নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে আল্লাহকে রব এবং মুহাম্মদকে (সা.) নবি ও রাসূল না মানে সে যেন ইসলামের বিধান নিয়ে কথা না বলে

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৭



যে বলে আল্লাহ বলতে কেউ নেই। যে বলে মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসূল নন। ইসলামের কোন বিধান তার আলোচ্য বিষয় নয়। ইসলামের বিধান নিয়ে তার কথা বলা অশোভন। ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র মাদ্রাসা থাকবে কি থাকবেনা এটাও সে বলবে না। ইসলামের কাজ যদি তার কু-সংস্কার মনে হয় তবে তার সংস্কার নিয়ে সে থাকুক, মুসলিমগণ সংস্কার বিষয়ে তার সাজেশন কামনা করে না। তার ইসলাম মুক্ত মনার কোন দরকার মুসলিমদের নেই।

বহু কাল ধরে পাগলা মেহের আলীরা বহু কথা বলে আসছে। মুসলিমগণ বলেন, সব ঝুট হ্যায় তফাত যাও। ইসলাম বিষয়ে অসুমলিমদের ঝুট খাবার মুসলিমগণ গিলবে না। ইদানিং কালে তারা একটা ঢেউ তৈরী করেছিল। কিন্তু সে ঢেউ কুলের নাগাল না পেতেই মিলিয়ে গেছে।

তারা বলে আল্লাহ মন্দ, তাঁর রাসূল (সা) মন্দ, মুসলিম মন্দ। তবে তো সব ঠিকই আছে। তবে তারা ভালো হবে কেমন করে? ভালো হওয়া তো তাদের পছন্দ নয়। যত যা হোক জান্নাত খুইয়ে মুসলিম ভালো হবে না। মুসলিমের জন্য এত ভালো ভালো নয়। আল্লাহ বলেছেন, তিনি যাকে পথ দেখাবেন কেউ তাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে পারবে না। তারা মূলত আল্লাহর সাথে লড়াই করছে এবং বরাবর পরজিত হয়ে চলছে। অবশেষে একদিন তাদের সময় এসে যাবে এবং তারা চলে যাবে।

তারা একটি দুটি তিনটি করে এলো। অবশেষে ভোর হতেই তারা সব হারিয়ে গেল। তারা দেখলো মাদ্রাসাই তাদের সব চেয়ে বড় সমস্যা। সেজন্যই তারা আল্লাহর সাথে লড়াই করে পারছে না। সেজন্য তাদের মাদ্রাসার প্রতি যত ক্ষোভ। আল্লাহ সেটা জানেন। সেজন্য আল্লাহ তাদের সাথে লড়াইয়ে মাদ্রাসা শিক্ষাকে চাঙ্গা রাখছেন।

আমার পেন ড্রাইভ হারিয়ে গেল। কিছুতেই পাচ্ছি না। মনে মনে নেছারাবাদ মাদ্রাসায় একশত টাকা মান্নত করলাম। সাথে সাথে এক জন বলল, আপনার পেন ড্রাইভ আমার কাছে আছে নিয়ে যান। এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মান্নত পুরণ হওয়ায় আমার স্ত্রী আমাকে নেছারাবাদ মাদ্রাসায় আট হাজার একশত টাকা দিতে বললেন। নেছারাবাদের মান্নতের টাকা কুড়াতে সব্বিশ ঘন্টা লোক নিযুক্ত থাকে। একগ্রুপ গেলে অন্য গ্রুপ আসে। লোকেরা গাড়ি থেকে টাকা ছুড়ে ছুড়ে মারে। স্বেচ্চা সেবকেরা সেই টাকা কুড়িয়ে কুড়িয়ে রাস্তার পাশের বড় পাকা দ্রানবাক্সে ফেলে। অতঃপর সরকারী তত্ত্বাবধানে সেই টাকা খরচের ব্যবস্থা করা হয়। সেই মাদ্রাসায় পাঁচ হাজার ছাত্র পড়ে। এদিকে মাদ্রাসা বিরোধীরা ব্লগে এস মাথা খুঁড়ে মরে। মর মর, যত খুশি মর। তোদের হাতে মাদ্রাসা বন্ধের চাবী নেই। বাংলার জনগণ ব্লগের দিকে ফিরেও তাকায় না। আব্বাসীয় আমলে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে এখনো চলছে। মাদ্রাসা শিক্ষা চালিয়ে নিতে বৃটিশও অবদান রেখেছে। আল্লাহ এবং তাঁর বিধান জানার শিক্ষাক্রম আল্লাহ নিজেই চালু রাখবেন। সুতরাং সব কিছু বন্ধ হলেও মাদ্রাসা বন্ধ হবে না- ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

