ধর্ম ও মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা থাকলে যে এর শিকার হবে সে ব্লগ ছাড়বে। আর তাতে ব্লগের জমজমাট অবস্থা ক্ষুন্ন হবে।

সামহোয়্যার ইন ব্লগ হলো বাংলাভাষার ব্লগ। এভাষার লোক সংখ্যা পঁচিশ কোটি। এর মধ্যে মোমিন সংখ্যা গরিষ্ঠ। এ মোমিনদের প্রতি ব্লগে সবচেয়ে বেশী অসহিষ্ণু আচরণ করা হয়। সেজন্য মোমিনরা হয়ত ব্লগে আসে না, আর তারা আসলেও টিকতে না পেরে ব্লগ ছেড়ে যায়। আর যারা মুমিন নয় তাদেরকেও যদি মুমিনরা খোঁচাখুঁচি করে তবে তারাও ব্লগ ছেড়ে যায়। এভাবে ছাড়তে ছাড়তে ব্লগ ফাঁকা হয়ে যায়। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো পরমত সহিষ্ণুতা।

আমি একজন মোমিন। আমার ভাতিজা রানু মোমিন নয়। রানু লোকদেরকে মোমিন না হওয়ার জন্য নচিহত করে। আর এ ক্ষেত্রে সে তার গরজটা একটু বেশী দেখায়। এটা আমার নিকট বিরক্তি কর। চারাগাছ বলেছে, ব্লগে মোমিনের প্রচারনায় কেউ অমোমিন থেকে মোমিন হবে না, আর অমোমিনের প্রচারনায় কেউ মোমিন থেকেও অমোমিন হবে না। তথাপি যদি হয়, তার জন্য আক্রমনাত্মক কথা বলা জরুরী নয়। কিন্তু রানুর কথা শুধুমাত্র আক্রমনাত্মক নয় আগ্রাসিও হয়ে থাকে। আর সোগা মুমিনদেরকে বিব্রত করতে চেষ্টা করে। এসব করে কি হয়? এতে কি মোমিনরা ঈমান ছাড়ে?

আমি হুর নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছি। আমি হুরের প্রতি ঈমান আনতে কোন লোককে বলিনি। জাস্ট আমি হুরের একটা বিষয় মোমিনদেরকে জানাতে চেয়েছি। কিন্তু যারা মোমিন নয় তারা এ বিষয়ে আমাকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টা করেছে। বিষয়টা রীতিমত বিরক্তি কর। যে হুর মোটে বিশ্বাসই করে না তার হুর কি কাজে লাগবে সেটা নিয়ে তার কি কাজ?

আমি মোমিন। আমি জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ভাতিজা রানু মোমিন নয় সে জাহান্নামে যেতে চায়। সেতো জাহান্নাম বিশ্বাসই করে না তার জাহান্নামে যেতে চাওয়ার হেতু কি? তার জাহান্নামে যেতে চাওয়ার মানে হলো চাচার সাথে ফান করা। ভাতিজার অবস্থাটা দেখুন, সে চাচার সাথে ফান করে। এ ভাতিজা নিয়া আমি আর পারি না। আরেকটা ভাতিজা জোগাড় হয়েছে অগ্নি নামে ওটার কথার কোন শ্রী নাই। এই করে ভাতিজারা কি মনে করে আমি ঈমান ছেড়ে দেব? তা’ কষ্মিন কালেও নয়- ইনশাআল্লাহ!

রানুর স্ত্রী নামাজ পড়ে। তার দেখাদেখি রানুর বাচ্চা নামাজ পড়ে। রানু নামাজ পড়ে না। রানু এসব আমাদেরকে শোনায়। তো রানু নামাজ পড়ে না, সেটা দেখেও যদি রানুর স্ত্রী ও বাচ্চা নামাজ পড়ে থাকে তাহলে রানুর নামাজ ছাড়ায় অন্যরা কেন নামাজ ছাড়বে? রানু যে এসব কথা কেন বলে সেটা আমি বুঝতে পারি না। সেজন্য এখন আমি রানুর পোষ্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। পরিশেষে ভাতিজা রানুকে বলব, কোন কথা কেন বলছি সেটা বুঝে কথা বলতে হবে। আর ব্লগে সবাইকে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন ব্লগের প্রতি আসক্তি বাড়ে এবং বিরক্তি কমে।


মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

রানুকে মহাজাগতিক ব্ল্যাকহোলে নিয়ে যাবেন,ভেতরে প্রবেশ করতে বলবেন,আপনিও করবেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রানুর কথা আমার বোধগম্য নয়। রানু জাহান্নাম বিশ্বাসই করে না। আবার সে বলে সে সেখানে যেতে চায়। তো সে যা বিশ্বাসই করে না সেই ঘোড়ার ডিমের মধ্যে সে কেন যেতে চায়?