নতুন বলেছেন: খুবই ভালো প্রস্তাব।

তবে ধর্মিকদেরও অন্যদের সঠিক পথে আসার জন্য দাওয়াদ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

আপনি যখন একজনকে বলবেন যে আপনার রাস্তা ঠিক এবং ভুল পথ ছেড়ে সঠিক পথে আসুন, তখন অন্যরাও বলতেই পারে আপনিও ভুল পথে আছেন তাদের পথে আসুন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মূলকে যে অস্বীকার করে তার শাখা নিয়ে কথা বলার দরকার নেই। মূল নিয়ে কথা বলা চলতে পারে। সেজন্য ইমাম আবু হানিফা (র) নাস্তিকের সাথে তর্কে অবতীর্ণ হয়ে ছিলেন। আর রাসূলও (সা) খ্রিস্টানদের সাথে আলোচনায় বসে ছিলেন। অবশেষে তিনি তাদেরকে মোবাহালার প্রস্তাব দিলে তারা তাতে সম্মত হয়নি।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৬

নতুন বলেছেন: আমার পেন ড্রাইভ হারিয়ে গেল। কিছুতেই পাচ্ছি না। মনে মনে নেছারাবাদ মাদ্রাসায় একশত টাকা মান্নত করলাম। সাথে সাথে এক জন বলল, আপনার পেন ড্রাইভ আমার কাছে আছে নিয়ে যান। এভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মান্নত পুরণ হওয়ায় আমার স্ত্রী আমাকে নেছারাবাদ মাদ্রাসায় আট হাজার একশত টাকা দিতে বললেন।

আমার যতদুর ধারনা মান্নত করা সহি তরিকা না।

@নতুন নকিব ভাইয়ের কাছে জিঙ্গাসা রইলো মান্নত কি সহী কিনা?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দেখা যাক এ পোষ্ট তাঁর নজরে আসে কিনা। তবে যারা মান্নত সংগ্রহ করে, ঝালকাঠি এস এস কামিল মাদ্রাসা। তাদের মাদ্রাসা দেশের সেরা দশটি মাদ্রাসার একটি মাদ্রাসা। আমি যে মাদ্রাসায় পড়েছি সে মাদ্রাসাও অর্থাৎ মীর হাজির বাগ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা সেটাও দেশের সেরা দশটি মাদ্রাসার একটি মাদ্রাসা।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

নতুন বলেছেন: মান্নতের এই প্রকারের প্রতি হাদিসে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত হাদিস সহিহ বুখারি-মুসলিমসহ হাদিসের আরো অনেক কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে একাধিক সাহাবির সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) মান্নত করতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, মান্নত কোনো কিছু ফিরিয়ে দিতে পারে না। মান্নতের মাধ্যমে কেবল কৃপণদের কিছু সম্পদ বের করে আনা হয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৬০৮)