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা,




"পরমত সহিষ্ণুতা ব্লগে একটি দরকারী বিষয়।" বলা যতোটা সহজ ততোটা সহজ নয় সহিষ্ণুতার চর্চা বা সহিষ্ণুতা দেখানো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইয়াজিদী একটা ধর্ম আছে যারা শয়তানের অনুসারী। মোমিনরা হাজার চেষ্টা করেও তাদেরকে মোমিন বানাইতে পারে নাই। কোরআন বলছে ধর্মে জোর জবরদস্তি নাই। সুতরাং ধর্ম ছাড়াতেও জোর জবরদস্তি থাকবে না। মোমিনদেরকে ঈমান থেকে সরাতে তো কম চেষ্টা হয়নি। তাতে মোমিনরা ঈমান ছেড়েছে কি? ইসলামের বয়স তো প্রায় দেড় হাজার বছর। তাতে তারা কি কমছে? যাক সহজ না হলেও পরমত সহিষ্ণুতার চর্চা থাকা জরুরী। আর সেটা সবার জন্য। রানু যথেষ্ট আশাবাদী। সে হয়ত মনে করছে সে সবাইকে মোমিন থেকে অমোমিন বানাতে পারবে। এমন আশা করে অনেকে এর মধ্যে গত হয়েছে। কিন্তু মোমিন কমেনি। তথাপি রানুর মোমিনদেরকে অসম্মান করা থামেনি। সে অত্যন্ত আদবের সাথে নবিজী বলে তাঁকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করে। বড় অদ্ভুত এ রানু।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

চারাগাছ বলেছেন:
এই ব্লগে সেদিন দেখলাম এক ব্লগার রাজীব নূরের মেয়ে যাতে হিজাব না ধরে সেই দিকে খেয়াল রাখতে বলেছে।

কিন্তু কেউ কোনোদিন রাজীব নূরের স্ত্রীকে হিজাব করতে অনুরোধ করেছে বলেছে বলে আমার জানা নেই।


আমার মনোভাব ক্লিয়ার করেছি। খেয়াল কিংবা অনুরোধ দুই বিষয়ের কোনটাতেই আমি নেই।


০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার সুস্পষ্ট বক্তব্য আমার অতিশয় পছন্দ হয়েছে। আমার কথা পরিস্কার! কোন মতেই আমি জাহান্নামের রিস্ক নেব না। আল্লাহ আমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন- আমিন। আমি কোন মতেই রানুর জাহান্নামে যাওয়ার ফাঁদে পা দিতে চাই না। রানুর মত আরেক জন ঘোষণা দিয়ে ব্লগ ছেড়েছে। তার স্ত্রীও শুনলাম মোমিন। অথচ সে তার স্ত্রীর সাথে না পেরে অন্যদের ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। নতুন একটা ফরমূলার কথা শুনছি। সেটা হলো মোমিন না হয়ে মানুষ হওয়ার ফরমূলা। আমার কথা হলো আগে মোমিন হব। তারপর যা হওয়ার তা মোমিন হওয়ার পরে হব।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে ধর্ম নিয়ে পোস্ট করলে মানুষ একটু হা-হাসি করবেই, বিশেষ করে এই ব্লগে, তবে ফেসবুকে, ইউটিউবে পোস্ট করলে কিন্তু আমিন, ছুম্মা আমিন বলার লোকের অভাব হবে না। আসলে এই ব্লগে সবারই নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা আছে, কেউ কাউকে গুরু মানে না তাই আপনি ধর্মের পক্ষে পোস্ট দেন আর বিপক্ষে দেন কম বেশি কনফ্লিক্ট হবেই, এটাই এই ব্লগের সার্থকতা বলে আমি মনে করি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ব্লগে লোকই যদি না থাকে তবে এর সার্থকতা দিয়ে কি হবে? আর ব্লগে লোক থাকতে হলে সবাইকে মার্জিত হতে হবে। পোষ্ট পছন্দ না হলে এড়িয়ে গেলেই হলো। অযথা বিরক্তিকর পরিবেশ তৈরী করার দরকার নেই।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: রানু সম্পর্কে আমি ভুল জানেন।
রানু সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে আল্লাহকে স্মরণ করেন। এমনকি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আল্লাহকে স্মরণ করে ঘুমাতে যায়।

ধর্ম নিয়ে তার কোনো সমস্যা নাই। ধর্ম তো মানুষের জন্যই। সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য ধর্মের প্রয়োজন আছে। কিন্তু ধর্মে কিছু রুপকথা আছে। সেগুলো থেকে মানুষকে দূরে থাকতে হবে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন মোমিনকে আমি অদ্যাবদি জাহান্নামে যাওয়ার বাসনা করতে দেখিনি। কিন্তু রানু স্পষ্ট করেই বলেছে রানু জাহান্নামে যেতে চায়। আর রানু আরো বলেছে কোথাও রানু আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করে না। অথচ মোমিনরা সব কিছুতেই আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করে। রানু কোরআন থেকে গীতাকে শ্রেষ্ঠ জানে। রানু ইসলামকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধর্ম জানে। রানুর সব কাজইতো মোমিনদের কাজের বিপরীত। তাহলে তারা মোমিন হলে রানু মমিন হয় কেমন করে? আর রানু কি কখনো বলেছে রানু মোমিন? তাহলে রানু সম্পর্কে আমি কি ভুল জানি?

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০২

বিটপি বলেছেন: রানু বা অগ্নিদেরকে আপনি চিনতে পারেন নাই। এনারা মোমিনকে অমোমিন বানাতে চায়না - কেবল মোমিনদের ঈমান নিয়ে একটু খেলতে চায়। আপনারা রাগ করেন - একটু মজা নেয় আর কি! জীবনে আর আছে কি!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষের ঈমান নিয়ে খেলা করাতো ভালো কথা নয়।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: সেদিনের মন্তব্যে ভাই কি আমার উপরেও একটু গোস্যা করেছেন? আমার কোন মন্তব্য আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রতি মন্তব্যে আমার কিছু ভুল হয়েছিল। আপনি সেটা ধরিয়ে দিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতে এটা আমার কাজে লাগবে। সেজন্য আমি আপনার উপর খুব খুশী। আপনি অনেক খেটেখুটে পোষ্ট দেন এবং অনেক কষ্ট করে আপনি আমাদের জ্ঞান ভান্ডার সমৃদ্ধ করছেন, সেজন্য আপনার প্রতি আন্তরিক দোয়া কামনা রইলো। আপনি অন্তত ব্লগারদের জন্য অখাদ্য পরিবেশন করেন না। ব্লগকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে আপনার অবদান অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার পোষ্টের শিরোনামের সাথে সহমত কবি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শিরোনামের সাথে সহমত পোষণ করায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

মুহিব্বুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন- আমিন।

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সাধারণতঃ যাদের পোস্ট কিংবা বক্তব্যে স্ববিরোধীতা থাকে আমি সেগুলো পড়তে বা সেখানে মন্তব্য করতে পছন্দ করিনা। স্ববিরোধী কথাবার্তা যারা বলে তাদেরকে আপনার কেমন লোক বলে মনে হয়?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার মত আমিও তাদেরকে পছন্দ করি না।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সবাই বেহেশতে চায়। রানু সবার মতো না। সে আলাদা। তাই সে জাহান্নামে যেতে চায়। জান্নাত বোরিং। জাহান্নাম দারুন এক্সসাইটিং।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাহান্নাম আছে বলেই তো আপনি বিশ্বাস করেন না, উহা দারুন এক্সসাইটিং মনে করেন কেমন করে?

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: ঠাকুর গাওয়ের খবর কিছু রাখেন।একরাতে কতগুলো মুর্তি ভাঙ্গা হয়েছে।এসব তো মুমিনরাই করেছে।।নাকি কোন ধর্মহীন করেছে।ব্লগে কোন পোষ্ট আসছে।
মাদ্রাসায় এতোযে অপকর্ম হয় এসব কারা করে ।নিশ্চয় মোমিনরাই।ধর্মহীনরা মাদ্রাসায় পড়াতে যায় না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তারা গুনাহগার মোমিন। আর গুনাহের কারণে মোমিনদেরকেও শাস্তি পেতে হবে।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: চারাগাছ বিষ বৃক্ষ হয়ে বাড়ছে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এটা আপনার ভুল ধারণা।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: আপনিতো স্বঘোষিত মোমিন।কোরানে আছে, মানুষ পাপ না করলে তাদের কি করা হতো।একবার মনে করুন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার অপছন্দের কিছুই কোরআনে নেই।

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫০

কামাল১৮ বলেছেন: পাপ না করলে সমগ্র মানব জাতিকে ধ্বংস করা হতো।এটাও আপনার পছন্দ।আল্লাহর ঘোষণা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রেফারেন্স দিন।

১৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: দাসীর সাথে সহবত করা।মানুষকে দাস বানানো,শিশুবিবাহ সবই কোরানে আছে এগুলোও কি আপনার পছন্দ।অন্ধ না হয়ে মানবিক হোন।কোরানের ভালোটা গ্রহন করুন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন দাস প্রথা উচ্ছেদ শুরু করেছিল। আর দাসীর সেবা গ্রহণের সময় উত্তেজীত হয়ে কিছু করার সম্ভাবনা থেকে এটা জায়েজ রাখা হয়েছে। আমার মতে এটা ঠিক আছে। আপনার আমার সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।

১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরমত সহিষ্ণুতার অভাবের কারণেই ব্লগে সমস্যা হচ্ছে। সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী চিন্তার ব্লগারের সাথেও সৌজন্য বজায় রাখা প্রয়োজন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেটাই সবার মনে থাকা উচিৎ।

১৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০২

অগ্নিবেশ বলেছেন: “অমুসলিমরা নির্বোধ”
সূরা বাকারাহ-এর ১৭১ নং আয়াতে, যারা ঈমান আনে নি তাদেরকে গরু-ছাগলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। আবার, বধির, বোবা ও অন্ধও বলা হয়েছে

“অমুসলিমরা জালিম”
সূরা বাকারাহ-এর ২৫৪ নং আয়াতে, কাফির বা যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না তাদেরকে জালিম বলা হয়েছে।