অন্য বর্ণনায় রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা বনি আদমের জন্য যা নির্ধারণ করে রাখেননি, মান্নত তা তাদের জন্য নিয়ে আসতে পারবে না। তবে কখনো কখনো মান্নত তাকদিরের মোতাবেক হয়ে যায় এবং এর মাধ্যমে কৃপণ লোকদের থেকে এমন সম্পদ বের করে নিয়ে আসা হয়, যা সে বের করতে চায়নি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬৪০)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বোখারী বিষয়ে আমার একটি পোষ্ট আছে। বোখারীর সব হাদিস সহিহ হিসাবে গৃহিত নয়। হাদিসের কিতাবের সব হাদিস সহিহ হিসাবে গৃহিত হলে মাযহাব গুলো বহু আগেই উঠে যেত।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট। +

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যার কথা নিয়ে এ পোষ্ট। বাংলাদেশে তার আছে কোটি ভক্ত।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

বিষাদ সময় বলেছেন: ইসলামের বিধান শুধু ওই ব্যাক্তির জন্য যে আল্লাহকে রব হিসাবে মেনে নিয়েছে। মুহাম্মদ (সাঃ) কে নবী ও রাসূল হিসাবে মেনে নিয়েছে।
ভুল কথা। ইসলামের বিধান সকল মানুষের জন্য, যে উহাকে মেনে নেয় নাই সে চির জাহান্নামী।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ মুসলিম না হলে তার উপর ইসলামের বিধান ফরজ হয় না। সেজন্য রাসূল (সা) ইহুদীদের বিচার করতেন তওরাহ এর বিধান অনুযায়ী। সুতরাং ইসলাম সবার জন্য ফরজ হলেও এর বিধান মুসলিমের জন্য ফরজ। তারমানে ইসলামের বিধান জারি হয় ইসলাম গ্রহণের পর।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

সোনাগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালে,মুক্তিযুদ্ধা চলাকালীন সময়ে, মাদ্রাসা কার পক্ষে ছিলো, পাকিস্তানের পক্ষে, নাকি বাংলাদেশের পক্ষে?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের কেউ কেউ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগিশ। তা’ছাড়া আওয়ামী লীগও আওয়ামী মুসলিম লীগ ছিল। আর অনেক মাদ্রাসায় পড়ুয়া সব সময় আওয়ামী লীগে ছিল এবং আছে। মাদ্রাসার সবচেয়ে বেশী উপকার করেছেন শেখ হাসিনা। কওমী শিক্ষা সনদের আগে কোন দাম ছিল না। এখন সে সনদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যবান করেছেন শেখ হাসিনা। সেজন্য তিনি কওমী জননী খেতাব পেয়েছেন। মাদ্রাসা হলো স্থাপনা। এটা কারো পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বিষাদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন হিন্দুর উপর নামাজ ফরজ নয়। সে যখন ইসলাম গ্রহণ করবে তখন তার উপর নামাজ ফরজ হবে। এখন বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র হলে হিন্দুর সম্পত্তি বন্টন ইসলামী আইনে না হয়ে হিন্দু আইনে হবে। যার কথার উপর ভিত্তি করে এ পোষ্ট তিনি একজন ব্যারিস্টার। সুতরাং তিনি বিভিন্ন আইন সম্পর্কে অবগত আছেন। তাঁর দাদা ছিলেন রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর দাদী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং পারিবারিকভাবেও তিনি আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত।

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

বিষাদ সময় বলেছেন: তাঁর নাম খুব ভাল ভাবে জানি তবে আমি নিশ্চিত ছিলাম না এই ব্যাক্তি তিনি কিনা ? একজন আইনের ছাত্র হিসাবে বলতে পারি মূল ধর্মীয় আইন আর রাষ্ট্র যখন কোন ধর্মীয় আইনকে এডাপ্ট করে তখন দুটো এক রকম থাকে না। এখনও বাংলাদেশে পারিবারিক আইন গুলো যার যার ধর্মীয়্ আইন দ্বারাই পরিচালিত হয়। তবে এ্ আইনগুলো মূল ধর্মীয় আইন থেকে কিছুটা এমেনডেড।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি একজন আইনের ছাত্র জেনে খুশী হলাম।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারোউপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