“অমুসলিমরা পশুর চেয়ে অধম”
সূরা আল-ফুরক্বান-এর ৪৪ নং আয়াতে, অবিশ্বাসীদেরকে পশুর চেয়েও অধম বলা হয়েছে।

“অমুসলিমরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব”
সূরা আল-আনফাল-এর ৫৫ নং আয়াতে, যারা ইসলামে বিশ্বাস করে না তাদেরকে সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব বলা হয়েছে।

চাচা আমাদের পরমত সহিষ্ণুতা শেখাচ্ছে। দারুন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শানে নজুল সহ আয়াত উপস্থাপন না করা হলে কোরআন সঠিকভাবে বুঝা যায় না। নেতি বাচক আয়ত অমুসলিম দুষ্ট লোকদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আর দুষ্ট লোককে শাস্তি দেওয়া, গাল-মন্দ করা সাধারণ নীতি।

১৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: সনেট কবি ভাই, আপনি আপনার মতো লিখবেন। কেউ পছন্দ করবে কেউ করবে না। কেউ আক্রমনাত্বক মন্তব্য করবে সে করবে না। সব কিছুই নির্ভর করে তার শিক্ষা রুচি আদর্শ চিন্তা ভাবনায়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: “অমুসলিমরা নাপাক”
সূরা আত-তাওবাহ-এর ২৮ নং আয়াতে, মুশরিকদেরকে নাপাক বলা হয়েছে।


চাচা, আপনি ত কোরানে জ্ঞান রাখেন, তাহলে এই আয়াতের শানে নুযুল আগের আয়াত পরের আয়াত, প্রেক্ষাপট একটু বুঝায়ে বলেন। পিছলালে হবে না।

আমি ত দেখতাছি আল্লাহ বলেছেন,

9:28
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡمُشۡرِکُوۡنَ نَجَسٌ فَلَا یَقۡرَبُوا الۡمَسۡجِدَ الۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِہِمۡ ہٰذَا ۚ وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ عَیۡلَۃً فَسَوۡفَ یُغۡنِیۡکُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖۤ اِنۡ شَآءَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۲۸﴾
English – Sahih International
O you who have believed, indeed the polytheists are unclean, so let them not approach al-Masjid al-Haram after this, their (final) year. And if you fear privation, Allah will enrich you from His bounty if He wills. Indeed, Allah is Knowing and Wise.
Bengali – Bayaan Foundation
হে ঈমানদারগণ, নিশ্চয় মুশরিকরা নাপাক, সুতরাং তারা যেন মসজিদুল হারামের নিকটবর্তী না হয় তাদের এ বছরের পর। আর যদি তোমরা দারিদ্র্যকে ভয় কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ অনুগ্রহে তোমাদের অভাবমুক্ত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
Bengali – Mujibur Rahman
হে মু’মিনগণ! মুশরিকরা হচ্ছে একেবারেই অপবিত্র, অতএব তারা যেন এ বছরের পর মাসজিদুল হারামের নিকটেও আসতে না পারে, আর যদি তোমরা দারিদ্রতার ভয় কর তাহলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করবেন, যদি তিনি চান। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় জ্ঞানী, বড়ই হিকমাতওয়ালা।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর ঘরে আল্লাহ কাকে এলাউ করবেন না করবেন সেটা তাঁর বিষয়। মুসলিমরা অযু-গোসল-তায়াম্মুম করে পাক হয়ে আল্লাহর ঘরে আসে। মুশরিকরা তা’ করে না। সেজন্য তাদের প্রতি এ ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা। আপনার ঘরে আপনার নিকট অরুচিকর অবস্থায় কেউ আসলে আপনি তাকে আপনার ঘরে আসতে এলাউ করবেন কি? আল্লাহ বলতে কি তাঁর কোন ব্যক্তিগত রুচিবোধ থাকতে নেই?

২১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫

রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথীবিতে চার হাজার ধর্ম আছে আর এই চার হাজারের মধ্যে দুইটা ধর্মের কচকচানি বেশি এক ইসলাম ধর্ম দুই সনাতনী ধর্ম । সমস্যা এখান থেকেই শুরু । এ বলে আমি আসল ও বলে আমি এখন কে যে আসল তা জানে অন্তর্যামী !! বাঁকি আমরা যারা সে তার চুল ছিড়ছি, চুল ছেড়াটাই হচ্ছে আসল কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রত্যেকে নিজের নিকট সঠিক। এক সনাতনী আমার মেয়ে নিয়ে টানাটানি করছে। আমি তাকে বললাম, মুসলিম হও। সে কিছুতেই মুসলিম হবে না, আবার সে আমার মেয়ের পিছ নেওয়াও ছাড়বে না। এ নিয়ে আমি খুব মুশকিলে আছি। আমি তাকে বললাম, আমার নাতি-পুতি হিন্দু হবে এটা কেমন করে মানা যায়? তাকে বললাম, সনাতনে কি পাত্রির টান পড়েছে? না সে কোন কথাই শুনছে না। অবশেষে আমি ঐ মেয়ে রেখে তার ছোট বোনকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।