* কোরআনে অপারগতার বিষয়ে সমিহ করার বিধান আছে। রাষ্ট্রও কোন কোন বিষয়ে অপারগ হতে পারে। আমাদের দেশের বড় দলগুলোতে অনেক আলেম আছেন। সুতরাং রাষ্ট্রীয় আইনগুলোও সব দিক বিবেচনায় করা হয়।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৬

নতুন বলেছেন: তবে যারা মান্নত সংগ্রহ করে, ঝালকাঠি এস এস কামিল মাদ্রাসা। তাদের মাদ্রাসা দেশের সেরা দশটি মাদ্রাসার একটি মাদ্রাসা। আমি যে মাদ্রাসায় পড়েছি সে মাদ্রাসাও অর্থাৎ মীর হাজির বাগ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা সেটাও দেশের সেরা দশটি মাদ্রাসার একটি মাদ্রাসা।

মাদ্রাসা টাকা সংগ্রহ করলেই মান্নত সহী হয়ে যায় না ভাই।

একটা জিনিস হারিয়ে গেছে সেটা খুজে পেতে টাকা খরচা করার প্রতিঙ্গা করা কি ঠিক কিনা। এটা আমার মতে ঠিক হবার কথা না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি স্পষ্ট করেই বলেছেন আপনি কিতাব বিশ্বাস করেন না। কোরআনের কথাতেই আপনার বিশ্বাস নাই। বোখারী শরিফের কথাতেও আপনার বিশ্বাস থাকার কথা নয়। কাজেই ইসলামের বিষয়ে আপনি কি ঠিক বললেন এবং কি বেঠিক বললেন সেটা ইসলামে বিশ্বাসীদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমি বোখারী শরিফ সংক্রান্ত পোষ্টটি ফেসবুকের বড় বড় গ্রুপ গুলোতে পোষ্ট করেছি। কেউ আমার বিরোধীতা করেনি। ফেসবুক আমাকে জনপ্রিয় পেসগুলো দিয়ে বলে ‘সাজেস্ট ফর ইউ’। তাদের সম্মানে আমি পেজগুলো দেখি। জাইমা রহমানের পেজ সে হিসাবে আমি পেয়েছি। এর কিছু বিষয় আমার পছন্দ হওয়াতে আমি এর একটি বিষয়ে ব্লগে পোষ্ট দিয়েছি। আপনি এর মূল থেকে বেরিয়ে শাখা নিয়ে পড়ে আছেন। মান্নত এ পোষ্টের মূল বিষয় নয়। মান্নতের পক্ষে বিপক্ষে হাদিস আছে বিধায় মান্নত ইসলামে প্রচলিত। যারা এর বিরোধিতা করেছে তাদের বিরোধীতা ইসলামে অচল। আপনি এখন সেই অচল নিয়ে পড়ে আছেন। ব্লগে অনেক আলেম আছেন। তারা এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: ফেসবুকের কথা ব্লগে অচল।নবীর পায়খানা মোবারক পবিত্র। একথা লিখে পোষ্ট দিলেও কয়েক লক্ষ লাইক পড়ে।তারা ইমান খাড়া করেই রাখে কখন লাইক দিবে।হজার হাজার মাদ্রাসার ছাত্র আছে লাইক দেয়ার জন্য আর হুজুররা আছে পোষ্ট দেয়ার জন্য ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তা’ আপনি ব্লগে একটা পোষ্ট দিন। নিজেরতো দু’কলম লেখার যোগ্যতা নেই। পরের সমালোচনা ছাড়া আপনার কি গুণ আছে?

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হক কথা বলেছেন, আমি পোস্টের সাথে একমত পোষণ করছি। আমি নিজ চোখে দেখেছি কিছু মুসলিম নবী মানে, আল্লাহকে বিশ্বাস করে, কোরআনকে ঐশ্বরিক গ্রন্থ হিসেবে মানে, ইসলামিক আচার অনুষ্ঠানও পালন করে, কিন্তু মাঝে মাঝে মনে যখন ভাবের উদয় হয় বা জ্ঞান ভর করে তখন ইনিয়ে বিনিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে। অন্য মুসলিম যখন প্রতিবাদ করে তার ইসলামের বিরুদ্ধে এই কথাগুলোকে তখন সে নিজেকে ডিফেন্ড করে- "আরে ভাই আমি তো ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতেছি না, আমি কথা বলতেছি ভুলের বিরুদ্ধে, আমি কথা বলতেছি মোল্লা, মৌলভীদের বিরুদ্ধে"
ভাবখানা এমন - যে, সে নিজে বিরাট ইসলামিক স্কলার হয়ে গেছে, ধর্ম রক্ষার এই দায়িত্ব শুধু তার উপরেই বার্তায়; ইসলামিক লাইনে যারা পাড়াশুনা করে তারা ইসলামের কিছু'ই জানে না। বিষয়টা আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয়।

অবশ্য ধর্মহীনতার প্রাথমিক লক্ষণ এভাবেই শুরু হয়, অনেকে এক সময় ধর্ম থেকে পুরোপুরি বের হয়ে যায়। যারা ধর্ম থেকে পুরোপুরি বের হতে পেরেছে তাদের কথা ভিন্ন, কিন্তু যারা দুই নৌকায় পা দিয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে তারা পুরো লেজে গোবরে অবস্থা করে ফেলছে, দুই পক্ষেরই বিরোধীতার স্বীকার হচ্ছে, নতুন প্রজন্মকে কনফিউজ করে তুলছে।




১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা দু’দিল বান্দা তারা নৈতিক অবক্ষয়ের মধ্যে আছে। ইসলামে এমন লোক সর্ব নিকৃষ্ট হিসাবে বিবেচিত হয়।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



স্মরণ করার জন্য নতুন ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ব্লগ পড়া তেমন হয়ে ওঠে না ইদানিং। মাঝে মাঝে এলেও মন্তব্য করা হয় না খুব একটা। তা ছাড়া, পোস্টে মন্তব্য করার ফলে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় নিরব থাকাই শ্রেয় মনে করে নিরবে চলেও যাই অনেক সময়। যেহেতু ফরিদ ভাইও স্মরণ করে এই পোস্টে উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন তাই সে কারণেই এখানে একটু কথা বলা দায়িত্ব মনে করছি। আল্লাহ তাআ'লা আপনাদের সকলকে কল্যাণের ভেতরে রাখুন। নিরাপদে রাখুন। সকলের সব কাজে বারাকাহ দান করুন।

আসলে মান্নত করা জায়েজ তবে মাযারে বা কবরে অথবা মৃত কিংবা জীবিত ব্যক্তির নামে মান্নত করা স্পষ্টতঃ হারাম। মান্নত করা যাবে কেবলমাত্র আল্লাহ তাআ'লার নামে। আল্লাহ তাআ'লা ছাড়া অন্য কারো নামে মান্নত বা কুরবানী করা যায় না। অন্য কারও নামেই মান্নত কিংবা কুরবানি করা জায়েজ নেই। কারণ, মান্নত ও কুরবানী হচ্ছে ইবাদত। আর ইবাদত আল্লাহ তাআ'লা ব্যতিত অন্য কারো উদ্দেশ্যে করা জায়েজ নয়। অধিকন্তু এ কথাও জ্ঞাত থাকা প্রয়োজন যে, মান্নত জায়েজ হলেও এ বিষয়টির প্রতি ইসলামি শরিয়া কাউকে উৎসাহ প্রদান করে না। কিন্তু কেউ যদি বিপদাপদে নিপতিত হয়ে কিংবা বিশেষ উদ্দেশ্যে কোনো ব্যাপারে মান্নত করে বসেন তখন তার উপরে তা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-

قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (162) لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَاْ أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ (163) (سورة الأنعام-162-163)

আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তাআ'লার জন্যই। তাঁর কোন অংশিদার নেই। আমি তা-ই করতে আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল। -সূরা আনআম-১৬২-১৬৩