২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনার সাথে আমি অবশেষে একমত হলাম, কাফের, মুশরিক, অমুসলিমরা জালেম, পশুর চেয়ে অধম, সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব এবং একই সাথে নাপাক। তাদের ইচ্ছামত গালি দেওয়া যাবে কিন্তু তারা মুমিনদের বিপক্ষে টু শব্দটি করতে পারবে না। ইহাকেই বলা হয় পরমত সহিষ্ণুতা। শুভানাল্লহ বলবেন না?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাদের মধ্যে যারা দুষ্ট তারা শাস্তির আওতায় আসবে। কিন্তু ইসলাম হিরাক্লিয়াসকে যথেষ্ট সম্মান করতো। রোমানদেরকে মুসলিমরা ভালো বাসতো। তাদের নিয়ে সূরা রুম নাযিল হয়েছে। হিন্দুরাও মুসলিমদেরকে নাপাক মনে করে। আমার এক কলিগ আছে সে তার ঘরে কোন মুসলিম এলাউ করে না। মুসলিমদের দেওয়া কোন কিছু সে খায় না। হিন্দুর ঘরে গরুর গোস্ত নিয়ে প্রবেশ করা যায় না। এমনকি হিন্দুর দেশে গরু জবাইকে বাধাগ্রস্থ্য করা হয়। তো অমুসলিমরা যদি আমাকে বেদম পিটায় তথাপিও কি আমি আদর করে তাদেরকে চুম্মা দেব? সেকালেও অমুসলিরা কোন কোন মুসলিমের পিয়ারের দোস্ত ছিল। তো কোন অমুসলিম যদি মুসলিমদের সব লন্ড-ভন্ড করে দেয় তবে তাদেরকে পশুর চেয়ে অধম বললে কি দোষ হবে? মক্কায় মুসলিমদের সাথে তারা কেমন আচরণ করে ছিল? কই ইথিওপিয়ার খ্রিস্টানদেরকে তো মুসলিমরা কোন কালেই মন্দ বলেনি। এখন অগ্নি যদি আমার অনেক উপকার করে তাহলে আমি অগ্নিকে মন্দ কেন বলব? আর অগ্নি যদি আমার খুব ক্ষতি করে তখন আমি অগ্নিকে কি বলব?

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: অগ্নিবেশ,
আপনিতো মনে হয় সূরা তাওবার আয়াতটা না বুঝেই অন্যায় অভিযোগ করছেন। নন মুসলিমদের 'অপবিত্র' বলতে ঠিক কি বলা হয়েছে সেটা বা সেই অর্থটা বোঝা কিন্তু জরুরি ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআন ঠিকঠাক বুঝলে এর প্রতি কারো কোন অভিযোগ থাকে না।

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: মুসলনারা টেরোরিস্ট।
কিছু কিছু মুসলমান টেরোরিস্ট।
দুটো বাক্যর মাঝে তফাত বোঝেন।
আল্লহ যেখানে স্পষ্ট এরশাদ করেছেন মুশরিকরা নাপাক। সব মুশরিকরাই নাপাক ইহাতে কি সন্দেহ আছে?
হিন্দুদের মধ্যে গোড়ামী বেশী, তারা নিজেদের ভেতরেই ভেদাভেদ করে।
ইসলাম একটা কঠিন ধর্ম, এখানে কোরানের ফয়সলাই চুড়ান্ত। এ ধর্মে কাফের মুশরিক, নাস্তিক, ভিন্নমতাবম্বীদের সাথে সহিষ্ণুতা দেখানোর কোনো জায়গা নেই। নিজেকে মানবিক প্রমান করার জন্য আপনি প্রতি নিয়ত কোরান হাদিসকে নিজের মত করে ব্যক্ষা করছেন। নবী যেটা বুঝেছেন সেটাই সহী ইসলাম। হয় মানেন না হলে ছাড়েন। নবী যা বলেননি তা যদি নবীর নামে চালান এর শাস্তি কি জানেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুশরিকরা কি অযু গোসল তায়াম্মুম করে? সে অর্থে সব মুশরিক নাপাক। তারা মুসলিমদের কাপড়ে লাগলে তা’ নাপাক হয় কি? যদি না হয় তাহলে বুঝতে হবে এই নাপাক সেই নাপাক নয়। আসল কথা হলো তাদের অন্তর শিরক থেকে পবিত্র নয়।

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঈশ্বর ভাই, নন মুসলিমদের 'অপবিত্র' বলতে কি বোঝানো হয়েছে একটু বুঝিয়ে বলবেন? না কি এখানে 'অপবিত্র' বলতে ফুলের মত পবিত্র বুঝানো হয়েছে?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঈশ্বর কণা আপনার কথার কি জবাব দেন সেই অপেক্ষায় থাকলাম।

২৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: অবশেষে চাচায় আসল কথা বললেন, মুশরিকদের অন্তর শিরক থেকে পবিত্র নয়।
যে লাঊ সেই কদুই ত হইল, একমত হইলাম, মুশরিকরা অন্তর থেকে অপবিত্র।
এই অর্থে চাচার হবু জামাই সেই সনাতনী মুশরিক এর অন্তরও অপবিত্র তাই চাচা তার কন্যদান থেকে বিরত থাকছে।
শুধু মাত্র হিন্দু হওয়ার কারনে চাচা দুই জন প্রাপ্ত বয়স্ক এর নিজ নিজ সঙ্গী পছন্দের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।
আবার এই চাচাই ব্লগে বলছে পরমত সহিষ্ণুতা একটি দরকারী বিষয়। মাশাল্লাহ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি সেতুকে বলেছি বিষয়টা তোমার মাকে বল। সে তার মাকে বলার পর তার মা এ বিষয়ে তাঁর অস্বীকৃতির কথা জানিয়েছেন। এখন সেতু আমাকে তার নিজ পায়ে দাঁড়ানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছে। আমি বলেছি তখন মেয়ের বয়স বেশী হয়ে গেছে বলে তুমি কেটে পড়লে আমার আম ও ছালা দু’টাই যাবে। তো বাপু তোমার প্রতি তোমার মা করুণা দেখাতে না পারলে আমি কি করব? বড় মেয়ের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটায় (সে ছিল মুসলিম) তাকে বললাম তোমার মা-বাবাকে নিয়ে আস। ছেলে মাকে নিয়ে আসলেও বাবাকে নিয়ে আসতে পারেনি। তখন তাকে বললাম তোমার জন্ম দাতা বাপ তোমার কষ্ট না বুঝলে আমি তোমার কষ্ট বুঝতে যাব কেন? সুতরাং আমি বড় মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিলাম। এখন জামাই বাবাজী আমার অনেক উপকার করে।

আমার মেঝ মেয়ে বলল, আপনি কি আমাদের সম্পর্ক মেনে নিবেন? আমি বললাম আমি তোমাদের সম্পর্ক মেনে নেব তবে আত্মীয় স্বজনকে মানাতে পারব না। তারা সবাই তোমাকে পরিত্যাগ করলে আমার কিছুই করার থাকবে না। সেতু আমাদের এলাকার প্রাক্তন জমিদারের নাতি। দেখতে নায়কের মত। আমাকে খুব সম্মান করে। তারা এখন ভাবছে। তো আমি বললাম তোমরা ভাবতে থাক। তোমাদের জন্য আমি ছোট মেয়েকে বসিয়ে রাখতে পারব না। সুতরাং আমি ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলাম।

২৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩

ঈশ্বরকণা বলেছেন: অগ্নিবেশ,
আপনি আরবি বাংলা আর ইংরেজি ট্রান্সলেশনটা আক্ষরিক অর্থে ধরে নিয়েছেন বলেই আপনার মনে হয়েছে 'অপবিত্র' শব্দটা আপত্তিকর। এটাতো মেটেরিয়ালিস্টিক অর্থে বলা হয়নি । পুরোটাই স্পিরিচুয়াল অর্থে বলা। সাধারণত আমরা অপবিত্র বলি এমন পোশাককে যেটা দিয়ে নামাজ হবে না। বা মানুষ অপবিত্র হতে পারে তখন উযু বা গোসল করে পবিত্র হয়ে নামাজ পড়তে হবে বা অন্যান্য ইবাদত করতে হবে।এটা হলো 'অপবিত্র' বা 'আনক্লিন' যেই কথাগুলো আপনি বলেছেন তার একটা মেটারিয়ালিস্টিক অর্থ। কিন্তু সূরা তাওবার ২৮ নং আয়াতে তো সেই অর্থে কোনো নন মুসলিমকে অপবিত্র বলা হয়নি। একজন ননমুসলিম কুইন এলিজাবেথের মাথার কোহিনুর মুকুট পরে আর পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দামি সুন্দর পাটভাঙা কাপড় পরে থাকলেও সে আনক্লিন --কারণ সে আল্লাহকে বিশ্বাস করে না । আর আল্লাহ্তে সেই বিশ্বাস নেই দেখেই সূরা তাওবার একই আয়াতের পরের অংশে তাদের মসজিদে হারামেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে জাগতিক অর্থে 'আনক্লিন' বুঝতে বা খুঁজতে গেলেই আপনার ঝামেলা বাড়বে। এখানে এখানে ইসলামের একটা ফান্ডামেন্টাল রুলের ওপরে খুবই জোর দেয়া হয়েছে বলেই কথাটা ওইভাবে বলা হয়েছে। রাসূল (সাঃ)নন মুসলিমদের মসজিদুন নবিতে প্রবেশ করতে দিয়েছেন।সেখানে তাদের সাথে তাঁর কথা হয়েছে ।অনেকে রাসূলের (সাঃ) সাথে কথা বলার পরে ইসলাম গ্রহণ করে তখনি নামাজ আদায় করেছেন। রাসূল (সাঃ) মদিনার মিত্র ইহুদিদের সাথে হাত মিলিয়েছেন। মদিনার ননমুসলিম পড়শিরা মুসলিমদের তাদের রান্না করা খাবার পাঠালে রাসূল (সাঃ) সাহাবীদের সেগুলো খেতে বলেছেন । এমনকি সাহাবীদের খ্রিষ্টান আর ইহুদি মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারেও নিষিদ্ধ ছিল না । এগুলো থেকেই বোঝা যায় সূরা তাওবার ২৮ নং আয়াতে ননামুসলিমদের ফুলের মতো পবিত্র না বলা হলেও আপনি অপবিত্র বা আনক্লিন কথাটা যেভাবে ভেবেছেন সেই অর্থে কথাটা আসলে বলা হয়নি । তারা অপবিত্র হলে রাসূল (সাঃ ) মসজিদে ঢুকতে দিতেন না বা তাদের খাবার সাহাবীদের খেতে বলতেন না। তাই ওই কথাটার পুরোই একটা স্পিরিচুয়াল মিনিং আছে আর সেটা খুবই ফান্ডামেন্টাল ইসলামে। বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতেই কথাটা ওভাবে বলা এর বেশি কিছু ওর মধ্যে খোঁজার চেষ্টা করার কোনো দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না । চাউ ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এরপর আর এ বিষয়ে কথা থাকতে পারে না।

২৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচা আপনি সহজ সরল ব্যক্তি, ব্লগে আপনি বেশ কিছু ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে ফেললেন, এর দরকার ছিল না। যাই হোক আমি উদাহরন হিসাবে সেই সনাতনীর কথা তুলেছি, আপনার পরিবারের প্রতি, আপনার প্রতিও আমার ব্যক্তিগত কোনো ক্ষোভ নেই। আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি, একই সাথে ধার্মিক আর মানবিক হওয়া যায় না। আপনি কোনো ধর্মে থাকলে সেই ধর্মের পক্ষপাতিত্ব আপনাকে করতেই হবে। পক্ষপাতিত্ব করতে গেলে পরমত সহিষ্ণুতা করা যায় না। আমাকে আপনি অনেক সময় দিলেন। ভালো থাকবেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ পরিস্কার করেই বলেছেন ধর্মে জবরদস্তি নেই। অন্য ধর্মের দেব-দেবীকে মন্দস কথা বলাতেও নিশেধাজ্ঞা আছে। সুতরাং ইসলাম পরমত সহিষ্ণুতার বিপক্ষে নয়।

২৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঈশ্বর ভাই যা বললেন তাহা দাড়ালো, মুশরিকরা হল স্পিরিচুয়ালি অপবিত্র।
তাহলে শেষমেষ যেটা বুঝলাম কাফের, মুশরিক, অমুসলিমরা হচ্ছে গিয়ে স্পিরিচুয়ালি জালেম, স্পিরিচুয়ালি পশুর চেয়ে অধম, স্পিরিচুয়ালি সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব এবং একই সাথে স্পিরিচুয়ালি নাপাক।
এর জন্য কাফের, মুশরিক, অমুসলিমদের খাবার দাবার সব সার্ভিস নেওয়া যাবে, কিন্তু মেয়ে বিয়ে দেওয়া যাবে না, বন্ধুত্ব করা যাবে না, মসজিদে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। উপরের গালিগুলো স্পিরিচুয়ালিভাবে দেওয়া যাবে। তাদের মনে মনে ঘৃনা করতে হবে, আবার তাদের কাছ থেকে পরমত সহিষ্ণুতাও আশা করতে হবে। মাশাল্লাহ। শুভানল্লাহ। আমারে ক্ষেমা দ্যান।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি যা বুঝেন সেটা আপনার বিষয়। আমরা আপনার মত করে ইসলাম বুঝি না।

৩০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১১

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ পাপ না করলে লিখে সার্স দিন পেয়ে যাবেন।আমি লিং দিতে জানি না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত আবু আইউব আল আনসারীর (রা) উক্ত হাদিসের ভিত্তিতে আমি বলি যে পাপ কাজ আল্লাহর ইচ্ছায় হয় সেই পাপ কাজে পাপ নাই। কিন্তু বান্দা জানে না সে পাপ আল্লাহর ইচ্ছায় করেছে, সুতরাং তার পাপের জন্য তার অনুসোচনা জরুরী। সেইটা না করলে আল্লাহর ইচ্ছায় করা পাপের জন্য গুনাহগার হতে হবে। হযরত আদম (আ) ও হাওয়ার (আ) নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়া এমন একটি পাপের কাজ। অনুসোচনার জন্য তারা পাপ কাজটির পাপ থেকে রেহাই পেয়েছেন। এভাবেই নবিগণ (আ) বেগুনাহ। যাক হাদিসটি আপনি যেভাবে বুঝেছেন, আমি সেভাবে বুঝিনি। আপনি হাদিসটি বুঝেছেন নেতিবাচক ভাবে, আর আমি হাদিসটি বুঝেছি ইতিবাচক ভাবে।