সূরা কাউসারে মহান রাব্বুর আলামীন বলেন-

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ

অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানী করুন। -সূরা কাউসার-২

কোথাও, নির্দিষ্ট কোন স্থানে যেমন, মাদরাসা, মসজিদ কেন্দ্রিক ইয়াতিমখানা কিংবা এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানে মান্নত করতে হলে তার নিয়ম হলো, আল্লাহর নামে ওমুক স্থানে এই জিনিষ আমি মান্নত করলাম। এভাবে বলা হয়ে থাকলে সেই মান্নত সহিহ। কিন্তু এর ব্যতিক্রম করে কেউ যদি উপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে জীবিত বা মৃত ব্যক্তির নামে মান্নত করেন তাহলে তা হারাম হবে।

আশা করছি, বুঝতে পেরেছেন।

আমার একটি পোস্টে এই বিষয়ক সামান্য আলোচনা ছিল। দেখে নিতে পারেন-

দান সদকার গুরুত্ব, পেশাদার ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া, মসজিদে টাকা কালেকশন এবং মাযারে ওরসের নামে দানের প্রসঙ্গে ইসলাম কি বলে?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মান্নত বিষয়ে যারা জানতে চায় তাদের জন্য আপনার মন্তব্য যথেষ্ট বলে মনে করি। তবে যাদের কাজ নেই তো খই ভাজ অবস্থা তারা এ নিয়ে আরো ত্যানা পেঁচাতে পারে।

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ধর্মীয় বিষয়গুলো খুবই সেনসেটিভ বিষয়। আপনি এই বিষয়ে যতো লিখবেন ততোই ক্লান্ত হবেন। - আমার কথা সময় সুযোগে মিলিয়ে নিবেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মীয় বিষয় আমি না লিখলেও আমার বিরোধীরা তা’ক্লান্তিহীন ভাবে লিখছে। তারা এ সংক্রান্ত অডিও ভিডিও প্রচার করছে। এখন আমি কথা না বললে তো তাদের প্ররোচনায় আমার কমিউনিটি বিভ্রান্ত হবে। আর ক্লান্ত হওয়া, মরে যাওয়া এগুলো সাধারণ বিষয়। আমার স্ত্রী এখন আমার সাথে নেই। বাড়ীতে বিল্ডিং এর কাজে তাকে সেখানে পাঠিয়েছি।ন আমি একা আছি। একটু আলোচনায় সময়টা বেশ কাটছে। আমার মনে হয় এ বিষয়ে আপনি ক্লান্ত হচ্ছেন। এমন হলে এমন পোষ্টে ঢুঁ মেরেই চলে যাবেন। অগ্নি, এভো এরা এসব পোষ্ট দেখলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তারা মনে মনে বলে পাইছি একখান মুমিন। এবার এর ঈমান নিয়ে কতক্ষণ টানাটানি করি। যাকগে আপনি জ্ঞানী মানুষ আপনি এসব থেকে দূরে থাকুন।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা সৌদিতে কী মানুষ মান্নত করে এমন করে। তবে লেখা শিরোনাম শতভাগ সত্য। এবং কখনো মাদ্রাসা বন্ধ হবেই না

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঈমানের রযে বিষয়গুলো রয়েছে তার মধ্যে সৌদিস আরব নেই। সুতরাং তারা কি করে অথবা না করে সেটা আমারা বিবেচনায় নেব না। আপনি যদি তাদেরকে বিবেচনায় রাখেন সেটা আপনার বিষয়।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯

এভো বলেছেন: কুরআনের কথা " আল্লাহ কারো মুখাপেখী না", সঠীক ব্যাখ্যা কি?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি আপনার অডিও পুরোটাই শুনেছি। তবে ঘটনা হলো এটা এ পোষ্টের আলোচ্য বিষয় নয় বিধায় আমি এ বিষয়ে এখানে আলোচনা করছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.