৩১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

ঈশ্বরকণা বলেছেন: অগ্নিবেশ,
রাসূলের (সাঃ) ননমুসলিম পড়শিদের সাথে ব্যবহার কেমন ছিল সেটার কিছু উদাহরণ দিলাম তারপর আপনি যদি আপনার মতো করে ইসলাম নন মুসলিমদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে বলেছে সেটা বুঝতে চান সেটা বুঝতেই পারেন । তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই । আমি এ কারণেই বলছি যে শুধু বাংলা ট্রান্সলেশন দেখেই নিজের মনের মতো করে ইসলামের জিনিসগুলো না বলাই ভালো । তাতে অপব্যাখ্যা করার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। আপনি মন্তব্যে যা বলেছেন তার অনেকগুলো কথাই ইসলামের সম্পর্কে অপব্যাখ্যা, অপপ্রপচার বা বলা যায় টুইস্টেড। ইসলাম মানুষের মাঝে একটা বিষয় দিয়েই শুধু পার্থক্য করেছে সেটা হলো ইমান-মানে আল্লাহ্তে বিশ্বাস। ওটা যার মধ্যে নেই সে আল্লাহর কাছে খুব একটা প্রকৃষ্ট মানবের উদাহরণ না। সর্বনিকৃষ্ট বা স্পিরিচুয়ালি নিকৃষ্ট যাই বলেন আল্লাহর কাছে তাই। কুরআন কঠিন ভাবে আল্লাহকে অবিশ্বাসকারীদের সম্পর্কে বলেছে । সেটা বলেছেন খুব সহজবোধ্য কারণেই । অনেকটা হ্যামলেটের "I must be cruel to be kind" মতো বলতে পারেন ব্যাপারটা | কুরআন অবিশ্বাসীদের পার্থিব জীবনে সুখ শান্তি খ্যাতির থেকে বঞ্চিত করার কথা বলেনি । কিন্তু তাদের পরকাল এই 'অবিশ্বাস' করার জন্য কঠিন হয়ে যাবে ।কুরআন যে কঠিন কথাগুলো অবিশ্বাসীদের সম্পর্কে বলেছে সেটা পরকালে কঠিন অবস্থায় না পরে সে জন্যই দয়া করেই বলেছে । কারণ সেই কালটা কিন্তু পঞ্চাশ ষাট বা সত্তুর বছরেই শেষ হবে না --তাদের কঠিন অবস্থাটা অনন্তকাল চলবে ।

আর আপনি যে বলেছেন অবিশ্বাসকারীদের "উপরের গালিগুলো স্পিরিচুয়ালিভাবে দেওয়া যাবে। তাদের মনে মনে ঘৃনা করতে হবে, আবার তাদের কাছ থেকে পরমত সহিষ্ণুতাও আশা করতে হবে" এগুলো আপনি কোথায় পেয়েছেন আপনিই জানেন । কোনো ননামুসলিমকেই তার অবিশ্বাসের জন্য দ্বীনের দাওয়া ছাড়া কোন কিছু বলার সুযোগ নেই ইসলামে। সবাইকেই নিজের কাজের জন্য দায়ী হতে হবে। জোর করে চাপিয়ে দেবার কিছু নেই ইসলামে। নিজের মতো করে এই কথাগুলো না বলে জাস্ট ইগনোর করুন ইসলাম নিয়ে করা পোস্টগুলো । ইসলাম নিয়ে করা পোস্টগুলোতে ইসলামে নেই এমন কথা থাকলে ইসলামে বিশ্বাসী অনেক ব্লগারই সে ভুলগুলো নিয়ে কথা বলেন, ভবিষ্যতেও বলবেন। আমি নিজেও বলি । আপনার চাচাকে সেদিনইতো মাত্র বললাম তার একটা পোস্টের সাথে দ্বিমত করে। তাছাড়া সব সমাজের দেশেরই কিছু নীতি থাকে। সেই নীতিগুলো তাদের কাছে সহজ আর গ্রহণযোগ্য মনে হলেও অন্যদের কাছে সেটা সহজ বা গ্রহণযোগ্য মনে নাও হতে পারে। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাতেও সেরকম নীতিমালা আছে যা একটি রাষ্ট্রের কাছে বা রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য রাষ্ট্রের মানুষদের জন্য সহজ বা গ্রহণযোগ্য না।ইসলামিক ল' বা প্রাকটিস সম্পর্কেও অন্যদের সেরকম ভিন্ন ধারণা হতে পারে । সেটা খুব বিচিত্র না। সেটা নিয়ে আপনার হা হুতাশ করারও কারণ নেই। ইসলাম মুসলিমদেরও ওপেন চেক দেয়নি। কুরআন বলেই দিয়েছে যে শুধু মুখে কলেমা পড়লেই বা মুখে বিশ্বাসী ঘোষণা করলেই হবে না।তাদেরও পরীক্ষা নেয়া হবে। ইসলাম মুসলিমদের তাকওয়ার ভিত্তিতে তাদের উঁচু নিচু ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছে (আপনার ভাষায় পবিত্র অপবিত্রও বলতে পারেন )। তাই টেনশনের কোনো কারণ নেই আপনার আপনাকে ইসলাম আলোচনায় অবশ্যই ক্ষ্যামা দেয়া হয়েছে । কিন্তু আপনি সেই ক্ষ্যামা না নিয়ে অনর্থক এইসব পোস্টে আসছেন কেন অযৌক্তিক ভাবে ইসলাম বিরোধিতা করার জন্য সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমি !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.